এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মোটরবাইকে লাদাখ ভ্রমণের প্রস্তুতিঃ কিছু জ্ঞানগর্ভ উপদেশ :-)

    তথাগত
    অন্যান্য | ২০ জুলাই ২০১৪ | ৩০৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তথাগত | 116.51.240.33 | ২০ জুলাই ২০১৪ ০০:১০647012
  • প্রথমেই একটা ছোট্ট ভূমিকা লিখে নেওয়াটা জরুরি। পোস্টের টাইটেল দেখে নির্ঘাৎ পাবলিক চমকে চব্বিশ হয়ে গেছে। আনকোরা নতুন লেখক, কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে লাদাখ নিয়ে লেখা শুরু করল কেন? তাও লাদাখ ভ্রমণ নয়, ভ্রমণের প্রস্তুতি? যেখানে আর সব লেখালেখি চলছে সিরিয়াস ব্যাপার স্যাপার নিয়ে? এসব সঙ্গত প্রশ্নের উত্তর হিসেবেই ভূমিকাটা প্রয়োজন।

    বিশদেই বলি। বছর চারেক আগে আমি মোটরবাইকে লাদাখ ঘুরতে যাই। ভাল মন্দ মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা সাঙ্ঘাতিক হয়েছিল। আমার নিজস্ব একটা ব্লগ আছে, এ বছরের গোড়ায় শুরু করেছি। তাতে এই লাদাখ ভ্রমণের গল্প বেশ ফলিয়ে লিখেছিলাম (লিঙ্ক : http://bhetobangali.wordpress.com/2014/05/04/%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A7%AD/)। গুরুচন্ডা৯র নিয়মিত সদস্য অচল সিকি সেটা পড়ে ব্যাপক থ্রিলড হয়ে যান আর প্রচুর প্রশংসা করেন। সত্যি কথা বলতে গেলে, সে গল্পটা শেষ অবধি লিখতে পেরেছিলাম সিকির দেওয়া উৎসাহের দৌলতেই। তাঁরই অনুরোধ ছিল যে আমি গুরুচন্ডা৯তে একটা সুতো খুলে লাদাখ যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কিছু লিখি। অতঃপর এই পোস্ট। তা সে সময়ের অভাবে এবং গড়িমসি করতে করতে এই এতদিনে হাত দিলাম। লেখা ভাল লাগলে প্রশংসা আর খারাপ লেগে থাকলে গালাগালি দুটোই একশো শতাংশ সিকির প্রাপ্য। :-)

    আমি লাদাখ মোটরবাইকেও ঘুরেছি, আবার তার পরের বছর প্লেনে করে গিয়ে গাড়িতেও ঘুরেছি। গাড়ি করে ঘুরতে হলে কিছু ভাল গরম জামাকাপড় সঙ্গে নেওয়া, আর আগে থেকে কয়েকটা মাউন্টেন সিকনেসের ওষুধ খেয়ে নেওয়া ছাড়া আলাদা করে কিছু প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু মোটরবাইকের কথা আলাদা। পূর্ব অভিজ্ঞতা যদি না থাকে, ভালরকম যোগাড়যন্ত্র না করে গেলে মহাপুরুষদের না হলেও, আমাদের মত সাধারণ মানুষের বিস্তর ভোগান্তির সম্ভাবনা।

    লাদাখ শব্দটার অর্থ হল গিরিবর্ত্মের (mountain pass) দেশ। এরকম সার্থকনামা দেশ দুনিয়ায় দুটি আছে কিনা জানিনা। লাদাখের প্রধান শহর লেহ তে পৌঁছবার দুটো রাস্তা আছে — একটা শ্রীনগর থেকে আর দ্বিতীয়টা মানালি থেকে। কিন্তু যে পথেই আপনি পৌঁছতে চান, বেশ কয়েকটা ষোলো-সতেরো হাজার ফুটিয়া পাস না পেরিয়ে গতি নেই। শুধু তাই নয়, লাদাখের মধ্যে কোথাও বেড়াতে গেলেও — যেমন প্যাঙ্গং হ্রদ বা নুব্রা উপত্যকা — সেই দানবাকৃতি পাহাড় পেরোতে হবে। অধিকাংশ জায়গায় রাস্তার বিশেষ কোন অস্তিত্ব নেই। পাথুরে জমির ওপর দিয়েই চলতে হবে। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হল যে অনেক জায়গায় নদী বা ঝর্ণা রাস্তার ওপর দিয়েই বয়ে যায়। দুচাকায় করে সেগুলো পেরোন বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এইসব কারণেই মোটরবাইকে লাদাখ যেতে হলে, অন্তত প্রথমবার, ভালরকম প্রস্তুতি করে যাওয়াই উচিত।

    মোটরবাইক দিয়েই আলোচনাটা শুরু করি। প্রথম প্রশ্ন হল যে কোন মোটরবাইক। নিজের মোটরবাইক নিয়ে যেতে হলে এ প্রশ্নটা অবান্তর। তবে ভাড়ার বাইক নিতে হলে এটা জরুরি প্রশ্ন। আমি নিজে রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট চালাই, তাই বুলেটের প্রতি আমার অগাধ পক্ষপাতিত্ব। কিন্তু পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে উঠে যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বুলেট প্রথম পছন্দ নাও হতে পারে। লাদাখের রাস্তায় খুব বেশি খাড়াই কোথাও নেই, কারণ ওই রাস্তায় ভারি ভারি লরি চলে। বেশি খাড়াই হলে লরি উঠতেই পারবেনা। আর যে রাস্তায় লরি উঠতে পারে, সেখানে বাইক (তা সে যে কোন বাইকই হোক না কেন) অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। অসুবিধাটা হয় ১৬-১৭ হাজার ফুটের ওপর অক্সিজেনের অভাবে। কম অক্সিজেনে পেট্রল ঠিক করে পোড়েনা, তার ফলে বাইক চলতে চায়না, ভুটভাট করে আপত্তি জানায়। এই ক্ষেত্রে বুলেটের কোন জুড়ি নেই, অন্তত একশো-দেড়শো সিসির বাইকগুলোর তুলনায়। বড় ইঞ্জিন হওয়ার দরুণ টিউনিং ঠিকঠাক থাকলে বুলেট অক্লেশে সবথেকে উঁচু পাসগুলোও পার করে দেবে। অবশ্য এর ব্যতিক্রমও দেখেছি — রাস্তায় অনেক বুলেট আটকে যেতে দেখেছি, অনেকের বাইক ঠেলতে সাহায্য করেছি। তবে সেটার কারণ ঠিকঠাক টিউনিং না করা আর বাইক সম্বন্ধে কারিগরি জ্ঞানের অভাব। ঐ দুটি জিনিসের ভাঁড়ারে টান না পড়লে, মা ভৈঃ!

    বুলেটের আরেকটা গুণ হল যে রাইডিং পোজিশন অত্যন্ত আরামদায়ক। বহুক্ষণ চালিয়ে নেওয়া যায় কোমর আর পিঠের দফারফা না করে। আমি নিজে তেরো ঘন্টা লাদাখের রাস্তায় বাইক চালানোর পরও দুপায়ের ওপর খাড়া ছিলাম, আর ভগবান জানেন যে আমার শারীরিক ক্ষমতা সাধারণের চেয়ে বেশি নয় মোটেই। অন্যদিকে একশো‍-দেড়শো সিসির বাইকগুলো প্রায় কোনটাই খুব লম্বা সফরের উপযোগী নয়, কারণ তাদের সিটিং পোজিশনটা বেশ উঁচু। ব্যতিক্রম পুরোন ইয়ামাহা আর এক্স ১০০ ও ১৩৫, বা নতুন বাজাজ অ্যাভেঞ্জার। এগুলোর বৈশিষ্ট্য হল নিচু সীট আর উঁচু হ্যান্ডেলবার। নতুন বহু ভাল বাইক আছে — নতুন ইয়ামাহা বাইকগুলো, যেমন এফ এক্স, বা হন্ডা সিবিআর, বা বাজাজ পালসার, বা কেটিএম ডিউক। ইঞ্জিনও অত্যন্ত শক্তিশালী, এবং উন্নত কারিগরীর জন্য মাঝরাস্তায় গণেশ উল্টোনর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। মুশকিল হল এই যে এগুলো সব রেসিং বাইক জাতীয় ডিজাইন, ফলতঃ সামনের দিকে ঝুঁকে হাতের ওপর ভর দিয়ে চালাতে হয়। এসব বাইক নেওয়ার আগে যাচাই করে নেবেন যে অকহতব্য খারাপ রাস্তায় নিজের পিঠের ও কাঁধের সাড়ে তেরোটা না বাজিয়ে আপনি বারো-তেরো ঘন্টা নাগাড়ে বাইক চালাতে পারবেন কিনা। পারলে কোন অসুবিধে নেই, তবে পাড়ি দেওয়ার আগে নিজের ক্ষমতাটা যাচাই করে নেওয়া ভাল।

    বুলেট নেওয়ার প্রধান সমস্যা হল নির্ভরযোগ্যতার অভাব। একটু পুরোন মডেলের বুলেট হলে যে কখন তেল ছড়াতে শুরু করবে, বা কখন ক্লাচ কেবল ছিঁড়বে, সে ওপরওয়ালাই জানেন। পোড়খাওয়া বুলেটবিলাসীদের কাছে এগুলোই আনন্দ, এসব না হলে তেনাদের মন ওঠেনা। তাঁদের বিলাস নিয়ে তাঁরা থাকুন, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে বরফের ঝড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে ক্লাচ কেবল বদল করার অনুভূতিটা খুব সুখের হবেনা। আর স্টার্ট করার ঝামেলা তো আছেই। ইলেক্ট্রিক স্টার্টার না থাকলে পদে পদে ভোগান্তির সম্ভাবনা। আমার লাদাখ সফরের সঙ্গী জয় যে কত ভুগেছে এ রোগে, সে আমিই জানি। আশার কথা, নতুন যে বুলেট মডেলগুলো বাজারে এসেছে, তাতে এই কারিগরী ত্রুটিগুলো বহুলাংশেই সমাধান করা হয়েছে বলে শুনেছি। ইলেক্ট্রিক স্টার্ট বোতামটাও শুনেছি আগের তুলনায় অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।

    শেষমেশ এটাই বলে রাখি, যে মডেলের বাইকই নিন, বাইকের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সাবধান থাকবেন। সম্ভব হলে সবকটা কেবল (তার) নতুন লাগান। সামর্থ্যে কুলোলে এক জোড়া নতুন টায়ার টিউবও লাগিয়ে নিন — সাবধানের মার নেই। ইঞ্জিন অয়েল, গিয়ার বক্সের অয়েল, ডিস্ক ব্রেক থাকলে ব্রেক অয়েল তো অতি অবশ্যই পাল্টে নেবেন। ইঞ্জিন যেন মাখনের মত চলে, একটুও যেন বেসুরো না বাজে। কার্বুরেটর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পরিষ্কার করাবেন।

    দ্বিতীয় প্রশ্নটি হলঃ নিজের মোটরবাইক নিয়ে যাবেন, নাকি ভাড়া নেবেন? যদি ভাড়া নিতে হয়, তাহলে কোথা থেকে নেবেন? এটা অত্যন্ত জটিল প্রশ্ন আর এর কোন সঠিক উত্তর নেই। বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন উত্তর পাবেন।

    যাঁরা উত্তর ভারতে, বিশেষতঃ দিল্লী বা তার আশেপাশে থাকেন, তাঁদের পক্ষে নিজের বাইক নেওয়াটাই ভাল। অবশ্য যদি সে বাইকের লাদাখ টানার ক্ষমতা থাকে তবেই (ওপরের অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য)। দিল্লী থেকে বাইক চালিয়েই মানালি বা শ্রীনগর চলে যাওয়া যায়। বাইকটাকে ট্রেনে বা ট্রাকে তোলার ঝামেলা পোয়াতে হয়না। কিন্তু যাঁরা দুর্ভাগ্যক্রমে হিমালয় পর্বত থেকে কিছুটা দূরে থাকেন, তাঁদের পক্ষে নিজের বাইকে যেতে হলে, বাইকটাকে ট্রেনে তোলা ছাড়া গতি নেই। ট্রাকে ভুলেও তুলবেননা, কারণ ট্রাক যে কখন দিল্লী বা জম্মু বা চন্ডীগড় পৌঁছবে, তার কোন ঠিকঠিকানা নেই। ভারতবর্ষে কোন ট্রানসপোর্ট কম্পানি সময়ানুবর্তিতার জন্য বিখ্যাত নয়। শেষে হয়ত দেখবেন যে আপনি দিল্লী পৌঁছে আঙুল চুষছেন আর ট্রাক তখনো মাঝ রাস্তায়। এ ছাড়া বাইকের ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা তো আছেই। সে সম্ভাবনা অবশ্য ট্রেনে গেলেও আছে। তবে সেখানে অন্তত বাইক আপনার সঙ্গে সঙ্গে চলেছে। একটা কথা বলে রাখি, ট্রেনে তোলবার সময় কিন্তু বাইকের ট্যাঙ্ক খালি করে দিতে হয়। এক ফোঁটা তেল থাকলেও ট্রেনে তুলতে দেয়না। তাই সঙ্গে একটা বড় ক্যানেস্তারা নেবেন, যাতে ট্যাঙ্কের তেলটা ভরে রাখা যায়। আবার দিল্লী স্টেশনে নেমে ট্যাঙ্কে ভরতে হবে তো!বাইক ট্রেনের ব্রেকভ্যানে তুলতেও কিছু কিছু ঝক্কি পোয়াতে হয় শুনেছি। রেল কর্মচারীরা হাত বাড়িয়েই থাকে। কাজেই সেখানে পকেট কিছুটা হাল্কা করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

    আমি নিজের বাইক নিয়ে যাইনি, সময় বাঁচাবার জন্য। অনেক আগে টিকিট কাটায় প্লেনের টিকিট পেয়েছিলাম বেশ শস্তায়। তাই ব্যাঙ্গালোর থেকে দিল্লী ট্রেনে করে যাতায়াতের অতিরিক্ত পাঁচ-ছটা দিন আর নষ্ট করতে মন চায়নি।

    ভাড়ার বাইক দিল্লীতে পাওয়া যায়, মানালিতেও পাওয়া যায়। জম্মুতেও পাওয়া যায় হয়ত, ঠিক জানিনা। স্বাভাবিক ভাবেই দিল্লীতে চয়েস বেশি। মানালিতে খুব বেশি গ্যারাজ নেই। আমি ইচ্ছে করেই এখানে কোন গ্যারাজের নামোল্লেখ করছিনা, আন্তর্জালে একটু খোঁজাখুঁজি করলেই পেয়ে যাবেন। ভাড়ার বাইক নেওয়ার সুবিধে এই যে যাতায়াতের সময় নষ্ট হয়না। তাছাড়া বিপদে পড়লে সে বাইক ফেলে পালাতে হলে মনে চোট লাগলেও পকেটের ওপর চোটটা (অন্তত নিজের বাইক ফেলে পালানোর চেয়ে) কম লাগবে। সুবিধার তুলনায় কিন্তু অসুবিধার ফিরিস্তিটা অনেক লম্বা, আর আমি নিজে ঘোরার সময় প্রায় এর সবকটা ঝামেলারই মুখোমুখি হয়েছি।

    প্রথম অসুবিধেটা আর্থিক। বাইকভাড়া এমনিতেই কম নয়, তার ওপর আবার লাদাখ যাব জানলে এক লাফে ভাড়া বেড়ে যায় দেড়গুণ। এখন দিল্লী বা মানালিতে কত ভাড়া হয়েছে জানিনা, তবে আমি যখন গেছি, তখন দৈনিক ভাড়া এক থেকে দু হাজারের মধ্যে ঘোরা ফেরা করছিল। এখন নির্ঘাৎ ওর চেয়ে অনেক বেশি। তাই পকেট সামলে।

    দ্বিতীয় অসুবিধে, বাইক পাওয়া যাবে কিনা তার কোন গ্যারান্টি নেই। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলি। আমরা খুঁজেপেতে মানালির একটা গ্যারাজে আগে থেকে ফোন করে বাইক বুক করেছিলাম। টাকাও পাঠানো হয়েছিল আগাম। কিন্তু মানালি পৌঁছে শুনি যে বাইক নেই। এর আগের দল টুরিস্টের সঙ্গেই আছে সে বাইক। কাজেই বাইক বুক করার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত দোকানওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন, যাতে ওখানে পৌঁছে আর এরকম বেআক্কেল ব্যাপারের সম্মুখীন না হতে হয়।

    তৃতীয় অসুবিধে, বাইকের গুণগত মান অনিশ্চিত। নতুন বা প্রায় নতুন বাইক অনেক আছে বটে, কিন্তু কপাল মন্দ থাকলে (যেমন আমাদের ছিল) সে বাইক আপনি পাবেননা। পাবেন মান্ধাতা আমলের কোন বুলেট। সে নিয়ে লাদাখ জয় করতে হলে ভাগ্য জিনিসটা সহায় হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কাজেই বাইকের মডেলটাও আগে থেকে ফোন করে ঠিকঠাক করে রাখাটাই ভাল। এখানেও ওপরের অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য। বাইকওয়ালার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাটা নিতান্তই প্রয়োজন।

    শেষ অসুবিধে, মানুষ নিজের বাইকের ঘাঁৎ ঘোঁৎ জানে। ইঞ্জিন একটু বেগড়বাঁই করলে বা একটু বেসুরো বেতালা বাজলেই সেটা কানে লাগে। ভাড়ার বাইকের সঙ্গে তো আর সে পরিচিতি নেই। তার ইঞ্জিনের ফটফট কোনটা যে সুস্থতার লক্ষণ আর কোনটা যে নাভিশ্বাস ওঠার শব্দ, সেটা গোড়ায় বুঝতে না পারাটা বিচিত্র নয়। বুঝতে বুঝতে হয়ত দেখবেন যে যা গোলমাল হওয়ার তা হয়ে গেছে। অতএব সাবধান। বাইক হাতে পেয়ে, সরাসরি সেটাকে নিয়ে রোহতাং-এর রাস্তা পাড়ি দেবেননা (আমরা যে মোক্ষম বোকামিটা করেছিলাম)। অন্তত একদিন মানালির আশেপাশে চালিয়ে দেখুন।

    একটা কথা বলে রাখি — নিজের বাইকই হোক বা ভাড়ার বাইক, লাদাখের মূল রাস্তায় ওঠার আগে কোন ভাল মেকানিককে দিয়ে (বা যদি নিজের পর্যাপ্ত কারিগরী জ্ঞান থাকে তো নিজেই) বাইকের টিউনিংটা, বিশেষত কার্বুরেটর টিউনিং, করিয়ে নেবেন। মানালি দিয়ে গেলে মানালিতে করাবেন, শ্রীনগর দিয়ে গেলে শ্রীনগরে। যে টিউনিং-এ সমতল রাস্তায় বাইক ভাল চলবে, সে একই টিউনিং‍-এ কিন্তু উঁচু পাহাড়ে চালাতে গেলে ঝামেলায় পড়বেন (আমি নিজে পাকামি করতে গিয়ে এটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি)। উল্টোটাও সত্যি। পাহাড়ের টিউনিং নিয়ে সমতলে চালাতে গেলে বাইক রাক্ষসের মত তেল খাবে।

    (আজ এই অবধিই। অতি শীঘ্রই আবার এক বস্তা জ্ঞান নিয়ে হাজির হব)
  • সায়ন | 59.200.242.56 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১০:৫৬647023
  • গুড ওয়ান, তথাগত। আপনার উপদেশ গোগ্রাসে গিললাম। :)
    আপনাকে কন্ট্যান্ট করা যাবে?
  • Arpan | 52.107.175.152 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১২:০০647034
  • তথাগতর মেল আইডি ব্লগে আছে। তবে উনি অনুমতি দিলে মেল করব।

    আর আপনার এনফিল্ডের কোন মডেল মশাই? আরেক্স ১৩৫-এর কথা তুলে পুরনো প্রেম জাগিয়ে দিলেন। নিজের হাতে তাকে বেচে দিয়েছিলুম সেও মেঘে মেঘে অনেকদিন হল। ঃ(
  • রোবু | 233.223.150.132 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৩:৩১647056
  • বুগু।
  • সিকি | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৪:১২647067
  • হতচ্ছাড়া!
  • Arpan | 125.118.132.43 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৪:৩০647078
  • খ্যাক খ্যাক খ্যাক!! ঃ))))
  • | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৪:৪৬647089
  • ফিক ফিক
    ;-)))
  • সায়ন | 59.200.242.56 | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৬:০৯647100
  • সিকি'র থ্রেডে স্বপ্নীলের ছবি দেখলাম। আমার পড়া বেস্ট লাদাখি ট্রাভেলগ। আর এত সিম্পল ইয়েট ফাটাফাটি ছবি।

    এখন 'ভেতো বাঙালি'র জুলে-৩ পড়তে পড়তে ফিকফিক হাসছি :)

    কিন্তু রোবু 'বুগু' বলতে সিকি রেগে গেল কেন?!
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৭:০৯647013
  • আরে মশয়, ইমেল আইডি নিয়ে কোন লুকোচুরি নেই। ইন ফ্যাক্ট আমি তো গুগুল আইডি দিয়েই গুরুচন্ডা৯তে সাইন ইন করেছিলাম। লেখার সময় যে কোন ফাঁকে লগ আউট হয়ে গেছে খেয়াল করিনি। তাই প্রথম পোস্টে শুধু নাম দেখছেন, আইডি নয়।

    যোগাযোগ অতি অবশ্যই করুন, অনুমতি নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তবে উত্তর পেতে একটু দেরি হলে খিস্তি করবেননা। আমি জন্ম কুঁড়ে।

    আমার এনফিল্ডের ২০০২ সালের থান্ডারবার্ড। ব্যাঙ্গালোরে প্রথম দশজন থান্ডারবার্ড ক্রেতার মধ্যে একজন — এ ঢাকটা আমি সুযোগ পেলেই পিটিয়ে থাকি। আর এক্স ১৩৫ আর ১০০র মত বাইক আজ অবধি বাজারে আসেনি। হাল্কা, নিচু সিট ফলে সেন্টার অফ গ্র্যাভিটি নিচু। তাছাড়া শক্তিতে ওদের হার মানানো আধুনিক বাইকগুলোরও কর্ম নয়। প্রচুর তেল খায় আর বিশ্রী ধোঁয়া ছাড়ে এই যা।
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ১৭:৩০647014
  • ’বুগু’ ব্যাপারটা কিন্তু বুঝলাম না।
  • সিকি | ২০ জুলাই ২০১৪ ২০:১৯647015
  • ব্যস, সান্দা লুরুতে একজন ক্রাইম পার্টনার পেয়ে গেল। তথাগত, সায়ন একটা বুলেট কিনবে কিনবে করছে। ওর একটু হেল্প চাই। সে-ও লুরুর বাসিন্দা।
  • Arpan | 125.118.132.43 | ২০ জুলাই ২০১৪ ২০:২৪647016
  • আমিও কিনব। কিন্তু কিছু ইফ-বাট-এলস আছে।

    তথাগত, ক্লাসিক ৫০০ মডেলটা কি ঠিকঠাক?
  • সিকি | ২০ জুলাই ২০১৪ ২০:২৭647017
  • অপ্পনের প্ল্যান কি এখনও বরকরার আছে?
  • Arpan | 125.118.132.43 | ২০ জুলাই ২০১৪ ২০:৫০647018
  • হ্যাঁ, আছে। তবে n=n+1 এই সিন্ড্রোমে চলে গেছে। আগে বুলেট কেনা। তারপরে এক বছর ধরে পোষ মানানো। তারও পরে গিরিবর্ত্মের দেশ।

    এইবার বুলেট কেনা আর পাওয়ার মাঝে এত ব্যবধান যে পরিস্থিতি অনুকূল না-ও থাকতে পারে। দেখি, সামনের বছর H1-এর সেশে জল কোথায় দাঁড়ায়! ঃI
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ২১:২৮647019
  • @অর্পণ: ক্লাসিক ৫০০ দেখতে তো জব্বর। দেখলেই জিভ দিয়ে জল গড়ায়। তবে কখনো চালাইনি। যা শুনেছি সেটা অবশ্য ইতিবাচক। আর লাদাখ ভ্রমণের জন্য ৫০০ সিসিই বেশি উপযুক্ত, ত৫০ সিসির তুলনায়।
  • Arpan | 125.118.63.113 | ২০ জুলাই ২০১৪ ২১:৩৯647020
  • ব্রেশ, ব্রেশ।

    তা মশায়ের সাকিন বেঙ্গালুরুর কোন চুলোয়? পরের লুরু ভাটে ইনভিটিশন রইল।
  • সিকি | ২০ জুলাই ২০১৪ ২২:০৪647021
  • জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা কিন্তু একটু অন্য রকম কথা বলেন। "কত" সিসি, এটা নাকি লাদাখ যাবার জন্য মূল ফ্যাক্টরই নয়। আগে অনেকবার বলেছি, আবারও বলি, এলেমেল স্কুটার নিয়ে একাধিকবার লাদাখ ফুল সার্কিট করে আসা জনতা আছে। একশো সিসির বাজাজ প্ল্যাটিনা নিয়েও ঘুরে আসা জনতা আছে। মূল কথা শুধু বাইককে সদাসর্বদা প্রপার টিউনিংয়ে রাখা।

    এই কথাটা আমি অন্য টইতে লিখি নি, খুব মূল্যবান কথা লিখেছে তথাগত। শ্রীনগর দিয়ে গেলে শ্রীনগরে, অথবা মানালি দিয়ে গেলে মানালিতে, বাইকের ফুল সার্ভিসিং, এবং সেই সঙ্গে টিউনিং করিয়ে নেওয়া মাস্ট। টিউনিং মানে, বাইক স্টার্ট দেবার সময়ে স্পার্ক এবং পেট্রলের সংযোগ - সমতলে যত সহজে গাড়ি স্টার্ট নেয়, পাহাড়ে ব্যাপারটা তত সহজ হয় না। মূল কারণ, অক্সিজেনের অপ্রতুলতা। পাহাড়ে ঐ উচ্চতায় অক্সিজেন, স্পার্ক এবং পেট্রল, তিনটেকে সঠিক সময়ের জন্য উপস্থিত রাখা, যাতে প্রপার ইগনিশন হয়, খুব জরুরি। নইলে হাজার স্টার্ট মারলেও বাইক স্টার্ট নেবে না। রিমোট জায়গায় বিপদে পড়তে হতে পারে। টিউনিং তাই, মাস্ট।
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ২২:৫৩647022
  • সিকি,

    বাইক কতটা শক্তিশালী সেটা খুব বড় ফ্যাক্টর নয়, কারণ লাদাখের রাস্তায় ট্রাক চলে। ট্রাক যে খাড়াই বেয়ে উঠতে পারে, সে খাড়াই বেয়ে একশো সিসির বাইকও দিব্যি উঠে যাবে। অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তাই একশো সিসির বাইকে লাদাখ ঘুরে আসা জনতাও অনেক দেখতে পাবে। বড় ইঞ্জিনের সুবিধেটা অন্য জায়গায়। অক্সিজেন যখন কম পড়ে, তখন বড় ইঞ্জিনের বাইক বেশি ভাল টানতে পারে। এটা অবশ্য আমার শোনা কথা, নিজে যাচাই করে নিইনি। তবে এটা ঠিকই যে টিউনিং যদি ফাস্টক্লাস হয়ে থাকে তবে ছোট বাইকেও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ২২:৫৪647024
  • @অর্পণ: ধন্যবাদ। ভাটের স্থান এবং কাল ইমেলে জানাবেন, পারলে নিশ্চয়ই যোগ দেব।
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ২২:৫৫647025
  • ফিরে এলাম জ্ঞানদানের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে। এবারের পর্ব বাইকের প্রস্তুতি। এর আগেই বলেছি যে মোটরবাইকটাকে একেবারে নতুনের মতো সার্ভিস করিয়ে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। এ কথাটার গুরুত্ব বারবার করে বললেও কম হয়। কিন্তু শুধু সার্ভিস করানো ছাড়াও দু’একটা জিনিস করতে হয়।

    বাইকের যন্ত্রপাতি (মানে টুলবক্স) সঙ্গে নেবেন এটা বলাই বাহুল্য। এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি। বাইকের সঙ্গে যে টুলবক্স আসে তাতে অনেক সময় সব প্রয়োজনীয় মাপের স্প্যানার বা অ্যালেন কি (allen key বা hex spanner) থাকেনা। কেন থাকেনা সেটা খোদায় মালুম, তবে মাঝরাস্তায় বাইকের কেবল্ বদলাতে বসে যদি দেখেন যেটা প্রয়োজন সেই স্প্যানার হাজার হাতড়ে খুঁজে পাচ্ছেননা, তখন নিজের পশ্চাদ্দেশে পদাঘাত করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবেনা। এই পরিস্থিতিতে আমি নিজেই একবার পড়েছি, যদিও সৌভাগ্যক্রমে লাদাখের রাস্তায় নয়। তাই ভাল হচ্ছে সব সাইজের স্প্যানারের আর অ্যালেন কি’র একটা সেট কিনে রেখে দেওয়া। বাকি যন্ত্রপাতি টুলবক্সে যা থাকে তাই মোটামুটি যথেষ্ট। এছাড়া নেবেন পাংকচার সারাইয়ের সরঞ্জাম, মানে আঠা, রবারের টুকরো ইত্যাদি। বাইকের কাজ আর কিছু শিখুন না শিখুন, চাকা খুলে টিউব বার করে পাংকচার সারাতে অতি অবশ্যই শিখবেন। বাইকের আইডলিং স্পীডটা কমাতে বাড়াতে শেখাটাও অত্যন্ত জরুরি। বেশি উচ্চতায় আইডলিং স্পীড বাড়িয়ে দিলে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়, যদিও বাইকের ক্ষতি হওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা থেকে যায়।

    স্পেয়ার পার্টস বলতে সঙ্গে নেবেন এক জোড়া আনকোরা নতুন টিউব, স্পার্ক প্লাগ, অ্যাক্সিলারেটর কেবল্, ক্লাচ কেবল্, হেডলাইটের বাল্ব, এয়ার ফিল্টার। এতে মোটামুটি বড়সড় সব ঝামেলা সামলে নিতে পারবেন। একটা বোতল ইঞ্জিন অয়েলও সঙ্গে নিতে পারেন, কখন কাজে লেগে যায় বলা যায়না।

    মাল ও তেলের ক্যানেস্তারা (ক্যানেস্তারা কেন প্রয়োজন সে প্রসঙ্গে পরে আসছি) বাইকে করে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র দড়ি দিয়ে সেগুলোকে বাইকে বাঁধাটা খুব নিরাপদ নয়। পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। আমার পরিচিত একজনই এই মাল বওয়া নিয়ে বিশেষ ব্যতিব্যস্ত হয়েছিল। এজন্য বাইকের পেছনে একটা মাল বইবার একটা লোহার খাঁচা থাকলে সুবিধে হয়। খাঁচা সাধারণতঃ দুটো হয়, বাইকের পেছন দিকে দুধারে ফিট করে দেয়। মানালিতে বা দিল্লীতে যে বাইক ভাড়া পাওয়া যায়, তাতে সাধারণতঃ এই খাঁচা ফিট করাই থাকে। খাঁচাটা দেখতে কেমন হয়, তার একটা ছবি পাবেন এখানে :
    https://www.flickr.com/photos/trdastidar/4783322602/in/set-72157624470315618/lightbox/
    নিজের বাইক হলে এরকম একটা লাগিয়ে নেওয়াই ভাল। আর এখানেই এনফিল্ড বুলেটের একটা মোক্ষম উপকারীতা দেখতে পাবেন। অন্য যে কোন বাইকের পেছনে এই খাঁচা ফিট করলে অত্যন্ত খাপছাড়া বিসদৃশ লাগে। কিন্তু বুলেটকে দেখলে মনে হয় সেটা ওই খাঁচা নিয়েই জন্মেছে, একেবারে খাপে খাপে মিশে গেছে বাইক আর খাঁচা। অবশ্য বাইক কেমন দেখতে সেটা কোনভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, যদি না আপনার উত্তমার্ধ বাইকের পেছনে সওয়ার হ’ন। :-) এই খাঁচা দিল্লী ও মানালিতে অনেক জায়গাতেই লাগানো যায় বলে শুনেছি।

    মালপত্র বাঁধবার জন্য সাধারণ নাইলনের দড়ির চেয়ে বাঙ্গি কর্ড (bungee cord) বেশি উপযুক্ত। এগুলো কিছুটা ইলাস্টিক জাতীয় আর বেশ মোটা। এছাড়া দুধারে দুটো হুক লাগানো থাকে, সেগুলো ওই খাঁচার সঙ্গে আটকে দিতে বেশ সুবিধা। এই দড়ি যে কোন মাউন্টেনিয়ারিং বা ট্রেকিং সরঞ্জামের দোকানে পাবেন, বেশি খুঁজতে হবেনা।

    মালপত্র নেওয়ার জন্য একটা বড় রুকস্যাকই উপযুক্ত। তবে সে রুকস্যাককে একটা মোটা প্ল্যাস্টিকের বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে নেওয়াটাই ভাল। ঝড় ঝাপটা বস্তার ওপর দিয়েই যাবে, রাস্তার কাদা তাহলে ব্যাগে লাগবেনা। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন জলের বোতল, কিছু খাবার দাবার, ক্যামেরা ইত্যাদি নেওয়ার জন্য কাঁধে একটা ছোট রুকস্যাক নেওয়াও ভাল। সে রুকস্যাক যেন ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়া ফিনফিনে ল্যাপটপ ব্যাগ না হয়। একটু শক্তপোক্ত হওয়া জরুরি।

    এবার আসি তেলের ক্যানেস্তারায়। লাদাখের রাস্তায় পেট্রল পাম্প অতি দুর্লভ বস্তু। মানালি-লেহ হাইওয়েতে একটিই পাম্প আছে, টান্ডি বলে একটা জায়গায়। মানালি থেকে বড়জোর শ’খানেক কিলোমিটার হবে। তারপর প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার কোথাও পেট্রল পাবেননা। ওই রাস্তায় আপনার বাইক কেমন তৈলপান করবে সেটা আগে থেকে বলা মুশকিল। তাই সাবধানের মার নেই। সঙ্গে অন্তত দশ লিটার তেল নেওয়াটাই ভাল। পাঁচ লিটারের দুটো জারিকেন নেবেন। এ জারিকেনগুলো বাইকের খাঁচায় বেশ সুন্দর ভাবে ফিট হয়ে যায়। জারিকেনের সঙ্গে তেল ঢালার জন্য একটা ফানেল নিতেও ভুলবেননা যেন।

    বাইক এবং তার আনুষঙ্গিক ব্যাপার স্যাপার প্রায় সবই আলোচনা করেছি মনে হচ্ছে। যদি আরও কিছু মনে পড়ে তো আবার ফিরে আসব এ প্রসঙ্গে। এবার আসা যাক জামাকাপড় ওষুধ পত্রর বিষয়ে।

    গরম জামা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলছিনা। ওটা একান্তভাবেই নির্ভর করে শীত সহ্য করার ক্ষমতার ওপর, যেটা কারুর কম কারুর বেশি থাকে। তাই নিজের আন্দাজ মত নেবেন। গরম জামা ছাড়াও দু’একটি জিনিস সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন, সেগুলোর কথাই বলি।

    প্রথমত, দস্তানা। বাইক চালাতে গেলে দস্তানা বিনা গতি নেই, কারণ খালি হাতে চালাতে গেলে দু মিনিটেই হাত জমে কুলপি হয়ে যাবে। আবার বেশি মোটা দস্তানা পরে ক্লাচ ব্রেক ইত্যাদি ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণ করাটা ঝামেলা। এটা আসলে একটা উভয় সঙ্কট। মোটা দস্তানা পরলে চালাতে অসুবিধে, পাৎলা দস্তানা পরলে ঠান্ডায় জমে যাবেন। আমি প্রচুর রিসার্চ করে গুচ্ছ টাকা গচ্চা দিয়ে Cramster বলে একটা কম্পানি থেকে ‘লাদাখ-প্রুফ’ রাইডিং গ্লাভস কিনেছিলাম।
    http://www.cramster.in/categories/Cramster-Protective-Wear-Riding-Gloves/cid-CU00053167.aspx
    যাত্রার প্রথম দিনই, রোহতাং-এর রাস্তায়, আমি রাগের চোটে সে দস্তানা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম। ওটা এত মোটা আর শক্ত ছিল যে ক্লাচ নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কাজেই আমার উপদেশ হচ্ছে যে ওসব ফালতু জিনিসে মোটেই পয়সা খরচ করবেননা। পাতি বাংলা উলের দস্তানা বেশ ভাল কাজ দেয়। উলের দস্তানা পরে হাতের ফ্লেক্সিবিলিটি কমেনা একেবারেই। অসুবিধাটা হচ্ছে যে উলের বুনুনির ফাঁক দিয়ে হাওয়া ঢুকতে পারে, আর উলের ওপর বাইকের তেলকালি লাগলে (লাগাটা একপ্রকার নিশ্চিত), সেটা পরিষ্কার করাটা প্রায় অসম্ভব। আমার সঙ্গী জয় মানালি থেকে একটা একটু মোটা চামড়ার দস্তানা কিনেছিল, সেটাও বেশ ভালই কাজ দিয়েছিল।

    দ্বিতীয়ত, রেনকোট। রেনকোট শুধু যে বৃষ্টি বা বরফ আটকাবে তা নয়, উইন্ড চিল বা হাওয়ার ঠান্ডারও অব্যর্থ দাওয়াই রেনকোট। তাপমাত্রা খুব কম না হলেও উইন্ড চিল কিন্তু অতীব ভয়ানক জিনিস, শরীরের উষ্ণতা হুহী করে শুষে নেয়। ওটার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাটা খুব জরুরি। রেনকোট বলতে শুধু আলখাল্লা জাতীয় রেনকোট নয়। যেগুলোর একটা জ্যাকেট আর একটা প্যান্ট থাকে সেগুলোর কথা বলছি।

    তৃতীয়ত, বালাক্লাভা মাস্ক (স্কিইং মাস্ক), বা সেটা না হলে নিদেন পক্ষে একটা মাঙ্কি ক্যাপ। এই মাঙ্কি ক্যাপ নিয়ে বাঙালিরা বাকি ‘প্রগতিশীল’ ‘স্টাইলিশ’ ভারতীয়দের কাছে প্রচুর আওয়াজ খেয়ে থাকে। কিন্তু আমি বুক ঠুকে বলতে পারি যে লাদাখের ঠান্ডায় মাঙ্কি ক্যাপের মত ভাল জিনিস দ্বিতীয়টি হয়না। মাঙ্কি ক্যাপ পরে তার ওপর হেলমেট চাপান, দেখবেন ঠান্ডা ফান্ডা আর গায়েই লাগছেনা। কাজেই আপনার বন্ধুবান্ধব বা উত্তমার্ধ যাই বলুন, ওই জিনিসটি সঙ্গে নিতে ভুলবেননা। ছবি তোলার সময় না হয় খুলে নেবেন, তাহলে ইজ্জৎ বাঁচবে।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ জুলাই ২০১৪ ২৩:০২647026
  • তথাগত-র লেখার স্টাইলটা বেশ।
  • Arpan | 125.118.63.113 | ২০ জুলাই ২০১৪ ২৩:১৩647027
  • কোশ্নঃ রয়্যাল এনফিল্ড কি টিউবলেস টায়ার সমেত আসে না? বা টিউবলেস টায়ার ফিট করানো যায়?
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ২৩:২১647028
  • যদ্দূর জানি, ওই রেসিং বাইক জাতীয় বাইকগুলো ছাড়া আর অন্য কোন বাইকেই টিউবলেস টায়ার ফিট করা যায়না। তবে যদি চাকাটাই পাল্টে ফেলেন তাহলে নিশ্চয়ই যাবে।
  • সিকি | ২০ জুলাই ২০১৪ ২৩:২৭647029
  • জমে গেছে।

    রয়াল এনফিল্ডেও এখন টিউবলেস সেট করা যায় বলে শুনেছি।

    তথাগত, ঐ টুলবক্স নিয়ে একটু বিস্তারিত হবে? যে সব টুলের নাম লিখলে তাদের ছবি, কী কীভাবে তাদের ইউজ করতে হয় ইত্যাদি? এই ব্যাপারে আমার ফান্ডা একেবারে জিরো।
  • Arpan | 125.118.63.113 | ২০ জুলাই ২০১৪ ২৩:৩৫647030
  • সিকি কি পাংচার ঠিক করতে পারো?

    (শুনেই আমার হাত পা পেটের ভেতর সেঁধিয়ে গেছে)
  • Tathagato Rai Dastidar | ২০ জুলাই ২০১৪ ২৩:৫৮647031
  • স্প্যানার বলতে এই জিনিসটা
    https://www.google.co.in/search?q=spanner&espv=2&tbm=isch
    যে কোন নাট বল্টু খুলতে এটা লাগবে। কেবল্ বদলাতে বা চাকা খুলতে গেলে লাগবে। এগুলো বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায়। দেখে নিতে হবে যে সাইজের নাট বাইকে আছে সে সাইজের স্প্যানার আছে কিনা।

    অ্যালেন কি হচ্ছে এই জিনিসটাঃ
    https://www.google.co.in/search?q=allen+key&tbm=isch
    পাতি স্ক্রু ডাইভার দিয়ে খোলা যায় এমন স্ক্রু ব্যবহার না করে কেন যে এরা অ্যালেন কি’র স্ক্রু ব্যবহার করে আমি জানিনা। তবে গিয়ার বক্স খুলতে (ক্লাচ কেবল বদলাতে হলে যেটা করতে হবে) অ্যালেন কি লাগে। এর মাথাটা হয় ছকোনা বা হেক্সাগনাল। স্ক্রু গুলোও তাই। এক থেকে আট বিভিন্ন মাপের হয় এই অ্যালেন কি। শখানেক টাকায় একটা পুরো সেট পাওয়া যায়।
  • সায়ন | 59.200.243.130 | ২১ জুলাই ২০১৪ ০০:৩২647032
  • উফ্‌ কত কিছু লেখার আছে তবে তাদের বেশীরভাগটাই প্রশ্ন রূপে।
    তথাগত, আপনার ট্রাভেলগ পড়লাম। ফ্র্যাঙ্কলি, একটু ভয় হল বৈকি। আমি আগে বুলেট চালাইনি। প্লাস অনু'জ অটো ওয়ার্কস খুব নামকরা। বেশ কয় বছর ধরে 'লোনলি প্ল্যানেট' পড়ে জায়গা ঘুরছি, সেখানেও উচ্চকিত প্রসংশা। তাদের বাইকের সার্ভিসিং/টিউনিং যদি এই হালের হয় তাহলে বুলেট রেন্টে নেওয়ার যে একটা ক্ষীণ আশা রেখেছিলাম সেটাও গেল। তবে সাড়ে তিনশ' কি পাঁচশ' সিসি তাতে খুব একটা ম্যাটার করবে যদি ক্লাচ কেবল, অ্যাক্সিলারেটরের ফল্‌স, আইডলিং স্পীড, কার্বুরেটর, এয়ার ফিল্টার নিয়ে আপনি ট্রাভেলগে যা যা লিখেছেন সেগুলো ঠিকঠাক ফলো করা হয়। আমি বুলেটের বিভিন্নরকম ট্রীম চালিয়ে দেখছি কয়েকমাস। প্রথম প্রথম থান্ডারবার্ড ভালো লাগছিল কিন্তু আমার ঐ ফাউন্টেইন/বাটারফ্লাই হ্যান্ডল পোষাচ্ছে না জাস্ট। ক্লাসিক পাঁচশ' সিসি বুল ঢের বেটার। আপনার ট্রাভেলগে বুল স্টার্ট করার উপদেশ জয়'কে বলছেন যেখানে সেটা পড়ে হাসছিলাম। না আমিও ঠিক আয়ত্ত করতে পারিনি ঐ বিদ্যা। নট জাস্ট ইয়েট। তবে কোল্ড স্টার্ট তো মাস্ট। সন দু'হাজারের আগের বাইকগুলোয় (মাকিসমো চালাইনি কখনও) ব্যাক কিক্‌ খতরনাক হয় জানি। শিন বোন অনেকের ভেঙেছে ইত্যাদি। নতুনগুলোর ইলেকট্রিক স্টার্টার বেশ পাওয়ারফুল। তবে সবই সমতলে। মানে লুরু হাজার মিটার আর লাদাখ পাঁচ হাজার :) সাইড স্ট্যান্ড ভেঙে দু'টুকরো হয়েছে শুনে চোয়াল খুলে ঠক করে পড়ে গেল। ইঞ্জিন স্প্লাটার খুব কমন শুনেছি। আপনি যা যা এসেনশিয়াল টুলের কথা লিখছেন প্লাস গুড টু হ্যাভ স্টাফ - আই ক্যানট এগ্রী মোর। একটা চেকলিস্ট বানাচ্ছিলাম, সেটার আপডেট অনেকটা একসাথে হয়ে গেল। তবে গাছে কাঁঠাল (আহা!) গোঁফে তেল আর কি। আমার এক কলীগের হিমাচল আর লুরু - দুই জায়গাতেই কন্ট্যাক্ট আছে। বলেছে ফুল ডাউন পেমেন্ট করলে দুই থেকে তিন সপ্তাহে গাড়ি বার করে দেবে। অন্য অপশন শিমোগা থেকে কেনা, ওখানেই রেজিস্ট্রেশন করানো। দু'সপ্তাহে হয়ে যাবে। আর লাস্ট বাট নট দ্য লীস্ট - সেকন্ডহ্যান্ড কেনা। তাও নতুনের মত দাম হাঁকছে ছয় বছরের, ন'হাজার কিমি পুরনো ক্লাসিক। নতুনের চাইতে পঁচিশের মত কম। তবে যেহেতু ইঞ্জিন পুরো মাখন অলরেডি, শুরুর হ্যাস্‌লগুলো হয়ত এড়ানো যাবে। শুরুতে আমার একটু অ্যাপ্রিহেনশন ছিল ঐ স্প্রীং এর রাইডিং সীট দেখে - চালিয়ে বুঝলাম, লং ডিস্ট্যান্সে ঐ সিটিং কমফর্ট আর পজিশন আর পাবো না। আর, নতুন ক্লাসিকে টিউবলেস Tuff-up মডিফাই করাচ্ছে অনেকেই। অনেক, অনেক শান্তির কথা এটা।

    দুই কলীগ ইতিমধ্যে ঘ্যান ঘ্যান করছে আমার টুকিটাকি লাদাখি প্রস্তুতি দেখে। তাদেরই একজনের ক্লাসিক সাড়ে তিনশ'র রিয়ার টায়ার -

  • Arpan | 125.118.63.113 | ২১ জুলাই ২০১৪ ০০:৩৮647033
  • শিমোগা কর্ণাটকেই না? তালে আর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন লাগবে না, তাই না?
  • Arpan | 125.118.63.113 | ২১ জুলাই ২০১৪ ০০:৩৮647035
  • গুড। সান্দা ক্লাসিক ৫০০-এর দিকে টাল খাচ্ছে। আম্মো।

    কোন কালারটা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন