এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সিদ্ধার্থ

    মৌ
    বইপত্তর | ২১ আগস্ট ২০১৪ | ৪৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মৌ | 24.99.136.117 | ২১ আগস্ট ২০১৪ ২১:৫০648941
  • “সিদ্ধার্থের একটি মাত্র লক্ষ্য- শূন্য হয়ে যাওয়া; তৃষ্ণা, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন, আনন্দ ও বেদনা থেকে মুক্তি পাওয়া; অহংকে মরে যেতে দেওয়া। অহংকে দমন করে নিরাসক্ত হৃদয়ের শান্তি ও বিশুদ্ধ চিন্তার অভিজ্ঞতা অর্জন করা তার একমাত্র লক্ষ্য। অহং যখন পরাজিত ও মৃত, তখন সকল বিক্ষোভ ও আকাঙ্ক্ষা শান্ত হবে, তখন সেই অহংমুক্ত অন্তরে গোপন সত্তা জেগে উঠবে...”।

    ১৯২২ সালে, হেরমান হেস রচিত ‘সিদ্ধার্থ’ গ্রন্থের নায়ক সিদ্ধার্থ এবং ভগবান বুদ্ধ এক ব্যক্তি নন। গৌতম বুদ্ধের কালে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেওয়া সুদর্শন যুবক সিদ্ধার্থ চেয়েছিল শূন্য হয়ে যেতে; পরমাত্মার সাথে মিলিত হতে, মোক্ষ লাভ করতে। ব্রহ্মকে চির সত্য মনে করে মনীষী, আচার্য পরিমণ্ডলে গড়ে ওঠা সিদ্ধার্থ উপলব্ধি করে তার পরিচিত সকল সর্বোত্তম পণ্ডিতগণ কেউই পারেননি ব্রহ্মলোকে পৌঁছতে, পারেননি চরম তৃষ্ণা মেটাতে, আপন সত্তার সাথে মিলিত হতে। তাঁদের সকল উপদেশ, জ্ঞান আবর্তন করে চলেছে কেবল মাত্র পুঁথিকে কেন্দ্র করে।

    জীবন থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে আপন সত্তার সাথে মিলিত হতে অবাধ্য সিদ্ধার্থ তার ব্রাহ্মণ পণ্ডিত পিতাকে বাধ্য করে সন্ন্যাস পথ গ্রহণ করার অনুমতি দানে। সংসারের সকল মায়া ছেড়ে একদল সন্ন্যাসীদের সাথে মিলিত হয় সিদ্ধার্থ। তাকে সঙ্গ দেয় তার বাল্যকালের সখা, তার ভক্ত, অনুগামী গোবিন্দ। ক্ষুদা, তৃষ্ণা, বেদনা লঘু করতে সিদ্ধার্থ শুরু করে কঠিন অভ্যাস। নিজেকে রক্তাক্ত করে কাঁটার আসনে বসে থাকে নীরবে যতক্ষণ না সে নিজেকে স্পর্শানুভূতির বন্ধন থেকে মুক্ত করছে। বিলাসবহুল নগরী জীবন, প্রেম-স্নেহ-ভালোবাসা ভিক্ষুক সন্ন্যাসী সিদ্ধার্থর কাছ থেকে পায় অবজ্ঞা।তার কাছে এ সকল ক্ষণস্থায়ী এক মিথ্যা, মায়া, আজ আছে কাল নেই।
    সন্ন্যাসীদের সান্নিধ্যে সময় চলতে থাকে, কিন্তু সিদ্ধার্থ খুঁজে পায়ে না নির্বাণ লাভের পথ। তার কাছে উপবাস, তপস্যা, প্রনায়ম এবং পানশালায় কোন গাড়োয়ানের মদ্যপান হয়ে যায় সমতুল্য। দুটোই বেঁচে থেকে সাময়িক ভাবে জীবন যন্ত্রণা থেকে পালাবার চেষ্টা, অহং যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার স্বল্পস্থায়ী উপশম।

    সিদ্ধার্থ, বন্ধু গোবিন্দকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেয় গৌতম বুদ্ধের সন্ধানে। তাঁর উপদেশ অনুসারে ব্রহ্মলোকের সন্ধানের লক্ষ্যে। শান্ত স্থির বুদ্ধের বানি বন্ধু গোবিন্দকে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণের অনুপ্রেরণা দিলেও, সিদ্ধার্থ খুঁজে পায় না অহং জয় করবার পথ। বুদ্ধের বানি তার কাছে হয় অসম্পূর্ণ। বন্ধুকে ছেড়ে সে বেরিয়ে পড়ে তীর্থে।

    ‘সিদ্ধার্থ’ পড়ে মনে হয়েছে, কোন মহান ব্যক্তির মহান বানি পড়ে নিজেকে কি ভাবে সমৃদ্ধ করবে; তার উত্তর এই বই দেয় না। সিদ্ধার্থ কোন জ্ঞান না দিলেও নিঃশব্দে বলে যায়, শিক্ষা উপদেশে থাকে না, থাকে জীবনের প্রতি ধাপে ঘটে যাওয়া তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনায়। চির সত্য, চির মিথ্যা বলে কিছু থাকে না; থাকলেও তা হয় সম্পূর্ণ ঘটনার একটা মাত্র দিক। অহং থেকে পালাবার পথ নেই, অহং চলে আসে বিভিন্ন রূপে। লোভ কে মারা যায় না, যায় শুধু এক লোভ দিয়ে আর এক লোভকে সাময়িক ভাবে দাবানো। সব কিছু অস্থায়ী, সাময়িক; এমনকি কোন বিশেষ অজানাকে জানার তৃষ্ণাও। অপর জ্ঞানকে জানার প্রবল তৃষ্ণায় সিদ্ধার্থ নিজের কাছে হয়ে যায় সম্পূর্ণ অপরিচিত এক ব্যক্তি। বিশ্ব সংসারের অংশ হয়েও এই বিশ্বে তার কি অবদান! সে যে কেবল খুঁজে চলেছে নিজের কাছ থেকে চিরতরে পালিয়ে যাবার উপায়।

    সিদ্ধার্থ সিদ্ধান্ত নেয় সে আর কারু উপদেশ শুনবে না। অন্যের জীবন অভিজ্ঞতা নিয়ে সে নিজেকে পূর্ণ করবে না। নগরে পৌঁছে সন্ন্যাসী বেশ ছেড়ে নগরের নামি বারাঙ্গনার কাছে যায় প্রেমের খেলা শিখতে। প্রথম নারীর স্পর্শ, চুম্বন, শরীর, সিদ্ধার্থ চমকে ওঠে এক অপূর্ণ জ্ঞানের স্বাদে। কিন্তু তার কাছে সম্বল দীর্ঘ তপস্যার ফলে আয়ত্ত করা ‘ধ্যান, অপেক্ষা ও উপবাস’ করবার ক্ষমতা। বারাঙ্গনা কমলার প্রয়োজন দামি পোশাক, পাদুকা এবং অর্থ। কামস্বামীর সাথে যোগ দেয় ব্যবসায়, অর্থ উপার্জনে। উপার্জন করে প্রচুর, ওড়ায়ও দুহাতে। সিদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে সংসার ত্যাগী সিদ্ধার্থ কমলার কাছে প্রেমের খেলা শিখতে গিয়ে ক্রমে হয়ে ওঠে পাশা প্রেমী, মদ আসক্ত, নর্তকী প্রিয় এক বিলাসী। নিজে সংসারী না হয়েও কোন এক অজান্তে কমলার সাথে সে পেতে বসে এক সংসার। জীবনের এ ভাগও তার কাছে ক্ষণস্থায়ী। মুহূর্তে সব কিছু ছেড়ে বেরিয়ে আসে ঐ সংসারের জাল থেকে। আত্মহত্যাপ্রবন মন থেকে নিজেকে উদ্ধার করে আশ্রয় নেয় সেই মাঝির কুটিরে যে তাকে বিনা ভাড়ায় পার করে নিয়ে এসেছিল এই নগরীতে। বাসুদেবকে অনুসরণ করে সে শেখে নদীর ভাষা, গভীর মনোযোগে অপরকে শ্রবণ করার ক্ষমতা। শান্ত পাটনি বাসুদেব নীরব থেকেও হয়ে ওঠে সিদ্ধার্থের আচার্য। বছর পার হতে থাকে নদী পারাপারের মধ্যে দিয়ে, শিক্ষা নিয়ে, শিক্ষা দিয়ে। এরই মাঝে সিদ্ধার্থের সাক্ষাৎ ঘটে তার হঠাৎ ছেড়ে আসা কমলার সাথে, প্রথম সাক্ষাৎ নিজের পুত্রের সাথে, ক্ষণস্থায়ী। অবাধ্য পুত্রকে হারিয়ে সিদ্ধার্থের অনুভব হয় যে মায়া মমতা ভালোবাসা থেকে মুক্তি পেতে সে হতে চেয়েছিল ত্যাগী, সেই মায়ার কাছে আজ সে কতটা পরাজিত, মনে পড়ে যায় তার অতীত, সেও তার পিতাকে পুত্রসুখ থেকে বঞ্চিত করেছিল একসময়। নদীর স্রোতের মধ্যে সিদ্ধার্থ খুঁজে পায় তার ব্রহ্মলোক সন্ধান কালে সাক্ষাৎ হওয়া অপরিচিত, পরিচিতদের।

    বাল্য বন্ধু, গৌতম শিষ্য গোবিন্দের কাছে জীবনের শেষ ভাগে প্রকাশ পায় সিদ্ধার্থের এক নতুন রূপ। যে রূপে সিদ্ধার্থ ভগবান বুদ্ধের প্রতিবিম্ব হলেও উভয়ের মতের পার্থক্য সুস্পষ্ট, গভীর। বুদ্ধ শিখিয়েছেন দয়া, ক্ষমা, করুণা ও ধৈর্য। প্রেম গৌতমের কাছে মায়া ব্যতীত কিছুই নয়। অপরদিকে যে চিরসত্যের সন্ধানে মায়াকে অবজ্ঞা করে সিদ্ধার্থ পাড়ি জমিয়েছিল অজানা পথে, আজ সেই মায়াই সিদ্ধার্থের কাছে পরম সত্য; যাকে উপেক্ষা করে মুক্তি পাওয়া দুরহ।

    ‘সিদ্ধার্থ’ (১৯২২)
    জার্মান লেখক হেরমান হেস।
    অনুবাদ- জাফর আলম।
  • | ২৯ আগস্ট ২০১৪ ২০:২৬648942
  • পড়লাম।

    গল্পটা বলে না দিয়ে একটু করে নিজের অনুভুতিগুলোও বলুন না।
  • bekar | 84.143.121.82 | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ০৪:০৫648943
  • আই-এস-আইতে সিদ্ধার্থ পড়িয়েছিল এক গেঁজেল রুমমেট। ওটা নিয়ে শশী কাপুরের একটা সিনেমা আছে, খুব খুব খারাপ। একটা হাস্যকর সেক্স সিন আছে, সিমির সাথে।

    চটিবই। আমার তখনকার রিডিং হ্যাবিটে ফিট করে যেত, তাই ধরেছিলাম। বি-ভি-আরের নোটস, রবিবাসরীয়র উত্তম মধ্যম, আর বাংলা পানু।

    এক রাতে (রাতেই) পড়েছিলাম, দারুন লেগেছিল। একটা লাইন মনে আছে। সিডকে যখন জিগেস তোমার স্কিলসেট কি, সিড বলবে 'i can think, i can wait,i can fast' ব্যস, আর কিছু না। (ভার্বাটিম মনে নেই, অর্ডারটা গুলিয়ে যেতে পারে) দু তিনবার এই লাইনটা আছে। এইটা পড়ে খানিক উত্তেজিত হয়েছিলাম। আমার আর রুমমেটের সাথে খাপেখাপ প্রোফাইল ম্যাচ!! শুধু তাই না, এই তিনটে কন্ডিশন স্যাটিস্ফাই করেও we can drink! এইখানেই টেক্কা। তবে এটা ঠিক, বইটা পড়ার প্রায় আধ সেমিস্টার (মিড্টার্ম পরীক্ষা ) মাল ছুঁইনি।

    তখন খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম মেসের পয়্সা দিতে পারিনি বলে। পুকুরের রাউন্ড লাগাচ্ছি,ওয়েট করছি কবে স্টাইপেন্ড রিস্টোর্ড হবে।
  • - | 109.133.152.163 | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ০৪:৩২648944
  • বাণী, দুরূহ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন