এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • Reading Lolita in Tehran

    I
    বইপত্তর | ১৭ আগস্ট ২০১৪ | ২৩১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kc | 204.126.37.78 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:১৩649543
  • এই বইটা পড়ুন, ডাক্তারের লেখাটাও পড়ুন। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা ও তো লাগে। তো সেই 'টা' মনে করেই আরেকটা বই পড়ুন। লেখিকার নাম ফতিমা কেশায়ার্জ, বইটার নাম "জেসমিন অ্যান্ড স্টারস - রিডিং মোর দ্যান লোলিটা ইন তেহরান।

    ভালো লাগবে, গ্র্যান্টি। রেকো দিলুম আফনাদের।
  • | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:০৪649544
  • বোঝো! আবার সিক্যুয়েল ধরাচ্ছে!

    দেখি ..........

    ইন্ডো, সিল্ক রুটের বইটা নিয়ে লিখবি না?
  • I | 24.99.42.154 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:১০649545
  • এত সময় কোথা? বলো কী হে? একটা বই নিয়ে লিখতে হলে সেটা অন্ততঃ দুবার পড়তে লাগে যে আমার !
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৫৪649547
  • প্লীন না, পেলেন হবে। টাইপো।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৫৪649546
  • কেসি বা অন্যরা, এই ইরাণী গণিতজ্ঞা মরিয়ম মীর্জাখানিকে(ফিল্ড মেডেল প্লীন যিনি কিছুদিন আগে ) নিয়ে কি কোনো বই আছে? এই ভদ্রমহিলা তো মনে হয় ঐ ভয়ংকর ৮০ র দশকে শৈশব ও তারপরে কৈশোর কটিয়েছেন ঐ তৎকালীন মারাত্মক অবস্থার দেশে।
    খুব জানতে ইচ্ছে করছে। বই বা অন্য কোনো লেখার খোঁজ পেলেই একটু বলবেন প্লীজ। থ্যাংকু।
  • I | 24.99.234.86 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১০649548
  • কেশী, ধইন্যবাদ। বইটা পড়বার লিস্টিতে ঢুকিয়ে রাখলাম।
  • Atoz | 161.141.84.239 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:১৪649549
  • কেউ প্লীজ জানাবেন যদি থাকে কোনো বই মরিয়ম মীর্জাখানিকে নিয়ে।
    থ্যাংকস।
  • I | 24.96.85.26 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:০২649550
  • "সাবধান ! সাবধান ! লাল বিপদসঙ্কেত জারি করা হচ্ছে ! এই মুহূর্তে যে যেখানে আছেন , নিজের নিজের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান! "

    যুদ্ধের আট বছর মানে যখন-তখন সাইরেন বেজে ওঠা। কাচের জানালাদের অ্যাডহেসিভ টেপ আর মোটা কম্বল দিয়ে মুড়ে দেওয়া। সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত সময়ে মিসাইল আর বোমার ভয়ঙ্কর আওয়াজে কেঁপে ওঠা। বাচ্চাদের ঘুমোতে পাঠিয়ে নিজে রাত জাগা। একই ঘরে মুড়িসুড়ি দিয়ে শোয়া, মরলে যেন সবাই একসাথে মরে। মোমবাতির কাঁপা কাঁপা আলোয় হেনরি জেমস আর ডরোথি সেয়ার্স পড়া। প্রতিটি মিসাইল হানার পর আত্মীয়-বন্ধুদের ফোন করা আর ফোন রিসিভ করার রিচ্যুয়াল; পরিচিত মানুষেরা বেঁচে আছে জেনে খুশী হওয়ার অপরাধবোধ।

    যুদ্ধের আট বছর মানে সরকারী মিডিয়া জুড়ে দেশপ্রেম আর ইসলামপ্রেমের গদগদ উচ্ছাস। সভা-সমিতিতে মোল্লাদের হাপুস নয়নে কান্না। সরকারী প্রচারযন্ত্রে শহীদের জয়গান আর "বিধর্মী মুর্দাবাদ" ধ্বনি। হাজার হাজার কিশোর আর বৃদ্ধদের যুদ্ধের ময়দানে মরতে পাঠানো- নিরস্ত্র তারা হেঁটে যাবে মাইনফিল্ডের ওপর দিয়ে, পেছন পেছন আসবে সামরিক বাহিনী, মাইনমুক্ত রাস্তায় মার্চ করবে তারা। দিন দিন বেড়ে উঠবে মানুষের রাগ আর বিরক্তি; জয় সুদূরপরাহত, নিত্যদিন ইঁদুরের মত মুখ গুঁজে মরে যাওয়া, প্রাণ খুলে কথা বলা বারণ, সমালোচনা মানেই ''দেশদ্রোহী"। সাধারণ মানুষ আর যুদ্ধ চায় না, "ইসলাম'-এর জয় চায় না, তারা জানে বিপক্ষ মানেই বিধর্মী নয়, সীমানার এপারেও ইসলাম, ওপারেও তাই। মানুষ বাঁচতে চায়, ভোরবেলা উঠে সন্তানের সুখী, নিরাপদ মুখ দেখতে চায়।

    দিনের পর দিন ক্লাশ বানচাল হয়ে যায় হঠাৎ আসা ছাত্রদের মৃত্যুসংবাদে কিম্বা বিধর্মী-বিরোধী নারায়। কোনো এক মৌলবাদী ছাত্রনেতার মৃত্যুর খবর এলে ক্লাশের মেয়েরা মুচকি-মুচকি হাসে। ক্লাস শেষে তারা বলে- ভালোই তো হল, ওরা তো বলে শহীদের মৃত্যুই ওদের সবচেয়ে বড় চাওয়া; বেহেস্তে গিয়ে ওদের প্রিয়তমের সঙ্গে মিলন হবে তাহলে!
    -প্রিয়তম, তিনি তো ঈশ্বর!
    - ঐ হল- মেয়েরা খিলখিলিয়ে হাসে- ঈশ্বরই বটে! প্রিয় নারীদের ছদ্মবেশে। যে সব মেয়েদের ও চোখ দিয়ে গিলে খেত, আর তারপর তাদের নামে অশালীনতার অভিযোগ আনত ! ওরা এই ভাবে ওদের সেক্সুয়াল কিক পায়। সবকটা পারভার্ট, ওরা সব্বাই !

    তাই বলে হাসবে ! একটা মানুষ মরে গেছে, দেশের হয়েই তো মরেছে !

    -আপনি জানেন না, এরা কীসব জিনিষ। এই ছেলেটা, এ নিজের একজন ক্লাসমেটকে এক্সপেল করিয়েছিল। কী, না মেয়েটার স্কার্ফের তলায় চামড়ার একটা সাদা প্যাচ একটুখানি দেখা যাচ্ছিল, তাতে ওনার কামভাব জাগছিল !

    আজার পরে নাসরিনকে বলেন-ওদের এই ঠাট্টাবিদ্রুপ দেখে ওঁর ব্রেখটের একটা কবিতার কথা মনে আসছিল। ভালো মনে নেই কবিতাটা, কিন্তু শেষদিকটা এরকম ছিল-

    আমরা, এই আমরাই তো দয়া চেয়েছিলাম !
    হা, আমরা নিজেরাই দয়া দিতে শিখি নি।

    নাসরিন কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল-আপনি জানেন না, আমরা কিসের মধ্য দিয়ে গিয়েছি।
    গত সপ্তাহে, আমাদের বাড়ির কাছে একটা অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে বোম পড়েছিল। সেখানে তখন একটা জন্মদিনের পার্টি চলছিল; জনাকুড়ি বাচ্চা মারা যায়।
    বোম পড়ার পরে পরেই, অ্যাম্বুলেন্স তখনো আসে নি, কোথা থেকে ছ-সাতটা মোটরসাইকেল এসে এলাকাটায় চক্কর দিতে শুরু করল।কালো জামা-পরা, মাথায় লাল ব্যান্ড। সেই সঙ্গে শ্লোগান-আমেরিকা মুর্দাবাদ ! সাদ্দাম মুর্দাবাদ ! খোমেইনি জিন্দাবাদ ! চক্কর খাচ্ছে আর শ্লোগান দিচ্ছে। আহত লোকজনদের বের করে আনবার জন্য যারা যাচ্ছিল, তাদের ঢুকতেই দিল না ! চুপচাপ সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম মানুষগুলোকে মরতে। বলুন, কীরকম লাগে ?

    আজারের মনে পড়ে এই রিচুয়ালের কথা। বোম পড়ার সাথে সাথে এইসব মৃত্যুর চরেরা এসে হাজির হয়। মানুষ যাতে কোনোরকম কান্নাকাটি-বিক্ষোভ করতে না পারে।

    নাসরিন বলতে থাকে। জেলের কথা বলে। বলে- আমাদের ব্যঙ্গবিদ্রুপটাই দেখলেন ! জানেন, জেলখানা নিয়ে যেসব গল্প শোনা যায়, সেগুলো সবকটাই কী ভয়ঙ্কর রকম সত্যি ! সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সেই মাঝরাতের রোলকল। মাঝরাত্তিরে এক একজনের নাম ধরে ডাকে। আমরাও জানি, যাদের নাম ডাকছে তারাও জানে, কিজন্য ডাকছে। "চললাম," - বলে ওরা চলে যায়। তারপর বুলেটের শব্দ শুনি। সেই নিস্তব্ধ রাত আর একটা- একটা করে বুলেটের শব্দ! শব্দ গুনে গুনে আমরা হিসাব রাখি, কজনকে মারল।

    একটা মেয়ে ছিল-তার একমাত্র অপরাধ, সে ছিল খুব সুন্দরী। কিসব অশালীনতার দায়ে তাকে জেলখানায় আনা হয়। মাসখানেক ছিল-প্রতিটি গার্ড তাকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রেপ করে। কুমারী অবস্থায় মেরে ফেললে তো বেহস্তে চলে যাবে !

    আপনি বিট্রেয়ালের কথা বলেন ! যে সব নাস্তিক অত্যাচারের ভয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নিত, তাদের আনুগত্যের পরীক্ষা নেওয়া হত। কীরকম পরীক্ষা? হাতে বন্দুক তুলে নিয়ে নিজের পুরোনো কমরেডদের গুলি করে মারতে হবে।
  • ডো | 172.136.192.1 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১১649551
  • *
  • I | 24.99.210.107 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:০৭649553
  • এর কদিন পর সকালবেলা ক্লাস নিতে এসে আজার দেখেন , তাঁর ঘরের বাইরে দুটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একজন নাসরিন, অন্যজন অচেনা। কিন্তু কোথায় যেন দেখা হয়েছে এর সাথে। কোথায়! আপাদমস্তক কালো চাদরে ঢাকা মেয়েটি তাঁর দিকে মুখ ঘুরিয়ে তাকায়। মাহতাব !

    খাকি প্যান্ট আর টি-শার্ট পরা যে মাহতাবকে একদিন দেখেছিলেন মিছিল আর বুলেটের মধ্যে; হাসপাতালের সামনে ফাঁদে পড়া জন্তুর মত যে মাহতাব তাঁর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল গুলির লড়াই শেষ হলে পর। সেই মেয়েটি আজ সর্বাঙ্গ কালো চাদরে ঢেকে তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। হাসছে সে, বিষণ্ণ, অনুতপ্ত হাসি, অনুমতি ভিক্ষা করছে তাঁর ক্লাস করবার জন্য। একদিন আত্মবিশ্বাসী, টগবগে মাহতাব নাসরিনকে নিয়ে এসেছিল তাঁর কাছে; আজ তারা উল্টো ভূমিকায় , আজ নাসরিনই নিয়ে এসেছে মাহতাবকে-মাহতাব কি আপনার ক্লাসে বসতে পারে?

    ক্লাস শেষ হলে দুজনকে ঘরে নিয়ে বসান আজার। মাহতাব চেয়ারের কিনার ঘেঁষে বসে, নাসরিন দাঁড়িয়ে থাকে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে, যেন সবকিছুর থেকে বিচ্ছিন্ন সে, বিচ্ছিন্নতা তার একমাত্র প্রতিরক্ষা; দুঃস্বপ্নের অতীতের বিরুদ্ধে, নিয়ন্ত্রণ-অযোগ্য বর্তমানের বিরুদ্ধে।

    কী করছিলে, মাহতাব, এতদিন?
    মাহতাব থতমত খায়, যেন সে তাঁর প্রশ্নটি বুঝতে পারে নি ভালো করে। চাদরে আধোঢাকা আঙুলে আঙুল জড়ায়; তারপর কোনোমতে কথা বলার শক্তি যোগাড় করে বলে-ঐ আর কি ! নাসরিনের সঙ্গেই ছিলাম। জেলে! সেদিনের সেই ডেমনস্ট্রেশন... তার কয়েকদিন বাদেই গ্রেপ্তার করল.... পাঁচ বছরের জেল দিয়েছিল, কপাল ভালো.... ওরা জানতো আমি তেমন কেউ-কেটা না। আড়াই বছরের মাথায় ছেড়ে দিল-ভালো ব্যবহার...

    কথা সম্পূর্ণ করে না সে, ভালো ব্যবহারের মানে কী, তা আজারের বিবেচনার ওপরেই ছেড়ে দেয়। দরজায় ঠকঠক করে কেউ আওয়াজ করে। মিঃ লতিফ চা নিয়ে এসেছেন।

    কিছুক্ষণের বিরতি। মাহতাব বলে-আপনার কথা, আমাদের ক্লাসের কথা খুব মনে হত। জেলে আরো জনা পনেরো মেয়ের সঙ্গে থাকতে দিয়েছিল। ওদের মধ্যে আপনার আর একজন ছাত্রী ছিল, জানেন ! রাজিয়ে।
  • I | 24.99.137.237 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩২649554
  • রাজিয়ে !
    আজারের মনে পড়ে যায় আলজাহরা কলেজের কথা। কী অসম্ভব ক্লান্তিকর অভিজ্ঞতা! মিডটার্ম পরীক্ষার খাতা দেখার সময় আর্ত বিস্ময়ে আবিষ্কার করবেন, প্রশ্নের উত্তর নয়, মেয়েরা তাঁর ক্লাশের বক্তৃতাই পরীক্ষার খাতায় উগড়ে দিয়েছে হুবহু, দাঁড়ি-কমা-বিরতি-"ইউ নো" সমেত।

    পরদিন ক্লাশে এসে খুব একচোট ঝাড়েন মেয়েদের । এর চেয়ে বরং তোমরা টুকে লিখলেও আমি খুশী হতাম ! প্রশ্নের মানে বুঝে টুকতে অন্ততঃ , তাতেও এর চেয়ে খুশী হতাম-বলেন তিনি। সব্বাইকে ঝাড়েন, দোষী-নির্দোষ সব্বাইকে। ক্লাস শেষ করে দেন তাড়াতাড়ি। মাথায় রাগ চড়ে গেছে তাঁর।

    ক্লাসশেষে মেয়েগুলো শান্ত গাভীর মত বড়বড় চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকে তাঁর দিকে। তাদের চোখ থেকে টপটপ করে জল পড়ে, তারা বলে তারা কোনোদিন এসব শেখেই নি, স্কুলে ঢোকার দিন থেকে তারা জেনে এসেছে দিদিমণিদের পড়ানো মুখস্ত করে হুবহু পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়ে আসতে হবে। ভাবনাচিন্তা করে লিখতে হবে, এসব কেউ তাদের কোনোদিন বলে নি। তাদের ভাবনাচিন্তার কানাকড়িও দাম আছে, তা-ই তারা জানত না। বরং উল্টোটাই তো বলত বড়রা।

    সবাই চলে যাবার পরেও একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রাজিয়ে। সে আজারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। বলে- আমি ভাবতাম আপনি অন্ততঃ আমাদের কথা ভাবেন !

    না ভাবলে এত রাগ করতাম?
    -না, রাগ করা তো খুব সোজা। আপনি তো রেগে গেলেন। একবারও ভাবলেন না কোথা থেকে আমরা আসি। এই যে মেয়েগুলো-জীবনে এরা কারো মুখে একটা ভালো কথা শোনে নি। কোনোদিনও কেউ এদের বলে নি, নিজের মত করে ভাবো। যে, তুমিও একটা মানুষ, তোমার মতামতেরও একটা দাম আছে। আর আজকে আপনি এসে এদের বকছেন। নিজস্বতার কথা বলছেন। নিজস্বতা! ওরা যে একটা মানুষ, তাই তো ওরা কোনোদিন শেখে নি।

    একরত্তি একটা মেয়ে, বয়স কুড়িও পেরোয় নি। ছোটখাটো চেহারা। অথচ কী প্রবল ব্যক্তিত্ত্বময়ী।তাঁকে ভাষণ দিচ্ছে, নিজের প্রোফেসরকে। কিন্তু কোথাও ঔদ্ধত্য নেই। সারা ক্লাসের মেয়েরা তাকে শ্রদ্ধা করে। সেই প্রবল সাদা -কালো বিভাজনের সময়েও সে সবার কথা শোনে, সমর্থক-বিরোধী প্রত্যেকের। নিজে যদিও মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য। ছোটবেলায় বাবা মারা গেছেন, মা লোকের বাড়িতে কাপড় কেচে মেয়েকে বড় করেছেন।

    আশ্চর্য সৌন্দর্যচেতনা ছিল মেয়েটার। বলত- সারাটা জীবন কী যে দারিদ্রের মধ্যে কেটেছে ! লুকিয়ে সিনেমাহলে ঢুকে পরতাম,চুরি করে বই যোগাড় করতাম; আল্লা, বই পড়তে কী ভালোই না বাসি ! যেসব বাড়িতে মা কাজ করতে যেত, সেসব বাড়ির ছেলেমেয়েদের থেকে চেয়েচিন্তে "রেবেকা" কি "গন উইদ দ্য উইন্ড"-এর অনুবাদ যোগাড় করে পড়তাম। ঐসব বড়লোকের ছেলেমেয়েরাও বোধ হয় অত ভালো বাসতো না বই পড়তে।
    কিন্তু জেমস-সে বলে-জেমস সবার থেকে আলাদা। আমি জেমসের প্রেমে পড়ে গেছি- সে হাসে ।

    আলজাহরা কলেজ ছেড়ে দেওয়ার পর মাত্র একবার রাজিয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আজারের। তাদের ঐ ছোট্ট , সাদামাটা কলেজ ছেড়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যাওয়ায় তাঁর ওপর অভিমান করেছিল হয়তো রাজিয়ে। হয়তো সে ভেবেছিল তিনি ওদের অনাথের মত ফেলে রেখে চলে গেলেন। আজার তাকে বলেছিলেন, তেহরানে তাঁর ক্লাসে আসতে। সে আসে নি।

    ১৯৮১-র সেই রক্তাক্ত গ্রীষ্মের কয়েকমাস পরে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল আজারের। বিশ্ববিদ্যালয়ের চওড়া, রোদ-ঝলমলে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। উল্টো দিক থেকে একটি কালো চাদরে ঢাকা ছোট্ট শরীর হেঁটে আসছিল। মুহূর্তের জন্য ছোট্ট মেয়েটি থমকে দাঁড়াল, এক ঝলক তাকাল। তার চোখে অস্বীকার, তার চোখে-"না, চিনবেন না"-আর্তি। একটিও কথা না বলে সে উল্টোদিকে হেঁটে গেল। আজার কখনো ভুলবেন না তার সেই দৃষ্টি।
  • byaang | 233.238.15.11 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫০649555
  • মুগ্ধ হয়ে পড়ছি।
  • I | 24.99.137.237 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:১৯649556
  • মাহতাব বলে চলেছে - রাজিয়ে। রাজিয়ে আমায় বলত আলজাহরা কলেজে আপনার ক্লাসের কথা-হেমিংওয়ে, জেমস। আমি ওকে গ্যাটসবি ট্রায়ালের কথা বলতাম। খুব একচোট হাসিঠাট্টা হত নিজেদের মধ্যে। রাজিয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে, জানেন তো ! আমার কপাল খুব ভালো বলতে হবে.....

    "আমার মরে-যাওয়া ছাত্রীর ব্যাপারে আর একটা কথাও আমি ওকে জিজ্ঞেস করতে পারলাম না। জানতে চাইলাম না, কিভাবে ওরা নিজেদের সেলে সময় কাটাত, আর কী নিয়ে গল্প করত নিজেদের মধ্যে । মনে হল, ও যদি বলতে শুরু করে, আমি হয়তো নিজেকে সামলাতে পারবো না, হয়তো বোকার মত কিছু একটা করে বসবো।আমার দুপুরের ক্লাসটা বানচাল হয়ে যাবে"-আজার লিখছেন।

    ওরা চলে গেলে তাঁর মনে হল, জানলাটা খোলা দরকার। বড্ড দমবন্ধ লাগছে। জানলার বাইরে একটা খোলা মাঠ, গাছগুলির গায়ে-মাথায় বরফের আলতো আঙুল। কী অদ্ভুত অদ্ভুত সব জায়গায় তাঁর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেখা হয়, কোন অন্ধকার সব কোণাঘুপচি থেকে তারা কী সব খবর আনে ! রাজিয়ে জেমস পড়তে ভালোবাসত। হয়তো যে রাতে রাজিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, সেই রাতে , সেই সময় তিনি জেমস পড়ছেন-দ্য বস্টনিয়ান্‌স!

    গোলাপী ইন্ডেক্স কার্ডে ছাপানো জেমসের একটা কোটেশন তিনি যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন। তরুণ, সুদর্শন ইংরেজ কবি রুপার্ট ব্রুকের মৃত্যুর খবর পেয়ে জেমস লিখেছিলেন- " স্বীকার করছি, আমার কোনো দর্শন নেই, কোনো আধ্যাত্মিকতা নেই। আমার ধৈর্য নেই, আমি গুছিয়ে কথা বলতে শিখি নি। এই মারাত্মক নিষ্ঠুরতা আমার অসহ্য লাগছে, পাগলের মত লাগছে-কোনো তত্বে আর আমি শান্তি পাবো না। কেউ এই ক্ষত, এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না। কেউ না। এই মৃত্যুর দিকে আমি অন্ধ রাগী চোখে চেয়ে আছি, আমার চোখ গলে গেছে।"

    পরবর্তী কোনো এক সময়ে শেষ শব্দ ক'খানির পরে আজার পেন্সিল দিয়ে লিখে রাখবেনঃ রাজিয়ে।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩০649557
  • ভীষণ আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
  • I | 24.99.137.237 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩১649558
  • শেষের আগের প্যারার দ্বিতীয় লাইনটিকে পড়তে হবে এভাবেঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত তরুণ, সুদর্শন ...
  • Tim | 12.133.52.71 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৮649559
  • ...
  • Tim | 188.91.253.22 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:২৬649560
  • ইন্দোদার এই টই, একহাতে নাকমুছতে মুছতে অন্যহাতে প্যান্ট মুঠি পাকিয়ে টেনে ধরে দৌড়োনো বাচ্চা ছেলের ঢোলা হাপপ্যান্টের মত। একে ছাড়া চলবেও না, আবার টেনে ধরে না রাখলে লিস্ট থেকে নেমেও যাবে। নেমে গেলেই...
  • d | 144.159.168.72 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:৩১649561
  • আমি শনিবারে পড়তে শুরু করলাম।
  • সিকি | 131.241.127.1 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:২১649562
  • বইটা অর্ডার দিলাম।
  • kc | 204.126.37.78 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১৬649564
  • সিকি, অর্ডার দিও না। আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি। আগে একটু পড়ে নাও, তারপরে কিনবে কিনা ডিসিশন নিও।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:২২649565
  • দিয়ে ফেলেছি অর্ডার যদিও, তবু পাঠাও।

    আসলে বিশেষ উপলক্ষ্যে সিকিনীকে একটা গিফট দিতে মঞ্চাইছে, তাই ফিজিকাল বইটাই দেওয়া মনস্থ করেছি। দুজনকারই পড়া হবে। মোবাইলে বই পড়তে পারি না, মোবাইলের ব্যাটারিটা বড়ই ভোগাচ্ছে। হুহা ডিসচার্জ হয়ে যাচ্ছে।
  • X | 113.10.116.61 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:২৪649566
  • .
    ^^^
  • de | 69.185.236.53 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:২৯649567
  • মন্ত্রমুগ্ধ!!!!

    এজেড,
    মরিয়ম মির্জাখানিকে নিয়ে হয়তো বই আছে, হয়তো বা নেই - অনুভব করার চেষ্টা করি এমন পরিস্থিতিতে কি বিপুল সাধনা আর নিষ্ঠা তাঁকে অমন জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করেছে!
  • Atoz | 161.141.84.164 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৫649568
  • দে দি, সেইজন্যেই তো খুঁজছিলাম। একেবারে ঐ ঝড় ঝঞ্ঝা যুদ্ধ বোমা এইসবের মধ্যে জন্মানো ও বেড়ে ওঠা। তার মধ্য থেকে এই আগুনের শিখার মতন গণিতজ্ঞা কী করে উঠে এলেন? খুব জানতে ইচ্ছে করে ওঁর ছয় বছর, বারো বছর, পনেরো বছর বয়সের কথা। কীভাবে ভাবতো সেই মেয়ে? চারপাশের ঐ ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে কে বা কারা তাকে উৎসাহ দিত, সাহায্য করতো ? সে কি প্রকাশ করতে পারতো তার গণিতের ঝোঁক নাকি খুব সাবধানে সব লুকিয়ে রাখতে হতো ভালো সময়ের জন্য? খুব জানতে ইচ্ছে করে।
  • ranjan roy | 132.176.145.66 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৫649569
  • kc,
    আমাকে দেবে? এই টইটা আমাকে পাগল করে দেবে!
    ইন্দোডাক্তার,
    লোককে পাগল করার ডাক্তার,
    পাগলের ডাক্তার নয়।

    প্রথম পোস্ট থেকেই করে দিয়েছে--সেই যখন বলেছে এই বই আজ কেন পড়া উচিৎ!!
    এই সময়, কোন সময়ে আছি। কী করিতে হইবে? বুঝতে পারি না। চেঁচাবো? খালি তাতেই হবে? জানি না।
  • I | 24.99.126.220 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৫৩649570
  • মরিয়ম মির্জাখানিকে নিয়ে বই আছে কিনা জানি না, তবে ফিল্ড্স পুরস্কার পাবার পর সাক্ষাৎকারে বলেছেন-ইরানের পরিস্থিতি অতটা ভয়াবহ নয় যতটা (পশ্চিমি মিডিয়া ) বলে।

    দাঁড়ান, লিখবো আবার। আপাততঃ যাদবপুর নিয়ে খুব উত্তেজিত হয়ে আছি। অনেকদিন বাদে খুশিতে ডগমগ করছি। পা খুব সুড়সুড় করছে। গলাও। তেহরান ইউনিভার্সিটির আন্দোলনের কথাও খুব অ্যাপ্ট অবশ্য এই সময়।
  • Tim | 188.91.253.22 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:২৬649571
  • একটু ফুট কেটে যাই। হ্যাঁ ইরানের অবস্থা অতটাও খারাপ নয়, আবার খারাপও। মরাল পুলিশ বলে একটা বস্তু তো আছে, তারা যখন তখন ডিটেইন করতে পারে কাউকে, স্রেফ স্কার্ফ না পরার জন্যেও। একটি মেয়েকে এরকমই কয়েক ঘন্টার জন্য রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দাবড়ানো হয়েছিলো, তার বাড়িতে খবর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
    তবে পড়াশুনোর ক্ষেত্রটা, বিশেষতঃ গণিত, বিজ্ঞান এইসব ভালোভাবেই করা যায়। প্রধাণত তাত্ত্বিক গবেষণায় ওদের ঝোঁক। তাই মরিয়মের উত্থান খুব স্বাভাবিক। আম্রিকায় ইরানের ছেলেমেয়েদের এক একটা পকেট আছে কোন কোন ইউনি ক্যাম্পাসে। ভিটি সেরকমই একটা। গত নির্বাচনে যখন আখমেদিনেজাদ জিতলেন এবং গোলমাল হলো, এইসব ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগ (বা সবাইই) তার বিরুদ্ধে ছিলো। ডিসিতে, ব্ল্যাক্সবার্গে মিছিল বেরিয়েছিলো, সেখানে অন্য দেশের ছাত্রছাত্রীরাও সামিল ছিলো, যেমন আজ সবাই একসাথে মিছিলে হাঁটছে কলকাতায় ও অন্যত্র। এখন এইসব মনে পড়ছে, প্রাসঙ্গিক লাগছে যাদবপুরের ঘটনায়।
  • rivu | 140.203.154.17 | ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৬649572
  • আই কি আর লিখবেন না? ওনার লেখা পড়েই বইটা পড়তে শুরু করেছি, একটা বিরাট ধন্যবাদ ওনার প্রাপ্য। কিন্তু এই সমালোচনা বইটার চেয়ে কিছু কম মনোগ্রাহী নয়।

    আই এর পরে আর কিছু লেখার ধৃষ্টতা দেখানো বাতুলতার সামিল, তাই বিরত থাকলাম। শুধু একটাই কথা, যদি আর কেউ এই বইটা পড়েন। এটার শেষ ভাগে নাফিসির একটা ইন্টারভিউ আছে, ওটা মিস করবেন না। ইন ফ্যাক্ট, আমি ওটা দিয়েই শুরু করেছি।
  • নী_পা | 53.252.141.184 | ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ১১:২৩649573
  • .
    নাফিসির লেখা অন্য একটি বই : Things I've Been Silent About
    এটিও অনবদ্য।
  • | ০৮ মার্চ ২০১৫ ০৯:০৭649575
  • আজকে অন্তত এই টইটায় দু'কলম লিখবি না, হ্যাঁরে ইন্ডো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন