এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • jhiki | 149.194.228.58 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২২651840
  • কাকলি?
  • Arpamn | 125.118.40.172 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২৪651851
  • কালো ধন ভেঙ্গে দাও, গুঁড়িয়ে দাও - এইটা একটু হিনীমূলক হয়ে যাবে!
  • d | 144.159.168.72 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২৪651862
  • ওঃ তাই বল।
    আমি আবার অনাদি না ইন্দ্রনীল ভেবে ঠিক করতে পারছিলাম না।
  • dc | 11.39.61.37 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২৫651873
  • আর যখের ধন?
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২৬651881
  • গুঁড়িয়ে !
  • d | 144.159.168.72 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:২৭651882
  • অপ্পনের পোস্ট পড়ে আবার আমার সেই চত্ববেলার শিবমন্দিরের ঘটনাটা মনে পড়ে গেল।
    :-))

    কাগজে পড়ে থেকে আমার প্রচন্ড হিনী পাচ্ছে, কিন্তু মুলো সাংসদদের কাছে হিনী কীকরে পৌঁছনো যায় জানি না বলে চুপচাপ আছি।
  • বন্দুক লাও! সড়কি লাও! | 175.254.255.16 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:৩২651883
  • লিলে তো বোলবেন লিয়ে লিল!
  • de | 69.185.236.52 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:৩৬651884
  • স্লোগানগুলোকে বাংলা বানালেই এতো হিনী মূলক!
  • cm | 127.247.112.228 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:০৪651885
  • যাঃ আসল লেখাটাই কেউ এইখানে রাখলেননা!
  • সিকি | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:২১651841
  • T-এর হয়ে -

    http://bartamanpatrika.com/content/main4.htm

    সবে সূর্য অস্ত গেচে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে গ্রামবাংলার বিস্তীর্ন প্রান্তরে। পদ্মদিঘীর ঘাট ফাঁকা। ধীরে ধীরে স্থির হচ্ছে মেঘ। সব পাখী ঘরে ফিরছে, সব নদী। চৌকাঠ পেরিয়ে দেবতা নিঃশব্দে সেঁধিয়ে যাচ্চেন তুলসীমঞ্চে। ঠিক এসময়, ঘোমটা টেনে বৌটি সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালালেন। তারপর স্তেঁহ মিশিয়ে চুকচুক করে প্রার্থনা করলেন, মা গো, কালা ধন ওয়াপস লাও। কালা ধন ওয়াপস লাও। কালা ধন ওয়াপস লাও। ঠিক তিনবার।

    ওমনি দাওয়ায় ভুলু কুকুর গা ঝেড়ে বলে উঠল ওয়াপস লাও। তালগাছ মাথা নাড়ল ওয়াপস লাও। পুকুরের ধারে হাঁস প্যাঁক প্যাঁক করে উঠল ওয়াপস লাও। সর্বত্র ফিসফাস, হাঁকডাক, ঝাড়ফুঁক, তুকতাক শুরু হ'ল, ওয়াপস লাও, ওয়াপস লাও, ওয়াপস লাও। সাতটার ব্রেকিং নিউজে স্ক্রোল করতে লাগল, ওয়াপস লাও। দূরে বহুদূরে, শতেক যোজন দূরে হাসপাতালের পরীক্ষাগারে হতাশ কেমিস্ট হেঁকে উঠল, ধুর! কিছুই পাওয়া গেল না, ফের ওয়াপস লাও।

    তখন স্ট্রেচারের শায়িত রাজার অসুখ ফের দোরে দোরে ঘুরতে লাগল। দাও গো, অসুখ দাও। দিন মশাই, অসুখ দিন। অ্যাই দে তো, অসুখ দে। অসুখ লাও। কত লোক এল, কত জন এলো। সাদা প্রেক্ষিতে কত কালো কাক এলো। কত শব্দ এলো, বাছবিচার না করেই। কিন্তু কেউ এল-ডোরাডো মোটেও খুঁজে পেল না। তো কী! ফের ওয়াপস বুলাও।

    কতটুকুই বা রাস্তা। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে ধর্মতলা, বেলভিউ থেকে এস এস কে এম, জেলিংহ্যাম থেকে ভাঙড়, বুলবুল থেকে বুড়ো ঘুঘু, রাস্তা সামান্যই। শালা বলার জন্য খাপেখাপ। খুব ভীড়। সিদ্ধেশ্বরী ব্যাপার প্রাইভেট লিমিটেডের ঐ ‘বাহ্‌বা তিনকৌড়ি বাবু’র মতো সব একই লাইনে হাঁটছে। ঐসী গতি সংসারমে। ওয়াপস লাও, ওয়াপস লাও, ওয়াপস লাও। ট্রাফিক সিগন্যালে বুড়ো কবি ঝুলছে। বাঁধা বুলি আউড়ে যাচ্চে, দাও ফিরে...> দাও ফিরে...> দাও ফিরে...>

    শ্মশানে রাজদ্বারে যোগাযোগ। সরাসরি সম্প্রচার। সারদা সৌজন্য না কি শারদ সৌজন্য? এলোমেলো বানানের ভীড়ে ডহর বাবুকো ওয়াপস লাও। খুব ভালো ক্যাটারিং এর ব্যবসা। কত মঞ্চ। কত আদর আপ্যায়ন। নীল মদ। ভীড় বুকে, আসুন বসুন কি খাবেন বোঁদে? সব সারি সারি বাটি হাতে রোদে। মুখ চুন করে গুটি গুটি ষাট ও সত্তর। নিতান্ত কমজোরিদের বর্ধমানে পাঠানো হয়ে থাকে।

    সন্ধ্যা অবশ্য যথাসময়েই নামছে। এবং নামবে। নদীর ঘাটের কাছে, ওই যে নৌকো বাঁধা আছে। সে যথাসময়ে ভেসে যাবে। শূন্যস্থানে তৈরী হবে অন্ধকার প্রকান্ড একটি ওয়াপস। সে একা একা তীরে বসে ডাকতেই থাকবে, ওয়াপস লাও, ওয়াপস লাও, ওয়াপস লাও।

    নৌকোর যাত্রীরা ফিরে তাকাবে কিনা সে অবশ্য পরের ব্যাপার।

    (সাত সকালে বিশ্রী প্রলাপ বকে গেলাম)
  • kusum | 131.241.218.132 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:২৯651842
  • শুধু ধন ধন ,তোমার মন নাই ?
  • সে | 203.108.233.65 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৩৪651843
  • de | 69.185.236.53 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:১৩651844
  • বাঃ! টির লেখাটা দিব্য হয়েচে!
  • ranjan roy | 24.96.39.3 | ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ২২:৫৬651845
  • টি,
    বেশ ভালো লেগেছে। আরো লিখুন প্লীজ!!
  • adhuli | 190.148.69.210 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৪১651846
  • সিকি-দাদা মানতেই হবে, এটা পুরো লীলা মজুমদার হয়ে গেছে।
  • d | 144.159.168.72 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১০:৪৯651847
  • আধুলিদাদা, ওটা সিকি লেখে নি, 'টি' লিখেছে।
  • adhuli | 190.148.69.210 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১১:১৮651848
  • সরি, হেডলাইন টা দেখে লিখে দিয়েছি। টি-কে অনেক সাবাশ দিলুম। তবে সিকি-ও ভালই লেখে।
  • সিকি | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:১৯651849
  • কালো ধন ওয়াপস লাও -

  • quark | 138.141.137.141 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ২০:১৯651850
  • ইকিরে! সব পাখি ধান খায় আর দোষ হয় বুলবুলির?
  • b | 24.139.196.6 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:০৬651852
  • টি এর লেখা ভাল্লেগেছে।
  • bakalam | 24.139.119.171 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:০১651853
  • T

    IP Address : 24.139.128.15 (*) Date:28 Nov 2014 -- 04:56 PM

    কাক উড়ে গেল। শান্ত ডালে বসে নধর ভাগাড় বুকে চোখে একরাশ জঞ্জাল। সে আর নেই। মাঠে ঘাটে কবুতর, ঘুঘু, রংদার, জমদার ধুঁয়াধার পাখি। বিস্মিত প্রতীক্ষারত অ্যান্টেনা। তিনতলা ছাদ জুড়ে মৃয়মাণ সেই সব বিপজ্জনক কোণ। কাক তবু নেই। বিশ্বস্ত সূত্ররা চুপ। কেউ বলে জোরে, দেখেছিলেম শেষ বারে। দিল্লী দরবারে। হাওয়াই আড্ডায়। কিন্তু এও কি গল্প নয়? এয়ারপোর্টে ওড়ে কাক! ফাক। যত গুল। মশগুল আরেক জনার গলায় সুরেলা ঢেউ। কিষাণগঞ্জ হয়ে পালিয়েছে নেপালে কেউ। এও ঠিক নয়। বয়স হয়েছে বুড়ো কাক। হিমালয় ঠান্ডার ঘুচিপুচি লেম্প কম্বল। দুই পা হন্টনে সর্বশরীরে হরিবোল। ওখানে ওড়াউড়ি, নাঃ চাপ আছে। কেউ হাঁকে লুক আউট নোটিস লাগাও। কোথা দিয়ে পালাবে বাতলাও। ধরে সোজা দাঁড়ে পুরে দেবো। এও স্বাভাবিক। আমলাদের কান্ডজ্ঞান বাস্তবিক বলতে নেই একদম গ্রাউন্ড জিরো। হাঁ করে আকাশে চোখিয়ে বসে থাক সব। বুদ্ধুর দল। বৃদ্ধ প্রসন্ন কাক, সে কী হুলো নাকি। উড়ে গেছে বাঘের মতো। অভিমান, স্ট্যাচু ভেঙে নিতান্ত শিল্পী সে কাক। থাক তোরা মিটিং মিছিল নিয়ে। নন্দন অ্যাকাডেমি, আমতলা টু বাঁশতলা ঘাট। জমিয়ে আটঘাট বেঁধে তবু কিছু লোকে হাঁটে। স্বাভাবিক কালো পাখি মুছে গেছে সংস্কৃতি মাঠে। বাংলার দাঁড়ভাঙা কাকসভ্যতা জুড়ে প্রায়। অসংখ্য শকুন মার্চ করে যায়। আক্রমণের বর্বরোচিত প্রতিবাদ। না না, ভুল হচ্চে, প্রতিবাদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ। না না, এও হ'ল না। বর্বরোচিত প্রতিবাদে উপর আক্রমণ।।।না না, এও নয়। দুচ্ছাই মাথার কি আর ঠিক আছে।।।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:১১651854
  • হাতছাড়া মুম্বাইয়ের বাংলো, হাতছাড়া আর্ট একর। ওরে কে আছিস, বাতাস কর!

    টি-কে আবার খাচুম খুচুম এফসি।
  • T | 24.139.128.15 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৫৬651855


  • বিকেলের পড়ন্ত রোদ। চার নম্বর গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকছে একটা ভিকিরি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। খোঁড়াচ্চে, কারণ ও একটু আগেই হোঁচট খেয়েছে একটা পাথরে। মুখ থুবড়ে ধপাস। স্বাভাবিক। হাতের ঝোলাটাকে ওইরম ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে ব্যালেন্স সামলানো যায় নাকি। দাঁত ভেঙেছে। রক্তারক্তি। অনেক্ষণ ওভাবেই পড়েছিল। রাস্তা দিয়ে যারা মার্চ করে যাচ্ছিল তারা ফিরেও তাকায় নি। ফালতু মাল শালা। কুঁচকিতে চোট ফোট পেয়েছে। বাদ দিন। গেটের কাছে এইবার একটা জমাটি কান্ড শুরু হতে যাচ্ছে।

    — ‘আখতুং! ভো ইস দাস প্যাপিয়া? ইও প্যাপিয়া?’

    কে বে তুই! আমি ভিকিরি। প্যাপিয়া কোত্থেকে পাব? ভিকিরির আবার প্যাপিয়া। খেতে এসেছি রে। ঐ যে, ভেতরে লোকজন শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে খাচ্চে। সর, যেতে দে, সর বাঞ্চোত।

    — ‘আখতুং! অ্যাই এটাকে লাথি মেরে বের করে দে তো। ইশ রেস্পেক্তিয়েরে একদম নেই। কেলিয়ে বের করে দে। তাপ্পর মাইকে গান চালাবি, এই বলে দিলুম।’

    খটাশ খটাশ খটাশ খটাশ। ভারী ভারী বুট নিয়ে সেন্ট্রিপোস্ট থেকে বেরিয়ে আসছে দুই মাল। একটা বেঁটে। একটা মোটা। কালো উর্দি। বাহুতে স্বস্তিকা। এই গরমে একটা কালো রেনকোট মতোন চড়িয়ে রেখেছে। ওয়াফেন এস এস।

    কিন্তু স্বস্তিকাটা সাদার উপর নীল রঙ দিয়ে আঁকা। সাদা নীল একদম। তফাত তো একটু থাকবেই, ল্যাটিটিউড লঙ্গিটিউড ডিফারেন্স আছে যখন! যাক গে, বাদবাকী কিন্তু সব খাপে খাপ। এম পি ফট্টি। হুঁ হুঁ বাবা। কোমরে হোলস্টারে মাউসার । ভারী বেল্ট। হেলমেট। একটু ঢিলে যদিও। খুন খারাবি মুখচোখ। এদিক সেদিক করলেই একেবারে সোজা চালান। কোথায় চালান? ন্যাকা, ওসব জেনে কি হবে, আপাতত পিছন পিছন ফলো করুন। কেসটা দেখুন। ভিকিরিটা এখনো তড়পাচ্চে বহুত। বেঁটেটা এগিয়ে যাচ্চে।

    — ‘প্যাপিয়া? থাকিস কোথায়?’

    — ‘বেহালা চৌরাস্তার কাছে। তাতে তোর কি বে বোক…’

    — ‘এএএই…মায়ের ভোগে ঢুকে যাবি একদম…শালা খানকির—’

    উঁহু, কুৎসা করবে না। একদম নয়। একদঅঅঅম নয়। বারণ আছে। মাথা নাড়ছে মোটাটা। মুখপত্রে নির্দেশ বেরিয়েছে। চুপচাপ কাজ সারো। ওটাই মোক্ষম। হাঁটুতে ডান্ডা দিয়ে দু ঘা দে, তারপর খুঁচিয়ে দে একটু। চড় থাপ্পর একদম নয়। বডি ফডি টাচ করবি না। জার্মস আছে, এই বলচি। হাত ফাত ধোওয়ার কেস থাকবে। ওফ, কী যে করিস!

    — ‘ঝেড়ে দিতে ইচ্ছে করছে, হিমলারদা!’

    — ‘আদ্ধুর! রক্ত ফক্ত মোছার কেস হবে। তাত্তারি ভাগা একে, হোমরাচোমরারা সব বেরোবে এইবার। হ্যাপা আছে। আর তোকে বলেছি না, যে পুরো নাম বলবি সব সময়। ন্যাকা নাকি! বল শালা! পুরো নাম বল!’

    — ‘অত পারি না, বাবা সবসময়। ওফ্, এই বলচি। হের হিমলার, চার নম্বর বরো, ছ নম্বর পতাকাসদন, তের নম্বর বিরোধীর পরের বাড়ী। হ’ল? ’

    কাজ চালা, কাজ চালা। একেবারে খই ফুটছে তো একেবারে। ছুঁড়ে ফ্যাল তো এটাকে। ক’টা বাজে খেয়াল আচে। এই ডিউটি চেঞ্জের সময়ই যত বখেড়া। হাটা শালাকে। বহিরাগত যত্তসব! দাঁড়িয়ে দেকচিস কি!

    অতএব বেঁটেটা আরো দুপা এগোল। টানটান হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাতে ব্যাটন। রোদ পড়ে আসছে। চাদ্দিকে প্রচুর কাক। সব পাঁচিলে বসে কেসটা দেখছে। এরা আছে ভালো। কিছু হ’ল তো চেল্লামেল্লি করে বসে পড়ল। তাপ্পর বেশী ক্যাচাল হলে টপাটপ হাগবে। আর পারা যায় না। যাক গে যাক, গেটের সামনে কি চলছে দেখা যাক।

    ভিকিরিটার হাঁটু লক্ষ্য করে বেঁটেটা ব্যাটনটা ঝেড়েছে সজোরে। ভিকিরিটা ভলট খেল। আই শ্লা! হেব্বি এড়িয়েছে তো! বেঁটেটা অবাক। মোটাটা চীৎকার করছে।

    ভিকিরিটা আবার একটা ভল্ট খেল। যা তা হচ্চে। বেঁটেটা মিস করেচে আরো একবার। একটু হতভম্ব। কান্ড দ্যাকো! এই সুযোগে ভিকিরিটা কষিয়ে লাথি ঝেড়েছে কাঁকালে। হা হা হা হা, কী হচ্চে এসব! হায় ওয়াফেন এস এস! বেঁটেটা মাটিতে পড়ে গেছে। মোটাটা বন্দুক বার করেচে। সেন্ট্রি পোস্ট থেকে হেড হিমলার বেরিয়ে এসেচে। গতিক সুবিধের নয়।

    ভিকিরিটা ঝোলা থেকে কিছু একটা বার করল। সিওর গ্রেনেএএএড। ও জিনিস আজকাল শিবপুরে তৈরী হচ্ছে। বিষ মাল একদম। সেফটি পিন ফিনের বালাই নেই, ঝাড়লেই গদাম। ট্রেনিং এর সময় প্রচুর ছবি দেখিয়েছিল। ও জিনিস ভোলার নয়। ওদিকে গেটের কাছে বোগেনভিলিয়ার ঝোপের ভেতর খড়মড় খড়মড় শব্দ। গ্রেনেড দেখে মোটাটা সোজা ঝোপের ভেতর সেঁধিয়েছে। এম পি ফর্টি ঠুকে গেছে তলপেটে। বাবারে!

    হেড হিমলার, চোদ্দ নম্বর বরো, পুরসভার চেয়ারম্যানের ছেলের বন্ধু, দোতলা, আস্তে আস্তে ল্যুগার অটোম্যাটিক বার করল। সেন্ট্রিপোস্টের থামের আড়ালে পজিশন নিয়েছে। তাক করেছে। কাক গুলো খ্যা খ্যা করে হাসছে। ঘিলু খায়েঙ্গা, ঘিলু খায়েঙ্গা। হাগার টাইম হয়েছে মনে হয়। চিত্রনাট্য রেডি।

    হেড হিমলার ফায়ার করল। ভিকিরিটা ঝাঁপিয়েছে বাঁদিকে। যাব্ বাঁড়া। গুলি লাগেনি! এ তো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঢ্যামনা। ধের, এটা কোনো কিছু হ’ল! লুগ্যার অটোমেটিক কে ডজ করছে! ল্লে ত্তারা!

    ও দিকে মোটাটা ঝোপের পেছনে দাঁড়িয়ে পুরো কেসটা দেখছে। বাপ রে বাপ! প্যান্ট খামচে ধরে আচে সমানে। গ্রেনেডটা সামনে পড়ে। ক্যামন একটু লম্বা মতোন ব্যাঁকা। ভিকিরিটা ঝাঁপানোর আগে তাগ করে ছুঁড়ে দিয়েছে। মা গো! গোয়েবলসদা বলেছিল বটে। এটা মনোহর পুকুরের গোয়েবলস দার কথা বলছি। গোলালে চলবে না। ওদের পাড়াতেই আরেকটা আচে। সে গেস্টাপোর উঁচু পদে কাজ করে। এই গোয়েবলসদা, যার কথা হচ্চে সে হ’ল মনোহর পুকুর, আট নম্বর পতাকাসদনের মালিক। বহুত দিন কাজ করেচে ফিল্ডে। আইডিয়া আচে ভালো। খুব করে বলেছিল, দ্যাখ কিছুতেই ওপেনে অ্যাটাকে যেতে নেই খব্বদার। খবদ্দার বুঝলি, এই বলে দিচ্ছি। ইশশ, কথা যদি শুনতুম। পেচ্ছাপ হয়ে যাচ্ছে সমানে।

    ভিকিরিটা গুঁড়ি মেরে হাঁটছে সেন্ট্রিপোস্টের দিকে। গ্রেনেডটা ফাটলো কিনা সেসবে পাত্তা ফাত্তা দিচ্ছে না। দেয়াল ঘেঁষে হাঁটছে। ওদিকটায় কাক ফাক নেই। উঁচুতে কাঁটাতার। জাঙিয়া ঝুলছে। যত্ত বেদোগুলোর কান্ড। কিন্তু ভিকিরিটা এখন সেন্ট্রিপোস্টের ফিল্ড অব ভিউয়ের বাইরে। কী চাপ! আরো দুবার ফায়ারিং হ’ল।

    ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ। এটা কিসের আওয়াজ? হেলিকপ্টার! কপ্টারের ব্লেড। ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ। উপরে হেলিকপ্টার ঘুরছে। হারামীগুলো টাইমে এসেছে এইবার। সেন্ট্রিপোস্টের আড়াল থেকে মেন চৌকিদার, মানে যে হচ্চে এই মোটা ও বেঁটেটার সার্জেন্ট, উপর দিকে তাকালো। এইবার উদোর মতো চোখ বন্ধ করে ফায়ারিং শুরু হবে। কাক ফাক হাওয়া। এইবার কি করা উচিত! যাঃ শালা! এ তো বড়ো কনফিউশন। সিগন্যাল দেবে নাকি! বেঁটেটা যে এখনো মাটিতে পড়ে কোঁৎকাচ্চে। এদিকে ঝোপের পাশে ঐ টা কি! আরে দেকেচো। ও সামন্ত, আরো চলে এসো ভাই। ফাটবে না।

    — ‘সামন্ত নয় স্যার! আমি হিমলার, চারনম্বর বরো, ছ নম্বর পতাকাসদন—’

    — ‘আরে আপনি বাঁচলে বাপের নাম। কপ্টার থেকে এক্ষুনি ফায়ারিং শুরু হবে। এদিকে এসো শিগগির। শেল্টার শেল্টার—’

    — ‘ হারামী মালটা কোথায় গেল স্যার! দেকতে পাচ্চি না। বেরোতে ভয় পাচ্চি স্যার। ঝোপটা কিছুটা হলেও প্রোটেকশন দিচ্চে।’

    বাল প্রোটেকশন দিচ্ছে। হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা হ’ল। নোংরা প্যান্টে একদম বেরোবেন না। ফোর্সের বদনাম। আমরা সামলে নিচ্চি। সংবেদনশীলতার সাথে।
    চুঁইইইইই…

    লোডিং এর আওয়াজ। আরো চার পাঁচ সেকেন্ড। তারপর মেশিঙ্গান ফায়ারিং শুরু হবে। ঝোপের আরো ভেতরে যতটা যাওয়া যায় চল ভাই, চল চল। ঢোক ঢোক। ধ্যাত্তেরি এই এমপি ফর্টি! ছোটোখাটো মাল এরা বানাতে জানে না। হারামিটা গ্রেনেডটা এমন জায়গায় ছুঁড়েচে না!

    বুম বুম বুম বুম। শুরু হ’ল।…এবার ওড়াও শালা সব কিছু। একদম সাফ চাই। বুম বুম বুম বুম। ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি বৃষ্টি। বুম বুম বুম বুম। ওফ্ কি গন্ধ বাপরে বাপ। হারামীটা মুছে যাবে স্রেফ। নে শালা বোঝ। বুম বুম বুম বুম। খুব ডজ দিচ্ছিলি। আটকা এবার। হুঃ, খুব তেজ। বুম বুম বুম বুম। শালা, বোঝ এবার। নে নে। মেজরিটারিয়ান ব্লাডকে খুন কত্তে চাওয়া! উড়িয়ে দেবো একেবারে। বুম বুম বুম বুম।

    প্রায় সওয়া দু মিনিট চলার পর থামল গুলির তান্ডব। গানশিপের পাইলট নড়ে চড়ে বসছে। বেসিক্যালি পোঁদটা সেট করে নিচ্ছে। ফায়ারিঙ্গের সময় গানশিপের ইয় মেন্টেন করা চাট্টি খানি কথা নয়। ব্যাটলস্টেশনে মেশিনগানের ব্যারেলের হ্যান্ডেল ধরে থাকা কচি হিমলার উঁকি ঝুঁকি মারছে। এ হচ্চে হাবশীবাগান, তেরো নম্বর মেস, একতলার বাঁদিকের কালো দরজাটা, মাকালীর ছবি আছে। কিন্তু নীচে কেসটা কি হ’লো? কি হ’ল কেসটা? সাসপেক্ট সাফ নাকি ধ্বংসাবশেষ কিছু পড়ে আচে? ও স্যাঙাত, একটু সাইড করো ভাই। ঐ হলুদ বিল্ডিংটার দিকে একটু সরাও। নিচে কিচু দেখতে পাচ্চি না। ধোঁয়ায় ভরে গেচে।

    — ‘আবে, মাইকটা নিয়ে অ্যানাউন্স কর না। উদো নাকি!’

    হ্যাঁ হ্যাঁ মাইক। মনে পড়েচে। হ্যাঁ শুনুন, গানশিপ থেকে বলছি, বোগেনভিলিয়ার ভেতর হুই যে মোটু, হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা, টুউউকি...উপর থেকে দেখতে পাচ্চি, আরে ও মশাই, হ্যাঁ হ্যাঁ, যিনি প্যান্টে পেচ্ছাপ করে ফেলেছেন, তাকেই বলচি। গানশিপ থেকে বলচি। চাদ্দিকটা একটু দেখুন তো! হারামীটা আচে না গেছে!

    — ‘অ্যাই, ওপেন কুৎসা নয়। এই নিয়ে দু দুবার হ’ল। সব রেকর্ড হচ্ছে।’

    আরে ঐ হ’ল। আরে ও বোগেনভিলিয়া। একটু গলাটা বাড়িয়ে দেখুন না। তেল পুড়চে তো। ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ। আরে বেরোন না মশাই।

    মোটু উঁকি মারছে ঝোপ থেকে। কপ্টারের লোকজন অবশ্য তাকে দেখতে পাচ্চে না। যেমন দেখতে পাচ্চে না, গ্রেনেড টাকে। আরে ওটা কি আসলে গ্রেনেড নাকি। কচু। একটু পরেই জনতা টের পাবে।

    মোটু খুঁটিয়ে দেখছে চাদ্দিক। কিস্যু চিহ্ন নেই। সেন্ট্রিপোস্টের ভেতরে কার্ডবোর্ডের ফাঁক থেকে দুটো চোখ উঁকি মারছে। যাক, হেডু বেঁচে আচে তাহলে। এদিকে বেঁটে হিমলার খতম। কো ল্যাটারাল ড্যামেজ। এরা কিছুতেই শুনবে না। উদোর মতো গুলি চালাবে। আহা, কতই বা বয়স। গোয়েবলসদা, মনোহরপুকুর, বেঁচে থাকো বাবা। কিন্তু ভিকিরিটা গেল কই?

    — ‘কি হ’ল? আছে কিছু? আরে, সাদা নীলে জবাব দিন না।’

    — ‘সাদা। মানে সব ফরসা। না না একটু নীল আছে। একটা গ্রেনেড। ফাটেনি। এই যে কেমন ফুসফাস আওয়াজ বেরোচ্চে, ড্যাম্প খেয়ে গ্যাচে বোধহয়! ও আর ফাটবে না। হে হে হে। ভিকিরিটাকে দেখতে পাচ্চি না। হে হে হে। ও মা, দাঁড়ান দাঁড়ান, গ্রেনেডটা, এই রে, সেরেচে, এতো রকেট মনে হচ্ছে…ফায়ারিং সিকোয়েন্স…আরে পালান পালান… ’

    অ্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁ, সর্বনাশ! সরাও সরাও সরাও সরাও। পাইলট, টোয়েন্ট ডিগ্রী রোল সেট। আরে ধুর, ইলেক্ট্রিকের তার ফার বাদ্দাও। না না, টেইল রোটর হিট করবে না। সরাও সরাও সরাও সরাও। এটা স্যাম থ্রেট। তিন চার সেকেন্ড সময় পাবে। ওরে কাট রে বাঁড়া। আরে ধ্যুত কুৎসার নিকুচি করেচে। আরে ঠিকাছে, তুই পরে আমার নামে কমপ্লেন করিস। হ্যাঁ হ্যাঁ সিট টাইট, সিট টাইট। এস ও এস পাঠা, ডিভিশনকে। আরে, কে তোকে এখন থ্রাস্টার কন্ডিশনিং কত্তে বলছে। আবে টার্ণ নে রে বাঞ্চোত—

    আর সরিয়ে কি হবে! বড় দেরী হয়ে গিয়েচে। সেই উনিশশো উনষাট সালের গুয়েলম্যানের পেপার বুঝলেন। সিম্পল পি এন গাইডেন্স ল। গ্রেনেড না বাল! ছোটোখাটো রকেট ছিল ওটা। প্রি প্রোগ্রামড। নির্দিষ্ট সময়ে রিমোট ফায়ারিং হয়েছে। সোজা মাটি থেকে হু হু করে উঠেছে। এল ও এস রেট মেপেছে। সঠিক ল্যাটেরাল অ্যাক্সিলারেশন ক্যালকুলেট করে ঝেড়ে দিয়েছে একেবারে। খাপে খাপ, পঞ্চার বাপ। ঐ ঘিঞ্জি এলাকায়, অতবড় দামড়া গানশিপ নিয়ে নড়াচড়া করা যায় নাকি। একদম মাপজোক মতন টেল রোটরে হিট করেছে শার্পনেল। চারবার পাক খেয়ে মেন রোটর কাউন্টার টর্ক সামলাতে না পেরে দড়াম! রাস্তায় যারা নির্বিকার চিত্তে মার্চ করছিল তারা সাফ তো বটেই, বিস্ফোরণের চোটে একসাথে সাফ হয়েছে দুটো চিটফান্ডের দোকান, একটা লটারির ঠেক, একটা শিবু কাইট (সঠিক দামে সেরা পরিষেবা), চারটে পানবিড়ির দোকান, রেডিও সারাবার ইস্ক্রুপ সমেত ঐ হারামজাদা বুড়োটা, শপিং মলের ছটা ম্যানিকুইন এবং জামাকাপড় সুদ্দু কিছু কেঁদো কেঁদো উঠতি হিমলার। শক ওয়েভে আরো দুটো রদ্দি বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছে। রাস্তা জুড়ে তেল বারুদ গন্ধ ধোঁয়া মিলেমিশে একেবারে ছয়লাপ কেস। মেন রোটরটা তবু এখনো ঘুরছে, ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ। এমন সময় ঝপাঝপ বৃষ্টি নামল।

    মোটের উপর ক্ষয়ক্ষতি বিশাল।

    সেন্ট্রিপোস্টের কাছে দুবার ফায়ারিং এর আওয়াজ হ’ল। দুবার। এর মানে মোটা মাল এবং এতক্ষণ ধরে যে গুণধরটি ল্যুগার অটোমেটিক নিয়ে খেল দেখাচ্ছিলেন তিনিও সাফ। ভিকিরিটা আড়াল থেকে বেরিয়ে এল।
    মোবাইলের বোতাম টিপছে। পিঁ পঁ ফিঁ ফঁ…

    — ‘হ্যাঁ বলচি, বলো।’

    — ‘কামড়েছে! নীল ছাগলকে পোকায় কামড়েছে।’

    সন্ধ্যে সাতটার মধ্যে গোটা রাজ্য ব্রেকিং নিউজে ছেয়ে গেল। নীল ছাগলকে পোকায় কামড়েছে। দি রেসিস্ট্যান্স স্ট্রাইকস ব্যাক। গানশিপ ডাউন, গানশিপ ডাউন গানশিপ ডাউন…

    দুঘন্টা পরে নেত্রী নির্দেশ দিলেন এর প্রতিবাদে কাল আমরা রাইখস্ট্যাগের সামনে হাঁড়ি নৃত্য করব। কালো শাল থাকবে। কালো ছাতা থাকবে। কালো হাঁড়ি, নাঃ থাক, সেটা আবার কিসের সিম্বল কে জানে।
  • byaang | 132.167.96.168 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:০৩651857
  • সাধু সাধু
  • byaang | 132.167.96.168 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:০৩651856
  • সাধু সধু । সকালটা ঝলমলে হয়ে গেল।
  • কেসি | 47.38.250.43 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:০০651858
  • এত ভালো লেখে কী করে?
  • শ্রী সদা | 116.216.236.129 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৪১651859
  • জ্জিও গুরু। কালকে রাত্তিরে ঘুমোনোর আগে কাঙাল মালসাট পড়ছিলাম। সকাল সকাল পুরো যাকে বলে মেড মাই ডে :)
  • b | 135.20.82.164 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৫০651860
  • আপনার কি বোর্ড অক্ষয় হউক।
  • dd | 132.172.49.172 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৫৯651861
  • ফাসক্লাস।
  • souvik | 132.169.205.194 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ১০:৪২651863
  • টির কি বালিতে বাড়ি।শিবুর ঘুড়ির দোকানের কথা দেখে মনে হলো।তবে লেখাটা ফাটাফাটি হয়েছে।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন