এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অসৈরণ

    sosen
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০১৪ | ৪২৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 144.159.168.72 | ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ১৪:৩৫654307
  • এত জীবন্ত
  • achintyarup | 233.176.45.174 | ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:১২654308
  • সত্যি। এই মেয়েটা এত ভাল লেখে, মনে হয় গল্পটার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি
  • b | 135.20.82.164 | ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:১৭654309
  • মায়ের কথা মনে পড়িয়ে দিলেন।
  • kumu | 11.39.32.242 | ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:৫৯654310
  • কবে থেকে অপেক্ষা করে আছি এই লেখাটার জন্য।জীবন্ত,খুব জীবন্ত।
  • ranjan roy | 24.96.184.10 | ০১ মে ২০১৫ ০২:১৮654311
  • শেষ হয় নি তো?
  • sosen | 113.225.177.38 | ০১ মে ২০১৫ ২০:৩৭654312
  • বাচ্চাটা খুব হিক্কা তুলছে। সকাল থেকে। কোথায় একটা উচ্চস্বরে মাইক বাজে, কানে হাত চাপা দিয়ে, জানলা বন্ধ করেও কূল পাওয়া যায় না। বাজতেই থাকে। কারা উলু দিচ্ছে, কতদিন পরে উলুর আওয়াজ শুনলাম। মেঘ করছে। নিমগাছের পাতাগুলো জানলায় বাড়ি মারছে, বাড়ি মারা কথাটাও আমি অনেক অনেকদিন বাদে শুনছি। ডাক্তারকে ফোন করি। কমছে কি? একটু বেগুনি নাকি ওর মুখটা? না কি আমার চোখের ভুল? শোভন, শোভন, আমি বাড়ি যাবো। আমার একটা গাড়ি চাই, আমার গাড়ি, আই ওয়ান্ট টু ড্রাইভ অন রাইট, আই ওয়ান্ট টু ড্রাইভ টু দ্য এমার্জেন্সি ইফ নিডেড, --সবুজ এপ্রন, নীল এপ্রন, ভরসার পর্দা- আমায় আমার রাস্তা এনে দাও, আমি চাই না, চাই না, আমি জানি না কি করতে হয় এই শিশুকে নিয়ে, যদিও আমার বয়েস আটত্রিশ, কমছে কি? একটু কমছে? কেন ডাক্তার এত নির্লিপ্ত সুরে কথা বলে এখানে, ও কি জানে না, এই আমার প্রথ্ম, এই আমার একমাত্র? মা, মাগো!

    আমার মাথার মধ্যে একটা জার্নাল তৈরি হয়। তার পাতাগুলো খসখসে হলুদ, সমুদ্রের হাওয়ার নোনা লেগে, কারণ ঐরকম হাওয়া আমার অফিস যাওয়ার রাস্তায়, সাধনের খেলার মাঠে, জিভে নেওয়া যায় ঐ হাওয়া, চুষে নেওয়া যায় চুপিচুপি আদরের মতো। তার পাতায় পাতায় খস খস করে আমি লিখে যাচ্ছি,আমার ভয় করে আমার ভয় করে আমার ভয় করে
    তার মাঝে মাঝে লেখা থাকে, আজই বোধহয় ও চলে যাবে, অতো হিক্কা তুলছে কেন, আজ সকাল থেকে শি ডিড্ন্ট পি, শি রিফিউজড টু ল্যাচ অন থার্সডে, যেদিন রাতে ঐ কলতলায় বৌটা বড় মেয়েটাকে মাথার চুল ধরে দেওয়ালে ঠুকে দিল, --আজ প্রসন্নতাকে দেখে শ্বশুরমশাই বল্লেন ও নাকি ওঁর মায়ের মতো দেখতে হবে, কি করে, আমি তো বুঝতেই পারিনা, আমার মায়ের মতো দেখতে হলেও আমি বুঝতে পারবো না, দুপুরে জানলায় বসে আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকি, খালি পাঁজর খালি পাঁজর আর কিচ্ছু দেখতে পাই না, ঐ মেয়েটারও, দিশা, ওর মায়েরো, সেদিন প্রায় সব খুলে কলতলায় চান করছিল আমি অবাক হয়ে দেখলাম কোমরের হাড় কেমন উঁচিয়ে, তার উপর রুপোর চেন মতো, বাচ্চাটার-ও---ঐ তো সেদিন, কাছাকাছি কোনো বাড়ির একটা ছেলে, প্রায়ই আসে তো ওদের বাড়িতে, বৌটার সাথে খুব গল্প করে, সেদিন বাচ্চাটাকে খালিগায়ে কোলে নিয়ে খুব চটকাচ্ছিল, পাঁজরের কাছে, পাঁজর, পাঁজর শুধু দেখতে পেলাম, তার পরেই শিউরে উঠে প্রসন্নতাকে দেখি, ওর-ও শরীরে কিচ্ছু নেই--কিন্তু সুস্থ মেয়েটা, আমারটাও হবে, ঠিক--

    এমনিভাবে দিশার মায়ের আর আমার জার্নাল মিশে যায়, আর পরে আমার ভীষণ ভীষণ অস্বস্তি হতে থাকে, তখন গান থেমে গেছে, হিক্কা থেমে গেছে, আমার চিন্তিত উদ্ভ্রান্ত বুক একটা ছোট্টো লাল মুখের মধ্যে এসে চুপ করে বাবু হয়ে বসেছে। ভীষণ ভীষণ অস্বস্তি হয়, কি যেন আরো নজর করে দেখার কথা ছিল, কিন্তু দেখিনি, সেই জন্য-জানলা দিয়ে বাইরে তাকাই, এখন অন্ধকার,কিছু দেখা যায় না, কোথাও টিভি চলছে, নিমের পাতা এসে বাড়ি মারছে জানলার গ্রিলে। কিছু দেখতে পাওয়ার কথা ছিল, আমি দেখিনি, কেউ দেখেনি।
  • | ০২ মে ২০১৫ ১৪:১০654313
  • :-(
  • kk | 182.56.20.253 | ০২ মে ২০১৫ ২২:০২654314
  • সোসেনের লেখার হাতটা বড় ভালো।
  • sosen | 212.142.69.71 | ০৩ মে ২০১৫ ১৮:২৯654315
  • তার কট্টো হয়। কট্টো যেমং মৌমাসির যখন বে হয়ে গেলো,আর কেমন চিচকার করে কানছিল মৌমাসি গাড়ি করে যাওয়ার সময় আর কয়দিন বাদে সুন্নর কাপড় পরে হাসিমুখে এল, ঐরকম কট্টো নয়। চিচকার করা যায় না। ব্যথা হয়, কিন্তু চিচকার করলে মা মেরে পিট ফাটিয়ে দেবে,আর বুনুকাকু হলদে শাড়িও কিনে দেবে না।
    তাছাড়া কট্টো কট্টো আরামো হয়। এইটা সে বলতে পারবে না কেমং। এইটা অন্যরকম। তাই সে কট্টোর কথা বলে না। তিরিকেও বলে না। কিন্তু তার এখন খুব ঘুম পায়। সারা রাত খালি খালি ঘুম ভেঙে যায়, বাবা আসেনি কিনা রাতে? মা বার বার বাইরে গিয়ে গেট্টা দেখে আসে। বোন কেঁদে ওঠে। টুটুবিলালের ঘরের কাছে মোটা হুলোর ডাক শোনা যায় অ্যাঁও অ্যাঁও। বাইরে অন্নকার তাই সে ভয় পায়। কিন্তু হুলো যদি ছানা খে' ন্যায়? সেই চিন্তায় তার রাতে আর ঘুমাসে না।
    মা, মা। ও মা।
    কি? মা খেঁকানি দ্যায়।
    হুলো টুটুবিলালের ছানা খে' নেবে না তো?
    খেয়ে নিলেই বাঁচি। বিড়ালের বংশ বাড়িতে। চোরের ঝাড়।
    ও মা! তার গলাটা সুড় সুড় করে। নাকের কাছটা। ছোটো ছোটো পা তো।এট্টুকু কান।
    না খাবে না। ঘুমো দিকি। আর জ্বালাস নি। ঢং।

    ঘুমোতেই পারেনা সে। ভোরে যেই না ঠাকমা কাশে আর কলতলায় জল পড়ার আবাজ আসে, ওমনি সে উটে দেকতে যায়, পা টিপে টিপে। মা বারান্দায় মাদুরের উপর ছোট্টো হয়ে ঘুমুচ্ছে। হাতের উপর লাল লাল , কত্তো মশা কাম্মেছে।
    সে একটু দাঁড়িয়ে থাকে। তাপ্পর আবার ঘরের ভিতর গে' খুব কট্টো করে কাঁতাখানা বিছনা থে' পাড়ে। দুইহাতে কোনোমতে জড়ামড়ি করে মাদুরে এনে ফ্যালে।কি ভারী! তাপ্পর আস্তে আস্তে মায়ের হাতের উপোর টেনে দ্যায়। বেশি টানে না, ভয়েচ্চোটে। মায়ের ঘুম ভেঙে যায় যদি। দুম দুম মারতেও পারে।

    তাপ্পর সে টুটুবিলাল দেখতে যায়। টুটুবিলাল দুহাত জড়ো করে ঘুমুচ্চে। ঠিক মায়ের মতো। পেটের কাছে গোলাপি বাচ্চা, এইটুকুন কান।

    ঠামি কলতলায় কাপড় ধুচ্চে। সে ফিসফিসিয়ে জিগ্গেস করে, ও ঠামি!
    উঁ?
    বিলালদের মশা কাম্মায় না তো?

    ঠামি তার দিকে তাকিয়ে মাড়ি বের করে মাথা দোলায়। ঐটা ঠামির হাসি।

    সে খুশি হয়ে যায়।
  • sosen | 212.142.69.137 | ১৮ মে ২০১৫ ১৮:৫২654317
  • বাবা কখুনো আসে। কখুনো আসে না। বুনুকাকু সাইকেলে করে মাকে ডিম এনে দ্যায়, আলুর বস্তা, ধূপকাটি। কাকুলিপিসি সকালবেলা দাঁত মাজতে মাজতে ডিম কিনতে আসে। অ বৌ, ছ্টা দাও দিকি!
    মা ঘরের ভিত্রে গজগজ করে আবার ধারে কিনতে এয়েচে। তাপ্পর চেঁচিয়ে বলে ডিম নাই গো!

    বুনুকাকু বলেছে মেলায় নে' যাবে। অন্নপুন্নোর মেলা। ত্যাকন সে মাকে একটা টিপের পাতাও এনে দেবে। কাঁচের বাস্কে কতো গয়না থাকে ম্যালায়। ফুলুলি থাকে। তার কাচে দেট্টাকা আছে, বাবা দেছে। তাপ্পর বুনুকাকু গুনে দেছে।
    ঠামি উটোনে বোসে পুরোনো সোয়্টার খুলে পশম গোল্লা করে। কুঁকড়োনো চুলের মতো উল। মা ডিমের ঝোল রানে, খুব সুন্দর গন্ন আসে, পেট্টা খালি খালি লাগে। খিদে পায়।

    সে দৌড়ে যায়, পাঁচিলের ভাঙা দিয়ে পা জোড়া করে লাফ দ্যায়, নরম ঘাসের ওপর, তারপর আবার লাফ, একটা পাঁচিল, দুটো বেড়া, নাকে ডিমের ঝোলের আরাম আরাম গন্নো। বাপিদাদু আচারের গাড়ি ঠেলে পাড়া থেকে বেরুচ্চে, জিভে জল আসে তার, সুড়ুৎ করে টানে। আমরুল পাতা খোঁজে পাঁচিলের খাঁজে। এ পাঁচিল ও পাঁচিল। আমরুল পাতা লুন দিয়ে আচারের মতো খেতে।

    মা ডাকচে, সে শুনতে পায়। কিন্তু তার উত্তুর দিতে ভাল্লাগে না। সে আরো লাফায়, ধাক্কা খায় গুটুলদাদার সাইকেলের সাথে কিন্তু থামে না। টপকে টপকে দৌড়তে থাকে। আরেট্টু দূর গেলেই আর শোনা যাবে না ডাক।
  • sosen | 212.142.69.137 | ১৮ মে ২০১৫ ১৯:২১654318
  • আমি দিশার মাকে ডেকেছি জানালা দিয়ে। ও মেয়ে, শোনো।
    এবার দিশার মায়ের চোখে বেপরোয়া দৃষ্টি। ও কি রেগে গেছে আমার উপর? সত্যি তো, ওর মেয়ে, ও বকবে-আমাদেরো মা ঐভাবেই বোধহয় বকত। মনে পড়ে না ভালো করে। কিন্তু সেজন্য আমি আজ তো ওকে ডাকিনি।
    আমাদের বাড়িতে আজ দুপুরে পুজো, তুমি আসবে? মেয়েদের নিয়ে এসো, কেমন?
    খুব অবাক দিশার মা। আমার শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা পাড়ার সবার সাথে মেশেন না, ওদের ডাকেনও নি, কিন্তু আমার মায়া হয়, আমি যে ওদের রান্না দেখতে পাই।

    আসবে তো? এসো, কেমন?

    ঘাড় হেলায় মেয়েটা। মুখে হাসি নয়, হাসির ছায়া।
    কিন্তু দুপুরে আসে না। প্রসন্নতার চারপাশে কিসব পুজো হয়, কিসব নাকি ষষ্ঠী-আমার শাশুড়ি উপোস করেন, আমাকে করতে বলেন না। আমিও করি না। সন্ধ্যের ঝোঁকে শাশুড়িকে বলি, আমাকে একটা টিফিনকৌটোতে খাবার দেবেন? পাশের বাড়িতে দেবো।

    শাশুড়ি ভীষণ বিরক্ত হন, পাশের বাড়ি মানে? ঐ মোদোমাতালদের বাড়ি?

    আমি ঘাড় হেলাই।

    ও কাল কাজের মাসি আসুক, তাকে দিয়ে পাঠিয়ে দেবো খন।

    আমি গলা নামিয়ে বলি, না, ঐ তো পাঁচিলের উপর দিয়ে, আমি ডেকে দিয়ে দি? মেয়েগুলো ছোটো, খাবে।

    শাশুড়ি আর কিছু বলেন না।
    নির্মলাকে দিয়ে আমি খাবার প্যাক করাই। আস্ত ফল, সোনামুগের খিচুড়ি, বেগুনভাজা, সন্দেশ। পায়েস।

    আমি গায়ে একটা পাতলা চাদর জড়িয়ে নিচে নেমে আসি। হাতে একটা প্লাস্টিকের প্যাকেটে টিফিনকৌটো। পাঁচিলের পাশে এসে এই প্রথম ঐ বাড়িটার সমান উচ্চতায় দাঁড়াই। দোতলার জানলা থেকে দেখা যায় না যা যা, সব দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার হয়ে আসছে। কলতলায় এখনো টুপটুপ জল পড়ছে কল থেকে। কি বলে ডাকবো?

    বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকি। ঠান্ডা হাওয়া দ্যায়। আবছায়ায় কিসব নড়ছে একটা ঝুপসি গাছের নীচে, ওদের গেটের কাছে।
    বাচ্চাটা। আর একটা লোক। না, একটা ছেলে। না কি লোক?
    ছেলেটা খুব হাসে।
    মেয়েটা ছটফট করে, উঃ বুনুকাকু ছেড়ে দাও না!

    আমি শক্ত হয়ে যাই। প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর ভার টেনে নামতে থাকে নীচে। হাতে দাগ বসে যেতে থাকে।

    আমি দেখতে পাচ্ছি। আর কেউ দেখছে না, নাকি দেখছে? ঘরের মধ্যে পর্দা নড়ে, ছায়া নড়ে। ছায়া দীর্ঘ হয়। প্রদীপ জ্বলে।
    পুরুষটি শিশুটিকে ঘাঁটে। শিশুটি চেঁচায় না। প্রতিবাদ করে না। কেউ চেঁচায় না। শাঁখ বাজতে থাকে চতুর্দিকে।
    আমিও চেঁচাই না। আমার বমি পায়। আমি দৌড়তে থাকি। সিঁড়ি দিয়ে, প্লাস্টিকের ব্যাগ নিচে নামিয়ে রেখে, হুড়মুড় হুড়মুড়। দড়াম দড়াম শব্দে বন্ধ হয়ে যায় দোতলার জানলা। সাধন বারান্দায় খেলতে খেলতে চমকে ওঠে।

    আমি প্রসন্নতার গায়ের ওপর উপুড় হয়ে পড়ি। ও বড় বড় বিষণ্ণ চোখে আমাকে বিদ্ধ করে।
    পালিয়ে এলে? কতদূর?
  • | ১৮ মে ২০১৫ ২১:০৯654319
  • হুঁ
  • sosen | 177.96.76.3 | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৭654320
  • একটু তুলে রাখলাম
  • 00. | 118.171.131.161 | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ০২:৩৯654321
  • সত্যি বলতে কি, মনে হল, গল্পের মধ্যে না, অনেকরকম সত্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, অনেকরকম মেয়েলি সত্য, ছেলেরা সারাজীবনেও হয়্ত সেসব সত্য বুঝে উঠতে পারে না...
  • kumu | 132.161.251.254 | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩৪654322
  • তুলে রাখলেম্ন!!!
    কেন দিদিভাই দুলাইন লিখতে কী হয়??
  • | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ১৩:২৪654323
  • হ্যাঁ দু প্যরা লিখতে কী হয়!
  • | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ১৩:২৫654324
  • হ্যাঁ দু প্যরা লিখতে কী হয়!
  • sosen | 78.105.152.253 | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ২০:৩৯654325
  • লিখবো বলে তুলেছি তো ঃ) সবুর সও
  • Du | 107.79.230.34 | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ২১:২৯654326
  • কি লেখা! এ মেয়ের ভেতর কতজন মানুষ আছে!
  • sosen | 50.128.208.34 | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ২৩:৫৫654328
  • এখানে এখন আলতো ঠান্ডা। চেনা নোনা হাওয়া, পার্কের বেঞ্চিতে আমি হেলান দিয়ে বসি, প্রসন্নতার কানদুটো ভালো করে গোলাপি স্কার্ফে ঢেকে দিই। ওর নাক দিয়ে আলতো জল গড়ায়, মুছে দিই। এখন সব গোলাপি। বন্ধু, পাড়া প্রতিবেশীরা পৃথিবী উজাড় করে গোলাপি ঢেলে দিয়ে গেছে বাড়িতে। গালে একটু লালের আভা লেগেছে ওর, স্তিমিত হাত পা একটু একটু নাড়ে। কিন্তু হাসে না। ড্ক্টর বললেন, হাসবে, সময় হলেই হাসবে। আমি ধৈর্য্য ধরে সময়ের প্রতীক্ষা করি। সাড়ে চারটে বাজলে রাস্তার ঐ পারে গিয়ে দাঁড়াবো। গাছের থেকে পাতা পড়বে টুপটাপ। সাড়ে পাঁচটার সময় দিশার মা টলতে টলতে কলের ধারে আসবে, এক পাঁজা বাসন হাতে করে। বাস এসে সাধনকে নামিয়ে দিয়ে যাবে। সাড়ে ছটা বাজলে শোভন আসবে। সাড়ে আটটায় সাইকেলের ঘন্টি বাজলে শিশুটি উঠে বসবে সাইকেলের রডে। একটি ছেলে বা একটি লোক তাকে ইস্কুলে দিয়ে আসবে। কেউ ওকে গোলাপি কুশনে ঘিরে রাখবে না, ওরা পালাতে পারেনি। আমি পালিয়েছি। সময়ে সময় মিশে যাওয়া জার্নালের থেকে হিঁচড়ে টেনে ছিঁড়ে নিজেকে বার করে এনে পালিয়ে এসেছি, পাতা পোড়ার সঙ্গে মিশে যাওয়া প্লাস্টিকের গন্ধ থেকে, শাঁখের আওয়াজ থেকে, আদর ও নিরাপত্তার সঙ্গে মিশে থাকা অনিবার্য খাদসমূহ থেকে। এখানে আমি একা।

    জার্নালের ভূত তাও তাড়া করে। পিছু ছাড়ে না। রাত্রের কোটরে আমি শিউরে উঠে বসি, সাধনকে স্নান করাতে গিয়ে শরীরে কোনো দাগ দেখতে পেলেই হিম হয়ে যায় সর্বাঙ্গ। চাকরির অ্যাপ্লিকেশনগুলি ড্রাফট ফোল্ডারে জমে উঠতে থাকে।
  • জুলু সর্দার লোচবক্ষুলা | 77.191.245.247 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ০০:৩৩654329
  • এই টইটা জাগানোর জন্যে থ্যাঙ্কিউ। আগামী পর্ব গুলির জন্যে অপেক্ষা করছি।
  • sosen | 50.128.208.34 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ০০:৩৭654330
  • মা শুয়ে আছে।
    ও মা, উটবে না?
    ঠামি চেঁচায়, রান্না চাপাবিনি?

    মা পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে। তারপর শুকনো গলায় বলে, শরীরটা ভাল লাগে না।

    ও ঠামি, মায়ের শরীরটা ভাল্লাগে না।

    ঠামি গজগজ করতে করতে ঘরে ঢুকে আসে। মায়ের কপালে হাত দ্যায়। তারপর বলে জ্বর এসছে দেখি।

    মা বলে, ঐ তাকে ট্যাকা আছে, দিশারে বিস্কুট কিনে দিতে বলো বুনুরে। আর তুমি একটু ভাত চাপিয়ে দ্যাও। বাসনগুলো থাক, আমি বিকেলে মাজবানে।

    সাইকেলের ঘন্টি বাজে। তারপর বুনুকাকু আসে, অ বৌদি। এই ন্যাও আপনার বাজার। শম্ভু কাল-ও আসে নাই?

    ঠামি খ্যান খ্যান করে ওটে, সে আসেনি, ইনি আবার দাওয়ায় শুয়ে জ্বর বাধিয়েছেন। সব এইবার পড়ুক বুড়ির ঘাড়ে।
    মা আস্তে আস্তে বলে, দিশারে ইস্কুলে দেওয়ার পথে দুটো বড়ো বিস্কুট কিনে দিও। টিপিন করতে পারিনি।
    বুনুকাকু ব্যস্তমত বলে, আরে বৌদি সে আপনি চিন্তা কোরো না। আজ নয় ইস্কুলে নাই গেলো দিশা। দুটো ক্রোসিন কিনে আনি? নাকি ডাক্তারের কাছে যাবে?

    চতুর্দিক থেকে রোদ নরম হয়ে নেমে আসছে, মাদুরের উপর খুপি খুপি, টুটুবিলাল রোদ পোয়ায়, ঠামি উনুমে আঁচ দিয়েছে। অন্যরকম গন্ধ আসে, অন্যরকম রান্নার গন্ধ। বুনুকাকু মাংক কিনে দিয়ে গ্যাছে, সাদা পেলাস্টিকে গোলাপি রঙের মাংক। বোল্লো, মাসিমা, বেশ হালকা করে ঝোল করুন, গরম গরম ভাত মাংক ওষুদ পেটে পড়লেই বৌদি খাড়া হয়ে যাবেকানে।
    ঠামি তাই মাংকের ঝোল রাঁদে। এমংকি সব বাসনও মেজে ফেলেচে।
    আ দিশা, বোনকে বোতলে করে দুধটা খাইয়ে দে দিনি

    ঠামিকে আজ বেগুনপোড়ার মত লাগছে না। কেমন সুন্নর মত লাগে। বোনকে বগোলদাবা করে সে দুধ খাওয়াতে বসে। বোনও খে ' ন্যায়, খুব খিদে পে'ছিল বুঝি!
    তারও খিদে পায়। কিন্তু মাংক খাবে বলে খিদে চেপে রাকে। মায়ের অসুক হলে বড়ো হয়ে যেতে হয়। মৌমাসি বলেচিলো।

    মা কেমং ছোটো মে'র মতো ঘুমায়। ঠামি ডেকে তুলে ভাত বেড়ে দ্যায়। গজগজ করে না। মা গোগ্রাসে খায়।তারপর আবার শুয়ে পড়ে বোনকে কোলের কাছে টেনে। বোন বুকের মদ্দে ঢুঁসোঢুঁসি করে।

    সে আর ঠামি একোসাথে বসে খায়।
    হ্যাঁ ঠামি, নোতুন বোনাটা শেষ হয়ে গ্যালো?
    হুঁ
    আমাকে শিকিয়ে দেবে?

    ঠামি হাসে। আর দুইদিন পরেই ইস্কুলে শেকাবে।

    মাংক কি ভালো খেতে, ঠামি!
    ঠামির মুখটা কেমন বেঁকে চুরে যায়। বিড়বিড় করে কি একটা বলে।

    বুনুকাকু সাইকেল নিয়ে ঢুকে আসে, কারখানায় যাচ্ছি। বৌদিকে ওষুদ দিয়েছেন মাসিমা?

    ঠামি বলে, না, এই দেবো।
    বুনুকাকু বলে আমি দিচ্ছি। বলে জলের জগ তুলে নিয়ে ঘরের মদ্দে চলে যায়। ঘর থেকে অল্প হাসির আওয়াজ আসে।
    ঠামি কিছু বলে না। আকাশের দিকে তাকায়, আনমনে বলে কেমন সুন্নর পুজো পুজো রোদ্দুর। মা , মাগো। মঙ্গোল কোরো, মা।

    দুপুরবেলা সে এখন খেলা সাজিয়ে বসেছে। নুচিপাতা, কয়লা, পুতুল। ঠামি পশম বুনছে। মা ঘুমোয়, বোন ঘুমোয়, টুটুবিলাল ঘুমোয়। পাশের বাড়ির বাস্কো জানলা বন্দো। বিলেতপিসি চলে গ্যাছে।

    ঠামি হঠাৎ বলে ইদিকপানে আয় দেকি দিশা।
    সে উটে ঠামির কাচে যায়।
    দেকি এই সোয়েডারটা পর তো।

    সে বেজায় অবাক হয়ে যায়। তারপর গোলাপি গরম জামা পরে দ্যাকে ও মা, এ তো তার মাপেরি।

    এইটা আমার, ঠামি?

    ঠামি আবার খুলে ন্যায়। বিড়বিড় করে বলে -শীত আসুক, তারপর।
    সে ঠামিকে জড়িয়ে ধরে, টিভির ছবির মতো। ঠামি বেজায় রেগে বলে, যত্তো নোংরা ঘেঁটে ছুঁয়ে দিলি! অসৈরণ!

    গোলাপি পশমেরা গোলাপি মেঘ হয়ে এক খাদের উপর হাতে মাথা রেখে আরেক খাদের উপর পায়ের উপর পা তুলে শুয়ে থাকে। মেঘ তো! কোনখানটা নরম, গলে পড়ে যায়, আর কোনখানটা বরফ কে জানে!

    সে ভাবে বুনুকাকু হলদে শাড়িটা কিনে দিলে গোলাপি সোয়্ডার কি ভালো-ই না মানাবে তাস্সাথে। আর ডেট্টাকা দিয়ে মাকে কিনে দেওয়া টিপের পাতা থেকে সেও একটা টিপ পরবে। আর টুটুবিলালের ছানা একটা বোনকে দেবে, বোন খেলা করবে। আর ত্যাকোন সে বুনুকাকুকে বলবে, আমায় অমনি করে চুমো খেওনা। খোঁচা লাগে। ব্যথা লাগে। কট্টো হয়।
    বুনুকাকু আর অমন করবে না। ভালোবাসে তো!
    ভেবে ভেবে মাদুরের উপর ঘুমিয়ে পড়ে সে। বুকটা উঠতে থাকে। পড়তে থাকে। বারোজোড়া সরু সরু পাঁজরের ঘেরায় ছোটো বুক।
  • sosen | 50.128.208.34 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ০০:৩৮654331
  • ************(শেষ)*************
  • sosen | 50.128.208.34 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ০১:১০654332
  • অসৈরণ বিষয়ে ক্ষুদ্র বক্তব্য হচ্ছে, এই গল্পটাতে দু একটা বাদ দিয়ে প্রায় সব চরিত্র আর ঘটনাবলী সত্যি এমনকি নাম টাম পাল্টানোর ভদ্রতাও করিনি। শুধু দেখা আর লেখাটুকুই আমার।
  • achintyarup | 233.176.40.161 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ০১:৪০654333
  • এমনি আন্ডারস্টেটেড শক্তিশালী লেখা! আরো আরো লেখে না কেন
  • a | 213.219.201.58 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩৮654334
  • সোসেন্দি,
    দেখা আর লেখাটা খুব বেশি লোক পারে না। এই সুযোগে জানিয়ে গেলাম আপনার লেখা পড়তে খুব ভাল লাগে, এমনকি কঠিন বিষয়েও।
  • i | 134.168.59.127 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ১২:৩৬654335
  • খুবই ভালো লাগল।
    শব্দ চয়নে বাক্যগঠনে বিশেষণের ব্যবহারে যেন মায়া বোনা হয়েছে গোটা লেখা জুড়ে। ব্যক্তিগতভাবে লেখায় বিশেষণ ব্যবহারে আমার যুগপৎ অস্বস্তি ও বিকর্ষণবোধ আছে। অন্য কোনো লেখায় 'গোলাপী গরম' , 'বারোজোড়া সরু সরু' পড়লে খুবই অশান্তিতে ভুগতাম কিন্তু এ লেখায় শব্দগুলি আশ্চর্য মায়া বুনেছে-পড়া শেষ হয়ে গেলেও পিছুডাক দিল। জীবনে মায়ার ভাগই হয়তো বেশি।
    এ লেখায় নির্মম দিকও এসেছে অসম্ভব তীক্ষ্ণতা নিয়ে, যেমন-'আমি দেখতে পাচ্ছি। আর কেউ দেখছে না, নাকি দেখছে? ঘরের মধ্যে পর্দা নড়ে, ছায়া নড়ে। ছায়া দীর্ঘ হয়। প্রদীপ জ্বলে। পুরুষটি শিশুটিকে ঘাঁটে। শিশুটি চেঁচায় না। প্রতিবাদ করে না। কেউ চেঁচায় না। শাঁখ বাজতে থাকে চতুর্দিকে।'
    এইখানে শাঁখবাজাটা আমার মারাত্মক লেগেছে।

    এর আগে সোসেনের যে গল্প পড়েছি, সেখানেও প্রগাঢ় মায়া ছিল। মায়া থাকবেই কলমে। থাকতেই হবে।
    ব্যক্তিগতভাবে, বাংলা গল্পে, মায়ার পাশাপাশি আমি অধিক কর্কশতা আর নির্মমতা চাইছি।

    ইতি ছোটাই।
  • de | 24.97.89.108 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ১৩:২৪654336
  • অপেক্ষায় ছিলাম - এ লেখা শেষ হওয়ার আগে মন্তব্য করবো না, এমনটাই ভেবেছিলাম। অফুরান মায়ায় গড়া গল্পের অবয়ব! বলে না দিলেও বুঝতে পারছিলাম - এখানে চরিত্ররা জীবনের পাতা থেকেই উঠে এসেছে। আরো লেখো, সোসেন!
  • | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ১৩:৩৪654337
  • কেন রে?
    তোর ক৮ মনে হয় বাংলা গল্প কোথাও রূঢ় বাস্তব থেকে একটু সরে গিয়ে একটা মায়ার ঘেরাটোপ গড়ে নেয়?

    আমার কিন্তু এই গল্পে মায়াটা বড় জরুরী মনে হয়েছে। মায়া ছাড়া ওদের কে ঘিরে রাখবে?
  • i | 134.168.59.127 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ১৪:১৩654339
  • দ ঠিক ক্যাঁক করে আমাকে চেপে ধরেছে! ইয়ে... কি বলে, মায়ার ঘেরাটোপ শব্দটা খুব ভালো লাগল।
    সত্যি বলতে কি, মায়াটুকু না থাকলে ,কেবল রূঢ় বাস্তবের উপস্থাপন তো একটি প্রতিবেদনের জন্ম দেবে, গল্পের নয়। সার্থক গল্পে মায়া থাকতেই হবে। এগল্পেও তাই।
    আসলে সোসেনের গল্পটা পড়তে এলাম যখন , সোসেনের লেখা কিছু গদ্য , ইদানিংকালের পর্বে পর্বে কবিতা মাথায় নিয়ে এলাম। এইটা মনে হয় উচিত হয় নি। ওর সেই সাঁতার শেখার গদ্য, এখনকার কবিতাগুলো আমাকে অসম্ভব হন্ট করে। আগেও বলেছি।নেট্জগতে এই কলম এত জ্যান্ত লেখা আমি দেখি নি আগে। পর্বে পর্বে কবিতার কিছু কবিতা পড়ে অন্যত্র সোসেনকে বলেছিলাম-'আমার ভিতরের যত রুদ্ধ আবেগ বল্‌, বিষাদ বল্‌,কান্না বল্‌, কি মায়া বল্‌-সব মিলেমিশে আবার ভেঙে চুরে যাচ্ছিল-ঢেউএর মত আবেগ তৈরি হচ্ছিল, আছড়ে পড়ছিল, আবার তৈরি হচ্ছিল-বহুদিন এভাবে তাড়িত হই নি।'
    এই আবেগের বিস্ফোরণ ব্যাপারটা এবারে হল না। হতেই হবে মাথার দিব্যি কেউ দেয় নাই সত্য। কিন্তু যখন হল না, মায়াকেই দায়ী করে দিলাম। আর তুই ক্যাঁক করে ধরলি।

    বাংলা গল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত অন্য সময়, আরও একটু সময় নিয়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন