এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্লেনের এক্সপেরিয়েন্সগুলো

    Abhyu
    অন্যান্য | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ | ২৫৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Abhyu | 80.158.101.199 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৯656469
  • নমেঃ ্ম মইলঃ ৌন্ত্র্যঃ

    ঈ আদ্দ্রেস্স ঃ ১১৮।৯১।১১৬।১৩১ (*) ডতেঃ০৮ ডে ২০১৪ -- ১২ঃ৫২ আ

    একবার নিউইয়র্ক থেকে প্লেন ধরব, দেশে যাবার, কেএলএম। তখন ঐ এলাকায় থাকতাম। বেশী বাক্সপ্যাটরা ছিল না। আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে ট্রেন নিলাম, এক্কেবারে জেএফকে অবধি। ভালই চলছিল ট্রেন। হঠাৎ লাইনে কি গন্ডগোল হল, ট্রেন খারাপ। পাতাল থেকে রাস্তায় উঠে এলাম। ট্যাক্সি ধরলাম। একটু যেতেই বিচ্ছিরি জ্যাম। বেশী সময় নেই হাতে। ড্রাইভারকে বললাম ভাই নিয়ে চলো তাড়াতাড়ি। রাস্তার সোলডার দিয়ে চালিয়ে দিল খানিক দূরত্ব, বলল পুলিশে ধরলে ৪০০ ডলার ফাইন, তার থেকে বেশী বাজে ব্যাপার হল তোমার প্লেন গ্যারান্টিড মিস। ডিপার্চারে পৌঁছে, ড্রাইভারকে নমস্কার করে যখন হাঁপাতে হাঁপাতে কাউন্টারে গিয়ে পৌঁছলাম, তখন ১৩ মিনিট বাকী আছে প্লেন ছাড়তে। টিকিট করে দিয়ে, কাউন্টারের মেয়েটি একটি ফোন করে বলে দিল আরো দুজন আসছে, আমাদের বলল তোমরা দৌড়োতে আরম্ভ করো। প্লেন ধরেছিলুম সে জাত্রায়। সিট ছিল একটা ব্লকের সামনের সিট, আমার সামনে এক বিশালবপু জার্মান লোক মাটিতে গুটিয়ে শুয়েছিল, এয়ারহোস্টেসরা তাকে ডিঙিয়ে যাতায়াত করছিল, খানিক বাদে আমিও তার পাশে গুটি হয়ে শুয়ে পরেছিলাম। কি ঘুম হল রে ভাই।

    নমেঃ ্ম মইলঃ ৌন্ত্র্যঃ

    ঈ আদ্দ্রেস্স ঃ ১১৮।৯১।১১৬।১৩১ (*) ডতেঃ০৮ ডে ২০১৪ -- ১২ঃ৫৮ আ

    মিডওয়েস্টের এক বাঙালি দাদা এক কান্ড করেছিলেন, বলেছি বোধহয় আগে। প্লেনের দরজা বন্ধ হবার পরে তিনি গিয়ে দরজায় ধাক্কা মেরে খুলিয়েছিলেন।
  • Abhyu | 80.158.101.199 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০০656480
  • আগের পোস্টগুলো এল সি য়েম দাদার।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:৫৩656491
  • এদিকেও আছে অল্প বিস্তর।
  • a | 69.167.178.117 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:১৪656495
  • সে প্লিজ চাকরির গপ্পটা আগে
  • Abhyu | 99.248.140.14 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ১১:০২656496
  • সে - হোক হোক, প্লেনের গল্প হোক হোক
  • Abhyu | 109.172.117.178 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১৭656497
  • ফেরার সময় প্লেনের অভিজ্ঞতা বলা হয় নি, দিল্লী থেকে প্যারিস - আমার আইল সীট, আর সেই রোতে যার সামনে দরজা বলে অনন্ত লেগ স্পেস। আমার পাশের সীটে পড়েছে একটা দেশি মেয়ে, সে বলে তার বরকে আমার সীটটা ছেড়ে দিতে কারণ তারা পাশাপাশি বসতে চায়। এমনকি লোকটা পর্যন্ত বলে "আমরা নিউলি ম্যারেড, বুঝলেন না" - শেষে আমি বললাম - দ্যাট ইস নট মাই ফল্ট - তখন গেল :)

    ps: না, সত্যি সত্যি "মাই ফল্ট" বলি নি, বললাম - বরের পাশের মিডল সিটে যে বসেছে তার সঙ্গে এক্সচেঞ্জ করে নাও। ব্যাজার মুখে বলল তাই করতে হবে দেখছি। তার আগে একবার বলেছিল - আপনি আইল ছেড়ে মিডল সীটে যান তা হলেও হবে!
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৫৪656498
  • একবার যাবো ড্যালাস, স্যান ফ্রানসিস্কো থেকে। প্ল্যান ছিল, ড্যালাসে কয়েকদিন থেকে, তারপর হিউস্টন, গ্যালভেস্টন, স্যান অ্যান্তোনিও ঘুরে অস্টিন থেকে ফিরব। শস্তায় টিকিট পেলাম, স্যানফ্র্যানসিস্কো-অস্টিন, যাওয়ার সময় ভায়া ড্যালাস, ফেরার সময় সোজা অস্টিন থেকে এসএফও।
    তো যাওয়ার সময় আমরা ড্যালাসে প্লেন বদল আর করলাম না, অস্টিনের প্লেনে না উঠে ড্যালাসেই থেকে গেলাম। ঘুরে বেরিয়ে, ফেরার দিন যখন অস্টিন এয়ারপোর্টে চেক ইন করতে যাচ্ছি, তখন বলে কিনা টিকিট ক্যানসেল। কারণ, যাওয়ার লেগটা পুরো কম্প্লিট করি নি। তারপরে এয়ারলাইন্সে ফোন করে অনুরোধ ইত্যাদির পর টিকিট দিয়েছিল।
  • b | 135.20.82.164 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:০৯656499
  • আমিও একবার বি এন -ডি (বাঁশদ্রোণী) থেকে এস এলএইচ (সুলেখা) গেছিলাম, ভায়া জি-এ-এম, সেখানে টার্মিনাল চেঞ্জ। স্মুথ রাইড, শুধু গাঙ্গুলিবাগানের কাছে লাফাচ্ছিলো, এয়ার পকেটই হবে বোধ হয়।
  • pi | 192.66.5.123 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:২৬656500
  • আমার কেমন ধারণা ছিল, সবাই জানলা মানে জানলার ধার ভালোবাসে। প্লেনেরও।তো সেবার শাশুড়িরা এলে গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন যাবার জন্য সবার টিকিট কাটলুম, জানলার ধার দেখে দেখে। জানলার ধার পাবার জন্য কারুর ১৩ হল তো কারুর ২৬। সে নিয়ে মাথা ঘামাইনি, জানলার ধার তো হল, এই ভেবেই হেব্বি খুশি হয়েছিলুম, আর আর সব্বাইও তদ্রূপ বা তদুপরি হেব্বি খুশ হবে ভেবেছিলুম। কাউকে আগে থেকে কিছু বলিনি। সারপ্রাইজ ছিল। টিকিট অত কেউ খেয়াল করেনি আগে।
    ওঠার পর যখন বসা হল, দেখা গেল চারজন মোটামুটি চারদিকে, শাশুড়িদের মুখ দেখার মত হল। মশামেসোর মুখ দেখে কিছু বোঝা গেলনা। আমি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বল্লুম, আরে জানলার ধার, কী, দারুণ না ! তখন মুখের আরো নিদারুণ দশা ! শুধু মশামেসো বললো, দারুণ। পরের বার থেকে আমি টিকিট কাটবো।
    সে যাই হোক, মোটামুটি পুরো প্লেন জার্নিই জানলা দিয়ে দারুণ কিছু দেখতে পেলে ঐ চেঁচিয়ে মেঁচিয়েই দেখতে বলেছি। একবার সাড়া না পাওয়াতে আশপশের লোক সরিয়ে গেলুম। গিয়ে দেখি ঘুমুচ্ছে ! ধাক্কা টাক্কা দিয়ে উঠিয়ে জানলা দেখাতে বসিয়ে দিয়ে এলুম।
    মনে হয় দেখেনি। প্লেন থেকে নেমে পড়া ধরেছিলুম। কিছুই পারেনি।
  • santanu | 102.96.243.143 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:৫৮656470
  • পাই, প্লেন এ করে গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন যাবার ব্যাপারটা একটু খুলে লেখ তো। যা পাচ্ছি তা হলো ভেগাস থেকে সকাল এ বাস এ করে গিয়ে রাত্তির এ ফেরা। মাঝে ওই হেলিকপ্টার এ করে নিচে নেমে নৌকা চালানো।
    লিংক হলে ও চলবে। তবে হাতে ওই এক কি দুদিন।
  • pi | 174.100.105.213 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:০৪656471
  • আমি প্লেনে করে ডিসি থেকে ফিনিক্স গেছিলুম। সেখানে বন্ধুর সাথে দেখা করে গাড়ি ভাড়া করে গ্র্যা ক্যা। সেখানে ছিলুম। পরের দিন অ্যান্টিলোপ ক্যানিয়ন গিয়ে সেখান থেকে আবার ফিনিক্স হয়ে ফেরা।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:৫৬656472
  • একবার হেলিকপ্টার চড়েছিলাম। নীচে নেমে নৌকোয় চাপি নি অবশ্য।
  • Abhyu | 80.158.100.18 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৩১656473
  • হেলিকপ্টারে কি আর বলার মতো অভিজ্ঞতা হবে?

    সে-ও কিছু লিখছে না।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১৮656474
  • গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে হেলিকপ্টার রাইড ভালো, শুধু হাওয়া না থাকলেই হল। হাওয়ায় হেলিকপ্টার রাইড সুখপ্রদ অভিজ্ঞতা নাও হতে পারে। যেটায় চড়েছিলাম তার মেঝে ছিল ট্রান্সপারেন্ট - নীচে দেখা যায়। প্রায় এক কিলোমিটার নীচে সুতোর মতন কলোরাডো নদী বয়ে যাচ্ছে, নীচে পায়ের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে, আর কপ্টারটি শূণ্যে ভাসছে, পাইলট-কাম-গাইড বক্তব্য রাখছেন। আস্তে আস্তে কপ্টারটি নীচে চলে এল জলের কাছে, ওপর থেকে বোঝা যাচ্ছিল না, জায়গায় জায়গায় জলের বেশ খরস্রোতা মনে হচ্ছে। দু-একটা নৌকা দেখা যাচ্ছে, তবে তারা ঠিক নৌকা না, রিভার র‌্যাফ্টিং। প্লাস্টিকের হাওয়া ভরা নৌকা চালাতে বেশ কসরত লাগে। একবার একজন বলেছিল তার নাকি পশ্চাতদেশে জলের মধ্যে থাকা পাথরের খোঁচা লেগেছিল, সেই থেকে সে আর ঐ জিনিস করে না।
    যাই হোক, হেলিকপ্টার রাইড ভালো এক্সপেরিয়েন্স।
    আমি প্রায় ১১ বছর আগে চড়েছিলাম। অগ্রিম বুকিং করি নি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে গিয়ে টিকিট কেটে চেপেছিলাম। ৪৫ মিনিটের মতন রাইড ছিল বোধহয়। এখন গেলে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া ভাল, বিশেষ করে ছুটির উইকেন্ড হলে। ডিসেম্বরে হাওয়াই-তে খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু যে কদিন ছিলাম সব কপ্টার রাইড বুক্‌ড। অবশ্য সেটা ক্রিসমাস ছুটির উইক বলে হয়ত।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৬656475
  • প্লেনের অভিজ্ঞতা।
    কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্স। অ্যামস্টার্ডম থেকে নিউইয়র্ক। সময় ১৯৯৩ সাল নাগাদ। সে যুগে প্লেনে সিগারেট ফোঁকা যেত। অন্তত আমি যে দিকে বসেছিলাম ইকনমি ক্লাসের সেকশন, সেখানে জনগণ মিল খাচ্ছে, তারপর মদ এবং সিগারেট। ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যাচ্ছে, সিলিং-এর এয়ার সাকশন আর কত টানবে। এক মোচ্ছ্ব পরিবেশ।
    এক বিশাল সাইজের পুরুষ যাত্রী দেখলাম একটা ভেড়ার ঠ্যাং-এর টুকরো দুই রো আগের সিটে একজনকে দিতে চাইছেন, তাই ঠ্যাং-টা হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দিয়েছেন, আর এক হাতে লম্বা বাদামি রং-এর সিগারেট টানছেন। যিনি নেবেন তিনি এক বিপুলা মহিলা, পাশ ফিরতে সময় লাগছে। মাঝের রো-তে এক বয়স্কা দক্ষিণ এশিয় মহিলা যার প্রায় নাকের সামনে ঠ্যাং-এর টুকরোটি ঝুলছে, তিনি নাক চেপে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন। কিন্তু যিনি ঠ্যাংটি ধরে আছেন তিনি পিছন থেকে তা দেখতে পাচ্ছেন না। হয়ত বয়স্কা মহিলাটি ধর্মপ্রাণ মানুষ, চোখ বুজে প্রার্থনা করছেন যেন চোখ খুলে মাংসের টুকরোটি দেখতে না হয়। ইতিমধ্যে এক বিমানবালা এসে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইলেন। তিনি ঠ্যাংটি নিয়ে এগিয়ে দিতে চাইলেন। কিন্তু বিশালাকায় পুরুষ যাত্রীটি ঠিক ভরসা পাচ্ছেন না। ওদের মধ্যে একটা কথাবার্তা চলছে। কিন্তু মাঝের বয়স্কা মহিলা তখনও চোখ বুজে। বিমানসেবিকা প্রায় ক্যাচ ধরার মতন নীচে হাত পেতে আছেন। যদি পড়ে যায় লুফে নেবেন মাংসের টুকরো। যাইহোক পরিস্থিতি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঠিক হল, খাবার গন্তব্যস্থলে পৌঁছল, আমরা যারা দেখছিলাম তারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৫656476
  • এটা আগে ভাটে বলেছিলাম, এখানেই দিয়ে দিই।

    একবার মুম্বাইতে। বেরোতে গিয়ে দেখি কাস্টম্‌স-এর ওখানে ছোটখাটো ক্যাওস। সবার বাক্স কনভেয়ার বেল্টে তুলে দিতে হবে, বাক্স বেল্ট বেয়ে উঠে যাবে, ওপরে ঝালরের মধ্যে দিয়ে অন্ধকার খুপরিতে ঢুকে যাবে, সেখানে স্ক্যান হবে, ওপাশ দিয়ে বাক্স নেমে আসবে। ততক্ষনে বাক্সের মালিক কাগজপত্র শুদ্ধু ওপাশে যাবে।

    কোনো কারণে বেল্ট আটকে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে একটু যাচ্ছে আবার আটকে যাচ্ছে, এরকম করতে করতে বেল্ট থেমেই গেল। একজন নাদুস ভুঁড়িওয়ালা ভদ্রলোক ওর মধ্যেই হঠাৎ বেল্ট বেয়ে হ্যাচোর প্যাচোর করে অন্য বাক্স ডজ করে উঠে গেলেন, তারপর ঝালরের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে নিজের বাক্সটি টানার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে একজন সাদা পোষাক পরিহিত পুলিশ বেল্ট বেয়ে উঠে গিয়ে ওনার পশ্চাৎদেশে ডান্ডা দিয়ে মৃদু বাড়ি দিলেন - কেয়া কর রহে আপ। ভেজা স্ক্যান হো জায়েগা।
    ব্যস, তারপরে সেই লোকটি নেমে এসে বিপুল চেঁচামেচি - আপ মুঝে মারা কিউ, আপকা হিম্মত ক্যায়সে।।।
    অন্য লোকজন বিরক্ত। এর মধ্যে হঠাৎ বেল্ট চলতে শুরু করল - পুলিশ এবং লোকটি প্রায় উল্টে পরে যান আর কি, ওরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে ব্যালেন্স রাখলেন - সব্বাই হাততালি দিয়ে উঠল।
  • Tc | 34.7.36.95 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:১৪656477
  • আমার একবারের অভিজ্ঞতা বলছি। সান ফ্রান্সিসকো থেকে সেই বছর দিন কয়েক আগে জেট এয়ার চালু হয়েছে। তো আমরা দিন পাঁচেক বাদের প্লেন এ উঠে বসব, এস এফ ও থেকে বোম্বে, মাঝে সাংহাই এ এক ঘন্টা স্টপ ওভার। আর বোম্বে থেকে কলকাতা। ঠিক হল আমরা মাল পত্র সব চেক ইন করে বাড়ি এসে রেস্ট নিয়ে নিজেদের হাতের চা ( যা আবার এক মাস পরে এসে খাব) খেয়ে বন্ধুর গড়িতে এয়ারপোর্ট যাব। সেই মত হল সব কিছু। মালপত্র বিদায় করে ঝাড়া হাত পা'য় বাড়ি এসে আমাদের এত ফুর্তি হল যে বলবার নয়। প্রতি বার কেন এমন করি না তাই ভেবে আমরা নিজেদের দোষারোপ করতে লাগলাম। বন্ধু এল যথা সময়ে, বীরদর্পে উঠলাম গিয়ে তার গড়িতে। খালি ওঠার আগে আমার পাসপোর্ট খানার সাথে যে আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেল, সে খেয়াল রইল না। কর্তা বললেন 'সব কাগজ পত্র আছে তো'? কৌতুকে বললাম 'নিজের গুলো ভাল করে দেখে নিয়ো'।

    এয়রপোর্টে সিকিওরিটির লাইনে বলল 'পাসপোর্ট?' কর্তা নিজেরটা দিলেন। আমার দিকে লোকটি চাইল এবার। আমি বললাম 'কি গো, আমারটাও দাও ওকে'। কর্তা হাঁ করে চেয়ে থাকলেন আমার দিকে ... 'তোমারটা আননি?'

    যে বন্ধু পৌঁছোতে এসেছিলেন, তার কছে এক সেট চাবি ছিল বাড়ির। তাকে ফোন করে বলা হল সে যেন কার রেসের স্পীডে গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে ঢুকে পাসপোর্টের ব্যাগটা নিয়ে আসে। কর্তা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন আর লম্ফ ঝম্প করতে লাগলেন, রাগে তাঁর মাথার কয়েকগাছা কেশ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। বন্ধু প্রায় চল্লিশ মিনিট বাদে নিয়ে এলেন ব্যাগ্টা। প্লেন ছাড়তে তখন আর মিনিট দশেক বাকি। এদিকে হুড়োহুড়িতে বোর্ডিং পাস গুলি কোথায় যেন দেহ রেখেছেন। তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তা ধরেই নিলেন যে আমিই দায়ী এর জন্য। তখন আরেক সেট বোর্ডিং পাসের জন্য আবার কাউন্টারে এসে দাঁড়ানো হল। এবং মার্ফি'স ল কে সার্থক করে দেখা গেল প্রিন্টারে কালি নেই। আর নতুন কার্তিজ কোথায় আছে কেউ জানে না। তখন এক্খানা যা অবস্থা হল যে কি বলব! মালপত্র সব চলে গেছে, তাই আমাদের ঐ ফ্লাইটে যেতেই হবে।

    প্লেনকে অনেক্ক্ষণ গেটে থামিয়ে রাখা হয়েছে। তাই তাড়াহুড়ো করে সব ব্যবস্থা করা হতে লাগল। আর আমি 'ধরণী দ্বিধা হও' মুখে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আমাদের তিনজনকে এসকর্ট করে নিয়ে গেল গেট অবধি। হাতে জুতো (জুতো পরবার সময় অবধি দিতে চাইল না আর, কে জানে আবার কি গন্ডগোল করে ফেলব) , ব্যাগ, ঘর্মাক্ত কলেবরে আমরা প্লেনে উঠ্লাম। প্লেনের ভিতর বসা জনতা আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখতে লাগল। সিটে বসে কর্তার ব্যাগ থেকে বেরল অরিজিনাল বোর্ডিং পাস গুলো। আমরা হাঁ করে চেয়ে থাকলাম তার দিকে। প্লেন আস্তে আস্তে রানওয়ের দিকে রওনা হল।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩৭656478
  • হা হা।

    ঐ জেট এয়ার স্যানফ্রানসিস্কো-সাংহাই-মুম্বই আমিও চেপেছিলাম, চালু হবার সপ্তাহ দুয়েক পরে।
    ওটা চালুর আগে নাকি জেট এয়ার একটা পার্টি দিয়েছিল, স্যান হোসে-তে ডাবল ট্রি হোটেলে - আমজনতার জন্য ফ্রি খানাপিনা।
  • Abhyu | 34.248.33.194 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৩৯656479
  • হা হা!
  • Abhyu | 34.248.33.194 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৪৬656481
  • তবে Tc, আপনাদের মালপত্র সব চলে গিয়েছিল বলেই বেঁচে গেলেন সে যাত্রা, নইলে আরো দুর্ভোগ ছিল কপালে।

    এটা আমার অভিজ্ঞতা না, কিন্তু সত্যি ঘটনা। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রফেসর, কানাডা থেকে মধ্য প্রাচ্য পর্যন্ত ঠিকমতো এসেছিলেন, কিন্তু দেশে পৌঁছনোর আগে সেখানেই ওনাকে কদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কারণ উনি ভুল করে ওনার মেয়ের পাসপোর্ট নিয়ে ট্রাভেল আরম্ভ করেছিলেন। কানাডায় কেউ সেটা ধরতে পারে নি। (মানছি সব ভারতীয়কেই এক রকম দেখতে, কিন্তু তা বলে বাবা-মেয়ে???)

    আরেকবার আমার এক বন্ধু এক্সপায়ার্ড কানাডিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে চলে এসেছিল। সেটা ধরা পড়ল সিয়াটেলে। কিন্তু সিয়াটেল থেকে ডোমেস্টিক ফ্লাইট বলে সে যাত্রা রক্ষা পাওয়া গেল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়ে। কানাডিয়ান এম্ব্যাসি বলল - এই কনফারেন্সের মধ্যে দুদিনে তোমায় নতুন পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব না। অগত্যা সে জয় দুর্গা বলে সেই এক্সপায়ার্ড পাসপোর্ট দিয়েই আবার ফেরার প্লেনে চড়ার চেষ্টা করল এবং এবারেও কেউ খেয়াল করল না!
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:০১656482
  • কোনোরকম ফ্লাইট ডিলে বা ডিসরাপশন ছাড়াই, আমাদের মালপত্র আগে চলে গেছিল একবার।
    যাচ্ছিলাম, স্যান ফ্র্যানসিস্কো থেকে বেজিং। বাক্সপ্যাটরা চেক ইন করে দিয়েছি, বেজিং-এ গিয়ে দেখি বাক্স আর আসে না। তারপর এয়ারপোর্টে খোঁজ খবর করে দেখা গেল আমাদের বাক্স আগের কোন ফ্লাইটে চলে এসেছে। আমাদের টিকিট ছিল, এসএফও থেকে ভ্যাংকুবর ভার্জিন আটলান্টিক (ভ্যাংকুবরে ঘন্তা দুয়েকের ওয়েট), তারপর ভ্যাংকুবর থেকে বেজিং এয়ার চায়্না। ওরা মালপত্র অন্য ফ্লাইটে পাঠিয়ে দিয়েছিল।
    এয়ার চায়্নাতে মালপত্র মানুষের থেকে বেশি তাড়াতাড়ি যায় দেখে অভিভূত হয়েছিলাম। সাধে সবাই মেড ইন চায়্না জিনিস কেনে।
  • সে | 188.83.87.102 | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১৬:৫৮656483
  • সে কুপোকাৎ। অন্ততঃ আগামী মাস খানেকের জন্যে শয্যাশায়ী। সেরে উঠলে লিখবে।
  • mila | 221.25.219.250 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:৩১656484
  • এয়ার ইন্ডিয়া , থ্রু চেকইন, সিঙ্গাপুর পৌছে দেখি বাক্স আপন খেয়ালে বাংলাদেশ ঘুরতে চলে গেছে, আমাকে সবাই সান্তনা দিল এই বলে যে বাক্সে বিশেষ কিছু ছিলনা (গাদাগুছের খাবার ছাড়া), কিন্তু ঘন্টা চারেক এর মধ্যে লোক এসে বাড়িতে দিয়ে গেল সেই বাক্স
  • sm | 53.251.90.253 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:২৮656485
  • লন্ডন থেকে কলকাতা বি এ তে উড়ান।শনিবার দিন।বোধ হয় বেলা দুটোর সময়। বাড়ি থেকে বেরুতে বেরুতে দশটা। এয়ারপোর্ট যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা টাক। তা, মেট্রো করে যাচ্ছি। মাঝে মাঝেই রেল লাইনের কাজের জন্য, মেট্রো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দুটো একটা স্টেশনের জন্য। পরিবর্তে বাস সার্ভিস এর ব্যবস্থা আছে। এমনি, দুবার করার পরেই, অন্তত এক ঘন্টা বেশি সময় চলে গেল। অগত্যা ধুত্তর বলে একটা ট্যাক্সি ধরলাম। লন্ডনের বিখ্যাত কালো ট্যাক্সি ।পকেট কাটার জন্য জগৎ বিখ্যাত। ট্রেনে যে দুরত্ব ২০ মিনিট লাগে, ট্যাক্সি তে একঘন্টার বেশি লেগে গেল। ভাড়াও গুনতে হলো প্রায় ৪০ পাউন্ডের উপর। জ্যাম জট কাটিয়ে যখন কাউন্টারে পৌঁছুলাম, তখন ফ্লাইট ছাড়তে আর ২০ মিনিট মত আছে।কাউন্টারের মহিলা টি আমার চাইতেও উদ্বিগ্ন। বলল বোধ হয় যাওয়া হবে না। তাও পাইলট কে ফোন করে দেখছি।
    ফোন করার পর ভীষন দুকখিত ভাবে জানালো, পাইলট দরজা বন্ধকরে দিয়েছে।
    আমাকে যেতে হলে, পরের ফ্লাইটে যেতে হবে।পরের ফ্লাইট মানে, ডিরেক্ট ( আহা কি সময় ছিল!)কলকাতা যেতে হলে, তিন দিন পরে যাত্রা করতে হবে। মনে মনে ভাবছি সব্বোনাশ, আরেকটা নতুন টিকিট কিনতে গেলে তো গেছি! তা ভদ্র মহিলা বললেন,যদি সেদিন কে যেতে হয় তাহলে মুম্বাই অবধি ওনারা টিকিটের ব্যবস্থা করে দেবেন ফ্রি, কিন্তু মুম্বাই থেকে কলকাতা অবধি ডোমেস্টিক ফ্লাইটের টিকিট টা আমাকে নিজের পয়সায় কাটতে হবে।হাতে চাঁদ পেলাম!

    দ্বিতীয় ঘটনা সেম জার্নি; এবার বিমান বাংলাদেশ। খাওয়া দাওয়া ভালো। দুবার করে বিরিয়ানি দিয়েছিল।কলকাতা ফিরে দেখি লাগেজ নেই।
    বাড়ি ফিরলাম। সন্ধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করলাম।সহৃদয় অফিসার ভদ্রলোক দুকখ প্রকাশ করে জানালেন, এটা বাংলাদেশ বিমানের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। তবে এয়ারপোর্ট অথরিটির নিয়মনুযায়ী প্রতিদিনের জন্য আপনি প্রায় ৮০ ডলার মতন পেনাল্টি আদায় করতে পারেন।
    পরদিন সকালে আবার গেলাম খোজ নিতে। দেখা বাংলাদেশ বিমানের কর্তার সঙ্গে। আমার অভিযোগ জানালাম।
    মাঝবয়েসী সদাহাস্য ভুড়ি মোটা ব্যক্তি উত্তর দিলেন, দ্যাখতাসি।
    আমি কিছুক্ষণ পরে, কি পেলেন?
    উনি, একটু বসেন,দ্যেখ্যা আসি ।
    উনি ফিরে এসে, কান এটো করা হাসি দিয়ে, পাওয়া গ্যাসে গিয়া।
    আমি গম্ভীর ভাবে, আপনাদের কিন্তু রুল অনুযায়ী পেনাল্টি দিতে হবে।
    এক মিনিট আমার দিকে তাকিয়ে, আফনে না কলকাতার লোগ ? আমরা কত সম্মান করি, আর আফনে কিনা ফাইন চাইত্যাসেন? তার চেয়ে বরঞ্চ পরের বার এলে বেশি ওজন নিয়ে যেতে দিব।কোনো ফাইন লাগব না।
    আমি মনে মনে( পরের বার তোমার বিমানে এলে তবে তো!)।
  • Abhyu | 34.248.33.194 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:১১656486
  • বাংলাদেশ বিমানের কিছু অসাধারণ গল্প আছে কদুদার স্টকে। চান্স পেলে লেখাব ওকে ধরে...
  • Abhyu | 81.90.216.56 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৫৭656487
  • তুলিনু
  • b er hoye | 184.64.4.97 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:০৯656488
  • name: b mail: country:

    IP Address : 135.20.82.164 (*) Date:03 Feb 2016 -- 09:34 AM

    টি, শুনুন, ওটা অমিও করেছিলাম। প্রথমবার প্লেনে চড়ার সময়। তখন আগে রি কনফার্ম করতে হত আর পছন্দসই সিট জানাতে হত। আমি ভেবেচিন্তে বলেছিলুম, তা এমার্জেন্সি দরজার কাছাকাছি দেবেন। প্রায় বাথরুমের মধ্যে বসতে হয়েছিলো।

    যাক। সিটবেল্ট হাতে নিয়ে তো স্মার্ট ভাবে ক্যাবলা হয়ে বসে আছি, খায় না হাগে কিছুতেই বুঝতে পারছি না। আমার পাশে স্যুটেড বুটেড এক দাদু, ঝাঁ করে দেখলেই বোঝা যায়, ইনি প্রচুর দেশ ঘুরেছেন। আমি ভাবলাম, যাক, আড়চোখে ওনার দিকে তাকিয়ে দেখে নেবো উনি কি করেন, সেই মতো করবো। সেই মতো করতে গিয়ে দেখি, উনিও বেল্ট হাতে নিয়ে আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন, আমি কি করি সেটা দেখার জন্যে।

    ওনারও ফার্স্ট টাইম।
  • Bratin | 74.233.173.198 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:১৩656489
  • যাতা টই। ঃ))

    আমার কিছু লেখার আছে।
  • T* | 81.90.216.56 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩২656490
  • name: T mail: country:

    IP Address : 190.255.241.88 (*) Date:03 Feb 2016 -- 09:01 AM

    তবে মাক্কালী সে প্লেনের সিট সিলেকশনের সময় জিজ্ঞাসা করেছিল যে কোথায় বসলে ক্রাশ অ্যাকসিডেন্ট ইত্যাদি হলে বাঁচার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশী। হু হু হু হু।
  • Tim | 108.228.61.183 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৬656492
  • কলকাতা থেকে ইউএস হয়ে মেক্সিকো সিটি গিয়ে দেখলাম লাগেজ আসেনি। এসেফো তে নিজে হাতে লাগেজ জমা দিয়েছিলাম, সুতরাং যারপরনাই বিরক্ত ইত্যাদি। এরোমেক্সিকোর এজেন্ট বললেন, ৬০ দিনের মধ্যে বাস্কো এসে যাবে, না এলে যেন কমপ্লেইন করি। বলে একটা ফোন্নং দিয়ে বিদেয় করে দিলেন, টোল ফ্রি সেই নম্বরে শুধুই, বলা বাহুল্য, স্প্যানিশে কথা হয়। আমার তো মাথায় হাত, একমাস থাকার জন্য যা যা দরকার সব ঐ বাক্সে। ওদিকে বাস ধরার তাড়া ছিলো।

    গেস্ট হাউসে গিয়ে রিসেপশনে বললাম। পরদিন অবধি যে কি জামা কাপড়ে ছিলাম সে আর জিগাবেন্না। পরদিন সকালের শিফটে যে রিসেপশনে বসে সেই পাওলা (সিকি, ভাগী ইত্যাদিদের জন্যঃ শিখ হলে এরে সোনি কুড়ি বলা যেত) বল্লো, রোসো, আমি ফোন করে দেখছি। সে ইংরেজিটা ভালোই জানে। ফোন করে অনেক বকেটকে হতাশ হয়ে বললো, ওরা তোমার লাগেজ টিকিস নম্বর চিন্তে পারছেনা। আমি বললাম সেকি! কি হবে? পাওলা বললো চিন্তা কোরোনা আমি দুপুরে আবার ফোন করবো। এটা মেক্সিকো এখানে সবই হয়।

    চিন্তিত মনে ইউনি গেলাম। ওমা, দুপুর তিনটে নাগাদ পাওলা ফোন করে জানালো বাক্সো এসে গেছে। বল্লো, বাক্সো নাকি আগেরদিনই আমার পরের ফ্লাইটে এসেফো থেকে চলে এসেছিলো। অথচ এয়ারলাইন্সের রেকর্ডে কিসু নাই। ঃ-)
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন