এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইসলামী সমাজতন্ত্র: সভ্যতার এক আলোর দিশা

    রাজু
    অন্যান্য | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৩৭৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রাজু | 87.247.181.165 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১০:৪৩656837
  • মানবাধিকার এর সবিচ্ছেদ হলো মানব+অধিকার বা মানুষের অধিকার। মানুষের সামগ্রিক জীবন পরিচালনার জন্য যে সব মৌলিক অধিকারের উপর একান্ত নির্ভরশীল হতে হয়, যেগুলো ছাড়া মানুষ পৃথিবীতে চলতে বা বাঁচতে পারে না এবং নিজের প্রতিভা, গুণাবলী ও বৃত্তি প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভোগ করতে পারে না সে সবই মানবাধিকার। তা অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা যে কোন বিবেচনায় হোক না কেন। সংক্ষেপে মানুষের চাওয়া পাওয়া এবং পারস্পরিক দায়িত্ব-কর্তব্য ও দেয়া নেয়ার জরমযঃ কে মানবাধিকার বলে। বর্তমানে এটি বহুল আলোচিত বিষয়।পৃথিবী ইসলামী সমাজ ব্যবস্থাকে যতদিন বুকে ধারণ করেছিল, মানবাধিকার বিষয়টির সৎ ব্যবহার পৃথিবী ততদিনই উপভোগ করেছে। এ ছাড়া বিষয়টির অপব্যবহারও কম হয়নি। পৃথিবীর সুবিধাবাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী যারা গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা, মানবাধিকারের জিকির করে ফিরে এবং বিশ্বের দেশে দেশে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন ভিন্ন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার আড়ালে মুলতঃ তারাই সন্ত্রাস করে যাচ্ছে। এবং জোরপূর্বক নিজেদের স্বৈরাতান্ত্রিক ও জুলুমতান্ত্রিক চিন্তাধারা অন্যদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। অপরদিকে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে গায়ের জোরে পৃথিবীর মানবতার সাথে পাশবিক আচরণ করছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জিকির লোক দেখানো একটা ভাওতাবাজী ছাড়া আর কিছু নয়। মানবাধিকার রক্ষার নামে এ ভাঁওতাবাজী পৃথিবীবাসীর কাছে এখন আর গোপন নেই। ইরাক, আফগানিস্তান এক ধরনের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ভোগ করছে অপরদিকে ফিলিস্তিন কি ধরনের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ভোগ করছে তা বুঝতে কঠিন হওয়ার কথা নয়। ইসলামই মানবতার ধর্ম, হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানবতার প্রকৃত বু, আল কুরআনই মানবতার একমাত্র মুক্তির সনদ। ইসলাম ও সন্ত্রাস শব্দ দু’টি ভাবার্থের দিক থেকে পারস্পরিক সাংঘর্ষিক। ইসলামে সন্ত্রাসের কোন স্থান তো নেই বরং ইসলামের আবির্ভাবই ঘটেছে সকল প্রকার সন্ত্রাস, রাহাজানি, মারামারি, কাটাকাটি, জুলুম-নির্যাতন এক কথায় যাকে আরবিতে ফিতনা বলা হয় তা সমাজ থেকে সমূলে উচ্ছেদ করার জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, “আর তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাও যতক্ষণ পর্যন্ত না ফিৎনা সম্পূর্ণভাবে মিটে যায় এবং একমাত্র আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থা অবশিষ্ট থাকে।” (সূরা বাকারাহঃ ১৯৩)

    ইসলামে মানবাধিকারঃ পৃথিবীর সমুদয় সম্পদের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। মানুষ এর ট্রাস্টি মাত্র। তাই এ সম্পদে সকলের অধিকার সমভাবে স্বীকৃত। আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে এটির ঝড়ষব অমবহঃ হিসাবে নিযুক্তি দেননি। এমনকি যারা মহান প্রভুকে বিশ্বাস করে ও মানে তাদেরকেও না। বরং যারা তাঁকে বিশ্বাস করেনা ও স্বীকৃতি দেয়না তাদেরও সমধিকার রয়েছে। হযরত ইবরাহিম (আ.) যখন মানব জাতির নেতৃত্ব সম্পর্কে আল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন জবাবে বলা হয়েছিল তোমার সন্তানদের মধ্য থেকে একমাত্র মুমিন ও সত্যনিষ্ঠরাই এ পদের অধিকারী হবে। জালেমদেরকে এ অধিকারী করা হবে না। এ ফরমানটি সামনে রেখে তিনি আবার যখন রিযিকের জন্য কেবলমাত্র নিজের মুমিন সন্তান ও বংশধরদের জন্য দোয়া করলেন তখন আল্লাহ জবাবে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিলেন যে, সত্যনিষ্ঠ নেতৃত্ব আর রিযিক ও আহার্য এক কথা নয়। দুনিয়ার রিযিক ও আহার্য মুমিন ও কাফের নির্বিশেষে সবাইকে দেয়া হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর স্মরণ কর যখন ইবরাহীম (আ.) দোয়া করলেন- হে আমার রব! এই শহরকে শান্তি ও নিরাপত্তার শহর বানিয়ে দাও। আর এ অধিবাসীদের মধ্য থেকে যারা আল্লাহ ও আখিরাতকে মানবে তাদেরকে সব রকমের ফলের আহার্য দান কর। জবাবে তার রব বললেন, আর যে মানবে না, দুনিয়ার গুটিকয় দিনের জীবনের সামগ্রী আমি তাকেও দিব। কিন্তু সব শেষে তাকে জাহান্নামের আযাবের মধ্যে নিক্ষেপ করবো এবং সেটি নিকৃষ্টতম আবাস।” (সূরা বাকারাঃ ১২৬)ইসলামের জন্ম পুঁজিবাদ বা সমাজতন্ত্র এর প্রতিক্রিয়ায় হয়নি। বরং ইসলাম ব্যক্তি ও সমাজের স্বার্থকে এক সাথে দেখে। এক দিকে ব্যক্তিকে তার সমৃদ্ধির উৎসাহ দেয়, অন্যদিকে ব্যক্তি সমাজের অংশ হিসাবে সমাজের অন্যদের সুখ ও সমৃদ্ধি সাধনের দায়িত্ব তার উপর অর্পণ করেছে। আর এটিই ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিটি মানুষের মধ্যে দায়িত্ব-কর্তব্যকে জাগিয়ে তোলে।রাসূল (সা.) বহুবার প্রতিবেশীদের সাথে সৌজন্য প্রদর্শনের উপর গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, “আল্লাহ তায়ালা প্রতিবেশীদের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন যে, মাঝে মধ্যে আমার মনে হয়েছে প্রতিবেশীদের হয়ত উত্তরাধিকারীর মর্যাদা দেয়া হতে পারে।” একটি সুস্থ সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো ভ্রাতৃত্ববোধ। এটি ছাড়া কখনো একটি সুস্থ-সুশীল সমাজ গঠিত হবে পারে না। আর ইসলামই একমাত্র এ ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত কর্মসূচি দিয়েছে। মুসলমানদের আল্লাহর পথে দান করার সাধারণ নির্দেশ দিয়ে তাদের অর্থসম্পদে সমগ্র সমাজ ও রাষ্ট্রের অধিকার কায়েম করেছে। এর অর্থ হচ্ছে মুসলমানকে দানশীল, উদার হৃদয়, সহানুভূতিশীল ও মানবদরদী হতে হবে। স্বার্থসিদ্ধির প্রবণতা পরিহার করে নিছক আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে প্রতিটি সৎকাজে এবং ইসলাম ও সমাজের বিভিন্ন প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্য ব্যয় করতে হবে। ইসলামী শিক্ষা ও অনুশীলন এবং ইসলামী সমাজব্যবস্থার সামষ্টিক পরিবেশ কায়েমের মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমানের মধ্যে এ নৈতিক বল সৃষ্টি করতে চায়। এ ভাবে কোন প্রকার বল প্রয়োগ ছাড়াই হৃদয়ের ঐকান্তিক ইচ্ছায় মানুষ সমাজ কল্যাণে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে। ইসলামী সমাজে মানবাধিকার সুসংহত রাখা প্রত্যেকের অপরিহার্য কর্তব্যরূপে চিহ্নিত হবে। এ ধরনের কর্তব্যবোধ একটি সমাজের সুস্থতার পরিচায়ক। যদি কোন সমাজে এর অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হয় তবে বুঝতে হবে সেখানকার পরিবেশ বিকৃত হয়ে গেছে। এবং সেখানকার অধিবাসীদের বিশ্বাস ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক ইবাদাতগুলোর মধ্যে শিথিলতা দেখা দিয়েছে। মুসলমানকে দানশীল, উদার হৃদয়, সহানুভূতিশীল, মানব-দরদী ও পারস্পরিক কল্যাণকামী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য তাওহীদসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক ইবাদতগুলো সামষ্টিকভাবে কাজ করে থাকে।তাওহীদ তথা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস থেকে ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ উদ্ভূত। প্রত্যেকেই এক আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এ বিশ্বাসী এবং প্রত্যেকেই এক আদাম (আ.) এর বংশদ্ভূত। কাজেই ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও সৌহার্দ ঈমানেরই অঙ্গ। ঈমানের এই ঐক্য মানুষের পার্থিব সকল কার্যকলাপকে সুসংহত এবং মানবাধিকারকে সুনিশ্চিত করে।নামাযঃ প্রতিদিন নামায ধনী-দরিদ্র, রাজা-ফকির সকলকে একই কাতারে একাকার করে মানুষে মানুষে ভেদাভেদকে নিশ্চিন্ন করে দিচ্ছে। সকলেই এখানে একই রাজাধিরাজের কাছে ভিক্ষার হাতকে প্রসারিত করে থাকে। যে রাজাধিরাজ কোন ব্যক্তির প্রভাব প্রতিপত্তি, বিশেষ মর্যাদা ও উঁচু নিচুর শ্রেণীবিন্যাস করে না। এবং তাকেও কোনো ব্যক্তি কখনো তার বিশেষ মর্যাদার প্রভাবে প্রভাবিত করতে পারেন না। এভাবে ভ্রাতৃত্বের বন সৃষ্টির জন্য নামাযই এক উপযুক্ত হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে। ভ্রাতৃত্বের এ প্রবল টানে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় সম্পদ বণ্টন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।যাকাতঃ যাকাত সমাজে বিরাজমান ব্যাপক পার্থক্য হ্রাসের একটি কার্যকরী ব্যবস্থা। সমাজের অধিবাসীরা একধারে নৈতিক, কল্যাণকামী এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন পরস্পরের বু। যেমন আল কুরআনের ঘোষণা “ঈমানদার পুরুষ এবং ঈমানদার স্ত্রীলোকেরাই প্রকৃতপক্ষে পরস্পর পরস্পরের দায়িত্বশীল বা সাহায্যকারী বু। এদের পরিচয় এবং বৈশিষ্ট্য এই যে, এরা নেক কাজের আদেশ দেয়, অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে, নামায কায়েম করে এবং যাকাত আদায় করে, আল্লাহ ও রাসূলের বিধান মেনে চলে। প্রকৃতপক্ষে এদের প্রতিই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন।” (সূরা তাওবাঃ ৭১) যাকাত মানুষকে দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণের মত অতুলনীয় চরিত্রের অধিকারী হিসাবে গড়ে তুলে।

    রোযাঃ রোযাদার নিজে ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত হওয়ার দরুন খুব ভাল করেই অনুভব করতে পারেন যে, আল্লাহর গরীব বান্দাহগণ দুঃখ ও দারিদ্র্যের মধ্যে কিভাবে দিনাতিপাত করে। তাছাড়া রোযা তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠন করে সামাজিক বনকে সুদৃঢ় করে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) রমযানে অন্যান্য সময় অপেক্ষা অধিক দয়ালু ও সহানুভূতিশীল হতেন। এ সময় কোন প্রার্থী তার দুয়ার হতে বঞ্চিত হতে পারত না।

    হজ্বঃ বিশ্বজনিন ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টির এক বিশেষ ট্রেনিং এ হজ্ব। কালো-ধলা, বর্ণ-বৈষম্যহীন এক বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে সকলেই একই পোশাকে মাত্র দু’টুকরো কাপড় পরিধান করে দীন-ভিক্ষুকের ন্যায় আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হয়। এখানেও কোন ব্যক্তি বা দেশের বিশেষ মর্যাদা ও উঁচু নিচুর শ্রেণীবিন্যাস করা হয় না এবং তাঁকেও কোন পরাশক্তি প্রতিপত্তির প্রভাবে প্রভাবিত করতে পারে না। মানবতার বু রাসূল (সাঃ) জীবনের শেষ হজ্ব অনুষ্ঠানে সোনার বাণী শুনিয়েছিলেন যে, “তোমরা সবাই ভাই এবং প্রত্যেকে সমান। তোমাদের কেউ অন্যের উপর বেশি সুবিধা বা মর্যাদা দাবি করতে পারবে না। একজন আরব অনারব থেকে বেশি মর্যাদাশীল নয় এবং একজন অনারবও আরববাসী থেকে অধিক মর্যাদাশীল নয়।” এভাবে হজ্ব ভ্রাত্বত্বের বন সৃষ্টি করে থাকে। হজ্ব মানুষের অধিকারকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও দেশের নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে আন্তর্জাতিক রূপদান করে থাকে।তাছাড়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, “তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি করো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরে শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তার অনুগ্রহ ও মেহেরবাণীতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। (তোমাদের অবস্থা এমনটি হয়েছিল যে) তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়েছেন। এভাবে আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহ তোমাদের সামনে সুস্পষ্ট করে তোলেন। হয়ত এ নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে তোমরা নিজেদের কল্যাণের সোজা পথ দেখতে পাবে।” (সূরা আলে ইমরানঃ ১০৩)ইসলামের আগমনের পূর্বে আরব অধিবাসীরা যে সব ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিল, সে দিকে দৃষ্টিপাত করলে একটি বিশৃংখল পরিবেশের চিত্র আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। মানবতা ও মানবাধিকার সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সামাজিক বন বলতে যা তার কিছুই সেখানে ছিল না। পারস্পরিক শত্রুতা, কথায় কথায় ঝগড়া বিবাদ এবং রাতদিন মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি ও যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে সমগ্র জাতি ধ্বংসের কবলে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এই আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হওয়া থেকে ইসলামই রক্ষা করেছিল। ইসলামের এ জীবন্ত অবদান তারা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করছিল। তারা ছিল পরস্পরে রক্তপিপাসু। ইসলামের বদৌলতে তারা পরস্পর মিলে একাকার হয়ে গিয়েছিল। এঁদের সম্পর্কে আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন, “মোহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। আর যারা তার সাথে আছে তারা কাফেরদের ব্যাপারে বজ্র কঠোর, নিজেরা পরস্পর দয়াপরাবশ।” (সূরা আল ফাতাহঃ ১৯)। হিজরত পরবর্তী আনসার মোহাজিরদের পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতা ও সহমর্মিতা পৃথিবীর ইতিহাসে উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে আছে। সে সমাজের অধিবাসীরা অন্যের অধিকার পালন করে পরম তৃপ্তি লাভ করত। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) মদীনা নামক ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে ঘোষণা করলেন আজ থেকে অমুসলিমদের জান-মাল আমাদের পবিত্র আমানত। মানবাধিকার বলতে যা বুঝায় এবং এটিকে যে ভাবেই সংজ্ঞায়িত করা হোক না কেন। ইসলাম ও মানবাধিকার শব্দ দুটি পরস্পরের সহোদরা বলতে পারি। ইসলাম ছাড়া অন্য কোন মত বা পথে এর নিশ্চিত ব্যবহার হতে পারে না।পুঁজিবাদে মানবাধিকারঃ ব্যক্তি তার সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিক। সে তার সকল উপায়-উপাদান স্বাধীনভাবে ব্যবহার করার সীমাহীন অধিকার ভোগ করে। বৈধ অথবা অবৈধ পথে আয় এবং ব্যয় করার অধিকার তার রয়েছে।তার সম্পদে অন্যের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। অথচ আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে ঘোষণা করেছেন, “তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।” (সূরা আল জারিয়াহ্‌­ ১৯) পুঁজিবাদের সংজ্ঞাতেই মানবাধিকারকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাই আলোচনা এখানেই ইতি টানা যেত। কিন্তু সামনে বাড়তে হচ্ছে এ জন্য যে, পুঁজিবাদ মানুষের অধিকারকে বঞ্চিত করেও তো ক্ষান্ত হয়নি বরং পুঁজিবাদীরা সমাজের নিম্ন আয়ের লোকদের অবশিষ্ট সামান্য সম্পদটুকুও সুদের মাধ্যমে চুম্বকের ন্যায় চুষে নেয়। পুঁজিবাদীদের শোষণের প্রধান হাতিয়ার হলো সুদ। যে সমাজে এ মরণ ব্যাধি সুদ প্রচলিত, সে সমাজের বাহ্যিক রূপ দেখে যতই সুস্থ ও সুন্দর মনে হক না কেন, ভেতরে ভেতরে কাঠ কীট কুরে কুরে সে সমাজটিকে তুষ করে দিচ্ছে। বর্তমান বিশ্বের আধুনিক রাষ্ট্রগুলো তার সাক্ষী। সে সব সমাজের মানুষগুলোর সামাজিক বন খুব নড়বড়ে। এর প্রধান কারণ হলো সুদ। সুদখোর ব্যক্তি টাকার পিছনে পাগলের মতো ছুটে ভারসাম্যহীন ব্যক্তিতে পরিণত হয়। নিজের স্বার্থপরতার মাত্রা এতটুকু বৃদ্ধি পায় যে, সে তখন পৃথিবীর কোন কিছুই পরোয়া করে না। তার সুদখোরীর কারণে এক পর্যায়ে মানবিক প্রেম-প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতির মাত্রা শূন্যের কোটায় নেমে আসে। তখন সে তার নিজের লোককেও চরম বিপদের সামনে বিনা সুদে ধার দিতে কুণ্ঠাবোধ করে। সুদ তাকে এতটুকু অ করে তুলে যে, জাতীয় সামষ্টিক কল্যাণের উপর কোন ধ্বংসকর প্রভাব পড়লো এবং কত লোক দুরবস্থার স্বীকার হলো এসব বিষয়ে তার কোন মাথাব্যথাই থাকে না। এ ব্যক্তি সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, “যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মত যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এ অবস্থায় উপনীত হওয়ার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলে, ব্যবসা তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।” (সূরা বাকারাঃ ২৭৫)এ সমাজে ধনী ও গরীবের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য সৃষ্টি হয় এবং সম্পদ গুটিকয়েক ব্যক্তি বা পরিবারের হাতে কুক্ষিগত হয়। সুদ একটি নিষ্ঠুর জুলুম ছাড়া আর কিছু নয়। ঋণ গ্রহীতা তার শ্রম, মেধা, সময় ব্যয় করে লোকসান করলেও তাতে ঋণদাতার কিছুই যায় আসে না, পূর্বনির্ধারিত হারে সুদ ও আসল তাকে পরিশোধ করতেই হবে। এটি একটি নিদারুণ জুলুম।সমাজতন্ত্রে মানবাধিকারঃ পুঁজিবাদের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট আর এক জুলুমতন্ত্রের নাম সমাজতন্ত্র। যেখানে মানুষের ব্যক্তি মালিকানা খর্ব করে তার সকল উপায়-উপাদান ও যোগ্যতার উপর সামাজিক বা রাষ্ট্রের নিরংকুশ মালিকানা স্থাপন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সমাজতন্ত্র একটা পশুর খোয়াড়ের ন্যয়। পশুর যেমন কোন সহায় সম্পদ থাকে না, থাকে না কোন ব্যাংক ব্যালেন্স, সারাদিন মাঠে ময়দানে শুধুমাত্র পেটের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী ভক্ষণ করে আবার খোয়াড়ে ফিরে আসে। এ ধরনের দেশের লোকগুলো তেমনি একটি বড় সাইজের মেশিনের বিভিন্ন কলকব্জার ন্যায় বাকহীন জড় পদার্থ অংশমাত্র। ব্যক্তি নিজের প্রতিভা, গুণাবলী ও বৃত্তি প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভোগ করতে পারে না। সুতরাং মানবতার কল্যাণ বা মানুষের অধিকারকে সুসংহত ও সুনিশ্চিত করার জন্য ইসলাম ও কুরআনের সুমহান ছায়াতলে বিশ্ববাসীকে ফিরে আসতে হবে।আমাদের এই পৃথিবীতে হাজারো জীবের বসবাস। তার মধ্যে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। অন্যদিকে মানুষ নিঃসঙ্গ বসবাস করতে পারেনা। একত্রে বসবাস করা মানুষের সহজাত প্রবৃদ্ধি। এই জন্য জীবন ধারণ ও বেঁচে থাকার জন্য মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। সমাজ বহির্ভূতকে মানুষ ভাবা যায় না। মূলত জন্ম মৃত্যু ও কর্ম সবলই সমাজ জীবনের অভিব্যক্তি। পবিত্র আল কুরআনের মতে: যেদিন আদম হাওয়ার সৃষ্টি সেদিন মানব সমাজের সৃষ্টি।এই সমাজ পরিচালনায় ইসলাম কিছু নীতিমালা বেঁধে দিয়েছে। যাকে ইসলামী সমাজতন্ত্র বলা হয়ে থাকে। ইসলামী সমাজতন্ত্র:ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কুরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে পরিচালিত সমাজের নীতিমালাকে ইসলামী সমাজতন্ত্র বলা হয়ে থাকে। মূলত রাসূল (সঃ) এর মক্কী জীবনেই ইসলামী সমাজতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে অতঃপর সাহাবায়ে কেরামের বিভিন্ন দেশে ইসলাম প্রচার করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক ভাবে তা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় উপমহাদেশে রাসূল (সঃ) এর সময়ে একদল আরব নাবিক মালাবার উপকূলে বাণিজ্য উপলক্ষে আগমন করেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের কিছু স্থানে ইসলামী সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠ করেন।বাংলাদেশে সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে ইসলামী সমাজতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপিত হয়। অতঃপর ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

    ইসলামী সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য:ইসলামী সমাজতন্ত্রকে বিশ্লেষণ করলে এর অনেকগুলো নীতিগত বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যেমন:১. একতা: একতা হলো ইসলামী সমাজতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ইসলামী সমাজবদ্ধ মানুষ সর্বদা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। কেননা ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাসের ফলে সমাজের উন্নয়ন সাধন হয়, সমাজে খারাপ কিছু প্রবেশ করে সমাজকে ধ্বংষ করার স্পর্ধা দেখাতে পারে না।২. সংঘবদ্ধতা:সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করা ইসলামী সমাজতন্ত্রের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ সবাই একই সংঘের আওতায় এসে শান্তি সুখের সমাজ গড়ে তোলে।৩. সামাজিক সম্পর্ক:সমাজ সামাজিক সম্পর্কের নিবিড় বন্ধন। প্রত্যেক ব্যক্তি কোন না কোন সমাজের সদস্য। ফলে এ সম্পর্কে মানুষকে সমাজের আওতাভূক্ত করে রাখে।৪. স্থায়িত্ব:মানব সভ্যতার আদিতে সমাজ ছিলো, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ইসলামী সমাজতন্ত্রে সমাজের স্থায়িত্ব স্বাভাবিক রাখতে অবদান রাখে।৫.সামাজিক মূল্যবোধ:ইসলামী সমাজতন্ত্র সামাজিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে সমাজ উন্নয়নে সকল মানুষকে একত্রিত করে এবং নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেয়।৬. সহযোগিতা:ইসলামী সমাজতন্ত্রে সহযোগিতা অন্যতম একটি বিষয়। নিঃস্বার্থ সহযোগিতায় ইসলামী সমাজতন্ত্র ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যেমন: ইসলামী সমাজতন্ত্রে সুদ-ঘুষ হারাম করা হয়েছে।৭. সামাজিক মূল্যবোধ:ইসলামী সমাজতন্ত্র সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এটি ইসলামী সমাজতন্ত্রের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।

    ইসলামী সমাজতন্ত্রের উদ্দেশ্য:ইসলামী সমাজতন্ত্রের নানাবিধ উদ্দেশ্য রয়েছে। তার মধ্যে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সমাজ পরিচালনা এবং জনকল্যাণ হলো ইসলামী সমাজতন্ত্রের প্রধান উদ্দেশ্য। ইসলামী সমাজতন্ত্র মানুষের কল্যাণ সাধন, সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে।

    ইসলামী সমাজতন্ত্রে মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:ইসলামী সমাজতন্ত্রে মুসলমানদের উপর বেশ কিছু দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। যেমন: ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণ, সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ, অন্যায়ের প্রতিবাদ, ঐক্যবদ্ধ থাকা, আল্লাহর পথে আহ্বান, সুদ ব্যবস্থার উচ্ছেদ, ঘুষ বন্ধ করা, কালোবাজারি বন্ধ করা, জুলুম বন্ধ করা, পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতা, সমাজের উন্নয়ন সাধন, শিক্ষার মর্যাদা প্রদান, রোগীর সেবা, অমুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।

    ইসলামী সমাজতন্ত্রে মুসলিম চরিত্র:চরিত্র কথাটি ক্ষুদ্র হলেও এর অর্থ বেশ ব্যাপক।আর মানব জীবনের ছোট-বড় সবকিছুই চরিত্রের অন্তর্ভূক্ত। তাই মানবজীবনের সকল ক্ষেত্রেই উত্তম চরিত্র গঠনে ইসলামী সমাজতন্ত্র গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।মানব রচিত ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ জড়বাদী এবং প্রয়োগবাদী দর্শন দ্বারা পরিচালত হওয়ার ফলে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিক সম্বন্ধে চিরস্থায়ী সত্য বলে কোন কিছু নেই। ফলে মানব রচিত এই সমাজতন্ত্র মানব চরিত্রে ময়লা লেপন করে। তাই সচেতন মহল যুগে যুগে ইসলামী সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে আসছেন।

    ইসলামী সমাজতন্ত্র ও আধুনিক সমাজতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য:আল্লাহর দাসত্বের চেতনাবোধ থেকে যে সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা তাকে ইসলামী সমাজতন্ত্র বলে। অন্যদিকে, বিশেষ কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মানব রচিত সমাজ ব্যবস্থাকে আধুনিক সমাজতন্ত্র বলা হয়ে থাকে।তাই আদর্শিক দিক থেকে উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যামান।সমাজতন্ত্রের প্রভাবে মানব সমাজ সামজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়। মানব রচিত সমাজতন্ত্র সমাজের প্রকৃত উদ্দেশ্য হাসিল করতে ব্যার্থ হয় এবং ইসলামী সমাজতন্ত্রই সমাজের সকল প্রকার উন্নয়ন এবং মানব উন্নয়নে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় মানুষ সস্তা জনপ্রিয়তা লাভের অসৎ উদ্দেশ্যে ইসলামী সমাজতন্ত্রকে অবহেলা করে মানব রচিত সমাজতন্ত্রের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে এবং বরাবরই তারা হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছে না। সুন্দর সমাজ গঠনে, সমাজ পরিবর্তনে ইসলামী সমাজতন্ত্রের বিকল্প নেই।
  • কল্লোল | 111.63.74.165 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:১০656917
  • "ইসলামে মানবাধিকারঃ পৃথিবীর সমুদয় সম্পদের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। মানুষ এর ট্রাস্টি মাত্র। তাই এ সম্পদে সকলের অধিকার সমভাবে স্বীকৃত। আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে এটির ঝড়ষব অমবহঃ হিসাবে নিযুক্তি দেননি। এমনকি যারা মহান প্রভুকে বিশ্বাস করে ও মানে তাদেরকেও না। বরং যারা তাঁকে বিশ্বাস করেনা ও স্বীকৃতি দেয়না তাদেরও সমধিকার রয়েছে।"

    আমরা নাস্তিকেরা কি আরবের তেলের টাকাপয়সার ভাগ পাবো?

    আরব দেশগুলোতে কাজ করতে যাওয়া বিদেশী মজুরেরা তো ভাগ পায় না বলেই জানি! ঐ যে কাতারের নেপালী নির্মান শ্রমিকদের কথা পড়লাম যে!!
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:১২656928
  • "আল্লাহর দাসত্বের চেতনাবোধ থেকে যে সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা তাকে ইসলামী সমাজতন্ত্র বলে।"

    একটা বিনীত প্রশ্ন ছিল। আমি কারুর দাসত্ব মানতে চাইনা। তাহলে কি আমি এই ব্যবস্থায় জায়গা পাবো না?
  • ranjan roy | 24.96.97.209 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:১৪656939
  • কী ভালো ভালো কথা!
    একতা ও স্থায়িত্বঃ
    ১)তাহলে শিয়া-সুন্নী দাঙ্গা হয় কী করে?
    ২)শিয়া-সুন্নী-ওয়াহাবি-বরেলভি এরা একে অন্যের ইবাদতখানায় মসজিদে প্রবেশ করতে পারে না কেন?

    সুদঃ
    কাবলিওয়ালারা সুদে টাকা ধার দেয় কেন?

    মানবাধিকারঃ
    ১)তালিবানি-বোকো-হারাম ও আইসিস নিরীহ সিভিলিয়ানদের বর্বরভাবে হত্যা করছে কেন?
    ২) তালিবান মেয়েদের শিক্ষার বিরোধী কেন?
    ৩) যদি পুরুষের একাধিক নারী বৈধ হয় তো নারীর একাধিক পুরুষ বৈধ নয় কেন?
  • রাজু | 106.47.226.22 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৪৯656950
  • অ্যাতো প্রশ্নের একসাথে উত্তর দিই কি করে? শেষ থেকে অল্প অল্প করে লিখবো।

    @ranjan roy

    একটূ জেনেশূনে কথা বলা উচিত। পুরুষের একাধিক নারী বৈধ নয়। একটিও বৈধ নয়। পুরুষের একাধিক নারীকে "বিবাহ" করা বৈধ। তাও সেটা তখনই বৈধ যখন সে সকল স্ত্রীদের প্রতি সমান আচরণ করতে পারবে। সকল স্ত্রীর ভরণপোষণ করতে পারবে। ভরণপোষণ করার ক্ষমতা না থাকলে রোজা রেখে কামপ্রবৃত্তি দমন করতে হবে, তার জন্য গোটা বিবাহ বিষয়টিই হারাম হয়ে যাবে। সমান আচরণ করতে না পারলে একাধিক বিবাহ হারাম হয়ে যাবে, একটিই বিবাহ যায়িজ থাকবে।
  • রাজু | 106.47.226.22 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৫২656961
  • @dc

    আমারও আপনাকে একটা প্রশ্ন আছে, কারও না কারও কাছে দাসত্ব না মানতে চাইলে পৃথিবীতে এমন কি কোনও ব্যবস্থা আছে যা আপনাকে জায়গা দিতে সম্মত হবে? আমরা মানুষের দাসত্ব করার বদলে আল্লাহর দাসত্ব করার প্রস্তাব রেখেছি। আল্লাহর দাসত্বে ইনসাফ আছে, ধোঁকাবাজি নাই। মানুষের দাসত্বের ক্ষেত্রে বিষয়টি উলটো।
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:০২656972
  • রাজুবাবু, দাসত্ব বলতে যা বুঝি তা ডেমোক্রাসিতে প্রায় নেই বললেই চলে। যেমন ইউরোপের অনেক দেশ, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, এইসব জায়গা। এসব দেশে মোটামুটি ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে, বাক স্বাধীনতা আছে, আমি আমার মত খোলাখুলি প্রকাশ করতে পারি। আমি কারুর দাসত্ব স্বীকার করার থেকে এরকম ডেমোক্রাসি প্রেফার করব।

    "আল্লাহর দাসত্বে ইনসাফ আছে, ধোঁকাবাজি নাই" - অতি বিনীত ভাবে বলতে চাই, ডেমোক্রাসি কোর্ট অফ ল আছে, সেখানে অনেকেই বিচার পায়। সবসময়ে যে ধোঁকাবাজি হয় তা নয়। কিন্তু আজ পর্য্যন্ত এমন কাউকে দেখিনি যাঁকে আল্লাহ ইনসাফ দিয়েছেন। এরকম কোন ব্যক্তি আপনার চেনা থাকলে একটু বলবেন, তাঁকে টেলিভিশন ওলা আর খবরের কাগজওলাদের কাছে হাজির করিয়ে বলবো এনাকে আল্লাহ ইনসাফ দিয়েছেন।
  • রাজু | 198.138.17.15 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:০৩656983
  • আর যারা আইসিস আর বকুহারামের মতো দুসমনদের মুসলিম বলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন তাদের জন্য ফেছবুকে আমার একটি দাঁতভাঙা জওয়াব দেওয়া পোস্ট এখানে দিচ্ছি-
    -------------------------------------------------------------------------------
    বিশ্বের দুটি কুখ্যাত ডাকাত দল বকুহারাম ও আইসিসকে দ্যাখিয়ে অনেকে মুসলিমদের বদনাম দিচ্ছে। সেই মূর্খদের বলছি, বকুহারাম ওহাবী, আইসিস সালাফী। আর এদের ইতিহাসই আমি এখন বলবো।

    যখন সকল ওলীআল্লাহ মাশায়িখ উনারা থাকতেন আরবের হেজাজ প্রদেশে (মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফ), তখন দুর্ধর্ষ ডাকাত পরিবাররা থাকতো আরবের নজদ প্রদেশে। ইবনে ওহাব নজদীর জন্ম আরবের নজদ প্রদেশের অন্তর্গত উয়াইনা অঞ্চলের তামিম গোত্রের বানু সিনান বংশে। হাম্বলী মাযহাবপন্থী হক্কানী আলিম পিতার ঘরে লালিত-পালিত হলেও পরিণত বয়সে সে নিজেকে খাঁটি আলিম দাবি করে নানারূপ নতুন আক্বীদা পোষণ ও প্রবর্তন করতে আরম্ভ করে এক নব্য ফিরকার সৃষ্টি করে সেটার ইমাম সেজে বসে। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এর তৎকালীন আলিম উলামাগণ এমনকি স্বয়ং তার পিতা-ভ্রাতা এই নব্য ভ্রান্ত গোলযোগ সৃষ্টিকারী বদআক্বীদার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করে তাকে বিশেষভাবে অপদস্থ ও অপমানিত করেন।

    এরপরও পুনঃশক্তি সাহস সঞ্চয় করে ইবনে ওহাব নজদী তার নব্য ফিতনাকে অব্যাহত রাখলো কিভাবে- তারই অজানা রহস্য প্রকাশ পেয়েছে তৎকালীন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের "Confession of a British Spy and British enmity against Islam" নামক গ্রন্থে। এই বইতে হেমপার লিখেছে-

    ---------------------------------------------------------------------------------
    “ঐ সময়ই ইবনে ওহাব নজদীর বিভ্রান্তিকর স্বভাব চরিত্র দেখে তাকেই আমাদের (ইহুদী-নাছারাদের) ইচ্ছা পূরণের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বলে মনোনীত করি। এক পর্যায়ে তাকে গোপনে মদ্যপানে অভ্যস্ত করি এবং মুতা বিবাহেও আবদ্ধ করি”(নাঊযুবিল্লাহ)

    অতঃপর চতুর ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার লিখেছে-

    "আমি খুব খুশি এবং নিশ্চিন্ত ছিলাম এই কারণে যে, নৈতিকভাবে অধঃপতিত এবং মূর্খ ইবনে ওহাব নজদী একটা নতুন ফিরকা তৈরি করতে যাচ্ছে। যা ইসলামকে ভিতর থেকে ধ্বংস করে দেবে এবং আমি (হেমপার) হচ্ছি নতুন ফিরকার উত্তরাধিকার সৃষ্টির রূপকার"
    -----------------------------------------------------------------------------------

    আজ যাতে চক্রান্তকারীরা এইভাবে ডাকাত বংশের উত্তরসূরী ভ্রান্ত ওহাবী আক্বিদাদের দ্যাখিয়ে পুরা মুসলিম উম্মাহকে বদনাম দিতে পারেন সেইটারই স্বপ্ন দেখেছিলো ইয়াহুদি-নাছারা গুষ্টি এবং ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। আবদুল ওয়াহাব নজদী এবং তার অনুসারী উলামায়ে ছূ গুষ্টি (যারা দ্বীনের বিনিময়ে দুনিয়া ক্রয় করে) তাই আজ আখেরি জামানায় সুন্নী মুসল্লীদের সবচেয়ে বড়ো শত্রু হিসাবে আবির্ভূত।
  • সিকি | 125.249.13.82 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:০৮656994
  • বাকিরা বুঝতে পারছেন কিনা জানি না - এটি তানিম। এর আগে এর খোলা টইটি হয় তো সবার মনে থাকবে - রবিঠগ সংক্রান্ত। তাই সবাইকে বলছি, জেনেবুঝে এর সাথে তর্কে জড়াবেন।

    ও হ্যাঁ, অদিতি ফাল্গুনীকে যারা হুমকি দিয়েছে বা ফতোয়া জারি করেছে তাকে মারার ব্যাপারে, সেই মৌলবাদী গ্যাংয়ের একজন হচ্ছে এই তানিম। হয় তো এখানে সেটা স্বীকার না-ও করতে পারে।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:১০656838
  • @রাজু,
    আপনি লিখলেন "সেটা তখনই বৈধ যখন সে সকল স্ত্রীদের প্রতি সমান আচরণ করতে পারবে। সকল স্ত্রীর ভরণপোষণ করতে পারবে। ভরণপোষণ করার ক্ষমতা না থাকলে রোজা রেখে কামপ্রবৃত্তি দমন করতে হবে, তার জন্য গোটা বিবাহ বিষয়টিই হারাম হয়ে যাবে।"
    তো প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই "সকল স্ত্রীদের প্রতি সমান আচরণ " ব্যাপারটা কি আদৌ সম্ভব? তারপর "রোজা রেখে কামপ্রবৃত্তি দমন" মানে? পুরুষ কি কামপ্রবৃত্তি উপশমের জন্যে বিবাহ করে নাকি? আবার লিখেছেন, "সকল স্ত্রীর ভরণপোষণ করতে পারবে" - অর্থাৎ টাকা পয়সা, খাবারদাবার, কাপড়চোপড়, তাই তো?
    ঠিক এই ব্যাপারগুলো ই কোনো মেয়ে যদি করে? একাধিক পুরুষকে বিবাহ করে, সমান ভরণপোষন, সমান আচরণ এবং তার অন্যথায় কামপ্রবৃত্তি দমন?
  • সে | 188.83.87.102 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:১৪656849
  • ঠিক আছে তানিম। কোনো প্রশ্ন নাই।
  • রাজু | 47.220.35.61 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:১৯656860
  • আব্রাহাম লিংকন নামক ব্যক্তির প্রচলিত ডেমোক্রেসী নামক কুফরী আক্বিদার বিষয়ে একটি বিখ্যাত কথা বলেছিলেন আযাদ কাশ্মির যিহাদের একজন ভূতপূর্ব কমান্ডার, সেটা উদ্ধৃত করলে মনে হয়না আর আমার বিশেষ কিছূ অতিরিক্ত বলার দরকার হবে এ ভূয়া সিস্টেমটি সম্পর্কে।

    "দেখুন, গণতন্ত্রের দর্শন হলো গভর্ণমেন্ট অফ দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল, অ্যান্ড বাই দ্যা পিপল। আমরা মনে করি এই কথাগুলো সঠিক নয়। এর মাধ্যমে একজন সৎ ব্যক্তির সঙ্গে একজন জঘন্য ব্যক্তির পার্থক্য থাকে না। গণতন্ত্রে একজন বুজুর্গ শায়খুল হাদীসের যে মূল্য, একজন জঘন্য জাহেল ব্যক্তিরও সেই মূল্য। বাস্তবে তা হতে পারে না, এইটা প্রকৃতিরও খেলাফ। জন্মগতভাবে যদিও সবাই সমান, কিন্তু তাক্বওয়াহ বলে একটা বিষয় আছে। তাক্বওয়াহ হলো আল্লাহর ভয়। তাই একজন পরহেজগার ব্যক্তির সমান একজন পাপিষ্ঠ হতে পারে না। এই জন্য এই গণতন্ত্রে আমরা বিশ্বাসী নই। এইটা ইসলামী দর্শনকে অবদমিত করে রাখার জন্য ইয়াহুদী-খ্রীষ্টানদের একটি কৌশল। যেখানেই গণতন্ত্র দেখবেন সেখানেই পাবেন শুধু ধোঁকা আর ধোঁকা। ইসলাম কোনও প্রকার ধোঁকাকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না"

    অতঃপর গণতন্ত্রের ধোঁকাবাজির বদলে সমাজতন্ত্রই যে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং মজলুম মানুষের জন্য যে সমাজতন্ত্রই উপযূক্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
  • রাজু | 47.220.35.61 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:২০656882
  • @সিকি- আপনারা ইচ্ছামত যা খুশী প্রচার করতে পারেন। প্রমাণ নাই। আমি সাধারণ মানুষকে হূমকি দেই না। বরং সাধারণ মানুষের তরফে হূমকি দেই সাম্রাজ্যবাদী জমিদার গূষ্টীকে।
  • Arpan | 181.78.225.236 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:২০656871
  • উফ। নির্মল নির্মল।
  • সিকি | 125.249.13.82 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:২২656893
  • তানিম, খিদে পেলে জানিও।
  • Du | 230.225.0.38 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩২656904
  • মেয়েদের এবং বাকী পশুদের কে সৃষ্টি করেছেন? তাদের কর্তব্য কি আর তাদের মৃত্যুর পরে কি পাবার আছে?
  • Arpan | 181.78.225.236 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৩656915
  • তা রাজুবাউ খাগড়াগড়ে লিশ্চয় আপনাগো সঙ্গীসাথীরা ইস্লামিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করনের লিগ্যা বোমা বানাইতেসিলো?
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৩656914
  • "আব্রাহাম লিংকন নামক ব্যক্তির প্রচলিত ডেমোক্রেসী"

    রাজু, অতি বিনীতভাবে জানাতে চাই যে পোস্টটা শুরু করলেন একটা ভুল তথ্য দিয়ে। ডেমোক্রাসি বেশ কয়েক হাজার বছর আগে গ্রীস দেশে শুরু হয়েছিল, আব্রাহাম লিংকন এর প্রচলন করেন নি।

    "এর মাধ্যমে একজন সৎ ব্যক্তির সঙ্গে একজন জঘন্য ব্যক্তির পার্থক্য থাকে না।"

    অতি বিনীতভাবে জানাতে চাই, ডেমোক্রাসির মানেই বোঝেননি। ডেমোক্রাসিতে নিশ্চয়ই ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য করা হয়। ইন ফ্যাক্ট প্রত্যেক ইন্ডিভিজুয়াল ব্যক্তিকে তার মতো করে বাঁচার অধিকার দেওয়া হয়। সংঘবদ্ধতা বা হার্ড মেন্টালিটির উল্টোদিকেই জোর দেওয়া হয়, ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর জোর দেওয়া হয়।

    "কিন্তু তাক্বওয়াহ বলে একটা বিষয় আছে। তাক্বওয়াহ হলো আল্লাহর ভয়।"

    অতি বিনীতভাবে জানাতে চাই, ডেমোক্রাসিতে কাউকে ভয় দেখানো হয়্না। আমি যদি এই ভয় না পেতে চাই তো কেউ এসে বলতে পারেনা যে তাক্বওয়াহ বলে একটা বিষয় আছে।
  • সিকি | 125.249.13.82 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৮656918
  • এইবারে ডিসিকে বেস্ট অফ লাক। :)
  • Tim | 188.91.253.22 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৮656916
  • Riddikulus

    ন্যান আফনাদের লিগ্যা স্পেশাল স্পেল
  • রাজু | 101.121.169.33 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪০656920
  • ইসলামী সোশ্যালিজম গর্ব করে মিশরের মহামতি গামাল আবদেল নাসের উনাকে নিয়ে, ইসলামী সোশ্যালিজম গর্ব করে লিবিয়ার মহামতি গাদ্দাফী ছাহিব উনাকে নিয়ে, গর্ব করে বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী রহঃ উনাকে নিয়ে, গর্ব করে জননেতা শেখ মুজিবর রহমান উনাকে নিয়ে এবং সবার উপরে গর্ব করে সকল নবীর সেরা নবী, সকল নেতার সেরা নেতা, সকল ওলীর সেরা ওলী, সকল ছূফীর সেরা ছূফী আমার দয়াল নবীজি হুযূর পাক ﷺ উনাকে নিয়ে।

    মজলুম ও দরিদ্র মানুষ তো এমনি এমনি উনাদের এতো পছন্দ করে না। পুঁজিবাদী জমিদার গূষ্টীও উনাদের সাথে এমনি এমনি দুসমনী করে না। কারণ নিশ্চই আছে।
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪০656919
  • "পুরুষের একাধিক নারীকে "বিবাহ" করা বৈধ। তাও সেটা তখনই বৈধ যখন সে সকল স্ত্রীদের প্রতি সমান আচরণ করতে পারবে। সকল স্ত্রীর ভরণপোষণ করতে পারবে।"

    রাজু, বিনীত ভাবে একটি প্রশ্ন করতে চাই। একজন নারী একাধিক পুরুষকে বিবাহ করতে চাইলে, সকল স্বামীর প্রতি সমান আচরন করতে চাইলে আর সকল স্বামীকে ভরণপোষণ করতে পারলে ইসলামী সমাজতন্ত্র কি সেই নারীকে অনেকগুলো বিবাহের অধিকার দেবে?
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪১656922
  • রাজু, কে কাকে নিয়ে গর্ব করে সেটা তার ব্যাপার।
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪১656921
  • সিকি :p আজ একটা বোনাসের খবর পেয়েছি, তাই একটু আনন্দে আছি :d
  • সিকি | 125.249.13.82 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৬656924
  • মাইরি একটা নামও শুনি নি। আর এই দয়াল নবীজি হুজুর, থুড়ি, হুযুর ভদ্রলোকের নাম কি বাংলায় ল্যাখা যায় না? লিখলে আল্লাহকাকু এসে হালুম করে ভয় দেখায়?
  • রাজু | 101.121.169.33 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৬656923
  • নারী আন্দোলন জাতীয় বিষয় এবং ফেমিনিজমকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারবো না। ফেমিনিজমের আন্দোলনটা আসলে সমাজের সেই ১০% মানুষের আন্দোলন যারা ৯০% সম্পদের মালিক হয়ে বসে আছে। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফা এই কারণেই সমকামীতাকেও "এলিটিসিজম" বলেছিলেন। মানুষের খাওয়াপরার ইনসাফ নাই, অথচ যৌনতাটা পুরাদমে চাই। কারা এটা চায়? যে ১০% এলিট হিন্দু জমিদার গূষ্টী (আবার ৯০% সম্পদের মালিক এরাই) এই জাতীয় ভূয়া আন্দোলন করে তাদের আন্দোলন সফল হলো কি ব্যার্থ হলো তা দিয়ে যে ৯০% এর কিছূই যায় আসে না সেটা কি তারা জানে? বা জানলেও কি কেয়ার করে?

    নাহ!

    আসলে পেট ভর্তি থাকলে নারীর চার বিয়ে ক্যানো, আরও হাজার রকম উদ্ভট দাবিদাওয়া মাথায় আসে।
  • সিকি | 125.249.13.82 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৭656926
  • এই ত্তো। হিন্দু জমিদার "গূষ্টী" এসে গেছে, এইবারে রবিঠগ এল বলে। তানিম আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গরুর রচনায় ঢুকবে।

    ঢংঢংঢং।
  • শ্রী সদা | 113.19.212.22 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৭656925
  • এই থ্রেডটা যত পড়ছি তত মনের মধ্যে ঘুরে ঘুরে আসছে সেই আদি অনন্তকালের চিরন্তন মহাপ্রশ্ন - হু গিভস ? হু ?
  • Tim | 188.91.253.22 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৮656929
  • একি ৯৫-৫ থেকে ৯০-১০ হয়ে গেল কবে? ! এতো অবক্ষয়?
  • সিকি | 125.249.13.82 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৮656927
  • ঐ আল্লাই দেয় ;-)

    মাইরি এইসব ঝাঁটবাল পড়ে লোকে কী করে এইসবের প্রতি অনুরক্ত হয়ে যায়? জাস্ট আমার বুদ্ধির অতীত। যত পড়ছি তত মোজা জ্বলছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন