এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • আমাদের এই আশ্চর্য্য মহাজগৎ

    tan
    বইপত্তর | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ | ২৬১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • tan | 131.95.121.127 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ০৪:৩৮669549
  • সম্প্রতি একটা খুব ভালো বই পড়ছি, ব্রায়ান গ্রীনের "দ্য ফেব্রিক অব দ্য কসমস"।জটিল বিজ্ঞান যে এত উপভোগ্য করে এত সরলসহজ ভাষায় লেখা যায়,আগে এরকম ভাবে আর দেখিনি।অত্যন্ত সুলিখিত বই।লেখক নিজে ম্যাথ আর ফিজিক্সের প্রফেসর,কলাম্বিয়া ইউনিতে। ভদ্রলোক সুপারস্ট্রিং থিওরিতে বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন। অথচ লেখার ভঙ্গী দেখে মনে হয় একদম বন্ধুর মতন বলে যাচ্ছেন।এনার আগের পপুলার সায়েন্সের বই দ্য এলিগ্যান্ট ইউনিভার্স মারাত্মক জনপ্রিয় হয়েছে।
    মনে হলো এই ফেব্রিক থেকে ঠিক অনুবাদ নয়(সরাসরি অনুবাদ ভালো লাগবে না,কারণ এদের টিভি সিরিয়ালের অনেক জিনিস উনি উদা হিসাবে দিয়েছেন,যা অনেকের অচেনা লাগবে)কিছু কিছু জিনিস এমনি নিজের মতন এখানে সুতো বানিয়ে লিখে গেলে কেমন হয়? হয়তো তেমন কিছুই হবে না,কারণ এনার 0.001% লেখার হাতও নেই আমার, তবু...ইচ্ছে করে...

  • Pallab | 59.93.242.11 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ০৪:৩৮669560
  • হুম! :)
    আস্‌চর্জ হত্যিই আইস্‌চর্জ!!
    তাপ্পর?

  • Pallab | 59.93.242.11 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ০৪:৫৯669571
  • যা ব্বাব্বা। শুধু ইচ্ছে? লেখাটা কই?
  • tan | 131.95.121.127 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ২১:৫৪669582
  • খুব ভালো একটা এক্সপেরিমেন্ট আর তার নানা ভার্সনের কথা লিখেছেন।এতে ওয়েভ পার্টিকল ডুয়ালিটির ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়।
    এক্সপেরিমেন্ট অনেকটা এরকম, একটা লেজার থেকে একটা একটা করে ফোটন নি:সরণ করা হচ্ছে,এই ফোটন বীম গিয়ে একটা বীম সি্‌প্‌লটারে পড়ে দুইপথে চলে যাবার সম্ভাবনা পাচ্ছে,হয় ডাইনে নয় বামে।দুটোকেই আয়না দিয়ে রেফ্লেক্ট করে দূরে স্ক্রীনে ফেলা হচ্ছে,দেখা যাচ্ছে ইন্টারফিয়ারেন্স প্যাটার্ণ তৈরী হচ্ছে।যেমন হবার কথা একই ফোটন দুইপথে গেলে,মানে ওয়েভ নেচার নিজেকে প্রকাশ করছে।
    এইবার ঐ দুই পথে দুইখানা ফোটন ডিটেকটার সেট করা হলো,যাতে ফোটন গেলেই কাউন্ট করে, না গেলে না।এতেই মজা,দেখা গেলো ডিটেকটেড হওয়ার পরে আর তো ইন্টারফিয়ারেন্স প্যাটার্ণ দেখায় না! ঠিক কনাধর্মীতা দেখায়! ঠুক ঠুক করে এসে স্ক্রীনে পড়ে,কোনোরকম ব্যতিচার নক্সা নাই আর! মহা আশ্চর্য! ব্যাটা ফোটন জানলো কিকরে কখন কোনটা প্রকাশ কত্তে হবে? সেতো অনেক আগেই বীম সি্‌প্‌লটার পার হয়ে গেছে!
    তখন দুই ধুরন্ধর বৈজ্ঞানিক করলেন কি, ঐ ডিটেকটারে ট্যাগ দেবার ব্যবস্থা করলেন!মানে ফোটন ওর মধ্যে দিয়ে গেলেই R বা L এর মতন কিছু ছাপ্পা মেরে দেবে!(এটা টেকনিকালি কিভাবে করা হয়,স্পিন দিয়ে,সে বিস্তারিত এখানে রেলেভেন্ট নয়),যাতে বোঝা যায় সত্যি সত্যি ফোটন কোন্‌ রাস্তা দিয়ে এসেছে! এইবারে আয়ন দিয়ে স্ক্রীনে ফেলা হলো,কোনো ইন্টার্ফিয়ারেন্স প্যাটার্ণ নাই! যেমন এক্সপেক্টেড!তখন এরা আরো দুইটা যন্ত্র সেট কল্লেন,সে দুইটা কবরে কি, স্ক্রীনে পড়ার আগে এদের ট্যাগ মুছে দেবে! সব সেট করে যেইনা সুইচ অন কল্লেন,অমা! ম্যাজিক কান্ড! পর্দায় ব্যতিচার নক্সা!!!!ঐটুকুর মধ্যেই ফিরে এলো ইন্টারফিয়ারেন্স প্যাটার্ণ!
    তাহলে এরা আসলে কি? ওয়েভ নাকি পার্টিকল?

  • vikram | 89.100.185.32 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ২২:০২669593
  • কিন্তু এটা তো রেজনিক হ্যালিডেতেই ছিলো। না? ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট?

    বিক্রম
  • tan | 131.95.121.127 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ২২:৪৬669603
  • পেত্থমটা ছেলো,ওটা বহুকাল ধরে জানা, কিন্তু ট্যাগ মেরে মুছে দেবার টা তখনো কেউ করে নি।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:০৭669604
  • এর পরেও আরও খবর আছে,এই টেকনিকাল সাহেবেরা খুব ছিনেজোঁক কিনা, মাতলামি কল্লেও বিশেষ আঁতলামি করেন না, তাই এরা হাল ছাড়লেন না,আরেকটু মডিফাইড ভার্সন করলেন এই লেজার বীম নিয়ে।করলেন কি, ট্যাগ ফ্যাগ নিলেন তুলে,ছাপ্পা লাগানো বা মোছার যন্ত্র বাদ দিলেন। লেজার বীম প্রথমে সি্‌প্‌লটেড হয়ে ডিটেকটারে যেখানে যেখানে পড়ছে,সেখানে সেখানেও আরেকটা করে বীম স্পিলিটার দিলেন।তার একটা অংশ সি্‌প্‌লটেড হয়ে চলে যাবে এক নম্বর ডিটেকটারে, অন্য অংশ সোজা চলে যাবে,আরেক স্পিলিটারে সেখানে হয় ২ নম্বর বা ৩ নম্বরে ডিটেকটারে পড়বে।ফিফটি ফিফটি চান্স।অন্যটারও তাই,চার নম্বরে সত্যি সত্যি পড়বে,দুই তিনে হাফাহাফি চান্স।
    এইবারে সুইচ অন করে দেখেন কি,দুই তিনের জন্য ব্যতিচার হচ্ছে,অথচ এক চারের জন্য হচ্ছে না!!!!

  • tan | 131.95.121.127 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:২১669605
  • সকলেই জানেন,কোয়ান্টাম মেকানিক্সে ডিটেকশান বা মেজারমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এমনিতে সমীকরণ লেখার সময় ওয়েভ ফাংশান হিসাবে এন্টিটিটাকে লেখা হয়,নানা অপারেটার মেরে মেরে এনার্জী আইগেন ভ্যালু ইত্যাদি বার কর হয়,কিন্তু অব্জার্ভ করার সঙ্গে সঙ্গে কিকরে অসীম বিস্তৃত ওয়েভ ফাংশান কোলাপ্স করে গিয়ে নির্দিষ্ট মান দেয়,অবজার্ভ করার আগেই বা তার কি অবস্থা থাকে,তা নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। নানারকম অ্যাপ্রোচ আছে খালি। একটা হলো "শাট আপ অ্যান্ড ক্যালকুলেট"অ্যাপ্রোচ,মানে জিনিসটা আসলে কি জানতে চেয়োনা বাপু,অংক করে যাও,দ্যাখো কি পাও!
    আরেকটা অ্যাপ্রোচ হলো হলো,ডিটেকশন প্রসেসটাই এর সঙ্গে ইন্টার-অ্যাক্ট করে দেখায় যেন ওয়ভ ফাংশান কোলাপ্স করে নির্দিষ্ট মান দিচ্ছে।এর বিরোধীরা বলেন,কিকরে সম্ভব? ওয়েভ ফাংশান হলো গিয়ে মাইক্রোস্কোপিক, ডিটেকটার হলো ম্যাক্রোস্কোপিক,কিকরে ইন্টার‌্যাক্ট করবে?
  • tan | 131.95.121.127 | ০৯ অক্টোবর ২০০৬ ০০:১৬669606
  • পুরানো স্কুল অব থট(হাইজেনবার্গের সময় থেকে) অনুযায়ী ট্র্যাডিশনালি বলা হতো,আসলে ওয়েভ ফাংশান ব্যাপারটাই হলো একটা রিপ্রেজেন্টেশন যে একজ্যাক্ট ভ্যালুগুলো পাওয়া যাচ্ছে না মেজারমেন্টের আগে,তাই প্রোব্যাবিলিটি ওয়েভ দিয়ে ব্যাপারটার ধরতাই পাবার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।যেই মুহূর্তে ডিটেকটেড হয়ে গেলো,সেই মুহূর্তে জানা হয়ে গেলো লোকেশন বা মোমেন্টাম বা অন্য কিছু(যখন যেটা মেজার করা হচ্ছে),তাই তখন আর ঐ ওয়েভটি থাকছে না,মানে এর প্রয়োজনও তখন আর নেই, নির্দিষ্ট মান পাওয়া গেছে।
    দ্বিতীয় মত হলো বহু বিশ্ব মত। এভারেট এই মতটি দেন। ইনি বলেন যখনি কোনো মেজারমেন্ট করা হয়,তখনি একটিমাত্র সম্ভাবনা আমরা ডিটেক্ট করতে পারি,বাকীগুলো ও সব ডিটেকটেড হয় তবে ভিন্ন ভিন্ন মহাবিশ্বে।এনটিটির একেকটি করে কপি সেখানে আছে,যা যা মান হওয়া সম্ভব সবই হয়,তবে প্রতি মহাবিশ্বে একটি একটি করে। এক্সপেরিমেন্টারের কপিও সেখানে আছে,সে সেইরকম সব মেজার করে।পোটেনশিয়াল আউটকাম বলে আর কিছু রইলো না,সবই বাস্তবায়িত হচ্ছে,ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বে।(এই যুক্তির কিছু সিরিয়াস গন্ডগোল আছে,পরে সেকথা আসছে)
    তিন নম্বর মত হলো ডেভিড বোহম সাহেবের, ৫০ এর দশকে তিনি এটি দেন।ইনি বোল্ডলি বলে দিলেন প্রত্যেক মৌলকণা যেমন ইলেকট্রন পজিট্রন ফোটন ইত্যাদিরা আসলে ডেফিনিট লোকেশন মোমেন্টাম সব নিয়েই থাকে,কিন্তু যেহেতু আনসার্টেনটি প্রিন্সিপল এই জগতের এক ফান্ডামেন্টাল ব্যাপার, তাই তার সঙ্গে ঠিকঠাক থাকতে এগুলো হিডেন থাকে।তিনি বললেন একটা করে ওয়েভও এদের সঙ্গে থাকে,যা কিনা কন্সট্যান্টলি পার্টিকেলের সঙ্গে ইন্টার অ্যাক্ট করে যায়।তিনি বললেন এন্টিটিটা হয় কণা নয় তরঙ্গ নয়,একইসঙ্গে কণা ও তরঙ্গ।বোহম সাহেবের মত নন-লোকাল,মানে ওয়েভটির যেকোনো জায়গায় একটু বদল হলেই সেই মুহুর্তে সেই বদল কাছে বা দূরে থাকা কণাটিকে বদলে দিতে পারে,কণা ও তরঙ্গধর্ম সবসময় মিথস্ক্রিয়ায় আছে বলে।
    একটা চতুর্থ মতও আছে।

  • tan | 131.95.121.127 | ০৯ অক্টোবর ২০০৬ ০১:৫৩669550
  • চতুর্থ মতটি দিয়েছেন ইতালিয় বিজ্ঞানীরা,তিনজনের নাম ঘেরার্ডি, রিমিনি আর ওয়েবার। এরা বল্লেন শ্রোডিংগার সমীকরণটাকেই মডিফাই করতে, এমনভাবে মডিফাই করা হবে যে তরঙ্গ অপেক্ষকটিই অস্থিত হয়, ইনহেরেন্টলি আনস্টেবল,ওকে একসময় কোলাপ্স করতেই হবে।এই কোলাপ্স হবে র‌্যান্ডম আর স্পন্টেনিয়াস।গড়ে প্রতি বিলিয়ন বছরে একবার। এটা এতই কম রেট যে মডিফিকেশন সহজেই করা গেলো।খুব অল্প বদল।এখন এতে লাভ কি হলো? লাভ হলো এই যে ডিটেকটার বা এক্সপেরিমেন্টার এরা বড়ো বড়ো বস্তু,বিলিয়ন বিলিয়ন কণা দিয়ে তৈরী,প্রতি কণার ক্ষেত্রে কোলাপ্স রেট এত কম হলে কি হবে, এত এত কণার ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে রেট অনেক বেশী,তাই এদের ক্ষেত্রে সেকেন্ডের এক ফ্রাকশনেই কোনো না কোনোটা কোলাপ্স করে যাবে আর গেলেই ডোমিনো এফেক্টে সবগুলোই কোলাপ্স করে যাবে কারণ এরা সব এন্ট্যাঙ্গলড হয়ে আছে(কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট আরেক ইন্টারেস্টিং জিনিস,একটু পরে সেকথা),তাই বড়ো বড়ো বস্তুরা সব ডেফিনিট কনফিগারেশনে থাকবে।তাই সব মেজারিং একুইপমেন্ট নির্দিষ্ট ভ্যালু মাপবে।কোয়ান্টাম ফাজিনেস মাপবে না।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ অক্টোবর ২০০৬ ২২:০৫669551
  • এনার সাম্প্রতিক বইটার ব্যাক কাভারে ভদ্রলোকের ছবি।আহা কী কিউট, কী ফুটফুটে দেখতে লোকটা! সত্যি বলছি! ব্যাকগ্রাউন্ডে সমুদ্র আর সামনে হাসিমুখ ভদ্রলোক!
    এদিকে ব্রায়ান গ্রীন প্রায় বিশ বচ্ছর আগেই পাশ টাশ দিয়ে বেরিয়ে চাগরি পেয়ে গেছেন! এই তরুণ ছবি এখনকার হতেই পারে না! হয় পাবলিশারদের জন্য স্পেশাল ছবি দিয়েছেন পুরানো অ্যালবাম থেকে বের করে কম্পুতে কারিকুরি করে নয়তো ঋষি মার্কেন্ডেয়র মতন শিবের বরে ২৫ বছর বয়সকে পেরিয়ে যাচ্ছেন না!:-)))
    কিন্তু সত্যি ভারী কিউট দেখতে!!!!

  • tan | 131.95.121.127 | ১৫ অক্টোবর ২০০৬ ০১:২৭669552
  • কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্টের বাংলা কি হতে পারে? হয়তো কিছু একটা পাওয়া যাবেই তৎসমে,না পাওয়া গেলে এনট্যাঙ্গলমেন্ট ই থাক,সরাসরি বুঝতে সুবিধে হবে।
    এটা এখন এক্সপেরিমেন্টে অনেকবার করে ভেরিফাইড হওয়া একটা ফেনোমেনোন,কিন্তু ভারী আশ্চর্য সেই ব্যাপার।
    ধরা যাক, একটা অ্যাটম থেকে একজোড়া ফোটন বেরুলো, একটা ডাইনে একটা বাঁয়ে ছুটে চলে গেলো।এরা সৃষ্টি মুহূর্তে ছিলো স্পিনলেস,ঐ ফোটনজোড়ার নেট স্পিন জীরো।এখন আলাদা হয়ে দুদিকে যখন চলে গেছে তখন একজনের স্পিন আপ হলে অন্যজনের স্পিন হবে ডাউন,১ আর -১ দিয়ে বোঝানো হয়। যতক্ষণ মাপা না হচ্ছে, ততক্ষণ কার কি স্পিন জানা যাবে না, কিন্তু যেইনা একটির স্পিন মাপা হলো, অমনি অন্যটার স্পিনও জানা গেলো! অন্যটা এদিকে হয়তো তখন কয়েক হাজার মাইল দূরে! তৎসত্বেও এই দুই কণার মধ্যে একটা যেন অদ্ভুত সংযোগ রয়ে গেছে,একটা তাৎক্ষণিক যোগাযোগ! যেইনা একটার স্পিন মাপা হলো,অমনি অন্যটার স্পিনও ডিটারমাইন্ড হয়ে গেলো! এতক্ষণ কিন্তু এরা একদম ৫০-৫০ চান্সে ছিলো,কার কি হবে স্পিন আগে থেকে কিছু জানা যায় নি।
    এরকম পরীক্ষা বারে বারে করে দেখা গেছে,দুইপ্রান্তের ফোটন রেজাল্ট একেবারে এক! এর যদি র‌্যান্ডমলি এইরকম রেজাল্ট পাওয়া গিয়ে থাকে ১,১,-১,-১,-১,১,-১,১,১,-১,-১,-১---
    তাহলে অন্যপ্রান্তে ঠিক -১,-১,১,১,১,-১,১,-১,-১,১,১,১ পাওয়া গেছে।নির্ভুল উল্টো।বারে বারে এই দেখা গেছে।
    ব্যাপারটা নিয়ে এখনো কাজ চলছে, এই জিনিসটা নিয়ে প্রথম একটা আইডিয়া দিয়েছিলেন আইনসটাইন,পোডোলস্কি আর রোজেন,এনারা তিনজন কিন্তু বিপরীতটাই দেখাতে চেয়েছিলেন যে এরকম হওয়া উচিত না, এটা প্যারাডক্স,এটাকে তাই বলে EPR প্যারাডক্স।কিন্তু পরে জন বেল এই তিনজনের ফিলোসোফিকাল আইডিয়াকে অংকের ফর্মূলায় ফেলে দেন,পরে অ্যালান অ্যাস্পেক্ট পরীক্ষা করে প্রথম দেখান কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গলমেন্ট বাস্তব সত্য। অন্যেরা পরে বারে বারে পরীক্ষা করে দেখেন হ্যাঁ,তাই হচ্ছে!

  • pratim | 162.119.232.109 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ১২:০৯669553
  • EPR Paradox সম্পর্কে আরো একটু বলবেন? উইকিপেডিয়া পড়ে বিশেষ সুবিধে হল না। এটা কি কোনোভাবে আলোর গতিবেগের সঙ্গে যুক্ত? মানে ঐ যে দ্বিতীয় ইলেকট্রনটি, ওর স্পিন সম্পর্কিত সংবাদ প্রথম ইলেকট্রনটির স্পিন যিনি মাপছেন,ঁ তার কাছেঁ পৌছে যাচ্ছে তাৎক্ষনিকভাবে? কোনো সময়ই লাগছে না? এই কি মূল কথা EPR Paradox এর?
  • tan | 131.95.121.127 | ৩০ অক্টোবর ২০০৬ ২১:৫২669554
  • হ্যাঁ প্রতিম, এক্সপেরিমেন্টে যদ্দুর দেখা গেছে তাতে বলা যায় এটা তাৎক্ষণিক। নন-লোকাল। ধরা যাক একপ্রান্তে আছে অবনী(অ) আর অন্যপ্রান্তে আলি(আ)।এই অ যেই একটা এনট্যাঙ্গলেড কণার স্পিন মাপবেন,তক্ষুনি অন্য কণাটার স্পিন টা ডিটারমাইন্ড হয়ে যাবে।সেটা মাপবেন আ।
    কিন্তু এই অ আর আ কি কি পাচ্ছেন তক্ষুনি তক্ষুনি তো সেটা মেলাতে পারছেন না, তাই কসালিটি(causality) ভঙ্গ হচ্ছে না।
    ফোটন-বীম এর ফোটনগুলোর স্পিন এরা একা একা একেবারে র‌্যান্ডম ডিস্ট্রিবিউশন পাবেন,পরে লিস্ট দুটো যখন মেলাবেন তখন দেখবেন একে অপরের নির্ভুল অপোজিট পেয়েছেন।এই কান্ডটারেই আগে প্যারাডক্স কইতো।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ০০:৪৯669555
  • বর্তমান সময়ে তাত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে একটা অভিযান চলছে একীভূত তত্ব খুঁজে পাবার। ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরি।এই থিওরি মিলিয়ে দেবে অতি ক্ষুদ্র আর অতি বৃহতের জগত।কোয়ান্টাম আর জেনেরাল রিলেটিভিটিকে, এইরকম যুক্তিগ্রাহ্য আশা করা হচ্ছে।
    কোয়ান্টামের জগৎ ডীল করে সাব অ্যাটমিক কণাদের নিয়ে,সমস্ত এলিমেন্টারি পার্টিকল নিয়ে।এখানে সবই মেনে চলে কোয়ান্টাম আনসার্টেনটি।
    কিন্তু অতি বৃহত জগত, গ্রহনক্ষত্রগ্যালাক্সি আর গোটা ইউনিভার্স মেনে চলে জেনেরাল রিলেটিভিটি।জেনেরাল রেলেটিভিটি কিন্তু ক্লাসিকাল তত্ব,কোয়ান্টাম আনসারটেন্টি এ তত্ব হ্যান্ডল করতে পারে না।
    তাই এই দুই তত্বে বিরোধ মেটাতে খোঁজ হচ্ছে ইউনিফাইড তত্ব।
    কিন্তু বেশ কঠিন এটা খুঁজে পাওয়া।
    প্রধানত তিন পথে কাজ চলছে-স্ট্রিং থিওরি, লুপ কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি আর নন-কমুটেটিভ জ্যামিতি।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:০৮669556
  • স্ট্রিং তত্বে দাবী করে প্রতিটা সাব অ্যাটমিক কণাই আসলে বিন্দুকণা নয়,তন্তু।স্পেসটাইমে ছড়িয়ে আছে,অসিলেট করছে।এই অসিলেশানের হেরফেরেই একেক কণা একেকরকম।এর মধ্যে অংক বেশ জটিল,তবে বহু লোকে করে।ইদানীং প্রচুর গবেষ্ক এই ফিল্ডে,এনারা মনে করে স্ট্রিং থিওরিই সেই ইউনিফাইড থিওরি।এর একটা অসুবিধা হলো পরীক্ষা করে দেখার উপায় এখনো নেই, এত ক্ষুদ্র এই তন্তুরা,আÒট্রা মাইক্রোস্কোপিক,সেই প্লাংক লেংথের সঙ্গে কম্পারেবল,প্লাংক লেংথ হলো 10^ -35 মিটার।এর আরেকটা অসুবিধা হলো প্রচলিত চারখানা(দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতা,সময়) ডাইমেন্‌শনে এই তন্তুদের চলে না, এদের জন্য এগারোটা ডাইমেন্‌শান লাগে!
  • tan | 131.95.121.127 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৬ ০৪:৩১669557
  • চারটে ডাইমেনশনই মাথাটাথা ঘুরিয়ে আমাদের ত্যাবোধা করে দেবার পক্ষে যথেষ্ট,তার উপরে এগারোটা! একা রামে রক্ষা নাই, সুগ্রীব দোসর!
    বহু বিজ্ঞানী বহুৎ চটেছেন,এই বাড়তি ডাইমেন্‌শন এসে যাওয়ায় ঝামেলা হয়ে গেছে।তার উপরে এই তন্তুতত্বের সঙ্গে বুড়ো আইনস্টাইনের জেনেরাল রিলেটির ঐ যে ত্যারাব্যাঁকা স্পেসটাইম,তা ঠিক যায় না।তন্তুবিদেরা বলেন তন্তু বুনে বুনেই স্পেসটাইম হয়েছে! কিন্তু সব ছাড়িয়ে ফেললে? পড়ে থাকে কি? স্পেসটাইম থাকে কি থাকে না?
    বিরোধীদের একজন তো একখানা বইই লিখে ফেলেছেন ট্রাবল উইথ ফিজিক্স বলে,সে বইয়ের মলাটে দুইখানা জুতার ছবি,দুইজুতার ফিতায় ফিতায় গিট্টু দেওয়া,শু স্ট্রিং এ গিট্টু লেগে এগিয়ে যেতে পারছে না,এই বোঝাতে চায়।তন্তুবাদীরা ক্ষেপে লাল!
    (সাহেবদের ব্যাপার,জুতো ছাড়া চলতে পারে না।আমাদের দেহাতী লোক তো এই স্যাটায়ার ধরতেই পারবে না,জুতা থেকে পা বার করে নিয়ে দৌড় দিলেই হয়,এই বলবে:-))))
    এদিকে ইদানীং তাত্বিক পদার্থবিদ্যার প্রধান ব্যাপারই হলো গিয়ে ঐ স্ট্রিং তত্ব,হাজার হাজার লোকে কাজ করছে,ত্যাঁদোর বিরোধীদের কথা তারা শুনবে কেন? তাদের রুটিরুজির ব্যাপার ঐ তন্তু! প্রত্যেকদিন নতুন নতুন বহু পেপার বেরুচ্ছে,তাই তন্তুতত্বও ছেড়ে দিতে পারা যাচ্ছে না। সিমেট্রি টিমেট্রি ইত্যাদি ভালো ভালো অ্যাদভান্টেজও আছে এই তত্বের!
    তবে শেষ পর্যন্ত এখন ব্যাপার বেশ ভজকটই বলা যায়।তবে এত এত ধারালো বুদ্ধির লোকে কাজ করছে,জটের পর জট খুলবেই আশা করা যায়।
    ""হিরন্ময় পাত্রের মধ্যে সত্য,সেই সত্যের মুখ ঢাকা,হে পূষন,ঢাকনা খোলো,আমাদের দেখতে দাও।""
    কবে থেকেই তো আমরা বলে আসছি,একদিন কেউ খুলে ফেলবেই ফেলবে।

  • d | 202.54.214.198 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৭ ১৪:৪৫669558
  • তারপর?
  • m_s | 59.93.214.240 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৭ ২২:১৭669559
  • বিজ্ঞান নিয়ে লেখা'ও যে প্রায় রুদ্ধশ্বাস-থ্রিলারের পর্যায়ে যেতে পারে, সেটি টের পাচ্ছি; অপূর্ব লাগছে।
  • tan | 131.95.121.129 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৭ ০৩:৫৭669561
  • পুরো ব্যাপারটাই অত্যন্ত গোলমেলে অবস্থায়, এখনো।স্ট্রিংতত্ব উদ্ভাবনের প্রায় ত্রিশ বছর পরেও।
    প্রধান অসুবিধা এক্সপেরিমেন্টালি কিছু প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না বলে,কারণ এই তত্বের পরোক্ষ পরীক্ষনীয় প্রমাণ পেতে গেলে এনার্জী স্কেলে যত চড়তে হবে,তত এনার্জেটিক পরীক্ষার টেকনোলজি এখনো আমাদের হাতে নেই।তবে জোরকদমে কাজ চলছে,একটা মেশিন প্রায় তৈরী হয়ে এলো,এই বছরের শেষাশেষি থেকে পরীক্ষা শুরু করবে।এই মেশিনের নাম লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার(LHC)। বিজ্ঞানীরা খুব আশা করছেন ওখানে অন্তত কিছু কিছু খুব হাল্কা সুপারপার্টনার পাওয়া গেলেও জেতে পারে।
    এখন এই সুপারপার্টনার ব্যাপারটি কি জিনিস?
    তন্তুতত্বের অংক থেকে সুপার সিমেট্রি বা অতি-প্রতিসাম্য বলে এক চমৎকার জিনিস বেরিয়ে আসে।এই সুপারসিমেট্রি বলে প্রকৃতিতে যত মৌলকণা আছে,যেমন ইলেকট্রন,ফোটন,বিভিন্ন কোয়ার্কেরা--সকলের জন্য আছে একটি করে সুপার পার্টনার,ঠিক যেন ঐ মৌলকণাটিই কিন্তু বহুগুণ ম্যাসিভ। নামও দেওয়া হয় এইভাবে, ইলেকট্রনের জন্য সিলেক্ট্রন,ফোটনের জন্য ফোটিনো ইত্যাদি।কিন্তু এদের অস্তিত্বের প্রমাণ অন্তত পরোক্ষভাবেও না পাওয়া পর্যন্ত সুপারসিমেট্রিকে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে এদের সবচেয়ে হাল্কাটাকেও পরীক্ষায় ধরতে গেলে জত এনার্জী লাগবে,নেই হাতে।একেবারে উভয়সংকট!
    হয়তো এল এইচ সি কিছুটা আলো দেখাতে পারবে এই ভজঘট অবস্থায়।
    এদিকে চেনাজানা উপর-নীচ সামনা- পিছন ডাইন বাম আরো প্রচুর ডাইমেন্‌শনের কথাও বলছে তন্তুতত্ব,সেও আরেক জটিল ব্যাপার।বিরোধীরা স্বভাবতই প্রশ্ন তুলেছে কি হলো সেইসব মাত্রার? তাদের কেন এই চেনা ত্রিমাত্রার মতন বোঝা যায় না?
    তন্তুবদীরা অংক করে দেখিয়ে দিয়েছেন বাড়তি মাত্রাগুলি এত সংকুচিত হয়ে আছে যে বলার নয়, গুটিয়ে সুটিয়ে প্রোটনের চেয়েও ছোটো আকারে চলে গেছে,চেনা জগতে কিকরে বোঝা যাবে তবে? প্রত্যেকটা বিন্দুতেই নাকি বাড়তি বাড়তি ছটা করে স্থানিক মাত্রা! কান্ড দ্যাখো! বিন্দুতে সিন্ধু জাতীয় ব্যাপার।
    এরপরে ক্রমাগত আরো গন্ডগোল বাড়তে লেগেছে,গ্র্যাভিটি নাকি অত মাত্রার আধিক্যের জন্য ক্ষুদ্র স্কেলে আমাদের চেনা জগতের মতন আচরণ করে না,কিছুটা অন্যভাবে করে।আমাদের চেনা জগতে গ্র্যাভিটি দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতের যে সূত্রটি মানে তা নাকি ক্ষুদ্র স্কেলে খাটে না,সেখানে নাকি অন্য সূত্র।
    এর পরে আছে জ্যামিতির সমস্যা,কি অকল্পনীয় সংখ্যক সম্ভবনা দেখা দিতে পারে ভেবেই মাথাটাথা ঘুরে একাকার। কিছু লোক তার মধ্যেও ঠান্ডামাথা,তিনি গুণে গেঁথে বলেছেন,টেন টু দ্য পাওয়ার হুন্ড্রেড সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন জ্যামিতির তন্তুতত্ব থাকতে পারে! উফ্‌ফ্‌ফ্‌!!!

  • tan | 131.95.121.132 | ০৩ আগস্ট ২০০৭ ০৬:৫৭669562
  • বহুদিন এটায় কিছু লেখা হয় নি। আশা করছি কদিন পর থেকে আবার হবে।
    ইতিমধ্যে প্রশ্ন-ট্রশ্ন থাকলে করে ফেলুন।

  • pallab | 59.93.205.23 | ০৩ আগস্ট ২০০৭ ১৩:১৯669563
  • হে কি? অহনো শ্যাষ হয় নাই?????
  • tan | 131.95.121.132 | ০৩ আগস্ট ২০০৭ ২৩:২৯669564
  • তব্যে?
    তক্কে তকে থাকো বাছা,এরপরে আসিতেছেন সিসিফাস।এই বই শুরু হয়েছে কামু সায়েবের মিথ অব সিসিফাস দিয়ে।হুঁ হুঁ বাবা,বল্লে হবে?
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৪ আগস্ট ২০০৭ ২০:৪৬669565
  • লেখাটা খুবই সুখপাঠ্য হচ্ছে ট্যান। চালিয়ে যাও।
    যারা খেলতে খেলতেই পার্টিকল ফিজিক্সের কিছু জিনিস চটপট জেনে নিতে চান তাদের জন্যে,
    http://www.particleadventure.org/index.html
    বিশেষত, LHC জাতীয় যন্ত্রপাতির কাজ এবং না থাকার অসুবিধে বুঝতে খানিকটা হলেও কাজে দেবে।

    নতুন একটা টইতে বিভিন্ন থিওরির ( যেমন ইউনিফায়েড/M থিওরি বা স্ট্রিং থিওরি) বিবর্তনের একটা টাইমলাইন দিয়ে ইতিহাস লিখতে পারো ট্যান। একেবারে বেসিক জায়গাটা থেকে শুরু করে কিভাবে শ্রোডিংগার সমীকরণ এল, তারপর কিভাবে তা ক্রমশ আজকের কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্টে এসে পৌঁছেছে সেটা একসাথে থাকলে নন টেকনিকাল পাঠকদের বেশ সুবিধে হত।

    সিসিফাসের আলোচনাটা শুরু হোক।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৪ আগস্ট ২০০৭ ২১:৩৪669566
  • অ্যাঁ? বলো কি? শ্রোডিংগার সমীকরণ কিকরে এলো? সে আমি কেমন করে জানবো? সেতো এরুইন সায়েব জানেন,মানে জানতেন যখন ওটা দেন।

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৪ আগস্ট ২০০৭ ২২:২৫669567
  • সবই ইউনিফায়েড ভাট হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। :-))))
    লেখো শিগ্গির।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৪ আগস্ট ২০০৭ ২৩:০১669568
  • ব্রায়ান গ্রীনের এই বই, ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে অনেক কিছুই, তারপরে ডুব দিয়েছে গভীরে। বাস্তবতা কি,সময় কি অভিজ্ঞতা কাকে বলে,দেশকাল ও কসমোলজির সম্পর্ক,উৎপত্তি ও একীকরণ,বাস্তবতা ও কল্পনা-এইভাবে চ্যাপ্টারগুলো ভাগ করা আছে,তার মধ্যে মধ্যে আবার আরো অনেক ছোটো ছোটো ভাগ।বাক্সের মধ্যে বাক্স।কোথাও অংক নেই,ইকুয়েশান নেই-কথা দিয়ে গল্প দিয়ে উদাহরণ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে জটিল ধারণাগুলো।বন্ধুর মতন একটা সুর লক্ষ করা যায় যেকথা আগেও বোধহয় বলেছিলাম।
    শুরু হয় একটু আশ্চর্যভাবে, উপন্যাসের মতন। টিনেজে উপনীত হওয়া লেখক হাত বাড়িয়ে বাবার ধুলোটে বুকশেল্ফ থেকে নামিয়ে আনছেন একটা রোগাপাতলা বই, মস্ত মস্ত মোটা মোটা রোমের পতন,বিশ্বইতিহাস,ক্লাসিক সাহিত্য-এইসব বইয়ের পাশে নিতান্ত বেমানান রোগা বইখানা। সাবধানে ধুলা ঝেড়ে পাতা ওলটাচ্ছেন, আলজেরিয়ায় জাত দার্শনিক আলবেয়ার কামুর লেখা বই-দ্য মিথ অব সিসিফাস।

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৪ আগস্ট ২০০৭ ২৩:০৩669569
  • সামনেই জোসেফদাদুর জম্মদিন। এই তো উপযুক্ত সময়!
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৪ আগস্ট ২০০৭ ২৩:০৫669570
  • সরি। ইগনোর করে লিখে যাও।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৪ আগস্ট ২০০৭ ২৩:২৮669572
  • কামুর দর্শন জটিল ও অন্যরকম দর্শন,কিন্তু আস্তে আস্তে স্পষ্ট হতে থাকে মানবজীবনের সমস্যা ও সমাধানের পথ।অস্তিত্বশীলতার অবধারিত দু:খ ও সেই দু:খ থেকে মুক্তির পথ খোঁজা। আমাদের আড়াই হাজার বছর আগের এক রাজ্যত্যাগী রাজকুমার-গৌতম ও একদিন এই সন্ধানেই বেরিয়েছিলেন।তিনি তাঁর বোধি পেয়েছিলেন এক পথে,কামু পেয়েছেন আরেকপথে।
    মিথকথার সিসিফাস হলেন গ্রীক মিথোলজির এক বহুবর্ণ চরিত্র,নানা কীর্তিকাহিনি করেছেন,কিছু নন্দিত ও কিছু নিন্দিত।শেষে তাকে এক অদ্ভুত শাস্তি দেওয়া হয়,একটি বিরাট পাথর গড়িয়ে গড়িয়ে পাহাড়ের চূড়ায় তোলা,একদম উপরে তুললেই সেটা গড়িয়ে নেমে আসে নীচে,সিসিফাসকে আবার তোলার প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হয় গোড়া থেকে।
    আলবেয়ার কামু মানবজাতির অনুসন্ধানকার্যের মধ্যে এই ব্যাপারটা দেখেছেন। যদিও ইনি ভারী দু:খবাদী দার্শনিক, কোনোকিছুতেই কিছু আসে যায় না ধরনের নির্বেদ একটা ব্যাপার আছে এনার,কিন্তু তবু ইনি বলেছেন এই উপরে তোলার আনন্দই হৃদয়কে ভরিয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট,নাহয় পড়ে গেলোই আবার।

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন