এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • বঙ্গানুবাদে শ্রী শ্রী চন্ডী

    tan
    বইপত্তর | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ৪১৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • tan | 131.95.121.127 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:১৪670933
  • শ্রী শ্রী চন্ডীর এই বঙ্গানুবাদটির নাম,"মোহনচন্ডী"। প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী থেকে ১৩৫৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখে প্রকাশিত।
    একটু একটু করে তুলে দিচ্ছি।সামনের কিছু অংশ এখন বাদ রাখছি।সেখানে স্তোত্র আছে,অর্গলাস্তোত্র,সেটা পরে দেবো।এখন সোজাসুজি প্রথম অধ্যায়ে চলে যাচ্ছি।

    মোহন চন্ডী
    শ্রী শ্রী চন্ডিকাকে প্রণাম।

    প্রথম চরিত
    প্রথম অধ্যায়
    মধুকৈটভ বধ

    মহর্ষি মার্কন্ডেয় বলিলেন (ক্রৌষ্টুকী মুনিকে)।১

    সূর্য তনয় সাবর্ণি যে,আখ্যাত অষ্টম মনু
    তাঁহারি উৎপত্তি কথা বিস্তারিয়া বলি শোনো।২

    মহামায়ার কৃপায় হলেন মন্বন্তরের অধিপতি,
    সেই মহাভাগ সূর্য-সুত,বলবো আমি তা সম্প্রতি।৩

    পূর্বকালে সেই স্বারোচিষ মনুর যুগে,-শক্তিযুত
    সুরথ নামে ছিলেন রাজা-চৈত্রকুল সমুদ্ভুত।৪

    পুত্রসম পালেন প্রজা,হায় তবু কি চমৎকার
    কোলানাশী নৃপতিগণ শত্রু হলো সব তাঁহার।৫

    তাদের সাথে যুদ্ধ হলো;-কিন্তু আরও অসম্ভব,
    পরাক্রমে হীন,তথাপি জয়ী হালো তারাই সব।৬

    অরিদলের আক্রমণে ধরিত্রীনাথ হায় তখন,
    ফিরে এসে স্বদেশটুকুর অধিপতি মাত্র হন।৭

    দুষ্টমতি অমাত্যেরা সেইখানেও তখন তাঁর-
    হরণ করে যত ছিল রাষ্ট্রবল ও কোষাগার।৮

    সর্বহারা সেই ভূপতি শিকার চলে ক্ষুণ্ন মনে
    এককী এক ঘোড়ায় চড়ে গেলেন শেষে গহণ বনে।৯

    সেথায় তিনি দেখতে পেলেন মেধস মুনির তপোবন,
    হিংসা-ভোলা পশ্বাদি আর মুনি-শিষ্য সুশোভন।১০

    সেই মুনিরই অতিথি হন সুরথরাজা অত:পর,
    উপবিষ্ট হলেন সেথা বনভ্রমণে শ্রম কাতর।১১

    মমতায় আকৃষ্ট মনে চিন্তা জাগে তখন তাঁর-
    ""পুর্ব পুরুষগনের মম সুরক্ষিত পুণ্যাগার।১২

    বিশালপুরী ত্যাগ করেছি,ধর্মত: হায় এতদিন
    জানিনা তায় পালছে কিনা-ভৃত্যেরা সব ধর্মহীন।১৩

    জানিনা সেই সদামত্ত হস্তী আমার বৈরীবশ,
    হয়ে কি আজ ভোগ্য লভে,কি সুখে তার যায় দিবস।১৪

    প্রসাদ পেয়ে অনুগত নিত্য ছিল আমার যারা,
    অন্য মহীপালের সেবা সত্যি আজি করছে তারা।১৫

    অপব্যয়ী অমাত্যগণ নিত্য ধূলিমুষ্টি সম,
    ব্যয় করিয়ে রাজ কোষাগার ফেলছে করে নষ্ট মম।""১৬

    এমনি ধারা মহীপতি দুর্ভাবনায় হতজ্ঞান,
    আশ্রমেরি সন্নিকটে বৈশ্যকে এক দেখতে পান।১৭

    শুধান রাজা,-""কেগো তুমি? আগমণের হেতুই বা কি?
    মলিন তোমায় দেখছি যেন চিন্তাভারাক্রান্ত আঁখি।""১৮

    ভূপতির এই প্রেম মাখানো বাক্য শুনে বৈশ্যবর,
    বিনয়ে শির নত করে দিলেন ধীরে তার উত্তর।১৯
  • Pallab | 59.93.201.29 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:২২670944
  • লিখে যাও। আমি কপি করছি।
  • dd | 202.122.18.241 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:২২670955
  • বৈকুন্ঠ্য মল্লিকের রচনা।

    ও দু লাইন পল্লেই বোঝা যায়।
  • vikram | 134.226.1.136 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:৩৫670966
  • অ,
    এই ছন্দ পড়েই কি সুকুমার রায় লিকেচিলেন

    এমনি পড়ায় মন বসেছে পড়ার নেশায় টিপিন ভোলে
    সামনে গিয়ে উৎসাহ দেই মিষ্টি দুটো বাক্য বলে...?

    বিক্রম

  • Pallab | 59.93.201.29 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:৩৬670969
  • ditto!! :))))
  • tan | 131.95.121.127 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:৪০670970
  • কোলানাশী হলো কোকাকোলা-নাশী।:-)))
    শুধু একবার ভাবুন!
  • Pallab | 59.93.201.29 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:১৩670971
  • এই কোকা-টা কোত্থেকে এলো খোকা থুরি খুকি?
  • tan | 131.95.121.127 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:১৪670972
  • ভার্স ফাইভ হে খোকা পল্লব!:-))
  • Pallab | 59.93.201.29 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:২৫670973
  • সেই তো খুকি, হঠাৎ কোকাকোলা কেন? কাম্পাকোলাও তো হতে পারতো। যাকগে বাকিটা নামাও শীগগিরু -:))
  • Samik | 125.23.115.117 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:০৮670934
  • অজ্জিনাল শ্রীশ্রীচন্ডী; কেলাস সেভেনের স্মৃতি থেকে:

    মহালয়াতে শোনা যায়।

    দেবি প্রপন্নার্তি হরে প্রসীদ
    প্রসীদ মাতোর্জগতো(অ)খিলস্য
    প্রসীদ বিশ্বেশরী পাহি বিশ্বং
    ত্বমীশ্বরী দেবি চরাচরস্য
    আধারভূতা জগত(অ)স্তমেকা
    মাহি স্বরূপেণ যত: স্থিতাসি
    অপাং স্বরূপস্থিতয়া ত্বয়ৈতৎ
    আপ্যায্যতে কৃৎস্নমলঙ্ঘবীর্যে
    বিদ্যা সমস্তাস্তব দেবী ভেদা:
    স্ত্রীয়া: সমস্তা সকলা জগৎসু
    ত্বয়ৈকয়া পুরিত্যমম্‌বয়ৈতৎ
    কা তে স্তুতি স্তব্যপরাপরোক্তি।

    সর্বভূতে যদা দেবি স্বর্গমুক্তিপ্রদায়িনি
    ত্বং স্তুতা স্তুতয়ে কা বা ভবন্তু পরমোক্তয়:।
    সর্বস্য বুদ্ধিরূপেণ জনস্য হৃদি সংস্থিতে
    স্বর্গাপবর্গদে দেবি নারায়ণি নমোস্তু তে।
    কলাকাষ্ঠাদিরূপেণ পরিণামপ্রদায়িনি
    বিশ্বস্যোপরতৌ শক্তে নারায়ণি নমোস্তু তে।
    সর্বমঙ্গল্যমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে
    শরণ্যে ত্রম্ব্যকে গৌরি নারায়ণি নমোস্তু তে।
    সৃষ্টি-স্থিতিবিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি
    গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোস্তু তে।
    শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণপরায়ণে
    সর্বস্যার্তি হরে দেবি নারায়ণি নমোস্তু তে।
    ময়ূরকুক্কুটবৃতে মহাশক্তি ধরেহনঘে
    কৌমারি রূপসংস্থানে নারায়ণি নমোস্তু তে।

    আর মনে নেই।
  • tania | 151.151.21.99 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:২৩670935
  • এটা যদি স্মৃতি থেকে হয়, তো তোমার খুরে খুরে দন্ডবৎ!
  • Pallab | 59.93.255.234 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:২৯670936
  • থ্যাংকু শমিক। print screen নে নিছি । সাইটে লেপ্তে দোবো। ব্যাপক হবে! ;-)
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:৩৭670937
  • বৈশ্য বলিলেন।২০
    নাম সমাধি,বৈশ্যজাতি,ধনীর কুলে জন্ম মোর
    অসাধু মোর পুত্রদারা গৃহ হতে করলো দূর।২১

    অর্থকড়ি কেড়ে নিল স্ত্রীপুত্র আর বন্ধুগন,
    মনের দু:খে বনে এসে তাইঅ করছি কালযাপণ।২২

    স্ত্রীপুত্র সব কেমন আছে,স্বজনেরা-কি প্রকার,
    এখান থেকে আর কিছু তো বার্তা আমি পাইনে তার।২৩

    সুখেই নাকি দু:খে তারা করছে গৃহে কালযাপণ
    বুঝতে নারি সুপথে না কুপথে ধায় অনুক্ষণ।২৪

    রাজা বলিলেন।২৫
    গৃহ হতে বিতাড়িত করলো ধনের লোভেই যারা
    আপনি কেন তাদের প্রতি স্নেহেই এমন আত্মহারা?।২৬

    বৈশ্য বলিলেন।২৭
    আমার বিষয় বললে যাহা সত্যি সবই সত্যি কথা
    কিন্তু মনে কিছুতে মোর আসেই না যে নির্মমতা।২৮

    পিতা,পতি,বজনস্নেহ ধনের লোভে বিসর্জিয়া,
    তাড়ালো যে,তাদের প্রতি স্নেহেই যে মন রয় ভরিয়া।২৯

    এমন কেন হয়,জেনেও জানতে নারি মহামতি
    চিত্তে কেন প্রেম জেগে রয় বিগুন স্বজনগণের প্রতি।৩০

    তাদের লাগি প্রাণ কাঁদে মোর,চিত্তে জাগে অস্থিরতা
    অপ্রীতিময় তারা,তবু আমার কেন এই মমতা?।৩১
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:৩৯670938
  • কোথাও কোথাও টাইপো থেকে যাচ্ছে,এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:৪৮670939
  • মার্কন্ডেয় বলিলেন।৩২
    সেই সমাধি বৈশ্য এবং সুরথরাজা অত:পর,
    মুনির কাছে উপনীত হলেন দোঁহে বিপ্রবর।৩৩

    যথাজথ সম্ভাষণ ও প্রণামান্তে সেই মুনিরে
    দুইজনেই বলেন তখন আত্মকথা ধীরে ধীরে।৪৪

    রাজা বলিলেন।৩৫
    একটি কথা শুধাই প্রভু,-বলুন শুনি কিসের তরে,
    চিত্ত আমার আয়ত্ত নয় বলেই যে মন এমন করে।৩৬

    রাজ্য এবং রাজভোগেতে মমত্ব সব দু:খের মূলে,
    এই কি ব্যাপার,জেনেও কেন মূঢ় সম যাই তা' ভুলে?৩৭

    ইঁহারও ঠিক এমনি দশা,ত্যাগ করেছে পুত্রদারা,
    স্বজনগণে,তবু তিনি তাদের স্নেহেই আত্মহারা।৩৮

    ইনি এবং আমি,মোরা দুটিই ভবে তুল্য দু:খী,
    বিষয়ে দোষ দেখি,তবু মন সদা রয় বিষয়মুখী।৩৯

    হায় মহাভাগ,বল বল,জ্ঞানী হয়েও মোদের কেন
    অজ্ঞসম এই মূঢ়তা? মায়ামোহ আসছে হেন?৪০

    ঋষি বলিলেন।৪১
    বিষয় ভোগের জ্ঞান যত সব প্রানীর মাঝেই বর্তমান
    পন্থা তাহার পৃথক তবু,-বলছি শোনো পুণ্যবান।৪২

    কতক প্রানী দিনে আন্ধ,কতক অন্ধ রাতের বেলা,
    দিনেরাতে সমান দেখে এমন জীবও আছে মেলা।৪৩

    মানুষ জ্ঞানী সত্যি বটে, কিন্তু কেবল তাই কি জানি,
    পশু-পক্ষী-মৃগাদিরও জ্ঞান রয়েছে তারাও জ্ঞানী।৪৪
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:৫৬670940
  • বিষয়-ভোগের জ্ঞান মানুষ ও পশুপাখীর একই মত,
    অন্যরকম জ্ঞান যারে কয় অভাব তাহার উভয়ত:।৪৫

    এই দেখ না জ্ঞানী হয়েও ক্ষুধায় কাতর পক্ষীগন,-
    মোহের বশে শাবকগণে খাদ্য যোগায় অনুক্ষণ।৪৬

    হে নরবর,মনুষ্যগণ পুত্রদারায় ভালোবাসে,
    প্রত্যুপকার লাভের লোভেই কেবল,তুমি দেখছ না সে?।৪৭

    তবু জগৎ স্থিতিকারী মহামায়ার প্রভাবক্রমে
    সুতাসুতের স্নেহমোহের ঘূর্ণিপাকে মানুষ ভ্রমে।৪৮

    বিস্ময়ের কি আছে,স্বয়ং হরি-জগৎকর্তা যিনি,
    দেবী মহামায়া তাঁরো যোগনিদ্রা-স্বরূপিনী।৪৯

    জ্ঞানীদেরও চিত্ত সদা আকর্ষিয়া আপন বলে,
    ফেলেন মোহগর্ত মাঝে মহামায়া মায়ার ছলে।৫০

    স-চরাচর বিশ্বজগৎ দিলেন তিনিই সৃষ্টি করে
    সেই দেবী প্রসন্ন হলে বর দিয়ে দেন মোক্ষ নরে।৫১

    সেই পরমাবিদ্যা সকল মুক্তিহেতু ক্ষেমঙ্করী,
    সকল বন্ধনেরও হেতু,সর্বেশ পরমেশ্বরী।৫২
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:০৯670941
  • রাজা বলিলেন।৫৩
    হে ভগবান,সেই দেবী কে?-মহামায়া কহেন যাঁরে,
    জন্ম তাঁহার হয় কিরূপে,কর্ম কি তাঁর এ সংসারে।৫৪

    স্বভাব কি তাঁর,স্বরূপ কি তাঁর, কেমনে বা তাঁর জনম,
    শুনতে আমি ব্যগ্র অতি,বলুন মোরে সব বিবরণ।৫৫

    ঋষি বলিলেন।৫৬
    নিত্যা জগন্মূর্তি তিনি,ব্যাপ্তা তিনি জগন্ময়,
    নানা ভাবে উৎপত্তি তাঁর যতেক শাস্ত্রেতে কয়।৫৭

    দেবকার্য সিদ্ধি লাগি হয় যবে তাঁর আবির্ভাব,
    জন্মাতীতা হলেও সবে কয় যে তাঁহার আবির্ভাব।৫৮

    প্রলয়কালে জগৎ জলে হ'ল যবে একাকার,
    বিষ্ণু হলেন সুনিদ্রিত,শেষনাগ যে শয্যা তাঁর।৫৯

    মধু-কৈটভ নামে দুই দৈত্য মহা দুর্দমন,
    বিষ্ণু-কর্ণমলে জন্মি ব্রহ্মায় করে আক্রমণ।৬০

    বিষ্ণুনাভি মধ্যে ছিলেন ব্রহ্মা,তিনি জনার্দনে,
    সুপ্ত দেখেন আর দেখেন ঐ ভীষণ বপু অসুরগণে।৬১

    হরির জাগরনের লাগি নেত্রে অধিষ্ঠিত তাঁর,
    যোগনিদ্রা যোগমায়ার স্তূতি করেন বারংবার।৬২

    বিশ্বজগদ্ধাত্রী তিনি,সৃজন,পালন সংহারিণী।৬৩
    স্বয়ং হরি বিশ্ববিভুর যোগনিদ্রা-স্বরূপিনী।৬৪
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:১৫670942
  • ব্রহ্মা বলিলেন।৬৫

    তুমিই স্বাহা,তুমিই স্বধা,মন্ত্র তুমি বষট্‌কার,
    সুধা তুমি,নিত্যা তুমি,স্বরূপ তুমি ত্রিমাত্রার।৬৬

    তুমি অর্ধমাত্রাক্ষর,হয় না যাহার উচ্চারণ,
    তুমিই যে সে সাবিত্রী মা,সর্বমাতা,পরমধন।৬৭

    তুমিই সকল ধারণ কর তুমিই তো হও সৃজনপর।৬৮
    পালন কর তুমিই দেবী,বিনাশ কর নিরন্তর।৬৯

    সৃষ্টিতে হও সৃষ্টিরূপা,স্থিতিরূপা হও পালনে।৭০
    তুমিই আবার সংহারিণী হও প্রলয়ে লয় কারণে।৭১

    মহাবিদ্যা,মহামায়া,মহামেধা,মহাস্মৃতি,
    মহামোহ রূপেও মহাদেবি তোমার অবস্থিতি।৭২
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৩:১২670943
  • এই জগতের কারণ তুমি ,গুণত্রয়ে সৃষ্টি ঘটে,
    কালরাত্রি,মহারাত্রি,মোহরাত্রি তুমিই বটে।৭৩

    শ্রী তুমি,ঈশ্বরী তুমি,লজ্জা বুদ্ধি সুলক্ষণ।৭৪
    পুষ্টি তুমি, তুষ্টি তুমি,শান্তি সুখ-সন্দীপন।৭৫

    গদা,চক্র,খড়্‌গ,শূল,ভুশন্ডী ও পরিঘবাণ
    ইত্যাদি সব অস্ত্র তব হস্তে সদা বিদ্যমান।৭৬

    অসৌম্য-বেশ হলেও তুমি সৌম্যা এবং সু-সুন্দরী,
    শ্রেষ্ঠ হতে শ্রেষ্ঠা তুমি,সর্বেশ পরমেশ্বরী।৭৭

    সৎ ও অসৎ বস্তু যখন যেখানে যা দেখতে পাই,
    সকলেরি মূলে তুমি,স্তব করিব কার ঠাঁই।৭৮

    এই জগতের সৃষ্টি পালন সংহারেরও কর্তা যবে
    নিদ্রাবশে মগ্ন,তব স্তব করিবে কে আর তবে?।৭৯

    বিষ্ণু,রুদ্র এবং আমি মোহিত যার মায়ার কাছে
    তাঁর মহিমা বর্ণিবে কে,হেন সাধ্য কাহার আছে?।৮০

    আপন প্রভাব বিস্তারিয়া তেমনি দেবি,উদার মনে
    মুগ্‌ধ কর দুরাধর্ষ মধু-কৈটভ অসুরগণে।৮১

    মহাবলী জগৎস্বামীর নিদ্রা ভেঙে শীঘ্রগতি,
    দৈত্যদেরে হত্যা যাতে করেন তাঁরে দাও সে মতি।৮২
  • tan | 131.95.121.127 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৩:২৪670945
  • ঋষি বলিলেন।৮৩

    ব্রহ্মা যখন তামসীরে স্তব করিল এমনি করে,
    বিষ্ণুকে জাগাতে এবং দৈত্যদেরে বধের তরে।৮৪

    নেত্র,নাসা,হৃদয়,বাহু,বক্ষ হতে বাইরে এসে
    অবস্থিত হলেন তখন প্রজাপতির দৃষ্টবেশে।৮৬

    এই ভাবেতে যোগনিদ্রা-মুক্ত হয়ে জনার্দন,
    একার্ণব শয্যা ছেড়ে সামনে দেখেন দুর্দমন।৮৭

    বলবীর্য-পরাক্রমে দীপ্ত মধু-কৈটভেরে,
    ব্রহ্মাকেই গ্রাসতে রোষরক্ত চোখে যাচ্ছে তেড়ে।৮৮

    উঠেই তখন তাদের সাথে সেথায় ভগবান শ্রীহরি
    যুদ্ধ করেন অবিরত পাঁচটি হাজার বছর ধরি।৮৯

    মহাবলোন্মত্ত তারাও কিন্তু মহামায়ার ছলে
    মুগ্‌ধ হয়ে কেশবেরে বর চাহিতে হঠাৎ বলে।৯১

    ভগবান বলিলেন।৯২
    তুষ্ট যদি হয়ে থাক,দুজনেই মোর বধ্য হও।৯৩
    এই চাহি বর,অন্য বরে কর্ম কি মোর অদ্য,কও।৯৪

    ঋষি বলিলেন।৯৫
    প্রবঞ্চিত অসুরেরা তখন সারা জগৎময়।৯৬
    জলই শুধু দেখতে পেয়ে সোল্লাসে বিষ্ণুরে কয়।৯৭

    ""যুদ্ধে পরম তুষ্ট মোরা তোমার হাতে মরাও বেশ,
    কিন্তু কোথায় মারবে জানো?নাই যেখানে জলের লেশ""।৯৮

    ঋষি বলিলেন।৯৯
    ""তাহাই হবে""-এই না বলে চক্রধারী ভগবান।১০০
    উরুর পরে স্থাপন করে কাটেন তাদের শির দুখান।১০১

    এমনি আবির্ভূতা দেবী তুষ্টা প্রজাপতির স্তবে।১০২
    স্বভাব এবং প্রভাব কি তাঁর বলছি আবার শোনো তবে।১০৩
    (ইতি দেবী মাহাত্ম্যে মধুকৈটভ বধ সমাপ্ত)
  • Indira | 59.93.241.222 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:২১670946
  • বড় ভালো হচ্ছে মা-রে! বড় ভালো হচ্ছে।
    কত ভক্তি থাকলে তবে না এইরকমের পূণ্যের কাজে মানুষ হাত দেয়! আশীর্বাদ করি মা গো, ধনেধান্যে ফুলেফলে তোমার কোল ভরে উঠুক। ভগবান তোমার সব মনবাঞ্ছা পূর্ণ করুক এই প্রার্থনা করি।
    আহা গো, কি মিষ্টি মেয়ে গো!
  • tan | 131.95.121.127 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১০:৩৭670947
  • ধন্যযোগ ইন্দিরা।:-)))
  • tan | 131.95.121.127 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১০:৪০670948
  • মধ্যম চরিত
    (দ্বিতীয় অধ্যায়)
    মহিষাসুর সৈন্য বধ

    ঋষি বলিলেন।১
    দেবাসুরে একশো বছর যুদ্ধ হলো নিরন্তর
    মহিষ যবে অসুরপতি স্বর্গপতি পুরন্দর।২

    দেবতারা তায় হার মানিলো,মহাবলী দৈত্য করে,
    স্বর্গের ইন্দ্রত্বলাভ করলো মহিষ হেলাভরে।৩

    অগ্রে নিয়ে পদ্মযোনি ধাতায় তখন অমরগণ,
    বিষ্ণু-মহাদেবের কাছে ছুটে এসে লয় শরণ।৪

    মহিষাসুর যা করেছে তাঁদের কাছে সেই সকল,
    পরাজিত অমরেরা বল্লো খুলে অবিকল।৫

    সূর্য,অনল,অনিলাদির যাহা ছিলো অধিকার,
    হস্তগত হয়ে আছে আজ সবি সেই দুরাত্মার।৬

    স্বর্গ হতে বিতাড়িত অমর যত তার কারণ,
    মরছে ঘুরে মর্ত্যধামে মানব সম অনুক্ষণ।৭

    এই কহিলাম অমরারি অনিষ্ট যা করলো হায়
    চরনতলে শরণ নিলাম স্থির করো তার বধোপায়।৮

    দেবতাদের এই বচন শুনে বিষ্ণু এবং মহেশ্বর,
    ক্রোধের বশে দুইজনেরই ঘটলো মহা ভাবান্তর।৯

    চক্রধারীর বদন থেকে হয় তখনি বিনির্গত
    জ্বলন্ত এক তেজের শিখা,ব্রহ্মাদিরও তেমনি মত।১০

    অন্য যত দেবতাদেরও শরীর হতে তেমনি ধারা,
    তেজ-শিখা যে মিলে মিশে হয় সেখানে একাকারা।১১

    অমরেরা দেখলো মহা তেজ-শিখা সে ভয়ঙ্কর,
    জ্বালাময়ী শৈল যেন আচ্ছাদিয়া দিগন্তর।১২

    তারপরে তিন ভুবনে পরিব্যপ্ত তেজের রাশি,
    অতি অপরূপ এক নারীর রূপ লইলো আসি।১৩

    শম্ভুতেজে মুখ হলো তার,যমতেজে কেশ মেঘবরণ,
    বাহু হলো বিষ্ণুতেজে, মৃণালসম সুগঠন।১৪

    সোম তেজেতে স্তনযুগল ইন্দ্রতেজে "মধ্য" আর
    বরুণতেজে জঙ্ঘা উরু,ভুতেজে নিতম্ব তাঁর।১৫

    ব্রহ্মতেজে হয় পাদযুগ,অর্কতেজে পদাঙ্গুল,
    বসুতেজে করাঙ্গুলি,কৌবেরে নাক তিলের ফুল।১৬

    প্রজাপতির তেজেতে হয় কুন্দকুসুম দন্তচয়,
    অগ্নিতেজে হয় তাঁরি যে অগ্নিঝরা নয়নদ্বয়।১৭

    সন্ধ্যাতেজে সম্ভূত ভ্রূ,অনিলতেজে করণ তাঁর,
    অন্যদেবের তেজে বাকী অঙ্গখানি মঙ্গলার।১৮

    তারপরে সেই সর্বদেব তেজরাশিতে সমুদ্ভূত,
    তাঁয় দেখে সব অমরেরা হলেন অতি হর্ষযুত।১৯
  • tan | 131.95.121.127 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১০:৫৩670949
  • আপন ত্রিশূল হতে দিলেন শূল তাঁহারে পিনাকপানি,
    আপন চক্র হতে তাঁরে চক্র দিলেন চক্রপানি।২০

    শঙ্খ দিলেন বরুণ তাঁরে,শক্তি দিলেন হুতাশন,
    মারুত-চাপ ও বান ভরা তূণ,সর্বশত্রু নিসূদন।২১

    অমরপতি ইন্দ্র দিলেন বজ্র হতে বজ্র, আর,
    ঐরাবতের ঘন্টা হতে ঘন্টা গড়ে হস্তে তাঁর।২২

    কালদন্ড হতে দন্ড যম দিলা,পাশ অম্বুপতি,
    অক্ষমালা,কমন্ডলু,ব্রহ্মা স্বয়ং হৃষ্টমতি।২৩

    সমস্ত রোমকূপে আপন রশ্মি দিলেন দিবাকর
    মৃত্যু মহাকাল স্বকীয় খড়্‌গ চর্ম ভয়ঙ্কর।২৪

    ক্ষীরোদ সাগর দান করিল চিরস্থায়ী হারবসন,
    চূড়ামণি,বলয় এবং কুন্ডলাদি সব ভূষণ।২৫

    অর্ধচন্দ্র কেয়ূরাদি সর্ববাহুর অলঙ্কার,
    পায়ের বিমল নূপুর তথা দিব্যগ্রীবা ভূষণ আর।২৬

    অঙ্গুলিতে অঙ্গুলিতে অঙ্গুরীয় চমৎকার।২৭

    বিশ্বকর্মা দিলেন শেষে ভীমপরশু সুনির্মল,
    আরো বহু অস্ত্র এবং অভেদ্য কবচোজ্বল।২৮

    জলধি তাঁর বক্ষে শিরে মাল্য দিল পঙ্কজের,
    অতি শোভন লীলাপদ্ম ভূষণরূপে শ্রীহস্তের।২৯

    হিমাদ্রি সিংহ বাহন ও নানা রত্ন সমুচ্চয়,
    অশূন্য অমৃতপাত্র দিলেন কুবের মহাশয়।৩০

    সর্বনাগের অধিপতি শেষ দিলো এক চমৎকার,
    মহামণি-বিভূষিত বক্ষভূষণ নাগের হার।৩১

    অন্য যত অমর দিল নানা ভূষণ,অস্ত্র আর,
    তাহাই পেয়ে অট্টহাসি হাসেন দেবী,বারংবার।৩২
  • tan | 131.95.121.127 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১১:০৭670950
  • ইয়ে ইন্দিরা,
    এত আশীব্বাদ আমার প্রাপ্য নয়। আমি শুধু ঘোরের মধ্যে টুকে দিচ্ছি, আসল ক্রেডিট স্রষ্টা ও অনুবাদকের প্রাপ্য।
  • tan | 131.95.121.127 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১১:৪২670951
  • গভীর ঘন হুঙ্কারে সেই পূর্ণ হলো নভোস্থল,
    অপ্রমেয় প্রতিধ্বনি ফেল্লো ছেয়ে ভূমন্ডল।৩৩

    শঙ্কাভরে উঠলো কেঁপে সপ্ত সাগর,ভুবনত্রয়
    কাঁপলো ধরা স-সাগরা,তুঙ্গ মহীধর নিচয়।৩৪

    হর্ষে যত অমর তখন বল্লো,""দেবী,জয় তোমার।""
    মুনিরা সব স্তোত্র-গাথা গাইলো তাঁরি বারংবার।৩৫

    এমনি ধারা ত্রিভুবনে ক্ষুব্ধ হেরে দৈত্যগণ,
    স-সৈন্যে সব সাজলো রণে অস্ত্র করে উত্তোলন।৩৬

    ""আ:,কি হলো""বলেই তখন মহিষাসুর মত্ত হয়ে-
    শব্দটিরে লক্ষ্য করে ধাইলো যত অসুর লয়ে।৩৭

    দেখলো দেবী বিরাজিতা তেজে ভুবন ব্যাপ্ত করে-
    আকাশে তাঁর কিরীট ঠেকে,জগৎ নত পায়ের ভরে।৩৮

    ভীম ধনুকের টঙ্কারেতে শব্দিত সব পাতালতল,
    হাজার ভুজে ব্যাপ্ত করে আছেন তিনি দিক সকল।৩৯

    যুদ্ধ শুরু হইলো তখন তাঁর সাথে সেই দৈত্যদের,
    অস্ত্রালোকে দীপ্ত হয়ে উঠলো দেহ দিগন্তের।৪০

    "চিক্ষুর"এবং 'চামর"-এই দুই সেনাপতি মহাসুর
    চতুরঙ্গ সৈন্যসহ আরম্ভিল যুদ্ধ ঘোর।৪১

    "উদগ্র" আরা "মহাহনু" হাজার কোটি রথ-রথীতে
    পরিবৃত হয়ে এলো দেবীর সাথে যুদ্ধ দিতে।৪২

    পাঁচকোটি রথ নিয়ে এলো "অসিলোমা" ভয়ঙ্কর,
    "বাষ্কল" সে ষাট কোটি রথ অগ্রে হলো অগ্রসর।৪৩

    হাজার হাজার গজাশ্ব আর কোটি কোটি রথের পতি,
    হয়ে এসে যুদ্ধ দিলো "পারিবারিত" উগ্রমতি।৪৪

    পঞ্চ অযুত রথ সহ এক অসুর "বিড়ালাক্ষ" নাম
    অনেক অনেক সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ দিলো অবিশ্রাম।৪৫

    এ সব ছাড়া,আরও বহু অসুর বহু রথ রথীতে,
    অশ্ব গজে বৃত হয়ে লাগলো সেথা যুদ্ধ দিতে।৪৬

    হাজার হাজার কোটি কোটি রথাশ্বগজ পরিবৃত,
    হয়েই সেথা মহিষাসুর হয় সমরে উপনীত।৪৭

    হস্তে কারো তোমর,কারো শক্তি,কারো ভিন্দিপাল,
    কারো খড়্‌গ,ভীম পরশু,পট্টিশাদি অস্ত্রজাল।৪৮
  • tan | 131.95.121.127 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:০৬670952
  • দেবীর 'পরে নিক্ষেপিল কেহ শক্তি কেহ বা পাশ,
    খড়্‌গ প্রহারেতে কেহ করতে গেল তায় বিনাশ।৪৯

    চন্ডিকা তাঁর আপন হাতের অস্ত্র দিয়ে কেবল তায়
    খন্ড-বিখন্ডিত করে ফেলেন কেটে সব হেলায়।৫০

    দেবর্ষিরা স্তুতি করেন শান্তভাবে হৃদয় ভরি,
    হাসিমুখেই অসুরদেহে অস্ত্র মারেন মহেশ্বরী।৫১

    দেবীর বাহন সিংহটিও ক্রুদ্ধ হয়ে ইতস্তত:
    অসুর-সেনার মধ্যে ছুটে বন্য হুতাশনের মত।৫২

    নি:শ্বাসে নি:শ্বাসে সেথা যুধ্যমানা অম্বিকার,
    সৃষ্ট হলো"গণ" নামে লক্ষ শত সৈন্য তাঁর।৫৩

    ভীম পরশু ভিন্দিপাল ও পট্টিশাদি ভয়ংকর
    অস্ত্র নিয়ে অসুরা নাশে তারাও হলো অগ্রসর।৫৪

    কেউ পটহ মৃদঙ্গ আর কেউ বা মহাশঙ্খরবে
    তুললো করে মুখরিত সেই সমর-মহোৎসবে।৫৫

    মহাদেবী ত্রিশূল,গদা,শক্তি এবং খড়্‌গাঘাতে
    বধেন বহু বড় বড় অসুর প্রতি পলক পাতে।৫৬
  • tan | 131.95.121.127 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:১৯670953
  • ঘন্টারবে মুগ্‌ধ হয়ে লয় কেহ বা ভূমিতল,
    পাশেতে আকৃষ্ট কেহ মরলো হয়ে হতবল।৫৭

    দ্বিখন্ডিত করলো কারো শরীরখানি তীক্ষ্ণধার
    খড়্‌গপাতে,কেউ মরিল গদাঘাতে অম্বিকার।৫৮

    মুষল ঘা'তে মরলো কেহ নাকে মুখে রক্ত উঠে-
    নিপতিত হয় কেহ বা ভূমিতলে শূলের চোটে।৫৯

    রণাঙ্গণে ঘন ঘন বর্ষিত সুতীক্ষ্ণ বাণ
    লইলো কেড়ে সংখ্যাতীত মত্ত অমরারির প্রাণ।৬০

    ছিন্নবাহু,ছিন্নগ্রীবা,কারও হলো ভূপতিত,
    শির কাহারো পৃথক হলো উদর হলো বিদারিত।৬১

    অঙ্গ হতে জঙ্ঘা কারো ছিন্ন,কারো একটি ভুজ
    একটি পা আর চক্ষু আছে,অন্য কোথা নাই সে খোঁজ।৬২

    ছিন্নমাথা হয়েও বহু অসুর রোষে উর্ধভুজ।৬৩

    সেই যতসব কবন্ধেরা অস্ত্র নিয়ে দেবীর সনে,
    করলো কেহ যুদ্ধ শুরু কেউ নাচিল আপন মনে।৬৪

    খড়্‌গ শক্তি হস্তে নিয়ে কবন্ধ আর কতকগুলি
    "তিষ্ঠ" বলে ভয় দেখালো দেবীকে অঙ্গুলি তুলি।৬৫

    অস্ত্রাঘাতে ভূপাতিত রথাশ্ব গজ অসুর-শবে
    ভরেই গেল বসুন্ধর সেই বিভীষণ মহাহবে।৬৬

    রক্তনদী ঢেউ খেলিয়া ছুটলো যত অসুরদের,
    ভাসলো তাতে মৃতদেহ লক্ষকোটি গজাশ্বের।৬৭

    নিমেষে সেই অগণিত দৈত্যসেনা,অম্বিকার
    কোপানলে তৃণের মত হয়ে গেল ভস্ম ছার।৬৮

    সিংহও তার কেশ ফুলায়ে গর্জে ওঠে ভয়ঙ্কর
    অমনি থর থর করি কাঁপে অসুরদের অন্তর।৬৯

    গণেরাও যুঝলো খুবই,তুষ্‌ত হয়ে অমরগণ,
    স্বর্গ হতে করলেন বহু পুষ্পবৃষ্টি বরিষণ।৭০
    (ইতি মহিষাসুর-সৈন্য বধ সমাপ্ত)
  • Indira | 59.93.193.36 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:৫৬670954
  • বড় ভালো হচ্ছে মা রে। আহা গো মিষ্টি মেয়েটা কত ভক্তি ভরে কাজটা করছে। সত্যিই ধন্যযোগ রে মা!
    ভগবান যে আজও আছে রে, সে তোর এই কাজ দেখে আবার বুঝলাম। বাছা রে, কত ভক্তি!!
  • Pallab | 59.93.241.88 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:৫১670956
  • মহিষাসুর বধ হল কই?
    তাপ্পর?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন