এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এলিটিস্ট সংস্কৃতি এবং বঙ্গীয় ভন্ডামি

    r
    অন্যান্য | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ২১৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 59.145.136.1 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:২১670974
  • মোদ্দা চারটি:

    ১) বাঙালীদের গৌরবের সমোস্কিতির শতকরা আশি ভাগ এলিটিস্ট। রবি ঠাকুর থেকে সুবিমল মিশ্র ইস্তক। এটা ঠিকই আছে। শুধু ভন্ডামি না কল্লেই হল।

    ২) পঁচানব্বই শতাংশ লেখালেখি মধ্যবিত্ত দ্বারা এবং মধ্যবিত্ত নিয়ে। এইটাই আমাদের সমোস্কিতির জগৎ।

    ৩) কাজেই মার্জিন-সাবল্টারনদের নিয়ে মধ্যবিত্ত টিকরমবাজি আরও এলিটিস্ট এবং ভন্ডামিতে ভরা। বাজারী পত্রপত্রিকা তাও পোচুর মধ্যবিত্ত পড়ে। তথাকথিত বিকল্প লেখা পড়েন গুটিকয়েক। মার্জিনে থাকা লোকজন কিস্যু পড়েন না।

    ৪) মার্জিনে থাকা লোকজনদের পড়াতে চাইলে বেসিক বই লিখুন, ইস্কুল খুলুন এবং সেখানে গিয়ে পড়ান।
  • r | 59.145.136.1 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:২৯670985
  • মধ্যবিত্তরা এই অন্যদিকের গপ্পো তো কমদিন হল শুনচে না! তারপরেও মার্জিনে কেউ অঙ্কের রাফ কাজও করে না। কাজেই শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের নিজেদের মধ্যেই ছায়ার লড়াই। কে অনেকটা পোতিষ্ঠান, কে একদম নয়, কে পাঁচ শতাংশ বামপন্থী, কে আঠেরো গ্রাম তাঙ্কিÄক, কে আশি শতাংশ সাবভার্সিভ! দেকে দেকে চোখে ছানি পড়ে গেল।

    তবিলদারি দে মা, লুটেপুটে খাই......
  • vikram | 134.226.1.136 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৭:৩০670996
  • রংগনের কঠিন বাংলা থেকে যা বীরুলো তা নিয়ে আমার এক কথা। এই এলিটিস্ট, না এলিটিস্ট, সেমি এলিটিস্ট, লিটিল ম্যাগ, বিগ ম্যাক-থুড়ি ম্যাগ , বোকাচোদা বলা যাবে না যাবে না এগুলো নিয়ে যত কথা তত প্যাঁচ - এবং স্কোয়ার ওয়ান।
    ভালো করে ব্যাট কত্তে চাইলে এখন পাতি খেলায় মন দেওয়া উচিত, চাট্টি রান করা উচিত। বিদগ্‌ধ কমেϾট্র পরে আমরা গুছিয়ে দেবো - আমি যখন নোবেল পাবো তখন আপনারা সবাই মিলে ইন্টারভিউ দেবেন।
    এখোন ননোস্টপ ল্যাখা চলুক।

    কচকচিও চলুক - কিন্তু ল্যাখাটা মাস্ট। যেটা কিনা আমি করছি না।

    বিক্রম
  • dd | 202.122.18.241 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:২৯671007
  • রঙ্গনের কথার বাঁধুনী, চিন্তা শক্তির মস্তানী ও যুক্তিজালের কি জানি বলে .... মোট কথা অতি মনোহারী।

    তবে শুঁটকী মাছ খায়, সেটা ক্ষমা করে দিলাম।

    এই বিষয়ে পরবাসে অজিতেশের দুর্দন্ত দুর্ধর্ষ একটা প্রবন্ধ রয়েছে। খুঁজে বার করে পড়ুন । এতে টইতে ইন্টেরেস্টেড হলে অবশ্য পাঠ্য।
  • vikram | 134.226.1.136 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:৩২671018
  • আমি তো অজিতেশের থেকেই টুগলাম। সেখেনে সে কয়েছিলো এই যে আজকাল হ্যাঁ নাটক না নাটক ইয়ে নাটক এইসব চলছে ...

    বিক্রম
  • dd | 202.122.18.241 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:০২671029
  • ভিকিদা কোনো কাজের নয়।
    হাব ভাব এক্কেবারে জাতীয় অধ্যাপকের মতন। আরে লিংটা তো দিতে পাত্তি। সবাই এগবারেই কিলিক করে পড়তে পাত্তো।
  • tan | 131.95.121.127 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:৩৮671039
  • চাবুক চাবুক,লেখা তো নয় যেন চাবুক।দারুণ।থ্যাংকু পারমিতা ।
  • Pallab | 59.93.255.234 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:৫৫671040
  • পুরো লেখাটায় আর্ট থিয়েটার-এর জায়গায় লিটিল ম্যাগাজিন বসিয়ে দিলেই হল, ব্যস!
    খাপে খাপে মিলে যাবে এক্কেবারে!
  • b | 210.214.29.151 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৯:৫২670975
  • র ভালো পেয়েছে। একবার মেন্সট্রীম বামপন্থী দের আরেকবার নোতুন মর্জিন ওয়ালা দের ঝাড়ছে। ক্রমশ: অঙ্কের মাস্টার এর মত হয়ে যাচ্ছে। সবাই কে ঝাড়।

    র কে কেউ একটু কড়া কইরা অঙ্ক দেয় কেউ নাই, হায়।

    তাইলে লড়াই টা কি মূলত: legitimacy র?

    এই সব মাস্টারি কইরা কি হইবো র? কেউ তোমার দু লাইনের থিওরী পড়ে নিজের পোজিশন বদলাবে না। কারণ বেসিকালি যেটা হবে সেটা প্রতিযোগিতামূলক কপচানি, চকমকি মূলক ঠোকা ঠুকি, শেষে নিজেরাই বহবা বাহবা।। তার পরে এই 'ভণ্ডামি' নিয়া তোমারেই নোতুন টই খুলতে হবে।

    বাজে অঙ্কের বাজে মাস্টারী না করে, একটা ও অনেক বড় পোবোন্ধো লিখে প্রায় ই ইশান কে পাঠাও না। সব বড় লেখা সফল বিজনেস মডেল দের দিয়া দিয়ো না। বা জমায়ে রেখো না।

  • Ishan | 67.173.95.163 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১১:৩০670976
  • অঙ্কটা বাজেই তো। নিম্নোক্ত গোঁজামিল আছে:

    এক। "বাঙালীদের গৌরবের সমোস্কিতির আশি শতাংশ এলিটিস্ট।'
    বেশ তো।

    দুই। "পঁচানব্বই শতাংশ লেখালিখি মধ্যবিত্ত দ্বারা এবং মধ্যবিত্ত নিয়ে। '
    শতাংশের হিসেব জানিনা। কিন্তু তাও না হয় হল।

    তিন। "কাজেই মার্জিন সাবল্টার্নদের নিয়ে মধ্যবিত্ত টিকরমবাজি আরও এলিটিস্ট এবং ভন্ডামিতে ভরা।'

    এইটা কেন? কিকরে? এলিটিস্ট নাহয় মেনে নিলাম, কিন্তু ভন্ডামি কেন? ফিসিক্সের জার্নাল ফিজিসিস্ট ছাড়া কেউ পড়েনা। ফিজিক্সের ডিসকোর্স এলিটিস্ট ডিসকোর্স। তা বলে ফিসিসিস্টরা ভন্ড নাকি? তাহলে সোসাল সায়েন্স করা লোকেরাই বা ভন্ড হবে কেন? এইটা যুক্তিপরম্পরার বাইরে থেকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

    চার।" মার্জিনে থাকা লোকজনকে পড়াতে চাইলে বেসিক বই লিখুন, ইস্কুল খুলুন, এবং সেখানে গিয়ে পড়ান।'

    এইটা সবচেয়ে আপত্তিকর এবং প্রক্ষিপ্ত। প্রথমত: "মার্জিনে থাকা লোকজন' মানে কি? এটা খুব ভাইটাল প্রশ্ন। আর দ্বিতীয়ত: তাদেরকে খামোখা পড়াতেই বা যাব কেন? আমি কি ইশকুল মাস্টার নাকি?
  • kd | 59.93.206.68 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:২১670977
  • ঈশেন,
    ফিজিক্সের জার্নাল ফিজিসিস্ট ছাড়া আর কেউ পড়ে না - কেন? কারণ, ওরা এলিটিস্ট এবং কিছুটা ভন্ডও - ওরা এমন করে লেখে যাতে আমার মতো অধমেরা কিছু বুঝতে না পারি। আমাদের বোঝার মতো কি লেখা যায় না? এই যে ঠানদি কেমন লিখলো - পড়ে বেশ কিছুটা বুঝলুম, একদম ডায়েলেটেড হয়ে গেলুম। ঠানদির থেকে একটু বেশী পন্ডিত, ডিক ফাইনম্যান, তার লেখাও তো মোটামুটি বুঝতে পারি। তব্বে?

    এই ব্যাপারে পুরোনো একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল - সত্তর সালে MITতে মরিস কোহেন, মেটালার্জির জগতে সেই কোথায় ওপরে, এর সঙ্গে দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল - আমি ওনাকে বললুম, আমাদের দেশে আমরা শ্রদ্ধা জানাই প্রণাম করে, তুমি কী আমায় সে সুযোগ দেবে? প্রণাম করার পর উনি আমায় ওনার একটি লেক্‌চার শুনতে চাই কিনা জিজ্ঞেস করতে তো আমি গদগদ। যাই হোক, লেক্‌চারের পরে উনি আমায় খপ করে ধরে কইলেন, কেমন বুঝলে, আমায় এখনও পন্ডিত মনে হচ্ছে? আমি বললুম, আসলে, লেক্‌চার শুনতে শুনতে আমার নিজেকেই বেশ পন্ডিত মনে হচ্ছিল হাফ রাস্তা অবধি, তারপর থেকে আস্তে আস্তে পুরো সবকিছু কেমন ঝাপসা হয়ে গেল।
    উনি খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে বললেন, তোমায় লেক্‌চার দেওয়ার একটি trick শিখিয়ে দিচ্ছি - ফলো কর, তোমাকেও লোকে পন্ডিত ভাববে। প্রথম পনেরো মিনিট যা বলবে তা যেন একটা cabdriverও বুঝতে পারে, পরের পনেরো মিনিট শুধু লাইনের লোক, তার পরের পনেরো মিনিট শুধু academicরা, আর শেষ করবে যেটা তুমি নিজে কেন, ভগবানও বুঝতে পারবে না।

    মানে, উনি আমায় পন্ডিতি ভন্ডামো করা শিখিয়ে দিলেন। কী বুঝল্যা?
  • a | 203.197.196.1 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৯:০৬670978
  • ফিজিক্সের জার্নাল কেন, কোন বিষয়ের জার্নাল ই সবার বোঝার মত করে লেখা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়।কোন নতুন তথ্য বা গবেষণা লব্ধ ফলাফল জার্নালে লিপিবদ্ধ করা হয়। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করা হয় এমনভাবে প্রমাণ সহযোগে লেখার যাতে তা rejected না হয়।সাধারণ মানুষ যারা এসব বিষয়ে অবহিত নন, তাদের বোঝানোর দিকে নজর দেওয়া হয় না, প্রয়োজন ও নেই।কিছু স্থানে আবার সবার বোঝার মত করে লেখাটাও একটা বড় factor, অর্থাৎ সেভাবেই লিখতে হয়। যথা "Science" এবং বলাবাহুল্য "Science" একটি ম্যাগাজিন, journal নয়।আরো একটি কথা এই যে অনেক জার্নালেরই বেশিরভাগ পেপার পড়ে বোঝা যায় না।আমি chemistry এর কিছু জার্নালের কথা উল্লেখ করতে পারি (JACS,PNAS) যার অধিকাংশ পেপার ই আমি এবং আমার চেনাজানা প্রায় সকলেই পড়ে বুঝে উঠতে পারিনা, বা কিছুটা বোঝা গেলেও উপলব্ধির স্তরে পৌঁছায় না। কারণ সেই সব টেকনিক বা থিওরী বা বিষয়ের উপর আমাদের সম্যক ধারণা নেই।এবং রিসার্চ যেহেতু খুব ই compartmentalized,তাই হয়ত বা দরকার ও হয়না।কাজেই থ্রেড এর বিষয়টি নিয়ে আলোচনাতে এদের কে টানার দরকার নেই বলেই মনে হয়।
  • indo | 59.93.200.4 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২০:৫৭670979
  • কেন ? দরকার নেই কেন? সোস্যাল সাইন্স ফিজিক্স নয় বলে, সাইন্সের হায়ারার্কিতে অচ্ছ্যুত বলে?
    নাকি কুত্তার বাচ্ছার সাঁতার শেখার মত জন্ম থেকেই আমরা সোস্যাল সাইন্স জেনে -বুঝে বসে আছি-যেহেতু মানুষ একটি সোস্যাল প্রাণী!
  • a | 203.200.95.130 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:৫০670980
  • Social Science এর কথা আমি অন্তত বলিনি।অন্তত আমার তাই ধারণা।physics, chemistry, mathematiscs, biology এদের কে টানার কোনো মানেই হয় না।জোর করে টানা যেতেই পারে,কে আটকাচ্ছে!! তাতে শুধু অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারাণা হবে,বক্তব্য ঘেঁটে যাবে। আমি যা লিখেছি উপরে,তা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং কঠোর বাস্তব।এবারে বলা হোক।
  • Ishan | 67.173.95.163 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:১৮670981
  • ফিজিক্সের কথা আমার অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হচ্ছেনা। তবুও, কথাটা অন্যভাবেও বলা যায়।

    খুব সহজ করে বলি। ধরা যাক, আমি বিহারের গ্রামীণ মানুষের সামাজিক অবস্থা নিয়ে একটা কাজ করছি। প্রচুর স্টাডি ফাডি করে দেখলাম, যে সেখানে ফিউডাল লর্ডদের আধিপত্য। মেয়েদের সামাজিক অবস্থা খুব খারাপ। ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি একটা বড়ো প্রবন্ধ লিখলাম তাই নিয়ে, সেটা কোনো একটা জার্নালে ছাপা হল। এবং গবেষক হিসাবে আমার নাম হল।

    এবার সিচুয়েশনটা এই, যে, আমার গবেষণাপত্র, যাদের নিয়ে গবেষণা, তারা কেউ পড়েনা। পড়লেও বুঝবেনা। তাতে বোঝা গেল আমি যা লিখেছি, তা এলিটিস্ট। কিন্তু আমি ভন্ড কেন? আমি কি কখনও দাবী করেছিলাম, যে, আমি বিহারে সমাজবিপ্লব করতে চলেছি? আমি একটা কেস স্টাডি করতে গিয়েছিলাম। করেছি। ব্যস , মিটে গেছে।

  • r | 61.95.167.91 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:০৯670982
  • আমায় দমু ঝগড়া কত্তে বারং করেচে, তাই মুকে কুলুপ এঁটেছিলুম। কিন্তুক অ্যাকন হাতটা কিরম চুলকুচ্চে। তাই দুই লাইন :-)

    ১) যে ল্যাখায় মার্জিনের ছেঁড়া যায়, সেই লেখার যা দাম, মার্জিন নিয়ে না ল্যাখা নবকল্লোলের উপন্যেসেরও সেই দাম।

    ২) কিছু ল্যাখা ভালো, কিছু ল্যাখা বাজে। সাব-অল্টান নিয়ে হতকুচ্ছিত ল্যাখা এবং বড়োনোকদের নিয়ে ফাটাফাটি ল্যাখা- দুইই সম্ভব।

    ৩) কাজেই হঠাৎ এই মাজ্জিন-সাবল্টান নিয়ে কান্নাকাটির যে ধুম পড়েছে, তার কারণ কি? এই কান্নাকাটিটাই ভন্ডামি। য্যামন এই লাইন্টা যেটা ঈশেন চিন্তে পার্বে- "এবং প্রতিরোধের নতুন তঙ্কÄ লেখার জন্য নোটস তৈরি করে যাওয়াই আমাদের কাজ.....ক্ষমতা অন্তহীন, প্রতিরোধ অন্তহীন।" যার পোতিরোধ করে এবং যাদের জন্য পোতিরোধ তাদের এই বিরিঞ্চিবাবাসদৃশ তঙ্কÄবাজি দেখে হাগা পাবে।

    ৪) কাজেই দেশে-লবকল্লোলে-পোসাদে জনপ্রিয় ল্যাখকেরা য্যামোন মাসি-পিসি-বৌদিদের দুপুরের সাথী হিসেবে গপ্পো ফাঁদেন, এই সব উত্তরাধুনিক মাজ্জিন সাবল্টানেরাও তাদের পারস্পরিক পিঠ চুলকোনোর বন্ধুগোষ্ঠীর জন্য পোবোন্দো-উপন্যেস-গপ্পো ফাঁদেন। শুধু এইসব মাজ্জিনের কতা একটু ইউ এস পি টাইপ্‌স হতে পারে বলে অ্যাতো বক্কাবাজি!

    ৫) যদিও এগুলা বাংলা সাইত্যে লতুন কিছু নয়। ফুল্লরা-কালকেতু থেকে শুরু হইয়েছে। হঠাৎ লবারুণ নিয়ে হৈ-চৈ ক্যানো? কারণ ভদ্দরনোক ল্যাখেন খাসা। আর সেন্স ও হিউমার বড় টন্‌টনে। এর মধ্যে সাব-অল্টান আসে ক্যানো?

    কাজেই স্বীকার করে নেওয়া যাক যে আমাদের যাবতীয় সমোস্কিতিপনা "সব আমাদের জন্য।" যারা স্বীকার কোর্বেন না, এবং অনেকেই স্বীকার কোত্তে চান না, তারা ভন্ড। যদিও এই দুই সমোস্কিতির মধ্যে বিরিজ বানাবার কাজে অনেকেই হাত লাগিয়েছেলেন। তেনাদের গড় করি। যারা বেশি বেশি "তাহাদের কতা" কইবার চেষ্টা করেন, তাদের ল্যাখাই মোটের উপর দন্তস্ফুটনাযোগ্য। অর্থাৎ গরীবগুর্বোরে ধরে নতুন রকমের এক সংস্কৃতায়ন। এইডাই হইল গিয়া ভন্ডামি।
  • Arjit | 128.240.229.65 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:১৯670983
  • তাইলে মোটামুটি ৯৯% হইলে গে ভণ্ডামি। ইনক্লুডিং...
  • r | 61.95.167.91 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:২১670984
  • এইবার অ্যাকাডেমিক ল্যাখা লইয়া দুই পয়সা। :-)

    কে কইল অ্যাকাডেমিক ল্যখা শুদু জার্নালেই ছাপা হয়? অবশ্যই বেশির ভাগ ল্যাখাই ছাপানো শুদু ছাপানোর জইন্য। নইলে বুশের দ্যাশে চাগরি থাহে না। কিন্তু সব মোটেও তাই লয়। এই ধরেন আজ যে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষে নিয়ে ওয়াল্ড ব্যাঙ্ক থেকে বুড়োশিবতলা পঞ্চায়েত অবধি অ্যাতো চেঁচমেচি লাগায়ে দিছে, তার পেছনে কিন্তুক অঙ্কতে ভরা কিছু গামা গামা পেপার। যার বেশ কতকগুলান লিখেছিলেন অমত্ত সেন মশাই। তাকে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়ে ফেললেন জনাব মেহবুব উল হক। এই সবের পরেই কি না হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইন্ডিকেটর এবং তৎসংক্রান্ত যতেক ঢিসুম্‌ঢিসুম।

    ফিজিক্স-টিজিক্সেও তাই হয় লিচ্চয়। নইলে এই সব স্যাটেলাইট-ম্যাটেলাইট কোত্থিক্যা আহে? যারা জানেন তারা কইতে পার্বেন।

    কিন্তুক অ্যাকাডেমিক ল্যাখায় পোতিরোধ-পোতিরোধ কইর‌্যা কেউ মায়াকান্না কাঁদে না। কেউ কয় না যে ইহা একটি সাবভার্সিভ ল্যাখা যাহা এস্টাবলিশমেন্টের পাজামা ধরিয়া টান দেবে। চাগরি-বাগরি বজায় রাখার জন্য লোকে ল্যাহে। বা কাউর কাউর এই কাম ভালো লাগে বলে ল্যাহে। কাজেই.....
  • Arjit | 128.240.229.65 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:৪০670986
  • অ্যাকাডেমিক লেখা অধিকাংশই নানারকম আইডিয়া। তার মধ্যে কোনোটা টেঁকে, কোনোটা উড়ে যায়। যেগুলো টেঁকে, সেগুলোকে ইন্ডাস্ট্রী তুলে নেয়। ইউনিভার্সিটিতে তো বাজারে ছাড়ার মাল তৈরী হয় না - একটা প্রোটোটাইপ তৈরী হয়, তারপর সেটা কাজের হলে ইন্ডাস্ট্রী সেটাকে নেড়েঘেঁটে বাজারে ছাড়ে। সবই এরকম - আমাদের কম্পুটার লাইনেও যা, ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিতেই তাই।
  • vikram | 134.226.1.136 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:০২670987
  • অ্যাকাডেমিক জার্নালের কাজ বিপ্লব করা নয়। কেউ কোনো 'সিগনিফিকেন্ট' (এটা ভীষন সাবজেক্টিভ - যে কারনে নিন্দুকে বলে ফর এভরি পেপার দেউআর ইজ আ জার্নাল) কাজ করলে সেটাকে লিপিবদ্ধ রাখা হবে এটাই উদ্দেশ্য। রেলেভেন্ট ফিল্ডের কেউ পড়তে চাইলে পড়বে - সেখান থেকে ধরতাই নিয়ে বাকিরাও কাজ করবে।
    জনহিতার্থে বা মানুষকে গ্যান দান করতে সেভাবে লেখা হয় না। এর পেছনে যত অংক মংক সেগুলো বেশ একটা ওভার টাইম রূপ পেলে এবং (ক্যাপিটাল) তা মানুষের কাজে জেনারালি লাগলে তখোন লোকে এট্টু জানতে পারে।
    আর সব বড়ো কাজের পেছনেই কিছু সেমিনাল পেপার থাকে। এ আর বেশি কি।

    কিন্তু দিনের শেষে ঐ - পেপার লোকে লেখে চাকরি রাখতে, মস্তিতে, হ্যাবিটে, আর কখোনো কখোনো খুব গুরুঙ্কÄপূর্ন বস্তু জানাতে।

    কিন্তু সে তো ফুটবল ম্যাচেও তাই, যেকোনো চাকুরিতেই তাই। পেপার বের করাকে কাজ করার রিলায়েবল ইন্ডিকেটার ধরা হয় - এবং অ্যাজিউজুয়াল অন অ্যান অ্যাভারেজ অ্যান্ড ইন দা লং রান।

    বিক্রম
  • Ishan | 130.36.62.139 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:৪৩670988
  • রঙ্গনের লেখার মোদ্দা কথা:

    ""কাজেই স্বীকার করে নেওয়া যাক যে আমাদের যাবতীয় সমোস্কিতিপনা "সব আমাদের জন্য।" যারা স্বীকার কোর্বেন না, এবং অনেকেই স্বীকার কোত্তে চান না, তারা ভন্ড। ''

    লক্ষ্যণীয়, রঙ্গন আগের স্টেটমেন্ট থেকে সরে এসেছে। আগে ছিল অ্যাবসলিউট স্টেটমেন্ট -- মার্জিন সাবল্টার্নদের নিয়ে মধ্যবিত্ত টিকরমবাজি ভন্ডামিতে ভরা। এখন পাল্টে এটা একটা কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট হয়েছে। "যারা স্বীকার করবেন না তারা ভন্ড'।

    তো, এই কন্ডিশনল স্টেটমেন্ট অনুযায়ী পৃথিবীর প্রায় কোনো কনটেম্পোরারি সোসাল সায়েন্স করা লোকই ভন্ড নন। কারণ এটা প্রত্যেকেই স্বীকার করেন। "স্বীকার করুন, নচেৎ আপনি ভন্ড' এই কথা বলে কাউকেই আজ আর ঘায়েল করা যাবেনা, কারণ এই প্রশ্নটা সত্তরের দশকের, এবং সবাই একরকম করে এর একটা উত্তর বানিয়ে নিয়েছেন। অনেক রকম উত্তর হতে পারে, এখানে একটা উত্তর নিয়েই লিখব।যেটা এখানে প্রাসঙ্গিক। রঙ্গনের যুক্তিপরম্পরাকে কাউন্টার করার জন্য যেটা দরকার।

    রঙ্গনের যুক্তিপরম্পরাটা কি? রঙ্গন একটা উদ্ধৃতি দিয়েছে: ""..."এবং প্রতিরোধের নতুন তত্ব লেখার জন্য নোটস তৈরি করে যাওয়াই আমাদের কাজ ..... ক্ষমতা অন্তহীন, প্রতিরোধ অন্তহীন।'যারা পোতিরোধ করে এবং যাদের জন্য পোতিরোধ তাদের এই বিরিঞ্চিবাবাসদৃশ তত্ববাজি দেখে হাগা পাবে''। এখানে রঙ্গনের যুক্তি খুব ক্লিয়ার। যারা "প্রতিরোধ করে' এবং "যাদের জন্য প্রতিরোধ', তারা এই লাইনখানা পড়বেনা, পড়লেও বুঝবেনা, যদিও তাদেরই বোঝা জরুরি। এবং যেহেতু বুঝবেনা, অতএব এটা প্রতিরোধের তত্বই নয়, ফঁপা আওয়াজ মাত্র।

    এখানে, এই যুক্তি পরম্পরায়, সমস্যাটা হচ্ছে, যে, ধরে নেওয়া হচ্ছে, "মার্জিনাল', "সাবল্টার্ন', "যারা প্রতিরোধ করে', "অন্ত্যজ', "কুলি-মজুর-চাষা', "সর্বহারা' এগুলো সব প্রতিশব্দ। সেই ওরা কাজ করেতে যারা কাজ করে তারা। কিন্তু সোসাল সায়েন্সের চালু ধারায় মোটেও এভাবে ধরা হয়না। বস্তুত: মার্জিনাল বলতে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে (শ্রমিক শ্রেণী এবং/অথবা হরিজন এবং/অথবা নারী) এসব মোটেও বোঝানো ই হয়না।

    তাহলে মার্জিনাল বলতে কি বোঝানো হয়? একটু টেকনিকালি বললে, "প্রান্তিক' একটি টেক্সট সম্পর্কিত ক্যাটিগরি, রিয়েলিটি নয়। যে কোনো টেক্সটেই অনেক ক্যাটিগরি থাকে, সেগুলোর মধ্যে কোনো টা উঁচু কোনোটা নিচু। এই হায়ারার্কিতে যে ক্যাটিগরিগুলি খুবই নিচু, প্রায় বাকস্বাধীনতাহীন, সেগুলিকে ঐ টেক্সটের পরিপ্রেক্ষিতে "প্রান্তিক' বলা হয়।

    এতো গেল হিংটিং ছট। এর বাংলাটা কি? বাংলাটা খুব সোজা। কোনো জনগোষ্ঠীই "প্রান্তিক' নয়। "সাবল্টার্ন' নয়। আবার যেকোনো গোষ্ঠীই প্রান্তিক হতে পারে। সেটা কোন ডিসকোর্সের মধ্যে ফেলে দেখছেন তার উপর নির্ভরশীল। যদি মার্কসবাদী ডিসকোর্সে দেখেন, তবে শ্রমজীবীরা প্রান্তিক। যদি নারীবাদী ডিসকোর্সে দেখেন, তবে টাটা-বিড়লার বৌ ও প্রান্তিক। যদি জেন্ডার স্টাডিজে দেখেন, তবে হিজড়েরা প্রান্তিক। যদি পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজের চোখে দেখেন, তবে আপনি-আমি-হরি ডোম সক্কলেই প্রান্তিক।

    অতএব, বাংলা ভাষায়, মার্জিনাল একটি অবস্থান। কোনো লোক বা জনগোষ্ঠীর নাম নয়। আপনি আপনার টেক্সট নামক কম্পোজিশনে সেই জামাখানি যাকে পরাবেন, সে-ই তখন "মার্জিনাল' আখ্যানে আখ্যায়িত হবে। টেক্সটের বাইরে রিয়েলিটিতে মার্জিনাল বলে কিসু নাই।

    ফলে ঐ যে উদ্ধৃতি, "এবং প্রতিরোধের নতুন তত্ব লেখার জন্য নোটস তৈরি করে যাওয়াই আমাদের কাজ ..... ক্ষমতা অন্তহীন, প্রতিরোধ অন্তহীন' এর মধ্যে ভন্ডামি টন্ডামি নেই। এখানে, "মার্জিনাল' নামক ক্যাটিগরির মধ্যে আপনি-আমি থাকতেই পারি। শুধু হরি ডোম, আর হারাধন চাঁড়ালেরই "মার্জিনালিটি'তে অধিকার তা নয়। অতএব, লেখকের এই লেখা মার্জিনাল লোকের কাছে পৌঁছচ্ছেনা -- এই প্রশ্নটাই অবান্তর।

    তো, এটা একটা উত্তর। এরকম চল্লিশ রকমের উত্তর আছে। সেগুলোকে কনসিডার না করে আক্রমন করতে গেলে কিন্তু সমস্যা আছে। শুধু শুধু প্যাঁক খাবার জন্য আক্রমন করার কোনো মানেই হয়না।

  • Pallab | 59.93.241.159 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৩:১২670989
  • সাধারনত: আমি এসব থেকে দুরেই থাকি গুরুতে। তবু একটা মন্তব্য না করে পারলাম না।
    রঙ্গনের বক্তব্য, যেখানটায় ও তাদেরকে যারা শুধু ভাবে বা লেখে (দূরে , ঠান্ডা ঘরে, পুঁথি-স্তুপের আড়ালে :) থাকে যারা),
    তারা ভন্ড যেহেতু তারা রঙ্গনের বিবেচনায় ততটা ওতপ্রোত ভাবে সাবজেক্ট-এর কাছে থাকে না। এখানে একটা পয়েন্ট clear করা প্রয়োজন যে এই কাছে থাকাটা কি রকম?
    মাঠ নিয়ে একটা কাজে একজন একবার মাঠে ঘুরে এসে, তারপরে তথ্য ভার সরিয়ে একটা কাজ করতে পারেন যেটা বিবিধ ডাইমেন্‌শনের ও হতে পারে। আবার একজন মাঠের যত্ন নিতে পারেন, একজন মাঠে বসে স্রেফ হাওয়া খেতে পারেন, একজনের স্রেফ বিকেলটুকু, অপরজনের শুধুই সকালটুকুই মাঠ চাই একটু শরীর চাঙ্গা করার জন্যে। অ-বাবুর মাঠ চাই ভোরবেলা চুপিচুপি গাঁঢ়ু হাতে, ক-বাবুর মাঠ লাগে বড়রাস্তায় পড়ার শর্ট-কাট হিসেবে। আরো বহুজন থাকতে পারেন যাদের কথা আমরা বললাম না যদিও তারা মাঠের সাথে ওতোপ্রোত বা আংশিকভাবে জড়িত। এটা হতেই পারে যে আমরা তাদের কথা জানিনা বলে বললাম না, কিংবা অপ্রয়োজনীয় মনে করলাম বলে বললাম না। এই না বলাটা কিন্তু ভন্ডামী নয়। এই না বলার কারণে বলাটা এমনকি অসম্পুর্নও না হতে পারে।
    এখন সাব-অলটার্ন এর আইডেন্টিফিকেশনটাই যেখানে কেবলমাত্র তঙ্কÄ-গ্রাহ্য একটা রূপ সেখানে সাব-অলটার্ন নিয়ে যা লেখা হবে সেটাও তঙ্কÄ পরিধিতেই সীমায়িত। কাজ যদি করতেই হয় তো সেটা সাব-অলটার্নদের জন্য না করে কোন গোষ্ঠি বা ব্যক্তির জন্য করুন। তাদের বলবেন না যে তারা সাব অলটার্ন কারন পরিচিতি হিশেবে এটা মোটেই সম্মান জনক নয়। থিসিস কোথাও ব্যক্তি-সত্তাকে বস্তু সত্তা হিসেবে ট্রিট করে বলেই সেটা থিসিস। ঠান্ডা ঘরে বসে আমরা যেটা করি সেটা ভন্ডামী নয়, সেটা খোঁজ। খুঁজছি বলেই সেটা কারো ঘাড়ে চাপিয়ে দেব কেন?
    দিলেই বা আপনারা নেবেন কেন? বিশেষত কোন ব্যক্তি-মানুষ বা গোষ্ঠিকে নিয়ে টেস্ট টিউবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাটাকেও নিশ্চয় আপনি সমর্থন যোগ্য মনে করেন না! সেদিক থেকেও আমাদের ঠান্ডা ঘরে থাকাটাই সমীচিন নয় কি? কারো ক্ষতি না করতে চাওয়াটা কি ভন্ডামি?? :)
  • Paramita | 143.127.3.10 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৩:২২670990
  • চন্দ্রিল মহিলা ক্রিকেটারদের প্রান্তিক বলেছিল।
  • r | 61.95.167.91 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১১:২১670991
  • পল্লবের কতা বুঝি নাই। তবে অ্যাগটা কতা কইয়া রাখি। ভন্ডামিকে অ্যাতো কদর্থে নিচ্চেন ক্যানো মহায়? মানুষ যতো ভন্ড হবে, সইভ্যতা ততো সুশীল সুভদ্র হইয়ে উঠবে। সে সব কতা যাউগ গা! অ্যাতোদিন যে কতার জইন্য বইয়া ছিলাম, ঈশেন অ্যাদ্দিনে সেই কতাগুলান কইল। তক্কোটা তাই অ্যাখন ভন্ডামির থেকে একটু কান্নিক খেয়ে মাজ্জিনের খাসমহলে গিয়ে পড়বে। :-)

    সাবেকী বাংপন্থী মতে কইতে গেলে ঈশেন যে কতাগুলি কইল সেগুলি অইত্যন্ত "সংশোধনবাদী" এবম "পোতিক্রিয়াশীল"। তবে আমি যেহেতু সাবেকী বাংপন্থায় আস্থা রাখি নে, কাজেই সাদামাটা চম্মা পরেই ব্যাপাট্টা খোলসা হওয়া দর্কার। ঈশেন যা কয়েচে তা হল সামোস্কিতিক ক্ষেত্রে আপেক্ষিকতার পুন্নো বিকাশ। মানে ধরেন গুরুচন্ড৯-তে নবকল্লোলের ফ্যানেরা মাজ্জিন, কিম্বা ফিলিম সোসাইটিতে গুরু গুরু বলে মিঠুন চক্কোত্তিকে দেখে সিটি দেওয়ারা মাজ্জিন, আবার যারা তার্কভস্কির মতো ছবি তুলতে চান, তারা বলিউডে মাজ্জিন। কাজেই যদি মাঠে ময়দানে নেমে এট্টু আধটু লড়াই কত্তে চাইলে তার লক্ষ্য ঘুলিয়ে দ্যাবার জোরালো তাঙ্কিÄক জায়্‌গা তৈরি হচ্চে। সবই তো ভায়া স্থান-কাল-টেক্‌স্‌ট নিব্‌ভর! এই মায়াজ্জগতে বন্ধুই বা কে, আর শত্তুরই বা কে! এই মায়ার খ্যালায় কে যে কি বলা বড়ো কটিন! বর্গীকরণ হইল প্লাজমাসদৃশ এক বস্তু যার বন্‌বন বন্‌বন্‌ ছন্দে ছন্দে কত রং বদলায়, রং বদলায়!

    মাজ্জিনখ্যালা নিয়ে মজাদার গপ্পের দুই অ্যাকখান লিং দিয়া দিই শুদু:

    http://www.physics.nyu.edu/faculty/sokal/dawkins.html

    http://www.fudco.com/chip/deconstr.html

    http://realbeer.com/fun/games/games-125.php

    http://www.salon.com/media/media960517.html

    সব থিক্যা ইন্টারেস্টিং হইল:

    http://www.xenos.org/ministries/crossroads/pmandyou.htm

    ইচ্ছে হইলে পড়বেন। নইলে কুনো ক্ষেতি নাই।

    শুদু এই মাজ্জিনের খ্যালায় না খেলে অজিতেশবাবুর ল্যাখাটা পড়ি না ক্যানো? এই যে থাড থিয়েটার বলে এট্টি ফর্ম তৈরি হোয়েছিলেন, তা আমাদের কতাবাত্তার মধ্যি অ্যাগডা ভালো এক্‌জাম্পিল হতি পারে। কাজেই এর পরে এস্পেসিফিক কেস স্টাডি- সাবল্টান নাইট্যচচ্চা।
  • a x | 207.69.136.202 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৮:৩৫670992
  • এইটেই আমি ভাবছিলাম, কতক্ষণে সকাল আসবে। ভোর হোলো দোর খোলো খুকুমনি জাগো রে।
  • Ishan | 130.36.62.139 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:০৩670993
  • যাব্বাবা এদিয়ে কি প্রমাণ হল? সেই পাড়ার ফিচকে ছোঁড়া বলে না "আধুনিক কবিতা হল সেরেফ খবরের কাগজ টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে তারপর শব্দগুলো পাশাপাশি বসালেই যা হয় তাই।'তারপর প্রমাণ করার জন্য চাট্টি শব্দ সত্যিই পাশাপাশি বসিয়ে পাড়ার লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকের কাছে দিয়ে আসে। তারপর সেটা সত্যিই ছাপা হয়ে গেলে পাড়ার দোকানে বসে রেলা নেয় -- "দেখলি, কি বলেছিলাম?'

    এ দিয়ে কি প্রমাণ হয়? একটা পশ্চাৎপদ অর্থনীতি, কোনঠাসা রাজনৈতিক অবস্থা, এসবকে অতিক্রম করে বাংলা কবিতা যে একটা অবিশ্বাস্য অবাস্তবরকম উচ্চতায় উঠেছে, সেটা এ দিয়ে কি নেগেট করা যায়? যায়না। কারণ, একটা স্পেসিফিক কেস দিয়ে কিছু প্রমাণ করা যায়না। প্রমাণ করতে হলে জেনারালাইজ করতে হবে। মেথড অফ ইন্ডাকশন। সেটা এখানে অনুপস্থিত।

    যদি এটা প্রমাণ করার চেষ্টা হয়, সেরেফ জার্গনবাজি করেই বহু লেখা বহু পেপার দাঁড়িয়ে আছে, সেটা কষ্ট করে প্রমাণ করার কোনো দরকার নেই। পৃথিবীর সমস্ত ফিল্ডেই সেটা সত্যি মনে হয়। বাংলাতেও প্রচুর গার্বেজ কবিতা লেখা হয়, "উত্তরাধুনিক' তকমা দিয়েও প্রচুর বাজে লেখা ছাপা হয়। ইংরিজিতেও হয়, বাংলাতেও হয়।প্রচুর গারবেজ আছে। কদিন আগে এক জায়গায় পড়লাম অমুক অতিচেতনা বলে একটি সংজ্ঞা দিয়েছিলেন, যেখানে বস্তু থেকে তার গুণকে ছাড়িয়ে আনার কথা বলা হয়েছে, এবং সেটা নাকি পোস্টমডার্নিজম, যাকে বলে ডিকনস্ট্রাকশন। এটা কমপ্লিট গারবেজ।কমপ্লিট। তুলনায় সকালের প্যারডিখানা তো অন্তত: কিঞ্চিৎ পড়াশোনার ফল, -- জিনিসটা বেশ নিচুমানের হলেও কিঞ্চিৎ পড়াশোনার ফসল। কয়েকটা জায়গায় অসঙ্গতি থাকলেও জার্গনগুলো মোটামুটি যথাযথ জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে, আরবিট নয়। সমস্যা যেটা, যে ফিজিক্সের সঙ্গে যেখানে প্রতিতুলনা টেনে আনা হয়েছে, সেটা তো কিসু বুঝলামনা, ফলে গোঁজামিল থাকলে ওখানে আছে। পিওর সোসাল সায়েন্সের কোনো লোক যদি আমার মতই ফিজিক্সে মা গঙ্গা হন, এবং জিনিসটা ছেপে দেন, তবে ভয়াবহ কোনো অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও মনে হয়না।

    তো, পাড়ার ক্যাওড়া ছেলে যেমন কবিতাটা সত্যি ই ছাপা হবার পর, চায়ের দোকানে রেলা নেয়, তেমনই এটা নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কিতে কোনো দোষ নেই। করা যেতেই পারে। কি দিলাম। শুনে সবাই হাসবে। আম্মো। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, এই দিয়ে কোনো সিরিয়াস ডিবেট তৈরি করা যবেনা। ঐ যে রঙ্গন লিখেচ্চে "লক্ষ্য ঘুলিয়ে দেবার জোরালো তাত্বিক জায়গা তৈরি হচ্ছে' , এটা দাঁড় করানোর মতো একটি লাইনও লিখতে পারেনি। কারণ চিমটি কেটে সেটা অসম্ভব। তার জন্য সিরিয়াস পাঠ এবং সিরিয়াস চিন্তাভাবনা দরকার। চিমটি কেটে সেটা হবেনা।

    এবং যেহেতু ঐ লাইনটা লিখেছে, এখানে আমি রঙ্গনকে পাল্টা প্রশ্ন করতেই পারি:
    এক। লক্ষ্যটা কি যেটা ঘুলিয়ে দেবার চেষ্টা হচ্ছে?
    দুই। কারা ঘুলিয়ে দেবার চেষ্টা করছে?
    তিন। মাঠে ময়দানে লড়াই বলতে কি বোঝানো হচ্ছে?
    চার।মাঠে ময়দানে নেমে লড়াইয়ের একটা তত্ব আছে নিশ্চয়ই, যেটা ঘুলিয়ে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই তত্বটি কি? সেটি কি এলিটিস্ট, নাকি, আপামর অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন জনতা বর্ণপরিচয়ের পরেই সেটি পড়তে পারে?

    উত্তর চাই।
  • a x | 207.69.137.34 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:০২670994
  • কাজেই দেখা গেল হয় সবাই ভন্ড, নয় সবাই মার্জিনাল। মার্জিনাল নিয়ে ভন্ডামি, বা ভন্ডামি নিয়েই মার্জিনাল। কিন্তুক আমার দুইখান প্রশ্ন আছে। এবং প্রথমেই ডিসক্লেমার, প্রশ্নগুলান ডিবেটের খাতিরে নয়। এই রাত দুপুরে কুর কুর করছে বলেই করছি।
    প্রথম প্রশ্ন রঙ্গন কে। এই যে এত বকওয়াস, এই আর্ম চেয়ারে বসে মধ্যবিত্তর বিপ্লব বিলাসিতা, সবই মানলাম। কিন্তু এই সবের মধ্যে দিয়েই কি একটা কালেক্টিভ ইন্টেলেক্‌চুয়াল ক্যাপিটাল তইরি হয়না? এই কথা বলা, বাতেলা, এই সবও যদি না থাকত, তাহলে ঐ কোটিকে গুটিক ব্রিজ বানানো-ও কি হত? শুধু কথা বলেই কিছু অন্তত mass consciousness তৈরি হয় বলেই মনে করি। বাজারে কেবল নবকল্লোল চললে একটাও লেফ্‌ট মুভমেন্ট বেঁচে থাকত কি? তা সাবেকী হোক বা হাল ফ্যাশানের।
    দ্বিতীয় প্রশ্ন ঈশানকে। মার্জিন'এর এই ডেফিনিশনে সরতে সরতে রুনু গুহ নিয়োগীও একটি মার্জিনাল ব্যক্তি এবং নাৎসি বাহিনী একটি মার্জিনাল গোষ্ঠি হয়ে দাঁড়ায়ে। তাতে কি হইল? তাতে সত্যি-ই হিং টিং ছটই হইল। এইখানেই মজাটা। reality, text define করছেনা, text, reality কে shape করছে। ব্যাপার্টা হজম করা টাফ। আর সকাল টেকস্টকে ঠিক অত সহজে উড়িয়ে দেওয়া যায় বলেও মনে হয়্‌না। পাড়ার ছেলে যদি খবরের কাগজের টুকরো জুড়ে "আধুনিক" কবিতা পাঠায়ে এবং তা respectable পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়, তাহলে সত্যি-ই সেই পত্রিকার, তার দায়িত্বে যারা, তাদের কোথাও একটা প্রবলেম আছে। সেই কবিতা কে যারা ডিফেন্ড করছে তাদেরও প্রব্লেম আছে। পো-মো যতক্ষণ social scienceএর মধ্যে ছিল, আমি চোখ বন্ধ করে থাকতে পারতাম। ফুকো যখন খোমেইনি'র রাজত্ব'র গুণ গায়, এমন কি তখনও। কিন্তু যেই মুহূর্তে তারা সায়েন্সেও মাথা গলাতে আসেন এবং E=mc2 কে একটি sexed equation বলে তখন ঐ পাড়ার ছেলেটির মত আমারও প্রচুর খিল্লি হয়।
  • a x | 207.69.137.201 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:১৭670995
  • ওহো, নিজের লেখাটা পড়ে মনে হল আরেক খান ডিসক্লেমার দেওয়া দরকার। আমি পিওর সায়েন্স আর সোশ্যাল সায়েন্সে কোনো হায়রার্কি স্থাপন করতে চাই নাই। ইচ্ছেও নাই।
  • vikram | 134.226.1.136 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:৫৪670997
  • মানে মেয়েছেলে যেমন ছেলে নয় পলিটিকাল সায়েন্স তেমন সায়েন্স নয়?

    বিক্রম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন