এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এলিটিস্ট সংস্কৃতি এবং বঙ্গীয় ভন্ডামি

    r
    অন্যান্য | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ২১৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 207.69.137.201 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:২১670998
  • এই জন্যই ডিসক্লেমার, কেননা লোকে সব ছেড়ে এটা নিয়ে টানাটানি করবে। এবং এই জন্যই পিওর সায়েন্স কথাটা বলা। সোশ্যাল/পলিটিকাল সায়েন্সে ঠিক কতটা based on experimental data যা, (এবং এই ক্লজটাই ইম্পর্টান্ট) reproducible? ধরেই নেওয়া হচ্ছে, আমি soft science বোঝাতে চাইছি। না তা আদৌ না। নিজের ফিল্ডের বাইরে বেড়িয়ে সর্বত্র quasi-scientific terminology ব্যাবহার করে একটা মতামত চাপিয়ে দেওয়া -সেটাই বোঝাতে চাইছি।
    আরেকটা example দেব। জাক লাকান। সমীকরণ দিলেন:
    S (signifier)/s (signified) = s (the statement), with S = (-1), therefore, s = root of -1.
    *##*??!
    শেষেরটা লাকানের না। আমার। ঐ উপোরোক্ত সমীকরণকে কোনো algebra'r বাবা এসে ডিফেন্ড করতে পারবেনা। এই যে সবকিছুতেই এক থিওরি দিয়ে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা, এবং কিছু অ্যাল্গেব্রিক ইকুয়েশন দিয়ে লোককে তাক লাগানোর প্রয়াস এর ফলশ্রুতি হিসেবেই সকালের পেপার প্রকাশ পায়। আর্টিকলটি তে কিছু জার্গন, এবন টিপিকাল "পো-মো" টেকস্ট ভর্তি, যা "Social Text" নামক জার্নাল কে খাওয়ানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল। উদা:
    দেরিদা'র ভেরিয়েবিলিটি ও আইনস্টাইনের জেনেরাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি।
    "the pi of euclid and the G of newton formerly thought to be constant and universal are now perceived in their ineluctable historicity" দয়া করে ভাষাটা লক্ষ্য করবেন। পাই যে একটি ধ্রুবক, এই বিশ্বে, তানজানিয়ায়ে, উলান বাটুরে, এবং চাঁদে, সেটি সম্পাদকদের চোখেও পড়েনি।
  • a x | 207.69.139.7 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:৩৫670999
  • http://www.wpunj.edu/newpol/issue22/epstei22.htm

    post-modernism'এর আসল উদ্দেশ্য গুলো অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায় যখন তেনারা সোকাল'এর ঐ আর্টিকলটা পাব্লিশ হওয়া কে ডিফেন্ড করে। আর কোনো বক্তব্য নাই।
  • r | 61.95.167.91 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:৫৮671000
  • অক্ষকে,

    কথা বলার বিরুদ্ধে আমি কথা বলি নি কিন্তু। আমি প্রচন্ডভাবে পাবলিক ডিস্কোর্সের পক্ষে। কথোপকথনের মধ্য দিয়ে অবশ্যই প্রতিরোধের ভ্রুণ তৈরি হতে পারে। কিন্তু এখন আমরা যে ধরনের বন্ধ্যা বুদ্ধিজীবীত্ব দেখি কফি হাউস থেকে নন্দন চত্বরের আড়ালে আবডালে, তাতে বড়ো ক্লান্তি বোধ করি।

    এই লেখালেখি, এই সংস্কৃতিচর্চা স্রেফ লেখালেখির জন্য, স্রেফ সংস্কৃতিচর্চার জন্য হতে পারে। জাস্ট ভালো লাগে বলে হতে পারে। আমার কোনো আপত্তি নেই। সমস্যা হয় যখন নিম্নবর্গের কথা বলার ভান করে একটা খুব ছোটো এলিট গোষ্ঠী পরস্পরের পৃষ্ঠ-কন্ডুয়ন করতে থাকে এবং ভাবে সংস্কৃতির জগতে একটা নতুন কিছু নিয়ে এলাম। এই গোষ্ঠী যে শুধু উত্তরাধুনিক দর্শনে বিশ্বাসী তা নাও হতে পারে। বঙ্গসংস্কৃতির অনেক হোলি গ্রেলই এই গোষ্ঠীবদ্ধ পিঠ চুলকানির আওতায় পরেন। মোদের গরব মোদের আশা আর্ট ফিলিম, গ্রুপ থিয়েটার, থার্ড থিয়েটার, লিটিল ম্যাগাজিন ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

    আসলে আমরা নিজেদের শ্রেণীগত অবস্থান নিয়ে হয় বিভ্রান্ত নয় তো পলায়নবাদী। নিজের প্রেক্ষিতে বলতে পারি, আমার যে ভাবে বেড়ে ওঠা, যে ভাবে জীবনযাপন, যে ভাবে জিনেতে সংস্কৃতির প্রলেপ পড়েছে, তাতে আমি শুধু মধ্যবিত্তের সাথেই কথা বলতে পারি। আমার সত্তায় নিম্নবর্গের সাথে এমপ্যাথাইজ করার একচুল জায়গা বেঁচে নেই। কারণ সারা জীবন আমি প্রভুশ্রেণীর অন্তর্গত। সহানুভূতি দেখাতে পারি, নৈতিক সমর্থন করতে পারি। যে ভাবে এতদিন হয়ে এসেছে। বা যাকে আমরা বামপন্থা বলে থাকি। এখনও নিম্নবর্গের নামে যা হচ্ছে তা সেই সহানুভূতি, নৈতিক সমর্থন ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা খুব একটা নতুন কিছু নয়, বা বৈপ্লবিক কিছু নয়। কিন্তু আজ যখন দেখি আমি মাটির সাথে ন্যুনতম সম্পর্কচুত, তখন মাটির কথা বলতে গিয়ে নস্টালজিক হতে পারি, কল্পনায় শান দিতে পারি। কিন্তু সত্যি সত্যি মাটির কথা বলার সাধ্য বা সামর্থ্য আমার নেই। আমরা যাদের লেখা পড়ি এবং তা নিয়ে আপ্লুত হয়ে থাকি- তাদের কারুরই আছে বলে মনে হয় না। কাজেই মধ্যবিত্তের দ্বারা মধ্যবিত্তের জন্য শিল্পচর্চা- এই কথা মেনে নিতে কোনো আপত্তি থাকার কারণ দেখি না। কখনও সময় পেলে বাংলা নাটকের ইতিহাস দেখিয়ে বলার চেষ্টা করব কিভাবে বাংলা নাটক বাঁক খেতে খেতে এমন জায়গায় এসে দাঁড়ায় যেখানে না থাকে গ্রামে-গঞ্জে পালাগান গেয়ে বেড়াবার সহজ রাজনৈতিক শক্তি, না থাকে ব্রডওয়ে-ওয়েস্ট এন্ডের মত প্রবল কমার্শিয়াল থিয়েটার করার বিশাল স্পর্ধা। পড়ে থাকে কিছু "ভালো নাটক" এবং অবধারিত পৃষ্ঠকন্ডুয়ন।
  • r | 61.95.167.91 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:১৬671001
  • এইবার এলিটের সাথে মার্জিনের কথোপকথনের একটি ছোটো নমুনা পেশ কিয়া যায়ে। নমুনাটি বাবু কমল চক্রবর্তীর লেখা থেকে।

    ডিসক্লেমার: বাবু কমল চক্রবর্তী অতি ভালো লেখক। কাজেই এই নমুনার সাথে তাঁর লেখালেখির ভালোমন্দের কোনো সম্পর্ক নেই। স্রেফ একটি সামাজিক টেক্সট হিসেবে এই অংশটি তুলে দেওয়া।

    "বাবু বাজোরিয়া অল্প-বয়সীদের গায়ে, শাড়িতে কিছু অনুসন্ধান করিতেছিলেন, চোরাগোপ্তা, যেন বামাল লুকানো রহিয়াছে। হাসিও হইল। আমি চেষ্টা করিয়াও মদের এক ফোঁটাও নামাইতে পারিলাম না। আলজিভে প্রতিরোধ প্রবল। রমণীরা, অধিক মদ্যে ছিলেন। আমার ভিতরের হোশিয়ারি ভিজিয়া আরও কাহিল। অন্য যুবক দুইজন তাম্বাকু সেবনে ও কখনও ফিরিবার জন্য। উপরন্তু রমণীরা কেহই সুদর্শনা বা রূপসী নন। করুণ বলিলাম, মান্নাবাবু এইবার উঠা যাক। বাবু বলিলেন, আর একখানা পাঁইট আসুক। আমাদের নিষেধ সঙ্কেÄও আসিল। ফিরিবার বোধ জাগিল। কিন্তু আমরা হায় কি জানিতাম রাত্রি বারোটার পর প্রধান তোরনে তালা। তিন চারিটি রুগ্ন, ককলাস, এতক্ষনে হাঁকিল, লৌহতোরণ, কেবলমাত্র দেড় শত টাকার বিনিময়ে খুলিতে পারে। নতুবা রাত্রি, বাসরে। আমরা ঝগড়া করিলাম। মান্নাবাবু উন্মত্ত, বর্বর, কটুবাক্য কহিলেন। মাসি ও বোনঝিরা খিন্নকন্ঠে চেঁচাইল। এতক্ষনে বাড়িউলি প্রকট হইলেন। এবং তিনতলার শীর্ষ হইতে চিৎকার করিলেন- তোদের খুব মজা হয়েছে না বাসন্তী, দেখাচ্ছি দাঁড়া। ঘর থেকে বার করে দোব। কোত্থেকে সব ফেকলুদের ঘরে তুলেছিস, পকেটে পয়সা নেই ফুর্তি মারাতে এসেছে। শালা যত্ত সব এড়াতাড়া মাল।
    -আপনাদের লজ্জা করে না, পকেটে পয়সা না নিয়ে ফুর্তি করতে আসেন। দুটো রোগা ছেলে, খেতে পায় না, চারটে টাকা চেয়েছে দিতে পারছেন না। আর রাঁড়ের জন্য ঢালছেন। যান ছেনালি করবেন না। নামুন এখান থেকে...."

    শরৎবাবুর কাল থেকে খালাসিটোলা-সোনাগাছি-হাড়কাটা নিয়ে এলিটিস্ট বুদ্ধিজীবীদের যে "ঢলাঢলি" এবং "ছেনালি" চলে আসছে, ডিক্লাসড হওয়ার নামে যে মাগনায় ফুত্তির ট্র্যাডিশন চলে আসছে, তার উত্তর হল মার্জিনে দাঁড়িয়ে থাকা (নাকি নয়) এই বেশ্যাবাড়ির মাসি।

    এইটুকুই।
  • r | 61.95.167.91 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:৪৪671002
  • কিন্তু ঈশেন মোরে অবাক করলা! মেথড অফ ইন্ডাকশন? জেনারালাইজেশন? স্পেসিফিক কেস দিয়ে কিছু প্রমাণ করা যায় না?

    কোথায় গেল এসেনশিয়ালিজ্‌মের বিরুদ্ধতা, একমুখী কার্য-কারণের মডার্নিস্ট চক্রান্ত, পশ্চিমী যুক্তিবাদের জগৎজোড়া হেজিমনি এবং "postmodern as incredulity towards metanarratives"? আমি তো ভেবেছিনু এই স্পেসিফিক চিমটি কাটা এবং ক্যাওড়াবাজি উত্তরাধুনিক মতে সমালোচনার একধরনের প্রামাণ্য ধরন বলে স্বীকৃত হতে পারে।

    বন্ধুগণ, এইবার কিন্তু উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে! উত্তর-আধুনিকতারে ঈশেন সমর্থন করছে কিন্তু আমারে ট্র্যাডিশনাল "মডার্নিস্ট" যুক্তিবাদী মডেলে আলোচনা চালাতে কইছে! এ কি ধম্মে সইবে?

    :-)

  • Pallab | 59.93.246.172 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:৫৫671003
  • তো?

    সিরিয়াসলি! এভাবেও গুলিয়ে ফেলা যায়!!!
  • bozo | 129.7.152.103 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৯:৫০671004
  • রঙ্গন দা,
    একটা জায়গায় আমি কনফিউসড (মানে অনেক জায়গতেই, এখানে at least প্রশ্ন টা জানি)।
    এই ডিক্লাসড হবার ব্যাপার টা। তোমার লেখা পড়ে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে দুটো কথা:
    ১।ফিল্ড ওয়ার্ক না করলে সব-ই ভন্ডামী। তবে কি থিয়োরিটিক্যাল ওয়ার্কের কোনো দাম নেই, অন্তত: তাদের কাছে যাদের জন্য থিয়োরী?
    ২। আর সত্যি সত্যি ডিক্লাস্‌ড না হলে ফিল্ড ওয়ার্ক করেও কি কিছু করা যায়? দিনের শেষে কি সূক্ষ্ম আমরা আর তোমরা এই জাতীয় একটা underlying thought process থাকে?

    কোথাও আমার বুঝতে ভুল হলে clarify করে দিও।
  • Ishan | 130.36.62.140 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:০৫671005
  • প্রথমে রঙ্গনকে।

    এক। প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলামনা। কিন্তু ঐ গুলো জরুরী। খুব জরুরী।

    দুই। মডার্নিস্ট মডেলে আলোচনা চালাতে এই জন্য বলছিলাম, যে universally কিছু প্রমাণ করতে চাইছ ভেবেছিলাম। "লক্ষ্য ঘুলিয়ে দেবার জোরালো তাত্বিক জায়গা তৈরি হচ্ছে' -- এটা একটা অ্যাবসলিউট স্টেটমেন্ট। পোস্টমডার্ন মেথডোলজিতে এরকম কোনো অ্যাবসলিউট স্টেটমেন্টে পৌঁছনো যাবেনা। ফলে "পোস্ট মডার্ন' ধাঁচে আলোচনা যখন চালাচ্ছ বা চালাতে চাইছ, তখন ঐ অ্যাবসলিউট ইউনিভার্সাল "ঘুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে' অবস্থান থেকে নিশ্চয়ই সরে এসেছ।

    সত্যিই সরে এলে তো আমার কোনো তর্কই নেই। চিমটি কাটা, ঠাট্টা ইয়ার্কি এগুলো তো খুব এনজয়েবল, কিন্তু এই দিয়ে অ্যাবসলিউটলি কিছু প্রমাণ করা যায়না, এটাই ছিল আমার বক্তব্য।

    এবার অক্ষকে।

    মোটেই সবাই মার্জিনাল নয়। বরং সবাই পোটেনশিয়ালি মার্জিনাল, ডিপেন্ডিং অন দা পার্সপেক্টিভ। রুনু গুহনিয়োগীর কথায় আসার আগে, আমার কথার ছোট্টো করে একটা ব্যাখ্যা দিয়ে নি। ধরুন, একজন রিক্সাওয়ালা, যখন সে মহাজনের সামনে হাত কচলে কথা বলে, তখন সে শোষিত। আবার সেই লোকটিই যখন মদ খেয়ে বাড়িতে এসে বৌকে ঠেঙায়, তখন সে পাওয়ারফুল, বৌ বঞ্চিত। আবার সে বৌই যখন শাশুড়ি হিসেবে নিজের বৌমাকে ঝাঁটাপেটা করে, তখন বৌমা শোষিত। এখানে সক্কলে রোল প্লে করছে। বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে বদলে যাচ্ছে জামা। কোন পরিস্থিতিতে কাকে দেখছেন, তার উপর নির্ভর করছে তার অবস্থান।

    রুনুর ক্ষেত্রেও তাই। রুনু যখন অর্চনার উপর অত্যাচার চালায়, তখন সে পাওয়ারফুল। আবার সেই রুনুই যখন বড়ো-কর্তার সামনে মিউমিউ করে, তখন সে গরীব রিক্সাওয়ালা।

    পোস্ট মডার্নিজম কোনো দর্শন নয়। জাস্ট একটি মেথডলজি। এবং মেথডলজি হিসাবে রুনুর এই দুই অবস্থানের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনা। কারণ, এই দুটোর মধ্যে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা কম, সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র একটি নৈতিক অবস্থান থেকে নেওয়া যায়। যে, ধর্ষণ, মানুষ খুন, এগুলো বসের ধমকের চেয়ে অনেক অনেক বেশি খারাপ। কিন্তু এই মরাল অবস্থানটা তো একটা মেথডলজির মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা যায়না। দর্শন হলে নিশ্চয়ই যেত।

    তো, আপনি একজন ব্যক্তিমানুষ হিসাবে ডিসাইড করুননা ধর্ষণ করা, খুন করা খারাপ। নিজের মরাল অবস্থান থেকে বলুন না, চাপ থাক আর যাই থাক, এ জিনিস যে করতে পারে সে ঘৃণ্য। বলুননা "আমি আমার নৈতিক অবস্থান থেকে মনে করি রুনু একটি ঘৃণ্য লোক।' এর সঙ্গে উত্তরাধুনিকতার তো কোনো বিরোধ নেই। জাস্ট আপনার হয়ে নৈতিক অবস্থানটা উত্তরাধিকতা নিয়ে নেবেনা। ওটা আপনাকেই নিতে হবে। কারণ পোমো কোনো দর্শন নয়।

    এবং এই জন্যই ফুকো কি লিখেছেন, তার দায় আমার না। সোকাল পোস্ট মডার্নিজম নিয়ে ঠাট্টা-ইয়ার্কি করলে আমার গায়ে লাগেনা। এটা তো কোনো দর্শন নয়। একটা মেথডলজি। বা সেট অফ মেথডলজিস। যেমন মেথড অফ ইন্ডাকশন একটি মডার্ন মেথডলজি, সেরকম। এবার, এই মেথডলজিকে বহু লোক ব্যবহার করছেন। যার একটি এন্ডে ফ্রান্সিস ফুকোয়ামা আছেন, যিনি ইতিহাসের মৃত্যু ঘোষণা করে দিয়েছেন, অন্য এন্ডে আলথুজার আছেন, যিনি ট্র্যাডিশনাল মার্ক্সবাদের উপর পো-মো প্রয়োগ করছেন। আরও অনেক লোক আছেন, যে যার মতো খেলছেন, এবং বিভিন্নরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছচ্ছেন। তাদের মধ্যে কারো প্রবলেম আছে, কারো নেই। কারো কান্ডকারখানা দেখে খিল্লি জাগে কারো জাগেনা। কোনো কোনো মতামত দেখলে আপনার আমার হাসি পেলে একশবার হাসব। কিন্তু সেই হাসি বা অক্রমন ঐ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।পো-মোর তাতে কিস্যু যায় আসেনা। পো-মোর দুর্গে একটি ঢিলও পড়েনা, কারণ দুর্গ বলেই কিসু নাই।

    আরও চাট্টি কথা ছিল। পরে হবে।
  • a x | 192.35.79.70 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:৩৮671006
  • উঁহু। মেথডলজি বল্লে চলবেনা, যখান সেই মেথডলজি দিয়ে কিছু জিনিসের acceptanceএর জায়গা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু যদি কটি মানুষ বারান্দায়ে হাওয়া খেতে খেতে কিছু পো-মো মেথডলজি আওড়াতেন, তো তাতে কারো কিস্‌সু এসে যেত না। কিন্তু এই মেথডলজির implication যখন ঐ বারান্দা পেরিয়ে তিনতলায়ে নেমে গলিতে গলিতে পৌঁছে যায়, তখন তাতে অনেক কিছুই এসে যায়। রাতে সময় পেলে স্পেসিফিক উদাহরণ দিয়ে লেখার চেষ্টা করব।
  • Ishan | 130.36.62.140 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:০৯671008
  • অক্ষ,

    ডিটেল লেখার দরকার নেই। বোঝা যাচ্ছে দিব্যি। মেথডলজি সবসময়ই কিছু না কিছু অ্যাকসেপ্টেন্স তৈরি করে। যেমন ধরুন লজিক। "যুক্তি' একটি মেথডলজি, যা ক্রমশ: ঈশ্বরের স্থান নিয়েছে। খুব সহজেই লোকজন, আপনি-আমি দুম করে বলে দিই "যুক্তি দিয়ে বলো, যুক্তি থাকলে মেনে নেব'। এটা একটা অ্যাকসেপ্টেন্স। প্রশ্ন ছাড়াই বক্তা ও শ্রোতা দুজনেই মেনে নিচ্ছে, যে "যুক্তি' এমন একটি একটি জিনিস, যাকে প্রশ্ন করা যাবেনা। বা সায়েন্স। একই রকম অ্যাকসেপ্টেন্সের জায়গা তৈরি করছে সায়েন্সও। "বিজ্ঞান বলেছে, অতএব কোনো প্রশ্ন নেই'। এইরকম।

    তো, পো-মো এই অ্যাকসেপ্টেন্স গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেয়। সেটা একটা পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনা। কিন্তু উল্টো দিকে পো-মো নিজেই একটা অ্যাকসেপ্টেন্সের জায়গা তৈরি করে। সেটা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। তার সঙ্গে নিশ্চয়ই একটা পাওয়ার প্লে আছে, সেটা নিয়েও কথা হতে পারে। কিন্তু গপ্পোটা হচ্ছে, সেটা করার জন্য আপনাকে এই মেথডলজিতে ঢুকতে হবে। বাইরে থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হবেনা। কারণ, কোনো কিছুর ক্রিটিসিজমের জন্য পো-মোর চেয়ে ভালো টুল এখনও বাজারে নেই।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:১৯671009
  • এই তক্কের এক লাইনের মিনিট পোকাশ করছি :

    হেরিতেছি শান্তিহীন শূন্য পরিণাম :)
  • b | 59.145.136.1 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১০:০৪671010
  • এবং যে কোনো alternative তৈরীর প্রচেষ্টা র মূল organising principle গুলির বারোটা বাজানোর মত এত শক্তি শালী টুল পোমো ছাড়া আর দ্বিতীয়টি নাই। কারণ সম্ভবত এর একমাত্র উদ্দেশ্য সমালোচনা;-) জানি এখানে মূল কোচ্চেন টা হল কখন 'alternative' একটি power structure মাত্র হয়ে উঠবে!

    আর তাছাড়া সাহিত্য পাঠের বিভিন্ন ভাষ্য তৈরীতে পোমোর 'সেট অফ মেথোডোলজিস' র যে ভূমিকা সেটা নিয়েও একটি ছোট প্রশ্ন তোলা যায়, সেটা হল সামাজিক ইতিহাসের আশ্রয় নিয়েই পোমো র এই মেথডোলজি গুলি দাঁড়িয়েছে, এইটে পোমো র থিওরিটিশিয়ান রা স্বীকার করেন না ক্যান।

    তবে আমার থিয়োরী পড়া নাই, এই সকল ই একজন বহিরাগতর মনে হওয়া।
  • r | 61.95.167.91 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:২৩671011
  • বোজো,

    ডিক্লাসড হওয়ার পুরো ধারণাটা একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত। অর্থাৎ, আমি যদি কৃষকের দাবিদাওয়াকে তখনই সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারব যদি আমি কৃষকের সাথে এমপ্যাথাইজ করতে পারি। অর্থাৎ আমাকে আমার শ্রেনীচেতনার ধড়াচুড়ো সব খুলে ফেলতে হবে। এইটা কতদূর সম্ভব আমি জানি না এবং এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমার নিজস্ব সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু সব খুলে না ফেলেও যদি মধ্যবিত্ত রাজনৈতিক চেতনার সাথে নিম্নবর্গের চেতনার কোনো একটা সংশ্লেষের জায়গায় পৌঁছনো যায়, একটা নতুন কন্ঠস্বর বেরিয়ে আসে, সেটা ভালো তো বটেই। কিন্তু এই কাজ একদম মাঠে ময়দানে নেমে দিনের পর দিন খেটে করা রাজনৈতিক কাজ। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মীরা সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে এই কাজ করে এসেছেন।

    কিন্তু সাহিত্যিকদের খালাসিটোলা-সোনাগাছি মারিয়ে ডিক্লাসড হওয়ার চেষ্টা আমার কাছে নববাবুবিলাস। অনেকে সাহিত্যিক ছিলেন যারা স্বাভাবিক কারণেই নিম্নবর্গের মধ্যেই ছিলেন। তাদের জোর করে এই চেষ্টা করতে হয় নি। অনেকে রাজনৈতিক কারনে সেইখানে গিয়ে কাজ করেছেন, আবার অনেকে স্রেফ পারিবারিক কারণে এইভাবে থেকেছেন। রাজনীতির ধারে কাছে না থাকা কিছু মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী যখন মাল খেয়ে আর বেশ্যাবাড়ি গিয়ে এক ধরনের ডিক্লাসড হওয়ার ভাঁওতাবাজি করেন, তখন সেটা হয়ে ওঠে এক ধরনের নিষ্ফল শোম্যানশিপ। ব্যক্তি হিসেবে কেউ মাল খেতে পারেন, গাঁজা টানতে পারেন, বেশ্যাবাড়ি যেতে পারেন। কিন্তু যখনই এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে সাহিত্যচর্চার সাথে জড়িয়ে গৌরবান্বিত করে দেখানো হয়, তখনই আমার আপত্তি। কৃত্তিবাসের এক পুরানো সংখ্যায় কেতকী কুশারীর একটি চিঠি বেরিয়েছিল। পারলে কখনও তুলে দেব।

    এইবার থিওরি এবং ফিল্ড ওয়ার্কের কথায়। সত্যি বলতে কি, এ দুইয়ের পারস্পরিক গুরুত্ব নির্ভর করবে কোন ক্ষেত্রে কাজ করছ তার উপরে। এবং কোন সময়ে দাঁড়িয়ে কাজ করছ তার উপরে। অর্থনীতিতে একদা বড়ো বড়ো থিওরি নির্মাণের চল ছিল। এখন আবার চল হয়েছে খুব স্পেসিফিক ডেটাসেট নিয়ে কাজকর্ম করার। কিন্তু এখন এবং তখন- দুইই একে অন্যের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। শুধু কাজের ভরকেন্দ্র পালটেছে। যদি রাজনীতির কথা বল, তবে ডিক্লাসড হওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটাই ফিল্ড ওয়ার্ক। এইখানে থিওরি হয় তো ম্যাক্রো লেভেলে কোনো একটা স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে সাহায্য করে, কিন্তু একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে অবশ্যই মাঠে ঘাটে নেমেই কাজ করতে হয়।

    তবে এই প্রসঙ্গে থিওরির আরও একটা মাত্রা আসে যা অলোচনা করলাম না। এটা কোন থিওরি? এই থিওরি কি "কি করা উচিত" তাই বলে? নাকি কেন হয় তাই বলে?
  • Ishan | 130.36.62.139 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:১৭671012
  • ব,

    এক। অরগ্যানাইজিং প্রিন্সিপল। সব অর্থে পো-মো যে সেগুলোর বারোটা বাজায় তা নয়। পো-মোর একটা বড়ো ফান্ডা হল, "তুমি কে হে তোমার কথা শুনতে হবে?" আজ অবধি পশ্চিম আমাদের অনেক কিছু দেখিয়েছে। সভ্যতা দেখিয়েছে, আমরা নতজানু হয়ে সভ্যতা শিখেছি। বেঁচে থাকার ধরণধারণ শিখিয়েছে, এমনকি ধর্মও শিখিয়েছে, মার্কসবাদও শিখিয়েছে। এবং আমরা শিখেছি। বলেছি, যে তোমরা শ্রেষ্ঠ। তোমরা ঈশ্বর। যা গেলাবে তা-ই অমৃত।

    পো-মো পশ্চিমের এই একাধিপত্যের বিরোধিতা করে। সভ্যতার একটিই ডিসকোর্স হয় সেটা অস্বীকার করে। এবং অল্টারনেটিভপনার হাতে একটি টুল তুলে দেয়, যার নাম ঔদ্ধত্য। তুমি কে হে আমাকে সভ্যতা শেখাতে এসেছ? এইরকম।

    তো, এই দিক দিয়ে পো-মো অল্টারনেটিভপনাকে প্রোমোট করে। কিন্তু ঐ একই প্রিন্সিপল অর্গ্যানাইজেশনের মধ্যে ঢোকাতে গেলে ঝামেলা হয়। অর্গ্যানাইসেশন মানেই হায়ারার্কি। বড়ো নেতা, মেজো নেতা, ক্যাডার। সে¾ট্রাল কমিটি-ডিস্ট্রিক্ট কমিটি। এই জাতীয় ট্র্যাডিশনাল অর্গ্যানাইজেশনে পো-মো ঢুকলে তো বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অবস্থা হবেই। বিশেষ করে যারা "গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা'য় বিশ্বাস করে, তাদের যে কি হবে ঈশ্বরই জানেন :-)

    কিন্তু গপ্পোটা হল, যে ধরে নিচ্ছ কেন, যে হায়ারার্কিওয়ালা অর্গ্যানাইজেশানই স্‌সংগঠনের একমাত্র ফর্ম? কপিলেফট একটা মুভমেন্ট, এবং সেটা কেন্দ্রহীন। একটি কমপ্লিট পো-মো মুভমেন্ট। ইন্টারনেট -- একটি পো-মো স্ট্রাকচার। এগুলো তো টিকে আছে। এবং বাড়ছে। কাজেই পো-মো যে সব সময় অরগ্যানাইজিং প্রিন্সিপলের বারোটা বাজায় তা নয়। কিন্তু বদ্ধমূল মনোভঙ্গীর বারোটা বাজায় নিশ্চয়ই। যে, কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে সাতই নভেম্বর বন্দুক নিয়ে ক্ষমতা দখলে নামতে হবে। অন্য রকম কিছু সম্ভব না।

    দুই। সামাজিক ইতিহাস। পো-মোর নাম যে পো-মো, তার একটা কালগত মাত্রা তো আছেই। আধুনিকতা -উত্তর। এটা তো এমনি এমন্নি নয়। আধুনিকতার সমালোচনার জন্য যার জন্ম, আধুনিকতাকে সে অস্বীকার করবে কিকরে? সাধারণভাবে করে না তো।

    লক্ষণীয়, লিখলাম "সাধারণভাবে করেনা'। আসলে এই কথাটার কোনো মানে নেই। কারণ পো-মোর কোনো থিয়োরিটিক্যাল স্ট্রাকচার নেই, যে যা খুশি বলতে পারে। ফলে "অমুক কেন বলেননি' বলে সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু পো-মো স্বীকার করে বা করেনা, "সাধারণভাবে করে' -- এই কথাগুলোর কোনো মানে নেই।

    মোদ্দা কথা কি জানেন? মোদ্দা কথাটা পরে লিখব। টাইম পেলে।
  • Ishan | 130.36.62.139 | ০৩ অক্টোবর ২০০৬ ০০:২৪671013
  • হ্যাঁ, যে মোদ্দা কথাটা লিখব বলে সাত দিন নিয়ে নিলাম, সেটা এবার বলা যাক।

    মোদ্দা কথা একটাই।এখানে ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে। আমি "সাহিত্য করে সমাজসেবা করছি' , বা "প্রগতিশীল কাজ করছি', বা "কুলি-কামিন-চাষী-মজুরদের লড়াইয়ের দর্শন বানাচ্ছি' -- এগুলো আজ কেউ বলেনা। দাবী ও করেনা। লেখেওনা। একই ভাবে "মাল খেয়ে ডিক্লাসড হচ্ছি, মহৎ কার্য করছি' -- এইগুলো ও কেউ বলেনা। মানে কোনো বুদ্ধিমান লোক বলেনা।

    উদাহরণ হিসাবে বহু বহু লোকের কথা বলা যায়। অন্য লোকের কথা থাক, আমার নিজের কথাই বলিনা কেন। আমাকে যদি কেউ বলে "তুমি এই যে মাজ্জিন মাজ্জিন করে হৈ হট্টগোল করছ, মাটির কাছাকাছি যাবার ভান করছ, তুমি শালা ভন্ড', আমি এক কথায় তাকে খিস্তি মেরে ভুত ভাগিয়ে দেব। কোন শালা বলে আমি "মাটির কাছাকাছি' গিয়ে "তাহাদের কথা' রচনার চেষ্টা করছি? আমি কি কখনও বলেছি নাকি? বাংলা কথা, আমার লিখতে ফুর্তি হয় তাই লিখি। সমাজসেবা মোট্টে করিনা। যখন ফুর্তি হবেনা লিখবনা। ব্যস। মিটে গেল।

    একই ভাবে "মাল খেয়ে ডিক্লাসড হওয়া'। ঐ সব দাবীদাওয়াও কেউ করেনা আজকাল। ওগুলো আউট অফ ফ্যাশান। এই ভিকি যে পাঁইটপুরান লিখেই চলেছে, ভিকিকে যদি গিয়ে প্রশ্ন করা হয় "তুমি শালা মাল খেয়ে ডিক্লাসড হচ্ছ? তুমি একটা ভন্ড'। ভিকি ও খিস্তি মেরে ভুত ভাগিয়ে দেবে। কথা সেই একই। আমার মাল খাবার ইচ্ছে হয়েছে আমি খাচ্ছি। কখনও দাবী করেছি নাকি মাল খেয়ে ডিক্লাসড হচ্ছি?

    তো, বক্তব্য এটাই। ষাট সত্তরের দশকের বুদ্ধিজীবীদের একটা অবস্থানকে রঙ্গন আক্রমন করছে। এখন এই অবস্থানে প্রায় কেউই বিলং করেননা। রঙ্গন একটি কল্পিত শত্রুপক্ষ বানিয়ে নিয়ে ছায়াযুদ্ধ লড়ছে। তার কোনো মানে নেই। জাস্ট খড়ের পুতুল বানিয়ে তার দিকে ইটপাটকেল ছোঁড়া হচ্ছে।

    আক্রমন করতে হলে ঘোষিত অবস্থানকে আক্রমন করুন। আমি "মাজ্জিনাল বলিতে কি বুঝিব' জাতীয় একটি স্যাম্পল অবস্থান লিখেছি, তাকে আক্রমন করুন। কারণ, ঐ বেসিক অবস্থানটি আক্রমনের যোগ্য। কিন্তু আক্রমন করা সহজ নয়। ধরতে গেলেই আমি পিছলে বেরিয়ে যাবো বরফের উপর ব্যালে ড্যান্সারের মতো। কিন্তু ঐটাই আজকের দুনিয়ার বুদ্ধিজীবীদের ঘোষিত অবস্থান, অতএব আক্রমন করতে হলে ঐ কঠিন কাজটাই করতে হবে। নিজের মতো বুঁদির কেল্লা বানিয়ে আক্রমন করলে, সেটা জাস্ট নিজের বিপ্লববিলাস হবে। "এমন খিস্তি মারলাম না' টাইপের কিছু আত্মপ্রসাদ পাওয়া যাবে, তার বেশি কিচ্ছু হবেনা। পোমোর দুর্গে, আবার বলছি একটি ঢিলও পড়বেনা।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৩ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৩৫671014
  • তাতে কি? পিছলে বেরিয়ে গেলে ধরা যাবে না মনে কচ্ছ বাছাধন? গেছোদাদার সঙ্গে তাইলে বেড়ালরুমাল দেখা করে কি করে?
    অবস্থানগুলো সব নিয়ে ইন্টিগ্রেট করে ফ্যালো,সেতো তোমরা আকছার কচ্ছো,এইবারে কি হবে? পাওয়া গেলো কালিদাসের এক আঙুল,মানে সম্ভাব্যতা এক।কোথাও না কোথাও গেছোদা আছেই এই গোটা ইন্টিগ্রালে।
    এইবারে প্রোবেবিলিটি ডেন্সিটি দেখে নিয়ে তাক করতে হবে,লাগলে লাগলো না লাগলে নাই! ধরা গেলে গেলো, না গেলে কচুপোড়া!
    আরেকবার তাক করবো,আরেকবার আরেকবার। যত বেশী ট্রায়াল ততবেশী সম্ভাবনা হচ্ছে টার্গেট হিট করার। এসব তো তোমরা আকছার কচ্ছো,তুমিও কচ্ছো রঙ্গনও কচ্ছে,পরশুরামও কচ্ছে,বেড়ালও কচ্ছে,রুমালও কচ্ছে,ছোটোমামাও কচ্ছে,গেছোবৌদিইও কচ্ছে।

    হী হী হী ।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৩ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৪৬671015
  • কথাটা তেতো,কিন্তু সত্য।স্বীকার করি বা না করি আমরা আসলে মিডিওকার।প্রায় সকলেই। সত্যি সত্যি দুনিয়া ঝাঁকুনি দেয়ার মতন লোকেরা অন্যত্র থাকেন, তাদের কাজের ধারা আলাদা।
    এই সাইটে বিস্তর গজব,কিছু লেখালিখি আর তক্কবিতক্ক ছাড়া আর বেশী কিছু হয়ও নি,তবু সম্পাদক কিছু টেকনিকাল কারিকুরিতে লোকের কাছে লেখার ব্যাপারটি অনেক উন্মুক্ত করেছেন বলে টইপত্তরের মতন একটা জিনিস তৈরী হয়েছে।
    কিছু কিছু ভালো লেখা গুরুচন্ডালীতে বেরিয়েছে বটে, কিন্তু তাছাড়া বিপ্লব টিপ্লব কিসসু হয় নি,হবেও না।কেউ এরকম দাবী করলে বা আশা করলে সেটা তার নিজ দায়িত্ব।

  • Pallab | 59.93.206.59 | ০৪ অক্টোবর ২০০৬ ০২:০৬671016
  • ঈকিরে ভাই! tan গামছা দিয়ে দিলো আর ওমনি সবাই ঘাম মুছে বসে পল্লো!!!!!

    আম্মো এখন মাথাধরা ছাড়াতে কি পব্বো!

    দুয়ো, দুয়ো, দুয়ো .....
  • S | 59.92.175.170 | ০৪ অক্টোবর ২০০৬ ০৩:৫৫671017
  • গামছাটা কিন্তু বেশ সরেস, খাপি, বহরে বড় ও রংদার লাল-কালো চৌখুপি কাটা ।
  • b | 59.145.136.1 | ০৪ অক্টোবর ২০০৬ ০৯:৪০671019
  • এর ই মধ্যে ট্যানের বয়স ১৫০ পেরিয়ে গ্যালো?
  • shyamal | 72.24.214.129 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:৫৯671020
  • জানিনা এই পোস্টটা ঠিক টপিকে করলাম কিনা।

    যাই হোক, কলেজ স্ট্রীটের কফি হাউস হল এলিট/আঁতেলদের জটলার জায়গা। আমি জীবনে একবারই গেছি, ২০০৫ এ । কাছের একটা নামকরা চাপাতার দোকানে পাতা চা কিনতে গেছিলাম।

    কফি মোটেও ভাল লাগেনি। গতকাল তারা মিউজিকে এক তরুণী টেলি-অভিনেত্রীকে এনেছিল। সঞ্চালিকা তাকে জিগ্যেস করলেন, কিরে তুই কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে গেছিস?
    সে বলল, না। তবে সিসিডিতে যাই।
    সেটা কি বস্তু? না ক্যাফে কফি ডে।

    তা সেই তরুণীর টেস্টের তারিফ না করে থাকতে পারলাম না। ক্যাফে কফি ডের ( বা বারিস্তার) কফি একটু দামী হলেও ঐ কফি হাউসের কফির চেয়ে শতগুণে ভাল।
  • h | 203.99.212.224 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৫৯671021
  • সিডিডি খুব রিসেন্ট ফেনোমেনন। বছর তিন চারেক হল আইসে। বেসিকালি টুনটুনিমূলক।
    এর মধ্যে একদিন আমি সিডিডি তে গিয়ে ব্যাপক মুর্গি হলাম। একটা গোদা বই পড়ছি। বাড়িতে এত লোকজনের ভিড় আর মেয়ের দুষ্টুমি, জানি বাড়িতে পড়া হবে না সপ্তাহান্তে। রাতের বাজার করার ছিল, তো আমি সকাল সকাল বাজার করে, বাজারের কাছের একটা সিডিডি তে গেলাম। এমনিতে ৪০-৫০ টাকায় চা/কফি পাওয়া যায়, যেটা প্রচন্ড বেশি, তবু গেলাম। কারণ ঐ একটু চুপ চাপ থাকবো আর বই পড়বো। সকালের দিকে বাচ্চারা কম আসবে। গিয়ে দেখি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে মেনু সব। চারিদিকে লাল লাল কাগজ আর বেলুনের হার্ট। পাতি কফির র দাম বেড়ে হয়েছে আশি টাকা। আর আমি বাজারের থলি ইত্যাদি নিয়ে গেছি বলে সকলে আওয়াজমূলক ভাবে চারিদিকে মুখ টিপে টিপে হাসতে লাগলো আর যারা সার্ভ করে তাদের কাছে রেগুলার মেনু চাইলাম বলে তারা ব্রিংক ম্যানশিপ করতে লাগলো। হেবি রাগ হল, কফিও খেলাম না, বই ও পড়লাম না। বেকার আধাঘন্টা নষ্ট হল। থলে হাতে বাসে করে বাড়ি ফিরে, বাড়ির বাস স্ট্যান্ডের থেকে একটু দূরে, একটা ফাঁকা দেখে চায়ের দোকানে, গুছিয়ে বসে ঘন্টা দুয়েক বই পড়লাম। চা সিগারেট খেলাম। গোটা পাঁচেক উদ্বিগ্ন ফোন উপেক্ষা করলাম। গুড। সব মিলিয়ে খচ্চা বিশ টাকা মতন। বালের সিডিডি। বাজে কফির দোকান কফি হাউস। ছাত্র জীবনে জিন্দেগী তে যাই নি, এখন কলেজ স্ট্রীট যাই বলে মাঝে মাঝে প্যারামাউন্ট বা কফি হাউসে যাই। পঞ্চাশ টাকা খরচে, তিন চার এমনকি পাঁচ ঘন্টা থাকো, বই টই পড়ো কোনো চাপ নাই। আর ফোন এলে না ধরলেই হল।
  • h | 203.99.212.224 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:০৩671022
  • রিসেন্টলি একজন বাংলার মেজর লেখকের বই, উপন্যাস আর গল্প আর তার উপরে লেখা অসংখ্য প্রবন্ধ, আমি নির্বিঘ্নে প্যারামাউন্ট আর কফি হাউস মিলিয়ে পড়েছি। শুক্রবার অফিস কেটে আর শনিবার সকাল থেকে বিকেল। দিব্য।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:১১671023
  • কফি হাউসের সাথে সিসিডির তুলনা হয় না। কলেজে পড়ার সময় পকেটে যা পয়সা তা দিয়ে ঐ ছরপোকা কাটা কফি হাউস ই হয়। আর কফি হাউসের কোল্ড কফি য়িথ ক্রিম টা মন্দ না।
    মাছের ও একটা আইটেম থাকে, সেটা ও বেশ ভাল।
    সিসিডি বা বারিস্তার মতন কফি শপ গুলো যা দাম নেয় তাতে ওরা ভাল কফি দিতে বাধ্য। তবে ওদের নিজেদের বানানো এক্সপেরিমেন্টাল কফি গুলো জঘন্য। আর চা টাও বেশ বাজে। খাবার দাবারের মধ্যে ডেসার্ট গুলো ভাল।
  • h | 203.99.212.224 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:১৫671024
  • ব্ল্যাংকি, এইখানে যেটা আছে, কি যেন নাম ঐ স্যান্ডউইচের দামী দোকনটার পাশে, সেটায় টুনটুনি কম, বই টই পড়তে দেয়। বিরক্ত করে না। ৪০ টাকা খচ্চা করে শনিবার পাঁচ ঘন্টাও থেকেছি, গত কয়েক মাস আগে, দুইটা লেখা শেষ করলাম, এখন গোদা বইটা পড়ছি। এইটায় চাপ কম। একদিন লা সানিয়া খেয়েছি, অসম্ভব দাম, ১০০ টাকা, খেতে খারাপ না।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:২০671025
  • ধুর মাইরি - কেউ যদি কফি হাউজে ভালো কফি খাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যায় আর না পেয়ে সেটা নিয়ে কমপ্লেন করে তাহলে সেটাকে বাল্যখিল্য ধাষ্টামো হিসেবে ধর্তব্যের মধ্যে না আনাই ভালো।
  • Blank | 170.153.62.251 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:২১671026
  • আমাদের আপিসের নীচের সিসিডি টাও বেশ ভাল। ভীড় হয় না যত ক্ষন ইচ্ছে বসে থাকো। সোফার ওপর বাবু হয়ে পা তুলে বসা যায়।
    (সিসিডি তে গিয়ে জম্মেও কেউ কফি নির্ভানা খেও না)
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০৭671027
  • এলগিন রোডে যে বইয়ের দোকানটা হয়েছে, ক্রসওয়ার্ড। সেটায় একটা কফিশপ আছে। একটা বই নিয়ে এক কাপ কফি নিয়ে সময় কাটানো যায়। লর্ড সিনহার স্টারমার্কেও ছিল, দেখলাম তুলে দিয়েছে।
    এদেশে বার্নস অ্যান্ড নোবল বা বর্ডারস বুকস্টোরে কফিশপ থাকবেই।

    আচ্ছা, কলেজ স্ট্রীট পাড়ায় যদি একটা স্টারমার্ক জাতীয় দোকান খোলে যেখানে অধিকাংশ বই হবে বাংলা, চলবেনা? এসি অ্যাম্বিয়েন্সে ঘুরে ঘুরে বাংলা বই নেড়ে চেড়ে দেখে কিনব এরকম দোকান নেই। ভাল বিজনেস আইডিয়া কিন্তু।
  • Blank | 59.93.164.196 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:১০671028
  • কলেজ স্ট্রীট কেন, কোলকাতার যে কোনো জায়গাতেই এমন দোকান হলে চলবে। ভাল বাংলা বই এর দোকানের অভাব খুব, যেখানে বই ভাল করে নেড়ে চেড়ে দেখা যাবে। সুন্দর সাজানো থাকবে সাবজেক্ট অনুসারে।
    (গড়িয়াহাটের স্পেনসারসে দেখেছিলাম বাংলার কালেকসান বেশ ভাল)
  • ranjan roy | 122.168.28.236 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:২৮671030
  • শ্যামলের ""বক্তব্য''এর পোচন্ড পিতিবাদ!
    প্রথম কথা, হ্যাঁ, এইথ্রেডে কফিহাউসের কফির গুণবত্তা নিয়ে আলোচনা একেবারে ধানভানতে শিবের গীত।
    যেমন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর অক্ষয় কুমার সরকারের বাংলায় বিজ্ঞান্‌চর্চার চেষ্টা দেখে বিরক্ত হয়ে লিখেছিলেন --আমি খুঁজিতেছি ঈশ্বরের সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক, আর উনি খুঁজিতেছেন বাহ্যজগতের সহিত মানবপ্রকৃতির কি সম্পর্ক?
    কফি হাউসে যারা যায় তারা ভালো কফি খেতে কম যায়, বেশি যায়, ঐ হনু যেমন গেছে, কম পয়সায় আনডিস্টার্বড থেকে অনেকক্ষণ একজায়গায় বসতে পারবে বলে।
    কফিহাউসের আকর্ষণ হল বাঁধনহীন আড্ডা, সবার জন্যে অবারিত। আপনি ওখানে নিয়মিত হলে বেয়ারারা আপনার কোন খবর চিরকুট অন্যদের পৌঁছে দেবে। আপনাকে খবর দেবে-- কার কখন আসার সম্ভাবনা আছে।
    ওখানে বসে একবার তুষার রায়কে ডেকে ওনার ফট্‌ সন্দেশ খাওয়ার গল্প শুনেছি।চারটে টেবিল, পরে সাদা পাঞ্জাবী পাজামা পরা বিনয় মজুম্‌দার কাঁধে একটা ঝোলা ব্যাগ নিয়ে নিজস্ব বন্ধুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় মগ্ন।
    বন্ধুরা বল্লো --জানিস্‌, ঐ ভদ্রলোক শিবপুরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর। ওর কাছে গিয়ে চার আনা দে, তোকে একটা কবিতার বই দেবে। ওর বৌ/ প্রেমিকা ""চিকি'' এখন লন্ডনে মাস্টার্স করছে।
    ও তোকে গ্রাফ এঁকে বোঝাবে যে -- লন্ডমের কফিহাউসে চিকি বসে, আর কলেজ স্ট্রীটের কফিহাউসে বিনয় বসে। এখন কিভাবে ওদের মিলিত ভালবাসা টেলিপ্যাথির মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের কাছে পোঁছতে পারে। সেই paath এর locus টা কি হবে? বেশ ছিটেল আছে মাইরি!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন