এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেড়ানো মজার স্মৃতি

    TAN
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ২৫০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • tan | 131.95.121.127 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:৩০671810
  • এখানে সবাই বেড়ানোর মজার মজার গল্প বলুন।থেকে যাক নানারঙ তোড়া বাঁধা ফুল আর মোমবাতির গুচ্ছ হয়ে,নইলে জোয়ার ভাঁটার স্রোতে আসতে যেতে আসতে যেতে যদি হারিয়ে যায়?
  • tan | 131.95.121.127 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২৩:৩৬671821
  • টুকরো টুকরো বেড়ানোগুলো জুড়ে দিলাম এইখানে।

    বাবা খুব ঘুরতে ভালোবাসতো। এদিকে তেমন টাকাপয়সা তো নেই! কি করে! বাবার আপিস থেকে এল টি সি বলে একটা সুবিধে ছিলো,প্রতি তিন চার বছরে সেটা নেওয়া যেতো। তাই প্রত্যেক তিন চার বছরে শান্ত শিষ্ট ভদ্রলোক আমাদের কজনকে নিয়ে বেড়াতে যেতেন।
    প্রথমবার মা আমি ঠাকুমা এদের নিয়ে বাবা গেলো পুরী,তখন আমার বছর দেড়েক কি আরেকটু কম।আমি নাকি সমুদ্রের নীল না ঠাহর করে ফেনা দেখে চিৎকিয়ে বল্লাম,"দু দু উউ দু দু-উউউ" মানে দুধ! বোঝো! দুধ যদি এত সস্তা হতো,কত সুবিধেই না হতো!
    আমার যখন বছর আড়াই, তখন বাবামা আমায় নিয়ে চল্লো দক্ষিণ ভারতে, এ যাত্রায় পাড়ার একটি মজার পরিবার আমাদের যাত্রাসঙ্গী হলেন।চক্রবর্তী ফ্যামিলি। প্রৌঢ় অল্প রাগী কিন্তু বেশ সহজসরল ভদ্রলোক, তার লক্ষ্মীমন্ত শান্ত স্ত্রী যিনি ভদ্রলোক বেশী রেগে গেলেই সামলান আর দুই ছেলে বিল্টু আর পিল্টু।বিল্টু মেজো পিল্টু ছোটো, পিল্টু তখন নাইনে,বিল্টু ইলেভেনে।ওদের বরদা বিয়ে টিয়ে করে অন্যত্র থাকতেন,তিনি আসতে পারেন নি, সেই বড়দা বিখ্যাত লোক এখন, জার্মান রচনা অনুবাদ করে বিখ্যাত, তাই নামটাম সব পাল্টিয়ে লিখছি।:-)))
    তো চক্কত্তি মশায় খুব ভালো লোক খালি রেগে গেলে পিল্টুকে তেড়ে যেতেন আর পিল্টু ইচ্ছে করেই কিনা কে জানে অদ্ভুত অদ্ভুত কান্ড করে বাপকে রাগাতো! ভদ্রলোকের ভালোবাসা প্রকাশটাই হয়তো ওরম ছিলো।পিল্টু মাদ্রাজ থেকে নাকি পাশের বাড়ীতে চিঠি লিখেছিলো,"মাসীমা, এখানে এসে আমরা কি শিখলাম? ব্বড়া প্পরা ঢঢড়া,মান্ডু খান্ডু "
    চিঠি পোস্ট করার আগে ইস্পেক্ট করে দেখে ভদ্রলোক রেগে আগুন! বাবাকে নাকি বলে,"দেখুন মশায় দেখুন,এতবড়ো ছেলে কিসব লিখেছে!" তো কোনোরকমে সামলানো হলো ওনাকে।
    কিন্তু পরদিন ঘোড়ার চাবুক কিনতে চাওয়ায় উনি পিল্টুর উপরে মহা রেগে গাছের ডাল ভেঙে নিয়ে নড়া ধরে ছেলেকে নিয়ে হোটেলে চল্লেন একাই।ভদ্রমহিলা পড়ি কি মরি করে ওদের সঙ্গে গেলেন,যদি ছেলেকে কিছু বাড়াবাড়ি করে! কিন্তু উনি তা করতেন বলে মনে হয় না!
    ইংরেজী বলতে গেলেই নাকি ভদ্রলোক মুখে একটা পান দিয়ে পান চিবুতে চিবুতে কথা বলতেন যাতে উচ্চারণের ভুল কেউ না ধরতে পারে!
    বিবেকানন্দ পুরমে লোকেদের দইভাত খেতে দেখে উনি নাকি বলেছিলেন,""মশাই,ওদের পায়েস দেয়,আমাদের দেয় না তো!""

    এসব গল্প পরস্মৈপদী,আমার নিজের স্মৃতি না।এখন বুড়োবুড়ী হয়ে যাওয়া ব্যাটাবেটীর মুখে শোনা।
    হাওড়া থেকে সব প্যাক ট্যাক করে গাড়ীতে ওঠা হয়েছিলো,ডিসেম্বর মাস,তখন পশ্চিমবঙ্গ বেশ ঠান্ডা!
    আড়াই দিন পরে মাদ্রাজে পৌঁছে নেমে কুলির কাঁধে নাকি তোলা হলো।দেখা গেলো চক্কত্তি সাহেবের সুটকেশ থেকে ঝোলা গুড় পড়ছে! কী ব্যাপার।উনি শক্ত গুড় পরিপাটী করে খবরের কাগজে বেঁধে সুটকেসে নিয়েছিলেন সাধ করে,মাদ্রাজে নিম্ন অক্ষাংশের হাই টেম্পারেচারে সে গুড় সলিড থেকে লিকুইড হয়ে গিয়ে মুক্তি আকাংখায় বেরিয়ে আসছে।তরলের সুবিধা আছে,তার কাইনেটিক এনার্জী বেশী,সে চলতে পারে,তাই বেরিয়ে আসছিলো। কঠিনের অত সুবিধে নেই,শীতের অংশে তাই কোনো ট্যা ফো করে নি,চুপ ছিলো এককোণে।ভদ্রমহিলা সুটকেস খুলিয়ে তাড়াতাড়ি সব গুছিয়ে ফেললেন। আর বললেন আর যদি জীবনে তিনি স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যান তবে নিজের নাম ঘুরিয়ে রাখবেন!
    কন্যাকুমারীতে পৌঁছে প্রথম দিন নাকি সন্ধ্যা হয়ে গেছে,বিবেকানন্দ পুরমে তক্ষুণি তক্ষুণি ঘর পাওয়া গেলো না,পরদিন সকালে দেবে বললো।

    সমুদ্রতীরে তোলা সাদাকালো একটি ছবি এখনো পুরানো অ্যালবামে যত্ন করে রাখা,সাদা কালো ছবি নাকি রঙীন ছবির থেকে অনেক বেশীদিন ভালো থাকে, তাই দেখি পুরানো হয়ে গেলেও মুখগুলো এখনো ভালো রেজোলিউশনেই আছে! ইশ,সবাই পাল্টে গেছে,ছবির মানুষগুলো কেউ বড়ো কেউ বুড়ো আরো বুড়ো হয়ে গেছে,কিন্তু ছবিতে বাঁধা পড়ে গেছে সময়ের একটি খন্ড! সাতজন লোক পাশাপাশি বসে আছে একটি বেঞ্চিতে , ব্যাকগ্রাউন্ডে ভারত মহাসমুদ্র, দূরে জলের মধ্যে বিবেকানন্দ শিলা। বাঁপাশ থেকে চক্কত্তিমশাই মানে পিল্টুদার বাবা,আমার বাবা,আমার মা,পিল্টুদার মা,বিল্টুদা পিল্টুদা আর আমি মুখ নীচু করে পিল্টুদার কোলে। নাকি লজ্জায় মুখ নামিয়ে আছি,কেন কেজানে! হয়তো এমনি। পিল্টুদা নাকি অনেক আগে থেকেই ট্রেনে আমায় কোলে নিয়ে গাছ দেখাতো আর ইমলি ইমলি বলে গলা কাঁপিয়ে ট্রেনের লাইনের পাশে দাঁড়ানো বাচ্চাদের সঙ্গে ইয়ার্কি করতো,তাই ভাবছি ততদিনে বন্ধু হয়ে যাবার কথা,তা
    হলে ফোটো তোলার সময় অত লজ্জা কিসের! অ্যাঁ?
    ছবির মধ্যে পাশের আরেকটি দক্ষিণী দলের তিনজন এসে গেছে ছবিতে, সেখানে এক মহিলার মাথার ব্যাকে দূরের একটি সমুদ্রশিলা এমনভাবে এসে গেছে যে মনে হচ্ছে দাঁড়ানো ভদ্রলোক মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। কার ছবি যে কোথায় চলে যায়, কত পর যে আপন হয়ে যায়, দুনিয়াটা খুব আশ্চজ্জনক জায়গা!

    ভীষণ টক দই সেখানে,ছোটো ছোটো ক্রীম ফুরানো পন্ডসের কৌটা ভর্তি করে চিনি নিয়ে যেতো সবাই,দইয়ে চিনি মিশিয়ে মিষ্টি দই করে তারপরে খেতো তখনকার ক্রীমের কৌটোগুলো প্লাস্টিকের বা পলিমারের হতো না,চীনেমাটি জাতীয় কিছুর হতো,পড়ে গেলে টুকরো টুকরো!

    মীনাক্ষী মন্দিরের সামনে আরো ছবি, এইটাতে পুরো গ্রুপ না,ছোটো ছোটো দলে ভাগ হয়ে তোলা। অদ্ভুত ব্যাপার এখানে একটা ছবিতে এক ফটোগ্রাফার এসে গেছেন,তিনি তখন মন দিয়ে ফটো তুলছিলেন মন্দিরের।
  • tania | 151.151.73.170 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:০৪671832
  • আমরা একবার Utah বেড়াতে গিয়ে সারারাত একটা ক্যানিয়নে আটকা পড়েছিলাম, কাদায় গাড়ির চাকা বসে গিয়ে। বাইরে বরফ পড়ছে আর রাতের জঙ্গলের অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ। সেলফোনের রিসেপ্‌শন সুদূর স্বপ্ন! এদিকে গাড়িতে খাবার বলতে গোটা কয়েক কুকি আর কয়েক ক্যান সোডা। প্লাস পেছনের সীটে দেশ থেকে প্রথমবার বেড়াতে আসা মা-বাবা। তখন কান্না পেলেও, এখন বেশ মজা লাগে ভাবতে :-)
  • Paramita | 143.127.3.10 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:৪৩671839
  • ক্রেটার লেকে (তখন বন্ধ ছিলো গোল চক্কর রুট) শীতকালে বেড়াতে গিয়ে ঐ দশা হয়েছিলো, চেন থাকায় আমরা গাড্ডায় পড়িনি বটে, কিন্তু পাশে বরফে বসে যাওয়া গাড়িতে এক ভারতীয় দম্পতির ঐ দশা হয়েছিল। তারা অবশ্য ত্রাণ শিবিরকে খবর দিতে পেরেছিল, ত্রাণ শিবির তাদের উদ্ধার করছিলো। কে জানে ঐ গাড়িতে তুমিই ছিলে কিনা, তানিয়া! তোমাকে দেখেও হয়তো আমরা পাশ দিয়ে সাঁ করে বেরিয়ে গেছি :)
  • m | 67.173.95.163 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:৩৮671840
  • রোদ ঝলমলে এক স্বাধীনতা দিবসের সকালে আমি আর আমার তৎকালীন প্রেমিক কোথায় যাই ভাবতে ভাবতে চড়ে বসলাম ডায়মন্ড হারবার লোকালে।সেখানে নেমে দেখি একটা ক্যানিং যাবার বাস,সুন্দর ফাঁকা ফাঁকা,তাতে চড়ে সোজা হাতানিয়া-দোয়ানিয়ার পাড়ে,ওমা এই নদী পেরোলেই তো সমুদ্র,বকখালি,এই বার এক লাফে নৌকোয়।নামেই নদী,আসলে তো খালের মতই সরু,ওপারে গিয়ে নেমে এক ভ্যান রিক্সায় চড়ে সোজা বকখালি।কিছু দিন আগেই একবার সদলবলে এসেছিলাম,সব ই বেশ চেনা চেনা,সুন্দর রোদ,তায় ছুটির দিন,দেখি কাতারে কাতারে লোক পিল পিল করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।আমরা বেশিক্ষন হাওয়া খাবার সুযোগ পেলাম না,যেতে যেতেই প্রায় বিকেল হয়ে গেলো।এইবার ফেরার পালা,নদী তো দিব্যি পেরিয়ে এলাম,অল্প আলো আছে তখনো আকাশে।বাস স্ট্যান্ডে বাস আছে গোটা চার,কিন্তু কোনো টাই যাবে না,একখান ট্রেকার পাওয়া গেলো,তাতে মারামারি করে যায়গা মিল্লো দুজনের ই,আমার সঙ্গী হাসি মুখে আমাকে দরজার পাশে বসতে দিলেন,ট্রেকার দিব্যি চলতে লাগলো,ওমা একটু দূর গিয়েই সে থেমে গেলো,ড্রাইভার আর তার সঙ্গী ওনেক চেষ্টা চরিত্র করে হাল ছেড়ে দোকানে ঢুকে গেলো,পথের প্রায় মাঝখানে আমাদের বুকে নিয়ে সে দেহত্যাগ করে পড়ে রইলো,এইবার চারপাশে তাকিয়ে দেখি,রাস্তার পাশে দোকানে হ্যাজাক জ্বলছে,গুমটি দোকানের রেডিও থেকে ভেসে আসছে হিন্দি গান।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:৩৯671841
  • গপ্পের বাকিটা কোথায় গেল?
  • m | 67.173.95.163 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৩:০৪671842
  • অন্য সব লোকেদের সঙ্গে আমরাও নেমে পড়লাম,খানিক রিক্সায় ,ভ্যান রিক্সায় দুলতে দুলতে বেশ কয়েক মাইল দূরে এক বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখি,এক প্রাইভেট বাস দাঁড়িয়ে আছে,সে নাকি ডাইমনহাবরা পর্যন্ত যাবে,উঠে দেখি,মহিলা সিটে একটা ফাঁকা মত আছে,আমার দেহ বল্লরী তাতে এঁটে গেলো,সঙ্গী পুরুষ যাত্রী দের সঙ্গে অন্য দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলে।শুরু হলো শবরীর প্রতীক্ষা,শোনা যাচ্ছে,ছাড়বে,ড্রাইভার উঠছে,ঐ যা,নেমে গেলো।আমি তার দিকে তাকিয়ে থাকি,টি শার্টের এক ফালি দেখতে পাই,বাইরে তাকাই,অন্ধকার।অবশেষে বাস ছাড়লো,আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম বলা যায়।নিকষ অন্ধকারে,ভাঙাচোরা রাস্তায় সেই বাস গড়াতে গড়াতে চল্লো,কিছু পরে স্থানীয় লোকজন নামতে লাগলো,নতুন কেউ আর ওঠে না।পুরুষ যাত্রী রা সংখ্যায় অনেক।লেডিস সিট ফাঁকা।এই বার হঠাৎ আমার সঙ্গীর চোখ সে দিকে পড়তেই,তিনি এসে আমার পাশে বৃন্ত চ্যুত ফুলের মত ধপাস করে পল্লেন, দু চারটি কথা বার্তা বলে কিছু বাদে হেলে পড়তে পড়তে কাঁধে মাথা দিয়ে নিদ্রা দিলেন।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৩:৩৮671843
  • ট্রেন থেকে যে এ জীবনে কতোবার ঝাঁপ দিলাম ঠিক নেই।

    (১) শেয়ালদা ইস্টিশানে ঢোকবার মুখে। ভাগ্যে ঐ ফারাক্কা ব্রীজের ওপরে থাকাকালীন কোনদিন দিতে হয়নি
    (২) কারশেডে ভুল করে চলে গিয়ে ঝাঁপ দিয়ে এগারো নম্বর ধরে ফেরা
    (৩) ব্যারাকপুর আর পলতার মাঝখানে ট্রেনটা থেমে দিয়ে পাশের সিনেমাহলের পোস্টার অনেকক্ষণ ধরে দেখার সুযোগ করে দেবেই দেবে। সেখান থেকে নীল শাড়ির দল দলে দলে ঝাঁপ নইলে ক্লাস মিস
    (৪)যাদবপুর আর ঢাকুরিয়ার মাঝামাঝি লেডিজ হস্টেলের শোভা দেখানোর জন্য ট্রেন দাঁড়িয়ে তো দাঁড়িয়েই। একটা সিলভার লাইনিং ছিলো অবশ্য এটায়, ছেলেগুলো ঝপাঝপ নেমে প্রচন্ড শিভালরাস হয়ে গিয়ে হাত ধরে টুপ করে নামিয়ে নিতো।
  • m | 67.165.172.170 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৯:০৬671844
  • অন্ধকার রাস্তায় বাস চলেছে,কাঁধে ঘুমন্ত যুবকের মাথা,বাইরের নিকষ অন্ধকারের মাঝে মাঝে দু একটা সাইকেল আর ভ্যান রিক্সা,জনপদের কাছাকাছি এলে টিমটিমে আলো জ্বলা দোকানঘর,রেডিও তে চেনা-অচেনা গানের দু এক কলি।লোকে সাইকেলের পেছনে রেডিও বেঁধে চলেছে।জনপদে নামছে কিছু লোক,একজায়গায় দুজন মহিলা বাসে উঠে এলেন,আমি অসাড় কাঁধ নাড়িয়ে ওঠার জন্যে ইঙ্গিত করছি,তিনি কি হলো বলে রাঙাজবা চোখ মেলে তাকালেন,সামনে মহিলা দের দেখে উঠে দাঁড়াবার আয়োজন করতেই এক মহিলা হাঁ হাঁ করে উঠলেন,নানা শুয়ে থাকুন,শরীল খারাপ,আমরা সামনেই নেমে যাবো।শরীর খারাপ না হলে কেউ মহিলার কাঁধে মাথা রেখে লেডিজ সিটে বসে অঘোরে ঘুমোতেই বা যাবে কেন?
    অবশেষে বেশ ঘন্টা দুই চলার পরে বহু প্রতীক্ষিত ডায়মনহাবরা এসে পৌঁছোলাম,ঘড়িতে তখন সাড়ে আটটা বেজে গেছে।এক ঘুমে রাস্তা পার করে তিনি তখন চা তেষ্টায় কাতর।
  • rimi | 24.214.252.141 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৯:৩২671811
  • ম, তারপর কি হল?
  • m | 67.173.95.163 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:৫৫671812
  • ততক্ষণে আমার বেশ চিন্তা শুরু হয়েছে,একে রাত হয়ে যাচ্ছে,তার ওপর অসাড় কাঁধ,ঐ অবস্থায় এই উটকো বাসনার কথা শুনে আমি হনহনিয়ে স্টেশানের মধ্যে ঢুকে পড়লাম,দেখি পেছনে প্যাঁচার মত মুখে বকবক করতে করতে আসছে।শুনলাম,নটা দশে একটা ট্রেন আসবে।টিকিট কাটতে গিয়ে দেখি জানলা বন্ধ, ট্রেন আসার দশ মিনিট আগে নাকি টিকিট ঘর খুলবে,এই বার আকর্ন বিস্তৃত হাসি নিয়ে তিনি জমিয়ে চা খেতে বসে গেলেন।ঘড়িতে নটা বাজে,যাত্রীরা উসখুশ করছে,কাউন্টার আর খোলে না।নটা পনেরোয় পাড়া কাঁপিয়ে মাইক জানান দিলো,আজকের মত ট্রেন টি বাতিল করা হয়েছে।আমি ফ্যাল ফ্যাল করে চারপাশে তাকাচ্ছি,সঙ্গী,অকুতোভয়,নিদ্রা আর চা -পান শেষে তার তখন জোশ এসে গেছে।

  • Pallab | 59.93.242.82 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:০৭671813
  • ঠিকই তো, দুজনেরই টেনশন করার কি দরকার? তাপ্পর...???
  • dri | 199.106.103.254 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:৩২671814
  • এর ঠিক পরে যাই হোক, ফাইনালি বাড়ী পৌঁছে নির্ঘাৎ কষ কষ করে কান মোলা।
  • Samik | 125.23.110.7 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০০:২৮671815
  • বেয়ান, তাপ্পর?

    বেশ জমেচে!
  • m | 67.173.95.163 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:১৯671816
  • যাত্রীদের মধ্যে কিছু স্থানীয় লোক শুনেই গজগজ করে বাইরে হাঁটা লাগালো,ওদের হয়তো গেলেও হয়,না গেলেও হয়। আমার এই বার বেশ আতংক হতে শুরু করেছে,রাত সাড়ে নটায় ডায়মন্ডহারবার স্টেশানে,সাকুল্যে গোটা কুড়ি লোক,মহিলা যাত্রী আমাকে নিয়ে তিন কি চার জন।কিছু লোক ঝুড়ি নিয়ে মেঝে তে বসে আছে।আমার সঙ্গী অকুতোভয়,কখন ট্রেন আসবে তার ঠিক নেই,আদৌ ও আসবে কিনা জানা নেই,তিনি চায়ের পর মৌজ করে সিগারেট খান,আর আমাকে অভয় দেন।হতাশ আমি বিরক্তি,ভয়,রাগ সব কিছু তখন পেরিয়ে এসেছি।

    এই সব অপূর্ব স্টেশানে স্টেশান মাস্টার রাও যেন কোথাও গা ঢাকা দিয়ে চুপ করে পড়ে থাকেন,ট্রেন আসবে কিনা একথা জানার আর কোনো উপায় নেই দেখে আমরা চায়ের দোকানে বসে থাকি।অবশেষে মাইক জানান দেয়,দশটা দশের শেষ ট্রেন কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে যাবে।লাস্ট ট্রেন ধরার জন্যে আরো কিছু লোক জমতে থাকে।এদের হাতের ঝুড়ি আর বেশ-ভূষা দেখে মনে হয়,সবাই মালপত্র আনতে চলেছে।কেউ কেউ চায়ের দোকানে ভীড় জমায়।আমাদের দেখে,কৌতুহলী কেউ কেউ দু-একটা প্রশ্নও করে ফেলে।
  • m | 67.165.172.170 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:৪৩671817
  • এইবার টিকিট কাউন্টার খুলে যায়,জনাদশেক লোক লাইনে দাঁড়ায়।টিকিট কেটে সঙ্গীর গা ঘেঁষে দাঁড়াই।ট্রেন ঢুকতেই দেখি সব লোক এক জায়গায় জমা হচ্ছে।ভেন্ডারের পাশে র কম্পার্টমেন্ট এ সব লোক পিলপিল করে উঠে পড়ে।বাকি গোটা ট্রেন টা ফাঁকা পড়ে থাকে।আমরাও সেখানেই উঠে জানলার পাশে বসে পড়ি।ট্রেন এ বসে হারানো সাহস কিছু টা ফিরে আসে।যাক ,ছেড়ে দিলে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছোবো।দশটা দশ বেজে যায়,ট্রেনের সেই ঝুড়ি ওয়ালাদের কয়েকজন কাকে যেন খুঁজতে যায়,অবশেষে দুই বন্দুক ধারী ট্রেন এ উঠলে সাড়ে দশটায় ট্রেন নড়ে চড়ে চলতে শুরু করে।আমাদের উলটো দিকে এসে বসেন এক মধ্য বয়সী মাসিমা, সঙ্গী ভদ্রলোক গল্প জুড়ে দেন।এরা সুভাষগ্রামে যাবেন।
  • m | 67.165.172.170 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:৫৮671818
  • দ্রুত পেরিয়ে যাচ্ছে এক একটা স্টেশান,সব লোক একসাথে গল্পে মেতে ওঠে।ঝুড়ি ওয়ালারা সব কোলে মার্কেটে যাচ্ছে,আবার ভোরের প্রথম ট্রেন ধরে দক্ষিণের নানা শহরতলিতে বিকিকিনি করে দুপুরে ডায়মনহাবরায় বাড়ি ফিরবে।আবার রাতের লাস্ট ট্রেনে শহরে যাবে।বিড়ি ধরিয়ে কেউ কেউ সিট ছেড়ে মাটিতেই বসে পড়ে।একজন সামনের রড ধরে ঝুলে ঝুলে গান গাইতে থাকে।মাসিমা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমাদের খবর নেন।তখন একটু সহনীয় লাগে চারপাশ।সঙ্গী আবার বেশি কথা কন না,তিনি হু-না তে জবাব দিহি করতে করতে দ্বিতীয়বার ঘুমের প্রস্তুতি নেন।একটা লোক এগিয়ে আসে,তাকাতেই বলে,পয়সা দিন,কিসের পয়সা দাদা,আরে ঐ যে দেখছেন না,পুলিশ আমাদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে,ওদের কে কিছু পয়সা দিতে হয় রোজ,এ লাইনে জানেন তো,বলে চোখ মটকায়।সঙ্গীর বোধহয় তর্কের ইচ্ছা ছিলো,তিনি সিধে হয়ে বসার আগেই আমি কয়েকটা টাকা দিয়ে দিই।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:৩৭671819
  • তোমার গার্জিয়ানরা কি ভালো মিঠু!
  • Samik | 125.23.112.112 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৯:১৬671820
  • এ বার আমি একটা গল্প বলব।
  • m | 67.173.95.163 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৯:৩২671822
  • টাকা পয়সা তোলা চলতে থাকে,যারা প্রসাদ নেবেন তারা গাদা বন্দুক কাঁধে উদাস মুখে বাইরের দিকে তাকিয়ে হাওয়া খেতে থাকেন,চলতে চলতে ট্রেন মাঠের মধ্যে থেমে যায়,ডাকাত পড়েছে ধরে নিয়ে আমরা কাঠ হয়ে বসে থাকি,একটু পরেই ট্রেন চলতে শুরু করে,পরের স্টেশানে টাকা পয়সা বুঝে নিয়ে বন্দুক ধারীরা গটগটিয়ে নেমে যায়।এইবার সামনের মাসিমা গাদাবন্দুক আর বড় টর্চের অভাবে ম্রিয়মান হয়ে পড়েন।আমার সঙ্গী আপদ গেছে ভেবে দ্বিতীয় বার ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিতে থাকেন,আমি খানিক টা দূরে নিজের কাঁধ বাঁচিয়ে সোজা হয়ে বসে বাইরের অন্ধকার দেখতে থাকি।ঐ রহস্যময় শেষ ট্রেনে নতুন আর কোনো যাত্রী ওঠে না।সঙ্গী হাতের চশমা খানা আমার দিকে বাড়িয়ে দেন,আমার দিক থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে নিজের হাতে ধরে চোখ বন্ধ করেন।
  • m | 67.173.95.163 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৯:৫০671823
  • এই ভাবে নীরবতায় কিছু সময় কেটে যায়,ঝুড়িওয়ালা দের কেউ কেউ চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেয়,কেউ চুপচাপ বসে থাকে,নীরবতায় কাতর মাসিমা আবার গল্পের ঝুড়ি খুলে বসেন,আমি কতক্ষণে সোনারপুরে বড় মামার বাড়ি পৌঁছোবো ভাবতে থাকি,সঙ্গী পুরুষ আমাকে সেখানে নামিয়ে দিয়ে কি করে ফিরবে ভেবে কুল পাই না।মাসিমার গপ্পে সামনের লোকজন নড়ে চড়ে বসে।নানা গল্প চলতে থাকে।
  • b | 81.154.63.209 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১২:৩৩671824
  • হয়েছে কি, একজন আমার টুনিটুনিমূলক, একবার পুণে গিয়েছে, কিছু একটা কাজে, সম্ভবত কোলাপুর বা পুণের মহাফেজখানায়। তো তার আবার ডাস্ট আলার্জি। তো ধুলোয় কশটো তো বই পত্তর, কাগজ নথি নিয়ে কাজ নেওয়া কেনো? গিয়ে মাশ খানেক কাজ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে্‌হ। তকন আমি কলকাতায় চাকরি করি। হথাৎ ফোন হেবী শরীর খারাপ। সেই দিন ই আমি কত একটা টাকার বোনাস পেয়েচি, অসহ্য অর্থনৈতিক ও হর্মোনাল ও পুং কর্তব্য বোধ সংক্রান্ত পুড়কি চাগায়ে ওঠায়, আমি প্লেইনের টিকেট কেতে ফেলেছি্‌হ, কাতার পরে কি মানসিক যন্ত্রণা। কেনো এতো গুলো টাকা খরচ করলাম, শেষে যদি ঘটা করে গিয়া প্যাটিস খাই এটসেট্রা। টো প্লেইনে গেছি পুণে পরের দিন ই। হালার পুনায় অটো ওয়ালা রা এট্টু ঢাকাই কুট্টি ট্রাডিশান এ উদ্বুদ্ধ। যদিও অনেকেই শিব বা বজরং সেনা টাইপ তাই এট্টু কড়া কইরা কথা কয়।তো আমি মুম্বাই থেকে বাসে যখন পরিত্রাতা হিসেবে দুপুরের দিকে পুণে পৌছোলাম তখন আবিষ্কার করলাম যে পুড়কি তে আমি যারে উদ্ধার করুম, তার ঠিকানা ও ফোন নং আনতে ভুলে গিয়েছি। তো অটো ভাই জিগালেন 'কঁহা জানে কা'। তো আমি জেনেরিক ভাবে বল্লাম 'জাঁহা ইতিহাস কা রেকর্ড রহতা হায় না, সেই খানে'। তো প্যাচাবাবু কি বুঝলেন কে জানে , অত্যন্ত সংবেদন্‌শীল ভাবে মাত্র, বিন্দু মাত্র শব্দ খরচ না করে, শ খানেক টাকার বিনিময়ে মস্তানী বেগম এর ভাঙা প্রাসাদের সামনে এনে বল্লেন 'ইধর হিশট্রি লোগ আতে হ্যায়।' আমি ছড়িয়েছি বুজে চুপ চাপ নেমে পড়লাম। নেমে একটু খেলাম, মানে অনেকটা কি সব খেলাম, খালি পেটে আমি হালার টেন্‌চান নিতে পারি না। তো নেমে অনেক্‌ক্ষণ বোকা বোকা ভাবে ও ব্যস্তো হয়ে হাঁটা হাঁটি করার পরে বুঝলাম, টুনটুনির বাড়িতে যদি ফোনে জিগাই ও পুনা তে কোথায় থাকে, তাইলে পরবর্তী অধ্যায়ে যারে কয় প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা সমূহ তইরী হতে পারে, বলা যায় না কেস এগুলো, খেলে মানুষ পজিটিব হয়, ভাবতাছি ওর দু একজন বন্ধুরে আমি চিনি তাদের ফোন করুম? তারপরে যার ফোন নং পাইলাম পকেট হাতড়ে তারে ফোন করতে মন গেলো না, কারণ একটাই, সে বহুত কেচ্ছাপ্রেমিক , একটা পাইলেই প্যাঁক দিয়া ভুত ভাগাবে।
    শেষে ব্রিল আইডিয়া এলো, যে ফার্গুসোন কলেজের কাছে্‌হ আর্কাইভস কেসটা ঐখানে। গিয়া হাভাইত্যার মতো দাড়ায়ে থাকি,যদি কপাল খোলে মাইয়া যদি রাস্তা দিয়া হাটে টাটে, বাড়ি যাওয়ার সময় তো হয়ে এলো। কিন্তু যে সেদিন ডস্ট অয়লর্জি তে কাতর, আর্কাইভস সে সেদিন যদি না আসে কি করুম সেইটা ভাবার তখন সময় ছিলো না। ওমা কি কপাল কপাল, কিছু ক্ষন পরে দেখি, টুনটুনি দিব্যো হেলে্‌ত দুলে্‌ত রাস্তা পার হয়ে আসতাছে। তো আমি রোদ চশ্মা টা থিক করে, এট্টু গলা ঝাঁকিয়ে সামনে চেহারা খান দ্যাখাতেই সে তখনি মুচ্ছো ও চাপা পড়ছিলো বা চাপা ও মুচ্ছো।

    তার পরে হেসে কথা কইলো। আমার ভিতোর টা যে তকন কি কর্তাছে, কি কমু, হৃৎপিণ্ড পুরা হাওড়া সিয়াল্‌দা আপ ডাউন মারে। তো আমি বোঝালাম চিন্তায় থাকতে না পেরে চলে এসেছি, তো বল্লো, ভালো করেছো, কিন্তু আমার মেয়েদের হোস্টেল ঐ খানে তোমারে ঘর দেবে না তুমি হোটেল দ্যাকো। আমি একবার ভাবছি এটা কি কাটালো না , আরেকবার ভাবছি এটা র একটা সেক্ষমূলক সম্ভবনা থাকলেও থাকতে পারে। সে কী চাপা তেনচান। তার পরে ওর hostel এর থেকে মাইল পঁচেক দূরে শেশ মেশ থাকা স্থির হলো, তো আঁধার ঘনিয়ে আসছে দেখে আমার হোটেলে পৌছিয়ে দিয়েই সে কাইটা পড়ে্‌লা, আমি ভাঙা বুক , অতীব চাপা সেক্ষ নিয়া নিরামিশ থালি খেয়ে গপ্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমায়ে পড়্‌লাম। পরের দিন ওমা ইডলি খেতে বেরিয়েছিলাম, খেয়ে দেয়ে ফিরছি আর ভাবছি। চলে তো এলাম, গুচিয়ে প্যাটিস ও খেলাম, এইবার যাই কি কর্গিয়া। ফেরার টিকেট নাই, ছুটি নেওয়া তিন্দিনের।

    সকালে ওমা ইডলি খেয়ে হোটেলে ফিরে দেখি সে বুলবুল বুলবুল মুখ্‌ক করে হোটেলে র সামনে টায় চেয়ারে বসে আছে, মাইয়ারে কেউ চেয়ার দিছে, পুণের লোকের কতো ভদ্রতা অথবা আলু এই সব ভাবছি। ওমা হাতে দেখি ব্যাগ, কয় অজন্তা যাবে?আমার একা যাওয় হচ্ছে না? আমি বল্লাম মানে, বল্লো ব্যাগ নিয়ে এসো তার পরে অজন্তা চলো, প্রতি দশ কুড়ি মিনিটে ঔর্ঙ্গাবাদের বাস ছাড়ে এই খানে। আমি হোটেল এটাকা পয়্‌সা দিয়ে বেরিয়ে এলাম, ভাব ছি এ আবার কি কল, শেষে অকরণে গুহা চিত্র দেখিয়ে দেখিয়ে আপিসিয়ালি প্যাতিস দেবে নাকি? তো তোবু সেই অজন্তা গেলাম, রাস্তায় একটি বাইক্য বিনিময় হলো, আমি বল্লাম জল খাবে? বুল্বুল বল্লো না। ও না। একটা স্টপে, আমি ছেলেদের বাথ্রুম থেকে হিসি করে এলাম দেখে আমারে ব্যাগ থেকে একটা সাবান বার করে দিয়া বল্লো হাত ধুয়ে নাও। আমার তো ঐটুকু মেয়ের সর্দারি দেখে পর্চন্ড রাগ হচ্ছে। তো শেশ মেশ ঘন্টা চারেক পরে ঔরঙ্গাবাদে পৌছে, জনইক বাবু মিঁআর গাড়িতে অজন্তা দেখতে গেলাম। অসাধারণ বল্লেন ভদ্রলোক ঠিক ই, এবং ভীষণ সিরিয়াস আলোচনা হল বুল্বুল ও বাবু মিঞার, আমি ভাবি এও তো হালার রঙ্গ ভালো, আমারে নিয়া আইলো, আর কথা কয় বাবু মিঞার লগে।

    সেই রাতেই আবার বাস এ পুণে ফেরা এইবার তিন্টি বাক্য বিনিময়।কইলো আমি বাদাম খাবো। আমিয়ো চেইত্যা গেছি বল্লাম কিনে খাও। তো একটু রহস্যজনক ঠোঁট বেকিয়ে বাদাম আনলো , দু প্যাকেট ই আনলো, আমি কিরকম নার্ভাস হয়ে গেলাম, ভাবলাম এটা কি কিছু ভালো হতে পারে? ভোরে পুণে পৌছে টুন্টুনিরে পাতি গুলি মেরে কাটিয়ে টিকিট ব্যবস্থা করতে গেলাম ট্রেন এ। বিকেলে আজাদ হিন্দ একে্‌স্‌প্‌রস ধর্বো ঠিক হোলো, কোনো রেজর্ভেশান এর গল্প নেই, পাতি ব্যাক টু ভবঘুরে জীবন, পাতি জেনেরাল কম্পারে্‌ট্‌মনেটে যাবো।একবারের বোনাস এ দুবার প্লেইনে চড়া হয় না।তাও নাগ্‌পুরের বেশি জেনেরাল টিকেট দেয় না, ওখানে দেখা যাবে, বুল বুল কে তো সকালেই কাটিয়ে দিয়েছি, বলেছি কলকাতায় গেলে ফোন করো বাই।রেলার মথায় চলে এসেছি কিন্তু মনটাও খচ খচ কর্ছে, ট্রেনে চড়ার আগে উদুম ভিড়ে বিকেল বেলা প্লাটফর্মে সিঙাড়া খাছি, হঠাৎ দেখি সে। হাতে একট প্যাকেটে একটি বই। দিয়ে বল্লো ট্রেনে পোড়ো তার পরে হেসে বল্লো সামনের মাসে দেখা হবে।

    বাকি টা আর বলছি না, না না ধরণের পেট খারাপ ওয়ালা হাজার দেড়েক লোকের সগে জেনেরাল কম্পারে্‌ট্‌মন্টে দেড় দিন এক সাথে থাকা এক্টু চাপ।

    নাগ পুর থেকে কলকাতায় ফিরতে দম ছুটে গেছিলো সেটাও আলাদা গল্পো।
  • indo | 59.93.243.24 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১১:২০671825
  • তাপ্পর কি হোলো, ব, তাপ্পর? কেচ্ছার গন্ধ পাইয়া গেছি।

    এট্টু বানামফানাম ঠিক কইর‌্যা ল্যাখতে পারো না?
  • Samik | 125.23.119.57 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:৩৯671826
  • ইয়ে, ...
    তখন সদ্য করিচি বিয়ে,
    ভোরবেলায় উঠে সিঁদুর ঝাড়ি গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে...

    এমন সময়ে ...

    বিয়ের আগে থেকেই বাপ গুচ্ছ হুড়কো দিয়েছিল, আমাদের নাকি কোনওদিন একসাথে থাকা হবে না, অতএব এ বিয়ে করবার কোনও মানে হয় না, ইত্যাদি প্রভৃতি। গুচ্ছ ড্রিবলিং ডজিং করে বিয়ে তো করলাম, অবশ্য বাবা নগণ্য, পেন্টু হলুদ হয়ে গেছিল ইনফোসিসকে বাগে আনতে। মাত্র চার দিনের ছুটি নিয়ে বিয়ে করেছিলাম, সাথে একটা শনি রবি, আর পোঁয়োরোই আগস্টের ছুটি। টোটাল সাতদিনে সব সেরে যে যার আপিসে। আমি ভূবনেশ্বর, ভোকাল কর্ড মালদার গাজোল।

    আগস্টে বে করে নভেম্বরে হানিমুনে গেলাম গোয়া। কী করব, ইনফোসিসে কাজ করি, ছুটি কই? আমি হলাম ইনফোসিসের অতি ক্রিটিকাল রিসোর্স, আমাকে ছাড়া কোম্পানি অচল।

    এ গল্প অবশ্য গোয়া বেড়ানো নিয়ে নয়।

    নবেম্বরে ভারতের মহামান্য প্রেসিডেন্ট প্লিজ্‌ড হয়ে আমার বউকে একটি অ্যাপো লেটার পাঠালেন, দিল্লিতে শক্তিমন্ত্রকের চাকরি। এক্সপেক্টেডই ছিল, যেটা ছিল না, সেটা হল আমার শ্বশুরের ডিগবাজি। 'হ্যাঁ শমীক, তুমি কিছু চিন্তা কোরো না, আরে আমি তো ওমুক সময়ে দিল্লি গেছিলাম, আমি ঠিক ওর থাকার ব্যবস্থা করে আসব' ইত্যাদি প্রভৃতি করে আমাকে দিয়ে টিকিট কাটালেন। যাবার দেড় সপ্তা আগে জানালেন, তিনি যেতে পারবেন না, আমিই যেন সস্ত্রীক দিল্লি রওয়ানা হই।

    বোঝো কান্ড। ই কি মুখের কথা নাকি? একটা টিকিটে দুজনের নাম লেখা, বাপ আর মেয়ে, সেখানে বাপকে রিপ্লেস করে স্বামী করি কী করে?

    অগত্যা, দুটোই ক্যানসেল করে ফ্রেশ টিকিট। ভাগ্যিস পূর্বাতে পাওয়া গেল। তখন ডিসেম্বর মাস। অফ সিজন।

    সবার যা হয়, আমাদেরও তাই হল, জীবনে প্রথম দিল্লিতে নেমেই অটোওলার হাতে মুরগি। ও হতে হতই, কিছু করার ছিল না। আসলে দিল্লিতে তখন অটো স্ট্রাইকও চলছিল, অটো-ও চলছিল। শীলা দীক্ষিত অটো-ওলাদের মিটারে অটো চালাতে বলেছিলেন বলে তারা ধর্মঘট ডেকেছিল।

    তো, সে যাক গে। গল্পে আসা যক।
  • Samik | 125.23.119.57 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:৫৫671827
  • স্বর্ণালীকে অফিসে জয়েন করিয়ে, ওর হস্টেলের ব্যবস্থা করে, লেপ কম্বল মোবাইল কিনে দিয়ে জন্তর মন্তরের মাঠে শেষবারের মত হাতে হাত ধরে বিরহব্যথা অনুভব করে যখন ফেরার ট্রেনে উঠে বসলাম, মনে পড়ল রুমমেটদের জন্য দিল্লির লাড্ডু কেনা হয় নি।

    পরদিন বিকেলে পূর্বা পৌঁছবে বর্ধমান, আমি সেখান থেকে লোকাল ধরে যাব ব্যান্ডেল, বাবার সাথে স্টেশনে দেখা করেই চলে যাব হাওড়া, রাত সাড়ে দশটায় জগন্নাথ ধরে ভূবনেশ্বর। এই মত ঠিক ছিল।

    বিকেল সাড়ে তিনটেয় বর্ধমান ঢুকল পূর্বা। এখান থেকে কর্ড লাইন ধরবে বলে আমি নেমে পড়লাম। প্যাসেঞ্জার লোকাল যা পাই মেন লাইনে, ব্যান্ডেল যেতে হবে। হঠাৎ দেখি, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এক নম্বরে ঢুকছে।

    কেমন একটা খটকা লাগল। বিশ্বভারতী তো সকালে হাওড়া যায়, সে এই বিকেল বেলায় কেন? ভাবলাম, শান্তিনিকেতনের লাইন, লেট হতেই পারে, সেটা যে উল্টোমুখের ট্রেন, ঘূণাক্ষরেও মনে এল না। অতএব প্রচুর মহিলা পুরুষ ঝালমুড়িওলা টিনের ট্রাঙ্ক টপকে একটা কামরায় উঠে বসার জায়গা নিলাম।

    ট্রেন নড়ে উঠল। এই বার সহযাত্রীদের কথা কানে এল, 'আজ ছাড়তেই এত দেরি করল,' 'হ্যাঁ, হাওড়াতেই দেরিটা করিয়ে দিল' ... ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি টোটল ট্যান। মানে? আমি তো যাচ্চি হাওড়া ভিমুখেই। তবে কি এটা শান্তিনিকেতন যাচ্ছে, হাওড়া নয়?

    একটা ঝালমুড়ি কিনলাম মনে সাহস আনার জন্য। তারপর, পাশে একটা লোককে পছন্দ করলাম, দেখে মনে হল গম্ভীর প্রকৃতির, হয় তো আমাকে প্যাঁক দেবে না।

    আমার আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল। এটা যাচ্ছে শান্তিনিকেতন। 'তুমি তো ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছো ভাই, এটা এর পর থামবে গুশ্‌করা।'

    ল্যা:। সেই গুশকরা? জন্মের পর কিছুকাল এখানে ছিলাম, বিশেষ প্রমিনেন্ট স্মৃতি নেই। কিন্তু ফিরব কী করে? আজ রাতেই যে আমার ট্রেন? ভুবনেশ্বর ফেরার?

    ট্রেন এসে থামল গুশকরা, পৌনে ছটায়। ডিসেম্বরের সন্ধ্যে, ঘুটঘুটে অন্ধকার। পুরো প্ল্যাটফর্মে কেবল একটা হ্যারিকেন জ্বলছে, আর কোনও আলো নেই। বাইরে গিয়ে ফোন করতে গেলাম, ও বাবা, এখানে ফোন? ক্ষেপোচো? এ বলে গ্রামবাংলা! ঢাউস সুটকেশ নিয়ে বিশাল প্ল্যাটফর্মে আমি একা। শোনা গেল শিয়ালদহ ফাস্ট প্যাসেঞ্জার আসবে সোয়া সাতটায়।
  • Samik | 125.23.119.57 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৬:০৮671828
  • তখনও ক্যালকুলেশন করে যাচ্ছি, যদি সোয়া সাতটাতেও আসে, ফাস্ট প্যাসেঞ্জার তো, সোয়া নটাতে নিশ্চয়ই ব্যান্ডেল ঢুকে যাবে, আমি সাড়ে দশটার আগে হাওড়া পৌঁছে যেতে পারব। ইশ্‌শ্‌শ, যদি বাবাকে একটা ফোন করে দেওয়া যেত!

    হায় রে, গ্রামবাংলার ফাস্‌ প্যাসেঞ্জার! এল সাড়ে সাতটায়। এসে আর চলতেই চায় না। আমি তো উঠে বসলাম। অন্ধকার কামরা, এক কোনায় কিছু মাটি কাটা জনতা বসে, বিড়ির গন্ধে ম ম করছে কামরা। কাঠ হয়ে বসে রইলাম নিজের সিটে। সাথে ঢাউস সুটকেস। শুনলাম রাজধানী পাস করবে, তাই ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে।

    তা বেশ। রাজধানিকে পাস করিয়ে শিয়ালদা ফাস্‌ প্যাসেঞ্জার চলতে শুরু করল, এত ভালো চলল, আটটা চল্লিশে বাঁশবেড়িয়া, ব্যান্ডেলের আগের স্টেশন। সেখানে গিয়ে ট্রেন গেল হাঁফিয়ে, আর ব্যান্ডেলে ঢোকে না। জাস্ট কয়েক কিলোমিটার আগে বসে বসে কুড়ি মিনিট কাটিয়ে দিলাম। নটায় ব্যান্ডেল ঢুকল।

    চুলোয় গেল বাড়ি যাওয়া। স্টেশন থেকে বাবাকে ফোন করে 'এসেছিনু তবু আসি নাই' জানায়ে গেলাম। নটা দশের হাওড়া লোকাল। দশটা কুড়িতে হাওড়া। কার্ল লুইসের স্পিডে নিউ কমপ্লেক্স। ট্রেনে পা দিলাম, ট্রেন চলতে শুরু করল, অ্যাজ ইফ আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল।

    এমনিতে যাই পুরি এক্সপ্রেসে, সেই প্রথম জগন্নাথ।

    সরি, প্রথম থেকেই ভুল লিখছি, এটা জগন্নাথ নয়, হাওড়া থিরুভনন্তপুরম, টিভিসি এক্সপ্রেস। সে কী এক্সপ্রেস মাইরি। হাওড়া আর ভুবনেশ্বরের ঠিক মাঝখানের স্টেশন হল ভদ্রক। ভদ্রক পৌঁছলাম সকাল ছটায়, সাধারণত পুরি এক্সপ্রেস সকাল ছটায় ভুবনেশ্বর পৌঁছয়।

    ভদ্রক থেকে টিভিসি এক্সপ্রেস হয়ে গেল লোকাল ট্রেন, সাইনবোর্ড দেখলেই থামে। এমনকি যেখানে প্ল্যাটফর্মও নেই, সেখানেও থামে। আর থামলে সচরাচর নড়তে চায় না। সে কী জার্নি। খিদেয় প্রাণ শেষ, চারপাশে অজস্র তেঁতুল। কথা ছিল ফেরার পথে ব্যান্ডেল থেকে রাতের খাবার নিয়ে আসব, তো সে গুড়ে তো বালি ঘটে গেল শিয়ালদা ফাস্‌ প্যাসেঞ্জারের কল্যাণে।

    ট্রেন ভূবনেশ্বর গিয়ে পৌঁছল বেলা দুটোয়, ঠিক ঐভাবেই যেতে যেতে। পুরো যাত্রাপথে আমি ওড়িয়া অ্যালফাবেট শিখে গিয়েছিলাম। স্টেশনের নাম পড়ে পড়ে।
  • m | 67.173.95.163 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:৪৯671829
  • মাসীমার অসীম কৌতুহল,ঝিঙের কি দর পাও থেকে শুরু করে চুনো মাছের টক বাসি ভাতে ভালো লাগে সব ই জানা হয়ে যায়।দোখনোরা অনেকেই নাকি,নারকোল কোরা দিয়ে দুধ -ভাত মেখে খায়। সামনে বসা লোকেরা এত ভালো শ্রোতা সচরাচর পায় না,তারাও সরল মনে ঝিঙের দাম থেকে শুরু করে জমিতে গোবর সারের অনুপাত অবধি মাসিমাকে জানাতে থাকে।সঙ্গী এইসব অখাদ্য গল্পে যোগদান না করে মটকা মেরে পড়ে থাকে,আমি নিবিষ্ট মনে জ্ঞানার্জন করে যাই ,ভেতরের উৎকন্ঠা ততে কিছু টা কম টের পাই।
    ট্রেন চলেছে,দুলকি চালে।মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে বিশ্রাম নিচ্ছে।প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে একটা মাঠের পাশে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে।আমাদের মুখোমুখি বসে থাকা সাদা জামা জোরে সঙ্গী কে হাক দেয়,কামরার অন্য পাশ থেকে খৈনীর ডিবে হাতে একটা লোক দূরের মুখোমুখি জানলায় এসে বসে।
  • Samik | 125.23.114.15 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৭:৩৬671830
  • বেয়ান,

    এট্টু বেশি বেশি করে লেখো না।
  • Paramita | 202.3.120.9 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:৩৪671831
  • আমরা হানিমুনে গেলাম সাতজন। বারো ঘন্টা ড্রাইভ করে যাওয়া, পনেরো মিনিট ওল্ড ফেথফুল দর্শন, ঘন্টা দুয়েক বাকি ইয়েলোস্টোন ভ্রমণ আর বারো ঘন্টা ড্রাইভ করে ফিরে আসা।

    ইশে, এই বেড়ানো মজার স্মৃতিটুক কারণে অকারণে মনোপটে ভেসে উঠবে, ঠিক সময়ে, দরকার পড়লেই..
  • m | 173.26.17.106 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:২৫671833
  • লোকটার দিকে চোখ পড়তে কেমন একটা অস্বস্তি হয়। কচর মচর করে পান চিবোনোর সঙ্গে সঙ্গে একটা কাঠি দিয়ে দাঁত খোঁচাচ্ছে আর হাসি হাসি মুখে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমাকে দেখছে।বিরক্তিতে আবার জানলার বাইরে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকি। সঙ্গী তখন চশমা হাতে হাঁ করে ঘুমোচ্ছে।মিনিট পনেরো হয়েছি কি হয় নি,মনে নেই-লোকটা উঠে আমাদের সামনে চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে আরো দু তিনজন উঠে এসে যোগ দেয় ।উলটো দিকে সিটের ওপর পা মুড়ে বাবু হয়ে বসে একজন সাদা জামার সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়,অন্যেরা দাঁড়িয়ে থাকে। মাসিমা নতুন লোক দেখে আবার নড়েচড়ে বসেন।গল্প চলতে থাকে। আমাদের ভয় দেখানোর জন্যেই কিনা জানিনা,লোকটা ট্রেন ডাকাতির গল্প শুরু করে। মাসিমা হাতের আর গলার ওপর শাড়িটা ভালো করে টেনেটুনে বসেন। ডাকাতরা কেমন নৃশংস হয় ,রসিয়ে তার গপ্পো চলতে থাকে। সঙ্গী এইবার ঘুমের কোটা শেষ হয়েছে বলে বা হৈচৈ এর কারণে নড়চড়ে ওঠেন- একটু ধাতস্থ হয়ে (গল্পের বিষয়বস্তু কানে যেতে) হাতের চশমা তাড়াতাড়ি গলিয়ে একটা হাত আমার পিঠের পিছনে বরাভয়ের ভঙ্গীতে ছড়িয়ে দেন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন