এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুসলমান জীবনের কাহিনী বা হিন্দু জীবনের কাহিনী বলে কিছু হয়?

    নীলাঞ্জন সৈয়দ
    অন্যান্য | ২৪ জুন ২০১৫ | ৩০৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নীলাঞ্জন সৈয়দ | 122.79.39.116 | ২৪ জুন ২০১৫ ২১:৩৬681560
  • মুসলমান জীবনের কাহিনী বা হিন্দু জীবনের কাহিনী বলে কিছু হয়?
    আমরা যখন পড়ি তখন কি এসব ভাবি যে এটা মুসলমানের জীবন কাহিনী ,এটা হিন্দু জীবনের কাহিনী?ভাবনাটাই বিচ্ছিরি বলে মনে হয়।অথচ কিছু মানুষ এই ভাবে কথা বলতে ভাল বাসেন।
    'দেশ' পত্রিকায় গৌর কিশোর ঘোষের "প্রেম নেই" যখন ধারাবাহিক ভাবে বের হচ্ছিল তখন খুব শুনতাম মুসলমান জীবনের অপূর্ব জীবন কথা তুলে ধরেছেন তাঁর এই ধারাবাহিক উপন্যাসে।
    মজাটা হল পাঠক কখনও ওই ভাবে কাওকে তুলে ধরার জন্য পড়েনা।এর মধ্যে মানবিক আবেদন আছে কিনা সেটাই তারা খোঁজে।যে সব কাল জয়ী লেখা রয়েছে সেগুলো মোটেই অমুক সমাজের জীবন কাহিনী তুলে ধরার জন্য পাঠকের হৃদয়ে নেই,মানবিক আবেদনের জন্যই সেগুলো টিকে রয়েছে।
    আমরা যখন "পথের পাঁচালী" পড়ি ,পড়তে পড়তে হারিয়ে যাই অপুর জীবনের মধ্যে,কারুর মাথাতেই থাকেনা কোন কিছু।অপু একজন খ্রীষ্টান হতে পারে,অপু এক জন মুসলমান হতে পারে।আসলে অপুর কোন জাত নেই।অপুর আবেদন বিশ্বজনীন।সেই জন্যই অপু বিশ্ব বিখ্যাত হতে পেরেছে।কেউ কখনও বিশেষ ব্র্যাকেটে রাখার সাহস করেনি।বলেনি যে এটা হিন্দু সমাজের জীবন দর্পণ।
    আমার মনে হয় যাঁরা হিন্দু জীবন ,মুসলমান জীবন লিখব ভেবে লেখেন তাঁরা মহৎ লেখক নন।
    কিছু মানুষ অমুক সমাজের জীবন কাহিনী বলে সমালোচনা লেখেন তারাও আসলে পাঠক কে ভুল পথে চালিত করেন।লেখক তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখেন,কাহিনীর প্রয়োজনে চরিত্র কখনও হিন্দু হয়,কখনও বা মুসলমান হয়।জোর করে কোন কিছু লেখা যায় না।অকারণেও চরিত্র হিন্দু বা মুসলমান করা হয় না।
    যেমন ধরুন সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের কাল জয়ী গল্প "গোঘ্ন"তে ' হাজি বদর জোঁয়াল কাঁধে বলদের মত চলতে কাউকে কখনো দেখেন নি।তার দয়া হয়। তিনি হারাইকে কারো গাড়ির সঙ্গে তার গাড়ি বেঁধে নেয়ার পরামর্শ দেন।তার ঘরে আনেন। স্বভাবসুলভ আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করেন।নিজেই হারাইয়ের পাতে মাংস তুলে দেন। আর গরুর মাংস কিভাবে পেলেন বলতে থাকেন।বললেন – দিলজান হালাল করেছে। তখন টুকরোটা হারাই কেবল মুখে পুরেছিল,আচমকা নড়ে ওঠে থুথু করে ফেলে দেয়। বমি করে। বুক ফাটা কান্নায় বলে ওঠে – হেই হাজিসাব!হামাকে হারাম খাওয়ালেন! হামাকে হামার বেটার গোস্ত খাওয়ালেন?"
    এই হারাই চরিত্র টা কি মুসলমান ছাড়া ভাবা যাবে?গল্পের প্রয়োজনে হারাই কে মুসলমান করা হয়েছে।নতুবা এই গল্প টাই হতনা।
    তবুও কিছু মানুষ অমুক সমাজের জীবন কথা বলতেই থাকবেন...
  • ranjan roy | 132.180.170.196 | ২৪ জুন ২০১৫ ২২:০৪681571
  • কোন মহৎ লেখক অবশ্যই ফর্মূলা ধরে লিখবেন না।
    কিন্তু যে কোন সাহিত্যকর্মের দুটো দিক আছে।
    আন্তরিক ও বাহ্যিক।
    অন্তর্বস্তুতে সেটা মানুষের গল্প। তার বেঁচে থাকার যন্ত্রণা, ভালবাসা, ঘৃণা সবকিছুর কথা। সেখানে সে সার্বজনীন বা বিশ্বজনীন। সব দেশে সবকালেই মানুষ বাঁচতে চায়, ভালবাসতে ভালবাসা পেতে চায়, মরতে চায় না।
    কিন্তু সেই মানুষ হাওয়ায় ভাসে না। সে কোন নির্দিষ্ট দেশে বিশেষ কালে বিশিষ্ট সমাজে বাঁচে। তাই তার বর্ণনায় সেই সমাজের সেই সময়ের বিশ্বস্ত ছবি ফুটে না উঠলে পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
    অপুর উদাহরণেই দেখুন। কথকতা করে পূজো আচ্চা করে সংসার চালানো হরিহরের পরিবার এবং তাদের কাশীবাস হিন্দুব্রাহ্মণ না হলে দাঁড়ায় কি? একই বক্তব্য গোঘ্ন গল্প নিয়ে। গোমাংস খাওয়াবার প্রসঙ্গ উঠবেই না মুসলমান সমাজের চিত্রণ না হলে।
    এইভাবেই শহুরে সমাজ গ্রামীন সমাজ আদিবাসী সমাজের চিত্রণের প্রশ্ন ।
    তবে এহ বাহ্য। রসোত্তীর্ণ সাহিত্যে এইসন বহিরঙ্গের খোলস ছাড়িয়ে দেখা দেবে সার্বজনীন মানুষ, যার সঙ্গে আমরা পাঠকরা একাত্ম হব।

    "সবচেয়ে যে মানুষ -- আপন অন্তরালে,
    তার কোন পরিমাপ নাই বাহিরের দেশে কালে,
    সে অন্তরময়,
    অন্তরে মিশালে তবে তার অন্তরের পরিচয়।'
  • sm | 233.223.159.253 | ২৪ জুন ২০১৫ ২৩:৩৯681582
  • সাহিত্যে সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি সব আসবে। কিন্তু মূল চাবিকাঠি থাকে চরিত্র আর ঘটনা প্রবাহের মধ্যে। মানুষের চরিত্রের বিভিন্ন ইটার্নাল দিক গুলি ক্রমশ সব কিছু কে ছাপিয়ে ওঠে।যতো বেশি এই দিক গুলো কে নিয়ে নাড়া ঘাঁটা হবে, যতো বেশি পাঠকের কাছে আবেদন শীল হয়ে উঠবে, তত সাহিত্য বা উপন্যাস টি কালজয়ী হবে।
    যেমন ধরুন শেক্সপীয়রের ম্যাকবেথ (মানুষের লোভ ও উচ্চাশা), হ্যামলেট (দ্বিধা, প্রিসনার অফ ইন্দিসিশন ),মার্চেন্ট অফ ভেনিস (লোভ, স্বার্থপরতা)।
    শরত চন্দ্রের পল্লী সমাজ (নীচতা, হিপোক্রেসী ),দেবদাস ( ভালবাসা ও না পাওয়ার অতৃপ্তি) ,বিভূতি ভূষণের পথের পাঁচালি (হতাশা, প্রিয়জনের বিয়োগ /বিচ্ছেদ জনিত দুকখ )।
    এসবই মানুষের চরিত্রের চিরন্তন বৈশিষ্ঠ্য । এগুলোকে যতো ভালোভাবে এবং যতো নিপুন ভাবে, যে লেখক ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন; তাঁর লেখা তত কালজয়ী হয়ে উঠেছে।
  • কল্লোল | 111.63.192.144 | ২৫ জুন ২০১৫ ০৬:৩১681593
  • বিভুতিভূষনের পথের পাঁচালীর পাশে রাহী মাসুম রজার আধা গাঁও (রাজকমল পেপারব্যাকস, দিল্লী, পাটনা, এলাহাবাদ, ২২৫টাকা)। বাংলা অনুবাদ - গন্ডগ্রাম(অনু - বারীণ ঘোষাল, ন্যাশনাল বুকট্রাস্ট, ইন্ডিয়া, ১০৫টাকা) পড়ুন। বুঝতে পারবেন হিন্দু জীবন/মুসলমান জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়।
    অপু মুসলমান হলে হরিহর মসজিদের ইমাম বা ওরকম কিছু একটা হতেন। কাশী যেতেন না। পড়ুন সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অলীক মানুষ। গ্রাম বাংলার মুসলমান জীবন।
    তিনটি উপন্যাসই অসম্ভব সেকুলার অবস্থান থেকে লেখা। কিন্তু হিন্দু জীবন আর মুসলনাম জীবনের সূক্ষ্মদিকগুলো একরকম নয়।
    আমাদের সামরাণের অতঃপর অন্তপুরে কোনভাবেই হিন্দু বাড়ির আখ্যান নয়। আজাবী আর ইন্দিরা ঠাকরাণের তুলনা করুন, বুঝতে পারবেন।
    মুসলমান জীবনের কাহিনী বা হিন্দু জীবনের কাহিনী বলে হাজারবার, কিছু নয়, অনেক কিছু হয়।
  • Du | 183.74.40.186 | ২৫ জুন ২০১৫ ০৭:৫১681604
  • কাশী না গিয়ে আজমীর শরীফ যেতেন হয়তো। কিন্তু মারা যেতেন, স্ত্রীকেও চাকরি নিতে হত পরের বাড়িতে।
  • S | 139.115.2.75 | ২৫ জুন ২০১৫ ০৮:১৯681615
  • গরীবের আবার ধর্ম।
  • PT | 213.110.247.221 | ২৫ জুন ২০১৫ ০৯:০০681619
  • "গরীবের হিন্দুস্থানও নাই, পাকিস্থানও নাই, আছে শুধু গোরস্থান"-পালঙ্ক ছবি।
  • rabaahuta | 114.179.72.200 | ২৫ জুন ২০১৫ ০৯:২২681620
  • অসংখ্য বার পথের পাঁচালী পড়ার সময় কখনোই মনে হয়নি 'হিন্দু পরিবারের' গল্প বা 'হিন্দু জীবনের' উপাখ্যান পড়ছি। যদিও বল্লালী বালাই, কথকতার পেশা, বিশালাক্ষীর থান, নরোত্তম দাস বাবাজি - হয়্তো মনে করাই যায়।

    তবে মনে যে হয়নি কখনো সেটা ভেবে স্বস্তিই পাচ্ছি।
  • ন্যাড়া | 109.72.224.255 | ২৫ জুন ২০১৫ ১০:০৪681621
  • ভারতীয় কনটেকস্টে সেকিউলারিজম মানে ধর্ম নিরপেক্ষতা। সব ধর্মই পাশাপাশি আপন নিজস্বতা নিয়ে আছে। এর মানে তো ধর্মকে উপেক্ষা বা উৎপাটন করা নয়। বহুদিন আগে ফ্রান্সে যখন হিজাব নিয়ে বিতর্ক চলছিল, সেই সময় অমর্ত্য সেন এই দু ধরণের সেকিউলরিজম নিয়ে একটা ভাল প্রবন্ধ লিখেছিলেন।
  • কল্লোল | 135.16.17.194 | ২৫ জুন ২০১৫ ১০:৪০681561
  • রবাহুতো।
    পথের পাঁচালী পড়ে আপনার মনে হয় না যে হিন্দু পরিবারের উপাখ্যান পড়ছেন। আপনি সম্ভবতঃ নিজে হিন্দু বা হিন্দু পরিবারের থেকে। তাই আপনার মনে হয়, এটা হিন্দু কেন হতে যাবে!! এটাই তো স্বাভাবিক বাংলা গ্রামের জীবন।
    আপনার কি অলীক মানুষ পড়েও তাই মনে হয়? বা অতঃপর অন্তঃপুরে পড়ে?
    আপনি কি জানেন যে রোজার সময় ছোট ছেলে মেয়েরা কলসীর মুখে ফুঁ দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে রোজা জমা রাখে। তারপর খেয়ে নিয়ে সেই ঢাকনা খুলে আবার রোজা নিয়ে নেয়!!! এমনি করে তারা দিনে চারবার রোজা রাখে।
    আপনি সরস্বতী পূজোর ফল কোটা আর লক্ষী পূজোর মুড়কির গল্প জানেন। আপনি বাচ্চাবেলায় অষ্টমী পূজোর অঞ্জলি দেবার জন্য উপোষ ও তার আপোষের গল্প জানেন। সেই যে একটু চা বিস্কুট খেলে কি আর ঠাকুর পাপ দেবে!!
    কিন্তু মহরমের প্রস্তুতি বা ইফতারের জন্য সারাদিন ধরে যে যজ্ঞ চলে তার গল্প জানেন?

    দু উবাচ - "কাশী না গিয়ে আজমীর শরীফ যেতেন হয়তো। কিন্তু মারা যেতেন, স্ত্রীকেও চাকরি নিতে হত পরের বাড়িতে।"

    এরকম একটা উদাহরণ দেখাতে পারবেন? অন্ততঃ সাহিত্য থেকে।

    বাঙ্গালী হিন্দুদের মতো শেষ বয়সে কাশী বা বৃন্দাবন ভারতের অন্য প্রদেশের হিন্দুদের মধ্যেই চল নেই। তাই কাশী আর বৃন্দাবনে যে সব অসহায় বয়স্ক মানুষ পাবেন তাদের ৯৯% হিন্দু বাঙ্গালী, তাও মহিলা।

    বাঙ্গালী মুসলমানেদের মধ্যে শেষ বয়সে আজমীর বা মক্কায় যাবার স্বপ্নই দেখে না কেউ। তাদের বেশীরভাগ এতই গরীব যে ওসব ভাবতেই পারে না। বড়জোর আসেপাশের কোন বড় মসজিদ বা মাজারে পড়ে থাকে। ভিক্ষা করে। এতিমখানায় ঠাঁই হয়।
    এটা কাশী-বৃন্দাবনের চেয়ে আলাদা গল্প।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ২৫ জুন ২০১৫ ১২:২৮681562
  • নীলাঞ্জন সৈয়দ লিখছেন - "অপু একজন খ্রীষ্টান হতে পারে,অপু এক জন মুসলমান হতে পারে।আসলে অপুর কোন জাত নেই।অপুর আবেদন বিশ্বজনীন।সেই জন্যই অপু বিশ্ব বিখ্যাত হতে পেরেছে।কেউ কখনও বিশেষ ব্র্যাকেটে রাখার সাহস করেনি।বলেনি যে এটা হিন্দু সমাজের জীবন দর্পণ।
    আমার মনে হয় যাঁরা হিন্দু জীবন ,মুসলমান জীবন লিখব ভেবে লেখেন তাঁরা মহৎ লেখক নন।"

    শেষ বাক্যটির সাথে ৫০০ভাগ সহমত। কিন্তু অপু খ্রীষ্টান বা মুসলমান হলে গল্প্টা এরকম হতেই পারতো না।
    ওরকম প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলায় খ্রীষ্টান খুব দেখা যায় না। আমি নদীয়ায় বেশ কিছু প্রত্যন্ত গ্রামের খ্রীষ্টান পরিবারকে চিনি। তারা আমার সহপাঠী ছিলো। চার্চের সাথে যুক্ত থাকায় তাদের বাবারা (যারা অপুর বয়সী) কৃষ্ণনগরের মিশনারী স্কুলে বিনিপয়সায় পড়েছেন। ফলে সেখানেই তাদের জীবন অপুর থেকে আলাদা হয়ে গেছে। ব্রিটিশ আমলে তাদের বাবাদের (আমার বন্ধুর ঠাকুর্দারা) চাকরী পাওয়াও অনেকটা সুবিধার ছিলো। ফলে তারাও হরিহরের চেয়ে আলাদা হয়ে যান।

    পথের পাঁচালী ৩০/৪০এর দশকে গ্রামীণ নিম্নবিত্ত বর্ণহিন্দুর চালচিত্র। ওটা কোনমতেই তখনকার গ্রামীণ গরীব অন্তজ হিন্দুর চালচিত্রও নয়। মুসলমান বা খ্রীষ্টান তো ছেড়েই দিলাম।
    তিতাস একটি নদীর নাম পড়ুন - সেটাও বংলা ভাষার এক মহান উপন্যাস। তাতে সেসময়ের অন্তজ হিন্দুর জীবন পাবেন, যা অপুর চাইতে অনেক অনেক আলাদা।
    বিভুতিভূষনের আরণ্যক পড়ুন, যদিও মধ্যবিত্ত বর্ণহিন্দুর চোখ দিয়ে দেখা, তবু আদিবাসী জীবনের ঝাঁকি দর্শন। সেও তো অপুর জীবন নয়।
    আবারও বলছি, আগের পোস্টে এই পোস্টে যে যে লেখার কথা বল্লাম, প্রত্যেকটাই খুব সেকুলার অবস্থান থেকে লেখা।

    আর ইয়ে মানে, বিভুতিভূষনের পথের পাঁচালী "বিশ্ববিখাত"!! এমত তথ্য কোথায় পাওয়া গেলো?
  • সুশ্রুত সরখেল | 212.54.102.201 | ২৫ জুন ২০১৫ ১২:৩৯681563
  • ১) মানুষ সমাজভুক্ত জীব।
    ২) তাই মানুষের জীবনকাহিনীতে সমাজের চিত্র ধরা পড়বে।
    ৩) ভিন্ন ভিন্ন সমাজের জীবনশৈলীতে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে অতএব তাও ধরা পড়বে।

    এতে গোল কোথায়? ব্যামোর পর্যায়ে গেলে পোলিটিকাল কারেক্টনেস ও গোলমেলে।
  • সে | ২৫ জুন ২০১৫ ১২:৫৬681564
  • কল্লোলদার লাস্টদুটো পোস্ট খুব যুক্তিযুক্ত।
  • PT | 213.110.246.22 | ২৫ জুন ২০১৫ ১৩:৩৫681565
  • হাসান আজিজুল হকের "আগুনপাখি" পড়ে তো মনে হল না এ "মুসলমান"-কে নিয়ে লেখা কোন উপন্যাস। উল্টে মনে হল যে অনেক আগে পড়া "হাসুবানু" অথবা "নীলকন্ঠ পাখীর খোঁজে"-র চরিত্রগুলো নামধাম বদলে প্রায় একই সমস্যার মধ্যে আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে আছে!!
  • rabaahuta | 114.179.72.200 | ২৫ জুন ২০১৫ ১৯:২০681566
  • গ্রামীন জীবন আমার একেবারে অপরিচিত, আর পথের পাঁচালীর সময়ের গ্রাম তো আরৈ। রোজা রাখার পদ্ধতি আমার যতটা অপরিচিত, মাঘমন্ডলের ব্রত বা বারোয়ারী চড়কপুজা, সুদর্শন পোকা নয় ঠাকুর, সংসারে আশ্রিত বৃদ্ধা পিসীমাও ততটাই।
    তো হিন্দু বা মুসলমান আচারে অভ্যস্ত জীবনের সঙ্গে আমার মোটামুটি সমদূরত্বটা পরিচয় দিয়ে নয়, অপরিচয় দিয়ে।

    সরস্বতী পুজো ইত্যাদি অবশ্য দেখেছি, তাও খুব ছোটবেলায় দেখিনি।

    তা যাই হোক, এটা নিয়ে আমার তর্ক করার কিছু নেই, পথের পাঁচালীকে গ্রামীন বাঙালী জীবনের প্রতিচ্ছবি বলে দেখা হয় যদি, তার সঙ্গে 'হিন্দু' শব্দটা জুড়লে ক আর ক্ষতি বৃদ্ধি হবে।
    শুরু-ই যেখানে হচ্ছে বল্লালী বালাই দিয়ে, ধর্মীয় আচারের প্রসঙ্গ দেখাই যায়।
    আমি সেরকম ভাবে দেখিনা সেটা অন্য, সে নিতান্তই আমার দেখা, ওটা কোন অ্যানালিটিকেল দেখা নয়। আমি দেখিনি এবং দেখতে চাইনা সেটাই আমার একমাত্র বক্তব্যঃ)

    আমাকে হুতো বলে চিনতে পারেননি বুঝতেই পারছি, শুধু পথের পাঁচালীকে আলাদা করে হিন্দু পরিবারের গল্প মনে হয়না বলেই ধর্মপরিচয়্টা ভেবে ফেললেন? ঠিকই ভেবেছেন যদিও।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৫ জুন ২০১৫ ১৯:৫৩681567
  • গল্প/উপন্যাস থেকে খুব বেশী হিঁদুয়ানী বা মুসলমানি গন্ধ বেরোলে সম্ভব্তঃ বুঝতে হবে যে সেগুলো খুব উচ্চস্তরের সাহিত্যসৃষ্টি হয়নি।
  • a x | 138.249.1.198 | ২৫ জুন ২০১৫ ২০:১২681568
  • কেন?
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৫ জুন ২০১৫ ২০:২২681569
  • আবুল বাশারের "ফুলবউ" উপন্যাসটা পড়ছি এখন, এটা ঘোষিতভাবেই পশ্চিমবঙ্গের গ্রামের মুসলমান সমাজ এর কাহিনি। একদম বারে বারেই সুন্নত, নবীর নির্দেশ, হজ্জ্ব করা, চার বৌ, বিভিন্ন মুসলিম প্রথা যেমন তালাক খালাস ইত্যাদি এইসব ব্যাপারগুলো আসছে। এক হাজী সাহেবের চতুর্থা স্ত্রী কে নিয়েই এই কাহিনি। কিন্তু তাতে সাহিত্যমূল্য কিন্তু কমছে না লেখাটার, বরং একটা বিশেষ জনগোষ্ঠীর ভালোমন্দ আলো অন্ধকার আনন্দ বেদনা আশা নিরাশা সব সমেত ফুটে উঠছে।
  • কল্লোল | 125.242.131.241 | ২৫ জুন ২০১৫ ২০:২৬681570
  • পিটির সাথে ৫০০ভাগ একমত। কিন্তু অপু খ্রীষ্টান বা মুসলমান হলেও পথের পাঁচালী একই রকম হতো এটা একদমই ঠিক নয়। এমনকি অপু দুলে বা বাগদী হলেও তা হতো না।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৫ জুন ২০১৫ ২০:২৯681572
  • এমনিতে বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ বন্দ্যো, সুনীল গঙ্গো, শীর্ষেন্দু মুখো ইত্যাদি বিখ্যাত লেখকদের যেসব লেখা পড়েছি, প্রায় সবই বাঙালি হিন্দুর জীবনের গল্প, ব্যাপারগুলো এতই তরকারিতে নুন চিনির মতন মিশে আছে যে আলাদা করে ঠাহর হয় না। কিন্তু ব্রত পার্বন পুজো আচ্চা খাবার দাবার মাঝে মাঝেই নানা ঠাকুরদেবতার রেফারেন্স মাঝে মাঝে আবার মন্ত্রতন্ত্র---এইসব একেবারেই প্রায় সবই হিন্দুর কালচার।
    সত্যি বলতে কি মুসলমানের কালচার জানতেই তো পারলাম নেটে বাংলাদেশের লেখকদের লেখা পড়ে আর ওদেশের সিনেমা সিরিয়াল ইত্যাদি দেখে। নইলে আকীকা পানচিনি মেজবানি কুলখানি--এইসব অনুষ্ঠানগুলোর তো নামও জানতে পারিনি আগে, কী অনুষ্ঠান সেতো পরের কথা।
  • কল্লোল | 125.242.131.241 | ২৫ জুন ২০১৫ ২০:৩১681574
  • আতোজ। একদম ঠিক। চরিত্রগুলো হিন্দু হলে এই গপ্পোই হবে না। ফুলবউ পবর গ্রামীণ মুসলমান জীবনের গল্প। তাই বলে তাতে কিছু ইসলামের প্রচার হচ্ছে না। যেমন পথের পাঁচালী ৩০/৪০ দশকের গ্রামীন নিম্নবিত্ত বাঙ্গালী বর্ণহিন্দুর আখ্যান হয়েও কোথাও হিন্দুত্বের প্রচার করে না।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 | ২৫ জুন ২০১৫ ২০:৩১681573
  • হ্যাঁ কল্লোলদা, এটা অস্বীকার করার কোন জায়গাই নেই, অপুর প্রেক্ষাপট অন্যরকম হলে ঘটনাক্রমও অন্যরকম হতো। অবশ্যই।
  • PT | 213.110.246.25 | ২৫ জুন ২০১৫ ২২:২৭681575
  • প্রেক্ষিতটাকে বোধহয় ধর্মের দৃষ্টিতে না দেখাই যুক্তিযুক্ত হবে। লেখক যে সমাজের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন সেই সমাজের প্রেক্ষিতেই গল্প লিখতে স্বচ্ছ্ন্দ্য বোধ করবেন। রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসে মুসলমান চরিত্র প্রায় অনুপস্থিত। সম্ভবতঃ মুসলমান সমাজকে কাছ থেকে দেখেননি বলে সেই সমাজ নিয়ে কাহিনী তৈরি করেননি।

    ডাক্ঘর নাটকে অমল হিন্দু কিনা তাই নিয়ে কেউ কি মাথা ঘামায়? বা ঘামাতে চাইলে কতটা ঘামাতে পারে?
  • ranjan roy | 132.180.215.190 | ২৫ জুন ২০১৫ ২২:৪২681576
  • পিটি,
    একদম ঠিক বলেছেন। কিন্তু প্রসঙ্গটা অন্য। কোন ইউরোপীয় দেশের উপন্যাসে চরিত্রগুলো ইউরোপীয় হবেই। আমরা যারা ইউরোপের জীবনযাত্রা, লোকসংস্কৃতিতে অনভিজ্ঞ তাদের চোখে মনে হবে না একটা অজানা সমাজের গল্প শুনছি?
    তেমনি পূববাংলার বিখ্যাত কমিউনিস্ট লেখকের (আল বদরের হাতে নিহত) "সংশপ্তক" পড়লে চোখের সামনে কি গ্রামবাংলার মুসলিম সমাজ তাদের সামাজিক পারিবারিক রীতিনীতি ( যেগুলো আমাদের পরিবারের প্রেক্ষিতে একটু অন্যরকম) নিয়ে আমাদের চোখে উজ্বল হয়ে ফোটে না?
    ডাকঘরের চরিত্র গুলো আমাদের চেনাসমাজের। তাই আলাদা করে খেয়াল হয় না। সামাজিক ভিন্নতা রীতিনীতি কোন লেখায় বিশ্বস্ততার সঙ্গে ফুটে উঠলেই সে লেখা সাম্প্রদায়িক হবে এমন তো নয়!
    আসলে লেখককে দায়বদ্ধ থাকতে হবে তার সময়ের জীবনের বাস্তবতার কাছে।
    রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়াল গল্পে বা ল্যাবরেটরি উপন্যাসে পাঠান চরিত্র বা পাঞ্জাবি চরিত্র কেমন ভাবে ফুটে উঠেছে!
  • ranjan roy | 132.180.215.190 | ২৫ জুন ২০১৫ ২২:৪৫681577
  • আর ডাকঘর তো প্রতীকী লেখা। তাই ফকির অন্য মাত্রা পায়। কিন্তু বাস্তবাবাদী লেখায়?
  • PT | 213.110.246.230 | ২৫ জুন ২০১৫ ২২:৫৫681578
  • "কোন ইউরোপীয় দেশের উপন্যাসে চরিত্রগুলো ইউরোপীয় হবেই। "
    আমিও কি তাই বললাম না?
    ("লেখক যে সমাজের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন সেই সমাজের প্রেক্ষিতেই গল্প লিখতে স্বচ্ছ্ন্দ্য বোধ করবেন।")

    আর "বাস্তবাবাদী লেখা" কারে কয় তাই নিয়ে এক সমস্যা হবে। কিন্তু ধরুন "ঘাটের কথা" গল্পটা-সেখানে কি কেউ হিন্দুত্ব খোঁজে নাকি?
  • ranjan roy | 132.180.215.190 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:০২681579
  • আরে না না! হিন্দুত্ব মুসলমানত্ব খোঁজা টা ইস্যু নয়।
    যেমন ইউরোপীয়রা ইউরোপীয় সমাজের গল্পে সোজা ভেতরে ঢুকে যাবে, কারণ ওই আচার ব্যবহার খাওয়াদাওয়া ওদের জন্যে স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের চোখে এগুলো আলাদা করে লাগবে বইকি!
    তেমনি আমরা অধিকাংশই মেজরিটি বর্ণহিন্দু সমাজের। তাই রবীন্দ্রনাথের অধিকাংশ গল্পের সঙ্গে আমরা সহজে একাত্মতা বোধ করি। কিন্তু এই সমাজের বাইরের লোক পড়লে ওদের আলাদা করে আমাদের জীবনযাত্রার শৈলী চোখে পড়বে, এইটুকুই।

    ঠিক যেমন ইংরেজ পাঠক ইংরেজি উপন্যাস তরতরিয়ে পড়বে , কারণ সহজেই রিলেট করতে পারছে।
    আমি পড়লে আগে ভাষা, তারপরে ওদের জীবনযাত্রার বৈশিষ্ট্যে হোঁচট খাব। তারপর আস্তে আস্তে আমার কাছে লেখাটির কনটেন্ট ধরা দেবে।
  • PT | 213.110.246.22 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:১২681580
  • আমার কিন্তু হাসান আজিজুল হকের "আগুনপাখি" পড়তে বিন্দুমাত্র অসুবিধে হয়নি। এমন কি অনেক কম বয়সে "The old man and the sea" কিংবা গোর্কির "মা" পড়েছি তড়্তড়িয়ে- বিন্দুমাত্র হোঁচট না খেয়ে।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:১৯681583
  • আশাপূর্ণা দেবীর "প্রথম প্রতিশ্রুতি" দেখুন, অসাধারণ পাওয়ারফুল একটি উপন্যাস।একটুখানি পড়তে শুরু করলেই কিন্তু বোঝা যায় বাঙালি হিন্দুর ঘরের কথা হচ্ছে। সত্যবতীর বাবা যিনি কিনা কিশোর বয়সে পুজোর ঘরে কী গন্ডগোল করায় বাড়ি থেকে বিতাড়িত হন, পরে অনেক উপার্জন করে বড় বয়সে ফিরে আসেন উদার আর ডাইনামিক একটা মন নিয়ে, তিনি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের মতন। আর সত্যবতী, যে কিন নিজে নিজেই অক্ষরপরিচয় করে লিখতে পর্যন্ত শিখে যায়, পরে দুর্গাস্তোত্র লেখে, আরো নানা কিছু লেখে। এই সত্যবতীর মুখেই অনায়াসে যে রেফারেন্সগুলো আসে তাতে থাকে সরস্বতী, বেদ, সাবিত্রীব্রত ইত্যাদি। তারপরে বিধবাদের বিভিন্ন নিয়মনিষ্ঠা আচার অনুষ্ঠান সব এসে পড়ে একেবারে তরকারিতে নুন চিনির মতন সহজে। এগুলো পড়ে আলাদা করে আমাদের কিছু মনে হয় না, কারণ কোথাও একটা সেন্স অব বিলঙ্গিং রয়ে গেছে আমাদের, এগুলোকে চেনা পরিচিত লাগে।
    কিন্তু পাঠক হিসেবে নিজেকে যদি বাংলাদেশের একজন তরুণ, মাহবুব আহমেদের জায়্গায় বসিয়ে নিই, বা পাঠিকা হিসেবে ধরুন বাংলাদেশের তরুণী জহুরা ইয়াসমিনের জায়্গায় বসে নিই, তাহলে এইসব ধরা পড়বে। প্রথম প্রতিশ্রুতির সমাজ বাঙালি সমাজই, কিন্তু ধরা পড়বে হিন্দু বাঙালি সমাজ হিসাবে।
  • rabaahuta | 215.174.22.26 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:১৯681581
  • 'মুসলমান জীবনের কাহিনী বা হিন্দু জীবনের কাহিনী'

    কনফিউজড। পথের পাঁচালী একটি জীবনের গল্প, যার কেন্দ্রে অপু, একটি হিন্দু পরিবারের ছেলে, তার জীবনের গতি অনেকটা প্রাচীন হিন্দু আচারের প্রকৃতি দিয়ে নির্ধারিতও হয়েছে। অন্য পরিচয়, বাঙালী, দরিদ্র, গ্রামীন, স্বপ্নদর্শী, আশাবাদী। এটা কি তাহলে 'হিন্দু জীবনের কাহিনী'?

    রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম ধর্মের মানুষ, উপনিষদ (তাই তো?) বেসড ধর্ম, যা হিন্দু ধর্মেও মান্যতা পায়। বাঙালী, বিত্তবান, ক্ষমতাবান, মানবতাবাদী, সমাজসচেতন, চিন্তাবিদ ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বলতে গেলে, আজ হিন্দু কবি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এততম জন্মদিবসের পূণ্যপ্রভাতে, অথবা মুসলমান কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ইত্যাদি, কানে লাগছে।

    অলীক মানুষ পড়িনি, উফ পড়াশোনা নেই এটা বড় চাপ, লঘু বই পত্তর নিয়েই বলি, আমি তপু, দীপু নাম্বার টু, বকুলাপ্পু - এইগুলো মুসলমান ছেলেমেয়ের গল্প... ঠিক বলতে অসুবিধে হচ্ছে।

    কোন তাত্ত্বিক, অ্যানালিটিকেল, অবস্থানগত ব্যাপার নয়, অস্বস্তি হচ্ছে। একটুখানি ঐ, ভাবা প্র্যাকটিস করছি আরকি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন