এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুসলমান জীবনের কাহিনী বা হিন্দু জীবনের কাহিনী বলে কিছু হয়?

    নীলাঞ্জন সৈয়দ
    অন্যান্য | ২৪ জুন ২০১৫ | ৩০৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:২৬681584
  • কল্পবিজ্ঞানের লেখা বা কিশোর অ্যাডভেঞ্চারকাহিনী- এগুলো জাতিধর্ম ইত্যাদির বাইরে যেতে পারে। কারণ সেখানে একটা কল্পিত ভবিষ্যদুনিয়ার রূপ দেওয়া হয় বা একটা ফ্যান্টাসিজগৎ সৃষ্টি করা হয় যেখানে শুধুমাত্র মানুষ চরিত্রের মৌলিক দিকগুলো নিয়ে আসা হয়। মানবসমাজের সাধারণ সম্পদ যেগুলো সেইগুলো দেখানো হয়। সাহস, কৌতূহল, অনুসন্ধিৎসা, ভালোবাসা ইত্যাদি।
    জাফর ইকবালের লেখায় এই ব্যাপারগুলো দেখা যায়। এমনকি উনি নামও দেন নিউট্রাল, কিম জীবান, কিরীণা, রুহান ---এইধরণের। যাতে কিছুতেই জাতিধর্মপরিচয় পরিস্ফুট না হয়।
  • rabaahuta | 215.174.22.26 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:৩২681585
  • এটুজি, বকুলাপ্পু ইত্যাদি কিন্তু বর্তমান সময়ের, শহর কিংবা গ্রামের পটভূমিকায় লেখা। সবুজ ভেলভেট যেমন।
  • rabaahuta | 215.174.22.26 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:৩৩681586
  • হ্যাঁ, 'কিশোর অ্যাডভেঞ্চারকাহিনী' এইসব ফ্যাক্টর গুলো ঠিকইঃ)।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:৩৯681587
  • "বকুলাপ্পু" যে আমার কী প্রিয়, কী বলবো।
    উফ, কী লেখা!
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:৪২681588
  • জাফর ইকবালের আর একটা পড়লাম, "রূপ রূপালী।" এটা বর্তমান সময়ের একটি শহরের পটভূমিকায় লেখা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। কয়েকজন স্কুলের ছেলেমেয়েকে নিয়ে। দারুণ সতেজ, সুন্দর, আশায় ভরা কাহিনি।
  • rabaahuta | 215.174.22.26 | ২৫ জুন ২০১৫ ২৩:৫৮681589
  • ওঃ, খুঁজে দেখতে হবে তো রূপ রূপালী, ওঁর এই লেখাগুলি আমারও অতি প্রিয়।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 | ২৬ জুন ২০১৫ ০০:০২681590
  • 'আশায় ভরা কাহিনি' এই জন্যেই এই লেখাগুলো এতো প্রিয়।
  • kumu | 11.39.33.124 | ২৬ জুন ২০১৫ ০০:২৫681591
  • হিন্দু চরিত্রের কাহিনী ,কিন্তু দিনের শেষে চরিত্ররা ও তাদের স্রষ্টা চিরন্তন মানুষ।
  • Du | 183.74.40.186 | ২৬ জুন ২০১৫ ০২:১২681592
  • কল্লোলদা, পথের পাঁচালীতে হরিহর কি বেশি বয়সে পূন্যের জন্য কাশী গিয়েছিল? নাকি কথকতা করে রোজগার করতে।

    সে ভাবে দেখলে তো কোন গল্পেরই সেটিং এর বাইরে যাওয়া যাবে না। ফাইন্ডিং নিমো কে শুধু মাছেদের জীবনের গল্প মনে হবে, একটা বাবা ছেলের গল্পই নয়।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৬ জুন ২০১৫ ০২:৫৯681594
  • আহা, আমার বড়ই ইচ্ছে ছিল একটা বিশাল টি রেক্সের গপ্পো লিখি। সেই টি রেক্স আবার একটু গম্ভীর ভবিষ্যৎদ্রষ্টা দার্শনিক টাইপ। সে নদীর বালিতে মুখ রেখে পড়ে থাকে, খায় না দায় না। তার সখী এসে কাঁটাকাঁটা পিঠে মুখ রেখে বলে, "কী হয়েছে তোর? কেন খাস না?" সেই দার্শনিক টি-রেক্স কেঁদে কেঁদে বলে, "এই বীভৎস মাংসাশী জীবনে বাঁচতে ইচ্ছে করে না, পাখি হয়ে ফিরে আসতে সাধ হয়, গান গাইবো আর উড়বো।"
    এই না শুনে টি রেক্স ভদ্রমহিলা খুবই ঘাবড়ে যান, নির্ঘাত পাগল হয়ে গেছে তার রাজা।

    কিন্তু পারবো না গো লিখতে, সেই জোর নাই। লেখা হলে এই গল্প খোসা ছাড়িয়ে পড়তে হতো। ঃ-)
  • কল্লোল | 111.63.76.226 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৬:২১681595
  • দু।
    হরিহর সম্ভবতঃ দুটো কারনেই কাশী গেছিলো। প্রাথমিকভাবে রোজগারের আশায়। তো সে কলকাতা গেলেই পারতো, কাশী কেন? না, ঐ পূণ্য।

    আর আমিও তাই বলছি। কাহিনীর একটা গতি আছে, একটা প্রেক্ষিত আছে। সেটা পাত্র-পাত্রীর জাতিগত, ধর্মগত, ভৌগলিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ইঃ অবস্থান নিয়ে তৈরী হয়। কাজেই তাতে যে জীবনচিত্র ফুটে ওঠে তা ঐ জাতিগত, ধর্মগত, ভৌগলিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ইঃ অবস্থানের জীবনচিত্র।
    অপুকে দুম করে তাওয়াংএর মুসলমান বা জয়সলমীরের খ্রীষ্টান বানিয়ে দিলে তো হবে না। বিভুতিভূষণের পথের পাঁচালী হতে গেলে হিন্দু ব্রাহ্মণ বাড়ীর ছেলেই হতে হবে, মেয়ে হলেও হবে না। দূর্গা বেঁচে থাকলেও অপু হতো না। সন্তানকে পিসির কাছে রেখে ইন্দোনেশিয়া চলে যেতো না।

    বিমূর্ত, পরবাস্তব, বা বিজ্ঞান ভিত্তিক কল্প কাহিনী অন্য বিষয়। বা ধরুন কুমায়ুনের মানুষখেকো, ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি এগুলোতে পাত্রপাত্রীদের জীবনযাত্রা তত গুরু্পূর্ণ নয়। কিন্তু আবার শার্লক হোমস আর ফেলুদা বা ব্যোমকেশের বাহ্যিক মিল থাকলেও (গোয়েন্দা, সহকারী, একটি লোক হাসানো চরিত্র, বসার ঘর থেকে শুরু) তারা আলাদা তাদের আচরণে। কারণ তারা জাতিগতভাবে আলাদা। আবার জাতি ধর্মগতভাবে আলাদা না হয়েও ভিন্ন সময়ের।
    পরবাস্তব বা বিমূর্ত লেখায়ও এমনটি হয়, ডাকঘর, রক্তকরবী। তাতে হিন্ধু নামের বা মুসলমান নামের চরিত্র থাকলেও তারা হিন্দু বা মুসলমান আচরণ করে না। করার দরকারও নেই।

    হুতো। ঐ দ্যাখ তোকে বুঝতে পারিনি। মানে, তুই যে তুই সেটা চিনতে পারিনি। না, কেউ মুসলমান কবি বা হিন্দু সাহিত্যিক হয়ে যান না। কিন্তু এক একটি সৃষ্টি কর্মে তাঁরা যে ছবি আঁকেন তার ধর্ম-জাতি-ভুগোল-অর্থনীতি-সমাজ হয়। ধরা যাক গৌরকিশোর ঘোষ। ওঁর সেই বিখ্যাত ত্রয়ীতে হিন্দু জীবন, মুসলমান জীবন সবই এসেছে। আবার পশ্চিমবঙ্গ এক প্রমোদ তরণী হা হা-তে এরকম কিছু নেই। তা, ত্রয়ী লেখার সময় উনি হিন্দু-মুসলমান হয়ে যান, আর পএপ্রতহাহা লেখার সময় ওনার ধর্ম পরিচয় থাকে না এমন তো হয় না। ব্যক্তিগত জীবনে ঘোর নাস্তিক ছিলেন গৌরবাবু।
  • - | 109.133.152.163 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৬:৩১681596
  • পুণ্য। একটা উ দিলেই যথেষ্ট ঃ-)
  • rabaahuta | 114.179.72.200 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৬:৩৬681597
  • কল্লোলদা, হরিহরের পেশা কথকতা, নেশা শ্লোক/পাঁচালী লেখা, কাশীর থেকে বড় মার্কেট কোথায়? গোয়াড়ি কৃষ্ণনগরের লাল ইঁটের লোহার ফটকওলা বাড়িতে প্রৌঢ় ভদ্রলোকের কাছে অপমান ইত্যাদি - বড় শহরে, কলকাতায় কথক ঠাকুরের জায়গা কমছে তো।

    তোমার মূল বক্তব্যের সঙ্গে বোধয় খুব একটা দ্বিমত আমার নেই, অপু এমনকী ব্রাহ্মন পরিবারের সন্তান না হলেও কাহিনীর মোড় অন্যদিকে ঘুরতো।
    কিন্তু অস্বস্তিটা থাকছে আরকি। হিন্দু জীবনের কাহিনী না বলে শুধু জীবনের কাহিনীই ভাবতে চাইছি। 'অপরাজিত'।
  • S | 139.115.2.75 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৬:৪৬681598
  • ছোটো মুখে বড় কথা বলছি, নিজের গুনে ক্ষমা করে দেবেন।

    গল্পের ফোকাসটা ইম্পর্ট্যান্ট। পথের পাঁচালীর আসল ফোকাস হোলো দারিদ্র আর গ্রাম বাঙ্গলার জীবন। সেইটা দেখাতে গেলে অপু নামক চরিত্র আসে, যার আশে পাশে আরো চরিত্র আসে। এবারে তাদের নাম ধাম দিতে হয়, আরো দিতে হয় পদবী। তখনই চলে আসে ধর্ম। (ওয়েডনেসডে সিনেমাতে একটা কথা বলেছিলো "লোগ নামমে মসব ঢুঁঢ লেতা হ্যায়")। এইবারে সেই ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে লিখলে ফোকাস অন্যদিকে চলে যায়। অনেক গল্প লেখা হয় ধর্মকে ফোকাসে রেখে - তার জন্যে সেই গল্পের মান কমতে নাও পারে। কেউ যদি ধর্মের আইন কানুন গুলির মধ্যে ফাঁক ফোকর দেখাতে কোনো গল্প লেখেন, সেইখানে ধর্মই হবে ফোকাস। যেমন মনে করুন ভানু বন্ধ্যোপাধ্যায়ের "যমালয়ে জীবন্ত মানুষ" - এইটা পুরোপুরি হিন্দু ধর্মীয় সিনেমা, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না, কারণ ফোকাস হোলো হিন্দু ধর্মীয় নিয়ম কানুনের মধ্যে ফাঁক ফোকর দেখিয়ে হাস্য রস উৎপাদন করা।

    ফেলুদার কথা ভাবুন। পুরোপুরি সেকুলার চরিত্র। কিন্তু সেই একইদিকে মছলিবাবার মুখোশ খুলে দিচ্ছে, আর অন্যদিকে ঘোষাল বাড়ির দুগ্গা পুজা দেখছে। অতএব ধর্মকে আসতেই হবে সমাজ জীবন দেখাতে গেলে। কিছুই করার নেই আমাদের সমাজ ধর্মকে নিয়েই তইরী। বেশিরভাগ তেওহার পর্ব সব ধর্মীয়, এবং সমাজ জীবনে তার প্রচুর ইম্প্যাক্ট।
  • কল্লোল | 111.63.84.30 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৭:৫৯681599
  • পথের পাঁচালী-অপরাজিত এর মূল কথা মানুষের সুন্দরের প্রতি আকাঙ্খা আর তার জন্য একের পর এক বাধা অতিক্রম করে চলা। এর কোন হিন্দু-মুসলমান-খ্রীস্টান হয় না। এটা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনই সত্যি যদি কেউ ৩০/৪০এর দশকে গ্রামীন নিম্নবিত্ত বর্ণহিন্দুর যাপনের আখ্যান জানতে চান তবে পথের পাঁচালী-অপরাজিত আদর্শ। তেমনি কেউ যদি ১৮৭৭-৯০ কলকাতার হিন্দু-ব্রাহ্ম সমাজচিত্র দেখতে চান সম্ভবতঃ গোরা এবিষয়ে অতুলনীয়।
    তাতে এই সৃষ্টিগুলি হিন্দু বা ব্রাহ্ম হয়ে যায় না। একটা সৃষ্টির মূল কথা আর তাতে বর্ণিত জীবন ও যাপন দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
    চিলেকোঠার সেপাই(১৯৬৯) বা সূর্যদীঘল বাড়ী(১৯৫৫) -র সমাজচিত্র নিশ্চিত ভাবে দুই ভিন্ন সময়ের পূর্ব বাংলার মুসলমান জীবনের ছবি। তার জন্য এই সৃষ্টিগুলি কোনভাবেই মুসলমান উপন্যাস হয়ে যায় না।
  • কল্লোল | 111.63.84.30 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৮:০৯681600
  • হুতো।
    তক্কের জন্য। ৩০এর দশকে কলকাতায় কথকতা ইঃর বাজার বেশ ভালো। হরিহর কালিঘাটেও আসতে পারতেন। কিন্তু হরিহর তখনই কলকাতা চলে এলে অপরাজিততে অপুর কলকাতা মার খেয়ে যেতো। অপুর ঐ চরৈবতি মনন গড়ে তোলার জন্যও কাশীর ঐ রেল যাত্রার প্রয়োজন ছিলো হয়তো। তা নাহলে অপু ইন্দোনেশিয়া যাবার জায়গায় পৌঁছয় না। তা না হলে আরণ্যক হয় না। আমার কাছে আরণ্যকও পথের পাঁচালী-অপরাজিতের অংশ।

    ঐ যে আগের পোস্টে লিখলাম। লেখার ফোকাস আর লেখায় উঠে আসা জীবনযাপন দুটো আলাদা বিষয়।
  • কল্লোল | 111.63.84.30 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৮:২৮681601
  • হুতো। হঠাৎ মনে পড়লো।
    যেমন ধর মালগুডি ডেজ আর দ্য অ্যাডভেঞ্চর্স অফ রাস্টি।
    নারায়নন মালগুডির খ্রীস্টান হলেও সেটা তামিলনাডুর অনামা শহরতলির গল্পই থাকতো। কিন্তু তাতে বর্ণিত জীবন অন্য রকম হতো। তাতে রোবিবারের মাস আর বড়দিন নিশ্চই একটা বড় জায়গা পেতো।
    তেমনি রাসকিন যদি মুসলমান হতেন, তাতেও তা উত্তরাখন্ডের পাহাড়ের গল্পই থাকতো। কিন্তু তাতে মসজিদের ইমাম ও ইফতারের গল্প থাকতো, বড়দিন বা চার্চের কথা আসতো না ঐভাবে।

    মালগুডি ডেজ যেমন "হিন্দু" লেখা নয়, অ্যাডভেঞ্চর্স অফ রাস্টিও তেমনি "খ্রীস্টান" লেখা নয়।
  • সুশ্রুত সরখেল | 212.54.102.201 | ২৬ জুন ২০১৫ ০৮:৫০681602
  • সবই তো পয়েন করে করে লিখেদিলাম। তবু গোল কেন?
  • sm | 233.223.153.51 | ২৬ জুন ২০১৫ ১০:০৩681603
  • সবাই দেখি একই জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লিখছে। মতভেদ টা কোথায় বুইতে পারছি না। বিভূতি ভূষণ, একটি জীবন মুখী, সামাজিক দর্পণ তার উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠকদের তুলে ধরেছেন । পাত্র পাত্রী হ্যাপেন টু বি হিন্দু, তাই হিন্দু ধর্ম, লৌকিক আচার এগুলো অনুষঙ্গ হিসেবে এসে পড়েছে। শরত বাবু যখন মহেশ লিখছেন, তখন গফুরের জীবনের সঙ্গে কিছু মুসলিম সমাজের কথাও উঠে আসছে।
    বিলিতি উপন্যাসে আবার কিভাবে সাহেবরা খায়, রবিবারে চার্চে গিয়ে কিভাবে প্রেয়ার করে,ক্রিসমাস,ক্যারোল সবই একটু একটু করে ঢুকে পড়ে।এগুলো ঢুকে পড়ে বলেই তো পাঠক আমোদিত হয়।বিলেতে গিয়ে কেমন একটা দেজা ভু হয়; আরে এরকমই পড়েছিলাম বটে! আবার দোমিনিক ল্যাপইয়ের যখন সিটি অফ জয় লেখেন, তখন কি বই পড়ে লেখক কে ক্রিশ্চান মনে হয়?
    কিন্তু সাহিত্য তো সাহিত্যই থাকে। মানুষের জীবনের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য গুলো তো মোটামুটি কমন।এর সঙ্গে একাত্ম বোধ করলেই হবে।
    এতো আর ধর্মগ্রন্থ নয়।কে তুলসীদাস আর কে কাশী দাস না জানলেও চলবে।
  • sinfaut | 11.39.80.101 | ২৬ জুন ২০১৫ ১০:১৭681605
  • ভাবুক টি রেক্সঃ
  • কল্লোল | 111.63.84.30 | ২৬ জুন ২০১৫ ১০:৪৩681606
  • এসএম।
    টইয়ের নামটা দেখুন - মুসলমান জীবনের কাহিনী বা হিন্দু জীবনের কাহিনী বলে কিছু হয়?
    তাতে লেখা হলো "পড়তে পড়তে হারিয়ে যাই অপুর জীবনের মধ্যে,কারুর মাথাতেই থাকেনা কোন কিছু।অপু একজন খ্রীষ্টান হতে পারে,অপু এক জন মুসলমান হতে পারে।আসলে অপুর কোন জাত নেই।অপুর আবেদন বিশ্বজনীন।সেই জন্যই অপু বিশ্ব বিখ্যাত হতে পেরেছে।কেউ কখনও বিশেষ ব্র্যাকেটে রাখার সাহস করেনি।বলেনি যে এটা হিন্দু সমাজের জীবন দর্পণ।"
    আমার আপত্তি ওখানেই - আসে যায়। এবং নিশ্চিতভাবেই যেকোন সার্থক সাহিত্য সেই সময়, সেই সমাজের দর্পণ। সমাজ যেমন একটা কোন বর্গ নয়, তাই সাহিত্যেও যে সমাজ আসে তাও বর্গীকৃত।
    ধরুন। আঙ্কেল টমস কেবিন। এটা কি তৎকালীন আমেরিকান সমাজের দর্পণ? হ্যাঁ, আমেরিকার সাদা ও কালো উভয়েরই সমাজ উঠে এসেছে। তাতে যদি কোন আমেরিকার আদিবাসী বলে ওঠেন - কোই আমাদের কথা তো নেই!! আমরা কি আমেরিকার সমাজের কেউ নই? তাকে কি দোষ দেওয়া যাবে? কিন্তু তাতে কি উপন্যাসটি আমেরিকার সাদা আর কালোদের উপন্যাস হয়ে যাবে? ওটি একটি মানবিক দলিল যার কোন সাদা-কালো-লাল হয় না। কিন্তু কেউ যদি তখনকার কালোদের জীবন নিয়ে জানতে চায়, সাদা দাস প্রভুদের কথা জানতে চায় তো এই বইটা তাদের কাছে আদর্শ রেফারেন্স। কিন্তু কেউ যদি তখনকার আমেরিকান আদিবাসীদের জীবন জানতে চায়, তাকে নিশ্চই কেউ আঙ্কেল টমস কেবিন পড়তে বলবে না।
  • ranjan roy | 132.180.215.190 | ২৬ জুন ২০১৫ ১০:৪৪681607
  • এতোজ, হুতো,
    জাফর ইকবালের লেখাগুলো কোথায় পাবো? কিন্ডলে পাওয়া যেতে পারে কি?
  • | ২৬ জুন ২০১৫ ১০:৫৬681608
  • না কিন্ডলে পাবেন না। মানে আমাজন স্টোরে পাবেন না। কলেজ স্ট্রীটে কিছু পাওয়া যায়। আর নেটে প্রচুর প্রচুর পিডিএফ পাওয়া যায়।
    কেসির কাছে মনে হয় গোছাধরে আছে। আমার কাছেও ছিল কিছু, একটু খুঁজতে হবে কোন হাডিতে রেখেছি .........
  • rabaahuta | 114.179.72.200 | ২৭ জুন ২০১৫ ২৩:১৭681609
  • কল্লোলদা, হুঁ, পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যায়না তো ঠিকই। স্বাভাবিক, হরিহর কথকঠাকুর না হয়ে তামাক ব্যাববসায়ী হলেও অপুর জীবনযাত্রা একেবারে এইরকম হতো না। যদিও তার দূরের, আনন্দের, জীবনের তৃষ্ণা হয়তো এইরকম হতেও পারতো। কিন্তু গল্পটা পাল্টে যেত, তাতে দ্বিমত একেবারেই নেই।
    ঐ আরকি, আমি, পাঠক হিসেবে, ফোকাসটা কোথায় রাখতে চাইবো, এইসব নিয়ে দ্বিধা।
  • rabaahuta | 114.179.72.200 | ২৭ জুন ২০১৫ ২৩:২২681610
  • Date:26 Jun 2015 -- 07:59 AM - একমত।
  • Du | 183.74.40.186 | ২৭ জুন ২০১৫ ২৩:৩৩681611
  • হুতো ১১ঃ১৭ খু সত্যি
  • কল্লোল | 125.185.150.241 | ২৮ জুন ২০১৫ ০০:৫৯681612
  • হুতো। পাঠক হিসাবে ফোকাস অনেক কিছুই হতে পারে। সাধারণভাবে ফোকাস থাকে কাহিনীর অন্তর্নিহিত সত্যে। সেখানে হিন্দু-মুসলমান হয় না। কিন্তু সেই সত্যে পৌঁছনোর রাস্তা অপুর দৈনন্দিনে ,তখন তার হিন্দু-মুসলমান হয়। এটুকুই।
  • | 183.17.193.253 | ২৮ জুন ২০১৫ ০১:৩৭681613
  • অন্তর্নিহিত সত্যে পৌঁছোনোর সময় নিজস্ব দৈনন্দিনতায় যা দেখি, তাই দেখলে রাস্তা অনায়াস মনে হয়, অন্যকিছু দেখলে না জানার কারণে অল্প হোঁচট খাই,অল্প অসুবিধে হয়। চেনাপথের মত,গলিঘুঁজি দিয়ে বড় রাস্তায় ওঠা আর অল্পচেনা পথে দুবার জিজ্ঞাসা করা, বারকয়েক সাইনবোর্ডে নাম দেখে পৌঁছোনো র মত তফাত।
    তাতে কোথাও রসাস্বাদনে অল্প অসুবিধে হয়,নিতান্তই না জানার কারণে..আবার চাইলে হয়তো সেটাও চেনা পথ হয়ে ওঠে।

    আর সত্য যাই হোক না কেন, চলার পথটাও খুব ইন্টারেস্টিং।পাঠকের কল্পনা,ভাবনা ঐ পথের সঙ্গেই চলতে থাকে, সেখানে হোঁচট খেতে থাকলে অনেকসময় পাঠক বইটি তুলে রেখে দেয়,কারণ সে আর তখন কোথাও পৌঁছোনোর রসদ পায় না।
  • কল্লোল | 125.185.150.145 | ২৮ জুন ২০১৫ ০৭:২২681614
  • ম। অসাধারণ লিখেছেন। "অল্পচেনা পথে দুবার জিজ্ঞাসা করা, বারকয়েক সাইনবোর্ডে নাম দেখে পৌঁছোনো র মত তফাত।"
    একই অভিজ্ঞতা ঢোঁড়াই পড়তে গিয়ে। রসিকদের কাছে শুনেছি, ঢোঁড়াই হলো টিকা সম্বলিত প্রথম বাংলা উপন্যাস। সতিনাথ বুঝেছিলেন পাঠকের মন। তাই প্রতিটি মোড়ে নিজে দাঁড়িয়ে সাইনবোর্ডগুলি নির্দেশ করে দিয়ে গেছেন।
    এভাবেই তো অচেনা যাপনকে চিনতে শিখি।
    আমরা ভদ্রলোকেরা কি জানতাম গানহী বাওয়া কারুর বাড়ির চালে কুমড়োতেও আসেন। সে গানহী বাওয়ার মুখভর্তি দাড়ি।
  • | 183.17.193.253 | ২৮ জুন ২০১৫ ০৭:২৮681616
  • কল্লোলদা আমাকে আপনি বলছো কেন?:(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন