এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্যাপম কেলেঙ্কারি আর আমার জুনিয়ার ছেলেটার নাগরিক অধিকার

    Ratul Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১২ জুলাই ২০১৫ | ১১১৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ratul Banerjee | ১২ জুলাই ২০১৫ ০১:২৪684056
  • মধ্যপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তরুণ সদ্য পাশ করা ডাক্তারদের দুরাবস্থা বেশ চরমে। ব্যাপম কেলেঙ্কারির ধাক্কায় সাধারণ মানুষ এদের কাউকেই প্রায় আর বিশ্বাস করছেন না যোগ্য পাশ করা চিকিৎসক হিসেবে। এ এক কঠিন অস্তিত্বের সঙ্কট, যা অতিক্রম করতে এই নব্য ডাক্তারকুলের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে বোধহয়। কিছু কিছু ঘটনা আসে যেগুলো সমাজের গভীরে চোরাস্রোতের মতন বইতে থাকা সবমস্যাগুলোকে এক ঝটকায় সামনে এনে ফেলে, অন্তত সাময়িক ভাবে হলেও প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়ে দেয় সমাজের চালু বৈধতাকে...
    সব মিলিয়ে বিগত ২ বছরে খুন হয়েছেন প্রায় ৫০ জন, টাকার অঙ্কে লেনদেন হয়েছে প্রায় কয়েকশো কোটি, বিগত কয়েক দশকের ইতিহাসে চোখ রাখলে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এত বড় কেলেঙ্কারি সত্যিই বিরল। গাওলা, হাওলা, ২G স্পেকট্রাম, কোলগেট এসব পেরিয়ে এসে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া ভারতীয় সংসদীয় রাজনীতির বীরপুরুষের শুরুর ইনিংস এর প্রথম ক্লিন বোল্ড ললিত কান্ড হলেও মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছে কিন্তু ব্যাপম। এত থ্রিল, এত সাসপেন্স, আমার ধারনা পরের বছর নতুন শার্লক নামানোর আগে বিবিসি একবার অন্তত এই স্ক্রিপ্ট বিবেচনা করে দেখবে। হোটেলের ঘরে মেডিক্যাল কলেজের ডিনের মৃতদেহ, পাশে আধ ভর্তি মদের গ্লাস, অভিযুক্তের interview নিতে এসে মুখে গ্যাজলা উঠে দিল্লির সাংবাদিকের মৃত্যু, দু বছর আগের পোস্ট মরটেম ঘেঁটে জানা গেল ডাক্তারি ছাত্রির সুইসাইড আসলে হোমিসাইড। আগাথা ক্রিস্টি, বা কোনান ডয়েল এর কল্পনা শক্তিকে হার মানিয়েছে এই রূঢ় বাস্তব। ইতিমধ্যে তৈরি হওয়া স্পেশাল টাস্ক ফোর্স কিম্বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই হয়ত কেলেঙ্কারির জট খুলতে নামবে। জট হয়ত খুলেও যাবে, দ্যাখা যাবে অমুক x মন্ত্রি তমুক y সান্ত্রি আর ন্যাড়া নধর বিধায়ক মিলে এই চক্রের মূল পাণ্ডা। কিন্তু একটা ক্লু নিয়ে কোনও সিবিআই ই ঘাঁটাঘাটি করবে না। এত এত ক্ল্যায়েন্ট, এত এত দুর্নীতি করে চাকরি বা প্রবেশিকা পাওয়ার শিক্ষার্থী, ব্যাপম ঘুঘুরা জোগাড় করল কোত্থেকে??? কোথা থেকে আসছে ‘ দুর্নীতি’বাহকের মানসিকতা।
    বছর তিন আগে মেডিক্যাল কলেজে আমার এক জুনিয়র এর সাথে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় সে জানায় কিছুদিন আগে কর্ণাটকে সে একটি মেডিক্যাল এন্ট্র্যান্স টেস্ট দিয়ে এসেছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে। শুনে আমি তাকে ‘দাদাসুলভ’ ভঙ্গিতে গালিগালাজ করতে শুরু করায় সে বেশ চেঁচামেচি করে দাবি জানায় যে তার এই কাজ সম্পূর্ণ আইনি ও বৈধ, আর সাথে সে নিম্নলিখিত এক কঠিন ব্যাখা হাজির করে তার বৈধ কর্মকাণ্ডের -- কর্ণাটকের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে MBBS এর সরকারি কোটার নির্দিষ্ট সংখ্যক সিট থাকে। আর বাকি সিট ভর্তি হয় ম্যানেজমেন্ট কোটার মোটা টাকায়। এখন সেই সরকারি কোটার সিট কোন পরীক্ষার্থী এন্ট্রান্সে পেয়ে কাউন্সিলিং এ নিয়ে কলেজে ভর্তি না হলে চলে যায় ম্যানেজমেন্ট এর অঘোষিত কোটায়, ৪০ থেকে ৫০ লাখের দাড়িপাল্লায় ওঠে সেটা। আমার জুনিয়র এর ‘বৈধ ভূমিকা’ শুধু এন্ট্রান্স ক্র্যাক করে কাউন্সিলিং অ্যাটেন্ড করে কলেজে ভর্তি না হওয়া। ‘বিশুদ্ধ মেধা’ আর ‘স্বাধীন নাগরিক অধিকার’ এর এই ককটেল বেচে সে যোগাড় করেছে এক খেপে দেড় লাখ।
    ব্যাপম কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এই বদলে যাওয়া নৈতিকতায়। ব্যাপমের গর্ভ ধারন হয়েছিল শিক্ষার বিশেষত উচ্চ শিক্ষার পন্যায়নের-বেসরকারিকরণের জয়যাত্রার দিন থেকে। ‘ব্যাপম’ এর জন্ম হয়েছিল যেদিন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে খুল্লম খুল্লা জোচ্চুরি করার জন্য সরকারি শিল মোহর পড়েছিল Education Tribunal Act এ,। ‘ব্যাপমেরা’ পুষ্টি পেয়েছিল যখন নতুন আইন এনে প্রাইভেট কলেজে বেনিয়মের সর্বোচ্চ জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল মাত্র ৫০ লাখ। দেশের প্রত্যেক রাজ্যের আনাচে কানাচে বাড়ছে ব্যাপম। ৪০ লাখের বিনিময়ে কর্ণাটকের বেসরকারি ডাক্তারি পড়া আর ৬০ লাখের বিনিময়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সুযোগের পার্থক্যএর ‘মেকি নৈতিকতার’ আবছা রেখাটা মুছে যাচ্ছে ক্রমশ। পাঞ্জাব থেকে ২ লাখে বি এড কিনে এনে বছরে ৬০ হাজার দিয়ে ssc এর জন্য রাইসের ক্লাস করার চাইতে একেবারে ১০ লাখে লোকাল শাসক নেতাকে ধরে প্রাইমারির চাকরির বন্দোবস্ত সহজ লাগছে অনেকেরই। প্রতি সেমেস্টারে ৬০০০০ দিয়ে প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর চাইতে ইউনিয়ন কে ৫০০০০ দিয়ে একটা কেমিস্ট্রি অনার্সের সিট জোগাড় করাটা স্বাভাবিক অপশন হয়ে উঠেছে অনেক বাবা-মায়ের কাছেই। এই ভর্তির মার্কেটে মনিন্দ্র থেকে অ্যান্ড্রুজ এর পাশের গলি কিম্বা সল্টলেকের ঝা ছকছকে এডু ফেয়ার দুটোই ডিগ্রি বিক্কিরির বাজার হয়ে উঠেছে। পার্থক্য একটাই দ্বিতীয় ‘আইনের’ রাবার স্ট্যাম্প পড়েছে আর প্রথমটায় পড়েনি এখনও। তাই ‘এই সময়ে’ প্রথমটা ইনভেস্টিগেটিং জারনালিজম এর কভার স্টোরি, আর দ্বিতীয়টা মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনের প্রথম পাতা।
    ক্যান্সারটা সর্বস্তরে ছড়িয়েছে অনেক দিনই, আর মাঝে মাঝে যখন টিউমারটা ফেটে ব্যাপম কিম্বা টেটের পুঁজ গুলো বের হয় আমরা খানিক ভির্মি খাই। মধ্যপ্রদেশের সদ্য পাশ করা ডাক্তারকুলের মতন দু এক মাস কিম্বা বছরের জন্য নাগরিক সমাজের বৈধতা হারিয়ে অবৈধ ভবঘুরে হয়ে ওঠে এই ব্যবস্থার কিছু 'প্রোডাক্ট'। সিবিআই এর দাবি, ডিন আর সাংবাদিক খুন এর পেজ ওয়ান থ্রিল পেরিয়ে আনন্দবাজারে বিজ্ঞাপন দেয় জিস গ্রুপ কিম্বা AMITY University. মেটাস্টাসিস গুলো ছড়াতে থাকে আরও নতুন আরও একটা টিউমার ফাটবে বলে...।
  • pi | 116.218.28.65 | ১২ জুলাই ২০১৫ ০১:৩৩684067
  • জাস্ট ক'দিন আগে মহারাষ্ট্রের এক প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকের সাথে কথা হচ্ছিল। এম ডি তে লোকজন নাকি ভর্তি হয় কয়েক কোটি দিয়ে ! আর এটা চলছে দেশ জুড়ে।

    অন্য টইতে লিখেছিলাম, ব্যাপম একটা রাজ্যের ব্যাপার শুধু নয়, এটা একটা পুরোনো অসুখ ফেটে বেরোনো। রাতুলের সাথে বেশ কিছুটা একমত।
  • PT | 213.110.243.22 | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৭:৪৭684078
  • "শিক্ষার বিশেষত উচ্চ শিক্ষার পন্যায়নের-বেসরকারিকরণের জয়যাত্রার দিন থেকে।"
    চনৎকার। কিন্তু শুনছে কে? পুঁজির জয়গানের মত্ত কোলাহলে আর সব যুক্তি চাপা পড়ে যাচ্ছে।
  • π | ০৩ জুন ২০১৮ ১৫:৩০684089
  • এই ব্যাপম কেসের আপডেট কী?
  • sm | 57.11.38.253 | ০৩ জুন ২০১৮ ১৫:৫৯684100
  • বেসরকারি কলেজ গুলো আছে বলে তো অনেক পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। সরকারি কলেজ গুলোতে কটা সিট আছে?
    আমার পরিচিত অনেক ছেলে মেয়ে বেসরকারি কলেজ থেকে পাস করে খুব ভাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।অধিকাংশই আই টি তে চাকরি করছে।বিদেশে কাজ করছে।
    ডাক্তারি করছে। এতে অসুবিধে কোথায়?
    কারোর পড়া শোনা করার ইচ্ছে আছে;পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।এই তো ব্যাপার।
    আপনার ক্রয় ক্ষমতা আছে, ভালো রেসটুরেন্টগুলোতে খান।
    এঁদের ক্রয় ক্ষমতা আছে, উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছে। এতো হু হা বা হতাশার কিছু নেই তো।
    ৬০-৭০ লাখ টাকায়, বিলেতে ইঞ্জিনি়ারিংয়ের বা ডাক্তারির কোর্স করা যায়।লোক কেন যে, কর্নাটকে পড়তে যায় কে জানে!
  • + | 92.6.236.10 | ০৩ জুন ২০১৮ ২১:২৬684111
  • "এঁদের ক্রয় ক্ষমতা আছে, উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছে। এতো হু হা বা হতাশার কিছু নেই তো"

    বিশাল!! একদম ছকে বসা কথা।
  • sm | 57.15.248.145 | ০৩ জুন ২০১৮ ২২:৫০684115
  • পড়াশুনা ই তো করছে, বাজে কাজ তো করছে না।
  • | ০৩ জুন ২০১৮ ২৩:০১684116
  • কদিন আগেও ব্যপমের সাক্ষী একজন খুন হল দেখলাম মনে হয়।
  • T | 129.74.180.59 | ০৩ জুন ২০১৮ ২৩:১৩684117
  • সব মিলিয়ে বোধহয় চৌষট্টিজন।
  • aranya | 83.160.123.238 | ০৩ জুন ২০১৮ ২৩:৫৮684057
  • 'এম ডি তে লোকজন নাকি ভর্তি হয় কয়েক কোটি দিয়ে ! আর এটা চলছে দেশ জুড়ে।'

    - প্রাইভেট মেডিকাল কলেজের এম ডি-তে এটাই রেট এখন। আইনী। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

    সরকারী মেডিকাল কলেজে এম ডি সিট সংখ্যা সেভাবে বাড়ে নি, যেভাবে অ্যাপ্লিকেন্ট-দের সংখ্যা বেড়েছে।

    কোটা সিস্টেম-ও একটা কারণ। আমাদের ছাত্রাবস্থায়, আশির দশকেও ২৫% মত সিট থাকত পিছিয়ে থাকা জাতি-উপজাতি-দের জন্য। এখন সেটা বোধ হয় ৫০%। পপুলেশন যে হারে বেড়েছে, বিশাল সংখ্যক জেনারেল ক্যাটাগরি-র ছাত্রছাত্রীর পক্ষে মেধার ভিত্তিতে সরকারী কলেজে অতি অল্প সংখ্যক এম ডি সিটের (যার থেকেও ৫০% তাদের জন্য বরাদ্দ নেই) জন্য কোয়ালিফাই করা সম্ভব হচ্ছে না।

    সংবিধান প্রস্তুতকারক-রা ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ চেয়েছিলেন। এখনও তা বজায় রেখে এবং ক্রমাগত সংরক্ষণ-এর পরিমাণ বাড়িয়ে, যাদের উপকারার্থে এই আইন করা হয়েছিল, তাদের সত্যিই কোন উপকার হচ্ছে কিনা, ভাবা দরকার।

    স্কুল লেভেলে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবার শিক্ষার সুযোগ থাকা উচিত - যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়। ব্যাচেলরস লেভেলে, কলেজে থাকা উচিত কিনা, তর্কসাপেক্ষ। অ্যাডভান্সড ডিগ্রী - এমডি-র মত ডিগ্রীর ক্ষেত্রে সংরক্ষন থাকার যৌক্তিকতা , আমি তো কিছু দেখি না।

    আর একটা পয়েন্ট হল - কত জেনারশন ধরে কোটা-র সুবিধা দেওয়া হবে? বাবা-মা যদি সংরক্ষণের সুযোগ পান, ভাল উপার্জন করেন - তাদের ছেলেমেয়েদের-ও কি সেই সুবিধা পাওয়া উচিত?

    কলেজে আমার যে কজন ব্যাচমেট SC-ST কোটায় ভর্তি হয়েছিল, তাদের প্রায় সবাই মধ্যবিত্ত/উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে আসা। হাতে গোনা দু-একজন প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী, যাদের জন্য সংরক্ষণ ন্যায্য ছিল।

    আর একটা পয়েন্ট -এই প্রায় ৫০% সংরক্ষণ - এতে কিন্তু জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কোটার সুবিধা প্রাপ্ত-দের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে - কথাবার্তা বলে যা মনে হয়। সেটাও আকাঙ্খিত না।
  • amit | 213.0.3.2 | ০৪ জুন ২০১৮ ১০:০১684058
  • অরণ্য খুব দরকারি পয়েন্ট তুলেছেন। কোটার সুবিধা পরের পর জেনারেশন ধরে দেওয়া উচিত কিনা, ভাবার খুব দরকার। আমার ও মনে আছে আমাদের ক্লাসে JU-তে যারা ভর্তি হয়েছিল, তারা কেও কিন্তু সেরকম গরিব ঘর থেকে আসেনি, কয়েকজন এর বাবা মা রীতিমতো উঁচু সরকারি পদে ছিলেন। এই জেনারেশন ধরে সুযোগ দেয়াতে একটা সুবিধাভোগী শ্রেণী তৈরী হয়ে গেছে, যারা বারবার এটার অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে, কিন্তু যাদের ইটা সত্যি দরকার, তাদের কাছে সেটা একদম যাচ্ছে না। একটা জাত পাতের ডিসক্রিমিনেশন দূর করতে গিয়ে যদি আরো একটা শ্রেণী তৈরী হয়, তাহলে সমস্যার সমাধান কি হলো ?

    যারা সত্যি বঞ্চিত, তাদের রেজারভেশন অবশ্যি দরকার। সেটা নিয়ে কেও দ্বিমত করেন না হয়তো।

    সমস্যা হলো এই ইসু গুলো এতটাই রাজনীতি তে ঘেটে আছে, কেও এটাকে নিয়ে কথাই বলতে চায়না। সবাই চায় এই সুবিধাভোগী শ্রেণীতে কোনোভাবে ঢুকে যেতে। একবার ঢুকে যেতে পারলে আর চিন্তা নেই। তাই জাট দের মতো ধনী শ্রেণীও রিসার্ভ ক্যাটেগরিতে আসার জন্য পাঞ্জাব হরিয়ানা বন্ধ করে দেয়।
  • pi | 57.29.242.208 | ০৪ জুন ২০১৮ ১০:০৩684059
  • না, জেনেরেশন ধরে চলা উচিত না মনে করি। সংরক্ষণ শুরুও হয়েছিল কোন সময়ে তুলে দেঔআর মত পরিস্থিতি আসবে ভেবেই।
  • abcd | 24.139.163.172 | ০৪ জুন ২০১৮ ১২:২৬684060
  • জেনারেশন ধরে রিজার্ভেশন। ভারতবর্ষে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে রিজার্ভেশন চালু হয়েছে অর্থনৈতিক দুরবস্থার দিকে তাকিয়ে নয়, বর্ণ ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে। যাঁরা একবার রিজার্ভেশনের সুযোগ পেয়ে গেছেন অথবা অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন যাঁরা, উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে পড়াশুনো ইত্যাদির জন্য যদি তাঁদের পরবর্তী জেনারেশন রিজার্ভেশনের সুবিধা পাওয়া থেকে বাদ যান তবে সেই রিজার্ভেশনের সুবিধা তখন কারা পাবেন? নিম্নবর্ণের মানুষরা, যাঁরা দেশজুড়ে খেটে খাচ্ছেন এবং ঐতিহাসিক কারণে কালচারালিও পিছিয়ে আছেন উচ্চবর্ণদের থেকে, তাঁদের কাছে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্র এখনও আমাদের দেশে অপ্রাসংগিক। তাঁরাই কি তখন সরাসরি মাঠখেত থেকে গিয়ে বর্ণ বেসিসে কোটার সুবিধে নিয়ে ভর্তি হতে পারবেন ডাক্তারিতে? আমাদের দেশের বর্তমান ব্যবস্থাতে তাঁরা তা পারবেন না। তখন বর্ণ বেসিসে রিজার্ভেশনই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে ঐসব ক্ষেত্রে, কারা তখন ভর্তি হবেন ওই রিজার্ভেশনের ফাঁকা জায়গায়, হিসেবে তো বলে as a whole নিম্নবর্ণরা বাদ। অথচ আমাদের দেশে জাতপাত ভিত্তিতে শোষণ (যা কিনা সাংস্কৃতিক শোষণও বটে) চলে না একথা ভেমুলা পরবর্তী যুগে অস্বীকার করার সাহসও কারুর হবে না।

    রিজার্ভেশন সব নয়। বর্ণব্যবস্থার ঐতিহাসিক শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য এই প্রেসক্রিপশন নেসেসারি সাফিসিয়েন্ট নয়। এটুকু বলা যায়। কিন্তু তারপর, একবার যাঁরা রিজার্ভেশনের সুবিধা পেয়ে গেছেন, বা অর্থনৈতিকভাবে যেসব নিম্নবর্ণের মানুষ সুবিধাজনক জায়গায় আছেন, তাঁরা রিজার্ভেশন পাওয়ার অনুপযুক্ত এমন ইঙ্গিত করলে, একথাও প্রমাণ করার দায় ইঙ্গিতকারীদের উপর বর্তায় যে, উক্ত নিম্নবর্ণের মানুষরা রিজার্ভেশনের সুবিধা পাওয়ার পরে (বা অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক জায়গায় থাকার কারণে) ব্রাহ্মণ্যবাদী সাংস্কৃতিক ডোমিনেশনের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন সম্পূর্ণভাবে। নয়তো, আমাদের ঐসব নিরীহ ইঙ্গিত আমাদের সরল মনের অগোচরে একপ্রকার ব্রাহ্মণ্যবাদের হাত শক্ত করবে হয়তো।

    দুঃখিত, রাতুলের লেখা থেকে অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে সেই মোড় ঘোরানোর জন্য এই টইতে আমি অবিশ্যি প্রথমজন নই।
  • abcd | 24.139.163.172 | ০৪ জুন ২০১৮ ১২:৩৭684061
  • * যাঁরা একবার রিজার্ভেশনের সুযোগ পেয়ে গেছেন অথবা যেসব নিম্নবর্ণের মানুষজন অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক... (প্রথম প্যারার দ্বিতীয় লাইনের টাইপো)
  • sm | 57.15.79.33 | ০৪ জুন ২০১৮ ১৩:৩৯684062
  • কটা জেনারেশন লাগবে ব্রাহ্মন্য বাদ থেকে বেরোতে?

    ধরাযাক,বাবা আইএএস। ছেলে বা মেয়ে আই এফ এস,তার ছেলে মেয়েদের কি কোটা লাগবে?
    আমার মতে সরকারী সিস্টেম এর পুরোটাই কোটা করে দেওয়া উচিত। মানে ১০০পার্সেন্ট।
    এভাবে দশ বছর চলুক। দেখা যাক ব্রাহ্মন্য বাদ থেকে মুক্ত হওয়া যায় কি না।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০৫ জুন ২০১৮ ০১:২৮684063
  • সমস্তরকম রিজার্ভেশন লোপাট করা হোক।
    তার আগে সকলের, এক্কেবারে সক্কলের, প্রতিটি নাগরিকের - পদবী লোপাট করা হোক। সে বামুন নয়, কায়েৎ নয়, নমশূদ্র নয়- সে স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিক।
    সবাই ইকুয়াল ফুটিং এ এসে দৌড় প্রতিযোগিতায় নামুক।

    প্রথম পয়েন্টে সবাই ক ক ক্ক বলেন, কিন্তু দ্বিতীয় পয়েন্টে এসেই ধক্কাৎ করে থেমে যান। তাই কোনো পরিবর্তনই হয় না।

    ভেবে দেখুন, একটি তথাকথিত সংরক্ষিত ক্যাটেগোরির মেয়ে বা ছেলে নিজের মেধার জোরে চান্স পেলেও অনেক ক্ষেত্রেই সমাজ সেটার স্বীকৃতি দেয় না। বলে, ও তো কোটার জোরে বেরিয়ে গ্যাছে। কোটার কলঙ্ক ঘোচে না। এও আরেক ধরণের জাতিভেদ। তারপর বিদ্বেষ, অপমান তো আছেই।

    এ যে কোথা থেকে শুরু হয়, তা ভাবতে গেলে দেখা যায় সেই অচলায়তনের অবস্থা। যেন জন্মের আগে থেকেই চলছে।
    এক সেট পেরেন্টসকে, "আসুন আসুন কী সৌভাগ্য! ব্যানার্জী সাহেবের নাতনি আমাদের এই স্কুলে পড়বে, এ তো আমাদেরই সৌভাগ্য। তার আবার অ্যাডমিশন টেস্ট কী? আপনারা অনুগ্রহ করে দিচ্ছেন, এই তো অনেক।"

    আরেক সেট পেরেন্টসকে, "ওই যে লাইন দেখছেন, লাইনে গিয়ে দাঁড়ান। ফর্ম তোলার লাইন ওটা। এরা কী? জঙ্গল থেকে আসে? কোনো কিসুই জানে না, নাকি?" তারপর জনান্তিকে পাশের সহকর্মিণীকে, "মেয়েকে ভালো স্কুলে পড়াবার সাহস করে কীকরে এরা? ওই তো চোদ্দো-পনেরো বছরে বিয়ে দিয়ে দেবে, তার আবার ফ্যারাই কত!"

    ত্রিশ বছর আগে আর একেবারে হালে, চিত্র বদলায় নি। এস ওয়াজেদ আলির "ভারতবর্ষ" এর মত, "সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিতেছে।"
  • S | 194.167.2.96 | ০৫ জুন ২০১৮ ০২:২৪684064
  • আমরা সোকল্ড উচ্চবর্ণরা কত জেনারেশন ধরে উচ্চবর্ণ হওয়ার সুযোগ নিয়েছিলাম? কত জেনারেশন ধরে অন্যদের নিচে রেখে দিয়েছিলাম? কত জেনারেশন ধরে স্টেটাস কুয়ো মেইনটেইন করেছিলাম?
  • S | 194.167.2.96 | ০৫ জুন ২০১৮ ০২:২৭684066
  • ব্রাহ্মন্য বাদ কত বছর ধরে চলেছে?
  • S | 194.167.2.96 | ০৫ জুন ২০১৮ ০২:২৭684065
  • আর কোটার জন্য জেনারেল সীট কমানো হয়নি। মোট সীট বাড়ানো হয়েছে।
  • একক | 53.224.129.58 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৪:৩৪684068
  • সরকারী চাকরিতে ১০০% কোটা হোক । এই হাফ হার্টেড কেস হয়ে কোথাও বর্ণহিন্দু গুলো পলিটিক্স করছে দল বেঁধে , কোথাও কোটার জনতা দিনের পর দিন ফার্স্ট আওয়ারে সই করে বেড়িয়ে গেলেও তাকে সাসপেন্ড করে কার বাপের সাধ্যি । সরকারী চাকরিতে ১০০ % কোটা করে দিক । আর বর্ণহিন্দু রা প্রাইভেট সেক্টরে চরে খাক ।
  • S | 194.167.2.96 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৪:৪৭684069
  • Education Tribunal Act টা কি?
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৫:১১684070
  • সরকারী আবার কী? সব প্রাইভেট করে দিক। কোম্পানিরা মিলে এলাকা ভাগ করে নিয়ে দেশশাসন করুক।
  • sm | 2345.110.894512.31 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৮:৫০684071
  • S, এর উক্তি। কোটার পরবর্তী কালে মোট জেনারেল সিট সার্বিক ভাবে ,বাড়ানো হয়েছেঠিক কথা!
    কত টা সরকারি সিট বেড়েছে?
    আর,পপুলেশন কত বেড়েছে?
    দুই,আপনি জানতে চেয়েছেন, কতো জেনারেশনকে ব্রাহ্মন্য বাদ শোষণ করেছে।
    উত্তর; বহু জেনারেশন।কিন্তু তাতে করে পাল্টা ব্রাহ্মন্য বাদ সৃষ্টি করা উচিত কি?
    মুসলমান শাষকরা আনুমানিক ৮০০বছর ভারত শাসন করেছে। তাহলে কি মুসলিমরা আগামী ৮০০ বছর উচ্চ শিক্ষায় কম সুযোগ পাবে?
    তিন, গত ৬০বছর সংরক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। যুক্তিতে বলা হয়েছে, এখন ও বহু দলিত ও পিছিয়ে যাওয়া শ্রেণী সামনে আসতে পারে নি। তাহলে মেইন আলোচনা হওয়া উচিত, এই ব্যবস্থায় গলদ কোথায়?
    ক্রীমি লেয়ার বংশ পরম্পরায় কেন থেকে যাচ্ছে?
    যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা তাদের সমাজ কে কিভাবে টেনে ওপরে তুলছেন?
    চার, এতজ এর প্রশ্নের উত্তরে। কারো ধর্ম বা সার্নেম ব্যক্তিগত আইডেনটিটি। এটা কে হস্তক্ষেপ মানে ,মৌলিক অধিকার অগ্রাহ্য করা। তর্কের খাতিরে তাও মানলাম।
    কিন্তু বাস্তবে আপনি সার্নেম দেখে কতটুকু বুঝতে পারেন?
    আমার নাম হরিশ রায় বা দাস বা কুমার।
    আমি কি বর্ণের?
    বা, আমার নাম , লিটন মন্ডল। আমি কোন জাতের?
  • abcd | 4512.139.346712.172 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৯:০৯684072
  • @Atoz , আপনি কি বলতে চাইছেন, পদবী আর কোটা তুলে দিলেই এই বর্ণভেদী শোষণ সম্পূর্ণভাবে লোপ পাবে? এটা একটু বেশি পরিমাণে অতি-সরলীকরণ হয়ে গেল না কি? ব্রাহ্মণ্যবাদী শোষণ সে-ই কোন যুগ থেকে চলে আসছে। উচ্চবর্ণের কালচারাল ডোমিন্যান্স-এর চোটে বহু নিম্নবর্ণের মানুষই ফার্স্ট জেনারেশন লার্নারও নন আমাদের দেশে। তো, সেক্ষেত্রে দুম করে পদবি আর কোটা তুলে দিলে উচ্চবর্ণের মানুষদের সঙ্গে সমান সুবিধে পাবে বলে মনে করেন নিম্নবর্ণের মানুষরা? একেবারে ছোট থেকেই ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং ক'রে দিন চলে আসছে যে তামিলনাড়ুর নিম্নবর্ণের মানুষটির [অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁর পেশা হয় বংশানুক্রমিক; 'কাক্কুস' ডকুতে দেখে থাকতে পারেন], পড়াশুনোর সঙ্গে কোনও সম্পর্কই যাঁর পূর্বপুরুষদের ছিল না, নিজের নেই, উত্তরপুরুষদেরও নেই, হঠাৎ করে পদবী ও কোটা তুলে দেওয়ার পর তাঁর সন্তানেরা একটা কম্পিটিটিভে বেশি এগিয়ে থাকবেন? নাকি উচ্চ শিক্ষিত যে ব্যানার্জি সাহেব, তাঁর নাতনি (জেনারেলি) বেশি এগিয়ে থাকবেন?

    আর এর সাথে, একজন নিম্নবর্ণের মানুষ যে প্রাচীনকাল থেকে শোষিত হয়ে এসেছেন, সে ঐতিহাসিক সত্য/তথ্য যদি তিনি তাঁর পদবীর মাধ্যমে বহন করে চলতে চান তাহলে কার কি বলার থাকতে পারে।
  • abcd | 4512.139.346712.172 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৯:১৪684073
  • <https://goo.gl/images/xQCQzG>
    "সবাই ইকুয়াল ফুটিং এ এসে দৌড় প্রতিযোগিতায় নামুক"?
  • abcd | 4512.139.346712.172 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৯:১৫684074
  • লিংক কি করে লেখে এখানে জানি না।
  • sm | 2345.110.9004512.149 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৯:৩৩684075
  • এবিসিডি,আপনার কি মনে হয়?বর্তমান কোটা সিস্টেম চালু রেখেদিলে, ব্রাহ্মন্য বাদ উঠে যাবে?
    যে কাক্কুস সম্প্রদায়ের কথা লিখলেন, সেই প্রথার বিলুপ্তি হয়েছে?
    না হলে কেন হয় নি?
    বিকল্প সাজেশন কি?
    ক্রীমি লেয়ার সম্পর্কে কি মত?
  • abcd | 4512.139.346712.172 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৯:৫৯684076
  • @sm
    প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলি, আমার 04 Jun 2018 -- 12:26 PM এর কমেন্টের দ্বিতীয় প্যারাটা পড়ে নিন দয়া করে।

    বিকল্প সাজেশনের উত্তরে: বর্ণভেদে শোষণ কিভাবে নির্মূল করা যায়, তার নেসেসারি সাফিশিয়েন্ট পদ্ধতি কি সে নিয়ে ভাবার দরকার তো আছেই, সে পদ্ধতি ভূমি সংস্কার কিনা সেসব নিয়ে আলোচনা হোক, কাজ হোক। কিন্তু দুঃখের এই, যে, এই নেসেসারি সাফিশিয়েন্ট পদ্ধতির রাস্তা নিয়ে ভাবার শুরুটা হয়: রিজার্ভেশন এখনই তুলে দিতে হবে, পদবি ব্যান করে দিতে হবে এইসব কথা দিয়ে।
    বিকল্প পদ্ধতি আর যাই হোক, অবশ্যই এখনই রিজার্ভেশন তুলে দেওয়া নয়। আগের কথা থেকেই বুঝতে পারছেন কী বলতে চাইছি, রিজার্ভেশনই সব কিছু, তা-ও নয়।

    আপনি ক্রীমি লেয়ার কি বেসিসে ডিফাইন করছেন জানি না, কাজেই উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।
  • sm | 7845.15.23.70 | ০৫ জুন ২০১৮ ১০:২৬684077
  • প্রশ্ন স্বাভাবিক। আমি ছাড়াও ,দু তিন জন লিখলেন, বংশ পরম্পরায় কোটা চালু থাকছে। অর্থাৎ আই এ এস পিতা মাতার ছেলে মেয়েও পরবরতীকালে সেম সুযোগ পাচ্ছেন।তাহলে কি এই শ্রেণীর লোকজন এর সুবিধা চালু রাখা উচিত?
    এই শ্রেণীর লোকজন তাদের সমাজের পিছিয়ে থাকা লোকজনের আপ লিফ্টমেন্ট এর জন্য কি কি করছেন?
    অরণ্য ,যে প্রশ্ন তুলেছেন, ১০ বছরের জন্য কোটা সিস্টেম;এত বছর ধরে চালু রাখতে হচ্ছে কেন?
    কত বছর এই সিস্টেম চালু রাখা উচিত মনে করেন?
    ভারত ৮০০বছর মুসলিম শাসক দের আন্ডারে ছিল। তারা এতো পিছিয়ে পড়লো কেন?
    বিকল্প পথ কি?পব তে ভূমি সংস্কার হয়েছে। কি এমন উন্নতি হয়েছে, পিছিয়ে থাকা শ্রেণীর লোকজনের?
    আমি রিজার্ভেশন তুলে দিতে বলি নি।
    বলেছি আগামী ১০বছর ১০০শতাংশ করে দেখা হোক ,কতটা ব্রাহ্মন্য বাদ দূর হয়।
    অথবা অর্থনৈতিক মাপকাঠির দণ্ডে রিজার্ভেশন চালু হোক, যেটা সীমাবদ্ধ থাক আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করার ওপর।
  • PT | 340123.110.234523.24 | ০৫ জুন ২০১৮ ১২:০৫684079
  • যে দেশে কোটা সিস্টেম "কাজ করেনা", ভূমি সংস্কার করে "কি এমন" উন্নতি হয়, সেখানে হঠাৎ অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে ঠিক ঠাক মানুষ চিহ্ণিত করে কাজ হয়ে হয়ে যাবে এমন ভাবার কোন কারণ আছে? চোখের সামনে তো এমন "গরীব" মানুষ দেখছি যারা দু-টাকা কিলোর চাল আদিবাসীদেরকে বেচে দিচ্ছে কেননা ঐ চালের তারা মুখে তোলেনা!! এমনকি সাইকেলের মত সামান্য জিনিসও যাদের প্রয়োজন নেই তাদেরকেও দেওয়া হচ্ছেঃ
    "ধনী-দরিদ্র প্রয়োজন-নিষ্প্রয়োজন নির্বিশেষে সকল ছাত্রছাত্রীকে নতুন সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। এতে এক দিকে সরকারি কোষাগার থেকে যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, অন্য দিকে মফস্সল ও গ্রামাঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় সাইকেলের স্তূপ জমে যাচ্ছে। এক একটি বাড়িতে ৫-৬টি করে সাইকেল জমে যাচ্ছে। সেগুলি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকছে।"
    https://www.anandabazar.com/editorial/letters-to-the-editor/problems-over-sabooj-sathi-bicycle-distribution-1.810112?ref=letters-to-the-edito-new-stry
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন