এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.127 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ০২:৪১695336
  • গ্যাঁজার নেশা,গ্যাঁজানোর নেশা,গ্যাঞ্জামে পড়ে মারপিঠের নেশা...
    একটু পা চালিয়ে ভাই...

  • tan | 131.95.121.127 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ০২:৪৫695337
  • অ্যাই ব্যাটা মেল শোভিনিস্ট গাজা,এইখানে নারীবিদ্বেষীর কালো হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবার নেশাও অনেকের আছে কিন্তু! সাবধান।

  • du | 67.111.229.98 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:২৫695338
  • কেরোসিন স্টোভ অল্প জল দিয়ে নেভাও আর তারপর ভেজানো গোবিন্দভোগ চিবিয়ে দেখো ।

  • s_r | 220.227.146.21 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৪৯695339
  • একটা কথা মনে হচ্ছে টই দেখতে দেখতে বার বার, তাই বলছি তবে প্লীজ কেউ কিছু মনে করতে পারবে না।
    আলোচনা গুলো সিরিয়াস নোটে শুরু হয়ে কিন্তু হাল্কা হয়ে যায় বা খেই হারিয়ে যায়। প্রিয় বই বা নেশা বা সমর্থন এগুলো দ্রষ্টব্য।
    কিছুটা পড়ার পর মনে হয় সব আলোচনাই ভাটিয়ালীর extension হয়ে যায়। একই লোকেরা এবং একই ধরনের কথাবার্তা।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৩২695340
  • এটাই এর বিশেষত্ব স্র।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ২২:১১695341
  • মানুষে একটু হাসবে না?
  • Gaza | 170.213.132.253 | ০৪ নভেম্বর ২০০৬ ০০:০৫695342
  • শ্লা গুরুচন্ডালী আর চন্ডালীনীর নেশা টা ভালই জমে যখন বোর হোয়ে যাই।

  • tan | 131.95.121.127 | ০৪ নভেম্বর ২০০৬ ০০:১০695343
  • বানাম ঠিক কর।
  • MM | 195.229.242.85 | ২৯ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:১৯695344
  • অনেকের অনেক নেশার কথা পড়লাম। যে নেশার কথা কেউ লেখে নি আমার সেই নেশা ঘুমনোর নেশা, আমি সুযোগ পেলেই ঘুমই। আর একটা নেশা আছে সেটা সব বাঙ্গালী মাত্রের ই নেশা আড্ডা মারার নেশা।
  • Prantik | 213.68.11.198 | ২৯ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:২৬695346
  • MM এর এই দুটো নেশা কি mutually exclusive না inclusive?
  • MM | 213.42.2.22 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১০:৫১695347
  • Good question, obviously exclusive ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আড্ডা মারা যায়? বোধহয় না। তবে আড্ডাটা boring হলে অনেকসময় ঘুমিয়ে পড়ি। সেটা কি 'inclusive' হবে? ভাবতে হবে।
  • ultoloke | 202.78.233.148 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৬ ২১:৫৭695348
  • হোনহে রসিক জন
    জে জন করে নেশা সেই জানে তার মর্ম।

    নেশা হতে পারে বহু রকম জেমন সকল বেলায় বাজারে জাওয়াও এক্তা নেশা।

    ভুল বল্লাম কি ?

    কোনো তরল অথবা শুকে্‌না নেশা না কর্লে জিবন বরবাদ
  • tan | 131.95.121.127 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৬ ২২:৫২695349
  • আমাদের ঈশেন অনেক আগেই অন্য পাড়ায় বলেছিলো মানুষের জীবনটাই একটা নেশা, জীবনধারনটাই নেশা।
    এই যে ঠক্‌ঠক ঠকাঠক করে কিবোর্ড কপচে কপচে এত এত লেখা সবই নাকি নেশার মতন ব্যাপার, কোথাও না কোথাও কমুনিকেট কত্তে চেয়ে।
    এর উপরে আর কথা চলে?
    জীজ্জীও জীও আই মীন হেইল ঈশেন!!!!:-)))
  • RATssss | 82.120.1.133 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ০৬:২৭695350
  • আমার ত্যানার কয়েকটা মারাত্মক নেশা আছে।
    ১) আমাকে রোগা বানানোর বা ওজন কমাবার নেশা।
    ২) আমার চরিত্র বিশুদ্ধ বানাবার নেশা।
    ৩) লতা-পাতা সংগ্রহ করবার নেশা - আন্তর্জাতিক নীতি-নিয়মকে বৃদ্ধঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে।
    ৪) মোমেন্টো জমানোর নেশা - গোটা প্যারিস শহরের ৪৫-টি মোমেন্টো কেনা একটা ছোট্ট উদাহরন।

    অবশ্য, দু-চারটে ভদ্রলোকের কাছে বলবার মতন নেশাও ত্যানার মাঝেমধ্যে উদয় হয়।
    ১) গান শোনানোর নেশা।
    ২) বিভিন্ন রকম ছবি আঁকার নেশা।
    ৩) ঘর সাজানোর নেশা।

    আমার নেশা.....
    ১) গান শোনার নেশা (ত্যানার গান বাদে)
    ২) বেড়ানোর নেশা
    ৩) ছবি তোলার নেশা
    ৪) সমাজসেবা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার নেশা (দেশে থাকলে)

    দুজনের দু-টো কমন নেশা আছে - সপ্তাহে একবার না হলে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে
    ১) সিনেমা ও নাটক দেখার নেশা
    ২) ঝগড়া করবার নেশা

  • Gaza | 71.138.240.175 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১০:৪৫695351
  • চোদার নেশা থেকে আর কোনো বড়ো নেশা হোতে পারেনা।
    বয়স হোয়ে গেলে খাওআ অওর power এর নেশা আসে।
    লালুর এখোন একটাই নেশা !
  • MM | 195.229.242.88 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৮:৩৪695352
  • নোংরা শব্দ ব্যবহার না করলেই কি নয়? এই নোংরা কথাবলাটা ও একধরণের নেশা, পুরুষদের মধ্যেই বেশী দেখা যায়। স্বীকার কর আর নাই কর।
  • Gaza | 170.213.132.253 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ২২:৫৭695353
  • MM শব্দটা নোংরা না বিষয়্‌টা নোংরা।
    Are you a test tube baby??
    তুমি গুরু আমরা চন্ডাল
    কি কোরবো বলো?
  • RATssss | 195.68.73.197 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ২৩:২৬695354
  • গ্যাঁজা ভাই,
    MM পরিস্কার ভাবে শব্দটা / ভাষাটা নোংরা বলেছে এবং আমার ধারনা তুমি নিজেও সেটা সমর্থন করো।
    ভালোবাসার নেশা, যৌনতার নেশা আরো অনেক ভাবে কথাটা বলা যেত। সুন্দর জিনিসকে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করাটা একটা আর্ট। কারো থাকে সুন্দর কথা বলবার নেশা, কারো থাকে খারাপ কথা বলবার নেশা।
    আরএকটা কথা- একটু প্রসঙ্গান্তরে - বাবা মার ভালোবাসা কম হলে নলজাতক শিশু জন্মায় -- এটা কিন্তু একটা অত্যন্ত ভুল ধারনা। বরঞ্চ ব্যাপারটা একেবারে উল্টো। this is just a medical fault repair - this is not at all any kind of medical desease
  • subhashis | 141.211.197.149 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ২৩:৫৬695355
  • একটা কথা কইবো? কেউ খেলার নেশা র কথা লিখলে নি? কে একজন লিখেছে দেখলাম ৪-১২ বছর খেলার নেশা।আমার তো ভাই প্রায় আড়াই খানা ১২ বছর পেরিয়ে গেল, আমার জীবনে সবচেয়ে বড় নেশা হল খেলার নেশা।যতদিন বেঁচে থাকবো, এই নেশা টা ভীষণ ভাবে থাকবে।
  • MM | 213.42.2.21 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৪:০১695357
  • RATssss

    আমার মতামত বোঝার ও সুন্দর ভাবে বোঝানর জন্য ধন্যবাদ।

    এর পর আর কিছু লেখার প্রয়োজন আছে কি, Gaza?
  • s | 141.80.168.31 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৭:৪৮695358
  • তক্ক করার জন্যই তক্ক করা - নেশা।
    কথা বাড়ানোর জন্যই কথা বলা - এও নেশা।
  • অভি | 233.191.54.155 | ২২ অক্টোবর ২০১৬ ১১:৫৭695359
  • নেশা নিয়ে আলোচনা অলরেডি হয়েছে দেখে খাসা লাগলো। এই নিয়ে এন্তার গল্প করা যায়। সেই আলীসায়েব সিগারেট নিয়ে যেমন বলেছিলেন, এর মধ্যে দেদার ইতিহাস, অর্থনীতি আর রাজনীতি লুক্কায়িত আছে, প্রায় সব নেশার ক্ষেত্রেই সত্যি। নেশা নিয়ে প্রচুর গল্প ও মিথ, এবং সামাজিক নানান নির্মাণ ও গবেষণার মধ্যিখান থেকে ফ্যাক্ট বের করা একইসাথে চ্যালেঞ্জিং এবং বহমান।
  • অভি | 233.191.54.155 | ২২ অক্টোবর ২০১৬ ১২:৪৪695360
  • নেশার অভ্যেস আর তৎসংক্রান্ত অস্বাভাবিকতা কোন শ্রেণীতে পড়বে, তাই নিয়ে পণ্ডিতেরা অনেক যুগ থেকেই শতপন্থী। তার ওপর রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা তো আছেই। এখন নেশাকে মানসিক রোগের আওতায় রাখা হয়েছে, তার কারণ এই নয় যে নেশার সাথে বিভিন্ন মানসিক রোগও অ্যাসোসিয়েটেড দেখা যায়, বরং তার কারণ হিসেবে বলা যায় নেশাগ্রস্ততার মডেল মানসিক রোগের ধাঁচে, তাই দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, এবং চিকিৎসা করা যায়। বস্তুত নেশাগ্রস্ততা বা সাবস্ট্যান্স ইউজ ডিসঅর্ডার ব্যক্তিমানুষের ভেতরের আর বাইরের, বা বলা ভালো নিউরোবায়োলজিক্যাল আর বিহেভিয়রাল দুরকম মডেল দ্বারাই পরিচালিত হয়। কোনো একটা দিয়ে এদের সামগ্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি ধরা যায় না। আর হ্যাঁ, এদের মডেল মানসিক রোগের ধাঁচে মানে কিন্তু স্কিৎসোফ্রেনিয়া বা বাইপোলার ধরনের না, বরং অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়া ধরনের ইটিং ডিজর্ডার বা সেক্সুয়াল সমস্যার ধাঁচে হয়। এগুলির সূচনা, উপসর্গ, কোর্স খুব কাছাকাছি যায়, আর নিউরোবায়োলজিক্যাল মিলও রয়েছে, কিন্তু সে কথা যথাস্থানে।
    বরং নেশার ইতিহাস নিয়ে আগে কথা হোক। নেশার সামনে সম্ভবত মানুষের বাকি বেশিরভাগ অভ্যাসই অর্বাচীন। মানুষের বিবর্তনেও নেশার ভূমিকা থাকা অস্বাভাবিক না। বিধিবদ্ধ কৃষিকাজের ব্যাপারে তো বলাই হয় যে তা যত না খাবারের টানে, ততটাই নেশার টানে। সিরিয়াল পচিয়ে প্রস্তুত আদিম সুরার আকর্ষণও কম ছিল না নিয়মিত চাষের ব্যবস্থা করার পিছনে। বেদে সোম পেয়েছেন দেবতার আসন। আর শুধু নেশা করাই কেন, আফিম ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে গত ৩৫০০ বছর ধরে, চীন ও ভারত মাথায় রেখেছে গাঁজার ভেষজ গুণ, ওয়াইনের দ্রব্যগুণ বাইবেল স্বীকার করেছে অকুণ্ঠিত চিত্তে, লাতিন আমেরিকা বরাবর তামাক ফুঁকে আর কোকা পাতা চিবিয়ে এসেছে। তবে হ্যাঁ, নেশার ক্ষতিকর দিক সম্বন্ধে সব সভ্যতাই সজাগ ছিল, সবাই জানত সর্বমত্যন্তগর্হিতম। আবার যত নতুন নতুন ড্রাগ, বেশি ঘনত্বের ড্রাগ, নতুন ড্রাগ সেবনের পদ্ধতি জানা গেছে, তত বেশি করে বেড়েছে ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা, নতুন ধরনের সমস্যা। উদাহরণ, শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে ইংল্যান্ডে এল শস্তা জিন, অ্যালকোহলের ক্ষতিকর দিক বিয়ার বা ওয়াইন জমানার থেকে অনেক বেশি প্রকট হয়ে উঠলো। বা আরো ভালো উদাহরণ হল আফিমের। তামাম চীন ভারত বহুযুগ ধরে সেবন করে আসছে। এবার ঊনিশ শতকের গোড়ায় আবিষ্কার হল মোস্ট অ্যাক্টিভ অ্যালকালয়েড মরফিন, ওই শতকেই মাঝামাঝি তৈরি হল হাইপোডার্মিক নিডল, আফিমের সমস্যা পেল অন্য মাত্রা। তারপর হেরোইন এসে তো বলাই বাহুল্য। তামাকের গল্পটাও তাই। তামাক নিয়ে ঊনিশ শতক অব্দি কারো সেরকম সমস্যা হয় নি। তারপর এল তামাকপাতা প্রসেসিংএর নতুন টেকনিক, এল সিগারেট। ফুসফুসের অনেক গভীরে ধোঁয়া সরাসরি পৌঁছাবে এমন ব্যবস্থা এল, বিশ শতকের মাঝামাঝি লাং ক্যান্সার আর নিকোটিন নিয়ে বহুল প্রচার শুরু হল। ইন ফ্যাক্ট আরো বছর কুড়ি লেগে গেল স্মোকিং আদৌ ডিপেনডেন্স সৃষ্টি করতে পারে, এরকম তথ্য প্রতিষ্ঠা করতে।
  • sinfaut | 11.23.252.67 | ২২ অক্টোবর ২০১৬ ১৩:১০695361
  • লিখুন অভি। পড়ছি।
  • অভি | 37.63.183.77 | ২২ অক্টোবর ২০১৬ ২০:০৩695362
  • নেশার দ্রব্যের মধ্যে যদি ইতিহাসে স্থায়ী দাগ কেটে কেউ যায়, তবে সে আফিম। মহেঞ্জোদারো অধিবাসীরা যখন উড়ন্ত কুমীরের সাথে যুদ্ধে রত, তারও আগে থেকে সুমেরীয়রা আজকের সাতএল আরবের তীরে লাগাতে শুরু করেছে আনন্দের এই গাছ। চাকার আবিষ্কার হচ্ছে, যুদ্ধরথ সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটাচ্ছে, সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আফিমের বিস্তার, সুমেরীয় থেকে আসীরিয়ান, তারপর ব্যাবিলন, তারপর মিশর। দেড় দু হাজার বছরের সভ্যতায় রয়্যাল আনন্দের জোগানদার। সাম্রাজ্যেও তার অবদান কম না। মিশরের রাজধানী থিবস নগরীর নামে আফিমের নাম হচ্ছে opium thebaicum, আখেনাতন, তুতেনখামেন সব রাজাই পৃষ্ঠপোষকতা করছেন আফিমের চাষ ও বাণিজ্যের, ফিনিশীয় বণিকের হাত ধরে তা পৌঁছে যাচ্ছে ধূসর তিউনিশিয়া থেকে স্নিগ্ধ ইতালী। হাজার বিসির কাছাকাছি সময় থেকে আফিম জগতে উঠে আসছে এশিয়া মাইনর, আজকের তুর্কী। সাইপ্রাস দ্বীপে লোকজন দেখছে সার্জিক্যাল অপারেশনের ছুরি ব্যবহার হচ্ছে উন্নতমানের আফিম নিষ্কাশনের কাজে। আবার রাজনীতির সাথে প্রতি অঙ্গে জড়িয়ে যায় আফিম ব্যবসা, ট্রয়ের পতনের সাথে এর দখলদারি চলে যায় গ্রিসের হাতে, দীর্ঘদিন চলে সেই আধিপত্য। খ্রীষ্টপূর্ব পাঁচের শতকে হিপোক্রেটিস আফিমের দৈব জাদুকরী ক্ষমতা উড়িয়ে চিকিৎসায় প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন আফিমের মতো সর্বরোগহর বটিকাকে। আবার গ্রীক সাম্রাজ্যবাদের হাত ধরে আফিম চলে আসে পারস্য ও সপ্তসিন্ধুর দেশে।
    রাজনীতি চলছে নিজের নিয়মে। মধ্য এশীয় দুর্ধর্ষ হুণদের অশ্বক্ষুরধ্বনি কমে আসার পর আবার নিজের ছন্দে ফেরে সিল্ক রুট। আরব বণিকেরা আফিমের স্বাদ পৌঁছে দেয় চীন ও দূরপ্রাচ্যে। ক্রমে উঠে আসে ইসলাম। মধ্যপ্রাচ্যের দখল নেয় এই উদীয়মান মহাশক্তি। আসে ক্রুসেড। ক্রুসেড শুধু যে মশলার বাণিজ্য থেকে বিযুক্ত করলো ইউরোপকে, তাই নয়, আফিমের নির্বাধ স্রোতও গেল থেমে। প্রায় দুশো বছর আফিমশূণ্য রইলো ইউরোপ। বিক্ষুব্ধ জনতা সামলাতে আসরে নামলেন পোপ। হোলি ইনকুইজিশনে অপবিত্র, শয়তানের অক্ষ হিসেবে ঘোষণা পেল আফিম। বস্তুত পূর্বদিক থেকে আসা সবকিছুই ডেভিলিশ হিসেবে মান্যতা পেল ইউরোপে। ভারত চীন কিন্তু পরিমিত আফিমে, হালকা রিক্রিয়েশন, একটু চিকিৎসা এসব নিয়েই থাকলো। আফিমের বিপুল সম্ভাবনা বুঝেছিলেন শাসকেরা, মুঘল বাদশাহি সরাসরি কন্ট্রোল করত আফিমের ফলন ও বাণিজ্য, কিন্তু নৌবাণিজ্যে তত দড় না হওয়ায় ব্যাপারটা লার্জ স্কেলে যায় নি। মাঝখান থেকে বদনাম কুড়োলেন জাহাঙ্গীর শাহ।
    খেলা শুরু হল ষোড়শ শতকে। পূর্ব চীন সাগরে এল পর্তুগীজ বাণিজ্যপোত। নবজাগরণের ইউরোপ নতুন করে স্বাদ নিল আফিমের। ১৫২৭ সালে প্যারাসেলসাস আফিমের সাথে লেবুর রস আর স্বর্ণভস্ম মিশিয়ে প্রস্তুত করলেন স্টোনস অব ইম্মর্টালিটি, বেদনানাশক ওষুধ হিসেবে জনপ্রিয় হল এটি। পরের শতকে ইংল্যান্ডে টমাস সিডেনহ্যাম, যিনি রিউম্যাটিক ফিভারের কারণে আজও অবশ্যপাঠ্য, তিনি একই রকমভাবে আফিমের সাথে ভেষজ হার্ব আর শেরী মিশিয়ে আরেক মুষ্টিযোগ বানালেন। ওষুধের সাথে সাথে নেশার ব্যাপারও বাড়তে লাগলো। ভারত আর পারস্য থেকে আফিম নিয়ে ম্যাকাও হয়ে চীনে ব্যবসা করতো পর্তুগীজরা। অচিরেই ডাচরা এসে চীন আর ইস্ট ইন্ডিজে এর প্রচলন বাড়ায়। এই সময় ডাচরা জগৎকে শেখায় পাইপে করে আফিম খেতে। কনসেন্ট্রেশন বেড়ে যাওয়ায় নেশা ও তৎসংক্রান্ত চাহিদাও বেড়ে গেল প্রচুর। মহাচীন আক্রান্ত হল আফিমে সবচেয়ে বেশি। ১৭২৯ সালে চীনসম্রাট ইয়ুং চিং মেডিসিনাল ব্যবহার ছাড়া আফিম নিষিদ্ধ করলেন চীন জুড়ে।
    কিন্তু ততদিনে কমলি নেহি ছোড়তি। আসরে নেমেছে ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের মতো দুই পরাশক্তি। সতেরো শতকের প্রথমেই রাণী এলিজাবেথের নির্দেশে বিশুদ্ধ ওপিয়াম ব্রিটেনে আনার ব্যবস্থা শুরু হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ঘাঁটি শক্ত করার সাথে সাথে রাজধানী স্থাপন করলো কলকাতায়। কলকাতা বস্তুত হয়ে উঠলো আফিম চক্রের কেন্দ্রবিন্দু। বাংলা আর বিহার ছিল ভারতে বৃহত্তম আফিম উৎপাদক অঞ্চল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রত্যক্ষ চাপে এই উৎপাদন আর চীনে শিপিংএর অচ্ছেদ্য চক্র তৈরি হল কলকাতা বন্দরকে কেন্দ্র করে। যাকে বলে চাঁদনী চক টু চায়না। কোম্পানির নিজের ও প্রায় সকল বিখ্যাত দেশীয় ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকা খাটত আফিম ব্যবসায়। শোনা যায়, দ্বারকানাথ ঠাকুরের একটা বড় উপার্জন ছিল এই পথে। ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলা বিহারে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রচলন করেন। একই বছর আফিম চুক্তিচাষীরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছাড়া আর কোনো ক্রেতার কাছে কাঁচা আফিম যেন বিক্রি না করেন, তা নিশ্চিত করা হয়। চীনে আফিমের মনোপলি নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। আঠারো শতকের শেষ বছরে চীনসম্রাট কিয়া কিং আফিমের ব্যবহার সর্বতোভাবে নিষিদ্ধ করলে ওপিয়াম যুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়।
    কিন্তু আফিমের রাজনীতিতে ডুবে বাকি সব ভুলে গেলে চলবে না। ইউরোপে আফিম নিয়ে গবেষণাও চলছিল দিব্যি। ফাদার অব বটানি, লিনিয়াস, ১৭৫৩তেই তাঁর জেনেরা প্ল্যান্টারাম বইতে Papaver somniferum নাম নির্দিষ্ট করেন। somniferum অর্থাৎ কিনা sleep inducer। জার্মানিতে ফ্রেডরিক সার্টার্নার কাঁচা আফিমকে প্রথমে অ্যাসিডে, তারপর অ্যামোনিয়ায় ধুয়ে বানালেন অ্যালকালয়েড মরফিন। আফিম ইতিহাসে এ এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। মরফিন এর পরের দেড়শো বছর জুড়ে বেদনানাশক হিসেবে ছিল অপ্রতিরোধ্য। একে বলা হত God's own medicine, এর চাহিদাও হল আকাশছোঁয়া। তাই এর পরে আমরা দেখব বোস্টনের ছোকরা চার্লস ক্যাবট আসছে বৃটিশ ওপিয়াম স্মাগল করতে, আরেক আমেরিকান জন কুশিং টার্কিশ আফিম ক্যান্টনে স্মাগল করে কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের আফিম রপ্তানির অর্ধেকের বেশি কব্জা করছে বৃটিশ লেভান্ত কোম্পানি, আর ১৮২৭এ মরফিনের বাণিজ্যিক প্রোডাকশন শুরু হবার পরে তুরস্ক আর ভারত থেকে শুধু বৃটেনেই সাপ্লাই যাচ্ছে বাইশ হাজার পাউন্ড আফিম। একসময় পোপের ইনজাংশনের পরে ইউরোপের ইন্টেলেজেন্সিয়া মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল আফিম থেকে। এখন আবার ফিরে আসছে, হয়তো বা রেবেলের রূপে। নিয়মিত আফিম নিতে মিলিত হচ্ছেন জন কীটস আর সহ সাহিত্যিকেরা, "Confession of an English Opium-eater" লিখছেন ডে কুইন্সি, আফিমের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন এলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিং। দেড়শো বছর পর এমনই আরেক নেশার হাত ধরে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা দেখবে আরেক গোলার্ধ, সময় নিজেকে আবার দেখাবে।
    চীন কিন্তু বাঁচলো না। সাংহাইয়ের সেই সাহসী কমিশনার লিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জ্বালিয়ে দিলেন সমস্ত আফিমের পেটি। মুক্ত বাণিজ্যে আঘাত লাগার অভিযোগে পত্রপাঠ নৌবহর পাঠালো বৃটেন, প্রথম আফিম যুদ্ধ শুরু হল। বিশ্বের ইতিহাস আফিমের এত বড় রাজনৈতিক তাৎপর্য আগে দেখে নি। চীন হারলো, হংকং গেল বৃটেনের কব্জায়। সময়টা খেয়াল করুন। ১৮৪১। ভারতে তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগ্রাসনে ত্রাহি রব তুলছে দেশীয় রাজ্যগুলি, পেশোয়া, শিখ সব চৌপাট হতে চলেছে। তার মাঝে লর্ড ডালহৌসি বার্মায় অভিযান চালালেন। এখন মনে হয়, উত্তর বার্মার শান উপজাতিদের দমন করে আফিম রুট নিরুপদ্রব রাখা, আর বিকল্প পথের সন্ধান পাওয়া একটা বিশাল ইন্সেন্টিভ ছিল। সেই সাথে চাপ বাড়ানো হল ফরাসী অধিকৃত ইন্দোচীনের ওপর, জোটসঙ্গী হবার দায় পড়লো ফরাসীদের ওপর, সময় হয়ে এল দ্বিতীয় ওপিয়াম যুদ্ধের। সম্পূর্ণভাবে আফিম আইনী ঘোষণা করতে বাধ্য হল চীন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আফিম চাষের রমরমা ভবিষ্যতে গোল্ডেন ট্র‍্যাঙ্গলের ক্ষেত্র প্রস্তুত করলো।
    নিত্যনতুন আবিষ্কারও চলছিল সমান্তরালভাবে। মরফিনের পরের বড় ঘটনা, এডিনবরায় ডা: আলেকজান্ডার উড ১৮৪৩এ নিয়ে এলেন হাইপোডার্মিক সিরিঞ্জ, তিনগুণ বেশি পোটেন্সির মরফিন অনুভূত হতে লাগলো এবার থেকে। নেশাড়ু আর ব্যবসায়ীদের আনন্দের সীমা নেই, হাসপাতালেও খুশির ছোঁয়া। এর পরের ঘটনা হতে পারত ১৮৭৪এই, যখন সি আর রাইট মরফিন থেকে অ্যাক্সিডেন্টালি ডাইঅ্যাসিটাইলমরফিন তৈরি করে ফেলেন। কিন্তু তখন তার গুরুত্ব তত বোঝা যায় নি। বোঝা গেল বছর কুড়ি পরে, ঘটনাচক্রে এও জার্মানিতে, বেয়ার কোম্পানির থেকে হাইনরিশ ড্রেসার দেখলেন এর কার্যকারিতা মরফিনের মতই, কিন্তু সাইড এফেক্ট অনেক কম। তিনি এই যৌগের নাম দিলেন 'হেরোইন', পরের শতক এবার সে-ই চালাবে।
    মুশকিল হল, অবিমিশ্র ভালো বলে কিছু হয় না। এই যেমন হেরোইন, এসেছিল কাশির ওষুধ আর বেদনানাশক হিসেবে, হয়ে গেল নেশার রাজাধিরাজ। তেমনই ঊনিশ শতকের দ্বিতীয় অর্ধ ইংল্যান্ডকে দিল নিজেরই ওষুধের স্বাদ। আমেরিকা ইংল্যান্ডের পণ্যে অত্যধিক কর চাপালো। আর দেশের মধ্যে আফিমের নেশা বাড়তে দেখে ওপিয়াম অ্যাক্ট আনলো বৃটেন। এই আইনটাও ছিল দেখার মতো। বৃটিশ সাম্রাজ্যে তখন সূর্য অস্ত যায় না। সেখানে আইনে থাকলো, চীনারা শুধুমাত্র আফিম স্মোক করতে পারে, ভারতীয়রা গুলি ফর্মে খেতে পারে, বার্মিজরা স্ট্রিক্টলি না। এটা ১৮৭৮এর ঘটনা। আসলে বার্মার প্রোডাকশন সম্পর্কে বৃটেন ঠিক নিশ্চিত হতে পারে নি কখনো। পরের দশকে উত্তর বার্মা দখল করে শান উপজাতিদের বশে এনে বৃটেন কিছুটা স্বস্তি পায়। এই শান উপজাতিদের আফিম ট্রেডে ভূমিকা ছিল অনেকটা এখনের তালিবানদের মতো। এদের দিয়েই চাষ থেকে প্যাকেজিংএর একটা বড় অংশ করানো হত।
  • Ekak | 53.224.129.55 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৪৭695363
  • অভি ইতিহাস -ভূগোল লিখুক বিশদে । নেশা টা কেমন দু লাইন লিখে যাই :) প্রথম আফিং খাই বড়বাজারে । একদম পিওর আফিং গুলি । কোনো শরবত ফোর্বত না , ঢোকলার সঙ্গে মেরে দিলুম । খান্দানি আফিংখোররা জানলে খিস্তবে । কিন্তু কী আর করা । প্রথমেই যেটা মনে হলো তা একটা পশমী চাদর খুব আস্তে আস্তে কেও টেনে দিচ্ছে শরীর জুড়ে । কিন্তু সেটা শরীর ভেতর থেকে । বাইরে না । আর ঘাড় আর হাত পা গুলো কেমন হালকা হালকা । বেশি কিছু না । বন্ধুর দোকান । বিক্রিবাটা চলছিল লাস্ট আওয়ারে । গুলি খেয়ে বসে বসে নেট সার্ফ করছি আড্ডা দিচ্ছি । এমন সময় করা সব এসেছে ব্যস্ত ব্যস্ত -চোখ দুটো একটু বন্ধ করে গাম্বাট চেয়ারে হেলান দিয়েছি অমনি সালা সাদা সাদা আর তার চারপাশ ঘিরে হলুদ কমলা হলুদ কমলা কত তুলো রে ভাই । তারপর তো দোকান ফোকান গুটিয়ে আমরা রওয়ানা দিলুম । শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় অবধি দুজনে গল্প করতে করতে হাঁটছি । এমনি সব ঠিকঠাক শুধু ওই চারপাশে ঝিলঝিলঝিলঝিল দূরের রোদ্দুরে ধোয়া চলে গেলে যেমন ঢেউ খেলে তেমন বাইরে ভেতরে আর কী হালকা আর অথচ হাত পা নড়েই না নড়েই না ।

    এর পরের বার ভুটান -অসম সীমান্তের একটা বারে । এর মাঝে অবশ্য মরফিন টেস্ট করে দেখেছি , কিন্তু ঐপর্জন্তই । নো এডিকশন । তো সেই ছোট্ট বার যা নাকি আসলে দুটি মাত্র ছোড্রুম ( একরকম খুদে ডিভান কারুকাজ করা বেঞ্চি সাইজের ) ও খান পাঁচেক তাকিয়ে ছড়ানো এদিক ওদিক । এক বৃদ্ধা ভুটানি অসংখ্য ট্যাটু ও নাক -কান পিয়ার্সিং এর প্রতিমূর্তি এবং বেজায় মেজাজি । দেয়াল থেকে অবশ্য অভয় দিচ্ছেন অবলোকিতেশ্বর । তো , লোকাল ওয়াইন গরম গরম পরিবেশিত ডিমের কুসুম ও মাখন ছড়িয়ে আর দেখি লম্বা মোটা পাইপ । হুঁকো স্টাইলে সাজা ।আফিমের গন্ধ সেরকম কিছু নেই বা আমি হয়তো বুঝিনা । কিন্তু ফিলিংটা ইউনিক । জাম্বে টানছিলো । এগিয়ে দিতেই দুটান দিলুম । আবার সেই হালকা । এবার ভারী মজা পেয়েছিলুম কারন শরীর ভারী হলেও উঠে কোথাও যাওয়ার চাপ নেই । সন্ধে হলে গাড়ি আসবে বাংলো নিয়ে যাবে । আর সেই মজার অনুভূতি যে ভেতরে রাশি রাশি ফুরফুরে , কিন্তু জাম্বের চোখমুখ , যা কিনা এমনিতেই গোলাপি , তা আরো কেমন লাল ফোলা ফোলা দেখাচ্ছে । দুটি মেয়ে একটু দূরে বসে টানছে , দু একটা কথা হচ্ছে । তাদের ও চোখ কেও ক্রমশ মোটা নিবের পেন দিয়ে এঁকে দিচ্ছে আর মুছে যাচ্ছে আর গাল , চিবুক লাল হয়ে উঠছে , একজন একটা পাহাড়ি গান ধরলো , জংখা অটো ভালো বুঝিনা , দুটো শব্দের মানে জিগালুম , নাকি আলাপ করার অছিলা , কেজানে কী , সেখান থেকে একটা বিশাল পাহাড়ের গল্প তৈরী হয়ে গেলো আর প্রচুর খরগোশ ছোড়ে বেড়াচ্ছে আমরা তাদের ধরার জন্যে ধীরে ধীরে ছুটছি । আর বাইরে তো জানলা দিয়ে তাকালেই ঝিলঝিলঝিলঝিল ।

    থার্ড অভিজ্ঞতা খোদ বেঙ্গালুরু তে । একটা ম্যারেজ পার্টি যেখানে খুব তেতো মুখ করে গেছি কারন না গেলে মাথা চিবোবে । তো খাওয়া লৌকিকতা শেষে যা হয় আরকি , ছেলেমেয়েদের ছোট গ্রূপ , কারো কাছে হ্যাশ থাকলে শেয়ার করে , কমন সিনারিও , তবে লোক বুঝে নি সবাই সেফ নয় । তো একজন বললো হ্যাশ না ভালো গ্রাস আছে রেডি করা, চলবে ? পাশের বান্ধবীর দিকে তাকালুম , ইঙ্গিতে বুঝলুম সেফ । তো ঠিক হ্যায় চলো , বেশ কয়েক টান করে দিয়ে দুজন বেরিয়ে ভাড়া করা গাড়িতে উঠেছি । প্রথম আমার সন্দেহ হলো শালা গ্রাসে এরকম ওয়র্ম ওয়েব হচ্ছে কেন ?
    পাশের জনকে বলাতে বললো : বাল ও কিছু না , সোজা তাকা । তারপর কিছুক্ষন বাদে নিজেই বলে: ওই শোন গ্রাসে অন্য কিছু ছিল ! আমি তো ততক্ষনে কয়েকটা ঢেউ পেরিয়ে গেছি , বেশ
    চিন্তাহীন ফুরফুরে হ্যালোজেন ব্যাপার শুরু হয়েছে , পাশের জন চেল্লাচ্ছে শিট , এটা জালি মাল , ডিপড ইন ওপিয়াম !!! আমার মিডনাইট শিফট আছে কী হবে । সোজা তাকাতে বলেছিলুম কিনা খ্যাল নেই তবে সেই থেকে অচেনা লোকের থেকে স্কোর করিনা । মাঝারি কোয়ালিটির গ্রাস আফিম জলে ভিজিয়ে আবার শুকিয়ে নেওয়া এদিকে চালু আছে ।কিন্তু গ্রাস আর ওপিয়াম মিশলে একটা আনপ্রডাকটিভ ভুতুড়ে নেশা হয় । নট, জিওমেট্রিক্যালি এনজয়েবল ।

    হেরোইন টা কোনদিন নেওয়ার ইচ্ছে হয়নি । আমার ধারণা ওপিয়াম স্মোক করাই বেস্ট । ঐরকম কোনো পাহাড়ি ঠেকে । যারা অরুনাচল সাইডে আছেন ট্রাই মেরে নিন ।
  • avi | 37.63.188.16 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:৩৫695364
  • দারুণ দারুণ এককদা, আরো আসতে থাকুক অভিজ্ঞতা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নেই, বছর চারেক ডিঅ্যাডিকশন সেন্টারে আছি, তার গপ্পো শোনাচ্ছি পরে। আপাতত ইতিহাস, ভূগোল আর জীবনবিজ্ঞান। আর নেশার সাথে যে হামেশা ক্রিমিনালিটি জড়িয়ে দেওয়া হয়, সেটায় কতটা যৌক্তিকতা আছে, ঘাঁটার চেষ্টা করছি।
  • Rit | 213.110.242.23 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:৩৬695365
  • পর পর দুটো লেখা পড়েই নেশা হয়ে গেলো।
  • অভি | 233.191.52.16 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৪৫695366
  • যেটা বলা উচিত ছিল, নেশাগ্রস্ততার চিকিৎসার দৃষ্টিভঙ্গিও ক্রমে পরিবর্তিত হচ্ছিল। আগে নেশাকে দেখা হত মরাল অবক্ষয় হিসেবে, ওই খ্রীস্টিয় নীতিবোধের দাপটে। ১৮১০এ বেঞ্জামিন রাশ দেখালেন নেশা আসলে একটা অসুখ, তার থেকে মুক্তি অসম্ভব না। উনি সোবার হাউসের ধারণা আনেন। স্যামুয়েল উডওয়ার্ড মদের আসক্তিতে এই জাতীয় অ্যাসাইলামের কথা বলতে শুরু করেন। এবং এই সময়ে নেশার চিকিৎসা দুটো সুস্পষ্ট ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদল সোমাটিক চিকিৎসার কথা বলেন, অর্থাৎ ওষুধ দিয়ে, অ্যাসাইলামে রেখে। আরেকদল বলতে থাকেন অ্যাবস্টিনেন্সের মধ্য দিয়ে আত্মিক উন্নতির কথা। এই দ্বিতীয় দলের হয়ে প্রথমে উঠে আসেন টেম্পারেন্স মুভমেন্ট এবং ওয়াশিংটোনিয়ান গ্রুপ। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মদ্যপ, যাঁরা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন, ও বাকিদের সেইপথে প্রেরণা জোগাতে ইচ্ছুক। প্রায় এক শতক পর এই ধারণা থেকেই তৈরি হবে অ্যালকোহল অ্যাননিমাস। কিন্তু আপাতত এই স্বেচ্ছাশ্রম আর অ্যাবস্টিনেন্স দিয়ে তেমন কিছু সাফল্য মিললো না। সোমাটিক চিকিৎসার লবি শক্তিশালী হয়ে উঠে আমেরিকায় স্থাপিত হল The American Association for the Cure of Inebriates। প্রথম দিকে নিও-ওয়াশিংটোনিয়ানরাও এর অংশ ছিলেন, পরে অন্যদল প্রাধান্য পায়। এই দুই ধারার দ্বন্দ্ব এখনো চলছে। শুধু অ্যালকোহলে সীমিত না থেকে এখানে সবরকম নেশার উপাদান নিয়ে কাজ শুরুর কথা বলা হয়, যদিও পাবলিক সাপোর্টেড অ্যাসাইলাম তখনো তেমন আসে নি।
    নেশার জগতে আরেক দিকপাল ততদিনে চলে এসেছে, ঊনিশ শতকের দ্বিতীয় অর্ধেই। ষাটের দশকে কোকা পাতা থেকে কোকেন আলাদা করা সম্ভব হয়। বছর কুড়ির মধ্যে কোকেন সুপারস্টার। প্রথমে যথারীতি এর মেডিসিনাল কোয়ালিটি নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাস আসে। সিগমুন্ড ফ্রয়েড লম্বা প্রবন্ধ লেখেন, নিজেও দীর্ঘদিন সেবন করেন। তাঁর থেকে প্রাণিত কিছু মার্কিন চিকিৎসক হে ফিভারের নিরাময়ে কোকেন কাজে লাগান। এমনকি আফিমের নেশা ছাড়ানোর প্রয়াসেও কোকেন দেওয়া হয়েছে, টকের জ্বালায় পালিয়ে গিয়ে তেঁতুলতলায় বাস আর কি। শিগগিরই কোকেনের স্বরূপ চেনা গেল। ব্যান করা হল। কোকাকোলা কোকেন পরিত্যাগ করে মিসনোমার হয়ে পরের একশো বছর কাটানোর জন্য তৈরি হল। মজার ব্যাপার, বিশ শতকের গোড়াতেও ইউরোপ আমেরিকার অনেক ফার্মাসিতে ওভার দ্য কাউন্টার দেওয়া পেটেন্ট ওষুধে কোকেন বা মরফিন থাকত, আর লেবেলে তার কথা লেখা থাকত না।
    তবে অ্যাদ্দিনে নেশার কবলে পড়া মরাল ডিক্লাইন হিসেবে দেখার দিন গেছে। অনেক বিখ্যাত রাজনীতি বা সাহিত্যের রথী মহারথী আফিম ইত্যাদি নিচ্ছেন, এবং তা নিয়েই স্বাভাবিক কাজকম্মো চালাচ্ছেন, মাত্রা বজায় রেখে। আফিমখোর ছিলেন সমাজের সকল স্ট্রাটা থেকে। প্রকাশ পৃথক হত, যেমনটা আজও হয়। আফিমের ক্ষেত্রে, মজার ব্যাপার, মেয়ে পুরুষ রেশিও ছিল প্রায় ২:১। ইমোশনাল সমস্যা বা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহলিজমে ডাক্তাররাও অনেক সময় মরফিনের ফরমান দিতেন। তবে কোকেন আর মরফিন সমাজের প্রান্তিক কিছু বিশেষ অংশে, জুয়াড়ী, ছিঁচকে, বেশ্যা ইত্যাদি জনসমষ্টিতে ভালো জেঁকে বসে।
    সব মিলিয়ে, বিশ শতকের শুরু থেকেই কোকেন ও আফিমের নেশার ওপর রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা জারি ইন্টেন্স হতে থাকে। মেডিক্যাল বইপত্রে জোরালো লেখা শুরু হয়, ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ার দাবি ওঠে, আন্তর্জাতিক নজরদারির দাবি উঠতে থাকে। এবং এই সময় থেকেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম বানানোর প্রয়াস শুরু করে।
  • অভি | 233.191.56.209 | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১১:১০695368
  • আফিম নিয়ে সবার বেশ নিজের মতো স্বার্থ ছিল। বৃটেন আর ফ্রান্সের অনেকদিনের জমিদারী, আমেরিকা এখন চায় মুক্ত বাণিজ্য আর ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ, বৃটেন যে এককালে মুক্ত বাণিজ্যের টানে লড়াই করেছিল, তার এখন সেটি না হলেই সুবিধা হয়, চীনের মধ্যে প্রচণ্ড চাপ। তার মধ্যে দুটি ব্যাপার হল। সান ইয়াৎ সেন চীনে ক্ষমতায় এলেন, এবং চীন ভারত ওপিয়াম চুক্তি, যা ১৯০৬এ পরিমাণে কমানো হয়েছিল, ১৯১০এ পুরোপুরি বন্ধ হল। সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এরপর থেকে কলকাতা শহর ও বন্দর গুরুত্ব হারাবে, পরের বছর রাজধানীও স্থানান্তরিত হবে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়ে চলে আফিম, কোকেন ও বাকি অবৈধ ড্রাগের লেনদেন বন্ধের দিকে। টাইমলাইনে পরপর আসে ১৯০৫এ ইউএস কংগ্রেসের আফিম ব্যান করা, ১৯০৯এ ইউএসে ফেডারেল ড্রাগ প্রহিবিশন অ্যাক্ট আর সাংহাই কনফারেন্স যেখানে আমেরিকা চাপ দেয় ওপিয়াম ট্রেড কমাতে, ১৯১২তে দ্য হেগ শহরে চুক্তিপত্রে ঐক্যমত্য, ১৯১৪য় আমেরিকায় হ্যারিসন অ্যাক্ট। এই সময় আমেরিকা গাঁজাতেও অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা চালু করতে চেয়েছিল, যা তখন বিশেষ কল্কে পায় নি, এটা পরে বলবৎ হয় ১৯২৫এ সেকেন্ড জেনেভা কনভেনশনে।
    প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তেমন জোরালো কিছু ইমপ্যাক্ট ফেলে নি আফিম ব্যবসায়। শুধু তুরস্কে কামাল পাশা আসায় তুর্কী আফিম ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হয়, স্থানীয় মাফিয়াদের উত্থান শুরু হবে এখানে পরের পর্যায়ে, আর গ্রেট বৃটেনের শেষের শুরু হয়। এই বাজারে আমেরিকা হঠাৎ ১৯২৩এ নিজের দেশে আফিম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে, মেডিসিনাল ক্ষেত্রে রেগুলেটেড ভাবেও না। একদম সাথে সাথে নিউ ইয়র্ক, সান ফ্রান্সিস্কোর ডাউনটাউনে গজিয়ে ওঠে ড্রাগসের ব্ল্যাক মার্কেট। প্রথম দিকে সাপ্লাই আসত সাংহাই থেকে, চীন তখনো ড্রাগ স্মাগলারদের স্বর্গরাজ্য। পরে চীনে মাও শাসন শুরু হলে তুরস্ক থেকে মার্সেই হয়ে বিকল্প পথ তৈরি হয়, কিন্তু সে তো পরের কথা।
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিন্তু অনেক ব্যাপক। আফিমেও তরঙ্গ উঠেছিল বেশি। আরেক প্লেয়ার এসে পড়ে, জাপান। ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ, ইন্দোচায়না এবং চীনের অনেকটা চলে যায় জাপানের হাতে। ওদিকে ইরান আর ভারত হয়ে ট্রেড রুট কেটে যায়, সিঙ্গাপুরের পতন ঘটে। ফরাসীরা পালানোর সময় মং চাষীদের আফিম জমি বাড়ানোয় উৎসাহ দিয়ে যায়, যেটা পরে অনেক ছোট সর্দার তৈরি করবে উপজাতিদের মধ্যে। বৃটেন পুরোপুরি অস্ত যায়।
    এর পরের সময় আফিম ট্রেড আমেরিকার, যে আগের অর্ধে একে রুখতে জান লাগিয়ে দিয়েছিল। মূলত এশিয়ায় কম্যুনিজম রুখতে আমেরিকা বার্মা, লাওস, থাইল্যান্ডের স্থানীয় ওয়ারলর্ডদের অস্ত্র ও আর্থিক সাহায্য দিতে শুরু করে। তৈরি হয় গোল্ডেন ট্র‍্যাঙ্গল। আমেরিকাতেও এখান থেকে অবৈধ আফিম ঢুকতে থাকে। তবে বড় সাপ্লাই আরেকটা ছিল তুরস্ক হয়ে, ভায়া মার্সেই। এটা কন্ট্রোল করত কর্সিকান গডফাদারের দলবল। ৬২তে বার্মা আফিম নিষিদ্ধ করায় সিআইএ নাকি এয়ার আমেরিকা কাজে লাগায় বার্মা আর লাওসের কাঁচা আফিম ট্রান্সপোর্টের জন্য। এর সাথে আবার ভিয়েতনাম চলছে। সায়গন হয়ে ওঠে আগের সাংহাই, আফিম ট্রান্সপোর্টের বড় ঘাঁটি। সত্তরে শান উপজাতির এক ওয়ারলর্ড, খুন সা, সোনালী ত্রিভুজের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। ধাক্কা লাগে দুভাবে। খোদ আমেরিকায় জেন জপলিনের মত সেলেব্রিটি হেরোইন ওভারডোজে মারা যান, দেখা যায় আমেরিকায় মিলিয়নের সংখ্যায় ড্রাগ অ্যাডিক্ট, জনমতের চাপে নিক্সন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বানান, কড়াকড়ি তীব্র হয়। আর ৭৫এ সায়গনের পতন হয়, ভিয়েতনাম লাল হয়ে যায়, সোনালী ত্রিভুজের দিন ফুরিয়ে আসে। মেক্সিকোর সিয়েরা মাদরের সাপ্লাইয়ের ওপর আপাতত টিকে থাকে মার্কিন ডিলাররা, চাইনিজ হোয়াইটের জায়গা নেয় মেহিকান মাড।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন