এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চাপের আমি চাপের তুমি

    π লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৬৯২৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • π | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১২:২২716967
  • এটা সম্রাজ্ঞীর লেখা, ওর অনুমতি নিয়েই দিলাম। ওরও পাবলিক পোস্ট, অরূপ ইত্যাদি যাদের কথা বলেছে, তারাও আছে সেখানে।

    এই পোস্টটা নিয়ে নানা গ্রুপেও অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে। না ব্যক্তিগত স্পেসিফিক কেস ঠিক না, কিন্তু ইন জেনেরাল এটা বহু মেয়ের সমস্যা, সেই হিসেবেই অনেকে আইডেন্টিফাই করেছে, যারা করেনি, তারাও কেন করেনি সেইসব কথা এসেছে।
    এবং এসেছে ছেলেদের পয়েণ্ট অব ভিউ ও । সৈকতদা এটার প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটা পোস্ট করেছিল। সেটাও রইলো।

    সম্রাজ্ঞীঃ
    মাস্টার্স শেষ হয়নি। আমি ইউনিভার্সিটি , অরূপ অফিস। বয়সের ব্যবধান। এরই মধ্যে আমাদের বিয়ে। অথচ বিয়েকে কেন্দ্র করে মাত্র ২২ এর মধ্যেই আমার অনেক জেহাদ আছে। কেন বাড়ি বদল ? কেন শাশুড়িকে মা ? কেন পদবী বদল ? আরো নানা কিছু। বিয়ের আগে তাই রাত জেগে অরূপের সঙ্গে আমি ঝগড়া করে যাচ্ছি এই সব কিছু নিয়ে। সেই বাংলা সিরিয়ালে যেমন দেখায় যে বৌ এসেই চাইছে ঘর ভেঙে দিতে, আমি অবশ্য আগে থেকেই চাইছিলাম। মাঝামাঝি কোথাও থাকা যায় কিনা। অরূপ অসহায় হয়ে জানাচ্ছিল, যে এই সমস্ত নিয়মই অন্যায় ঠিকই, কিনতু বাড়ি ছাড়া ওর পক্ষে সম্ভব নয়। আমিও অবাক হয়ে বলছিলাম তাহলে আমিই বা কেন ? অতএব রাতের পর রাত মধ্যস্থতা, নেগোসিয়েশন। কিনতু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, আমার আজন্ম লালিত সমস্ত বিপ্লব আমি অগ্নিসাক্ষ্মী রেখে বিদায় দিচ্ছি। আমার বিয়ের ভিডিও দেখলে আমি এখনো দেখি পুরো বিয়েটার সময় আমি গম্ভির। কারণ ঐ প্রথাগুলো আনন্দ করে পালন করতে পারিনি, যেহেতু আমি জানতাম ওগুলো আমার ওপর চাপানো প্রথা। অনেক মেয়েদের কাছেই হয়ত আমি ব্রাত্য, তবু এ কথা সত্যি , আমার হাতে যখন শাঁখা, পলা পরানো হচ্ছিল, আমার চোখ ছলছল করছিল..."তবে কি আমিও মেনে নিলাম সব...?"

    সমস্ত প্রথার শেষে 'আমি' একদিন আমার ভবানীপুরের একতলা ছেড়ে , আমার পড়ার ঘর ছেড়ে, বাড়ি বদল করলাম। আর প্রথমবার বুঝলাম আমার তারমানে কোনোদিন কোথাও কোনো বাড়ি ছিল না, যেটা ছিল সেটা বাসা...! পুরনো দিনের মেয়েদের যেমন গয়নার বাক্স থাকত, আমার তেমন ছিল ভবানীপুরের বাড়ি, যেখান থেকে আমি আমার আঁকার খাতা আর অনেক বই নিয়ে চলে এলাম। বাঘাযতীন পুরনো কলোনি পাড়া। অনেক কাকা জেঠা, পিসি কাকি! আমি এসবের মধ্যে বড়ই হইনি। আর ওদের বাড়ির অনেক মানুষ। আমার কেমন হাঁপ ধরে আসত। কিনতু সে কথা কি বলা যায় ? কাউকে চেনা বা ভালোবাসার আগেই এই প্রতিটা সম্পর্ক, আচার, ইত্যাদি আমার ওপর চেপে বসছে তখন। আমি যাদবপুর যাওয়ার আগে শাঁখা, পলা খুলে ফেললাম। কেন ? তা কি শুধু আমার আজন্ম লালিত বিপ্লব ? আমার অর্ধ প্রগ্রেসিভ মানসিকতা ? নাকি যাদবপুরের মত প্রগ্রেসিভ জায়গায় সেটা পরে যাওয়ার সাহস করলাম না আমি ? তখনও সিঁদুরের লাল রয়েছে মাথায়, হাতে মেহেন্দি, বাঁ হাতে লোহা...যাদবপুরে ঢুকতে ঢুকতে ফিসফিস শুরু হয়ে গেল! বাংলা, ইংরিজি...তুলনামূলক! আরে! আমি তো তুলনামূলকে জেন্ডার স্টাডিজ পড়ি, আর আমি কিনা, ২২ বছর বয়সে বিয়ে করে লোহা পরে চলে এলাম ? চোখ ফেট জল আসছিল আমার। এরপর শুরু হল, অনেকদিন ক্লাস মিসের পর নতুন করে ক্লাস করা। নতুন বাড়ি, পরিবেশ সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছি। আমি যে গ্র্যাজুয়েশনে স্ট্যান্ড করতাম, সে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছি। একদিন ইউনিভার্সিটি যাইনি, শুনলাম এক অধ্যাপিকা বলেছেন..."কে কোথায় বিয়ে করছে, তার জন্য তো আর ক্লাস আটকে থাকবে না"। বিয়ে করে যে আমি অপরাধ করেছি, এ কথা বুঝিয়ে দিতে কারো বাকি ছিল না। এমনকী বন্ধুরাও! যাদের জীবন তখনও বয়ফ্রেন্ড, আইসক্রীম। একদিকে আমি চুড়ান্ত আন্সকলারলি বলে মার্কড হচ্ছি, আর অন্যদিকে বাড়িতে সেই আমিই প্রতিনিয়ত মার্কড হচ্ছি, একজন বৌ, যে শুধু পড়াশোনা নিয়ে থাকে, যার খুব মুড সুইং করে, যে খুব রেগে যায়, আর যে আর পাঁচটা মেয়ের মত চুপ করে থাকতে জানে না। সমস্ত কথার উত্তর দেয়। আর এর দুইয়ের মাঝখানে পরিচিত, প্রতিবেশি,আত্মীয়...এইসব কথা বাদই দিলাম। ইউনিভার্সিটি তে একটা সেমিস্টার অসম্ভব খারাপ হল! সেই কান্না থামতে দুদিন লাগল। আমার নতুন 'শ্বশুর' বাড়িও হাঁ। নতুন বৌদের কতরকম কান্নার কথাই জানা আছে, তা বলে সেমিস্টারের রেজাল্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপক অধ্যাপিকারা যেভাবে মনোবল জুগিয়ে ছিলেন সেদিন, যে তা নাহলে উঠে দাঁড়াতে পারতাম না। এরপর আবার দাঁতে দাঁত চেপে পড়াশোনা, এবং ফিরে আসা...সব মিলিয়ে মাস্টার্স এর শেষে ফিফথ হলাম। প্রথম তিনের মধ্যে আর ফিরে যেতে পারিনি।

    কিনতু ইতিমধ্যে নতুন বাড়ির সকলেই আমাকে আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করছে। তবে আমাকে গ্রহণ করা তো সহজ নয়, তার জন্য খুব মজবুত পাত্রের প্রয়োজন। সাদামাটা বাড়িতে এ কার আগমণ। জমছে ক্ষোভ। অভিমান। আর দু তরফের সবকিছু জমে জমে আস্তে আস্তে বিশাল আকার নিচ্ছে। তখন আমি বি এড করছি। বাড়ির নিত্য অশান্তি আর ভালো লাগছে না। সে অশান্তিতে আমার কোথাও কন্ট্রিবিউশন নেই, এমন নয় কিনতু। আমারও পূর্ণ পার্টিসিপেশন আছে। কিনতু যেটা আছে সেটা মেয়েমানুষিও বটে (ছেলেমানুষি ? ) । আমার আসলে তখন প্রয়োজন অনেকটা মাথায় হাত বুলনো, অনেক প্যাম্পারিং, অনেক! কিনতু বাড়ির বড় বৌএর এসব দরকার, আর সে আবার বলেও...এ তো ভারি নতুন ব্যপার। ততদিনে লেখা ছেড়ে চলে গেছে আমায়। লিটল ম্যাগ মেলায় গেলে সবাই বলছে " কী ভালো লিখতে, বিয়ে করে নিলে দুম করে"। অতএব, বিয়েকেই আমি বারবার চিহ্নিত করছি, আমার জীবন থেকে সব মুছে যাওয়ার জন্য। কিনতু সেদন যারা বলতেন, তারা কি সত্যিই কখনো চেয়েছিলেন যে আমি লিখি ? নাহ। ওটা, করুণা। ওটা বাজিয়ে দেখা। এমনই এক সময়...একদিন তুমুল অশান্তিতে, আমি স্থির করে ফেললাম, যে আমি আর এটা কন্টিনিউ করব না। কারণ আমার ভালো লাগছে না। কাউকে কোনো সুযোগ না দিয়ে, সবাইকে জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমি। বাড়ি থেকে বেরোলাম। কিংবা বাসা থেকে। আমি। যে কোনো রাস্তা চিনি না। কোনোদিন একা বেরোতে চাইওনি। বেরনোর পর ঐ পাঁচ মিনিট...আমাকে সারাজীবনের জন্য বদলে দিল। হাঁটছি, আর ফোন খুলে দেখছি, এই পৃথিবীর একজনকেও আমি ফোন করতে চাই না। খুব অনিচ্ছা সহকারে ভবানীপুর গেলাম। চাকরি করি না তখন। আমার এই পাগলামিতে নাস্তানাবুক অরূপ।

    তারপর সেখানেও কিছু ভালো লাগত না আমার। একা একা পড়ার ঘরে থাকতাম। মা বাবা চেষ্টা করত আমাকে বুঝতে, বোঝাতে। বাবা মাঝে মাঝে কিছু বলতই না। যেন সব ঠিকই আছে। কাকা (অরূপের) মাঝে মাঝে দেখা করতে আসত আমার সঙ্গে। ততদিনে অরূপের কাকার সঙ্গেই বন্ধুত্ব হয়েছে আমার। আমাকে লেখার কথা জিজ্ঞেস করত। কখনো ফিরতে বলত না। আমি তখন ভীষণ ডিপ্রেশনে। কাকাকে দেখাতাম..."এই দেখো কাকা...আর সিঁদুর পড়ছি না" । "কাকা দেখ, লোহা খুলে ফেলেছি"। কাকা বলত..."বেশ তো। ওগুলো তো এমনিও খোলারই কথা"। ভেবে দেখার বিষয়, এই কাকা কে ? আমার খুশ্বশুর। অতএব, সেই বাড়ি কিনতু। কিনতু আমার দীর্ঘ পরিচিত মানুষজনরাই বরং রোজ খোঁজ নিতে বাকি রাখেননি, আমি তখনো ভবানীপুরে কিনা। অসহ্য লাগত। কেন এই খোঁজ নেওয়া ? স্রেফ আমার বিয়েটা টিকে আছে কিনা জানার জন্য ?কিসের এত কৌতূহল ? যদি না থাকে ? আনন্দ পাবেন ? যদি থাকে ? দুঃখ? কে জানে। অরূপ আসত। আমরা আগের মত হয়ে গিয়েছিলাম। যেন বিয়ে হয়নি আমাদের। যেন এখনো কোর্টশিপ চলছে। কিনতু দুজনেই জানতাম না...কীভাবে ঠিক হবে সবকিছু। আমি শুধু জানতাম...আমি আর জানতে চাইনা যে আমি অদভুত, আমি আশ্চর্য। আমি শুধু মেনে নিতে চাই নিজেকে। আর বদলাব না।
    ততদিনে বুঝিনি...আমার আসল বদল হয়ে গিয়েছে। খুব ভীতু মেয়েটা বদলে গিয়েছে। খুব নিরীহ মেয়েটা বদলে গিয়েছে। আর যে ততদিনে জন্ম নিয়েছে...সে অন্য কেউ। সে অনেক কঠিন। অনেক সাহসী।

    ততদিনে লেখা ফিরে আসতে আস্তে আস্তে...আমি লিখছি। আমাকে কেউ কেউ জানাচ্ছেন...বিয়ে করে আমি যে আর লিখব এমনটা ভাবেনই নি। আমার লেখা নিয়ে চর্চা হচ্ছে।নাকি আমাকে নিয়ে ? কারণ আমি আমার জীবন লিখছি। একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন..."এই যে তুমি এইসব লিখছ, বাড়িতে অসুবিধে হয় না ? "। নাহ! হাজার অশান্তির পরও...আমার নতুন বাড়ি অনেক উদার, অন্যরকম আউটলুক তাদের। কোনোদিন আমার লেখা , আমার কাজ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি কেউ। বি এড শেষ হল কোনোরকমে। বহু মাস পর আমি এ বাড়ি ফিরলাম। তখন দুটো তলা। আমি আর অরূপ নিচে। অদ্ভুত ভাবে...সব খুব শান্তির। আমি আসলে বড় হয়ে গেছি ততদিনে। বাড়িও আমাকে বুঝতে পেরেছে। আর ঐ এক্টা তলার ব্যবধান সবকিছুকে হেলদি করেছে। তাতে কিনতু দায়িত্ব বেড়েছে বই কমেনি। আমি একা হাতে একটা সংসার সামলাতে শুরু করেছি, কিনতু অগ্রাহ্য করিনি এই বাড়ির কারোর দায়িত্ব। তাঁরাও করেননি, কক্ষনো। আমার খুব জ্বরে, অরূপ মিটিং এ গেছে, শাশুড়িমা মাথা ধুইয়ে দিয়েছেন আমায়। শাশুড়িমায়ের শরীর খারাপে জোর করে হালকা খাবার খেতে বাধ্য করেছি যখন, নিজের মায়ের ওপর যেভাবে চিৎকার করি সেভাবেই করতে দ্বিধা বোধ করিনি। কারণ, সময় সবকিছুকে জায়গায় নিয়ে আসে। অল্প ব্যাবধান সবকিছুকে স্বাস্থ্যকর করে। এটা সকলে আগে থেকেই বুঝলে এত কিছু হয় না।

    কিনতু এরপরও কারো কৌতূহলের বাকি ছিল না। "ওহ তোমরা তারমানে আলাদা থাকো? " । কিছুদিন আত্মগ্লানিতে ভুগলাম। তারপর বলতে শুরু করলাম সকলকে। "হ্যাঁ গো। অশান্তি হত একসঙ্গে। এখন আমরা ভালো আছি"। আমাকে সবাই না করল, এমন করে বাড়ির কথা বলতে নেই। শুনিনি। কিনতু ভাগ্যিস শুনিনি, এই সাহসের পর একদিনও কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করতে আসেনি, কারণ আমি জানি, প্রত্যেক সংসারে অশান্তি আছে, সেটাই স্বাভাবিক, শান্তির পথ এক এক জন এক এক ভাবে খোঁজেন। প্রয়োজনটা দায়িত্ব নেওয়ার। সেটা যেন দু তরফেই নেয়। আর আমার ক্ষেত্রে আমার সমস্ত দায়িত্ব সকলে সবসময় নিয়েছে, একইভাবে আমিও। যেহেতু, আলাদা তলায় থাকি, সেহেতু...এই ছোট্ট সংসারের দায়িত্ব কিনতু কখনো কারো ঘাড়ে চাপিয়ে দিইনি। অফিস, সংসার, সম্পর্ক...এক হাতে সামলাই। অরূপের অসীম সাহায্য আছে নিশ্চই। মাঝে মাঝে খুব অভিযোগও করি...পারছি না বলে! সেদিন এরকমই ক্লান্তিতে অফিস থেকে তিনজন কফি খেতে গেলাম। আড্ডা দিতে দিতে শুনছি...অনেক গাইড নাকি পি এইহ ডির মধ্যে বিয়ে এলাউ করে ন না, কেউ কেউ নাকি বিবাহিত স্কলার নিতে চান না। সব মনে পড়ছিল...!

    আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই...বিয়ে টা এখনো যখন সমাজে আছে। প্রেম , লিভ টুগেদার, এক্সট্রা ম্যারিটালকে যতটা স্বীকৃতি দিতে আমরা উদ্যত, বিয়েকেও ততটাই দিতে পারলে যারা বিয়ে করে তাদের একটু সুবিধে হয়। আর পোস্ট ম্যারেজ সকলেরই নানান অসুবিধে হয়...সেই সময়টা তাদের বিয়েটাকে তাদের আরেকটু স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে দিলেও সুবিধে হয়। বিয়ে করা মানে সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বিয়ে করার আগে অবধি আমার পোটেন্সিয়ালিটি নিয়ে আমার নিজের কোনো ধারণাই ছিল না। সংসার ম্যানেজমেন্টই আমাকে একজন ভালো এমপ্লইও করে তুলেছে চাকরি স্থলে। অনেক শক্ত হয়েছি। হ্যাঁ, সামলাতে গিয়ে অনেক ভুল করেছি। অনেক কিছু হারিয়েছি। বিশেষত...খুব সরল সৎ একটা মেয়েকে!

    বিয়েটা দুজন করছে, তাদের একটু বুঝতে দিলেই তো হয়। আর তারপর যদি অশান্তি হয়, সেটা নিয়ে এত আত্মগ্লানির কিছু নেই। মুখের ওপর সপাটে বলুন, হচ্ছে। এতে অন্যায় নেই। দোষ নেই। এটাই স্বাভাবিক। কোনো ক্ষেত্রে যদি বিয়েটা না টেকে, তাতেও লজ্জার কিছু নেই। অসামাজিক হয়ে পড়ার কিছু নেই। সবটাই স্বাভাবিক। জীবনে ভালো থাকাটা ইম্পর্ট্যান্ট। যে যেভাবে আছেন...সেটা বোল্ডলি ডিক্লেয়ার করার সময় এসছে। কারণ আপনার দুঃখটা আপনার। আপনার আনন্দটা আপনার। তাহলে ?

    কেন আজ লিখলাম হঠাৎ এত কিছু ? কারণ খারাপ থাকলে, মনখারাপ করে, দুঃখী মুখ করে ঘোরার আমাদের অধিকার আছে। সবকিছু ঠিক আছে বলে রাতের পর রাত না খেয়ে যারা ঘুমিয়ে পড়ছেন...সেটার দরকার নেই। কোথাও কোনো অস্বাভাবিক কিছু নেই। যা স্বাভাবিক, তাকে লুকনোর কী আছে ? এই কবিতা জগতের কত জন আমায় জিজ্ঞেস করেছেন..."তুই কি এই বাড়িতে?"...সেদিন "হ্যাঁ" বলার পর বলতাম "বি এড এর জন্য"। ভুল করেছি। বলা উচিত ছিল " হ্যাঁ। অসুবিধে হচ্ছে বিয়েটায়। এখন তাই এখানেই" । যেভাবে সারা ছোটবেলা পিরিয়ডসের ব্যথা হলে আমাদের বলতে হত, মাথা ব্যথা, জ্বর, পেট খারাপ...! সেভাবেই বড় হয়ে...হাসিমুখে..." না না ভালো আছি" । কেন ? আমাদের পিরিয়ডস হয়, আমাদের ব্যথা হয় খুব...কষ্ট হয়...ক্র্যাম্প হয়...সেটা একা একা ভোগ করতে হয়। তাহলে বলতে পারব না কেন ? একই ভাবে...আমরা বাড়ি ছাড়ি...নতুন করে এডজাস্ট করি...অসুবিধে হয়। অশান্তি হয়। ডিপ্রেশন হয়। এতে লজ্জার কিচ্ছু নেই। তারপর কারো ক্ষেত্রে ঠিক হয়, কারো ক্ষেত্রে হয় না, কারো বিয়ে থাকে, কারো থাকে না...তাতেও অসুবিধের কিছু নেই। আর অসুবিধে থাকলেও তা তো সমাজকে ভোগ করতে হচ্ছে না...তাহলে সামাজিক হওয়ার অতটা দায় না নিলেও চলবে...

    আসলে সন্ধেবেলা বসে বসে হঠাৎ মনে পড়ছিল...অনেক অনেক গলার স্বর..." ও তো বিয়ে করে নিয়েছে। আর কি পড়াশোনা শেষ করবে?" " ও আর লিখবে না" । " ও তো বোধহয় এখন এ বাড়িতে থাকে। " " আজকের দিনে ও কী করল"...

    আজ তারাই অনেকে বলে..." এক হাতে এত কিছু কীভাবে সামলাস ?"

    যে হাতে অসংখ্য বছর ধরে লোহা পরিয়ে রাখা হয়েছে...সে হাত কি শুধু লোহা খুলে জেন্ডার স্টাডিজের উত্তর লিখতে পারবে ? সে হাত শক্ত হয়ে, কঠিন হয়ে...সামলাতে পারবে না ?
    -----

    সৈকতদাঃ

    এটা Samragnee Banerjee র লেখার রিয়াক্শন। পড়ে যা যা মনে এল। আমার গপ্পো। পুরোটাই ব্যক্তিগত ঠিক না। আমাদের মতো আলোকপ্রাপ্ত মধ্যবিত্তদের গপ্পো।
    আমরা, মানে আমাদের মতো ছেলেরা যখন বড়ো হয়েছি, একটা বোঝা আমাদের ঘাড়ে চেপে থেকেছে। জীবনে কিছু করে দেখাতে হবে। মানে, কেউকেটা হতে হবে এমন না, ভালোভাবে করেকম্মে খেতে হবে। হবেই। নইলে স্টেশনের ধারে চায়ের দোকান দিতে হবে। অর্থাৎ সেটা কোনো অপশন নয়। সেটা শুধু নিজের জন্য এমন না। বাপমা বুড়ো হলে তাদের দেখতে হবে। সেবাযত্ন করতে হবে। একসঙ্গে থাকতে থাকতে হবে। নচিকেতার বৃদ্ধাশ্রম বলে একটা গান আমাদের প্রথম যৌবনে খুব পপুলার হয়েছিল। সেখানে বাপ-মাকে না দেখে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো এক ঘৃণ্য অপরাধ বলেই গণ্য হয়েছিল।
    এই চাপটা, অর্থাৎ, নিজেকে এবং নিজের পরিবারের সঙ্গে থেকে তাদের দেখতেই হবে, অন্য কোনো অপশন নেই, এটা আমাদের অর্থাৎ, বাঙালি মধ্যবিত্ত পুং শাবকদের ঘাড়ে প্রথম থেকেই ছিল। না করতে পারলে দুনিয়া তোমাকে অপদার্থ, স্বার্থপর ভাববে। লোকে ছ্যাছ্যা করে থুতু দেবে। 'শিক্ষাদীক্ষা পেয়ে লাভ টা কী হল? এ তো মানুষ হলনা', খুব সহজ ভাষায়, এই হল পৃথকান্ন বাঙালি পুং শাবকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী।
    একটি মেয়েকে যখন আমরা বিয়ে করে এনেছি (এনেছিই বললাম, সমাজ ওভাবেই দেখে), তখনও এই চাপ আমাদের পিছু ছাড়েনি। তখন 'দেখাশুনো'র লিস্টিতে আরেকটা জিনিস যোগ হয়েছে মাত্র। বাপ-মা-বৌ। এর পরে ক্রমশ আসবে সন্তান। চাপ বাড়বে। এবং না নিলে ওই 'অমানুষ' আখ্যা। এসব করতে, আমি যেমন লিখছি, খারাপ লেগেই চলে এমন না, ভালো লাগে, কিন্তু চাপটা থাকে।
    এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, সম্রাজ্ঞীর লেখায় যেমন আছে, যে, 'বিয়ে করে এনেছি' এটার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। কে কাকে আনে, কে কাকে দেয়। ইকুয়ালিটির গপ্পে দুজনে দুজনের পার্টনার। কিন্তু ইকুয়ালিটি, কে কাকে দেয় কমরেড? আপনাকে (অর্থাৎ মহিলাদের) ছাড়তে হয় বাড়ি, উপড়ে আসতে হয় অন্য জায়গায়, আর আমাকে (অর্থাৎ পুং দের) নিয়ে বেড়াতে হয় পাহাড়প্রতিম চাপ। আপনি হপ্তায় একদিন বাপ-মাকে ফোন করবেন, মাঝে-মাঝে একটু উদ্বেগ প্রকাশ করবেন, এর চেয়ে বেশি এক্সপেক্ট কেউ করেনা। আর আমি আমার বাপ-মাকে সঙ্গে থেকে দেখভাল না করলে 'স্বার্থপর' আখ্যা পাব, 'অমানুষ'ও আখ্যা পেতে পারি। অতঃপর আমাকে কোন এক পক্ষ থেকে হয় বিচ্ছিন্ন হয়ে বৃদ্ধাশ্রম গানের ছেলের মতো 'স্বার্থপর' আখ্যাটা ঘাড়ে নিতে হবে। কিংবা প্রচন্ড চাপে থেকে খেলে চলতে হবে ব্যালেন্সের খেলা। মাঝেমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, কেন এই চাপ আমি নিয়ে চলব অনন্তকাল? কেন নেব? যাকে বলে, হোয়াট ইজ দা বিকজ? :-) সমাজ কেন আমার ঘাড়ে একটা এক্সপেক্টেশন চাপিয়ে দিয়ে একটা পরাধীন জীবন যাপন করাবে?
    এগুলো কোনোটাই ঠিক ব্যক্তিগত কথা না। ব্যক্তিগতভাবে আমার এই সমস্যা একরকম করে রিসলভড। আমাদের প্রজন্মের অনেকেরই রিসলভড। আমরা হাসিমুখে বীরের মতো নানাভাবে এই সমস্যার সমাধান করেছি। কেউ ভালো বেসে, কেউ না বেসে। কোনো কমপ্লেন ছাড়াই। সেটাও অ্যাকচুয়ালি আমাদের উপর একটা চাপ। কমপ্লেন কোরোনা, এমন ভাব দেখাও, যে, সমস্যাটা হাসিমুখে ফেস করাই তোমার কাজ। তুমি বীর। উন্নত তোমার শির এবং পুংলিঙ্গ। কমপ্লেন করা তোমাকে মানায় না। কিন্তু যেজন্য আমার অবাক লাগে, এত গাদা-গাদা লিটারেচার পড়ি, তার কোনোটাতেই আমার বা আমাদের সমস্যার কোনো উল্লেখমাত্র নেই। এইভাবে ওয়ান-সাইডেড একটা বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান দূরে থাক, তাকে আদৌ দেখাও কি যায়?
  • dc | 120.227.239.49 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১২:৪০716978
  • আমার মনে হয় বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর একসাথে অন্য কোথাও থাকা খুব দরকার। তার মানে একেবারেই এই না যে ছেলেটি তার মা-বাবাকে (বা মেয়েটি তার মা-বাবাকে) ছেড়ে চলে গেল। আসলে বিয়ে ব্যাপারটা বেশ কমপ্লিকেটেড, আর বিয়ে করা মানে প্রথমবার ছেলেটির আর মেয়েটির কোন কিছুর যৌথ দায়িত্ব গ্রহন করা। দুজনে মিলে একসাথে থাকতে শুরু করলে দেখা যায় বহু বহু জিনিস নিয়ে পরস্পরের সাথে আলোচনা করা দরকার, নেগোশিয়েট করা দরকার, ঝগড়া করা দরকার, কমপ্রোমাইজ করা দরকার। আর এই সব কিছুই করতে সুবিধে হয় যদি স্বামী-স্ত্রী (লিভ টুগেদার হলে ছেলে-মেয়ে) নিজেদের আলাদা একটা ফ্ল্যাটে বা ভাড়াবাড়িতে চলে যায়, অন্তত বছর দুতিনেক নিজেদের ঝাম নিজেরা মেটায়। অবশ্যই মা-বাবাকে ফেলে রেখে নয়, দু তরফের মা-বাবার যাতায়াত তো থাকবেই, খোঁজখবরও থাকবে, সারপ্রাইজ ভিজিটও থাকবে। কিন্তু দুজন মিলে নিজেদের আলাদা একটা স্পেস বানিয়ে তুলতে পারলে অনেক প্রব্লেম একটু সহজে সমাধান করা যায়। (অবশ্যই এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, আমি এরকমই করেছিলাম বলে এটা আমার একটু সহজ অপশান মনে হয়)।
  • dc | 120.227.239.49 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১২:৫০716989
  • আর বিয়ের পরে শাঁখা-সিঁদুর ইত্যাদি পরা আমার অসহ্য লাগে (ডিঃ আমার ব্যাক্তিগত মত)। একটা সময়ে আমি বেশ টেনশানেও থাকতাম, বিয়ের পরে আমার পাশে যদি একজন সিঁদুর টিঁদুর পরে হাতে প্রকান্ড শাঁখা পরে রোজ ঘোরাঘুরি করে তো আমাকে কিরকম বোকার মতো দেখতে লাগবে। ভাগ্যক্রমে আমাকে এরকম ব্যাপার ফেস করতে হয়নি কারন আমার কাউন্টারপার্টও ঠিক একইরকম ভাবতেন :p তো দুজন মিলে আলাদা ঘর করলে এইসব ঝাম থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। বেপাড়ার লোক চট করে এসব জিগ্যেস করেনা।
  • kc | 198.70.1.3 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৩:০৫717000
  • সৈকতের লেখাটা অসম্ভবরকম ভালো লাগল।
  • | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৩:৩৫717007
  • সবই তো ঠিক। তবে ঐসব চাপ অ্যাবজর্ব করতে গিয়ে ছেলেটা আলাদা থাকতে শুরু করলেই সারা পৃথিবী বলতে শুরুকরবে 'দেখেছো পরের মেয়ে এসেই কেমন ঘরের ছেলেটাকে পর করে দিয়েছে', সে মেয়ের নিজের আত্মীয়স্বজনও বলতে ছাড়বে না।
    এই আর কি
  • Ekak | 53.224.129.54 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:১০717008
  • কীরকম একটা রাজার অসুখের মতো গপ্পো । মানে , এভাবে দেখলে তো ,এই অনর্থক চাকরি বাকরি , বাজে লোকদের সঙ্গে হ্যাজানো , বে -থা , রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠা , এন্ডি গেন্ডি মানে জীবন মানে অনন্ত চাপ । জেন্ডার ফেন্ডার টানলে একটু জেল্লা আসে অবশ্য । কিন্তু ওই আরকি মাখোরে -হাদদিয়ে তোলরে -চিবোও রে র মতো ধীর লয়ে বাজিয়ে, অন্যরকম ফিলিং দেওয়ার চেষ্টা ।
  • dc | 120.227.239.49 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:১৪717009
  • দ, সেতো সবেতেই কেউ না কেউ কিছু না কিছু বলবেই :d তবে কিনা নিজেদের মতো থাকতে পারলে অন্তত নিজেরা নিজেদের হ্যাজ মিটিয়ে নিতে পারবে, অন্যের কথায় কান না দিলেও হলো।
  • | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:১৭717010
  • আরে হ্যাঁ আপনারটায় একেবারেই একমত ডিসি। সৈকতের ঐ আতুপুতু লেখাটা পড়ে লিখলাম আর কি।
  • প্রজন্ম | 116.51.141.234 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৪৪717011
  • পড়লাম, সৈকত এর লেখাটাও। কিন্তু দিন বদলে যাচ্ছে। যদি তিন প্রজন্ম ধরি, নব্য, মানে যারা এখন বিয়ে করছে (২৫ - ৩৫), মধ্য মানে তাদের বাবা মায়েরা (৫০ - ৬৫) ও বৃদ্ধ অর্থাৎ তাদের দাদু দিদারা (৭৫ - ৯০)। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় ও ব্যবস্থায় এই দাদু দিদারা কিন্তু বেশিরভাগই রিটায়ারমেন্টের পর ছেলেদের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। বিবাহিতা মেয়েদের ওপর নির্ভর করার প্রশ্ন ছিলনা কারণ সেই বাড়ীতেও বৃদ্ধ প্রজন্ম মধ্য (তখন জোয়ান) প্রজন্মের ওপর নির্ভরশীল। একই চিত্র। সেই হিন্দু রেট অফ গ্রোথের দিনে চাকরী তেমন ডিস্পোসেবেল ইনকাম দিতোনা। সমাজের শিক্ষক ও সরকারী কর্মচারীদের তো নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। তার ওপর দেশভাগ তো আছেই।

    এবার এই মধ্যরা কিন্তু জীবনের শেষ অর্ধে একটু সুখের মুখ দেখল। তারা সন্তান মানুষ করেও নিজেদের বৃদ্ধ বয়সের মানে পোস্ট রিটায়ারমেন্টের জন্যে ব্যবস্থা করে রাখতে পারলো। তারা অনেকেই কিন্তু সেভাবে তাদের সন্তানদের ওপর নির্ভরশীল নয়। মানসিকভাবে তারা অনেক উদার ওই নচিকেতার গানের পরিপ্রেক্ষিতে।

    নব্যরা কিন্তু বেশ অনেকটা এগিয়ে তাদের চিন্তায় ও ভাবনায়। তারা অনেকে বাংলা ছেড়ে বেরিয়ে পরেছে। কিন্তু বাংলার টাচে আছে সোশ্যাল মিডিয়ার থ্রু দিয়ে। মোবাইল এনেছে আরও অনেক সুবিধা। তারা নিজেদের টার্মসে জীবন কাটাতে চায় কিন্তু বাবা মার বা বাড়ীর কোনও বিপদে এগিয়ে আসার জন্য তৈরী। নিজেদের আলাদা সংসারে কাজ ভাগ করে নেওয়া, মেয়েটির কেরিয়ারে সাপোর্ট করা ইত্যাদিতে তারা অনেক বেশী অ্যাকটিভ।

    বৈষম্য নেই তা নয় তবে সুখের কোথা এই যে আজকের নব্যদের হাতে ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের হাতে এই বৈষম্য, বিশেষ করে নাগরিক সমাজে অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। এ আমার বিশ্বাস।
  • Ekak | 53.224.129.54 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৪:৫৮716968
  • নতুন তৈরী করা "আমরা " নিয়ে থাকার সুবিধে আছে । অনেক অসুবিধেও আছে । নতুন আমরা টা খুবই ভঙ্গুর আমরা । এবং ভয়ঙ্কর এটেনশন সিকিং । কাউন্টার প্রোডাক্টিভ ও বটে ।

    1) মানুষ যতই ন্যাকড়া জড়াক সে বেসিকালি তার বাড়ির মতোই । কাঁকড়া কুলের শেষতম কাঁকড়া টি । েকে অতো পাত্তা দিয়ে নতুন করে এক্সপোর করার কিস্যু নেই । বরং বাপ-মা ইত্যাদি ডিপেন্ডেন্সি নোড গুলো জুড়ে রেখে দিলে তাদের সঙ্গে মিলিত ভাবে যে প্যাটার্ন শো করে সেটা দিয়ে ফিউচার একটিভিটি রীড করা সুবিধে । আমরা প্রচুর সময় নষ্ট করি পার্টনার কে "পাল্টাতে " চেয়ে । তার চিন্তাভাবনা পাল্টানোর চেষ্টা করে । পুরো ভুলভাল এপ্রোচ । বরং তার বাপ -মা ইত্যাদি কে রেগুলার স্টাডি করলে বোঝা যায় যে ,পার্টনার মাল্টা একচুয়ালি ফিউচারে কী দাঁড়াবে । তার কন্টিনজেন্সি মডেল পেয়ে গেলে রিস্ক ম্যানেজ করা সুবিধে ।

    ২) যতই অন্য একটা নোড কে নিজের সঙ্গে জুড়ে "আমরা " ভাব , ওসব বাল । একচুয়ালি বাপ-মা থেকে চিনিপিসি কাওকে ডিভোর্স দেওয়া যায়না । ওগুলোই আমরা । কেও যখন মনের ভেতরে ভাবছে তখন ওভাবেই নিজের লোকগুলো নিয়ে হিসেবে গোছায় । এই নতুন ফ্যাব্রিকেট করা আমরার চে , কোনোকালে ফ্যাব্রিকেট হয়ে তারপর ব্লাড রিলেশনে জড়িয়ে গেছে এমন আমরারা অনেক স্ট্রং বন্ড ।

    3) এইভাবে অন্য আমরাদের কাজে লাগিয়ে আবার নিজেদের মধ্যে কিছু বাচ্চা কাচ্চা পিসি মাসি ফুলমামা ইত্যাদি হয়ে একটা গ্রাফ ফর্ম করে গেলে তদ্দিনে আবার "আমরা " বলা যায়। সে হতে হতে মাঝবয়েস কাবার । এই পুরো জার্নিটা যত আউটসোর্স মডেলে হয় তত ভালো । এর মধ্যে বিশাল উৎসাহব্যঞ্জক অভিনব কিসুই নাই। শুধুমাত্র দুজন এ মিলে "আমরা " ফর্ম করলে অযথা মেন্টাল এনগেজমেন্ট বেড়ে যায় যেটা একচুয়ালি পৃথিবীর কোনো সম্পর্কই ডিসার্ভ করেনা।

    এখন যাঁরা নিজেদের বোভেয়ার -সার্ত্র বা ফ্রিদা কাহলো ভাবেন তাঁদের কথা আলাদা । তাঁরা অবসসই নিজেদের মতো আলাদা থাকুন , দ্বীপে গিয়ে থাকুন দরকার হলে ......কিন্তু বাকি যাঁরা বুঝেছেন যে পার্টনারকে অতো কিছু ভাবার মানে নেই তাঁদের ক্ষেত্রে , দেশের সীমানায় কিছু কাশ্মীর কিছু নর্থ ইস্ট রেখে দেওয়া বুধ্ধিমানের কাজ । আনপ্রোডাক্টিভ চাপ নিজের ঘাড়ে পড়বেনা। পাঁকাল মাছের মতো সংসারে থাকবেন :)
  • Arpan | 233.227.143.95 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৫:৪৫716969
  • প্রবলেমটা কী তাই ঠিক বুঝলাম না। তবে বিয়ে ইত্যাদির মত ইম্পর্ট্যান্ট মাইলস্টোনে পা গলানোর আগে ভালো করে রিস্ক অ্যানালিসিস করা উচিত। আর তার মিটিগেশন প্ল্যান। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে। সানি মনে হলে সানি।
  • Ekak | 53.224.129.54 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৬:০১716970
  • মিটিগেশন প্ল্যান তো অবসসই চাই । আমার একদম ওপরের কেস স্টাডি টা পরে মনে হলো উনি একটা গ্যারেজ স্টার্ট আপ খুলেছিলেন লাইক ইউ নো অল দোস গ্র্যাড স্টুডেন্টস । শাঁখা-পলা পার্ট টা মনে হলো কোনোভাবে নিজের ওপর বেশি কনফিডেন্স ছিল যে সামহাও ইনভেস্টর আর পার্টনার দের কনভিন্স করানো যাবে একবার প্রোডাক্ট মার্কেটে এসে গেলে । এরকম কনফিডেন্স অনেকেরই থাকে । নইলে তো , যেখানে পোষাচ্ছে সেখানে পার্টনারশিপ করবো না এটাই সবচে সেন ডিসিশন হয় উচিত । এতো লম্ফোঝম্পের কিছুই নেই ।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৬:২৭716971
  • গুছিয়ে বিয়ে করে এত কান্নাকাটি করার চাইতে বিয়ে না করে চাপমুক্ত জীবনযাপন অনেক বেটার।
  • dc | 120.227.239.49 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৬:৫০716972
  • বিয়ে করার থেকে বরং দিল্লীর লাড্ডু খেলে বেশী কাজে দেবে।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:০২716973
  • সে,র পোস্ট কে ক।গুছিয়ে বিয়ে করে, এতো নাকি কান্নার কি আছে? লিভ টুগেদার করলেই ঝামেলা মিতে যেত। তখন আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, মেয়েটির দিক থেকে নাকি কান্না আসতো ; দেখলে কেমন স্বার্থপর- ছেলে মেয়ে ফেলে অন্য জায়গায় সরে পড়লো।
    কথা হচ্ছে, বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। এক্ষেত্রে মালা বদল করতে হয়, সঙের মতো টোপর পরে অনুষ্ঠানে মন্ত্র পড়তে হয়, মেয়েদের শ্বশুর বাড়ি যেতে হয়,কয়েকদিন ঘোমটা দিয়ে থাকতে হয়,শাশুড়ি-শশুর কে মা- বাবা বলতে হয়, শাশুড়ির অনাবশ্যক উপদেশ মানতে হয়,ফাই ফরমাস খাটতে হয়( যেমন এঁটো থালা তুলে নেওয়া, ইত্যাদি) ইত্যাদি। সব কিছুই ভীষণ গা জ্বলুনি বিরক্তিকর। বিষেশত মেয়েটি যখন অন্য একটি অচেনা পরিবারে আপ রুটেড হয়ে এসেছে। তার মন অলরেডি ভারাক্রান্ত- সেখানে এইসব ক্রিয়াকলাপ অসহ্য।
    মনে রাখতে হবে শাশুড়ি মা নয় বা শশুর বাবা নয়।সে প্রত্যাশা থাকা বাতুলতা। বিশেষত শাশুড়ি যখন বেশ ইনসিকিয়োরিটি তে ভুগছে-এই বুঝি ছেলে পর হয়ে গেলো। এক্ষেত্রে একটু দেখে শুনে ডজ করলে; ভালো খেলা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্লেয়ার রা আনাড়ী ও পরস্পর কে দোষারোপ করে মনো কষ্টে ভোগে।
    একটু মনে জোর বেশি থাকলে, দৃঢ় ভাবে প্রত্যাখ্যান করুন। সমাজ খারাপ বললে গায়ে মাখা বন্ধ করুন।
    এবার আসি ঈশানের লেখা সম্মন্ধে। অনস্বী কার্য ছেলে দের ওপর পাহাড় প্রমান চাপ থাকে। থাকাই স্বাভাবিক,কারণ পড়াশুনা করে ভালো চাকরি বা নিদেন পক্ষে ভালো উপার্জন না করতে পারলে বিয়েই হবে না। আজ পর্যন্ত্য হাতে গোনা বিদুষী উচ্চ শিক্ষিত , চাকরি জীবী মেয়ে দেখেছি যারা সম্পূর্ণ বেকার, চরিত্রবান কোনো ছেলে কে বিয়ে করেছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিজের সমান বা বেশি উপার্জন কারী বা শিক্ষিত ছেলে কে পাত্র হিসাবে চয়েস করেছে। অদ্ভুত! নিজের পছন্দ থাকলেও; সমাজ কি ভাববে, এই ভেবে পিছিয়ে এসেছে।
    যেখানে নিজের অজান্তেই সমাজের কাছে নতি স্বীকার হয়ে গেছে; সেখানে শাঁখা ,পোলা, ঘোমটা কি এমন ক্ষতি বৃদ্ধি করলো?
    তবে, ছেলেরা একটু প্রফেশনালি বাবা মায়ের কথা ভাবলে ভালো হয়। বাবা, মা মানুষ করেছে; সুতরাং তাদের প্রতি কর্তব্য অস্বীকার করা যায় না। সমাজ বলুক আর না বলুক। নিজের সাধ্য মতো হেল্প করুন। বাইরে থাকলে অর্থ দিয়ে; কাছে থাকলে অর্থ ও উপস্থিতি দিয়ে। ফালতু গ্যাদ গেদে সেন্টিমেন্ট রাখবেন না ও চাপ নেবেন না। ছেলে মেয়ে মানুষ করার মতো বাবা মা কে হেল্প করা জীবনের একটা পার্ট। যতটা পারবেন করুন। না পারলেও গিল্টি বোধ করবেন না।
  • Ekak | 53.224.129.54 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৮:০৪716974
  • লাড্ডু ফাড্ডু এসব গল্পকথা । নিজেদের বোঝাবুঝি লাভ ক্ষতির হিসেব সময়ের সঙ্গে পাল্টাতেই পারে । কিন্তু যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে যাচ্ছি তাদের বাড়ির কালচার কি , এক্সপেক্টেশন কি এগুলো তো আগে থেকে জানা । সেক্ষেত্রে না পোষালে প্রথমে সবশুদ্ধু কাটিয়ে দেওয়াই ভালো । নাকি তখন সবাই ভাবে ,ঠিক কোনোভাবে বাগে আনবো !

    যখন আমাদের সভ্যতার সঙ্গে পিগমি বা হুটু টুটসি দের তুলনা করা হবে তখন বেশ গালভরা যুক্তি দেব যে ......পিছিয়ে থাকা সংস্কৃতি বলে কিছু হয়না , দেয়ার আর অনলি ডিফারেন্স অফ কলচর , আর উদিকে বিয়ের পরে হঠাৎ আবিষ্কার করবো হুরিব্বাল শশুরবাড়ির লোকজনগুলো কী রিগ্রেসিভ আর হাত দিয়ে ভাত মাখে .....এই অদ্ভুত লেলীপোনা দিয়ে এমিটিন পোবোন্ধো ছাড়া কিস্যু দাঁড়ায় না ।
  • Arpan | 24.195.226.251 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২০:০৭716975
  • একক, বুঝলাম।

    অ্যাবাউট গ্র্যাড স্টুডেন্টস প্রিটেন্ডিঙ্গ লাইক নেক্সট জুকারবার্গ ইন দ্য মার্কেট, হিয়ার ইউ গোঃ

    https://www.quora.com/What-are-some-of-the-funny-projects-you-have-come-across-in-PESIT

    ;-)
  • Du | 183.74.26.17 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:৩২716976
  • এককের ২।৫৮ একেবারে হলমার্ক খাটি কথা ঃ)
  • Arpan | 24.195.226.95 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:৫৪716977
  • দো জিসম এক জান।

    জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা তে ছিল ডায়ালগটা।
  • Du | 183.74.26.17 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২৩:০০716979
  • তা তো বটেই। যে জানটা টিকে গেল সেইটা ঃ)
  • Abhyu | 106.32.177.237 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২৩:০৮716980
  • যতবারই করবেন, আগে অনেকদিন ধরে প্রেম করে তারপরে বিয়ে করুন।
  • ranjan roy | 132.162.125.198 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০০:০২716981
  • ডিসির সঙ্গে চিন্তা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেকটাই মিলছে--শাঁখা পলা শুদ্ধু!
    এস এম এর বক্তব্যের সঙ্গেও। তবে কিছু গিল্টিবোধ রয়েই গেছে।
    আহা, অভ্যুর ফর্মূলা যদি প্রয়োগ করতে পারতাম!
  • Kallol | 233.227.30.219 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৬:৩৬716982
  • অভ্যুর ফর্মুলা খুব একটা কাজের না। প্রেম করা ও ২৪গ হন্টার সম্পর্ক দুটো আলাদা বিষয়।
  • Kallol | 233.227.30.219 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৬:৩৭716983
  • *ঘন্টার
  • Abhyu | 106.32.177.237 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৭:১৪716984
  • প্রেম করার সঙ্গে কদিন লিভ টুগেদার করতে পারলে আরো ভালো, তবে দেশে সব সময় সেটা সম্ভব নয়। তবুও প্রেম করে নিলে ভালো করে জানা চেনা হয়ে যায়, বিয়ের পরে এই এক্সপেকটেশন ঐ এক্সপেকটেশন নিয়ে ঝামেলা হয় না।

    ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে, নাকে কান্নাটা অতীব ইরিটেটিং।

    তা, আপনারা কেউ আমার পোস্টের "যতবারই করবেন" অংশটা খেয়াল করলেন না?
  • Ekak | 53.224.129.54 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৭:৩০716985
  • প্রেম / লিভ টুগেদার যায় করো যত বছর ধরেই করো , "বিয়ে " বা যে কোনো টার্গেট সামনে রাখলেই "বিয়ে " র আগের বিহেভিয়ার এর সঙ্গে পরের বিহেভিয়ার মিলবে না । এর সঙ্গে ছেলে-মেয়ে কে দোষী /কে নয় এসবের কোনো সম্পর্ক নেই । এটা "টার্গেট " ওরিয়েন্টেড মডেল এর দোষ । টার্গেট আছে বলেই রিচ করা হয়ে গেলে মোটিভেশন -ইনসেনটিভ সব এইমলেস হয়ে যাচ্ছে এবং কোনো হিসেবে মিলছে না । টার্গেট হাটান । তাপ্পর যা করবেন করুন ।
  • Kallol | 233.227.5.230 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩০716986
  • একসাথে বেশ কিছুদিন থাকা, নিশ্চই একটা ব্যাপার। আসলে একসাথে না থেকে প্রেম মানে দিনে বড়জোর ৭/৮ ঘন্টা কাটানো। তাতে রান্না, খাওয়া, অসুখ, টিভি দেখা, দুজনের পরিজন - এসব ততো আসে না। এগুলোর ভিতর দিয়ে গেলেই অ্যাসিড টেঅটটা হয়।
  • Kallol | 233.227.5.230 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩১716987
  • *টেস্টটা
  • sm | 233.223.157.16 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:৫০716988
  • আমার অভিজ্ঞতায় কঠিন ডিভোর্স গুলো বেশিরভাগ প্রেমজ বিয়ের ক্ষেত্রেই হয়েছে। কঠিন; আই মিন যেখানে ডিভোর্স হবার পর শিশু গুলি দারুন মনোকষ্টে দিন কাটিয়েছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রে, কারণ কিন্তু ঐ এক্সপেক্টেশন ই। অর্থাৎ বিয়ের আগে কি ভেবেছিলাম তোমার ও তোমার পরিবার সম্পর্কে আর বিয়ের পরে কি পেলাম সিনড্রোম। আর্থিক কষ্ট প্রায় কোনো কেস এই ছিল না।
    আর লিভ টুগেদার তো আমার মতে স্বার্থপরতা ছাড়া কিছুই নয়।
    পশ্চিমের দেশ গুলোতে এর চমৎকার বিবরণ পাওয়া যায়। যেমন টিভি যে একটি মধ্যবয়সী তিন সন্তানের একাকী জননী বিবরণ দিচ্ছে- বড় ছেলেটি জনের,মেজটি চার্লির আর কনিষ্ঠটি টেড এর!
  • dc | 120.227.225.199 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:৫৮716990
  • "যতবারই করবেন" অংশটা খেয়াল করেই বলছি, প্রেম করা আর বিয়ে করা এক ব্যাপার না। বিয়ে করে বা লিভ টুগেদার করে কারুর সাথে দশ পনেরো বছর থাকলে কাউকে যেভাবে চেনা যায়, প্রেম করে সেভাবে চেনা যায়না - সে আপনি যতোই গভীর প্রেম করুন না কেন ঃ) একটা দীর্ঘ সময় একসাথে থাকা, দুজন একসাথে উঁচুনীচু ফেস করা, দুজনে একসাথে আস্তে আস্তে চেঞ্জ করা/হওয়া, এর মধ্যে দিয়ে আপনি অন্যজনকে আর নিজেকেও যেভাবে চিনতে পারবেন, প্রেম করে সেভাবে চিনতে পারবেন না।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন