এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নারী নেতৃত্ব

    bip
    অন্যান্য | ১৪ আগস্ট ২০১৬ | ৩৭৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 183.67.3.44 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ০৬:১৯720353
  • নারী নেতৃত্ব
    (১)
    ৮ই অক্টবর ২০০৮, আইসল্যান্ড। হ্যা যেভাবে গ্রীষ্মের প্রবল দাবাদহে সেকেন্ডের মধ্যেই বরফ গলে জল হয়, ২০০৮ সালের সামারে পৃথিবীব্যাপী ফ্যাইন্যান্সিয়াল মেল্টডাউনে, গলে জল আইসল্যান্ডের অর্থনীতি। ওইদিনই আইসল্যান্ডের ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যঙ্ক অব আইসল্যান্ড জানিয়ে দেয়, তাদের পক্ষে সম্ভব না, আইসল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলো উদ্ধার করা-কারন তারা আইসল্যান্ডের জিডিপির প্রায় এগারোগুন ধার দিয়ে বসে আছে! সম্পূর্ন রেকলেস ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট। ভাবুন সারদা কেলেঙ্কারিতে আপনাদের শুধু কারু কারুর এক দুলাখ টাকা গেছে। ৮ ই অক্টবর ২০০৮ ছিল এমন একটা দিন, যেদিন আইসল্যান্ডের সবাই জানল, তাদের সব ব্যাঙ্ক উল্টেছে, সেভিংস বলতে আর কিছু নেই।

    আটই অক্টবরে সব ব্যাঙ্কের যেদিন গণেশ উল্টালো, ওইদিন শুধু একটা ছোট ফ্যানান্সিয়াল সার্ভিস -আডুর ক্যাপিটাল কিন্ত টিকে যায় আডুর ক্যাপিটালের মালকিন দুই মহিলা- হাল্লা তোমাসদোতির এবং ক্রিস্তিন প্রেদুসদোতির। এই ভদ্রমহিলা রিস্ক ইনভেস্টমেন্ট করে নি, গ্রাহকদের বরং বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন, রেকলেস ফাইনান্সিল গেইন মানেই ভরাডুবি। ফলে ওই টর্নেডোর মধ্যেও টিকে যায় তাদের সার্ভিস।

    পরবর্তীকালে হাল্লা একটা খুব ইম্পটার্ন্ট কথা বলেছিলেন। উনার মতে, ২০০৮ সালের ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের জন্য দায়ী পুরুষ নেতৃত্ব। হাল্লা দেখিয়েছিলেন, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিউটগুলোর টপ ম্যানেজমেন্টের ৯৫% ই পুরুষ। ফলে এইসব ইন্সটিউটশনগুলি সাংঘাতিক ভাবেই প্রচুর লাভের প্রত্যাশাই আইন ভাঙে এবং সাংঘাতিক রিস্ক নিয়ে থাকে। জৈব বিবর্তনের কারনেই পুরুষ অনেক বেশী এগ্রেসিভ এবং রিক্স নিতে ভালবাসে। পুরুশ একাধারে যোদ্ধা এবং জুয়ারী। ফলে পুরুষের সিদ্ধান্ত অনেকক্ষেত্রেই বেশী এগ্রেসিভ, ঝুঁকিপূর্ন এবং আইনের বর্ডার লাইনে খেলা করা। এর তুলনায় নারীর মানসিকতা অনেক বেশী রক্ষণশীল-কারন বহুদিন ধরে সংসার চালানোর দায়ভার নারীরই।

    (২)

    অবশ্য আইসল্যান্ড পর্যন্ত যেতে হবে না-পশ্চিম বঙ্গের দিকে তাকালেও পরিস্কার হবে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বের ক্যারিশমায় পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতি আজ বিরোধিশুন্য। মুর্শিদাবাদের শাহেনশাহ অধীর খোদ মুর্শিদাবাদেই জমি হারাতে চলেছেন যা সিপিএম আমলেও ছিল অকল্পনীয়। কালকেই অমিত শাহ দিল্লী থেকে নিদান দিয়েছেন বিজেপি মমতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবে না-যার নীটফল ফেসবুকের বিজেপি ধর্নুর্ধররা অস্ত্র মাটিতে শুইয়ে রেখে বাণপ্রস্থের যাবার পাবলিক পোস্টিং দিচ্ছেন সর্বত্র। সিপিএমত বহুদিন আগেই ধ্বংস। আপনারাই বিচার করুন-মমতা ব্যানার্জির রিয়াল পলিটিক্সের সামনে প্রকাশ কারাত, সীতারাম ইয়েচুরি, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু-সম্পূর্ন নাবালক। মমতা যেভাবে জনগণের পালস বোঝেন-রাজনীতি বোঝেন তার ধারে কাছেও নেই কোন সিপিএম নেতৃত্ব। শুধু তাই না-গোটা পশ্চিম বঙ্গ জুরে মমতা যেভাবে কাজ আদায় করে নিতে পারেন আমলাদের কাছ থেকে-সিপিএম আমলে কোওর্ডিনেশন কমিটির তাবেদারি ছাড়া- রাজ্য প্রশাসন ছিল সম্পূর্ন ধ্বংস। মোদ্দা কথা, রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসক হিসাবে মমতাকে ৮০/১০০ দিলে সিপিএমের নেতাদের ১০/১০০ দেবারও কারন নেই।

    ইন্দিরা গান্ধীর আমলেও বিরোধি পুরুষনেতাদের দুরাবস্থা অধীরের থেকে ভাল কিছু ছিল না । যদ্দিন ইন্দিরা বেঁচে ছিলেন --না কংগ্রেসের মধ্যে, না বিরোধিদের মধ্যে এমনকোন নেতা ছিল-যিনি ইন্দিরার পলিটিক্যাল ক্যারিশমার কাছাকাছি আসতে সক্ষম। ইন্দিরাও মমতার মতন বিরোধিশুন্য করে ছেড়েছিলেন সম্পূর্ন নিজের পলিটিক্যাল ক্যারিশমার জোরে।

    এবার শেখ হাসিনা এবং বেনজির ভুট্টোর দিকে তাকানো যাক। ১৯৯১ এর পরে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সম্পূর্ন নারী নেতৃত্বের আওতাই। মাঝের ২০০৭-২০০৯ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে। বাংলাদেশের জিডিপি থেকে হিউম্যান ডেভেলেপমেন্ট ইন্ডেক্সের সব থেকে বেশী প্রগতি কিন্ত হাসিনার আমলেই হয়েছে। বাংলাদেশীরা নারী নেতৃত্ব শুনলেই তেলে বেগুনো জ্বলে ওঠেন। স্বাভাবিক আন্টি ইনকাম্বেন্সি। কিন্ত বাস্তব এটাই বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গে পুরুষ রাজনীতিবিদ সেই মাপের নেই।

    বেনজিরকে খুন না করলে পাকিস্তানের আজকের এই দূরাবস্থা হয় না। আমি পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার বোমের জনক আব্দুল কাদের খানের ইন্টারভিঊ শুনছিলাম। উনি বেনজিরকে খুব গালাগাল দিচ্ছিলেন। কারন বেনজির ভুট্টো পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার বোম প্রোগ্রাম প্রায় বন্ধ করে দিতে চাইছিলেন। এই কারনেই চাইছিলেন যে নিউক্লিয়ার বোমার জন্য পাকিস্তানের ওপরে সব ধরনের নিশেধাজ্ঞা-এবং যার দরুন পাকিস্তানের অর্থনীতির জীর্ন দশা। পাকিস্তান এমন এক দেশ, যার বাজেটের মোটে ১% খরচ হয় জনগনের শিক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য। ৫৬% যায় মিলিটারীর পেছনে!
    এই দেশ কি টিকতে পারে? বেনজির এসবের পরিবর্তন চেয়েছিলেন-ফলে পাকি মিলিটারী তাকে খুন করে দিল!

    (৩)

    আমেরিকাতেও দেখুন হিলারী ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা বিল ক্লিনটনের আগে। কি ছাত্র হিসাবে, কি ছাত্র নেতা হিসাবে কি পেশাদার আইনজীবি হিসাবে হিলারি ক্লিনটন বিল ক্লিনটনের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন। কিন্ত আমেরিকা নারী নেতৃত্ব খুব একটা বেশী মানতে অপারগ। ফলে রাজনীতিবিদ হিসাবে এগিয়ে গেলেন বিল ক্লিনটন। আর অনেক বেশী সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও, ফার্স্ট লেডি হিসাবেই কাটাতে হল হিলারীকে। যদিও ২০০৮ সালেই প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা হিলারীর। কিন্ত সেই বছরই উত্থান ওবামার-যিনি সম্ভবত শতাব্দির সেরা রাজনীতিবিদ বলেই আমি মনে করি।

    অন্যদিকে পুরুষ রাজনীতিবিদ হিসাবে ট্রাম্পের ভূমিকা দেখুন। সম্পূর্ন ঘৃণার চাষবাস করে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা। শুধু ট্রাম্প কেন-বাকী সব রিপাবলিকান পুরুষরাজনীতিবিদরাই মনে করে
    আর্বশন বন্ধ করা উচিত। অদ্ভুত সব দাবী এই রিপাবলিকান পুরুষ রাজনীতিবিদদের!

    কি ট্রাম্প, কি সীতারাম ইয়েচুরি। পুরুষ রাজনীতিবিদ মানেই বাস্তব বর্জিত বস্তাপচা আদর্শবাদ, মানুষের মনে সুরসুড়ি দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা। সেখানে মমতা বা হিলারীর রাজনীতির মধ্যে আছে নারীত্বের ছোঁয়া-যা মাটির খুব কাছাকাছি-এবং যা মেয়েরা শেখে একদম বাস্তব ভাবে বাঁচার জন্য, সংসারকে বাঁচানোর জন্য। এই বাস্তববাদিতা পুরুষদের রাজনীতিতে অনুপস্থিত।

    সুতরাং পৃথিবীকে ক্ষমতা এবং লোভ থেকে বাঁচানোর জন্য রাজনীতি , ফাইনান্স এবং কর্পরেটে মহিলা নেতৃত্ব আরো অনেক বেশী করে দরকার। পুরুষ আসলে জন্মলগ্ন থেকে শিকারি। ফলে সে স্বভাব জুয়ারী। তাকে দিকে শিকার হবে-কিন্ত ম্যানেজমেন্ট এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মেয়েদের ক্ষমতা স্বভাবজাত।

    সিপিএম এবং কংগ্রেসকে টেনে তুলতে গেলে একটাই পথ-মহিলা নেতৃত্বকে ক্ষমতা দিতে হবে বেশী। কিন্ত সিপিএমের ক্ষেত্রে তা প্রায় অসম্ভব। তারা গোটা পার্টিতেই মেয়েদের ক্ষমতার ল্যাডারে উঠতে দেয় নি। ফলে আজকে পার্টির ভরাডুবি।
  • Boka | 127.194.39.75 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ০৯:৪৮720364
  • সেই লজিকে কংগ্রেসের তো এগিয়ে থাকার কথা। সোনিয়া দণ্ডমুন্ডের কর্ত্রী যখন! নাকি?
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪৫720375
  • দুরবস্থা
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪৯720386
  • টেরেজা মে সম্পর্কে কীরকম ধারণা আপনার বা থ্যাচার? শুনি একটু।
  • bip | 183.67.3.44 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ১৬:৩২720397
  • They are all strong leader. Leadership is not about being MK Gandhi. True leaders need to be cruel, ruthless and efficient to rule and govern.
  • Ranjan Roy | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ১৬:৩৯720408
  • A benevolent autocrat? ইতিহাসে অমন অনেক পুরুষ আছে।
    নীরো, ক্যালিগুলা, অজাতশত্রু----------!!!! প্রেসি বুশ, তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট? নর্থ কোরিয়ার তিন প্রজন্মের প্রেসিডেন্ট?
  • bip | 183.67.3.44 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ১৭:০৩720419
  • Mamata is democratically elected in fair election..so comparison defied logic and facts
  • potke | 132.167.247.235 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ১৯:৫১720425
  • so was Bush and many others
  • bip | 183.67.3.44 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২০:০২720426
  • so who is great ? Lenin who destroyed constitutional assembly ? Or Jyoti Bose who perfected art of scientific rigging? One is a greatest intellectual fraud and another one is the greatest mediocre of the century. Compared to that, Stalin was at least a solid leader, even with his all ruthless measures..he never pretended..
  • bip | 183.67.3.44 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২০:০৫720354
  • ইনফ্যাক্ট কমিনিউজমের ব্যর্থতার মূল কারন নারী নেতৃত্ব তোলার ব্যার্থতা। সেন্ট্রাল কমিটিতে ১০% এর বেশী নারী নেতৃত্ব কোনদিন কোন কমিনিউস্ট পার্টিতে ছিল না। ফলে কমিনিউস্ট পার্টি অবাস্তব আদর্শবাদকেই নারায়ন শীলা রূপে পূজো করে গাড্ডায় গেছে-জন বিচ্ছিন্ন হয়েছে বাস্তবমুখী কর্মসূচীর অভাবে।
  • বিপ | 183.67.3.44 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২০:১১720355
  • আমার ধারনা কমিনিউস্ট পার্টিতে নারী নেতৃত্বকে সামনে আনলে, এই ধরনের উদ্ভট আদর্শবাদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে পার্টির কর্মসূচি অনেক বাস্তববাদি হত। কিন্ত তেমনটা হবার উপায় নেই। কারন কমিনিউস্ট পার্টিগুলি পুরুষতন্ত্রের আখড়া, যেখানে মেয়েদের ভবিষ্যতের স্ত্রী বা রক্ষিতা বা শয্যা সঙ্গিনী হিসবেই ভাবা হয়। নেতা হিসাবে ভাবা হয় না-কোন কোন নেতার স্ত্রী বা রক্ষিতাকে কখনো সখনো নেতৃত্বের কলামূলো দেওয়া হয় খুব সম্ভবত পারবারিক শান্তি বজায় রাখতে,
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২১:২১720356
  • হঠাৎ কমিউনিজম উঠল কেন? মেয়ে নেতা নিয়ে কথা হচ্ছিলো তো। বিল ক্লিন্টন কি কমিউনিস্ট? স্টে ফোকাসড। মেয়ে নেতা নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা নিয়ে হোক। রক্ষিতাদের ওপরে আলাদা টই খুলুন, কথা দিচ্ছি কন্ট্রিবিউট করব সেখানে। কমিউনিস্ট নেতার ওপর টই খুলুন সেখানেও মতামত দেব। সব মিলিয়ে মিশিয়ে জগাখিচুড়ি বানালে পাঠক দিশেহারা হয়ে যাবে তো। মোরোভার কার কজন রক্ষিতা তা দিয়ে লিডারশিপ বিচার হয় কি? মেয়েদের জোর করে লিডার বানিয়ে কিছু হবে কি? নিজের যোগ্যতা থাকলে আপনি হবে। লিডারশিপে রিজারভেশন/কোটা কাজে দেয় না। হ্যাঁ, যদি চান তর্ক হতে পারে কেন মেয়েরা এতটাই পিছিয়ে আছে। যোগ্যতা প্রমাণ করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়, মেয়েদের একাংশ আজও বিয়েটাকেই ভবিষ্যতের পার্মানেন্ট চাকরি/আশ্রয়/ব্যবস্থা মনে করে এবং রোজগারপাতি করবার কথা চিন্তাও করে না। বরের পয়সায় খায় এবং সংসারের কাজ যেটুকু করবার সেটা করে। এই মানসিকতা থেকে তাদের বেরোনোর কোন জোরদার ইচ্ছে নেই। জোরদার কথাটা বোল্ড এবং আন্ডারলাইন্ড। এসব মেয়েরা স্ত্রী কি গার্লফ্রেন্ড ("রক্ষিতা" বলতে বিপবাবু আপনি কী মীন করেছেন বুঝিনি, এটা ২০১৬ সাল, মানেটা বুঝিয়ে দিন) তাতে কোনো পার্থক্য নেই। একজন নেতা কি লোক, স্ত্রী রাখবে কি গার্লফ্রেন্ড রাখবে, সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। কিন্তু, স্ত্রী কি গার্লফ্রেন্ডের যদি নেতা হবার যোগ্যতা না থাকে তাহলে সে তা হতে পারবে না। গ্লাস সীলিং ভাঙতে হলে পরিশ্রম করতে হয়। কমিউনিস্টদের দেশ আগেও দেখেছি খুব কাছ থেকে, এবং এখনো দেখি কাছ থেকেই, সমস্যাটা কোনো ইজমের নয়, সমস্যাটা মেয়েদের নিজেদের।
  • bip | 183.67.3.44 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২১:৩৮720357
  • কোনো ইজমের নয়, সমস্যাটা মেয়েদের নিজেদের।>>

    হা, মেয়েদের গর্ভধারন করতে হয়, ছেলে মেয়েদের মানুষ করার জন্য চাকরি ছেরে বসে থাকতে হয়-সব তারা ইচ্ছা করে বলেই হয়। সন্তান ধারন না করলেই ত মিটে যেত।

    মাইরি লোকদের এমন বুদ্ধি দেখলে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২১:৫৭720358
  • আগের পোস্টে জোরদার শব্দটা কেন বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন্ড, সেটার কারণ হলো অল্প অল্প ইচ্ছে অনেকেরই থাকে। আহা উহু মতো। ফোঁড়ার ব্যাথার মতো, টিপলে একটু একটু ব্যাথা লাগে, ভালোই লাগে। সংসারের জন্য স্যাক্রিফাইস, বয়ফ্রেন্ডের জন্য স্যাক্রিফাইস, তারপর নিজের কমফ্রট জোনে (পড়ুন, ন্যাচারাল হ্যাবিটাটে) ফিরে যাওয়া, এবং বলে বেড়ানো যে আমিও এটা হতে পারতুম, ওটা করতে পারতুম, নেহাৎ সংসারটা সামলানোর ভার এলো ঘাড়ের ওপর, তাই সব দায় দায়িত্ব আমাকেই নিতে হলো। এটা ডাহা মিথ্যে কথা। যোগ্যতা কি ইচ্ছে তেমন করে ছিল না, সেটাই আসল কারণ। অনেক মেয়ে অজুহাত দেয়, এরকম করলে বিয়েটা ভেঙে যেত, যেন বিয়েটা তার একার। ভাঙলে তার বরের বিয়েটাও একই সঙ্গে ভাঙত, সেটা সে জানে। কিন্তু সে এ ও জানে, বিয়েটা ভাঙলে আরেকটা বিয়ে করা আগের চেয়েও বেশি ডিফিকাল্ট হবে, অর্থাৎ ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করে নেবার পথ আরো প্রতিকুল। আরো জানে যে প্রোফেশনাল জগতে যোগ্যতা প্রমাণের প্রতিযোগিতায় রাস্তা আরো কঠিন। অন্যদিকে ছেলেদের জন্য প্রোফেশন প্রথম প্রায়োরিটি, তাই তারা ঐদিকে অনেক বেশি মোটিভেটেড। তাই লিডারশিপের জগতেও তাদের সংখ্যাটা বেশি।
    মনে করুন, কোনো মেয়ে নেতা যদি এরকম করতেন তবে কী হতো? ছাত্র রাজনীতি করছেন, পোলিটিক্স কম করছেন শাঁসালো প্রেমিক খুঁজছেন বেশি। তারপরে পাশ টাশ করে বিয়ে করে ফেললেন। বরের কর্মস্থলে ভ্যানিটিব্যাগের মতো সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে লাগলেন। নিজের চাকরি বাকরি কেরিয়ার পোলিটিক্স সেকেন্ড থার্ড ফোর্থ প্রায়োরিটি হয়ে গেল। ভ্যানিটি ব্যাগ হয়ে থাকাকালীন হয়ত কোনো চাকরি জোগাড় করলেন বা করলেন না, তারপর সন্তানের জন্ম দিয়ে ন্যাপী কাঁথা কিন্ডারগার্টেন ইস্কুলের পড়া মুখস্ত করা, পার্ট টাইমে খুচরো কিছু প্রেম ট্রেম, শপিং, আরো শপিং, বরের গোপন অ্যাফেয়ার খবর পেয়ে আরেক প্রস্থ ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ মিটিং মিডিয়েশন, ম্যারেজ নামক ইন্সটিটিউশন তথা বাচ্চাদের ফিউচারের কথা ভেবে বরকে ক্ষমা ও অ্যাকসেপ্ট করা, এইসব করতে করতে মিড লাইফ ক্রাইসিস ঘনিয়ে আসবে, আরো ফেশিয়াল, আরো জমকালো সাজ, এবং কেরিয়ারের গল্প তখন ইতিহাস।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২১:৫৮720359
  • comfort zone
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২২:১১720360
  • আপনার যুক্তি শুনে আমার কিন্তু আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছে না।
    শুনুন, মেয়েরা গর্ভধারণ করে। "করতে হয়" টা শভিনিস্ট শব্দবন্ধ। ওটা কোনো মাস্ট নয়।
    দুই, গর্ভধারণ করলেই কেরিয়ার নষ্ট হতে পারে না। গর্ভাবস্থায় সেরকম কোনো কম্পলিকেশন না থাকলে কাজকর্ম করা যায়। সন্তানের জন্মের পর এক দুমাস ছুটি ইজ এনাফ। সন্তান যদিও মায়ের শরীরের মধ্যে বড়ো হয়ে যোনিপথ দিয়ে (বিশেষ ক্ষেত্রে সেজারিয়ান সেকশান করে পেট কেটে) নির্গত হয়, তা সত্ত্বেও প্রসূতি অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মজগতে ফিরতে পারে। মাতৃত্ব কোনো দুরারোগ্য ব্যাধি নয়। বাকি রইল বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো ও কাঁথা ন্যাপি বদলানোর গল্প। কজন মা বুকের দুধ দিচ্ছে সন্তানকে? ওগুলো ফালতু কথা। শভিনিস্টদের যুক্তি, এবং ফোঁড়ার ব্যাথা টিপবার যুক্তি। ইন্দিরা গান্ধির বাচ্চা হয় নি?
  • avi | 37.63.177.25 | ১৪ আগস্ট ২০১৬ ২২:৩৪720361
  • কুমড়ো ৯:৫৭, ক্কক্ক।
  • bip | 183.67.3.44 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ০৬:২৫720362
  • শুনুন, মেয়েরা গর্ভধারণ করে। "করতে হয়" টা শভিনিস্ট শব্দবন্ধ। ওটা কোনো মাস্ট নয়।

    >>>>
    হ্যা , পৃথিবীতে মানব সন্তান দুর্লভ হইলে মঙ্গল গ্রহ হইতে আমদানি হইবেক।

    যে দেশের ফার্টালিটি রেট খুব কম-সেখানে সন্তান ধারন না করাটা স্যোশাল ক্রাইম। অবশ্য যেসব দেশে
    প্রচুর জন সংখ্যা, সেখানে সন্তান ধারনে বাধ্যবাধকতা না থাকাটাই স্বাভাবিক।

    সুতরাং এই ধরনের উবের লিব্যারাল চিন্তায় কিস্যুহবে না-এসব ফেসবুকের টিসু পেপার।
  • bip | 183.67.3.44 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ০৬:২৭720363
  • আগের পোস্টে জোরদার শব্দটা কেন বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন্ড, সেটার কারণ হলো অল্প অল্প ইচ্ছে অনেকেরই থাকে। আহা উহু মতো। ফোঁড়ার ব্যাথার মতো, টিপলে একটু একটু ব্যাথা লাগে, ভালোই লাগে। সংসারের জন্য স্যাক্রিফাইস, বয়ফ্রেন্ডের জন্য স্যাক্রিফাইস, তারপর নিজের কমফ্রট জোনে (পড়ুন, ন্যাচারাল হ্যাবিটাটে) ফিরে যাওয়া, এবং বলে বেড়ানো যে আমিও এটা হতে পারতুম, ওটা করতে পারতুম, নেহাৎ সংসারটা সামলানোর ভার এলো ঘাড়ের ওপর, তাই সব দায় দায়িত্ব আমাকেই নিতে হলো। এটা ডাহা মিথ্যে কথা।

    >>>>
    হ, মেয়েরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে সন্তান নেয়, তাদের মানুষ করে।
  • Ranjan Roy | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫২720365
  • "হ, মেয়েরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে সন্তান নেয়, তাদের মানুষ করে।"
    --- তাহলে তো 'স্বেচ্ছায়' নেতৃত্বের জায়গা/সম্ভাবনা থেকে সরে আসে ধরে নিতে হবে।
    তাহলে আর বিপ কেন 'মেয়েদের' নেতৃত্ব করতে দেওয়া হল না বলে হা-হুতাশ করছে?
    আসলে প্যাট্রিয়ার্কির নিয়ন্ত্রণ ও সাংস্কৃতিক রিমোট কন্ট্রোল মেয়েদের স্বতন্ত্র ভাবে পা রাখার স্পেস কম/কঠিন করে দেয়। এর জন্যে নিজেদের ঘরে (স্ত্রী/মেয়ে) উদাহরণ তৈরি করা বা পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে পরিবেশ তৈরি করা বেশি দরকার।

    আশা করি বিপ কোমি বা অন্য কাউকে গাল পাড়ার আগে নিজের স্টার্ট আপ ও ঘরে মেয়েদের অগ্রাধিকার দিয়ে উদাহরণ তৈরি করেছেন।
  • SS | 160.148.14.3 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৪৮720366
  • কুমড়োপটাশের লেখা পড়ে যেটা মনে হল সেটা হচ্ছে ভাগ্যিস ইন্টারনেট আছে, তাই লোকে কোনো বিষয়ে পাহাড়্প্রমাণ ভুল ধারণা নিয়েও পাতার পর পাতা লিখে যেতে পারে।
    'গর্ভধারণ করলেই কেরিয়ার নষ্ট হতে পারে না'- উন্নত দেশেও মেয়েদের কেরিয়ার ল্যাডারে পিছিয়ে পড়ার প্রধাণ কারণ সন্তানের জন্ম ও পালন।
    'সন্তানের জন্মের পর এক দুমাস ছুটি ইজ এনাফ' - ভুল। রিসেন্ট কিছু ইউরোপিয়ান স্টাডিতে দেখা গেছে ৪০ সপ্তাহ হচ্ছে মোটামুটি আইডিয়াল। আমেরিকায় লেবার ল অনুযায়ী সবেতন ছুটি হল ৬ সপ্তাহ, ম্যাক্সিমাম ১২ সপ্তাহ।
    'মাতৃত্ব কোনো দুরারোগ্য ব্যাধি নয়' - খোদ আমেরিকাতে অনেক কোম্পানিতে প্রেগন্যান্সি হল শর্ট টার্ম ডিজেবিলিটি। পে চেকে তাই লেখা থাকে।
    'বাকি রইল বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো ও কাঁথা ন্যাপি বদলানোর গল্প। কজন মা বুকের দুধ দিচ্ছে সন্তানকে?' - মেজরিটি চায় সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে। কিন্তু পারে না, তাড়াতাড়ি চাকরিতে ফিরতে হয় বলে। এখনো পর্যন্ত অনেক যায়্গায় পাম্পিং ফেসিলিটি নেই, ব্রেস্ট মিল্ক স্টোর করার মত ফেসিলিটি নেই। অফিসে ক্যাফেটেরিয়ার ফ্রিজে পাম্প করা মিল্ক রাখলে বাঁকা উক্তি বা চাউনি ফাউ।
    অন্যসব সেক্টর ছেড়ে একবার অ্যাকাডেমিয়ার দিকে দেখা যাক, যা কিনা ফ্লেক্সিবল কাজের চুড়ান্ত নিদর্শন। কুমড়োপটাশ কি টেনিওর ক্লক কি বস্তু জানেন? যেসব মহিলা ফ্যাকাল্টিরা সন্তানের জন্ম দেন তাদের বেশির ভাগের টেনিওর ক্লক রিসেট কেন করতে হয় জানেন কি? গ্র্যান্ট ফান্ডিং এর সময় আনকনসাস জেন্ডার বায়াস কিভাবে আর কেন হয় জানা আছে?
    এসব কিছুই না জেনে লেখার ফলে উটের পাকস্থলি হয়েছে আর তার সাথে আছে ভিকটিম শেমিং। একেবারে রেপড হলে সেই মহিলার দোষ টাইপের মানসিকতা। সিস্টেমিক অপ্রেশনে অবশ্য তাই হয়।
    আর 9.57 PM এর পোস্টটা নিয়ে সময় নষ্ট করার মানে হয় না। পুরোটাই অ্যাবসার্ড মনে হয়েছে।
  • sm | 53.251.89.42 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ১০:৫৪720367
  • আচ্ছা, কে পি র পয়েন্ট গুলো তো যুক্তিযুক্ত মনে হলো।
    কিছু তথ্য দেই।ধরা যাক ইউ কে- এখানে ম্যাটারনিটি লিভ-
    Statutory Maternity Leave is 52 weeks. It’s made up of:

    Ordinary Maternity Leave - first 26 weeks
    Additional Maternity Leave - last 26 weeks
    অর্থাৎ প্রায় এক বছর। ইউরোপে মোটা - মুটি ভাবে পরিমান উনিশ-বিশ। এবার যদি আমেরিকায় 12 সপ্তাহ দেয়;সেটাকে কেন উদাহরণ হিসাবে তুলে দেখানো হবে?
    দুই, বিভিন্ন সরকারি অফিস, হিউম্যান রিসোর্স, মেডিকেল প্রফেশন সর্বত্র মেয়েদের সংখ্যাধিক্য।তারা যথেষ্ট সফল।
    ডাক্তারি বেশ হার্ড প্রফেশন। শারীরিক ও মানসিক দু দিক থেকেই। নাইট ডিউটি ও অড হাওয়ার্স ডিউটি অনেক বেশি থাকে।এখানেও মেয়েদের সংখ্যা ধিক্য
    For many years — until the Sixties — fewer than 10 per cent of British doctors were female. Then things changed. For the past four decades about 60 per cent of students selected for training in UK medical schools have been female.

    Read more: http://www.dailymail.co.uk/debate/article-2532461/Why-having-women-doctors-hurting-NHS-A-provovcative-powerful-argument-leading-surgeon.html#ixzz4HNHvSw8g
    Follow us: @MailOnline on Twitter | DailyMail on Facebook
    এবার এই সব প্রফেশন যদি মেয়েরা সাফল্যের সঙ্গে পারফর্ম করতে পারে রাজনীতি নয় কেন? এদের নরমাল মহিলাদের মতোই ঘর সংসার পালন ও সন্তান ধারণ করতে হয়। কেউ ই সেরকম ভাবে সন্তান ধারণ কে প্রতিবন্ধকতা বলে না তো!আর আমেরিকায় যদি প্রেগন্যান্সি কে শর্ট টার্ম ডিসেবিলিটি বলা হয়ে থাকে; সারা পৃথিবী ডিসেবিলিটি বলবে তার কি মানে?
    কারেন্ট রাজনীতির ক্ষেত্রে দুটি বড় দেশের কর্ণধার; মহিলা। তেরেসা মে ও এঞ্জেলা মার্কেল।এরা রাজনীতির ল্যাডারে উঠতে পেরেছে তো।এবং সাফল্যের সঙ্গে। আবার দেখুন ক্রিস্টিন ল্যাগার্ট কেমন আই এম এফ এর কর্ণধার হয়েও দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে গিয়েছে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ১১:৫২720368
  • আমি কিন্তু উন্নত দেশ যা যা করে মেয়েদের মাতৃত্ব ও কেরিয়ার নিয়ে তার অন্ধ সমর্থক নই। অ্যামেরিকায় যদি শর্ট টাইম ডিজেবিলিটি বলে চালায়, তবে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। আমি নিজে সন্তানপ্রসব ও লালনপালন করেছি, খুব ভালো করেই জানি ওগুলো ডিজেবিলিটি নয়। সন্তানের জন্মের সপ্তাহ খানেকের পরেই ঘরের কাজকর্ম করা তো যায়ই, বাইরের কাজ পুরোদমে শুরু করতে আরো কিছুদিন লাগে। বুকের দুধ পাম্প করাটা এমন কিছু কঠিন কাজ নয়, যার জন্য ঘরে বসে থাকতে হবে। নিজের কেরিয়ারের একটা বছর কেন, একটা মাসও নষ্ট হয়নি মাতৃত্বের জন্য। তবে মিনি মাগনায় অত ছুটি পেলেও নিতাম না হয়ত। তাতে একটা বছর পিছিয়ে পড়তাম।
    বিপের পোস্টের উত্তর আর কিছু দেবার নেই আপাতত, শভিনিজম ফুটে উঠেছে।
    টেনিওর ক্লক জানিনা। সব কিছুতে কেবল অ্যামেরিকা টেনে আনেন কেন? ওটা মেয়েদের জন্য আদর্শ দেশ? ইন জেনারাল বলুন। সব দেশেই মেয়েদের একটা বিরাট অংশের টেন্ডেন্সী ঘাড়ে বসে খাওয়া। ঘাড়ে বসে খাবার স্কোপ কমে গেলে তখন চিত্রটা অন্যরকম হতে পারে। এবং লিডারশিপ বলুন কি অন্যান্য সাকসেস, সব কিছুর জন্যই দাম দিতে হয়।
  • sm | 53.251.89.42 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ১২:০৮720369
  • আচ্ছা ss , আমেরিকায় প্রেগন্যান্সি কে কিছু কিছু কোম্পানি "শর্ট টার্ম ডিসেবিলিটি" এই শব্দ বন্ধ ইউজ করে-তার কোনো লিংক দেওয়া যাবে কি?
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ১২:২২720371
  • কোরিনে মাউখ আমাদের শহরের মেয়র।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ১২:৩৮720373
  • বিপের কমেন্ট "যে দেশের ফার্টালিটি রেট খুব কম-সেখানে সন্তান ধারন না করাটা স্যোশাল ক্রাইম" এইটে পড়ে হুব্বা হয়ে গেলাম। মাইরি, এটা আপনি বিশ্বাস করেন? সন্তানের জন্ম দেওয়াটা মেয়েদের পার্সোনাল চয়েস নয় বলতে চাচ্ছেন কি?
    এর আগে "রক্ষিতা" শব্দটা ডিফাইন করেন নি। আপনাকেতো কাল্টিভেট করতে হচ্ছে মশাই।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ১২:৫২720374
  • সন্তানের পালনে বাবার দায়িত্ব নিয়েই বা কীরকম মতামত শুনি একটু। সেই পয়েন্টটা এড়িয়ে গেলে চলবে?
  • Arpan | 24.195.225.160 | ১৫ আগস্ট ২০১৬ ১৪:১৬720376
  • ইন্ডিয়াতে সর্বত্র ২৬ সপ্তাহ মেটার্নিটি লিভের বিল রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল গত হপ্তায়। এই মুহূর্তে ১২ সপ্তাহের ছুটি মেলে।

    সাধু প্রস্তাব। কিন্তু আরো সূক্ষ্মভাবে মেয়েদের প্রোজেক্টে নেওয়া বা কি রেসপন্সিবিলিটি দেবার ক্ষেত্রে ডিস্ক্রিমিনেশন হবে। এখনো হয়, সেটা বাড়বে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন