এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা ছোটগল্ল

    Bratin
    অন্যান্য | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১১২০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 213.132.214.87 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:৫৪723516
  • আসলে বিষয়্টা ঠিক, প্রথমে টলস্টয় (ঈশ্বর, হিউমান কাইন্ডনেস, তার পরে মহান যুদ্ধ, তাতে মহত সব চরিত্র), তারপরে নিহিলিস্ট দস্তয়েভস্কি, আধুনিকতাপন্থী ইয়েচুরিবাবু টাইপ তুর্গেনেভ, তার পরে মিস্ঠি ও দুষ্টু মেশানো কিন্তু জারের আমলের মধ্যবিত্ত প্রফেসনাল দের হিরো করা চেকভ, তার পরে দরিদ্র হতছাড়া ও রাগী রাগী গোর্কি, তারপরে ব্যাগড়া পন্থী সোলঝেনেত্সিন এরা সবাই রিয়েলিস্ট, তার পরে আইজেনস্টাইনের পর থেকেই, ১৯৩১ এ কমিটি গঠন এর পর থেকেই সবাই সোশালিস্ট রিয়ালিস্ট, মায় পাস্তেরনাক সহ, যিনি নিজেকে রাশিয়ান পাস্তোরাল রোমান্টিক বলে মনে করতেন, তার পরে বুল্গাকভ এর বেড়ালের তালব্য শ পোস্ট মডার্নিস্ট, মাঝে একটু বাখতিনের কার্নিভাল যিনি সোশালিস্ট স্টেট সম্পর্কে কখনো আশাবাদী কখনো নন, অবশেষে সোরোকিন যিনি আনার্কিস্ট ও পুতিনের সিকিউরিটি স্টেটের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করেন অরওয়েল এর থেকে ঢের বেশি ভয় দেখিয়ে, এইরকম সরল রেখা নয়, প্রতিটা ইপোক এর সময়ে নানা ঘাত প্রতিঘাত আছে, বলতে নেই ম্যানিফেস্টো ও আছে, রাজার হয়ে নাচা আছে, প্রজার হয়ে ক্যালানো আছে, কার্নিভাল , দস্তাবেজ সব ই আছে। বুল্গাকভ এবং তুর্গেনেভ কেউ ই দস্তাবেজ , কম লেখেন নি, নিজেদের ইতিহাসের একটা মোমেন্টের লোক বলে মনে করেছেন বলে লিখেছেন। তো ধুয়ে মুছে সাফ কিসু হয় না, স্মৃতির ওঠা নামা হতে পারে। ম্যানিফেস্টো দিয়ে শুরু লেখা, কেবল ই শিল্পচেন্তনা দিয়ে লেখার থেকে জাস্ট জন্মের কারণটির কারণে কম কালাতিক্রমী এরকম ভাবার জাস্ট কোন কারণ নাই। তাইএল সুর রিয়েলিজম নিয়ে এখনো কেউ আলোচনা করতো না, ডিকেন্সিয়ান রিয়েলিটির প্রখর আমলে পিকারেস্ক কাজ কর্ম হত না। ট্রান্সফর্মেশন জিনিসটা কে লক্ষ্য করাই সাহিত্য সমালোচকের কাজ, পড়তে বলা বা বারণ করাটা না। এটা এখনো যে কোন কারণেই হোক এ যাত্রা এসটাবলিশ করতে পারিনি, লোকের ধোজ্জো কম।
  • Sakyajit Bhattacharya | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৪৯723517
  • বাহ, দারুণ হচ্ছে এটা। আমিও কিছু লিখি
  • Sakyajit Bhattacharya | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:০৫723518
  • সিরিয়াস কিছু বলার আগে একটা প্রশ্ন। ভাটে দেখলাম শীর্ষেন্দু নিয়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু শীর্ষেন্দুকে দেগে দেওয়াল হল শিশু-সাহিত্যিক হিসেবে। অ্যাজ ইফ তাঁর আর কোনও লেখাপত্তর নেই।

    ঘুণপোকা বা উজান বহুআলোচিত। ওসব ছেড়ে দিলাম। কিন্তু শির্ষেন্দুর যে ছোট্ট (৫৩ পাতার) উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে ধাঁ হয়ে যেতে হয়, তা হল 'ফেরিঘাট'। এবং তার কাছাকাছি থাকবে 'আশ্চর্য্য ভ্রমণ'। শুধুমাত্র এই দুখানি নভেলেট লিখে যে কেউ বাংলা সাহিত্যে সারাজীবন স্থায়ী আসন পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তুসেসব নিয়ে তো কারোর আলোচনা দেখলাম না !

    আসলে এটা ছোটগল্পের টই, ডাইভার্ট করতে চাই না । নাহলে ইচ্ছে ছিল ফেরিঘাট/ আশ্চর্য্য ভ্রমণ থেকে লাইন বাই লাইন তুলে তুলে বিশ্লেষণ করার, কেন বাংলা সাহিত্যে এই জিনিস আর হয়নি।
  • T | 165.69.199.255 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:১৪723519
  • না, না, ভাটে শুধুমাত্র শীর্ষেন্দুর শিশুকিশোর সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল (আলোচনাই হচ্ছিল কিনা তা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত নই)। কিন্তু শাক্য ফেরিঘাট নিয়ে লিখুক না।
  • Sakyajit Bhattacharya | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:১৭723520
  • আর এসব গুরুবাদ অনুকূল ঢপ। শীর্ষেন্দুর পিক ফর্মে (থান ইঁটের মত উপন্যাসগুলোর কথা বলছি না) ওনার মত নির্মোহ লেখক খুব কম দেখেছি। নিবারণ পটুয়া পড়ুন। ছোটগল্প। নির্মমভাবে ধাক্কা দিয়ে চলেছেন ।
  • h | 213.132.214.85 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:১৮723521
  • করো, আমি পড়ি নি, আমার ওনার যা অতি বিখ্যাত সেগুলো পড়ে একেবারেই বাজে লাগায় আমি এক্সপ্লোর করি নি। সময় নষ্ট মনে হয়েছিল। অন্য মাল ভালো পেয়ে যাওয়ায় বিশেষতঃ।

    অন্য টই খুলে লেখো বা এখানেও লিখতে পারো, মানে আমি বাল পারমিশন দেওয়ার কে, তাইলে অন্য লোকেও আনন্দ পাবে, নইলে তোমার প্রবন্ধ হিসেবে লেখো, যেরকম করে অনেক পোবোন্দো লিখেছো। আমার তোমার লেখা ইন গেনেরাল ভালো লাগে। লেখো প্লিজ যেখানে খুশি। অত ছোঁয়া ছুয়ি কিসু নাই বাল। আমার বড় সাহিত্যিকের কাছে থাপ্পড় খেতে কোনো অসুবিধে নাই, অ্যাজ লং অ্যাজ পুজোর গন্ধ কেসটা একটু কন্ট্রোলের মইদ্যে।
  • Sakyajit Bhattacharya | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:১৯723522
  • আর ছোটগল্পের লিস্টে কয়েকটা নাম বাদ গেল মনে হয়। অসীম রায়, নলিনী বেরা (ভূতজ্যোৎস্না বলে গল্পটি পড়ে দেখুন সকলে। বিশ্বসাহিত্যের কুলীন লিস্টে চলে যাবে অনায়াসে, অথবা শ্রীকান্ত পঞ্চম পর্ব), শ্যামল গংগোপাধ্যায় (কত নাম বলব ! গত জন্মের রাস্তা, চন্দনেশ্বরের মাচানতলায়, ধানকেউটে)। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, যাঁর একটা গল্প-ও খারাপ হয়নি কখনো ইত্যাদি ইত্যাদি
  • h | 213.132.214.85 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩১723523
  • দুটো ভাগে ল্যাখো তাইলে, প্রবল বিখ্যাত লেখক/লেখিকার অল্প বিখ্যাত লেখা, আর কম বিখ্যত সম্মান না পাওয়া লেখকের লেখা র কথা। আগে থেকেই গুড দিলাম। ;-)
  • রোবু | 213.132.214.83 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪৭723524
  • অসীম রায়, নলিনী বেরা, সুব্রত মুখো-র কিছু গল্প পড়েছি। শ্যামল গংগোপাধ্যায়-র অনেক গল্পই পড়েছি।
  • h | 213.132.214.84 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫১723526
  • তুমিও ল্যাখো, গুড পাবে ঃ-)))) এনারা কেনো আলোচিত হন না, বেশি, পুজোর গন্ধের সঙ্গে এঁদের সম্পর্ক কেন কম সেটাও লিখো ঃ-))))
  • T | 165.69.199.255 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫২723527
  • 'ভূতজ্যোৎস্না' গল্পটা পড়ে চমকে গেছিলাম। এটাই ওঁর সেরা কাজ সম্ভবতঃ। ওইটাই তো যেখানে ইশকুল মাস্টার চাষীর কাছে বাখতিন শিখতে আসছেন। ওইটা তুমুল ছিল। 'শ্রীকান্ত পঞ্চম পর্ব' যে গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত মানে 'এই এই লোকগুলো' (আবাপ থেকে বেরোনো, এই হনুদা আবার খচে যাবে) র সবকটা গল্পই ভালো লেগেছিল অবশ্য।
  • BCP | 69.160.210.3 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫৮723528
  • তবুও এখনো তাঁর টই তে বিবলিওগ্রাফিটা কমপ্লিট করে হয়ে ওঠা হল না? :o(
  • T | 165.69.199.255 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০০723529
  • আমি জানতাম, এইটা লিখলেই বিসিপি এসে ধরবে। মাক্কালী এইবার পুজোতে বাড়ী গিয়ে করে ফেলব। বহু আগে প্রকাশিত কিছু গল্প সংকলনের প্রকাশক কারা ছিল দেখতে হবে।
  • শিবাংশু | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৩৭723530
  • h, 13 Sep 2016 -- 09:22 PM,

    "এই ঘটনা গুলো যদি মহান কোন লেখক কে একেবারেই প্রভাবিত না করে, মানে এর সঙ্গে যদি সাহিত্যের কোন যোগাযোগ না থাকে, তাহলে হয় সাহিত্য নয় লেখক নয় পাঠক কোন একটা গন্ডমুর্খ।"

    এরকম যে কোনও ব্যাপার শুধু 'মহান' সাহিত্যিক কেন, যেকোনও সড়কের মানুষকেও সমানভাবে প্রভাবিত করে। প্রত্যেকেই নিজস্বভাবে ঘটনাবলীকে ব্যাখ্যা করে। আলোচনা বহুমুখী হতে বাধ্য। একাধিক 'মহান' কথাকার নিজস্ব রুচি-অভিজ্ঞতা নিয়ে 'নিজের' মতো করে লিখবেন। একই লেখকের একই ঘটনার উপর অবস্থান সময়ের সঙ্গে বদলে যায়। যেমন নাম নিই সমরেশ বসু। পাঠক হিসেবে আমরা যদি 'লেখক' সমরেশ বসু'কে আশ্রয় করি তবে তাঁর অতীত বা বর্তমান ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ধাঁধায় পড়ে যাবো। যেটা আমার অভিপ্রেত নয়। পাঠককে কি এভাবে সরলরৈখিক বিচারে 'গণ্ডমূর্খ' বলা যায়?
    -------------------------------------------------
    "হেজেমনি সঞ্জাত একমুখীনতা কে এতে করে এড়িয়ে যাছেন, সেটা কে কি ভাবে অ্যাড্রেস করতে পারছেন বলুন? এবং শুধু তাই না, সেটা যে বদলায় তাকেও অ্যাড্রেস করছেন কি করে সেটা পরিষ্কার না।"

    এই 'হেজেমনি'টা কার? কে এর অধিকারী? কোনও একক ব্যক্তি না ব্যবস্থা? এটা পরিষ্কার না হলে 'একমুখিন'তা অথবা বহুমুখিনতা নিয়ে কিছু বলা যাবেনা। ব্যক্তি লেখক সচেতনভাবে এ ব্যাপারটা এড়িয়ে যাচ্ছেন, না তাঁর লেখায় তা ফুটে উঠছে সেটাও এক্ষেত্রে প্রযোজ্য। উদাহরণ দিই, তারাশঙ্কর।
    -------------------------
    "এটা একেবারেই হয় নি। তিনটে ভুল হয়তো তাড়া হুড়ো করে লেখায় আপনার চোখে পড়ে নি, স্তালিনীয় সমাজ তান্ত্রিক বাস্তবতা কথাটা ভুল, কারণ সোভিয়েট স্টেট ফর্মেশনের আগে থেকে এই পদ্ধতি তে লেখা হচ্ছিল, মূল বিষয় টা ছিল এজেন্সী ডিবেট এবং রিয়েলিজম ডিবেট।"

    জানিনা ভুলটা কার। ১৯১৭ সাল থেকেই লুনাচারস্কির নেতৃত্বে ব্যাপারটা শুরু হয়েছিলো। অসংখ্য শিল্পী, সাহিত্যিকরা এ নিয়ে তাঁদের যোগদান দিয়েছেন। কিন্তু 'সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা' পরিভাষাটির সরকারি অনুমোদন আসে ১৯৩৩ সালে এই নামেই গর্কির প্রবন্ধটি যখন প্রকাশিত হয়, তার পরে। ১৯৩৪ সালের পার্টি কংগ্রেসে এই পরিভাষাটি প্রসঙ্গে চারটি সূত্র প্রস্তাবিত হয় এবং শিল্প সাহিত্যবিচারে সরকারি ফরমান (পড়ুন ম্যানিফেস্টো) হিসেবে তাদের সর্বভাবে প্রয়োগ করা হয় স্ট্যালিনের নির্দেশে। এসব তো সর্বজানিত তথ্য। আর আমার বিষয় ছিলো বাংলা ছোটোগল্প বিচারের অভিমুখ নিয়ে। রুশ ছোটোগল্প হলে গর্কি কেন, গোগোল থেকেই শুরু করা যেতো।
    -----------------------------
    "তাহলে ইতিহাসের সরলরৈখিক গতি মেনে নিতে হয়, সেটা মার্ক্স নিজে না হলেও অনেক মারকস্বাদী এটা করেছেন, অতএব তার বিরোধিতা করে মজা পেতে গেলে, এই অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।"

    আমারও তো বক্তব্য তাই ছিলো। গর্কির প্রস্তাবকে সরকারি নীতি বানানোর পথে বহুস্বরের গ্রহণযোগ্যতাকে উপেক্ষা করে স্ট্যালিনের তৎকালীন রাজনৈতিক অনিবার্যতাকে আশ্রয় করা হয়েছিলো। ফলতঃ মার্ক্সের অভিমতও অগ্রাহ্য বা অপব্যাখ্যা করা হয়। আমাদের দেশেও যাঁরা ব্যাপারটি ধরতে পারেননি বা বুঝতে অস্বীকার করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও ইতিহাস একই খেলা খেলেছে। বাংলা গল্পে এই ম্যানিফেস্টোর প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ কীভাবে তার গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করেছে তা নিয়েও অতি সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ছিলো আমার।
    --------------------------
    h-13 Sep 2016 -- 09:29 PM, 13 Sep 2016 -- 09:54 PM
    "আর আরবী তুর্কী পন্ডিত দের লেখা প্রথমত দস্তাবেজ শুধু না যদি না দস্তাবেজ এর অর্থ রুলিং কোর্ট এর আয়্ডমিনিস্ট্রেটিভ পেপার্স বোঝায়। ধরেন, সুলতানী আমলের একটা ডিক্রী, আর সে সম্পর্কে লেখা বিরুনীর থিয়োরিটিকাল, ফিলজফিকাল এবং লিগাল বক্তব্য তার সাহিত্য গুণ সহ আলাদা। "

    বাংলায় 'দস্তাবেজ' শব্দের ব্যবহার করা হয় ' দলিল, নথিপত্র' হিসেবে (সংসদ)। আর হরিচরণ সরাসরি বলছেন 'দস্তাবেজ' মানে 'দলীল' (document)। আমিও ঠিক ঐ অর্থেই 'দস্তাবেজ' শব্দটি ব্যবহার করেছিলুম। অল-বিরুনি বা জিয়াউদ্দিন বরানি অথবা মিনহাজ-ই-সিরাজ বা আরো অনেক অনেক নাম, এ প্রসঙ্গে আমার আলোচ্য ছিলেন না তাই বিশদ লেখার প্রয়োজন প্রয়োজন বোধ করিনি।
    ----------------------------------------
    ছোটোবেলায় পড়া গোপাল হালদারের 'রুশসাহিত্যের রূপরেখা' এখনও আমার কাছে একটি বাতিঘর। কখনও সময় পেলে নিজের সীমাবদ্ধতাকে মনে রেখে সেই নিয়ে পৃথক আলোচনা করবো। এখন বাংলাতেই থাকি না হয়।
    --------------------------------------
    Sakyajit Bhattacharya - 14 Sep 2016 -- 11:05 AM

    " সিরিয়াস কিছু বলার আগে একটা প্রশ্ন। ভাটে দেখলাম শীর্ষেন্দু নিয়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু শীর্ষেন্দুকে দেগে দেওয়াল হল শিশু-সাহিত্যিক হিসেবে। অ্যাজ ইফ তাঁর আর কোনও লেখাপত্তর নেই।"

    'শীর্ষেন্দু'ব্যাশিং কিছুকাল ধরে বাংলাসাহিত্য আলোচনার ক্ষেত্রে কিছু পাঠকের একটি প্রিয় ব্যসন। আমি ব্যক্তি হিসেবে 'ব্যক্তি' শীর্ষেন্দু'র 'ভক্ত' বা 'অনুগামী' নই। বরং নিজস্ব বিশ্বাস ও অবস্থানে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। কিন্তু তাঁর ক্ষমতাকে অস্বীকার মতো মূর্খও নই। সত্যি কথা বলতে কি পাঠক হিসেবে আমি যে এখন 'লেখক'কে মুখ্য না ধরে 'লেখা'র বিশ্লেষণ করায় অধিক বিশ্বাসী হয়ে উঠছি, তার পিছনে এই উপক্রমটিও রয়েছে। একই কথা শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটোগল্প বিষয়েও মনে করি। কৈশোরে বা তারুণ্যে এই দুই লেখকের সঙ্গে সাক্ষাতে অনেক কথা হয়েছে তাঁদের লেখালিখির ধ্যানধারণা নিয়ে। সেই শীর্ষেন্দুর সঙ্গে, যিনি তখনও 'যাও পাখি'র মধ্যপথে। অথবা সেই শ্যামল যিনি সদ্যো শেষ করেছেন 'কুবেরের বিষয় আশয়'। আসলে গত চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে সচেতনভাবে, সক্রিয়ভাবে বাংলাসাহিত্যের গতিপথ নিয়ে ভাবিত থাকি। নিজে নানা ধরণের 'ব্যাশিং টিমে'র অংশভাগীও থেকেছি। শীর্ষেন্দু বা শ্যামলের সঙ্গেও একসময় বেশ বাগবিতণ্ডা হয়েছে। শীর্ষেন্দু'কে সম্ভ্রান্তভাবে তাঁর সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করতে দেখেছি। বরং আমাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন, বাংলার মূলস্রোতের বাইরে থাকা একজন উনিশ-কুড়ি বছরের ছোকরা তাঁর মতো 'অখ্যাত' লেখককে এতোটা মনস্কতা দিয়ে পড়েতে চেষ্টা করেছে, সেই জন্য। শ্যামল প্রমত্ত অবস্থায় মারতে উঠেছিলেন। সমরেশ কেন 'শিকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে' লিখে স্বধর্মচ্যুত হয়েছেন, তা নিয়ে সাক্ষাতে প্রকাশ্য সভায় তাঁকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছি। তিনি কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাননি। সবটাই হয়তো তাঁর প্রচারের মধ্যে থাকার কৌশল ছিলোনা। এখনকার প্রজন্ম হয়তো বলবে, বেশ করেছো। সো হোয়াট? কিন্তু, এই মূহুর্তে ব্যাপারটি অপরিণত লাগে। যে লেখা 'আমাকে', অর্থাৎ পাঠক হিসেবে আমার যাবতীয় সীমাবদ্ধতাসহ, পড়তে আগ্রহী করেনা, আমি তাকে নীরবে প্রত্যাখ্যান করি। জানি, ব্যাপারটি বিশেষভাবেই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিন্তু এখন আমাদের কাছে খুব বেশি সময় থাকেনা। ব্যক্তিগত 'ভালো' লাগাটা এখন হয়তো একটু প্রকট হয়ে গেছে। কে সরকারবাড়ির ভাত খায়, কে ঠাকুরবাড়ির বা আন্ডারগ্রাউন্ডে রাখালবাড়ির, সেটা ঠিক খেয়াল থাকেনা। তাঁদের অক্ষরবদ্ধ শিল্পটাই অগ্রাধিকার পায়।
    -----------------------
    আমার আলোচনাটি হয়তো একটু বেশি 'আমি' কেন্দ্রিক হয়ে গেলো। মার্জনাপ্রার্থী।
  • Ranjan Roy | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:১২723531
  • শীর্ষেন্দুর চারটে ছোট গল্পের সংকলন "ট্যাংকি সাফ" আমার ভালো লেগেছিল। আর একট হল " আমাকে দেখুন"। ওঁর উপন্যাসের থেকে গল্প বেশি ভালো লেগেছিল।
  • রোবু | 213.132.214.83 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৫৭723532
  • ফর লিস্টি। কবিতা সিংহ বাদ পড়েছেন। উনি কোন দলে? বিসিপিদা?
  • Ranjan Roy | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:০১723533
  • ওপারেঃ))
  • অভি | 113.220.208.200 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:২৪723534
  • কিন্তু শীর্ষেন্দু নিয়ে কথাবার্তার মাঝে ফেরিঘাটের কথাও এসেছে তো। শাক্যজিতের জন্য :
    Name: a

    IP Address : 55.250.247.146 (*)Date:30 Aug 2016 -- 07:57 AM

    একে অনুকূল তায় চাড্ডি সঙ্গে বিগলিত ক্যালানে কথামালার উত্তরাধিকার শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, এটাই ছিল টইয়ের শীর্ষক। তা এরকম বিশেষণ(বিশ্লেষণ আছে কী!) উড়ে এলে, নড়ে বসতে হয়।
    বেশ, প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যাক, শীর্ষেন্দুর সঙ্গে কারুর ব্যক্তিগত বিরোধ নেই তাহলে শুধুশুধু বলবেই বা কেন কেউ এইরকম কথা।

    সাধারণতঃ এই অনুকূল অনুগামী বা চাড্ডি নামাঙ্কিত মানুষজনের মধ্যে আর একটি সহজলভ্য জিনিস পাওয়া যায়, নারীকে "মেয়েছেলে" হিসেবে দেখানোর প্রবনতা। সুমহান ভারতীয় সংস্কৃতির ধ্বজা তুলে আঁতুড় থেকে রান্নাঘর অবধি আটকে রাখার প্রবনতা। স্ব-অধীনে থেকে স্ব-ইচ্ছা আচারের বিরোধীতা করা অথবা করলে "খারাপ মেয়েছেলে" বলে দাগিয়ে দেওয়াতো আছেই।

    শুরুতে ধরেই নিয়েছি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন চাড্ডি সুতরাং তার উপন্যাসে নারীকে স্বভাবতই এভাবেই আঁকা হবে। দেখা যাক-

    উপন্যাস- ফেরিঘাট

    এই উপন্যাসের নট-নটী, অমিয় ও হাসি।
    হাসি কীরকম মেয়ে? কীভাবে পাঠকের সঙ্গে হাসির আলাপ করিয়ে দেন লেখক। শিলচরে থাকত হাসি। রঙ চাপা হলেও বড়ো সুশ্রী ছিল সে।
    এখানে প্রথম একটু ভ্রূ কুঞ্চিত হয়, গায়ের রঙ জানানো কি জরুরী ছিল খুব, কিন্তু পরক্ষনেই মন বলে হয়ত উপেক্ষা করাই যেত কিন্তু দৌনন্দিন জীবনে পহলে দর্শনধারী ভাবনায় গায়ের রঙটা এসেই যায়, অনেকেই আনে। বেশ এবার তাহলে আর একটু এগোন যাক।
    হাসির জীবনে অমিয় কোথাও ছিল না। যৌবনকালে একশো ছেলে ভালোবেসেছে হাসিকে।
    সবাই হাসিকে ভালোবাসে, কিন্তু হাসি কলকাতাকে। কলকাতার স্বপ্নে বিভোর থাকত। প্রথম কলকাতায় পা রেখে হাসি কীভাবে অনুভব করেছিল কলকাতাকে?
    " গর্জমান এক কামুক পুরুষ যার শিরা-উপশিরায় প্রাণস্রোত, যার আদরে অবহেলায় সর্বক্ষণ জীবন বয়ে যাচ্ছে। সেই প্রথম পুরুষটির আদরে লজ্জায় চোখ বুঝেছিল হাসি"

    কলকাতায় আসার আগেই হাসির পাটীপত্র হয়ে গিয়েছিল, সেকথা আমরা জানি, পাত্রপক্ষ কালাশৌচ মানেনি। এই যে না-মানা এর একটাই কারণ হাসিকে তাদের এত পছন্দ হয়েছিল। সামান্য কিন্তু এই ঘটনাটি খুব সহজে যা মনে করায় তাহ'ল নিয়ম(আচার) মানুষই বানায় কিন্তু আচার সবক্ষেত্রে বিচার হয়ে ওঠেনা। মন সায় দেয়না। সে বিরোধীতা করে। এখানেও তাই হয়েছে।

    যাকগে হাসি'ত এল কলকাতায়। অমিয়র সঙ্গে আলাপ হলো। অমিয়কে সে পাত্তা দিতনা বরং অমিয় হাঁ করে দেখত হাসিকে।
    অথচ কলকাতা-শুধুমাত্র কলকাতার জন্য থেকে গেল হাসি। কয়েকটা কাগজপত্রে সই করে বিয়ে, বাড়িতে চিঠি লিখে জানানো তারপর ঢাকুরিয়ার ফ্ল্যাট।

    শুরু হ'ল দাম্পত্য।
    "শরীরে শরীরে কথা হত ঠিকই। অমিয়র প্রথমদিকের ভালোবাসা ছিল তীব্র, শরীরময়, আক্রমণাত্মক। হাসি সেই খেলায় আগ্রহভরে অংশ নিয়েছে। কিন্তু সে কতটুকু সময়ের ভালোবাসা? শরীর জুড়ালেই তা ফুরায়। তারপর আর আগ্রহ থাকে না অচেনা পুরুষটির প্রতি।"

    তাহলে হাসি কি কাউকে ভালোবাসত না? বাসতো। দাম্পত্যের(সমাজ স্বীকৃত সম্পর্কের) বাইরে সমান্তরাল সম্পর্ক ছিল , তার। সে ভালোবেসেছিল কলকাতাকে। বিশাল কলকাতার কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বী অমিয়? অমিয়কে হাসি ভালোবাসেনি কিন্তু তার কৃতজ্ঞতা ছিল অমিয়র প্রতি, কারণ অমিয় কলকাতায় হাসিকে আশ্রয় দিয়েছে।

    পুরো উপন্যাস জুড়ে হাসি এক উদাস স্বাধীন অহঙ্কারী নারী। আর অমিয় থেকে বিয়ের পাত্রটি(যার সঙ্গে পাটীপত্র হয়ে গিয়েছিল)হাসির প্রেমে ডুবে আছে। কেন ডুবে থাকত?
    "আসলে এমনকিছু মেয়ে থাকে, যাদের সামলানো যায়না"- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, হয়ত বা সেই কারণেই।

    গোটা উপন্যাস জুড়ে বিষাদ নদী বয়, প্রতিটি চরিত্র নিজের নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে জীবনের মানে খুঁজতে থাকে।

    আমিয় একটা স্বপ্নের মানে খুঁজতে থাকে, ওই যে-
    এক অচেনা রহস্যময় স্টিমারঘাট। যেখানে ধূ ধূ বালিয়াড়িতে চাঁদের আলো পড়ে। পড়ে থাকে সাপের খোলস, উঁচু থেকে দেখা যায়-গড়ানো বালিয়াড়ির্র শেষে জেটি, তরপর অনন্ত নিঃশব্দ জলরাশি-অথৈ। সেই স্রোতের ওপর আবহমান কাল ধরে ঝুঁকে আছে কালো আকাশ। ওইখানে সকলের দেখা হবে।"

    স্বপ্ন। ইচ্ছাপূরণ, কিন্তু ইচ্ছা কী সবসময় পূর্ণ হয়, অতৃপ্তি আর অসম্পূর্নতাও তো সত্য, মৃত্যুরই মতনই...
    তাই হয়ত অন্বেষণ।

    শীর্ষেন্দুর উপন্যাসে হাসি(ফেরিঘাট),নীলা(কীট), তৃষা(মানবজমিন)রা আছে। মণিদীপা বিলুও আছে।

    জানিনা একজন চাড্ডি ক্যালানে কথামালা লেখকের পক্ষে এরকম লেখা সম্ভব কীনা!

    একজন সাহিত্যিক এতদিন ধরে লিখছেন, তার কিছু ভাল হবে কিছু বা জঘন্য(জঘন্য বললে আবার ঠিকমতন নিন্দা হলোনা, বেশ বালের লেখা)হবে, খুবই স্বাভাবিক কিন্তু সবকিছু ভাল করে না পড়েই, চরিত্রগুলো আলোর নীচে ফেলে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থান ভালোভাবে বিশ্লেষণ না করেই চটকদার বিশেষণ প্রয়োগ কোথাও একটা ভুল বার্তা দেয়।
    ওই যে সেই সিংহের ডাক। মেঘগর্জনের মতো। মাটিতে লেজ আছড়ানোর শব্দ।

    Name: T

    IP Address : 165.69.191.255 (*)Date:30 Aug 2016 -- 07:58 AM

    দশবারোবার হয়েছে কিনা তা অবশ্য মনে পড়ছে না, তবে একবার সিমিলার কিছু বক্তব্য চালাচালি হয়েছিল, যার শেষটাও মনে পড়ছে :)

    Name: Atoz

    IP Address : 161.141.85.8 (*)Date:30 Aug 2016 -- 08:07 AM

    আমার আজকের মতন টাইম শেষ। আপনারা আলোচনা করুন।
    শুভেচ্ছা।
    ঃ-)

    Name: Robu

    IP Address : 11.39.37.247 (*)Date:30 Aug 2016 -- 08:20 AM

    a বাবু আর ইশেন্দার লেখা ভাল লাগল।
    "পারাপার পড়েছিলাম সেভেন এইটে। প্রেম, ক্যান্সার আর জমিদারী প্রথার লোপ তিনটে নিয়েই খুব দুঃখ হয়েছিল।" - অভির সাথে কী মিল!

    Name: T

    IP Address : 165.69.191.255 (*)Date:30 Aug 2016 -- 08:27 AM

    ঈশানদার লেখাটা ভালো লাগল।

    এদিকে শীর্ষেন্দুর উপন্যাস কিস্যু পড়ি নাই, পড়েছি মূলতঃ অদ্ভুতুড়ে সিরিজ, কারণ মোটাসোটা বই দেখলে গায়ে জ্বর আসে, যেকারণে বিশ্বসাহিত্য অচেনাই রয়ে গেল আর কি। তো সিংহকে যেমন তার পায়ের ছাপ দেখেই বুঝতে হবে, শীর্ষেন্দুর ছোটোদের জন্য লেখাগুলোও সেরকম। তবে প্রথম দিকের কিছু গল্প ছাড়া বাকি সবই প্রায় রিপিটেশন। সে যাই হোক, ওই গল্পগুলোতে ভদ্রলোকের লেখার মধ্যে একধরণের মিতব্যয়ীতা (বানানটা কি ঠিক হচ্ছে?) খুঁজে পাই, প্রচন্ড সংযম, যেটা খুব সম্ভবতঃ ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ ও বিশ্বাসের ফল। শিকড় ছাড়া তো আর লেখা হয় না।

    Name: অভি

    IP Address : 37.63.185.97 (*)Date:30 Aug 2016 -- 08:28 AM

    হ্যাঁ, এই ফেরিঘাটের কথাই বলব ভাবছিলাম। এটাকে আমি দুভাবে দেখেছিলাম। প্রথমে হাসির এক বিশাল ব্যক্তিত্ব, যার সামনে অমিয় হীনমন্যতায় পড়ে। কলকাতার প্রেমে পড়া হাসি। অমিয় আরো বেশি করে অবলম্বন করে তার ফেরিঘাটকে। কিন্তু শুধু ফেরিঘাটেই তো শেয না। অমিয় দেখতে পায় সিংহের লেজ আছড়ানো। দূরে প্রসাদপ্রাত্যাশী সিংহীদের অগ্রাহ্য করে দাঁড়ানো সিংহ। গল্প শেষ হয় যখন হাসি ফেরিঘাটের অন্তর্লীন অর্থ বুঝতে উন্মুখ, আর অমিয়ের স্বপ্নে শুধুই সিংহের গর্জন।
  • BCP | 69.160.210.3 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:০৬723535
  • কবিতা সিংহের গল্প কিছুই পড়িনি। আদৌ পড়ার মতো? কবিতা পড়েছি। উপন্যাস কিছু পোষায় নি।
  • h | 213.132.214.84 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:২৩723537
  • শিবাংশুর উত্তর ভালো লেগেছে। দেখা যাছে মত পার্থক্য দু ধরণের রয়েছে। একটা টার্মিনোলোজি কিংবা স্কোপের, সেগুলো প্রকরণ গত, আরেকটা হেজেমনি বা বৈচিত্রের সংকোচন সম্ভাবনা সংক্রান্ত। প্রকরণের ব্যাপারে সমস্যার ডিটেলে পরে আসছি।

    যৌবনে কাকে কি বলেছেন, কে কি ভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, এগুলো ব্যক্তিগত ব্যাপার, শিবাংশুর আত্মোপলব্ধি তে আমার আপত্তি নেই, এটুকু বলতে পারি, আমার কোনো বিখ্যাত লেখকের সঙ্গে কোনদিন কোন নাটকীয় কথোপকথন হয় নি, অতএব লজ্জা বা কুন্ঠা কিংবা অনুশোচনার স্মৃতি নাই। গপ্প শুনতে রাজি আছি অবশ্য, তবে আমার সত্যি ই কোন অভিজ্ঞতা নাই। মানে তার মানে আমি প্রিভিলেজ্ড লোক নই তা বলছি না, ভীষন খেটে খেয়ে পৃথিবী উদ্ধার করছি তাও বলছিনা, জাস্ট ইন্সিডেন্টালি, ব্যক্তিগত কোন বলার মত গপ্প নাই। ডেসপাইট দ্য অ্যাকিউজেশন, লেখাতেই কনসেন্ট্রেট করতে চাই, লেখকে নয়।

    প্রথমে আমার বক্তব্যের সোর্স গুলো বলে নেই, ফর্মাল উল্লেখপঞ্জী চাইলে তাও দেওয়া যাবে, শিবাংশু যেহেতু কিছু সোর্স দিয়েছেন, বোঝা যাছে সোর্স উল্লেখে তাঁর আপত্তি নেই, আনলাইক আ ফিউ সেন্সিটিভ সোল্স। আমি তিনটে চারটে ভাগে রুশ সাহিত্য সম্পর্কে পড়েছি। একটা হল আমরা যে পাবলিকেশন গুলো অনুবাদ গুলো হাতে পেতাম, বিভিন্ন সোভিয়েত প্রকাশনী তার ভূমিকা গুলো, তার পরে এই সিপিআই ইনটেলেকচুয়াল দের লেখা ইত্যাদি, গোপাল হালদার সহ বা অনুবাদক দের ভূমিকা বা নোট ইত্যাদি। এর পরে জর্জ স্টাইনারের একটা প্রবন্ধ, যেটা ভাসিলি গ্রোসমান এর life and fate এর ভূমিকায় আছে, সম্ভবত ভার্সো ইম্প্রিন্ট এ। গ্রোস ম্যানের নিজের ই প্রি-বলশেভিক রাইটার, বিশেষত কবি ও গল্প লেখক দের উপরে, এক 'প্রিন্স' এর ভাষ্যে একটা বড় বক্তৃতা আছে, সেটা। অর হালে শিলা ফিট্জপ্যাট্রিক বলে একজন সাহিত্য সমালোচক এর , যিনি ৯০ এর দশকে মস্কো আর্কাইভস খোলার পরে সেখানে কাজ করেছেন এবং নিয়মিত লন্ডন রিভিউ অফ বুক্স এ লিখেছেন। এছাড়া বোলানো র বিটুইন লাইন্স এবং অরহান পামুক এবং সম্ভবত ফুয়েন্তেস ও মন্তো এর কিছু পাসিং রেফারেন্স বা ছোটো নোট। তো রুশ সাহিত্য নিয়ে আগ্রহ আছে, কথা বলা যাবে। (মান্তো সম্ভবত গোগোল আর চেকভ এর প্রথম উর্দু অনুবাদক।)

    এবার টার্মিনোলোজি বা স্কোপের প্রসঙ্গে ফেরা যাক, রুশ সাহিত্য সম্পর্কে এ যাত্রা আলোচনা করতে চান না জানতে পেরেছি, আপত্তি নিএ, আমার মনে হয়েছিল আছে, কারণ ম্যানিফেস্টো উদগত অনেক আধুনিক লেখাকেই আপনি স্তালিনিস্ট সোশালিস্ট রিয়েলিজম এর প্রতিক্রিয়া বলছিলেন। তো আমার আপত্তি ছিল, সোশালিস্ট রিয়েলিজম জিনিসটা জে সব কমিটিতে প্রস্তাবনা হয়ে গৃহীত হচ্ছে, তার ধের আগে থেকে রিয়েলিজম এর একটা বিশেষ ভারসন, যেখানে এগেন্সি অফ চেঞ্জ হল ছোটো মাপের মানুষেরা, সেই কাজ অনেক দিন ধরে হচ্ছে। তাই স্তালিনিস্ট সোশালিস্ট রিয়েলিজম যাকে বলা যায়, সোশালিস্ট রিয়েলিজম এর স্কোপ তার থেকে বড়। এবং আইজেন্স্তাইন এর অভিঘাত এ অনেকটা আর্টিকুলেটেড হয় ইত্যাদি। তো দেখা যাচ্ছে, শিবাংশু আলোচনা করতে না চেয়েও, পক্ষান্তরে খানিকটা মেনে নিয়েছেন, 'আগে থেকে শুরু হয়েছিল' ইত্যাদি বলে, তো তাতে আপত্তি নেই।

    আরেকটা বক্তব্য ছিল ম্যানিফেস্টো নিয়ে, তো আমার অতি সিম্পল বক্তব্য ছিল, ম্যানিফেস্টো জিনিসটা স্তালিন এর আগে বা পরের সোশালিস্ট রা ছাড়াও, সোভিয়েট স্টেটের সমালোচক রা, স্তালিনের ঢের আগের অন্য লোকেরা , সম্পূর্ণ আনরিলেটেদ লোকেরা সমসাময়িক আর্টিস্টিক (সাহিত্য ইনক্লুডেড) সমস্যা কে অ্যাড্রেস করার জন্য ম্যানিফেস্টো জিনিসটা ব্যবহার করেছেন। অতএব দেখা যা্চ্ছে, স্তালিনিস্ত সোশালিস্ট রিয়েলিজম এর প্রতিক্রিয়া বা মোটিভেশন/শুরবাত এ ম্যানিফেস্টো জিনিসটা শুধু নেই।

    আনরিলেটেড ম্যানিফেস্টো জিনিসটা অনেক ক্ষেত্রেই ছিল, স্পেসিফিক সময়ের একসপ্যান্স টা বোঝানোর জন্য তুর্গেনেভ দের সেন্ট পিটার্সবার্গ গ্রুপ এর স্ল্যান্ট রেফারেন্স দেওয়ার জন্য এবং বুল্গাকভ এর লেখা মস্কো থিয়েটারের জন্য কিছু লেখার উল্লেখ করতে চেয়েছিলাম, যাতে বোঝা যায়, স্তালিন নিরপেক্ষে ম্যানিফেস্টোর ব্যবহার আছে। কবিত 'ক্যাম্পাস' (রেটোরিক হিসেবে বল্লাম) কোন নতুন ফেনোমেনন নয়। তো সে প্রসঙ্গে শিবাংশু কথা আর বলেন নি।

    এর পরে হেজেমনি ইত্যাদি প্রসঙ্গে, ব্যক্তি তো নয় ই কোন সমষ্টি পাঠক কে কেন আদৌ সরল রৈখিক বলা হয় নি সে সম্পর্কে পরে লিখবো একটু। খুন্তি নেড়ে আসছি।
  • h | 213.132.214.88 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৮723538
  • 'আগে থেকে শুরু হয়েছিল' টা কোটের মধ্য হবে না, আমি কালকের পোস্টে যা লিখেছিলাম, সেটা এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে, "আসলে ম্যানিফেস্টো'র চিন্তাটাই তো এসেছিলো স্ট্যালিনিয় 'সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা' জাতীয় রেজিমেন্টেড ইস্তাহারের প্রতিক্রিয়া থেকে। "

    তো আজ দেখা যাচ্ছে শিবাংশু "১৯১৭ সাল থেকেই লুনাচারস্কির নেতৃত্বে ব্যাপারটা শুরু হয়েছিলো। অসংখ্য শিল্পী, সাহিত্যিকরা এ নিয়ে তাঁদের যোগদান দিয়েছেন। কিন্তু 'সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা' পরিভাষাটির সরকারি অনুমোদন আসে ১৯৩৩ সালে এই নামেই গর্কির প্রবন্ধটি যখন প্রকাশিত হয়, তার পরে। ১৯৩৪ সালের পার্টি কংগ্রেসে এই পরিভাষাটি প্রসঙ্গে চারটি সূত্র প্রস্তাবিত হয় এবং শিল্প সাহিত্যবিচারে সরকারি ফরমান (পড়ুন ম্যানিফেস্টো) হিসেবে তাদের সর্বভাবে প্রয়োগ করা হয় স্ট্যালিনের নির্দেশে। এসব তো সর্বজানিত তথ্য। আর আমার বিষয় ছিলো বাংলা ছোটোগল্প বিচারের অভিমুখ নিয়ে। রুশ ছোটোগল্প হলে গর্কি কেন, গোগোল থেকেই শুরু করা যেতো।" - এটা বলছেন। এর মানে যদি দাঁড়ায় স্তালিন এর ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই স্তালিনিস্ট সোশালিস্ট রিয়েলিজম চলছে, বা স্তালিনিস্ট সোশালিস্ট রিয়েলিজম এর সরকারী ফরমানের পরেই অচিন্ত্য সেঙ্গুপট দের কাজ কর্ম, এবং তার আর কোন মোটিভেশন ছিল না, তাহলে একটু অবাক হব।

    যাই হোক মোটামুটি বোঝা গেছে, এটা আগেই বলেছি, প্রকরণের বা সোশাল নেটওয়ার্কিং এর পরিসরে বক্তব্য আদান প্রদানের সমস্যা, কারণ উল্লেখিত দুটো অংশ, আমার কাছে এখনো পুরোট রিকনসাইল করা যাছে না। তবু ওভারল ঠিকাছে, একটু বড় প্রশ্ন নিয়ে পরে আসছি, অন্যান্য়্রা যাঁরা এই পর্যন্ত পড়েই বোর হয়ে সুইসাইড করবেন ঠিক করেছেন, তাঁরা পরবর্তী জীবনে বাকি টা পড়বেন শুভেছা রইলো, নেত্যকালী হিসেবে আমি থাকছি ;-)
  • Manish | 24.96.187.184 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৫২723539
  • বানী বসু, মতি নন্দি
  • শিবাংশু | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:৪১723540
  • h'কে অনেক ধন্যবাদ। আপনে ইয়াদ দিলায়া, তো মুঝে ইয়াদ আয়া। সত্যিই খুব বোর করেছি সহিষ্ণু পাঠকদের। আপনি ঠিকই বলেছেন এভাবে আলোচনা করে হয়তো ঠিক পৌঁছোনো যায়না কোথাও। ব্যাপারটা কবির লড়াইয়ের চাপানউতোরের মতো হয়ে যাচ্ছে। সমান্তরাল রেলট্র্যাক অথবা জলের মতো একা ঘুরে ঘুরে গোছের। তবে ব্যক্তিগত প্রসঙ্গটি শাক্যজিতের উল্লেখ প্রসঙ্গে এসেছিলো। সে জন্য মার্জনাও চেয়ে রেখেছি।

    এবার ছুটি নিই।
  • h | 212.142.105.189 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:০৬723541
  • এ বাবা শিবাংশু মার্জ্জনা চাইছেন কেন, আমি আমার বকুনির চোটে ক্লান্ত লোকজনের কথা ভেবে ওটা বলেছিলাম, আমি দীর্ঘ দিনের নেত্যকালী, লোকের হাড়্মাস কালি হওয়া পর্যন্ত বকে থাকি। কিছু পেন্ডিং কোশ্চেন ও ছিল।

    কিছুই তো সেরকম বলেন নি, এ বাবা আপনি ধোজ্জো হারিয়ে ফেল্লে মুশকিল, এদিকে আমি হেজেমনি বলতে আমি কি বুঝিয়েছি সেটা বলতাম। হেজেমনি একটা বিশেষ অথচ অতি-ব্যবহৃত টার্ম, (গ্রামশি/প্রিজন ডায়রিজ ইত্যাদি) কিন্তু আমি আরেকটু বিশেষ স্থানীয় অর্থে ব্যবহার করেছিলাম। সেসব লিখবো ভাবছিলাম তো আপনি হেজেমনি র কথা শুনেই হেজে গেলেন ;-)

    যাক ধোজ্জো পেলে বলবেন। আমি বেঞ্চে না হলেও অকাতরে সম্পূর্ণ নিখচ্চায় বাজে দু পয়হা দিয়েই থাকি। আপ্নার কথা শুনতেও আগ্রহী।
  • h | 212.142.105.189 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:১৬723542
  • আমি জানি না, আপনার চোখে পড়েছিল কিনা, সম্ভব ও না অবশ্য, আমরা বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া করাঅর সময়ে নানা কথা বলছিলাম, তার মধ্যে দু তিনটি পোস্ট এই কাছা কাছি বিষয়ে ছিল, সেগুলো এখানে রেখে গেলাম, তাতে হেজেমনিক কন্ডিশন নিয়ে দু পয়হা আছে, সময় পেলে, আদৌ ইচ্ছে করলে যদি চোখ বুলিয়ে নেন, আপনার বক্তব্য শুনতে আগ্রহী থাকবো।

    name: h mail: country:

    IP Address : 213.132.214.84 (*) Date:09 Sep 2016 -- 01:50 PM

    (দমু কে লেখা)
    কিশোর সাহিত্যে মৃত্যু ইত্যাদি বিষয়ে একটি গবেষণায় সাহায্য ও পরে এডিটিং করতে গিয়ে দুটো তিনটে জিনিস আমার চোখে পড়ে রিসেন্টলি। একটা হল, উপকথা রূপকথার প্রভাবেই হয়্তো, শিশু সাহিত্য বলে যে ক্যাটিগোরি নাইন্টেন্থ বা টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরির শুরু র দিকে হচ্চে, তাতে ভায়োলেন্স কমছে না, দ্বিতীয়তঃ বালক ফেনোমেনোন টি ঘটার পরে ছোটোদের জন্য উপদেশ ছাড়াও নন ফিকশন লেখা হচ্ছে, যেমন ধর দ্বিজেন ঠাকুরের একটা লেখা, বর্গ/বর্ণ অর্গানাইজেশনের সমস্যা নিয়ে, বা সত্যেন ঠাকুরের, বম্বের নাগরিকতা নিয়ে, তাতে নানা দেশের লোকের হেডগিয়ারের আলোচনা হচ্ছে। আরেকটা জিনিস, সেটা হচ্ছে, ১৯৪০ এর পরে যে নতুন আর্বানিটি আসছে, সেটাতে বড়দের সাহিত্যে আর্বানিটি এলেও, একটা আইডিলিক বাংলার গ্রাম ও আইডিলিক বাংআলি পরিবার, তারা সকলেই বর্ণহিন্দু এরকম একটা ঘটনা ঘটছে, ইন ফ্যাক্ট নতুন রিডার মুসলমান দের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা বই লেখা হচ্ছে, তাতে লাইট রোমান্স বেশি, যেটা সে সমাজে মহিলা রিডারশিপ কে টার্গেট করছে। প্লাস পোলিটিকাল কার্টুন্স এর একটা রিচ লক্ষ্নৌ ঐতিহ্য ছিল উর্দু তে কিন্তু তার কোন কিশোর ভার্সন ওবেলিস্ক ইত্যাদির মত এরকম কিছু হচ্ছে না। কিন্তু একটা অব্ধুত ঘটনা ঘটছে তার পরে, কিশোর সাহিত্যে, সেটা হল, কলকাতা একটা অ্যাসপিরেশনাল লোকেল হিসেবে এমার্জ করছে, আইডিলিক বাংলার গ্রামের সঙ্গে প্রথমে ব্যালান্স রেখেই হচ্ছে ইত্যাদি, তার পরে আর সেটা থাকছে না। মধ্যে খানে পরিবার ইত্যাদির ভ্যালু যদিও স্থান পরিবর্তনের সঙ্গে বদলাছে না, তো এটা সিগনিফিকান্ট এবং ইনসুলারিটির একটা এভিডেন্স।
  • h | 212.142.105.189 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৩৯723543
  • name: h mail: country:

    IP Address : 212.142.106.68 (*) Date:12 Sep 2016 -- 06:15 AM

    "নমেঃ দ মইলঃ ৌন্ত্র্যঃ

    ঈ আদ্দ্রেস্স ঃ ১১৬।২২১।১৩৪।৭ (*) ডতেঃ০৯ এপ ২০১৬ -- ০৮ঃ৪৩

    -----

    কিন্তু হনু একটা কথা বল দিকিনি, আনন্দবেসড শিশু সাহিত্যে মুসলমান নেই বিশেষ, আন্ডার প্রিভিলেজডের একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে ঠিক কথা। কিন্তু তার কারণ কি খানিকটা আমাদের কলকাতাকেন্দ্রিক সমাজেও আশেপাশের চৌহদ্দির মধ্যে ঐগুলো মিসিং সেইজন্য না? মানে লেখকরা তো আশেপাশের নিজের পরিচিত জগৎ নিয়েই মূলত লেখেন। কজন আর চাঁদের পাহাড় লিখতে পারেন।"

    দমু - অতি সত্যি কথা, কিন্তু সমাজের বৈচিত্র নানা ধরণের মানুষ দেখাতে তো চাঁদের পাহাড় যেতে হয় না। নিজের চেনা পরিচিত সমাজ নিয়েও লেখা যায়, যদি না মানুষ ইচ্ছে করে সীমা টানতে ভালোবাসে, এবং তার একটা উদ্দেশ্য না থাকে। বাই দ্য ওয়ে, প্রথমে পড়তে দারুণ লাগলে, চাঁদের পাহাড় দুর্বলতম লেখা বোধ হয় ওঁর। অত বড় লেখক, দ্যাখো, ওঁকেও রিসার্চের অভাবে পেয়ে বসেছিল। শুধু তাই না, আমার এখন মনে হয়, বিভূতি তো পড়ুয়া লোক ছিলেন, উনি কনরাড এর হার্ট অফ ডার্কনেস পড়েছিলেন। আমার এটা নিজে থেকে মনে হয় না, না এটা ওটা থেকে মনে হয়, সেটা মনে নেই, কিন্তু আফ্রিকা কে একটা আদিম অন্ধকারের রাজ্য হিসেবে দেখা, এবং সেখানকার মানুষকে একেবারে সেই ল্যান্ডস্কেপের পার্ট করে দেওয়ার মত রেসিস্ট হয়তো বিভূতি ছিলেন না, কিন্তু এটা সমসাময়িকতার ব্যাপার আছে, তুমি যে সময়ে লিখছো, তুমি সেই সময়ের হেজেমোনিক সেন্সিবিলিটি খানিকটা রিফ্লেক্ট করবে, যত উত্তরণ হবে তত ভালো টেক্স্ট হবে। সেদিন রবাহুতএকটা কথা বলেছে, বিভূতি র কনজারভেটিজম নিয়ে তো কথা শুনলাম না ইত্যাদি, তো আমার এটা ভ্যালিড প্রশ্ন হলেও মনে হছিলো, ধর দুটো ছোটো জিনিস, ইছামতী তে ভবানী বাঁড়ুজ্যে যখন বড় বউ তিলুর সঙ্গে চান করছে পুকুরে, তাতে সে যে জ্ঞান টা দিচ্ছে তার মত রিগ্রেসিভ ব্রাহমিনিকাল পজিশন ডিরেকটলি কম এসছে বাংলায়, কিন্তু আবার সেই গল্পেই তুমি বিদ্রোহের আভাস পাচ্ছো, একজন সাহেবের রক্ষিতার প্রতি একটা সিম্প্যাথি পাচ্চো, বা ধরো কটা কলকাতাকেন্দ্রিক উপন্যাস জাস্ট হাঁটা দিচ্ছে জঙ্গলের দিকে। এমনিতে বিভূতি র লেখায় "গরীব ব্রাহমন" জিনিসটা এত ডিফেন্ড করা হয়েছে, বোর লাগে, কিন্তু আরণ্যক বা অভিযাত্রিক এ জিনিস তো দ্বিতীয়টি নাই, তো এক্সপ্যানশন তো নিজেকেই করতে হবে, নইলে প্যাঁক খেতে হবে ;-) গোটা ব্যাপারটাই, শীর্ষেন্দু/গৌরকিশোর সহ, এটার মধ্যে ভালো মন্দর এইসব অন্ধত্ত্বে না গিয়ে বলা যায়, এটাকে সোশাল ফেনোমেনন হিসেবে দেখলে তাকে অ্যানালিসিস করা যায়, নলে সুদুও পুজোর গন্ধ ইত্যাদি রিডিকিউলাস ব্যাপার।
  • h | 212.142.105.189 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৪৩723544
  • বৈচিত্রের সংকোচন প্রসঙ্গে ----

    name: h mail: country:

    IP Address : 213.132.214.88 (*) Date:12 Sep 2016 -- 11:44 AM

    সকালে একটা কাজে আমায় বাঘা যতীন যেতে হয়েছিল, একটা অ্যাবান্ডন্ড ছোটো মসজিদ দেখে একটা কথা মনে হল।

    এপার বাংলায় শহরের জেন্ট্রিফিকেশন যে বড় করে একটা হয়েছে, এবং পাশাপাশি ঘেটো তৈরী হয়েছে, এটা মোটামুটি প্রমাণিত। কয়েকটা ইন্ডিকেটর দিচ্ছি। আমরা জানি যে বিজয় গড়/নেতাজিনগর অঞ্চলে বিরাট কলোনী তৈরী হচ্ছে পার্টিশনের পরে, এবং সেটা ইউ এন সম্ভবত স্বীকার করছে সবচেয়ে বড় উদ্বাস্তু বসতি হিসেবে ৭০ এর দশকে। তো আমরা রাজনইতিক দিকটা জানি, এগুলি বামেদের গড় বিশেষ ছিল, এখন টি এম সির হয়েছে। তো এই অঞ্চল টা র প্রথমে বামেদের বিরাট জায়গা হয়ে ওঠা ইত্যাদি নিয়ে আর বলছি না, ওয়েল ডকুমেন্টেড। মনোরঞ্জন ব্যাপারী দের নালিশ, যে কলকাতায় জায়গা পাচ্ছে উচ্চবর্ণ রা, নিম্ন বর্গ দের জেলায় চলে যেতে হচ্ছে, এটাও ডকুমেন্টেদ, যেটা খুব ই কম ডকুমেন্টেড, সেটা হল লায়েলকা/প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড, আনোয়ার শার পীর দরগা বাঘা যতীন এই অঞ্চল থেকে রিফিউজি দের চাপে প্রুহ্র মুসলমান উৎখাত হচ্ছেন, এদের অনেকেই কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তান যান নি। শহরের মধ্যেই রিলোকেট করেন পার্ক সার্কাস, খিদির পুর , এন্টালি , রাজার হাটে। এটা নিয়ে অল্প স্বল্প রেকর্ড সহ প্রবন্ধ কিছু কিছু বেরোছে। (ইপিডাব্লিউ - সংখ্যাটা ভুলে গেছি)

    তো পার্ক স্ট্রীট চৌরঙ্গীর সাদা শহর আর এন্টালির নেটিভ দের শহর এর যে বর্ডারলাইন সেইখানে তে গিয়ে নতুন ভাবে দেশের মধ্যেই ডিসপ্লেস্ড লোকের একটা ঘ্হেটো বৃদ্ধি কিছু হচ্ছে, আবার এন্টালির হিন্দুরা মনে করতে শুরু করছে, তাঁরা সোয়াম্প্ড হচ্ছেন, অনেকেই দক্ষিণে চলে আসছেন। তো এই যে গড়িয়াহাট/যোধপুর পার্ক বা সাউথ সাবার্বান এক্সপ্যানশন, এটা হিন্দু জেন্ট্রিফিকেশনের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িতে এবং এটা কলকাতার অন্যত্রও নানা ভাবে হচ্ছে।

    এই প্রসেস টা কে তুমি বাংলা সাহিত্যের হোমোজিনাইজ্ড হওয়ার সঙ্গে মোটামুটি সময়ের দিক দিয়ে রিলেট করতে পারবে, ঊনবিংশ শতকের কলকাতা তো ছেড়েই দাও, বিশের দশক থেকে ৪০ এর দশক অব্দি যে নানা ধরণের লোকের একটা সামাহার কলতায় ঘটছে, সেটা ক্রমশ কমছে বা ঘেটো প্যাটার্ন বদলে যাচ্ছে, পঞ্চাশের দশক থেকে আশি র দশক অব্দি। আই নব্বই এর দশকের ঝিনচ্যাক কেসটা আপাতত স্কোপের বাইরে রাখছি। ধর অবন ঠাকুরের ঘরোয়া লেখা , এখানে দেখছি জিউইশ দর্জি আসছে, আর্মেনিয়ান চোকোলেট ওয়ালা আসছে, বাড়িতেই আসছে, একজন কিশোর , অবশ্যই তিনি অবন ঠাকুর, কিশোরের চোখ দিয়ে সে সব রেকর্ড করছেন। বা ধর ১৯৩০ স এর মেমোয়ার গুলো তে আমরা বর্ণহিন্দু নন এরকম যত লোক পাছ্হি, সেটা ক্রমশঃ হারিয়ে যাচ্ছে, বা বলা যেতে পারে নতুন বিন্যাস একটা হচ্ছে শহরের। পাশাপাশি আরেকটা জিনিস কিন্তু ঘটছে যেটা আমার পার্সোনাল সারমাইজ , সেটা হল, নন ফিকশনের যগতে ঊনবিংশ শতকীয় বুক অফ নলেজ এর প্রভাবে যে একট বৈচিত্রের অনুসন্ধান থাকছে, সেটা কিন্তু ফিকশনের আইডিলিক বাংলা ও বাঙালি জাতি নির্মান প্রোজেক্ট এ হারিয়ে যাচ্ছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যান্য সাহিত্যের মতই কিশোর সাহিত্য। গানে বাজনায় তবু যা 'নন বেঙ্গলি' এক্সপিরিয়েন্স পাছি, এই ধরো অঞ্জন দত্ত, সেটার স্কোপ সাহিত্যে সারপ্রাইজিংঅ নয় আর, ভীষণ কমে যাচ্ছে। এটা একটু ভেবে দেখো।
  • aranya | 154.160.226.95 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:৩৬723545
  • এই টই-টা ভাল করে পড়তে হবে, জানি না কবে সময় পাব। হনু আর শিবাংশু-র কথোপকথন ভাল লাগছে।

    শিবাংশু-র এই অ্যাপ্রোচ-টা ভাল লাগল - 'কে সরকারবাড়ির ভাত খায়, কে ঠাকুরবাড়ির বা আন্ডারগ্রাউন্ডে রাখালবাড়ির, সেটা ঠিক খেয়াল থাকেনা। তাঁদের অক্ষরবদ্ধ শিল্পটাই অগ্রাধিকার পায়'।

    ভাটে একটা তর্ক চলছিল, যাতে লিখেছিলাম - 'শীর্ষেন্দু বা অন্য কারও রচনার সমালোচনা করতে হলে দয়া করে কোন গোষ্ঠীর পত্রিকায় বেরিয়েছে, কে পাবালিশার এগুলো ভুলে যান, সম্ভব হলে লেখকের নামটাও ঃ-)। জাস্ট লেখাটা যেমন ধরুন 'পাগলা সাহেবের কবর' -
    পড়ুন এবং যদি মনে হয় বাজে লেখা বা বোকা লেখা, কেন তা মনে হচ্ছে সেটও একটু লিখুন'। শিবাংশু-র চিন্তাধারার সাথে মিল দেখতে পাচ্ছি।

    'চাঁদের পাহাড় দুর্বলতম লেখা বোধ হয় ওঁর' - এইটা পড়ে কিঞ্চিৎ শক পেলাম, চাঁদের পাহাড় এখনও খুবই প্রিয়। তবে আমার মত গোলা পাঠকের সাহিত্যপাঠের সাথে সিরিয়াস সমালোচকের মতপার্থক্য হওয়াই স্বাভাবিক।
  • Sakyajit Bhattacharya | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:০৬723546
  • প্রবন্ধ আকারে লিখতে ল্যাদ লাগছে। চেষ্টা করছে একটু ভাটাতে। সংক্ষেপে, ফেরিঘাট আর্বান মৃত্যুচেতনার উপন্যাস। অমিয় মরে যাচ্ছে। তার মরে যাবার কারণ তার ব্যবসায় মার খাওয়া বা বউ পালানো নয়। ব্যবসার পার্টনারের বিশ্বাসঘাতকতাও নয়। সে মরে যাচ্ছে আমাদের নাগরিক নিহিত পাতালছায়ার কারণে। বিজন সেতু তাকে গিলতে আসে, ধর্মতলার ঠা ঠা রোদে সে ঘুরে বেড়ায় এলোমেলো, এবং এই সমস্ত শহুরে চিহ্নগুলো, সেতু, ডালহৌসী স্কোয়ার, স্কুটার (যেটা সে অবলীলায় অন্য একজনকে দিয়ে দেয়), দামি অফিসঘর এসবকিছুতেই তার ঘুম পায়। তার মাঝে মাঝে পেট্রলের গন্ধ ভাল লাগে, চনমনে করে তোলে। আবার কয়েক মুহূর্ত বাদেই কেঁচোর মত ঘাম গড়িয়ে পড়ে শার্টের নিচে। 'কেঁচো' শব্দটি গুরূত্বপূর্ণ। কারণ অমিয়র মধ্যে কুণ্ডলি পাকিয়ে বসে থাকা মৃত্যুচেতনা অথবা গাঢ় অবসাদ একসময় পাক মেরে উঠে আসতে থাকে তার মগজ পর্যন্ত। একসময়ে তার কমিউনিকেট করার মাধ্যমগুলো ভুলে যেতে থাকে। ফোন ধরলে ওপাশে কেউ উত্তর দেয় না, শুধু গাঢ় নিঃসীম স্তব্ধতা এক অন্ধকার বালিয়াড়িতে বয়ে যায়। অমিয় সেই নৈঃশব্দকে শুনতে থাকে।

    এখানে লিবিডোর প্রসংগ এসেছে অসাধারণ শৈল্পিক বর্ণনায়। স্পষ্টত না বললেও আমরা বুঝি অমিয় আর হাসির মধ্যে শারিরীক সংযোগ নেই, এবং সম্ভবত অমিয় ইমপোটেন্ট হয়ে গেছে। তাই হাসি একা একা কলকাটায় ঘুরে বেড়ায়, মনুমেন্টের উদ্যত ঋজুতা দেখে তার আশ্লেষ হয়। ময়দান থেকে হাহা হাওয়া ছুটে এসে বন্য দুরন্ত পুরুষের মত তাকে মথিত করছে মনে হয়। রান্নাঘরে বাচ্চা শিশুর মত একটি ইঁদুর মরে পরে থাকলে তার চোখে জল আসে। সেই ইঁদুরের শিশুদেহে, গোলাপি নরম পেটে হাত বুলিয়ে তার কষ্ট হয়। এবং লেখক একবারের জন্যেও নিজে থেকে বলেন না অমিয় এবং হাসি নিঃসন্তান (বুড়ি কাকিমার জবানি বাদ দিলে)। শুধু শেষ লাইনে আলতো বলে দেন, 'বিষ সে নিজে মিশিয়েছিল'। কি ভংকর পরিমিতিবোধ, যে এইরকম কয়েকটা তুলির আঁচড়ে এতগুলো কথা বলে দিলেন। কে বলে শীর্ষেন্দু গ্যাদগ্যাদে? কিন্তু অমিয় মরে যাচ্ছে। সে কল্পনা করে গোলপোস্টের নিচে সেনগুপ্ত'র (তার বিজনেস পার্টনার যে টাকা নিয়ে পালিয়েছে) দুখানা হাত থাবার মত উদ্যত হয়ে আছে। ফণা তুলছে এক হিংস্র গোলকিপার। অমিয়কে সে আটকে দিচ্ছে। নবারূন ভট্টাচার্য্যের অটো মনে পড়ছে? ইমপোটেন্ট হয়ে যাবার পর চন্দন স্বপ্ন দেখত গোলপোস্টের, এবং গোল মিসের। মুরে আসা যৌনতা আর মাঝে মাঝে কেঁচোর মত গুটিয়ে পাকিয়ে ঠেলে উঠতে চাওয়া অক্ষম লিবিডো, এই দুইকে শীর্ষেন্দু জাস্ট একটা ফ্যান্টাসির মধ্যে দিয়ে বলে দেন। আর কিচ্ছু না।

    এবং মৃত্যুচেতনা। অমিয় একটা ফেরিঘাট দেখে। গভীর কালো জল। অনন্ত একা বালিয়াড়ি। বালিয়াড়িতে একটা সাপের খোলস পড়ে আছে। আর হাহাকার করে ছুটে যাচ্ছে হাওয়া। সেই ফেরিঘাটে আমাদের সকলের একদিন দেখা হবে। অমিয়র স্মৃতিতে উঁকি মেরে যায় ছেড়ে আসা বাংলাদেশের যৌথ পরিবার এবং কৌম অবশেষের ঘ্রাণ। তাদের সমস্ত ভাইবোনের একসংগে দিনযাপন। কিন্তু বাংলার মধ্যবিত্ত পার্টিশনের উপন্যাসগুলোর মত এখানে অমিয় সেসব ভেবে খুব একটা আকুল হয় না। ফিরেও যেতে চায় না। কারণ সে জানে ফেরার রাস্তা বন্ধ। দেশের মাটি, যৌথ পরিবার, বুড়ি কাকিমা বা আইবুড়ো দিদির দুঃখ নিয়ে সে বিশেষ ভাবিত নয়। কিন্তু আউটসাইডারের নায়কের মত অথবা ঘুণপোকার শ্যামের মত এমন-ও নয় যে সে এগুলোকে বুঝতেই পারছে না। সে বোঝে, অনুভব করে। এবং তারপর নির্লিপ্ত মন নিয়ে একটা ফেরিঘাটের দিকে চলে যায় । ওখানেই তার গন্তব্য এবং ওখানে যাবার জন্যই তার আপাতত বেঁচে থাকা। এবং গল্পের শেষ কয়েক পাতা জুড়ে অমিয় যে আর ফেরিঘাট দেখে না, এটাই বুঝিয়ে দেয় যে এই নায়কের গল্প হিসেবে আর বিশেষ কিছু অবশিষ্ট নেই। কিন্তু ইন্টারেস্টিংলি, স্বপ্নের হস্তান্তর হয়ে যায় । এখন হাসি ফেরিঘাট দেখে। আস্তে আস্তে তার শহরের প্রতি প্রেমপর্ব শেষ। এরপর আসবে অনপনেয় এবং অবধারিত অবসাদ। মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা। অলরেডি সে মরা ইঁদুর দেখে ফেলেছে। দেখে ফেলেছে হায়েনার মত লুম্পেনের হাসি। অমিয়র গল্প শেষ, কিন্তু হাসির গল্প এখনো কিছুটা বাকি আছে। তাকে ফেরিঘাট পর্যন্ত এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু লেখক আর সেটা দেখান না। কারণ নগরের অবসাদে সৃজনের অবকাশ আর নেই। হাসির যাত্রা তাই অমিয়র এক ক্লান্তিকর অনুসরণ ছাড়া আর কিছুই হবে না।

    অমিয়র যাত্রাপথ তার শেকড়ে ফেরা । কিন্তু সেই শেকড় শৈশবে অথবা যৌথ পরিবারে নেই আর। এখানেই উজান জাতীয় সেলিব্রেটেড (এবং কিছুটা ওভাররেটেড) উপন্যাসগুলোর থেকে অনেকদূর এগিয়ে গেলেন লেখক। শেকড় প্রোথিত আছে এক অনন্ত ঘুমে। সময় যে সার্কুলার, আসলে এক অন্ধকার নিঃসীম সমুদ্রই যে নিয়তি, যার কাছে প্রতিকারহীন ফিরে যাওয়া ছাড়া আর মানুষের বিশেষ কোনও তাৎপর্য্যপূর্ন গল্প নেই, সেই কথাটুকুই ধরা পড়ে থাকল এই ছোট্ট উপন্যাসের কয়েকটা পাতায়। আমি অন্তত নিজের সীমিত পড়াশোনায় বাংলা সাহিত্যে এর তুলনীয় লেখা দেখিনি
  • robu | 213.132.214.83 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:১১723548
  • অতীন্দ্রিয় পাঠকের একটা দুর্দান্ত ছোটগল্প পড়েছিলাম - 'মা বুড়ি হয়ে যাচ্ছে'।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন