এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জলের সংকট

    bip
    অন্যান্য | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৫০০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:৩৫727466
  • গত দুসপ্তাহ ভারতের নানান শহরে চরকির মতন ঘুরছি। আশঙ্কা ছিল ডিমনেটাইজেশনের বাজারে, ক্যাশ সংকটে ভুগিতে হইবে। কিন্ত তেমন কিছু হল না-বরং দেখলাম কোলকাতা বাদ দিলে, অন্য মেট্রোগুলোতে ক্যাশ ছাড়া বাঁচা সম্পূর্ন সম্ভব। অন্তত ট্রাভেলারদের পক্ষে।

    কিন্ত যেটা আশংকাজনক বলে মনে হল-সেটা হচ্ছে সারফেস ওয়াটার রিজার্ভ। নদী, নালা, পুকুর-ভারতের সর্বত্র যাতা অবস্থা। এটা জানা ছিল গত ত্রিশ বছরে ভারতে নদীর জল ধারন ক্ষমতা কমেছে ৫৪%। আমারত দেখে শুনে মনে হচ্ছে ওটা ৯০% এর কাছাকাছি হবে।

    ব্যাঙ্গালোর থেকে মাদুরাই গেলাম একদম আমেরিকান কোয়ালিটির এক্সপ্রেস ওয়েতে। পথে কাবেরী থেকে আরো কিছু নদীনালা। কোত্থাও কোন জল নেই।

    কালনার কাছে গঙ্গা বড়াবর অনেকটা ঘুরলাম মটর সাইকেলে। চারিদিকে চড়া গজিয়েছে। ছোটবেলায় দেখতাম কালনা ভর্তি থাকত পুকুরে। এখন প্রতিটা পুকুরকে ইচ্ছা করে মজাচ্ছে তাদের মালিকরা। যাতে চড়াদামে বেচতে পারে। কারনে শহরে আর কোন জমি নেই।

    পুনে শহরের বুকচিরে আছে অনেক নদী, ক্যানাল। কোথাও জল নেই। জলের স্তর নেমে গেছে আশঙ্কা জনক ভাবে। পুনে শহরে জলের সংকট বেশ তীব্র।

    ব্যঙ্গালোরের লাইফ-লাইন অনেকগুলো লেক। একটা সেন্সর প্রোজেক্টের কর্মসূত্রে শহরের মধ্যের একটা লেকে গেলাম -নামটা বোধ হয় বেলান্দুর লেক। জলের অবস্থা বেশ খারাপ। শুনলাম ব্যাঙ্গালোরের প্রায় কুড়িটা ছোটবড় লেক বোঁজানো হয়েছে।

    এত যা দেখছি ভারতে উন্নয়নের নামে আত্মহত্যা চলছে। চারিদিকে ঝকমকে মল। রাস্তাঘাট ভাল হচ্ছে। হাই রাইজ উঠছে। কিন্ত নদী, নালা জলের সোর্সগুলোকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, তাতে আর জাস্ট দশ বছর বাদে অধিকাংশ শহরে পানীয় জলের সাপ্লাইএর তীব্র সংকট দেখা দেবে। দিতে বাধ্য।

    পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ইতিহাসে, পরিবেশ ধ্বংশ করে ফুটে যাওয়ার লিস্টিটা ছোট না।

    পরিবেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা আছে। মোদি সরকার দেখছি ঠুটো জগন্নাথ পল্যুউশন বোর্ডকে একটু হলেও নাড়িয়েছে। ২৩০০ কোম্পানীর কাছে ক্লোজার নোটিশ গেছে। কালনা শহরেও শুনলাম, তৃনমূল এসে পুকুর বোঁজানো বন্ধ করেছে, যা সিপিএম আমলে ছিল বেশ র‍্যামপ্যান্ট। সবটাই শোনা কথা যদিও। এগুলো আশার কথা। আমি আশাবাদি।

    ডিমনেটাইজশনের ফলে আশা করি জমি, বাড়ির উদ্ভট দাম ধ্বসে যাবে। এগুলো হলে হাই রাইজ তোলা বন্ধ হবে। ট্রাম্প বাবাজি যদি আউটসোর্সিং এ কার্পেট বম্বিং করে, তাহলে ব্যাঙ্গালোরের বাকি লেকগুলো অন্তত খাসি হওয়ার হাত থেকে বাঁচবে।

    কখনো সখনো মনে হয়, এই উন্নতি না হলেই হয়ত দেশটা বেঁচে যেত।
  • Rit | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:০২727492
  • ঠিক। ১৫ বছর আগেও ব্যাঙ্গালোরে প্রচুর লেক ছিল।এখন অনেক কমে এসেছে।
    পুকুর বোজানো আর গাছ কাটা কমাতে না পারলে মুস্কিল আছে।
    উত্তরাখন্ডে দেখলাম পাহাড় গুলো ন্যাড়া হয়ে গেছে।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:১৭727503
  • হ্যাঁ ডিমনেটাইজশান নিয়ে কলকাতার মানুষেরা যেরকম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সেরকম বোধায় অন্য মেট্রোগুলোয় হয়নি। অবশ্য গত দুমাসে আমি কলকাতায় যাইনি, শুধু চেন্নাই আর ব্যাঙ্গালোরের অবস্থা দেখেছি। তবে কলকাতায় আত্মীয় আর বন্ধুদের সাথে কথা বলে দেখলাম পাগলের মতো অবস্থা। তার কারন বোধায় কলকাতায় ছোট আর মাঝারি দোকানগুলোয় পস মেশিনের ব্যবহার সবচে কম। অবশ্য কলকাতায় যদ্দুর মনে হয় ওভারল মানি অ্যাভেলেবিলিটি বা মানি সার্কুলেশান সবচেয়ে কম (এটা আমার আন্দাজ, ডেটা নেই), তাই হয়ত ছোট আর মাঝারি দোকানদাররা পস মেশিন বসানোর কথা ভাবেন নি।
  • টুংকাটাকিলা | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৫727514
  • ভারতের কত শতাংশ লোক মেট্রো শহরে থাকে যে সেইটা মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ায়? মুম্বই/লুরু/চেন্নাইয়ের তুলনায় কলকাতায় সমস্যা বেশি হয়েছে না কম, সেটা রুরাল এরিয়ায় ডিমনি-এর এফেক্টের কাছে নস্যি। বিপের লজিক তো ঐ লোকগুলোর মত যারা রেগুলার টুইটারে লিখে যাচ্ছে - এই তো আমি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে আনলাম, একটুও লাইন নেই ইত্যাদি।
  • টুংকাটাকিলা | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৭727525
  • আর কলকাতাতেও বিপ-দের পক্ষে ক্যাশ ছাড়া বাঁচা সম্ভব। সাধারণ লোকের মত বাঁশদ্রোণী বাজারে বাজার করতে যাওয়ার দরকার নেই তো।
  • টুংকাটাকিলা | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৫২727536
  • যাগ্গে জল নিয়ে বিশেষ বক্তব্য নেই। কাজেই সেইটা চালিয়ে যান।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৯:০৯727558
  • হ্যাঁ মেট্রোর বাইরে লোকজনের বেশ অসুবিধে হচ্ছে। এতো ভালো একটা পদক্ষেপ, সেটার এরকম জঘন্য ইমপ্লিমেন্টেশান হতে পারে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।
  • রোবু | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৯:০৯727547
  • যাক, আজকে আর আপিস যাব না।
  • রোবু | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৯:২২727569
  • পদক্ষেপটা ভাল কেন সেইটা একটু বুঝতে চাই। ইম্পলিমেন্টেশন ছেড়ে দিলাম।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৪727467
  • পদক্ষেপটা ভালো কারন বেশ কয়েকটা "ব্ল্যাক ইকনমি" সেক্টরে একটু নাড়াচাড়া পড়লো, বিশেষ করে যেসব সেক্টরে ক্যাশ টাকার হাত বদল হতো। বিজনেস অ্যাস ইউসুয়াল ব্যাপারটা একটু ধাক্কা খেল, এর ফলে এইসব সেক্টরের প্লেয়ারদের সামান্য হলেও একটু লস অফ কনফিডেন্স হলো। আর আরেকটা কারন ক্যাসলেস ইকনমিতে যাওয়া যায়, বা ক্যাশলেস ট্র্যান্সাকশান বলে একটা ব্যাপার আছে, এটা বহু মানুষ জানলেন, অ্যাওয়ারনেস তৈরি হলো। ফলে রেকর্ডেড ট্র্যান্সাকশানের ভল্যুম গ্রোথ রেট অল্প একটু বাড়লো, ফর্মাল ইকনমির এক্সপ্যান্সান রেটও অল্প একটু বাড়লো।
  • টুংকাটাকিলা | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:১৮727478
  • হুঁ, কালও এরকম শুনলাম - ঠেলা না পড়লে এখানে কিছু হয়না তাই...ইত্যাদি। তার সাথে লাইনে যে মোটা লোকটা মারা গেছে তার ধমনীতে কত বছর ধরে কী যেন বলে সেই সব জমা হয়েছিলো, সে তো মারা যেতই ইঃ

    শুনলেও ভাল্লাগে যে জি নিউসের সুভাষচন্দ্রও তাত্ত্বিক হয়ে গেছেন।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৩৫727484
  • অ্যাঁ জি নিউসের সুভাষচন্দ্র এইসবই বলেছে নাকি? ছিটেল বোধায় :d

    তবে নব্বুইয়ের ইকনমিক লিবারালাইজেশানের পরে এই ডিমনেটাইজেশান বোধায় ভারতের অর্থনীতির ইতিহাসে সেরা পদক্ষেপ। আর লিবারালাইজেশান যেমন লং টার্মে আজকের ভারত গড়তে সাহায্য করেছিল, সেরকম ডিমনিটাইজেশানেরও লং টার্মে বেশ কিছু বেনিফিট হবে। আমাদের কারুর কারুর মতে মনমোহন সিং ভারতের সেরা ফিনান্স মিনিস্টার ছিলেন (আর ততোধিক ব্যর্থ প্রধানমত্রী), অথচ এই পদক্ষেপটা উনি বা ওনার টিম না নিয়ে নিল মোদির মতো একজন খুনে - একেই বলে পরিহাস। আরেকটা জিনিষ খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে, লিবারালাইজেশানের পরেও কয়েক বছর ধরে অনেক সমালোচনা হয়েছিল, কিন্তু পরে দেখা গেল লাইসেন্স রাজ উঠিয়ে না দিলে, কমপিটিটিভ এনভায়রনমেন্ট তৈরি না হলে ইকনমিক প্রোগ্রেস হতো না। আজকেও মিডিয়াতে তেমনি ডিমনেটাইজেশান নিয়ে সমালোচনা চলছে, তবে যদ্দুর মনে হয় পাঁচ-ছ বছর পরেও মোটামুটি কনসেনসাস তৈরি হবে যে নব্বুইয়ের লিবারালাইজেশান আর ২০১৬স ডিমনেটাইজেশান, দুটোই ভারতের ইকনমির জন্য খুব ভালো পদক্ষেপ ছিল।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৪৪727486
  • কিন্তু ডিমনেটাইজেশানের পর ব্যাংকের লম্বা লাইন দেখে আরেকটা জিনিষ হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। সেটা হলো, কন্ট্রোলড বা সেন্ট্রালাইজড ইকনমিতে মানুষের বিরক্তি কি চরম সীমায় পৌঁছয়! সোবিয়েত ইউনিয়্ন কেন কোল্যাপ্স করেছিল, কন্ট্রোলড ইকনমি কেন কাজ করে না, নিজের চোখে দেখতে পেলাম।
  • রোবু | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৪৪727485
  • আচ্ছা, যারা ফরমাল ইকনমিতে থাকে না, তারা তো টাকা হাতবদল করাতে থাকে। আড়তদদার ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, সে খুব বাজে ব্যাপার, কিন্তু তাতে কারুর মাইনে হয়। না হলে সে বাড়ি বানায়, তাতে কেউ ইঁট বালি সিমেন্ট দেয়, কেউ শ্রম। এসব-ও খুব বাজেই ব্যাপার, কিন্তু এই টাকার হাতবদল হয়, কন্সাম্পশন বাড়ে, সরকারের ইনকাম বাড়ে না। কিন্তু এম্পলয়মেন্ট জেনারেশন হয়।
    বড় বড় হনুরা সরকারের ব্লেসিং নিয়ে এই কাজ করলেই সেটাকে এম্পলয়মেন্ট জেনারেশনের নিমিত্ত ট্যাক্স ব্রেক বা ট্যাক্স হলিডে এইসব বলে ডাকা হয়, তাই না?
    এবার ক্যাশ্লেস হলে সরকারের ট্যাক্স বাড়বে, সন্দেহ নেই। তাতে কি হবে? কার উপকারে লাগবে সে টাকা?
    মনরেগাতে বাজেট বাড়বে? মহারাস্ট্রে জল সংকট মিটবে? গভরন্মেন্ট এই সব টার্গেট ঠিক করেছে? যে এত লাভ হবে এক্সপেক্ট করছি, এবং তাই দিয়ে এই এই হবে?
    এই ঝাঁকুনির ফলে যাদের হাতে জোর ছিল তারা হাতল ধরে ঠিকই টিকে রইল, যাদের হাতে জোর কম, সব ছিটকে নিচে পড়ল।
  • রোবু | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৪৭727487
  • নব্বইয়ের ধনের অসাম্য যে আজকে এসে অনেক বেড়েছে সেটা ইগ্নর করলেন?
    আর লিবারালাইজেশন অত ভাল জিনিস হলে মনরেগা আর মিড্ডেমিল চালু করতে হল কেন?
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৫৩727488
  • রোবু, সরকারের হাতে টাকা বাড়বে এটা বোধায় শর্ট টু মিডিয়াম এফেক্ট। লং টার্মে যদি আরো বেশী সংখ্যক লোক ডিজিটাল ট্র্যান্সাকসান করতে শুরু করেন তার পজিটিভ এফেক্ট আরো বেশী হবে। ওভারল ট্রান্সপারেন্সি বাড়বে, ট্যাক্স অ্যাভয়েড করার প্রবনতা কমবে, এফিসিয়েন্সি বাড়বে, কাস্টমারদের বা এমপ্লয়িদের ঠকানোর প্রবনতা কমবে। এগুলো সব জিরো হয়ে যাবে তা নয়, তবে এখনকার থেকে একটু ভালো অবস্থায় যাবে মনে হয়। এবার আপনি যেমন বল্লেন আড়তদাররা "ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, সে খুব বাজে ব্যাপার, কিন্তু তাতে কারুর মাইনে হয়"। কিন্তু দেখুন ডিমনেটাইজেশানের ফলে লং টার্মে এখনকার ইকুইলিব্রিয়াম থেকে সরে আরেকটা ইকুইলিব্রিয়াম রিচ করা যাবে যেখানে মাইনে ঠিকই দেওয়া হবে, কিন্তু ট্যাক্স অ্যাভয়েডেন্স এখনকার থেকে খানিকটা কমবে। আর সরকার যদি ট্যাক্স বেশী পায় তাহলে সেই টাকাগুলো অতি অবশ্যই স্বাস্থ্য-শিক্ষা-ইনফ্রা তে আরো বেশী করে ব্যায় করা উচিত। সেটা করবে কিনা জানিনা। প্রশ্ন হলো, এই বিহেভিয়রাল চেঞ্জ কি এই শকটা না দিয়ে আনা যেত? আমার মতে না, যেত না।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৫৪727489
  • আমি তো ক্যাপিটালিস্ট, আমি কি ডরাই সখি ধনের অসাম্যে?
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৫৬727490
  • আর মনরেগা আর মিড্ডেমিল তো আমার মনে হয় ভালো সরকারি পদক্ষেপ। আমাদের মতো ক্লাসিকাল ক্যাপিটালিস্টরা তো এতে আপত্তির কিছু দেখিনা, নিওদের কথা আলাদা।
  • cm | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:০৩727491
  • “ ওভারল ট্রান্সপারেন্সি বাড়বে” এখানে ইনফর্মেশন শেয়ার করার ইম্প্লিসিট অ্যাসাম্পশন নেই তো? মুষ্টিমেয় কিছু লোক যদি সব অবসার্ভ করতে শুরু করে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:০৯727493
  • সে তো ঠিকই, কি ধরনের ইনফেরমেশান শেয়ার হবে, তার কতোটা মেটা আর কতোটা অ্যাকচুয়াল ডেটা, কিরকম কন্ট্রোল থাকা উচিত এসব নিয়ে জোরালো ডিবেট হওয়া উচিত, যেটা আমার মনে হচ্ছে ডিমনির ডিবেটে চাপা পড়ে যাচ্ছে। বিটকয়েনের মতো ডিসেন্ট্রালাইজড ক্রিপ্টো কারেন্সি চালু করা যায় কিনা, ভারতের ছোট ছোট গ্রামের প্রান্তিক মানুষরা এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন কিনা, তার জন্য কিরকম ইনফ্রা গড়া যায়, সেসব নিয়ে অনেক আলোচনা হওয়া উচিত। তবে আমি ইনফরমেশান শেয়ার ইত্যাদির দিকে না গিয়েও সিম্পল ওভারল ট্রান্সপারেন্সি বাড়ার কথা বলেছি। মানে আগে তিন চার পাঁচ দশ হাজার বা তার বেশীর যেসব ট্রানজাকশান আকছার ক্যাশে হতো সেগুলোর ২০-৩০% ও যদি এখন ডিজিটালি হয়, তার রেকর্ড থাকে, তাহলেও ট্রান্সপারেন্সি বাড়বে।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:১৭727494
  • আগে ভারতে ফোনের পেনিট্রেশান খুব কম ছিল। কিন্তু মোবাইল ফোন আসার ফলে আমরা সেই ল্যান্ড ফোন স্টেজ লিপফ্রগ করে গেলাম, তার ফলে এখন অনেক গ্রামে মোবাইল ব্যবহার হচ্ছে, অনেক মিনবিত্ত মানুষরাও বেসিক হ্যান্ডসেট ব্যবহার করছেন। আর এই মোবাইল পেনিট্রেশানের সাথে কিন্তু নব্বুইয়ের লিবারাইজেশান ইনডিরেক্টলি জড়িয়ে আছে। ফোন সেক্টরে কমপিটিশান না এলে সরকারী বিএসেনেল কখনো আজকের মোবাইল ফোন পেনিট্রেশান লেভেলে পৌঁছতে পারতো না। সেরকমই লং টার্মে ডিমনিটাইজেশানের ফলে আর বিহেভিয়রাল চেঞ্জের ফলে কিছু পজিটিভ এফেক্ট হবে মনে হয়। এখনকার বেসিক হ্যান্ডসেটগুলো ব্যবহার করেই যদি সাধারন মানুষ ডিজিটাল ট্র্যান্সাকশানে অভ্যস্ত হতে শুরু করেন (তার জন্য উপযুক্ত অ্যাপ আর ইউএসেসেডি দরকার, যেগুলো বেসিক ফোনে ব্যবহার করা যাবে) তাহলেও লাভ।
  • রোবু | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৩৯727495
  • ঠিক এটাই বলতে চাইছি। ৯১ এর লিবারালাইজেশন এমন ব্যাপার যা নিয়ে বাঁ আর ডান দুই স্কুলের দুই মত। সাম্য না কম্পিটিশন কোনটার দিকে আপনি ঝুঁকে তার ওপর নির্ভর করে আছে আপনি এটা সাপোর্ট করছেন কি করছেন না। ব্যাপারটা ৯১ তেও তাই ছিল, এখনো তাইই আছে। ৯১ তে ডানপক্ষরা বলেননি এটা খারাপ, তখনো ভালই বলেছে।
    ডিমনির কেসটা কোন স্কুল ভাল বলছে? ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফোরবেস এদিকে সেন দ্রেজ - সবাই তো খারাপ বলছে।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৫১727496
  • হ্যাঁ লিবারাইজেশানকে বাঁ পক্ষ খারাপ বলত। মনে আছে, আজকালে এই নিয়ে প্রচুর গম্ভীর প্রবন্ধ বেরোত, তাতে মনমোহিনী জননীতি নিয়ে কটাক্ষ থাকতো। আর সেই সময়ে আরেকটা ফ্রেজ খুব পপুলার ছিল, বিশেষ করে চিঠি বিভাগে, "দেশটাকে বেচে দিল"। পড়তাম আর হাসতাম।

    এখন ডিমনেটাইজেশান ডিবেট সেইঅর্থে ডান বাম ডিভিশান ধরে হচ্ছে না, কারন এটা তো ঠিক ইকনমিক রিফর্ম না, একটা প্রসেস। ফোর্বস, সেন, দ্রেজ, এনারা সবাই শর্ট টু মিড টার্ম ক্ষতিটাকে হাইলাইট করছেন। আবার আমার মনে হচ্ছে এই শকটার ফলে যদি লং টার্মে কিছু বিহেভিয়রাল চেঞ্জ হয় বা কিছু অ্যাওয়ারনেস তৈরি হয় তাহলে সেটা বেনিফিশিয়াল হবে। এই এফেক্টটা পাঁচ-ছ বছর পর ঠিকমতো ইভ্যালুয়েট করা যাবে।
  • টুংকাটাকিলা | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৫৭727497
  • এখনো অবধি অমিতাভ বচ্চন, বিরাট কোহলি, স্যার জাদেজা, অজয় দেবগণ, অনুপম খেরের মত খ্যাতনামা অর্থনীতিকরা ডিমনির পক্ষে। উল্টোদিকে যাঁরা আছেন।নেহাতই ছিঁচকের দল।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৩:০১727498
  • তবে ফোর্বসের লেখার একটা জায়গায় আমি সহমতঃ

    "India's economy is based mostly on cash. Moreover, much of it operates informally because of excessive rules and taxes. The government bureaucracy is notorious for its red tape, lethargy and corruption, forcing people to get by on their wits.

    The World Bank's annual survey, Doing Business, measures how difficult it is to start and manage a business in 190 countries, using such metrics as what it takes to set up a legal business, obtain construction permits and get electricity. India ranks among the worst in the world in these areas."

    ইন্ডিয়াতে এখনো এতো বেশী লাল ফিতে যে এখানে লিগালি ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব। আবার এই ডিমনেটাইজেশান এর মতো সরকারি হস্তক্ষেপেরও আমি সাধারনভাবে বিরোধি, কারন আমার মত হলো মিনিমাম গর্মেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্নেন্স। কিছু স্ববিরোধিতা আমারও আছে।
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৩:০২727499
  • টুংকাটাকিলা, এক্কেবারে একমত। কি সব লোকজন ডিমনির পক্ষে পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়েছে - অমিতাভ, কোহলি, অজয় দেবগান। এটা টোটাল খোরাক :d
  • dc | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৩:০৯727500
  • আরো কয়েকটা খোরাক প্রথমদিকে এসেছিল - সার্জিকাল স্ট্রাইক আর জিপিএস চিপ :d বিশেষ করে জিপিএস চিপ নিয়ে আমার দুয়েকটা কলিগকে যাতা চেটেছিলাম, ব্যাটারা আমাকে হোয়াটসয়াপে ফরোয়ার্ড করেছিল।
  • টুংকাটাকিলা | 176.62.53.94 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৩:১৩727501
  • ইনফ্রা রেড এমিটার - নতুন থিওরি।
  • Abhyu | 113.218.236.70 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৪৯727502
  • জল কি হল, জল? আপনারা ডিমনি নিয়ে পড়লেন কেন?
  • b | 24.139.196.6 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৫৩727504
  • জল চাচ্ছেন তো সেটা বললেই হয়। খামোখা জলপাইয়ের খোঁজ করেন কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন