এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জলধরবাবুর দেশে ফেরা

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ | ৩১৪০ বার পঠিত
  • জলধরবাবু একজন পোড়-খাওয়া এন আর আই বা ভাপাভা ("ভারত-পালানো-ভারতীয়") । তাঁর লেট-যৌবন-আর্লি-প্রৌঢ়ত্বে জলধরবাবু একটি মস্করামূলক প্রবন্ধ লিখে (http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=9&pid=content/bulbulbhaja/1208670233203.htm#.UkUW9j_IanE) হালকা করে দেশে ফেরত যাবার মনোবাসনা ব্যক্ত করেছিলেন । দোষের মধ্যে তো এই । এই দেখেই আকাশের দেবতা মুচকি হাসিলেন । বলিলেন, "তোর ফেসবুক পোস্টিং ১০০১ বার শেয়ার না করাতেই বর দিলাম । যাবি তো যা ।" অতঃপর জলধরবাবু বৌ-বাচ্চা-বাক্স-প্যাঁটরাসহ ভারতবর্ষে ল্যান্ড করলেন ও ধান-চালের পারস্পরিক সম্পর্ক সম্বন্ধে অবহিত হলেন । সংবর্ধনার একটা ক্ষীণ আশা পালন করলেও মনে মনে বুঝে গেছিলেন নাগরিক সংবর্ধনা হবে না । তবে কাছে দূরের আত্মীয়-বন্ধু কি আর চোখ গোলগোল ও ছলছল করে তাঁর দেশে ফেরার একটা মূল্য দেবে না !

    সে গুড়ে বালি । ফিরে দেখলেন বাপে-খেদানো-মায়ে-তাড়ানো ভাপাভার দল পঙ্গপালের মতন দেশে ফিরছে । সব বড় এয়ারপোর্ট হাওড়া স্টেশন । বিলেতফেরত উদ্বাস্তুতে ভরে গেছে । সকলের চোখেই অন্য উদ্বাস্তুর পরিবারের প্রতি তাচ্ছিল্য ও উষ্মা, "আরেক পিস কম্পিটিশন!" দেশোয়ালি বেরাদরদের চোখে ব্যঙ্গ, "সেই তো আবার ফিরে এলি ! সাহেবরা রাখল না?" জলধরবাবু ব্যাঙ্গালোরে এক পিস চাকরি জোটালেন ।

    ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে জলধরবাবুর জ্ঞানচক্ষু উন্মিলিত হল। উপলব্ধি করলেন যে ভারতবর্ষকে ত্যজ্য করেছিলেন আর যে ভারতবর্ষকে ফের বরণ করলেন, তারা দুটি আলাদা প্রাণী, আদতে এক হলেও। তার একটি কারণ যদি হয় মাঝে ষোল-সতেরো বছর বিভিন্ন ব্রিজের তলা দিয়ে বয়ে যেতে যেতে নিয়ে এসেছে উদারীকরণের মনমোহনীয়া চকসা, আর একটি কারণ হবে কলকাতা ও ব্যাঙ্গালোরের তফাত। আজকের ব্যাঙ্গালোর যদি একবিংশ শতকের ভারতবর্ষ হয় তো ষোল বছর আগে কলকাতা তবে ঊনবিংশ শতকের বর্মা।

    সদ্য-প্রস্ফুটিত জ্ঞানচক্ষু মেলে জলধরবাবু যা দেখলেন তা হল নিম্নরূপ -

    ১। মধ্যবিত্তের সংসার চালানর জন্যে না-হলেই-নয় এমন জিনিসের দাম বেড়েছে ছ-সাত গুণ।
    ২। না-হলেও-চলে-তবে-হলে-ভাল জিনিসের দাম বেড়েছে দশ-বারো গুণ।
    ৩। আগে পাওয়া যেত না এমন বিলাস বস্তুতে বাজার ছেয়ে গিয়েছে, এবং সেসব জিনিসের হাতপোড়ানো দাম।
    ৪। লোকের, জলধরবাবুর পরিচিত মানুষজনের, মাসমাইনে হরবখত লাখ-বেলাখ। প্রায় সবাইকার গাড়ি আছে। পঁয়তিরিশের মধ্যে চাকুরেরা ফ্ল্যাট কিনে ফেলছেন।

    জলধরবাবু বাকরুদ্ধ হলেন।

    ক্রমে ধাতস্থ হয়ে উপলব্ধি করলেন ভারতবর্ষ আসলে এক নয়, বহু। নিজের বাড়িতেই দুই ভারতবর্ষের রূপ চাক্ষুস করতে লাগলেন অহরহ। পরিবারের ছজন মিলে মোটামুটি ভদ্রস্থ রেস্তোঁরায় সপ্তাহান্তিক পানভোজনের বিল দিয়ে গাড়িতে উঠে খেয়াল পড়ে সেই বিলের পরিমাণ বাইরে এতক্ষণ অপেক্ষমান চালকের মাসমাইনের অর্ধেক। খেয়াল পড়ে প্রথম-প্রথম বার কয়েক বাড়ির পরিচারিকাকে সঙ্গে নিয়ে রেস্তোঁরায় বসে খেলেও সে ঘটনা কমতে-কমতে শূন্যে এসে ঠেকেছে। সবথেকে যা ভয়াবহ, বুঝতে পারেন শিশুকন্যাদ্বয় মার্ক্সসাহেবের তত্ব সম্বন্ধে সম্যক অবহিত না হয়েও শ্রেণী ও শ্রেণীচরিত্র সম্বন্ধে প্র্যাক্টিকাল পাঠ হরবখত নিচ্ছে দৈনন্দিন প্রাত্যহিকতা থেকে - একদল হুকুম করে, সে যতই মধুগুড় মাখান হুকুম হোক না কেন এবং আর একদল সে হুকুম তামিল করে। জলধরবাবু সকাল-সন্ধ্যে "দীনবন্ধু, পার করো" বলে কেঁদে ককিয়েও হালে পানি পান না।

    শিশুকালে স্কুলের প্রেয়ারে চেঁচিয়ে গেয়েছেন "বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান"। কিন্তু সে মহান যে কী ভাবে দেখা যায় কেউ বলে দেয়নি। কিন্তু জলধরবাবু এবার দেখলেন। বেশ ভাল করেই দেখলেন। সাড়ে বত্তিরিশভাজা বিবিধ ভারতের মাঝে বলিউডি মিলনের মাহাত্ম্য। রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে - সর্বত্র বলিউড। টিভিতে বলিউড। রেডিওয় বলিউড। জামায় বলিউড। কাপড়ে বলিউড। সর্বভারতীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় বলিউড। শিশুদের বিনোদনে বলিউড। জলধরবাবু খাবি খেলেন। খেয়ে মন দিয়ে মেয়েদের সঙ্গে ছোটা ভীম দেখতে লাগলেন। তবে প্রযুক্তির কী মাহাত্ম্য! শুধু বলিউডই নয়। খোদ কন্নড়ল্যান্ডে বসে প্রতি সন্ধ্যেয় গোগ্রাসে গিলতে লাগলেন বাংলা চ্যানেলের সিরিয়াল। যে সিরিয়ালে সবাই বাড়িতে পূর্ণ সেজে থাকে। সব পরিবারই যৌথ। সব পরিবারেই কুচুটে লোকেরা অন্যকে প্রাণে মেরে দেবার চক্রান্ত চালিয়ে যায় প্রতি সন্ধ্যেয়। সবারই ঘোরতর গুন্ডাদলের সঙ্গে খুব দহরম-মহরম চলে। বিষ অতি সহজলভ্য।

    জলধরবাবু ঘামতে লাগলেন।


    ঘামার সুযোগ জলধরবাবু বিশেষ পান না। একে ব্যঙ্গালোরের অতি মনোরম চির-বসন্ত টাইপ আবহাওয়ায় ঘামার সুযোগ প্রায় পাওয়াই যায় না, তার ওপর জলধরবাবু যে বুদবুদে বাসা নিয়েছেন সেখানে লোডশেডিং হলেই পাওয়ার ব্যাকাপ চালু হয়ে যায় অতি দ্রুত। সে ব্যাকাপে রেফ্রিজারেটর চলে, মাইক্রোয়েভ চলে, টিভি চলে, আলো-পাখা চলে, এসি চলে, গিজারও চলে বোধহয়। না চললে চলবেই বা কেন। লোডশেডিং হয় বটে! মুহুর্মুহু। এই আছে , এই নেই। জলধরবাবুর সত্তর-আশির দশকের কলকাতায় লোডশেডিং-এর সুবর্ণ যুগের কথা মনে পড়ে যায়। হায় সেই সব দিন। বুকের গভীর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে জলধরবাবুর। কোথায় গেল সেই ঘরে ঘরে লম্প-কুপি-হ্যারিকেনের দিনগুলি! রোজ সকালে লম্প-হ্যারিকেনের কাঁচ পরিস্কার করার রুটিন ছিল। আজকালকার ছেলেমেয়েরা তো এসব কিছু শিখলই না!!

    কিন্তু জলধরবাবু শিখছেন। প্রতিদিনই কিছু-না-কিছু শিখছেন। সব শেখাই যে নতুন তা নয়। অনেক কিছুই ফিরিঙ্গি-কুসঙ্গে ভুলে গেছিলেন, এখন আবার ঝালাই হয়ে যাচ্ছে। যেমন কেউই সময়ে আসে না। ফোন করলেই বলে "ইন ফাইভ মিনিট্স"। সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আপিসের লোকেদের পরস্পরকে ফোন করা যায় যখন-তখন। দোকানপাট-আপিস বিল্ডিং-রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স-সিনেমা হল-হোটেল-রেস্টোর‍্যান্ট-শপিং মল - সর্বত্র গেটে সিকিউরিটি গার্ড। পোশাকের কায়দা দেখে খানাতল্লাশি কতটা হবে তা স্থির হয়। গাড়ি নিয়ে ঢুকতে গেলে গাড়ির ট্রাংক খুলে দেখান। কিন্তু ট্রাংকে সুটকেস-টুসকেস থাকলে সে সব খুলতে হয় না। কাজেই যদি কোন কারণে আপনি সিকিউরিটির হাতে ধরা পড়তে চান, বোমা-টোমা সুটকেসে রাখবেন না। পুরোন দিনের হিন্দি ছবিতে যেরকম দেখাত, সেই মতন বোমার ওপরে ওপরে বড় বড় করে "বোমা" লিখে ট্রাংকে রেখে দেবেন।

    এবং মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অ্যামেরিকা-ফেরত জলধরবাবু এক অনাস্বাদিত মুক্তির হাওয়া পেলেন। নিজের পয়সা দিয়ে কেনা জিনিস যে নিজস্ব হতে পারে, অ্যামেরিকায় বসবাস করে এ ব্যাপার প্রায় ভুলতে বসেছিলেন। নিজের-পয়সা-দিয়ে-কেনা কম্পিউটারে নিজের পছন্দের অপারেটিং সিস্টেম লাগাবেন? হবে, যদি কম্পিউটার ম্যানুফ্যাকচারার অনুমতি দেয়। যে অপারেটিং সিস্টেম পয়সা দিয়ে কিনেছেন, সেটিও আপনার নয়। কারণ আপনি তো কেনেননি, লাইসেন্স নিয়েছেন। সার্ভিস প্রোভাইডার নামমাত্র দামে, সময়বিশেষে এমনকি বিনি পয়সায়, মোবাইল ফোন দেয়। বদলে বন্ধক রাখতে হয় নিজের জিনিস নিজের করার স্বাধীনতাটি। তবে স্মার্ট ফোনের রমরমা আসার পর শুনেছেন অব্স্থার কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। অথচ ভারতে? গটগট করে দোকানে ঢুকলেন জলধরবাবু, পয়সা দিলেন, নতুন ফোনে পেলেন। সার্ভিস প্রোভাইডারের আপিস থেকে আগেই সিম কার্ডটি হস্তগত করে চালু করে রেখেছিলেন। সে সিম কার্ডটি এবার স্বস্থানে বসালেন। ব্যস। এবার নিজ মাল নিজ দায়িত্বে।

    সিম ভরার ঠিক সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যে প্রথম কলটি এল। নিজের ফোনে প্রথম নিজের কল। আহ্লাদে জলধরবাবু আটখানা। "হ্যালো"। "হ্যালো স্যার, দিস ইজ সুনিধি ফ্রম অমুক ব্যংক। উই আর গিভিং পার্সোনাল লোন আপটু ফিফটি থাউজ্যান্ড ..."। জলধরবাবু বুঝলেন বিনামূল্যে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না। তার মূল্য হাতে-হাতে চুকিয়ে দিতে হয়।

    যত সহজে সার্ভিস প্রোভাইডারের আপিস থেকে সিম কার্ড পাওয়ার কথা লেখা হল, ইতিহাস বলে, কাঠখড় তার কিছু বেশিই পোড়াতে হয়েছিল। তার কারণ একটিই। অ্যাড্রেস প্রুফ। এ গ্যাঁড়াকলে যে না ফেঁসেছে তার পক্ষে গর্দিশের অবস্থা কল্পনা করা দুষ্কর। মোবাইল ফোনের অ্যাকাউন্ট করবেন? অ্যাড্রেস প্রুফ নিয়ে আসুন। ল্যান্ডলাইনের সরকারি ফোন বিল, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স - সব চলেগা। চলেগা তো, কিন্তু মিলেগা কোথায়? বাড়িই এখনও ভাড়া করেননি তো ল্যান্ডলাইন! আর করলেও কোন দুঃখে সরকারি বিএসএনএল নেবেন? বেঁচে থাক প্রাইভেট সেক্টর। আর পাসপোর্ট? সে তো বদল হয়ে গেছে। মার্কিন-নাগরিক জলধরবাবু তো আক্ষরিক অর্থে নিজদেশে পরবাসী। বাকি রইল ড্রাইভিং লাইসেন্স। কিন্তু সে করতে গেলেও তো অ্যাড্রেস প্রুফ লাগবে। কিরকম অ্যাড্রেস প্রুফ চলবে? কেন বাড়ি ভাড়ার দলিল। ব্যস, সার্কল কমপ্লিট। যেখান থেকে শুরু করেছিলেন, ফিনসে সেখানে। ক-য়ে কমললোচন ইত্যাদি। যাকগে, এ ব্যাপারে ফেনিয়ে লাভ নেই। তবে অ্যাড্রেস প্রুফ ভারতে এক মহার্ঘ্য জিনিস। কিন্তু দাঁতের মতন। যার আছে সে এর মর্যাদা বোঝে না। এর সঙ্গে পাসপোর্ট সাইজ ছবিটিও ভুলবেন না। ওটিরও চাহিদা প্রবল। সবাই ২০১১ সালে জলধরবাবু কেমন দেখতে ছিলেন তা ডকুমেন্ট করে রাখতে চায়। কানাঘুষোয় এ-ও শুনেছেন যে সুলভ শৌচালয়ে "পয়সার বিনিময় শৌচকর্ম" করতে গেলেও নাকি প্রতিবার একটি করে পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা করতে হবে।

    অতএব জলধরবাবু এখন সর্বদা পকেটে দুটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি নিয়ে ঘোরেন।

    [ তাঁকে নিয়ে লেখার নিচে মন্তব্যের বাহার দেখে জলধরবাবু তাজ্জব বনে গেছেন। ভাপাভাদের প্রতি গা-চিড়বিড় থেকে অপুর সরল বিস্ময় - সব দেখেশুনে জলধরবাবু বলেছেন তেনাকে ক্ষ্যামা দিতে। তবে মন্তব্যগুলো খুব মন দিয়ে পড়ছেন আর অনেক শিখছেন। তাই ধন্যবাদও জানিয়েছেন।]
    জলধরবাবু স্বপ্ন দেখতেন দেশে ফিরে সকালে থলি দুলিয়ে বাজারে যাবেন। দরদাম করে কিনে ফেলবেন টাটকা কাঁচকলা, সবুজ ঝিঙে, কচি পটল, নিদাগ বেগুণ, ঘাই-মারা কই কী রক্তঝরা কাটাপোনা। তবে এ ভারত বাবা-কাকাদের আমলের ভারত নয়, এ হল গিয়ে চকচকে ভারতবর্ষ। আর ব্যাঙ্গালোরও কলকাতা নয়। কাজেই থলি দুলিয়ে বাজার যাওয়ার সময় পেলেন শুধু শনি-রবিবার। কিন্তু বাজার মানে বাজারই। ফিরিঙ্গি হনুকরণের তারের গাড়িঠেলা সুপারমার্কেট নয়। এ হল ব্যাঙ্গালোরের ঐতিহ্যবাহী হ্যাল মার্কেট। আগে নাকি বাঙালীর ছোটখাটো মিলনক্ষেত্র ছিল। এখনও আছে। এখানে আসে অন্ধ্রের রুই, চট্টগ্রামের ইলিশ, কলকাতার কচুর-লতি থেকে চিংড়ি, ঝর্ণা ঘি থেকে সানন্দা। রুই একশো ষাট, যদিও টোটাল ধরণের সুপারমার্কেটে একশো কুড়ি। কারণ টোটালের মাছ লোকাল। ইলিশ সাতশো-আটশো গ্রামের বেশি ওজনের পাওয়াই যায় না। পেলে হাজারের ওপর দাম। নইলে সাতশো-আটশো-নশো। ভেটকি সাড়ে তিনশো। বড় চিংড়ি সাড়ে চারশো। তুলনামূলকভাবে চিংড়ির দামই গেল তিরিশ-চল্লিশ বছরে কম বেড়েছে। প্রতিবার মাছ কিনে ফেরার সময়ে জলধরবাবু প্রতিজ্ঞা করেন পরিবারসুদ্ধ ভাত আর বাটারমিল্ক ডায়েটে পরিবর্তিত হয়ে যাবেন। পরিবর্তনেরই তো বাজার। তার ওপর ভাত-বাটারমিল্ক খেয়ে ভারতের আই-এ-এস ক্যাডার যদি ভর্তি করে ফেলা যায় তো বাঙালির এত কি আম্বা যে মাছ না খেলে চলবে না!

    বলতে নেই, জলধরবাবু নোলাটি বেশ স্বাস্থ্যবান। আজ আরশোলার চচ্চড়ি খেয়ে ফেললেন তো কাল জেলিফিশের মালাইকারি - এরকম দুঃসাহসী না হলেও, চেনাশোনা খাবারের বড়সড় গন্ডির মধ্যে ঘোরাফেরা করে থাকেন। কলকাতা জলধরবাবুর স্বর্গ। পাড়ার মোড়ের "কমলে কামিনী কাফে"র হাড়-সর্বস্ব কষা মাংসর যা সোয়াদ, অ্যামেরিকার বাঘা-বাঘা নামের, জ্যাগাত কি মিশেলিন রেটেড দোকানও তার ধারেকাছে আসতে পারে না। ব্যাঙ্গালোরে মোড়ের দোকানে বাঙালি কষা মাংস না পাওয়া গেলেও, আপিসের মোড়ের অখ্যাত দোকানে যে তন্দুরি চিকেন বানাত, সে খেতে দীর্ঘ পথ হাঁটতেও রাজি ছিলেন জলধরবাবু। তাছাড়া দেশে ফেরার মাস খানেকের মধ্যে আবিষ্কার করে ফেললেন কোরামঙ্গলার আওধি খাবারের দোকান তুন্ডে কাবাবিতে রুমালি রুটি আর তুন্ডে কাবাব। একদম লা-জবাব। খুঁজে পেলেন কলকাত্তাইয়া লাজিজ ও আর্সালান - হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানির থেকে মুখ বদল করতে কলকাতা-স্টাইল বিরিয়ানি আর চিকেন টিক্কা গ্রেভি। হায়্দ্রাবাদী বিরিয়ানি খেতে চার্চ স্ট্রীটের "সমরখন্দ", যা নামেই আফগান। আসলে উত্তরভারতীয় কাবাব, নল্লি আর বিরিয়ানির ফার্স্ট ক্লাস ঠেক। হানা দিলেন ভারতে চলা প্রথম ট্রেনের থিমে তৈরি রেস্তোঁরা "সাহিব-সিন্ধ-সুলতান"। এদের বিরিয়ানির খুব নাম থাকলেও পুদিনাগন্ধী হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি জলধরবাবুর খুব পোষাল না, কিন্তু বাকি খাবারদাবার দিব্যি ভাল। শিখে গেলেন মালায়লি দোকানে মাটন স্টু দিয়ে আপ্পম খাবার রীতিনীতি। কাজেই আপাতত শান্তিকল্যাণ।

    অথচ বড় মুখ করে স্টেক খেতে গিয়ে খুব হেনস্থা হলেন যা হোক। ফাইবার সর্বস্ব স্বাদহীন মাংসখন্ড। মিডিয়াম-রেয়ার চাইলেন, করে আনল চারকোল। ওয়েলডান চাইলে মাংসর মধ্যবর্তীস্থান লাল ও ঠান্ডা। সর্বোপরি সব স্টেকের ওপরেই গ্রেভি ঢালা। মেয়েদের স্প্যাগেটি-অ্যান্ড-মিটবল খাওয়াতে ব্যাঙ্গালোরের নামী ইটালিয়ান রেস্তোঁরায় ঢুকে আবিষ্কার করলেন সেটি ভেজিটেরিয়ান ইটালিয়ান। ন্যাকামো! জলকে যাব, বেণী ভিজাব না! মদও পাওয়া যায়না, তার বদলে মেলে রঙবেরঙের শোভনদর্শন মকটেল। দক্ষিণ-ভারতীয় উচ্চকোটির ব্রাহ্মণেরও কৌলিন্য যাবার কোন ভয় নেই। আবিষ্কার করে রোমাঞ্চিত হলেন ঠিকই, খাবারও খারাপ নয়, কিন্তু খুব যে উৎসাহিত বোধ করলেন, এমন নয়। আর ততক্ষণে দেরি যা হবার হয়ে গেছে। এবং কেরমে কেরমে আবিষ্কার করলেন দেশের বিজাতীয় খানাবিপণিগুলো কোন কঠোর কঠিন কুইজিনত্ব রক্ষা করার ঠিকা ও দায় নেয় নি। কাজেই ইটালিয়ান রেস্তোঁরায় পেতেই পারেন ফাহিতা, চিনে দোকানে পাবেনই পাবেন কোরিয়ান কিমচি ও থাই টম ইয়ুম সুপ। জলধরবাবুও আজকাল নির্বিকারমুখে ইডলির সঙ্গে আলুদ্দম খেতে পারেন, রসম দিয়ে ফ্রায়েড রাইস।

    কাজেই ব্যাঙ্গালোর দিব্যি জায়গা। শুধু সারাদিন মনে হয় একটি রাক্ষুসে কনস্ট্রাকশান সাইটে বসে আছেন। বাতাসে সুরকির গন্ধ। বুটজুতোয় সিমেন্টের ধুলো। বুদবুদ থেকে বেরোলেই চতুর্দিকে ঠং-ঠং ঘটঘট ধুপধাপ শব্দে বাড়ি হচ্ছে, আপিস হচ্ছে, ফ্লাইওভার হচ্ছে, নতুন ব্রিজ বানানো চলছে। কিছুদিন এসব লক্ষ্য করে জলধরবাবু খেয়াল করলেন যে এত সব যে এরা বানাচ্ছে, কেউ কিন্তু কোন নতুন রাস্তা বানাবার দিকে নজর দিচ্ছে না। ফ্লাইওভারও যে হচ্ছে তাতে আন্ডারের রাস্তা আর কার্যকরী রাস্তা থাকছে না। যদিও বা থাকে তবে অপেক্ষায় থাকছে দুদিন বাদে মেট্রোর জন্যে লম্বা আখাম্বা থাম্বা এসে কবে তাকে আপন করে নেবে - এই ভেবে। জলধরবাবু দাড়িটাড়ি চুলকে ভাবতে থাকেন, তবে ফ্লাইওভার বানিয়ে রাস্তা উঁচু করা ছাড়া ঘোড়াড্ডিমের হলটা কী? এছাড়া এর বাড়ির দাওয়া, তার বাড়ির উঠোনের ভেতর দিয়ে ভাঙাচোরা, প্রায়-নেই, চার-হাত চওড়া রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখেন দুধারে প্রাক্তন চাষের জমিরা গ্রাম্য রূপ ছেড়ে সাহেবী পোষাক পরছে - উঠছে হর্ম্যের পর হর্ম্য - যা কোটি কোটি টাকায় বিকোবে। জলধরবাবু ভাবেন, এ সবই তো উন্নতি লক্ষণ। কিন্তু বাবাসকল, এই যে অট্টালিকা বানাচ্ছ, এখানে এসে হাজারের কাছাকাছি লোক থাকবে একদিন - সেই অট্টালিকায় পৌঁছতে তো হাতে হ্যারিকেন, প্যান্টুল ঢলঢলে ও গালে দাড়ি গজিয়ে যাবে! কিন্তু কে শোনে কার কথা! মাঝে মাঝে মনে হয় চিৎকার করে বলেন, "বাপু হে, রাস্তাটা ভুলো না।" কিছু কিছু কমপ্লেক্স তো শহর থেকে দূরত্বের কারণহেতু এবং রাস্তাহীনতার কারণে প্ল্যানে হেলিপ্যাডের বন্দোবস্ত রেখেছে। এ কথা জলধরবাবু নিজেই নিজেকে বিশ্বাস করাতে বেগ পেলেন।

    ব্যাঙ্গালোর আজব শহর। প্রাচ্যের সিলিকন ভ্যালি। নামকরা হুদো হুদো কোম্পানি যেচে গিয়ে আপিস ফাঁদছে আর ট্যাক্সো দিচ্ছে। রাস্তায় আধুনিক কেতার লাখে লাখে গাড়ি। অ্যামবাসেডরের মতন কুলীন গাড়ি রাস্তায় দেখাই যায় না। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জিনিসের বিজ্ঞাপনে রাস্তা-বাড়ি-মানুষ সবেরই মুখ ঢেকে যায়। রাস্তায় চলছে পেল্লায় ও আধুনিক বাস। সারি সারি দামী জিনিসের চকচকে দোকানের মাঝে দুখীমুখে উঁকি মারে পাড়ার মনোহারী দোকান, মুদির দোকান, চুল কাটার সেলুন, ছিটকাপড়ের দোকান। অথচ রাস্তার ধারে ওপেন ড্রেন। শহরজুড়েই। এই একবিংশ শতাব্দীর শাইনিং ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হাইটেক শহরে। এবং নোংরাস্য নোংরা নিষ্কাশনী খাল। আর বিষজল-ভরা লেক। সে লেকও দেখ-তো-দেখ ময়লা-টয়লা ঢেলে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। তারপরেই নীল করোগেটেড শিট দিয়ে বাউন্ডারি ও বিল্ডারের সাইনবোর্ড - লেকভিউ অ্যাপার্টমেন্ট। ভিউ লেকে আছে ঠিকই - যদিও কদ্দিন থাকবে বলা যাচ্ছে না কারণ অন্য বিল্ডাররাও তো সেই একই লেক বুজিয়েই লেকভিস্তা, ওয়াটারফ্রন্ট, অ্যাকোয়াভিউ প্রভৃতি হর্ম্যসমূহ বানাইতেছে। আরও যেটা বলা নেই সে হল বিষ জলের দুর্গন্ধ ও ঝাঁকে ঝাঁকে মশককুলের আগমন ও বসতিস্থাপন। জলধরবাবু বোঝেন খুব শিগ্গিরই ব্যাঙ্গালোরে আর কোন ওয়াটার বডি থাকবে না। দূরদূরান্ত থেকে ট্যাংকারে জল আসবে। রাস্তাও উবে যাবে। থাকবে শুধু থিকথিকে, দলা দলা বহুতল হর্ম্য, অট্টালিকা ও সারণী। রাস্তায় মেঘ নয়, গাভীর মতন চরবে হেলিকপ্টার।

    শেষের ভয়ংকর সেদিনের কথা ভেবে জলধরবাবু শিউরে উঠলেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ | ৩১৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 24.139.199.11 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:২৪47502
  • আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না, শুধু এন আর আইরাই আশ্চর্য হন? এটা কি প্রমাণিত যে আজন্মকাল দেশে বসবাসকারীরা আশ্চর্য হন না মোটেই ?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১০47503
  • আজন্ম দেশে বসবাসকারী নিম্ন মধ্যবিত্ত পেনশনভোগীরা খুব আশ্চর্য হন। খুব।
    যাঁদের গাড়ি নেই, নিজের বাড়ি নেই, ভাড়া ফ্ল্যাটে বা ঘরে যাঁরা থাকেন - তাঁরা আর চালাতে পারছেন না।
    তাঁরা বাসমতী চালের রেট জানেন না। ট্যাক্সির মিটার সম্পক্কেও ওয়াকিবহাল নন।
    বেসরকারী দামী নামী হাসপাতাল যেমন অ্যাপোলো, উড্‌ল্যান্ড্‌স্‌, কোঠারি, পিয়ারলেস্‌, আম্রি, ফর্টিস, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে চিকিৎসার কথা ভাবতেও পারেন না। শপিং মলে জিনিস কেনেন না।
    যে এনারাইদের কথা এখানে হচ্ছে বা মুষ্ঠিমেয় বড়োলোক পয়সাওয়ালা (মাসিক আয় এক লক্ষ বা বেশি / সংসার পিছু) তাঁদের সঙ্গে সাধারন মানুষদের অনেক ফারাক। অনেক।
    হুট করে গত দশ পনেরো বছরে বড়োলোক হয়ে ওঠাদের সঙ্গে আরো আরো আরো তফাৎ।
    তুলনা চলে না।
    তদুপরি - বাবা মনে ভাববে সোজাসুজি, খোকা তেমনি খোকাই আছে বুঝি - এমন ভাবা এনারাইদের চমক লাগা খুব অদ্ভুত কিছুই নয়।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:২৭47504
  • এই ত্তো, সে লিখে দিয়েছেন। মাসে লাখ্টাকা মাইনের বাইরে যে ভারতবর্ষো...
  • sosen | 24.139.199.11 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:১৫47505
  • মধ্যবিত্তের ঠিক ডেফিনিশন জানাবেন কেউ? উচ্চ, নিম্ন, মধ্য সবরকম।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:৩৩47506
  • আমরা সবাই মধ্যবিত্ত। মাসে পাঁচ লাখ কামালেও নিজেকে মধ্যবিত্ত হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে কম্ফর্টেবল ফীল করি। তার বেশি হলেও। মধ্যবিত্ত একটা খুব কম্ফর্টেবল ডোমেইন।
    গরীব ছিলামটাও ভালো, কিন্তু এখন মধ্যবিত্ত। অথবা আগে, অ নে ক আগে খু উ ব ধনী ছিলাম - আজ মধ্যবিত্ত। ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি।
    গাড়ি হাঁকিয়েও আমি মধ্যবিত্ত। এক বা একাধিক ফ্ল্যাট কিনেও আমি মধ্যবিত্ত। ছেলেমেদের দামী ইস্কুলে পড়িয়ে উচ্চশিক্ষার্থে ফরেনে পাঠিয়েও আমি মধ্যবিত্ত থেকে যাবো। আমার ইনকাম যত বাড়বে, প্রপার্টি যত বাড়বে মধ্যবিত্তের আপার লিমিটও তত বেড়ে যেতে থাকবে।
    আমি মাসে লাখের ওপরে কামাবো, কিন্তু আমার ড্রাইভারের মাইনে দশ হাজারের নীচে থাকবে। আমার ঘরে এসি চলবে মাসে মাসে ইলেকট্রিসিটির বিল উঠবে (দুটো মিটার থাকবে) ভাগাভাগি করে কয়েক হাজার। ট্যাক্স রিটার্ণ ভরবার সময়ে ঘেমে উঠবো, এলাইসি ইঃ তে আরো কতো কতো কীভাবে কোনখানে কী করলে ইনকামট্যাক্স কম দিতে হবে কুল কিনারা পাবো না। তবু আমি মধ্যবিত্ত।
    আমার পেনশভোগী বাপ মা ইনকাম ট্যাক্সের রিটার্ণ ভরেন না। চাকুরিজীবী অবস্থাতেও ভরেন নি। কোনো স্থাবর সম্পত্তি নেই এঁদের। ঘরে এসি নেই। গাড়ি নেই। একাধিক ভৃত্য (ডোমেস্টিক হেল্প) নেই। বড়োজোর একটা অ্যাকোয়াগার্ড, ফ্রীজ। অটোয় চড়েন। বাসমতী চাল কালেভদ্রে কিনেছেন। পাঁঠার মাংস গত দুই ডেকেডে কেনা হয় নি (রেড মীট বলে নয়, দামের জন্যে)। কোলকাতায় যে অসংখ্য খাবারের রেস্টুরেন্ট গজিয়ে উঠেছে এর একটাতেও কখনো ঢোকেন নি। শপিং মলে ঢুকতে ভয় পান।
    আমার বাবা মা কি গরীব? না। আমি বলব মধ্যবিত্ত।
    চলুন- মিনিময় করুন।
  • debu | 180.213.132.253 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১০:০৬47527
  • জলো দা কে BPL কার্ড করে দিন
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১০:২৪47508
  • দিনে চার ডলার খরচ করে? মধ্যবিত্তরা? মাসে আটহাজারের মতো?
    আমার পেনশনভোগী বাপ মা তো অতো পেনশন ই পান না মাসে। খরচ করবেন কোত্থেকে? আমার বাপ মা তবে গরীব।
    আবার উচ্চ-মধ্যবিত্তরা সেই হিসেবে মাসে ৩৯ হাজার খরচ করেন।
    ড্রাইভার ১০ হাজার
    ইলেকট্রিসিটি ২ হাজার
    চাকর বাকর ৫ হাজার
    বাচ্চাদের স্কুলের খরচ ১০ হাজার
    পেট্রল/ডিজেল ৮ হাজার
    এই নিয়েই তো ৩৩ হাজার হয়ে গেল।
    বাকি ৬ হাজারে বাসমতী চাল, দুধ, তেল, সাবান, সবজি, মাছ মাংস, সিনেমা বিনোদন, রেস্টুরেন্ট, কেব্‌ল্‌ টিভির খরচ, ইন্টারনেট, ফোনের বিল, সব কুলোবে?
    ৬০০ ডলারের ওপরে হয়ে যাচ্ছে মাসের হিসেব।
    অর্থাৎ এরা ৩৯ হাজারের বেশি খরচ করেন। এরা উচ্চমধ্যবিত্ত নন।
  • /\ | 69.160.210.2 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:০৩47509
  • গাড়ি না থাকলেই ১৮০০০ কমে গেল। ড্রাইভারের বদলে নিজে চালালেই ১০০০০ কমে গেল। গাড়ি খুব রেগুলার ইউজ না করলেই আরো ৪-৫ হাজার কমে যেতে পারে।
  • fjʊərɪəs | 131.241.218.132 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:১১47510
  • অফিসিয়াল LIG/MIG/HIG-র একটা ডেফিনেশন একটা আছে। রিয়েল এস্টেটের বিজ্ঞাপনে দেয়।

    পারিবারিক আয় মাসে ২০ হাজার বা কম হল LIG, ২০ থেকে ৪০ MIG ইঃ। অ্যাকচুয়াল ফিগারগুলো ঠিক মনে নেই, তবে এর কাছাকাছিই।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:২৭47511
  • ব্যাস তাহলেতো মিটেই গেল।
    সে হিসেবে এখানে (প্রায়) সবাই HIG।
    এবং MIG যারা, তাদের পক্ষে গাড়ি মেইন্টেইন করা মুশকিল। তেল, ড্রাইভার - এসব বাদ্দিয়েও।
  • π | 118.22.237.132 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:২৭47512
  • কোলকাতায় বা মফস্বলে দেখেছি ফুল টাইম কাজ করলে ( বাড়িতে থাকা খাওয়া নয়, সারাদিন কাজ করে সন্ধেতে ঘরে চলে যান ) ,মাস মাইনে ৩০০০-৫০০০ টাকা। এটাকে বেশি তো দূরের কথা, আদৌ যথেষ্ট মনে হয় ? বেশিরভাগই অনেক দূর থেকে আসেন, যাতায়াতের একটা ভাল খরচ আছে, নিজেদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা আছে। আনুষঙ্গিক খরচ তো ছেড়েই দিলাম।
    ড্রাইভাররাও পান ৭-৮০০০ টাকা মতন। সেখানেও খাওয়া দাওয়া , তাঁদের যাতায়াতের খরচ ও অন্যান্য ইন্ক্লুডেড নয়। যথেষ্ট ?
    সরকারি স্বাস্থ্য আর শিক্ষা ব্যবস্থার যা বেহাল দশা (করা হয়েছে), অনেকেই বেসরকারি পরিষেবা নিতে চান। শুধু সেগুলোর পিছনেই কত খরচ করতে হয়, সেগুলোও একটু হিসেব করা হোক।
  • /\ | 69.160.210.2 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৩৬47513
  • হ্যাঁ এরা LIG তে পড়ল তো, বাই ডেফিনেশন।
  • fjʊərɪəs | 131.241.218.132 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৪২47514
  • LIG-র নীচেও একটা ক্যাটেগরি আছে, EWS - ইকোনমিক্যালি উইকার সেকশন। পারিবারিক বার্ষিক আয় এক লাখের কম হলে।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৪২47515
  • ড্রাইভারের মাইনে আমাদের বাড়িতে ১২ হাজার। পাড়াতেই থাকে। সাইকেলে আসে। কিন্তু এই টাকা যথেষ্ট নয়। সপ্তাহে একদিন ছুটি। সেদিন সে সেন্টার থেকে প্রাইভেট চালায়। বা পুজোর সময়ে ছুটি নিয়ে একস্ট্রা ইনকাম করে। একমাসের মাইনে পুজোর বোনাস।
    কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আয়ে সংসার চালানো খুব কঠিন।
    সে একমাত্র আর্ণিং মেম্বার। বউ চাকরি করে না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিলো না এখন খুলেছে। ছোটো একটা ছেলে আছে চার বছরের। তাকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছে। প্রীপেইড মোবাইল নিয়েছে, না নিয়ে উপায় নেই যখন তখন ডাক আসতে পারে। বস্তিতে থাকে। কীকরে সংসার চালায় সে হিসেব বুঝে উঠতে পারি না। গ্যাস, ঘরভাড়া, ইলেকট্রিসিটি, ছেলের ইস্কুলের খরচ, তিনজনের খাবার দাবার, অসুখ বিসুখ, লৌকিকতা, সাধ আহ্লাদ, তেল সাবান, কাপড় চোপড়, সব ঐ টাকার মধ্যে। তাও ভালো কোনো নেশা নেই।
    জামাই ষষ্ঠির সময়ে অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিলো (অন্য গাড়িতে)। দুমাস আসে নি। খুব ভয় পেয়েছিলো যদি চাকরি চলে যায়। ওর বাবাও ড্রাইভার। আলাদা থাকে বাবা মা। তার আয় মাসে ৮ হাজার। সেন্টারের গাড়ি চালায়। যখন ডাক আসে তখন। আবার নেশা ভাং ও করে।
  • ঘেঁচু | 127.195.181.50 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৪৮47516
  • জলধরবাবুরা দুজনে লুরুতেই মাসে ৫-৬ কামাতেন। ঘেঁচু, কচু অনেকেই দুজনে মিলে মাসে ৫এর মত আয় করেন এবং তারা মধ্যবিত্তই। শুধু তাদের ঘাম আসেনা- জানে চিরদিন কাহার সমান নাহি যায়। এই নিয়ে এত চায়ের কাপে ঝড় তোলাটা .....
  • hu | 188.91.253.11 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:১৪47528
  • যাঁরা মনে করছেন পরিচিতদের লাখ-বেলাখ মাইনেই জলধরবাবুর অশান্তির মূল কারন অথবা যাঁরা ভাবছেন লক্ষাধিক টাকা মাসমাইনেতেও জলধরবাবু সংসার চালাতে হালে পানি না পেয়ে কুম্ভীরাশ্রু ত্যাগ করছেন তাঁদের আরেকবার নিচের প্যারাগ্রাফটা পড়ে দেখতে অনুরোধ করি (জলধরবাবুরই লেখা। কিন্তু কেউ মনে হয় পড়ার কষ্টটা করতে চাইছেন না।)

    "ক্রমে ধাতস্থ হয়ে উপলব্ধি করলেন ভারতবর্ষ আসলে এক নয়, বহু। নিজের বাড়িতেই দুই ভারতবর্ষের রূপ চাক্ষুস করতে লাগলেন অহরহ। পরিবারের ছজন মিলে মোটামুটি ভদ্রস্থ রেস্তোঁরায় সপ্তাহান্তিক পানভোজনের বিল দিয়ে গাড়িতে উঠে খেয়াল পড়ে সেই বিলের পরিমাণ বাইরে এতক্ষণ অপেক্ষমান চালকের মাসমাইনের অর্ধেক। খেয়াল পড়ে প্রথম-প্রথম বার কয়েক বাড়ির পরিচারিকাকে সঙ্গে নিয়ে রেস্তোঁরায় বসে খেলেও সে ঘটনা কমতে-কমতে শূন্যে এসে ঠেকেছে। সবথেকে যা ভয়াবহ, বুঝতে পারেন শিশুকন্যাদ্বয় মার্ক্সসাহেবের তত্ব সম্বন্ধে সম্যক অবহিত না হয়েও শ্রেণী ও শ্রেণীচরিত্র সম্বন্ধে প্র্যাক্টিকাল পাঠ হরবখত নিচ্ছে দৈনন্দিন প্রাত্যহিকতা থেকে - একদল হুকুম করে, সে যতই মধুগুড় মাখান হুকুম হোক না কেন এবং আর একদল সে হুকুম তামিল করে। জলধরবাবু সকাল-সন্ধ্যে "দীনবন্ধু, পার করো" বলে কেঁদে ককিয়েও হালে পানি পান না।"

    ইত্যবসরে জলধরবাবুর পরের কিস্তি এসে গেছে। মতামতের দাপটে প্রথমে সেটা ঠাহর হয়নি। পড়ে যারপরনাই অ্যামিউজড হলাম। পরের কিস্তির অপেক্ষায় ...
  • aranya | 154.160.98.31 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:২৩47529
  • দিব্যি লেখার হাত জলধরবাবুর, বেশ লাগছে পড়তে
  • kk | 81.236.62.176 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:২৮47530
  • হ্যাঁ,হ্যাঁ, চলতে থাকুক।
  • sosen | 111.63.153.37 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৩৭47531
  • আরেকটু লম্বা লেখা চাই
  • Tim | 188.91.253.11 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৫৭47532
  • অক্ষদার 31 October 2013 20:43:42 IST 138.249.1.206 (*) # পোস্টে কয়েক কোটি ক।
  • jhiki | 149.194.251.235 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:০৪47537
  • জলধরবাবুর কি দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে? না থাকলে সিম কার্ড থেকে বাড়ী ভাড়া সবকিছুই তো ভিসা দেখিয়েই নেওয়া উচিত। বিদেশী নাগরিকদের এসব পরিষেবা দেওয়ার আইন আলাদা হওয়ার কথা।
  • san | 69.144.58.33 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:০৮47533
  • ভাল লাগছে। এক্কেবারে শেষের ব্র্যাকেটে মন্তব্যটিও খাসা ঃ-০
  • Tim | 188.91.253.11 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:১৬47534
  • হ্যাঁ বেশ হচ্ছে। আরো হোক। ঃ-)
  • Arpan | 190.215.89.79 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:২৭47535
  • জলধরবাবু লিখছেন খাসা, কিন্তু বড় ছোট ছোট কিস্তি।

    সে যাক, স্থায়ী/অস্থায়ী কোন ঠিকানা না থাকলেও দিব্যি মোবাইল কানেকশন পাওয়া যায়। আপিসে মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের লোকজন নতুন কানেকশন দেবে বলে বসেই থাকে (কর্পোরেট প্ল্যান ইঃ গছাবে বলে), আপিসের আই কার্ডের ফটোকপি দেখিয়ে ফটাকসে কানেকশন পাওয়া যায়। একেবারে পোস্টপেড। আপিসের অ্যাড্রেসই ওদের ডেটাবেসে থাকবে।

    সেও যদি না হয়, খুব পরিচিত কারুর মাধ্যমে প্রিপেড কানেকশন নিয়ে নিন, সিমটি নিয়ে নিজের মোবাইলে ইউজ করুন। তারপরে ধীরেসুস্থে পোস্টপেড নেওয়া যাবে।

    সব সিস্টেমেরই ফাঁক আছে, সর্বত্র, সব দেশে।

    এই হল "হাঊ টু গেট মোবাইল কানেকশন ফর ডামিজ" - ভবিষ্যতের অনাগত জলধরবাবুদের জন্য লিখে দিলাম।
  • khilli | 131.241.218.132 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ১০:৩৯47536
  • অর্পণ যেমন বলল ওই যেমন প্রথম গিয়ে ঠিক যেমন স্যামস ক্লাবের অন্যের মেম্বারশিপ ইউজ করতেন তেমন ভাবেই প্রিপেইড নেবেন ।ভালো হচ্ছে।
    a o se -r link related post ke support kori
  • hu | 188.91.253.11 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৩ ০২:৪৪47538
  • নতুন পর্ব ততটা জমল না ঃ-(
    অবশ্য জমতেই হবে এমন মাথার দিব্যি নেই। পরের কিস্তির অপেক্ষায় রইলাম।
  • Arpan | 126.202.148.140 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:০০47539
  • কিন্তু নতুন পর্ব একদম খাপে খাপ হয়েছে। তাও তো ব্রাহ্মণদের জন্য এক্সক্লুসিভ টাউনশিপ জলধরবাবু দেখে যাননি।
  • siki | 132.177.57.130 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:০৭47540
  • হ্যাঁ, ব্রাহ্মণদের জন্য এক্সক্লুসিভ টাউনশিপের খবর পল্লাম কাল।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:১৪47541
  • জনবসতি বাড়ানোর আগে রাস্তার ব্যবস্থা করার কথায় একটা ঘটনা মনে পড়ল। মিড-ওয়েস্টের একটি ন্যাশনাল পার্ক থেকে বাড়ি ফিরছি গাড়িতে। অনেকটা রাস্তা, আর রেন্টাল গাড়ির ছোট গ্যাস ট্যান্ক, তাই একটা চোখ ফুয়েল গেজ এর দিকেই রেখে চালাচ্ছি। কিন্তু রাত্তির হয়ে গেছে, তাই একদম ফাঁকা জায়গায় থামার ইচ্ছে নেই (অত্যাধিক ক্রিমিনাল মাইন্ডস দেখার কুফল)। মনে পড়ল একটা বড় জায়গা আছে সামনে, যা তেল আছে তাতে হয়ে যাবে। এক্সিট নম্বর নোট করছি মনে মনে কিন্তু পাশে বসা সোসেনের বকবকানিতে মাঝে মাঝে মিস হয়ে যাচ্ছে। রাফলি এক মাইল এক এক্সিট এই আশায় চলেছি, কিন্তু এ কি কান্ড ১০-১২ মেইল হয়ে গেল এক্সিট নেই! তারপর একটু জোর দিয়ে খেয়াল করতে শুরু করলাম, দেখি রাফলি এক মাইল এক এক্সিটের হিসেবেই আছে, কিন্তু মাঝখানের জায়গাগুলোয় এখনো জনবসতি নেই তাই এক্সিট নেই, দরকার হলে পড়ে বানাবে। তাই এক্সিট ৩২০র পর এক্সিট ৩১০ আছে। এই আমেরিকান দূরদর্শিতা, আর আমাদের উল্টোটা!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন