এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ব্যক্তিগত গদ্য ২

    Bimochan Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ মে ২০১৯ | ১৮৪৬ বার পঠিত
  • আগেই লিখেছি আজ সারাদিন টিভি দেখেছি৷ ফণী নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম/আছি আমি। একতলায় থাকি। বাড়িতে প্রায় একবছরের নাতনি আছে। এখনো টিভি চলছে ঘরে৷
    বেশ কয়েকটি অবজারভেশন শেয়ার করি আপনাদের সাথে৷ আজই করি কারণ আজ ফণী না আসা অবধি জেগে থাকবো৷ থাকতেই হবে। যদি কিছু নাও হয় তবুও হতাশ হবো না। ভাববো বেঁচে গেলাম এ যাত্রা।

    প্রথমেই বলি যারাই টি ভি সাংবাদিকতায় আসেন, আমি নিশ্চিত তাদের শেখানো হয় একটা সেন্টেন্সে যত বেশীবার পারবে "কিন্তু" বলবে৷ তাই চ্যানেলে চ্যানেলে "কিন্তু" র বন্যা। অসংখ্য কিন্তু ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে)

    দুই,ফণী নিয়ে এ রাজ্যে সবচেয়ে চিন্তিত মানুষ হলেন সুমন ডে৷ এত সিরিয়াস আমি আর কাউকে হতে দেখি নি৷ বিশেষজ্ঞ দের বার বার জিজ্ঞাসা করছেন যে আপনারা আমাকে অ্যাসুওর করুন যে ফণী ঠিক কোন পথে আসছে। আমি খুব কনফিউসড হয়ে যাচ্ছি৷ আমি চিন্তিত, এত চিন্তা করলে ওঁর শরীর খারাপ হতে পারে। তখন? কোথায় যাবো আমরা?? কে রক্ষা করবে আমাদের? কে পালটে দেবে আমাদের চিন্তা ভাবনা মাত্র এক ঘন্টায়?

    তিন, এখনও চ্যানেলে চ্যানেলে একই খবর বারবার দেখানো অব্যাহত। ফলে সেক্টর ফাইভের যে মেয়েগুলি টিভি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন যে কেন তারা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছেন অফিস থেকে, তারা বাড়ি ফিরেও একাধিকবার তাদের মুখ দেখতে পাচ্ছে টি
    ভি তে।
    চার, কয়েক মিনিট পর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছি৷ একটি বাচ্ছা মেয়েকে দেখছি অসংখ্য বার যে বিজ্ঞাপনে বলছে যে সে এখন রোজ স্কুলে যায় কারণ তার স্কুলে মোদিজী পাকা বাথরুম করে দিয়েছেন৷ মানে সে বাথরুম নেই বলেই স্কুলে যেত না নিয়মিত৷ তৃণমুল বিজ্ঞাপনে বলছে কন্যাশ্রী, এই শ্রী, সেই শ্রী এইজন্যে তৃণমুল কে ভোট দিন। রাহুল গান্ধী মাসে ছ হাজার টাকা দেবেন তাই সবাই কংগ্রসকে ভোট দিন। এমন ঘন ঘন রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দেখিনি আগে কখনো।
    আমি ফণী না দেখে ঘুমবো না আজ৷ লেট হচ্ছে আসতে। হোক। আমরা এতে অভ্যস্ত। স্টেশনে ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করি। ডাক্তারের চেম্বারে ডাক্তারের জন্যে অপেক্ষা করি।এয়ারপোর্টে প্লেনের জন্যে অপেক্ষা করি। কোন অনুষ্ঠান দেখতে গেলে প্রধান অতিথির জন্যে অপেক্ষা করি আর এ তো আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালি ঝড়। এরজন্যে অপেক্ষা করবো না! বলেন কী?
    আজ একই খবর বারবার দেখতে দেখতে সেই এপিক জোকটার কথা মনে পড়লো। যাঁরা জেগে থাকবেন আমারই মতন তারা না হয় পড়ুন লেখাটি আর একবার৷ এমন পোস্ট আর জীবনে দ্বিতীয়বার পড়ি নি আমি। প্রায় সবাই পড়েছেন তাও আর একবার পড়ুনই না। এ একেবারে নকুড়ের সন্দেশ৷ বারবার খেলেও আশ মেটেনা।

    পড়ুন ----

    মোট দশজন মানুষ আছেন। এরাই ঘুরে ফিরে আসেন প্রতিটি বাংলা চ্যানেলে রোজ। সারদা,নারদা থেকে শুরু করে শোভনবাবু কেন মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন সব জানেন এরা। আমি দেখিনা এসব। শুনতে বাধ্য হই। পাশের ঘরে অসুস্থ দাদা সকালে তারক মেহতা কা উলটা চশমার রিপিট টেলিকাস্ট দেখেই চলে একটু ভলিউম বাড়িয়ে। কিছু পরে ডব্লু ডব্লু ই র কুস্তি। আমি শুনতে বাধ্য হই।সন্ধেবেলায় শুনতে পাই "ঠায়ুর এ তুমি কি করলে? আর রাত্রে এদের ঝগড়া। ও দেখেই চলে। আমি শুনেই চলি৷ আমার ঘরে দরজা নেই৷ দুটো আর্চ আছে৷ ফলে দরজা বন্ধ করতে পারি না। বাইরে থেকে কুকুরগুলো সমস্বরে ডেকে ওঠে। বাস কন্ডাক্টর - ড্রাইভার বাস গ্যারেজ করে বাসের মধ্যে মদ্যপান করে। তাদের " বানীসহ" কথোপকথন একেবারে দশ হাতের মধ্যে ফ্লাট বলে শুনতে হয়৷ শীতকালে একটু বেশী৷ পাঁচ বার নমাজ পড়া হয়। মাইকে সেটাও ভেসে আসে এই সময়৷ কত বাস কন্ডাক্টর/ড্রাইভারের নাম যে বাসু ভাবা যায় না!! তাদের চেঁচিয়ে গালাগাল করে বাকী লোকজন। মাঝে মাঝেই শুনতে পাই দাদার ঘর থেকে - না না না না না৷ বুঝি সেই বিখ্যাত টি ভি ব্যক্তিত্ব এসেছেন কোন চ্যানেলে৷ এর মধ্যেই লিখি৷ পুটপুটকে নিয়ে বেরোই৷ পুটপুট অবাক হয়ে দেখে কুকুর, কাক, শালিক, চড়াই, কাঠবিড়ালি। রিকশাও দেখে অবাক চোখে৷ ভাবি, ও কী একটু শান্ত পৃথিবী পাবে! যে পৃথিবীতে এত কোলাহল থাকবে না। মনে হয় পাবে না। দ্বিজেন্দ্রলাম প্রায় একশোরো বেশি বছর আগে লিখেছিলেন নন্দলাল৷ - " নন্দর ভাই কলেরায় মরে দেখিবে তাহারে কে বা / সকলে বলিল যাও না নন্দ, করো না ভায়ের সেবা/ নন্দ বলিল ভাইয়ের জন্যে জীবনটা যদি দি / না হয় দিলাম কিন্তু অভাগা দেশের হইবে কি"...। নন্দলালেরা আজও দেশসেবা করে চলেছেন৷ বেশ রাতে, ও তখন একটু কমিয়ে দেয় টিভির ভলিউম। শুনি মাঝে মাঝেই - জয় কা আ আ আ আ লি। এর পরেই মোটামুটি ও টিভি বন্ধ করে দেয়৷

    দুপুরে দাদাকে খেতে দিতে গেছিলাম ওর ঘরে। দেখলাম শোভন চট্টোপাধ্যায় আর তার স্ত্রীকে এক ফ্রেমে ধরে অনুষ্ঠান হচ্ছে৷ একটু আগে রাতের খাবার খাওয়াতে গিয়ে দেখলাম সেই একই অনুষ্ঠান হচ্ছে।

    মনে পড়লো বড় বছর আড়াই আগে ভাইরাল হওয়া এই লেখাটির কথা৷ আমার অদ্যাবধি ফেসবুকে পড়া সেরা লেখাটির কথা৷ কার লেখা আমি জানি না৷ কিন্তু যখনই আমার মন খারাপ হয় আমি এই লেখা পড়ি। মন ভাল হয়ে যায়৷ আপনারাও পড়ুন, দেখুন আমার মতই মোহিত হবেন৷ কিছু টিভি চরিত্রের মুখ দেখতে পাবেন
    ( এইটুকু আমার লেখা ছিল) ।

    ** ডিসক্লেমার - নীচের লেখাটি আমার লেখা নয়। কার লেখা আমি জানি না। ফেসবুক থেকে পেয়েছিলাম**।তবে আজ অবধি পড়া সেরা লেখা ***

    এক টিভি সাংবাদিক
    এক কৃষক এর
    সাক্ষাতকার নিচ্ছে -
    !
    সাংবাদিক : তুমি ছাগল
    দুটোকে কি
    খেতে দাও ?
    '
    কৃষক : কোন ছাগলটা
    কে, সাদা টা
    কে না কালো টা কে ?
    '
    সাংবাদিক : কালো টা
    কে ?
    '
    কৃষক : ঘাস
    '
    সাংবা: আর সাদা টা
    কে ?
    '
    কৃষক : ওটাকেও ঘাস
    খেতে দিই।
    !
    সাংবাদিক : তুমি ছাগল
    দুটোকে
    কোথায় বেঁধে রাখো ?
    '
    কৃষক : কোন ছাগলটা
    কে, সাদা টা
    কে না কালো টা কে ?
    '
    সাংবাদিক : কালো টা
    কে ?
    '
    কৃষক : গোয়ালে, একটা
    খুঁটির
    সাথে।
    '
    সাংবাদিক : আর সাদা
    টা কে ?
    '
    কৃষক : ওটাকেও
    গোয়ালে ওই একই
    খুঁটির সাথে।
    !
    সাংবাদিক: তুমি ছাগল
    দুটোকে কি
    দিয়ে পরিস্কার রাখো ?
    '
    কৃষক : কোন ছাগলটা
    কে, সাদা টা
    কে না
    কালো টা কে ?
    '
    সাংবাদিক : কালো টা
    কে ?
    '
    কৃষক : জল দিয়ে চান
    করাই।
    '
    সাংবাদিক : আর সাদা
    টা কে ?
    '
    কৃষক : ওটাকেও জল
    দিয়ে চান
    করাই।
    !
    সাংবাদিক (প্রচন্ড
    রেগে গিয়ে)
    শালা,...দুটো ছাগল এর
    সাথেই
    যখন সব কিছু
    একরকম হচ্ছে তখন
    বার বার
    আমাকে
    জিজ্ঞাসা করছো
    কেন যে
    সাদা ছাগল টা না কালো
    ছাগল টা ?
    '
    কৃষক : কারন কালো
    ছাগল টা
    আমার।
    '
    সাংবাদিক : আর সাদা
    ছাগল
    টা ?
    '
    কৃষক : ওটাও আমার।
    !
    এই শুনে সাংবাদিক
    অজ্ঞান।
    !
    !
    যখন জ্ঞান ফিরলো
    তখন কৃষক টা
    বললো - শুয়োর,
    এবার বুঝলি যখন
    টিভি তে একই
    খবর বারবার বলে
    আমাদের কানের পোকা
    মেরে
    দিস তখন আমাদের
    কেমন লাগে ?

    সাবধানে থাকুন সবাই৷
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ মে ২০১৯ | ১৮৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 670112.210.565612.88 (*) | ০৫ মে ২০১৯ ০৮:৪০48133
  • বাঃ বাঃ দিব্বি ফ্রি ফ্লোয়িং ব্লগ, সেই ব্লগের শুরুর দিকে এরকম নির্ভার লেখা পড়তাম।
    ভাল লাগল। এর নিশ্চয়ই একটা ১-ও আছে। যাই পড়ে আসি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন