এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শবরীমালা এবং অন্যান্য

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ | ৪৬১৪ বার পঠিত
  • মন্দির টন্দির নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। সবরীমালা না শবরীমালা, স না শ, তাও জানতামনা, এখনও জানিনা। বাঙালি গড়পড়তা বাঙালি মধ্যবিত্তও আমার চেয়ে বেশি কিছু জানে বলে মনে হয়না। দক্ষিণের একটি মন্দিরে মানুষের মাথায় নারকেল ফাটানো হয় রিচুয়াল হিসেবে, এরকম একটা ভিডিও দেখে হেসেছিলাম মনে আছে। তারপর এই শবরীমালা। সেই মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের ঢোকা বারন, এরকম পড়লাম চারদিকে। তা নিয়ে দিগ্বিদিকে প্রবল হইচই, কোর্টের রায়, মানবীপ্রাচীর। অবশেষে দুজন অ্যাটিভিস্ট ঢুকে পড়লেন মন্দিরে। তারপর আরেকদফা হইচই। চতুর্দিকে অভিনন্দনের বন্যা। অন্যপাশে নয়া কল্কি অবতার, ভারতের স্বঘোষিত ধর্মরক্ষক আরেসেসের ডাকা বন্ধ। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওয় দেখলাম তা নিয়েও প্রচন্ড গোলমাল। একদিকে বিরাট মানবীপ্রাচীর। সেখানে কিছু বোরখাপরিহিত মহিলাও পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিচ্ছেন। অবশ্য পুরোটাই মিডিয়ার দেখানো। মানবীপ্রাচীরকে লঘু করে দেখানোর পদ্ধতি হিসেবে এক আধটি বোরখাকেই ফোকাস করা হচ্ছে, হতেই পারে। উল্টো দিকে আরও দুটি ভিডিওয় দেখলাম, পুলিশ এবং কিছু জনতা আরেসেসের বাইক মিছিলের লোকদের প্রচন্ড ঠ্যাঙাচ্ছে। লোকেদের বা তাদের বাইকের গায়ে অবশ্য আরেসেস লেখা ছিলনা। তাও পুরোটাই ক্যাপশন দেখে জানা। আরেসেস করলেই যে পুলিশের ঠ্যাঙানো বিধিসম্মত হয়ে যায়, তাও ক্যাপশান পড়ে জানা। তা, সে যাই হোক এরপরই মনে হল, ব্যাপারটা একটু জানা দরকার। মন্দির নিয়ে কিসুই জানিনা, দক্ষিণ নিয়ে আরও কিছু না। জানতে গেলে, বাঙালির দৌড় গুগল পর্যন্ত। এই লেখা সেই গুগল সার্চের ভিত্তিতেই লেখা। খুবই সুপারফিশিয়াল, কারণ, খুব জেনে বুঝে ফেলেছি এমন না। বস্তুত কিছু অদ্ভুত তথ্য পেলাম, সেটুকু জানানো ছাড়া এর আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।

    তা, গুগল টুগল করে আমি যেভাবে পড়ছিলাম, বা পড়ার চেষ্টা করছিলাম, তা হল দক্ষিণের মন্দিরগুলিতে কী কী আচার-বিচার-প্রথা আছে। এবং কীরকম বৈষম্য আছে। প্রথা পড়তে গিয়ে দেখলাম, তার গাদা-গাদা ইতিহাস। সম্পূর্ণ অজানা দেবদেবীর দঙ্গল, তাদের নানা অজানা গল্প। এসব পড়তে গেলে অন্তত কয়েকবছর পরিশ্রম দরকার। তাতে কোনো উৎসাহ পাইনা। তো, সেসব প্রথমেই বাদ গেল। পড়ে রইল বৈষম্য। সেই সিলেবাসে প্রথমেই ছিল শবরীমালা। পড়ে জানা গেল তার ব্রহ্মচারী দেবতার নাম আয়াপ্পা। সেখানে পুজো-পাব্বন-আরাধনার বিরাট তালিকা। তার সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার করা খুবই পরিশ্রমের কাজ। আমি পারিনি, অত সময়ও দিইনি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা সবাই জানেন, যে, শবরীমালা মন্দিরে দেবতার ব্রহ্মচর্য রক্ষার্থে বিপজ্জনক মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ (বিপজ্জনক শব্দটি আমার)।

    এটুকু অবশ্যই এখন সকলেই জানেন। আলাদা করে বলার কিছু নেই। কিন্তু বললাম এই কারণে, যে, আমার গুগলপনায় মজাটা ঘটল এই খোঁজার সূত্র ধরেই। এসব খোঁজার জন্য আমি 'উইমেন শবরীমালা' দিয়ে সার্চ দিয়েছিলাম (আরও অনেক কিছুই দিয়েছিলাম, বলাবাহুল্য)। তা, তাতে একটি অন্য বিখ্যাত মন্দিরের নাম এল। সেটিরও নাম আমি জীবনে প্রথমবার শুনলাম। আত্তাকুল ভগবতী মন্দির। সেটি তিরুবনন্তপুরমের কাছে, মন্দিরটি 'মহিলাদের শবরীমালা' নামেও পরিচিত, যেজন্য আমার সার্চে উঠে এল। পোঙ্গলের সময় সেখানে বহুলক্ষ মহিলার সমাবেশ হয়, এবং সে জন্য গিনেস বুকেও নাকি নাম তুলেছে।

    কিন্তু 'মহিলাদের শবরীমালা' কেন? খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, পোঙ্গলে এখানে বিরাট পুজো-টুজো হয়। তাতেও প্রচুর নিয়ম-কানুন-প্রথা-পার্বন। সেসবের জটিলতা প্রচুর। কিন্তু কৌতুহলোদ্দীপক ব্যাপারটি এই, যে, এই মন্দিরেও প্রবেশের বিধিনিষেধ আছে। এবং সেটি পুরুষদের জন্য। অর্থাৎ এটি কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত, পুরুষের প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। সম্পূর্ণ কঠোর নিষেধাজ্ঞা কিনা জানিনা। কারণ, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি খবরে পড়লাম, আগে পুরুষদের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ থাকলেও গত বছর কিছু পুরুষ এখানে পুজো দিয়েছেন। আমার আন্দাজ, পুজো দেবার অন্য কোনো পদ্ধতি হয়েছে, কিন্তু মন্দিরে প্রবেশ পুরুষদের জন্য এখনও বারন, কারণ মন্দিরের সাইটেও (এটি প্রতিটি উৎসবের জন্যই আপডেটেড হয় দেখলাম) লেখা আছেঃ "This ceremony is exclusively confined to women folk" । ( http://www.attukal.org/festivals.aspx ) । অর্থাৎ নিষেধ আছেই, কিন্তু সেটা কতটা কঠোর নেটে পড়ে গ্যারান্টি দিয়ে বলা মুশকিল। মালয়ালিদের কাছে খোঁজ নেওয়া গেলে নিখুঁত তথ্য পাওয়া যাবে।

    এবং এখানেই শেষ নয়। আমি ব্যাপারটায় অবাক হয়ে বিধিনিষেধ নিয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে কাছাকাছি আরও একটি মন্দির পেলাম। সেই জায়গাটি পরিচিত। কন্যাকুমারী। ভৌগোলিকভাবে সেটি তামিলনাড়ুতে। মন্দিরটির নাম, আবারও, আমি কখনও শুনিনি। কিন্তু সেটিও নাকি বিখ্যাত। নাম, কুমারী আম্মান মন্দির। বিবাহিত পুরুষদের এখানে প্রবেশ নিষেধ। সেটা নির্দিষ্ট কোনো পুজোর সময়, নাকি সবসময়েই তা উদ্ধার করতে পারিনি অবশ্য। কারণ ট্রিপ অ্যাডভাইজারে দেখছি পুরুষদের ওখানে যেতে হলে খালি গায়ে যেতে হয়। সেটা মন্দিরের দরজা পর্যন্ত, নাকি কোনো কোনো সময় গর্ভগৃহেও ঢোকা যায়, পরিষ্কার করে বোঝা যাচ্ছেনা। আরও খোঁজ করলে হয়তো পাওয়া যাবে। আমি খুঁজে তামিলনাড়ুর মন্দিরে কেন পুরুষদের খালি গায়ে ঠুকতে হয়, এই বিষয়ে কেবল আরেসেসওয়ালাদের 'বৈজ্ঞানিক' ব্যাখ্যা পেলাম কোরায়। একটি ব্যাখ্যা অতি চমৎকার। যে, পুরুষদের বুকের লোমে পজিটিভ এনার্জি থাকে। বিশদে জানার জন্য দেখতে পারেনঃ https://www.quora.com/Why-are-men-asked-to-remove-shirts-before-entering-temples-in-South-India

    তা, ঠাট্টা ইয়ার্কি থাক। এই লেখার একটিই কারণ। যেটা বলার, তা হল, কেরালা এবং তৎসন্নিহিত এলাকায় বিধিনিষেধ বিষয়ে আমি কেবল এই তিনটি মন্দিরের (শবরীমালা সহ) নাম পেয়েছি। পুরুষদের খালি গায়ে ঢোকা বা মহিলাদের ড্রেসকোড, এইগুলো বাদ দিলে। আর কিছু পাইনি। সেই তিনটির মধ্যে দুটি বিধিনিষেধ পুরুষদের জন্য একটি মহিলাদের। অবশ্য এই ব্যাপারে আমি গুগল সর্বস্ব। আগেই লিখেছি। ফলে কিছু নজরে পড়েনি এমন হতেই পারে। হয়তো মহিলাদের জন্য আরও দু-চারটি মন্দিরে বিধিনিষেধ আছে। সেটা হতেই পারে। কিন্তু তাতেও, পয়েন্ট হল, যদি চিত্রটি এইরকমই হয়, তো শবরীমালা নিয়ে হইচইয়ের দৃষ্টিভঙ্গীটাও কিঞ্চিৎ বদলানো দরকার। মূর্তিপুজোয় বহু অদ্ভূত আচার জড়িয়ে থাকে। যার উৎপত্তি বহুযুগ আগে। (যেমন ধরুন লিঙ্গপুজো। পশ্চিমবঙ্গে শিবের লিঙ্গের পূজা বহুলপ্রচলিত এবং সেটি কেবলমাত্র কুমারী মেয়েরাই করে থাকেন। ) তার মধ্যে নানা বিধিনিষেধও থাকে। সেগুলির যৌক্তিকতা অনেক সময়ই আজ আর খুঁজে পাওয়া যায়না। তার অনেককিছুই আজ আর চালিয়ে যাবার মানে নেই। কিন্তু এগুলি সবক্ষেত্রে সরাসরি বৈষম্যের সঙ্গে যুক্ত নাও থাকতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে থাকতেও পারে, কোনো ক্ষেত্রে নাও থাকতে পারে, কোথাও বিতর্ক চলতে পারে। কিন্তু উপর থেকে পশ্চিমী ইকুয়ালিটির মডেল যান্ত্রিকভাবে চাপিয়ে দেবার আগে মাটির পরিস্থিতিটা কী সেটা একবার খতিয়ে দেখা দরকার। এমনিও দরকার, আর আরেসেসের এই বাড়বাড়ন্তের বাজারে ঐতিহ্য বনাম এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে একটা তীব্র মেরুকরণ তৈরি করার আগে, একটি আইনী ব্যাপারকে (অর্থাৎ শুধু আইনী পথেই যার সমাধান সম্ভব) রাজনৈতিক করে তোলার আগে, তো আরও বেশি করে প্রয়োজন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ | ৪৬১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:১০50120
  • ভাল লেখা। পরে এ নিয়ে লেখার ইচ্ছে রইল
  • | 2345.106.7890012.110 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৬50122
  • শবরীমালায় সববয়সী মেয়েদের প্রবেশাধিকার ছিল আশি কিম্বা নব্বই দশক অবধি। এরপরে বন্ধ হয়। আনন্দবাজারে প্রবন্ধ বেরিয়েছিল। আমি গুরুতে লিঙ্ক দিয়েছিলাম।
    এটা কোন যুগসঞ্চিত আচার নয়।

    শাহবানুর ক্ষেত্রে আদালতের রায়ের পাশে সরকার দাঁড়ায় নি। এক্ষেত্রে দাঁড়িয়েছে এটা প্রসংশার বিষয়।

    বাকী পরে।
  • ayappa | 5690012.176.34.23 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫০50123
  • আনন্দবাজারের খবরে এখন কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করেনা। ১৯৯১ সালে হাইকোর্ট অর্ডার দিয়ে শবরীমালায় মেয়েদের ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু তার অনেক আগে থেকে ইনফর্মালি চলে আসছে। মেয়েরা মন্দির দেখতে যেত কিন্তু ১৮ ধাপ পেরিয়ে ভেতরে ঢুকত না। https://www.ndtv.com/kerala-news/the-story-of-sabarimala-origin-beliefs-and-controversy-on-women-entry-1933477
  • dd | 670112.51.1223.46 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১২50124
  • ঈশেন যা লিখলো ঠিক তথ্যই, তবে শবরীমালা, গুরুভায়ুর, তিরুপতি - এইগুলো সব সুপারস্টার মন্দির। গাঁ গঞ্জের অখ্যাত মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ'র, সে যতোই না কেনো জেন্ডার বেসড ফতোয়া হোক না কেনো, এক সাথে করা যায় না। আর এ তো শুধু মন্দিরে প্রবেশ করাই নয়, আরো নিয়ম মানতে হয়।

    শবরীমালা নিয়ে এই রজঃস্বলা মেয়েদের অচ্ছ্যুত রাখাটা একটা বিরাট ফেটিশ। পুরুষেরা কালো পোষাক পরে,অতি ভোরে উঠে পুজা দেন। দাড়ি কামান না। এহ বাহ্য,পাছে নিজেদের খাবারে কোনো মহিলার ছোঁয়া লেগে যায় তাই বাইরের কোনো খাবার খান না, স্ব্পাক রান্না করেন। মহিলা পরিবেষিত খাবারও খান না।সব মিলিয়ে একটা অতি বিকট রীতি।

    এক মাস ধরে ঐ সব মহিলা বিবর্জিত আইন কানুন মানলে তবে ঐ তীর্থযাত্রী ব্রহ্মচারী হিসেবে উপযুক্ত হন। ফার্টাইল মহিলাদের নিয়ে এরকম পাগলামি আর কোথাও আছে কিনা জানি না।
  • dd | 670112.51.1223.46 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩৯50125
  • আরে ব্রহ্মচর্য্য কি য্যামন ত্যমন করে করলেই হোলো?

    ছোটো হরিদাস ছিলেন চৈতন্যের এক শিষ্য। তো একদিন তিনি বৃদ্ধা মাধবীর কাছ থেকে আতপ চাল ভিক্ষা করে আনেন। শ্রী চৈতন্য জানতে পেরে উনাকে তৎক্ষণাৎ দূর করে দেন। স্ত্রী মুখ দর্শনের পাপে।

    হরিদাস বহু কাকুতি মিনতি করেন। সমবেত শিষ্যদলও খুব অনুনয় করেন কিন্তু চৈতন্য অটল। ব্রহ্মচরী আবার স্ত্রী মুখ কি দেখবে? আস্পদ্দা? গেটাউট। ব্রহ্মচারীর পক্ষে স্বপ্নেও স্ত্রী মুখ দর্শন নিষেধ।

    বহিষ্কৃত হরিদাস এক বছর পরে ভগ্নহৃদয়ে আত্মহত্যা করেন।

    তার পরেও তাঁর আত্মা বার বার চৈতন্যের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করতে থাকলে দয়ার ঠাকুর চৈতন্য অবশেষে তাকে ক্ষমা করেন। ব্যাস। হরিদাসের তখুনি বৈকুন্ঠধামে হাজির।

    মানে ব্রহ্মাচারীর অ্যামোন আইন তো চিরকালই ছিলো। আয়াপ্পাকেই দোষ দিলে হবে?
  • dc | 232312.174.2390012.65 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৩50126
  • শবরীমালা তামিল নাড়ুতে খুব পপুলার, প্রতি বছর দেখি অনেক লোক এইসব রীতি মেনে মাস কয়েক কালো জামাকাপড় পরে থাকে আর দাড়ি টাড়ি কামায় না, তারপর মন্দিরটা ঘুরে এসে আবার নর্মাল হয়। শবরীমালা আর তিরুপতি, দুটোই এদিকের ভয়ানক পপুলার মন্দির। আর শবরীমালাতে আগে মেয়েদের ঢুকতে দিতো কিনা, বা কতো আগে থেকে প্রবেশ নিষেধ করেছে, সে নিয়ে এখানকার লোকজনও বেশ কনফিউজড। কয়েকজনকে জিগ্যেস করে দেখেছি, কেউই ঠিক করে কিছু বলতে পারেনি, তবে মাত্র কয়েক দশকের নিষেধ সেটাও কেউ বলেনি। তবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অবশ্যই সমর্থনযোগ্য, আর কেরলের সরকার যেভাবে এই আদেশের পেছনে দাঁড়িয়েছে সেটা খুব খুব ভালো লাগছে। এরকমই যদি পব সরকার তসলিমা নাসরিনকে সাপোর্ট দিতো সেটাও খুব ভালো লাগতো। কেরল সরকারকে দেখে মনে হচ্ছে আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, যেখানে আইন আর সরকারের মান্যতা আছে।
  • Prativa Sarker | 340123.212.234523.229 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:২৭50127
  • যে মন্দিরগুলোয় পুরুষেরপ্রবেশ নিষেধ সেগুলোতে পুরুষেরা ঢুকতে চাইলে তাদের একবাক্যে সাপোর্ট করব। তাদের দাবী নিয়ে লেখা, তাদের ডাকা মিছিলে যাওয়া সমস্ত করব।
    তবে মনে হয়না পুরুষেরা এমন কোন দাবী তুলবেন। মর্যাদাহানি ঘটবে।
  • Amit | 9003412.218.90045.185 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৫২50128
  • ডিসি-কে ক । কেরলের বাম সরকারকে কুডোস। একটা যে ফার্ম স্ট্যান্ড নিয়েছে আদালতের পক্ষে, শেখার মতো ।
  • bah | 566712.225.8934.71 (*) | ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:২৪50121
  • চমত্কার পয়েন্ট
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.126712.75 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৩50129
  • ধর্মের নাম একি অনাচার! গুগল প্রতিবার সার্চে এ কথা কবে লিখবে?
  • | 340123.99.121223.135 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৭50137
  • কি যে বলে,না, মাঝে মাঝে টোটাল খিল্লি মোডে যা পারে লিখে দেয়। খ
  • PT | 340123.110.234523.24 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৪50138
  • যাচ্চলে!
    তসলিমাকে কলকাতায় না রাখার জন্য যারা উঠতে বসতে বামেদের গাল দেয় তারা কেন তসলিমাকে আনার জন্য সওয়াল করছে না সেটা লিখলে ট্রোল/খিল্লি হবে কেন?
    dc বা "খ" কি এই ব্যাপারে বামেদের গাল দিয়েছিলেন?
  • সিকি | 562312.19.4534.88 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৮50139
  • জাস্ট নির্মল হচ্ছে কিন্তু :)
  • dc | 232312.174.9002323.130 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫১50140
  • :d
  • sm | 2345.110.233412.40 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৮50141
  • শবরিমালা নিয়ে কোন একপক্ষ নেওয়া মুশকিল।হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী মন্দিরে ঢোকার অধিকার সবার আছে। নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে।
    নারী দের অবিশ্যি কিছু বিধি নিষেধ বেশি আছে। তার আবার কিছু স্বরোপিত।যেমন পিরিয়ড চলাকালীন যেকোন মন্দিরের পুজোয় অংশ না নেওয়া।এটা একটা বিশ্বাস বা চলে আসা প্রথা।
    এখন চাইলে কেউ ব্যাপার টি গোপন রেখেও পুজো দিতে পারেন। কিন্তু অনেকেই সেটা করবেন না। কারণ মানসিক
    ফ্রেমটি সেভাবেই গঠিত হয়ে আছে।অর্থাৎ প্রিফিক্সড।
    গোপন করে পুজো দিলে, দেবতা কুপিত হতে পারেন বা গিলটি ফিলিং হতে পারে।
    শবরিমালা মন্দিরের ক্ষেত্রে একটা বয়স অবধি নারীদের প্রবেশ নিষেধ। ঢাল কি? না,দেবতা রুষ্ট হবেন।
    পুরুষ সমাজের চাল?ফাইন। কি করা যায়।
    জোর করে অধিকার আদায় করে ঢুকবো অথবা জাস্ট ইগনোর করবো।
    জোর করে যদি অধিকার আদায় ও করা যায়। তাতে লাভ কি?
    আবহমান চলে আসা,একটি প্রথা নিয়ে, সঞ্চিত বিশ্বাসের মূলে তো কুঠারাঘাত হলো না। বরঞ্চ দুটো শ্রেণীর জনতার সৃষ্টি হলো।একদল ভাবলো এতো অনাচার হলো।
    আর একদল ভাবলো,যা হয়েছে ঠিক হয়েছে।পুরুষ তান্ত্রিক সামাজিক নির্মাণের বিরুদ্ধাচরণ তো সম্পন্ন হলো।
    অর্থাৎ মতের পোলারাইজেশন বেশী হলো।
    এর চেয়ে ভালো হতো,সরকারি মদতে নতুন একটি শবরিমালা মন্দির করে তাতে সবার অবাধ প্রবেশাধিকার করে দেওয়া।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৮50130
  • অন্য পুরুষদের কথা জানিনা, মন্দিরে ঢোকার জন্য পিটিশন করতে আমার ইগোয় লাগবে। জেন্ডারের জন্য না, এমনিই লাগত। ওই তো জায়গা, সেখানে যাবার জন্য আবার পিটিশন। এই টাইপের। :-)

    তবে এই পিটিশনের দায়িত্ব স্রেফ পুংদের কেন বুঝলাম না। শবরীমালা নিয়ে মূল পিটিশনকারী তো কীসব ইয়ং লইয়াররা করেছেন, তাঁরাই করুন না। আমি অবশ্য আমার মতই এসবের কোনো দরকার নেই বলব। :-)
  • আলু | 2345.110.3490012.54 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:১৫50142
  • বঙ্গবাসী পুরুষকুল ও বিবাহিত রমণীকুল শিবলিঙ্গ পূজন করেন না এই তথ্য সত্য নহে।
  • সিকি | 670112.223.560112.23 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:২৯50131
  • এটা বেশ নির্মল হল কিন্তু :)
  • কিন্তু | 9001212.56.67900.69 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৫২50132
  • তাসলিমা নাসরিন এখনো গুমরে গুমরে কেঁদে ওঠে। চার্চের ধর্ষিতা কোন বিচার পায় না। তাকে সমর্থন দেওয়া ব্যক্তিকে খুন হতে হয়। সিপিএম মাই ফুট। আঁচড়ানোর এই নরম জায়গাটা ক্রমশঃ শক্ত হচ্ছে তা যেন সিপিএম মনে রাখে।
  • PT | 340123.110.234523.22 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:১৪50133
  • তসলিমা নাসরিন কাঁদে কেন?
    পব-র সিপিএম বিরোধী, তস্লিমার অশ্রু-বিসর্জনকারী-বন্ধুরা সিপিএম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ৭ বছর পরেও তসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর জন্য কোন উদ্যোগ নেয়নি কেন?
  • সিকি | 894512.168.0145.123 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:১৪50134
  • তসলিমা কিন্তু তোফা আছে দিল্লিতে। রিসেন্টলি একটা শিবলিঙ্গ কিনেচে, ফটো দিয়েচে ফেসবুকে।
  • de | 90056.185.673423.54 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:০৭50135
  • মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার, চিড়িয়াখানা, বট্যানিক্যাল গার্ডেন, মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারী, সর্বত্র সবার অবাধ প্রবেশ থাকা উচিত - কোন দোহাই দিয়ে আটকানো চলবে না - এইটে আমার মত - এর ইদিক উদিক হলেই চাক্কা জ্যাম -

    অ্যান্টিলিয়া কি প্রতীক্ষায় ঢুকতে চাইলে আটকালেও চলবে -
  • dc | 232312.174.9002323.130 (*) | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৩৫50136
  • ব্যাস, পিটিদা ট্রোল করতে এসে গেছে :d
  • রিভু | 450112.191.564523.191 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৯50144
  • খুব ইম্পরট্যান্ট একটা পয়েন্ট মিস করে গেছেন। মহিলাদের ঢোকা বারণ তা নয়, একটা পার্টিকুলার এজ গ্রূপের মহিলাদের ঢোকা বারণ। কেন? কারণ ব্রহ্মচর্য। আয়াপ্পা ব্রহ্মচারী, তার মানে কাম বাসনা থেকে মুক্ত। পুরুষেরা ৪১ দিন ইয়ে টিয়ে না করে রিপ্রোডাকশন সাইকেল এর বাইরে যেতে পারে, সুতরাং তাঁরা ব্রহ্মচারী হয়ে গেলেন। এবসার্ড মনে হলেও এটাই কারণ দেখানো হয়। মহিলাদের এই সুবিধে নেই কারণ প্রাকৃতিক নিয়মেই তাঁরা রজঃস্বলা হবেন। সুতরাং তাঁরা কোনোদিনই ব্রহ্মচারী হতে পারবেন না। এখানে একটা সুন্দর এবং সুচিন্তিত ভাবে সেক্সুয়াল আরজ আর রিপ্রোডাক্টিভিটিকে গোলানো হয়েছে। এবং, এজ ইউজুয়াল, সেটা মহিলাদের জন্যেই প্রযোজ্য। জাস্ট এই ভুল টা ভাঙানোর জন্যেই শবরীমালায় মহিলাদের ঢোকার জন্যে আন্দোলন হওয়া উচিত ছিল।

    লিগ্যাল কারণে তো অবশ্যই ভ্যালিড। মানে লিগালিটির দিক থেকে কারোর ই কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়, ওঠেওনি খুব একটা।

    বাকি মন্দির গুলিতে পুরুষ ঢোকা বারণ কেন আমি জানি না। কিন্তু অবশ্যই সমর্থন করি।
  • dc | 127812.49.122323.73 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২০50145
  • শবরীমালার সুপ্রিম কোর্টের রায় আমি আরেকটা কারনে সমর্থন করি, যেটা অন্য টইতে লেখা হয়েছে। সেটা হলো, শবরীমালা বেসিকালি মেনস্ট্রুয়েশানের ভিত্তিতে ডিসক্রিমিনেশান। যে মহিলারা মেনস্ট্রুয়েশানের এজ গ্রুপে পড়েন তাঁদের ঢোকা বারন। আমাদের সমাজে এই মেনস্ট্রুয়েশান জনিত নানা কুসংস্কার তীব্র ভাবে আছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এগুলো মানা হয়। এই কুসংস্কার ভাঙার একটা চেষ্টা হিসেবেও এই রায় সমর্থনযোগ্য।
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৯50146
  • ইন ফ্যাক্ট, সুপ্রিম কোর্ট জলয়কাট্টু নিয়ে যা রায় দিয়েছিলো, সেটাও সর্বাংশে সমর্থনযোগ্য। সেটার এগেইনস্ট এ অর্ডিন্যান্স আনা একটা অত্যন্ত ভুল কাজ। জাস্ট ট্রাডিশন এর নাম করে, কত গুলো রিগ্রেসিভ প্রাকটিস এখনো জোর করে চালানো হবে, আর সরকার ভোটের জন্য এই সব মৌলবাদের কাছে বারবার মাথা নোয়াবে, এই মানসিকতা যত তাড়াতাড়ি বিদেয় হয় তত ভালো।
  • PT | 340123.110.234523.7 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৪50147
  • শবরীমালা নিয়ে বাঙালী বেজায় চিন্তিত। এদিকে সরকারী অনুপ্রেরণায় ঘরের মধ্যেই জাঁকিয়ে বসছে কুসংস্কার!! মেরুদন্ডহীন বুদ্ধিমানেরা অবশ্যই নীরবতা পালন করাই শ্রেয়তর মনে করছে।

    "তিথি-নক্ষত্র মেনে ময়্দানে খুঁটি পুজো করে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হল"
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=45584&boxid=36682

    "সবংয়ের মশাগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রবিবার থেকে তৃণমূলের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল শীতলার মানত পুজো। দু’দিন ধরে পুজো।.....এলাকায় মানস অনুগামী বলে পরিচিত অনিল সাঁতরা। তাঁকে প্রধান পদে দেখতেই মানত করেছিলেন মশাগ্রাম তৃণমূলের বুথ সভাপতি গোকুল মাইতি।"
    https://www.anandabazar.com/district/midnapore/due-to-tmc-leader-s-puja-in-school-premises-students-study-hampered-1.928784
  • T | 342323.176.4578.45 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৬50178
  • আহাগো, শীতে দাদুর টনটনিয়ে উঠচে।
  • b | 562312.20.2389.164 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:১১50148
  • কোথায়? এই তো একজন মেরুদন্ডী তো প্রতিবাদ কল্লেন, ৮ জানুয়ারী ৮ টা ২৪ এ। কে বলে বাঙালী হীন?
  • sm | 2345.110.123412.34 (*) | ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৯50149
  • তৃণমূল;সিপিএম এর মত একটি ধর্মে অবিশ্বাসী বা উদাসীন দল নয়।যা ভালো লাগে করবে। সে খুঁটি পুজো হোক বা দুর্গাপুজো।
    দুই, বামফ্রন্ট আমলে স্কুলে স্কুলে স্বরস্বতী পুজো বন্ধ হয়েছে বলে তো শুনিনি।
    যাই হোক, ফিরে যাই শবরিমালাতে।বিশ্বাস,প্রথা এগুলো তো ধর্মের অঙ্গ।ধার্মিকতা আর ধর্মীয় অন্ধত্বের পার্থক্য যে বোঝেনা তার সঙ্গে যুক্তি দেওয়া মুশকিল।
    আগেই বলেছিলাম,যে কোন মন্দিরে পুজো বা হিন্দুধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে মহিলারা নিজেরাই পিরিয়ডস এর সময় দূরে সরিয়ে রাখেন।এটা তো একটা ভ্রান্ত বিশ্বাস।মহিলাদের নিজেদেরই কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে।তাতে ভগবান কুপিত হবেন কি হবেন না,সেটা নিজেদেরই ডিসাইড করতে হবে।এখানে তৃতীয় পক্ষ টানা মুশকিল।
    মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুরোহিতও একটি বিশ্বাস মাত্র।যাঁর, ব্রাহ্মন্য বাদে এলার্জি রয়েছে,সে নিজে নিজের পুজো দেবে বা অব্রাহ্মণ কোন ব্যক্তি কে দিয়ে পুজো দেওয়া করাবে।
    লালুপ্রসাদ তো এমনি অব্রাহ্মণ পুরোহিত চালিত মন্দির খোলা হবে, পরিকল্পনার কথা উত্থাপন করেছিলেন।
    মহিলা পুরোহিত তো চালু হয়েই গেছে।যার যেমন দরকার পছন্দমত বেছে নিয়ে পুজো অর্চনা করে নিলেই হলো।এতো গোলযোগ কিসের?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন