এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৩530402
  • এই সবগুলি জিনিসই আতংকের; টিআরপি, পুঁজি সহ নানান স্বার্থে সাংবাদিকতার মত একটা দায়িত্বশীল পেশার মূলধারার নীলচক্ষু অর্ণব গোস্বামী সুধীর চৌধুরি দীপক চৌরাশিয়া হয়ে গেল - এইটা দেখলে পরিতাপ হয়।

    কেউ এসব বুঝছে না তাও তো হতে পারে না। একটা কৌতুহল, দেশের টিভি চ্যানেল ইত্যাদির খবর তো রাখি না, ইলেক্টোরাল বন্ড কি মিডিয়ার বড় খবরে আছে এখনো? ভোটের ইস্যু হিসেবে যথেষ্ট প্রচার পাচ্ছে?

    যাই হোক জিজ্ঞাসা ছিল, এর থেকে মুক্তির কোন উপায় আছে কিনা, থাকলে কে কী ভাবছে সেসব নিয়ে। স্বাধীন মিডিয়া, ক্ষমতা ও পুঁজির ধামাধরাই মোক্ষ না, এমন মিডিয়া বিষয়ে।
  • বকলম -এ অরিত্র | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৮530403
  • আমরা বলি বটে যে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, কিন্তু একটা সংবাদ চালাতে প্রভূত পরিমাণে অর্থ প্রয়োজন হয়। যদি খবরের কাগজের কথাই ধরি, আমরা সবাই জানি যে ক্রেতাদের কাছ থেকে ওই পাঁচ টাকা দাম নিয়ে কোনো কাগজ চালানো সম্ভব নয়। ঠিক কত হলে চলে সেটা না জানি না, ঠিক কত টাকা অবধি একটা খবরের কাগজের দাম হিসেবে মানুষ দেবে এবং কতজন দেবে তার আন্দাজও করা সহজ নয়। পঞ্চাশ টাকা দিয়ে একটা খবরের কাগজ কি আমরা কিনব? একশো টাকা দিয়ে বই কেনার ক্ষেত্রেও আমরা কয়েকবার ভাবি। 
     
    অর্থাৎ মোটের ওপর বোঝা যায় বিজ্ঞাপন বা কোনো বড় কর্পোরেটের সাহায্য ছাড়া বাস্তবে কোনো সংবাদপত্র চালানো যায় না। সংবাদ যে মহার্ঘ্য বস্তু। আর সেই খরচ যিনি যোগাবেন তিনি সেই সংবাদ মাধ্যমকে আর যাই হোক নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করতে দেবেন না। ফলে সংবাদ মাধ্যম গণতন্ত্রের তখনই কাজে আসতে পারে যখন একাধিক যুযুধান সংবাদ মালিক থাকবেন। সেটা ধনতন্ত্রের একটা পর্যায়। যেটা হয়তো আমরা নব্বই অবধি ভারতে দেখেছি। কিন্তু নিজের নিয়মেই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা আস্তে আস্তে গুটিকয় ব্যক্তির কাছে সমস্ত আর্থিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফলে একটা সময় আসবেই যখন সমস্ত সংবাদপত্রের মালিক হবে একজন বা দুইজন যারা নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা বা কার্টেল তৈরি করে নেবেন।
     
    কোনো স্বাধীন মাধ্যম যদি খুব কম উপার্জনের মধ্যে দিয়েই চতুর্থ স্তম্ভের দ্বায়িত্ব পালন করতে চায় তাহলেও খুব বেশিদূর যাওয়া শক্ত, কারণ খবর তো কিনতে হয়, আর বড়লোক সংবাদ মাধ্যম মাঠে থাকলে খবরের দামও বাড়বে এবং স্বাধীন মাধ্যমের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। 
     
    কাজেই আমিও একই প্রশ্ন রেখে গেলাম — উপায় কী?
  • পলিটিশিয়ান | 72.20.140.35 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩৯530404
  • উপায় সেভাবে কিছু নেই। প্রাইভেট টাকায় চলা মিডিয়া ব্যান করে ট্যাক্সের টাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট কোর্টের মডেলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া হাউস চালালে একটু বেটার হতে পারে। কর্পোরেট মিডিয়া নিষিদ্ধ না করলে এই অবস্থা চলতেই থাকবে।
     
    ফর সেক অফ কমপ্লিটনেস। তেহেলকার স্টিং দেখে পিসী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার থেকে রিজাইন করেছিল (কদিন বাদে আবার ঘাড় নীচু করে ফেরত গিয়েছিল)। তেহেলকা যিনি কিনেছিলেন সেই কেডি সিংয়ের উদ্যোগে নারদা স্টিংয়ের সময় পিসী, আদভানি ও মোদি মিলে দোষীদের রক্ষা করেছিলেন।
  • বিপ্লব রহমান | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩৬530412
  • এপারে ইউকিলিংক্স এর পর তেহেলকা খুব সাড়া ফেলেছিলো। প্রায় আড়াইশ দশকের পেশাগত সাংবাদিক জীবনে এমন শক্তিশালী মিডিয়া দেখে চমকে উঠেছিলাম।  
     
    যদি ভুল বলে না থাকি, তেহেলকা এক মন্ত্রীর ঘুষ নেয়ার গোপন ভিডিও ফাঁস করে হইচই ফেলে দেয়। পরে ওই মন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন। এ নিয়ে এপারের মিডিয়ায় খবরও প্রকাশিত হয়েছিলো। 
     
    এপারে তেমন মিডিয়া আর হলো কই? সামরিক জান্তা এরশাদ দুঃশাসনের যুগেও মিডিয়ার যতোটুকু স্বাধীনতা ছিলো, এথন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির শাসনকালে ততোটুকু স্বাধীনতা ভোগ করছে কি? 

    প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:ca8:bf74:df80:ee21 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১৭530414
  • আমারও একটা প্রশ্ন আছে :-)
     
    আমরা সবাই জানি, যেমন অরিত্রবাবুও বললেন, ডেমোক্রেসির চারটে স্তম্ভ - আইনব্যবস্থা (অর্থাত কোর্ট, উকিল ইত্যাদি), লেজিসলেচার (অর্থাত বিধানসভা, লোকসভা ইত্যাদি), এক্সিকিউটিভ (অর্থাত প্রেসিডেন্ট), আর মিডিয়া। 
     
    এবার কোর্ট, উকিল ইত্যাদির পেছনে প্রচুর টাকা ব্যায় হয়। আর সাধারন মানুষ যদি বিচার চান তো কোর্টে কেস লড়তে গেলে উকিলের পেছনেই লাখ লাখ টাকা বেরিয়ে যাবে, বিশেষ করে যদি কেসটা অনেকদিন টানে। লোকসভা চালাতেও কোটি কোটি টাকা খরচ হয়, আর সেখানে পলিটিশিয়ানদের পাঠাতে যে ইলেকশান ইত্যাদি হয় তার পেছনে তো হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। আর প্রেসিডেন্ট পুষতেও খরচ কম না, বছরে বেশ কয়েক কোটি তো বটেই, যদিও প্রেসিডেন্ট যে কিভাবে ডেমোক্রেসির স্তম্ভ হলো বুঝতে পারি না। 
     
    তাই যদি হয়, তাহলে আপনারা কিভাবে প্রত্যাশা করেন যে চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়া একেবারে কম খরচে চলবে? কেন খবরের কাগজের দাম তিন থেকে পাঁচ টাকার মধ্যে, যে দামে আর কোন কিছু কেনা যাবেনা? বাকি তিনটে স্তম্ভর খরচ আকাশছোঁওয়া, খালি চতুর্থ স্তম্ভ কেন বিনে পয়সায়?  
  • r2h | 192.139.20.199 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৩530416
  • কম খরচে, বিনা পয়সায় চলবে, এমন প্রত্যাশা কি কেউ করেছে এখানে? খবরের কাগজের ব্যবসা বরাবরই লাভজনক, কিন্তু বিশ্বগুরুর আগের যুগে মিডিয়ার এই হাল ছিল না, এমনকি ইমারজেন্সির সময়ও টঁ্যা ফোঁ শোনা যেত বলে পড়েছি টড়েছি। মনে হয় মেনস্ট্রিম মিডিয়ার এমন এমন আত্মসমর্পন বোধহয় ঐ ছোট গোঁফ ওলা সঙের সময়ই দেখা গেছিল শেষ।
    প্রতিবাদী কন্ঠ কি এখনও নেই, কিন্তু ধামাধরাদের কন্ঠস্বর এতই চিৎকৃত আর ব্যাপক, তাতে বাকিসব চাপা পড়ে।

    টেলিগ্রাফ পত্রিকা নিয়মিত ফলো করি না। কিন্তু মাঝে মাঝে সামনের পাতা চোখে পড়ে, মনে হয় এই তো একটা শক্ত স্টান্স দেখা যাচ্ছে। ওরা কি আর দতব্য করে কাগজ চালায়? বা কোবরাপোস্টের স্টিং অপারেশনে বর্তমান আর দৈনিক সংবাদ। দুটোর কোনটাই ঠিক আদর্শ বা এক নং কাগজের পর্যায়ে, আমার কাছে অন্তত পড়ে না। কিন্তু মিডিয়ার আদর্শ ও দায়িত্ব সম্পর্কে একটা জায়গায় সচেতন, আনকম্প্রোমাইজিং, সেটা দেখা গেল।
    প্রত্যাশা হয়তো এটাই।

    অন্য দিকে আইন লেজিস্লেচার আর এক্জিকিউটিভের ব্যাপারগুলিও ভালো রকম ফ্লড, লেজিসলেচারে দুর্নীতি, ঘোড়া কেনা বেচা, রষ্ট্রপতির কার্যত কোন ক্ষমতা না থাকা বা সরকারি দলের বশ্যতা কাছে বশ্যতা ইত্যাদি তো আছেই, আর বিচার বিভাগের হিরের টুকরো অভিজিৎ।
    ঐ তিনটে দিয়ে কোন কিছুর জাস্টিফিকেশন হয় না।

    তবে পথ কী?
    তা আমি জানি না। জানলে তো অমিই বিশ্বগুরু হতাম।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০২530419
  • স্বাধীন মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের অ্যালায়েন্স একটা আশাপ্রদ জিনিস। ভাটে লিংক দেখলাম ধ্রুব রাঠির ইন্টারভিউ নিচ্ছেন করন থাপার।
    মিডিয়ার পুরো স্পেসটাই বড় রকম পাল্টাবে, টেকনোলজি ভর করে মূলত মনে হয়।
    বিজেপি ও তাদের প্রচারও আস্তে আস্তে থিতোবে একদিন, বিজেপির বিরুদ্ধেও স্থিতাবস্থার ঢেউ আসবে কখনো। কিন্তু ততদিনে কী কী দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হবে সেটাই দেখার।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:71f1:a240:6ffc:12e2 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৮530420
  • হ্যাঁ, নিজেদের স্ট্যান্ড ধরে না রাখার ব্যাপারটায় একমত। যদিও এভাবেও দেখা যায়ঃ আগে বড়ো পুঁজি ছিল কং্গ্রেসের পক্ষে, তাই মেনস্ট্রিম মিডিয়ার ওভারল স্ট্যান্স ছিল কং্গ্রেসি আইডিওলজির সাথে অ্যালাইন্ড। অর্থাত মোটামুটি ধর্মনিরপেক্ষতা, মোটামুটি ওয়েস্ট ওরিয়েন্টেড আউটলুক, পুঁজিপতিদের পক্ষে, লিবারাইজেশান আর ফ্রি ট্রেড এর পক্ষে। 
     
    কিন্তু ২০১০ এর পর থেকে বড়ো পুঁজি হিন্দুত্ববাদীদের দিকে শিফট করতে থাকে (কারনটা জানি না, লজিকাল কারন সেভবে খুঁজেও পাইনি), ফলে মেনস্ট্রিম মিডিয়ার স্টান্সও আস্তে আস্তে পাল্টাতে থাকে। অনেক বেশী ওপেনলি হিন্দুত্ববাদী হয়ে যায়, ক্রোনি ক্যাপিটালিস্টদের পক্ষে হয়ে যায়, আরেসেস এর আইডিওলজি প্রোমোট করতে শুরু করে। 
     
    এরকম কেন হয়েছিল ঠিক জানিনা। লার্জ ক্যপিটাল কি মনে করেছিল হিন্দুত্ববাদীদের পেছনে পয়সা ঢাললে রিটার্ন বেশী পাবে? নাকি মোটাভাই, পাদানি ইত্যাদি দুতিনজন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এমনিতেই হিন্দুত্ব আইডিওলজির দিকে ঝুঁকে পড়েছিল? আর তার ফলে বাকিরাও ঐ পথে চলে গেছিল?  
  • r2h | 192.139.20.199 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৭530422
  • আমার মনে হয় বিজেপি ঐ সময় বেশি দূরদর্শিতা দেখিয়েছে - ইমার্জিং সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি বিচারে। কং এমনিতেই ঐ সময় বেশ অগোছালো হয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে আম্বানিরা চিরকাল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলে, আজকাল তো বেশিরভাগ মিডিয়া হাউসে আম্বানি আদানিদের বিনিয়োগ আছে শুনি।
    অন্যদিকে কং যতই বদ হোক, মোটামুটি গণতান্ত্রিক পরিসর রক্ষা না করলে চলবে না -সেরকম ভাবতো বলে মনে হয়, যদিও তাদের ঝুলিতে জরুরী অবস্থা আছে, সফদর হাশমির হত্যা আছে।

    মিডিয়ার কন্ঠরোধে কেউই কম যায় না - তৃণমূল সরকারে এসে কোন কোন কাগজ সরকারি প্রতিষ্ঠান বা লাইব্রেরিতে যাবে তার একটা লিস্টি করেছিল, ত্রিপুরা কং জোট সরকারে আসার পর কোন কোন বাড়িতে ডেইলি দেশের কথা যায় তা রীতিমত মনিটর হতো।
    কিন্তু এরা খেলাটাকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। গ্রেটার ইভিল আরকি।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:71f1:a240:6ffc:12e2 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১০530423
  • মিডিয়ার কন্ঠরোধে কেউই কম যায় না - ১০০% একমত। তবে তার মধ্যেও খোলাখুলি হিন্দুত্ববাদ প্রোমোট না করে কিছুটা ধর্মনিরপেক্ষতা, কিছুটা বহুত্ববাদ প্রোমোট করলে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো করে হলেও, বোধায় খানিকটা সোশ্যাল স্টেবিলিটি থাকে। 
  • বকলম -এ অরিত্র | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০০530424
  • "যদিও প্রেসিডেন্ট যে কিভাবে ডেমোক্রেসির স্তম্ভ হলো বুঝতে পারি না।" 
    – নয়। এক্সিকিউটিভ (অর্থাত প্রেসিডেন্ট​ প্রশাসন/সরকার, মানে মূলত আমলারা এবং মন্ত্রণা দেওয়ার জন্যে মন্ত্রী)
    – রাষ্ট্রপতি হল রাষ্ট্রের আলংকারিক প্রধান, গণতন্ত্রের স্তম্ভ নয়।
     
    ইন্টারনেট মিডিয়া একটা সাময়িক খোলা জানলার বেশি কিছু নয়। ওটাও বড় পুঁজি কব্জা করবে, যদি না ইতিমধ্যেই করে থাকে, বাকিদের প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলে, পুঁজির জোরে। আমরা একটা ব্যবস্থায় আছি (অন্য কী ব্যবস্থা হতে পারে জানি না) যেখানে সবকিছু পুঁজি নির্ভর, সবকিছুই কমোডিটি, সেখানে পুঁজির জোর যার মুলুক তো তারই হবে। সহজ অংক। যতই এদিক সেদিক দিয়ে এটাকে এড়ানোর চেষ্টা করি না কেন, এটা সম্ভব নয়।
     
    তাহলে মোদ্দা ব্যাপারটা দেখা যাচ্ছে আর্থিক অসাম্য (inequality)। মুক্ত বাজারে বুদ্ধু লোকেদের দেদার ঠকিয়ে চালাকরা সব টাকা পয়সা নিজেদের পকেটে করে ফেলেছে। এবারে সাধারণ (বুদ্ধুদের দল) জনগণ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্যে দরকারি অর্থও জুগিয়ে উঠতে পারছে না। খবর কেনার টাকা না থাকা তারই একটা দিক। 
     
  • Guru | 2409:4060:2d9e:8933:8ad9:3196:af05:e263 | ১০ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৮530427
  • @বকলমে অরিত্র ,                                                                             ইন্টারনেট মিডিয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আসলো বলে l খোদ আম্রিকাতে TikTok বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে যেহেতু গাজার গণহত্যার ব্যাপার স্যাপার এই 
    মাধ্যমটি ইসরায়েলকে নাঙ্গা করে দেখিয়েছে l        ধ্রুব রাঠী মুখ খোলার সাহস দেখাতে পারেন যেহেতু তিনি জার্মানিতে বসে আছেন l উনিজি ফিরে এলেই এখানকার আকাশ Banerjee দের কণ্ঠরুদ্ধ হবে l
  • বকলম -এ অরিত্র | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১২530455
  • মিডিয়ার স্বাধীনতা: টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট (ডিসেম্বর ২০২৩) তো পাস হয়েই বসে আছে, শুধু রাষ্ট্রপতির সই পড়লেই আইন হয়ে যাবে।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:359f:dfe9:2232:7838 | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৮530456
  • অরিত্র, এক্সিকিউটিভ এর ব্যপারটা জানতাম না। ধন্যবাদ। 
  • Guru | 2409:4060:2d9e:8933:8ad9:3196:af05:e263 | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৬530460
  • আচ্ছা এই ফোরামের যারা এখানে লিখছেন এবং যারা বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালী তারা YouTube চ্যানেলস খুলে নিজের রাজনৈতিক মতামত দিন না ! তাতে অনেক লোকের কাছে পৌঁছানো হবে আবার ভারত সরকারের কোপেও পড়ে যেতে হবেনা l ধ্রুব রাঠী তো তাই করছে l
  • | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১২530467
  • তেজপাল একেবারে বেকসুর খালাস পেয়েছে এটা জানতাম না।  জেনে মনে হল এটা নথিবদ্ধ করে রাখি যে তেজপালকে বেকসুর বলে বিশ্বাস করি না। যথেষ্ট ঘাঘু লোক সিসিটিভি বাঁচিয়েই যা করার করেছে। আর এই ধরণের ঘটনায় মেয়েরা  খুব কম ক্ষেত্রেই কেস জেতে। মোদী শাও কোর্টের রায়ে নির্দোষ। এও সেইরকম আর কি। 
    বাকী লেখাটা...  মিডিয়া স্পেস ইত্যাদি নিয়ে একমত। 
  • একক | 103.157.36.112 | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৬530470
  • মিডিয়া ব্যবস্থা প্রথম থেকেই গোলমেলে। মিডিয়া জনতার ভয়েস নয় , সম্পাদকের ভয়েস। এটাকে জনতার ভয়েস বলে চালানো হয়। আসলে সম্পাদক বা ছোট একটা গোষ্ঠীর ভয়েসকে জনতার ভয়েস করে তোলার একটা টুল হলো মিডিয়া। 
     
    দ্বিতীয়ত , বিজ্ঞাপন বাদ দিয়ে মিডিয়া আদৌ লাভজনক ব্যবসা না। তাহলে আর , হিন্দু প্যাট্রিয়ট চালাতে গিয়ে হরিশকে সর্বস্বান্ত হতে হতো না। যে দুটাকা পাঁচটাকা দিয়ে পাবলিক খবরের কাগজ কেনে তা দিয়ে কাগজের অফিসের মাইনে হয় না। কোনোকালেই হতো না। হতো বিজ্ঞাপন থেকে। ঠিক এই কারণেই , প্রিন্ট মিডিয়া দিনের পর দিন কর্পোরেটের এবং শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে মাখামাখিতে জড়িয়ে পড়ে। তাতেও  দৈন্যদশা কাটে নি। 
     
    এইরকম একটা নড়বড়ে সময়ে প্রথমে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তারপর ডিজিটাল মিডিয়ার আগমন। এর পেছনে বিগ কর্পোরেট থাকায় এদের বাফার বেশি ফলত তথাকথিত স্বাধীনতার স্পেস এখানে বেশি। কিন্তু সেখানেও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার পরিবেশ এবং বিজ্ঞাপন নির্ভরতা এবং খোলাখুলি শাসক গোষ্ঠীর ইন্টারভেনশন। বর্তমানে , মিডিয়া আগের চেও বেশি পুঁজির অধীন। 
     
    কাজেই পুঁজির যোগানের হিসেব বাদ দিয়ে , গণতন্ত্রের স্তম্ভ ইত্যাদি কথার বিশেষ মানে নেই। জনগনের অংশীদারীত্বে মিডিয়া চালানোর মডেল একাধিকবার চেষ্টা হয়েছে ঠিকই , কিন্তু এখনো সাসটেইনেবল নয়। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:dcbd:6dbf:91fd:81e7 | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০২530475
  • বিভিন্ন পার্টির কাগজ/মিডিয়া একটা মডেল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন