এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অনেক দেবব্রত

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ | ৯৯৫ বার পঠিত
  • একটা লোক মোটা গলায় গাইছে "সুদূর, বিপুল সুদূর"। আর আমি দেখছি আদিগন্ত মাঠ, চোত মাসের ঠাঠা রোদ্দুরে দগ্ধ হচ্ছে। সেই লোকটাই আবার যেই বলেছে, "সেদিন এমনি মেঘের ঘটা রেবা নদীর তীরে", অমনি গায়ে ভিজে হাওয়ার ঝাপটা এসে লেগেছে। হাট করে খোলা ঘরদোর, হুহু করে ছাট এসে বিছানা-টিছানা সব ভিজিয়ে দিল। বেয়াক্কেলে লোক!

    গলা শুনলে মনে হত একটা লোক থ্রি-পিস স্যুট-টাই পরে গান গাইছে, পায়ে চকচকে জুতো। পরিচ্ছন্ন করে দাড়ি-গোঁফ কাটা। ধারালো, চকচকে কিন্তু সমাহিত চেহারা। গানে সাহেবি পরিশীলন। আমার তখন কতই বা বয়েস হবে? বছর আষ্টেক। সাহেবী পরিশীলন তো বুঝতাম না। কিন্তু নাম-না-জেনেও সাহেবী প্রিসিশন আর অর্গানাইজেশন ব্যাপারটা অনুভব করেছিলাম। বাবুদাদা বলল, "যে গাইছে, তার নাম জানিস? দেবব্রত বিশ্বাস।" নামের সঙ্গে ছবি মনে গাঁথা হয়ে গেল। পরে দেবব্রত বিশ্বাসের ছবি দেখলাম। দেখে খুবই আশাভঙ্গ হয়েছে। এই সেই লোক? ধুতি-পাঞ্জাবী-পরা একটা বেঁটে মতন লোক, পান-খাওয়া দাঁতে ওই গান গাইছে? লোকটা কথা বলে আবার বাঙাল ভাষায়। রবীন্দ্রনাথের ভাষার সঙ্গে কোন মিলই নেই। এ-ই ওই সাহেব?

    এটা নিয়ে, জানেন, পরে ভেবে দেখার চেষ্টা করেছি। এ যেন দুটো আলাদা লোক। ব্যক্তি দেবব্রত আর গায়ক দেবব্রত। আমি দেবব্রতর লাইভ গান শুনিনি। কাজেই আমার কাছে দেবব্রত মানে মূলতঃ হিন্দুস্তান রেকর্ডের দেবব্রত। এইচএমভিরও নয়। রেডিওয় আটটার সিটিং-ও নয়। কেন নয় সেটা একটু আমার মতন করে খোলসা করে বলি।

    ব্রেভিটিকে উইটের প্রাণ বলেছিলেন শেক্ষবি। রবীন্দ্রনাথ ঘুরিয়ে আর্টের প্রাণ হিসেবে ব্রেভিটিকে স্থাপনা করতে চেয়েছেন। দেবব্রত বিশ্বাসের রেডিওর সিটিঙে আমি সেই ব্রেভিটির অভাব পাই। সময় ভরাতে দেবব্রত লাইনের পর লাইন বারবার গেয়ে যাচ্ছেন। ফলে কথা-আর-সুরের যে অভিঘাত, সেই অভিঘাত যাচ্ছে নষ্ট হয়ে। যদিও ষাটের দশকে - যে সময়ের রেডিও সিটিঙের রেকর্ডিং আমি শুনেছি - তখনও দেবব্রতর গলা প্রায় তুঙ্গে, সুরে লাগে চমৎকার। হাঁপানি সেভাবে তখনও পেড়ে ফেলেনি। এর উল্টোদিকে, হাঁপানি সত্বেও, যখন কিনা প্রাইম-টাইমের তুলনায় হয়ত সুরের প্রয়োগও আর অত নিঁখুত নেই, রেকর্ডে যখন সেই গানই গাইছেন - সাড়ে তিন-মিনিটের সময়-বেঁধে দেওয়া গান - সেখানে ওইটুকু সময়ের গানের নির্যাসটুকু উজাড় করে দিচ্ছেন। আমার মনে হয়েছে রেকর্ডে যে গান করবেন, সে গানের নেট প্র্যাকটিস সেরে নিতেন রেডিও সিটিঙে। বুঝে নিতেন শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া। এ আমার আন্দাজ। রেডিও সিটিং আর রেকর্ডিঙের সন-তারিখ মিলিয়ে দেখলে হয়ত ভুলই প্রমাণিত হবে আমার এই আন্দাজ। কিন্তু এতে ভুল নেই যে রেডিও সিটিঙের দুতিনবারের পুনরাবৃত্তি রেকর্ডে শেষ হত একটি আবর্তে। এবং সেটি হত অব্যর্থ। এখানে আসে ব্রেভিটির আলোচনা। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "বেঙ্গল স্টোর্সে গিয়ে যখন অসংখ্য রকম দামী কাপড় সারা প্রহর ধরে ঘেঁটে বেড়াই, ভালো লাগে, আরো ভালো লাগে, থেকে থেকে চমক লাগে, সংগ্রহের তারিফ করতে হয়। কিন্তু, সুন্দরীর গায়ে যখন মানানসই একখানি মাত্র শাড়ি দেখি, বলি : বাস। হয়েছে। বলি নে ক্রমাগত সব কটা শাড়ি ওর গায়ে চাপালে ভালোর মাত্রা বাড়তেই থাকবে।" মুজতবা আলী সেটাকেই আরেকভাবে বলেছেন যে বাড়িতে লোক ডেকে খাওয়ালে কী চাররকম ডাল রান্না করে পরিবেশন কর? যে ডালটা বাড়িতে সবচেয়ে ভাল হয়, সেটাই পরিবেশন কর। তাই দেবব্রতর রেকর্ডের গান যেন সুন্দরীর গায়ে মানানসই একখানি মাত্র শাড়ি। এর সঙ্গে অবশ্য যন্ত্রানুষঙ্গের গল্পও আছে। রেডিওয় একটি বেহালা ও তবলার সঙ্গত - পাতি বাংলায় যাকে বলে ঠেকা দেওয়া - তাই চলছে। কিন্তু রেকর্ডে ওয়াই এস মুলকির যন্ত্রানুষঙ্গ - আহা, কী যে অসাধারণ কাজ - গানটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তরতর করে।

    এই ব্রেভিটি, সঙ্গে পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গ, এ দুইই দীর্ঘ পরিশীলনের ব্যাপার। ঠিক কতটুকু, কীভাবে বললে যে শ্রোতার হৃদয় নাড়া খাবে, সে সহজ সিদ্ধি নয়। একদিনে আয়ত্ত হয়না। ঠিক যেমন পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গের দরকারী - গানের সুর আর কথা বুঝে হার্মনির প্রয়োগ, সেও সহজে সাধ্য নয়। চটজলদি নয় কোনটাই। সরলও নয়। ব্রেভিটি আপাত-সারল্যের দৃষ্টিবিভ্রম তৈরি করলেও, সেই সারল্য আয়ত্ত করতে বহু জটিলতার মধ্যে দিয়ে স্রষ্টাকে, পারফর্মারকে যেতে হয়।

    এখানে একটু ঐতিহাসিক স্মৃতিচর্বণ করি। দেবব্রত কম্যুনিস্ট পার্টি করতেন। সঙ্গে ময়মনসিঙের দোসর হেমাঙ্গ বিশ্বাস, অনুজপ্রতিম সলিল চৌধুরী। একবার এক সাংস্কৃতিক প্লেনামে খুব তর্ক বেঁধেছিল হেমাঙ্গ বিশ্বাস আর সলিল চৌধুরীর। হেমাঙ্গ বিশ্বাস পছন্দ করেননি সলিলে পশ্চিমী-চালের অ্যারেঞ্জমেন্ট। তাঁর পন্থা ছিল স্তালিন কথিত "socialist in content but national in form"। অর্থাৎ, গানের কথায় প্রগতি, সুর আর অ্যারেঞ্জমেন্টে ফোক। আরেক সৃষ্টিশীল, পাঁড় কম্যুনিস্ট সুভাষ মুখোপাধ্যায়ও অনেকদিন আগে আক্ষেপ করে লিখেছিলেন যে জেল থেকে বেরিয়ে পার্টির যে গান শুনলেন, সে সুর তিনি গলায় তুলতে পারলেন না, এমনই তার জটিলতা। সরল সুরের আকাঙ্খা করেছেন তিনিও। অর্থাৎ, তখন কম্যুনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক লাইন ছিল - সৃষ্টি হতে হবে সরল। তবেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছন যাবে। কম্যুনিস্ট পার্টির সেই সারল্যের অবস্থান থেকে সরে এলেন দেবব্রত তাঁর গানের প্রয়োগে। ব্রেভিটির আপাত-সারল্যে, পশ্চিমি যন্ত্রানুষঙ্গের ব্যবহারে ব্যক্তি দেবব্রতর কম্যুনিস্ট সত্তা ছাপিয়ে বেরিয়ে এল গায়ক দেবব্রত।

    প্রায় এই লাইনে, কিন্তু অন্য প্রেক্ষিতে, সিলেট্যা নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সমর্থন করছেন দেবব্রত হেমাঙ্গ বিশ্বাসকে লেখা ব্যক্তিগত চিঠিতে - "কয়েকবছর আগে তুমি আমার ঘরে আইয়া কইছ্লায় যে নির্মলেন্দু চৌধুরী তুমার লুকসংগীতের বারো বাজাইয়া দিতাছে। তুমার নিশ্চয়েই মনে আছে যে তুমারে কইছ্লাম নির্মলেন্দু ঠিক কর্তাছে। তার-ত গান হুনাইয়া প্যেট চালানি লাগব - সিলেটের লুকসংগীত হুনাইয়া সুবিধা হইত না - হেই লাইগ্যা তারে ফোকোজাজ, ফোকেফক্সট্রট, ফোকোপপ বানাইয়া শ্রোতারারে খুশি কইর্যা প্যেট চালানি লাগব।"

    সেই দর্শনেই শুধু শান্তিনিকেতনী এসরাজ অনুষঙ্গ থেকে বেরিয়ে পিয়ানো অ্যাকর্ডিয়ান, ডাবল বাস, ম্যারাকাস-ট্যারাকাস প্রমুখ তথাকথিত অরাবীন্দ্রিক যন্ত্র নিয়ে সশস্ত্র হলেন দেবব্রত। শুধু যন্ত্রানুষঙ্গই নয়, গানের সঠিক অভিঘাত আনতে আধুনিক যা কলকব্জা লাগে, তা ব্যবহারে পিছপা হননি দেবব্রত। স্মরণ করুন "দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না" গানটা। যেখানে গাইছে "যেন তারা কার আশে, ফেরে আমার ভাঙা খাঁচার চারপাশে", সেখানে গলার রিভার্ব বাড়িয়ে প্রতিধ্বনীর মতন একটা ব্যাপার করা হয়েছে। বিশ্বভারতী সঙ্গীত বোর্ড আবার এসব পছন্দ করত না। তাই তাঁর "মেঘ বলেছে যাব যাব" গানকে "awfully melodramatic" বলে কাঠগড়ায় তুলেছিল।

    সব মিলিয়ে যে দেবব্রত রেকর্ডে গান গাইতেন, অন্য সব দেবব্রতর থেকে সেই দেবব্রত স্বতন্ত্র। আমি সেই দেবব্রতকে খুঁজি। "ব্রাত্যজনের রুদ্ধসঙ্গীত" লেখক অভিমানী দেবব্রত আমার নন; ধুতি-পরে মোটর-সাইকেল আরোহী দেবব্রত আমার নন; রাসবিহারীর ছোট ঘরে ইনহেলার-নেওয়া দেবব্রত আমার নন। আমার দেবব্রত "আজি যত তারা তব আকাশে" বলে আমাকে ঈশ্বরের প্ল্যানেটেরিয়াম দেখিয়ে দেন এক ম্যাজিকে। শেষ পর্যন্ত আমি আমার দেবব্রতকে চাই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ | ৯৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 7845.184.4534.204 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৭50549
  • আমি আবার ইংরিজি দেবব্রতই শুনেছিলাম প্রথম। মিঠুদাদের বাড়িতে অনেক ছোটোবেলায়, রেকর্ডের মলাটও দেখিনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন