এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ছায়ামানুষ

    অভিষেক ভট্টাচার্য্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ মে ২০১৬ | ৭৮০ বার পঠিত
  • ফ্ল্যাটটা কেনার পরে সুদীপের চেয়ে শাশ্বতীই যে বেশি খুশি সেটা ওর হাবভাবেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। অবশ্য সুদীপও যে খুশি হয়নি তা নয়। সাজানো-গোছানো বড় বড় দু'টো বেডরুম, একটা গেস্টরুম, একটা ডাইনিং কাম কিচেন আর অ্যাটাচড্ বাথরুম। সদ্য বিবাহিত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত একটা দম্পতি বাসস্থান হিসেবে আর কী চাইতে পারে এর বেশি? ঝকঝকে মার্বেলের মেঝে, ঘরের দেওয়ালে চমৎকার হাল্কা সবুজ রঙের প্লাস্টিক পেইন্ট, বড় বড় জানালা দিয়ে আলো আর হাওয়া আসছে অনবরত। তোফা! শুধু একটাই মাইনাস পয়েন্ট - ফ্ল্যাটটা রেললাইনের কাছে হওয়ায় উত্তরদিকের জানালাগুলো খুললেই বস্তিটা চোখে পড়ে। গায়ে গায়ে লাগানো সারি সারি টালির ঘর। ফাঁক দিয়ে উনুনের ধোঁয়া সকালে বিকেলে পাকিয়ে পাকিয়ে উঠে যায় আকাশে। একটু দূরে মাঠের পাশে টিউবওয়েলটায় সকালে পড়া অ্যাঁকাব্যাঁকা, সাপের মত লম্বা লাইনও চোখে পড়ে মাঝেমধ্যে। এই নাইনথ ফ্লোর থেকেও দেখা যায় সেই লাইনে পিঁপড়ের মত সরু সরু হাত-পায়ের নড়াচড়া। পিঁপড়ে অবশ্য নয় আসলে ওগুলো। মানুষ।
    মাসখানেক হল ফ্ল্যাটটা কেনা হলেও অলরেডি মনের মত করে সেটাকে সাজিয়ে ফেলেছে শাশ্বতী। সুদীপ অফিসে বেরিয়ে গেলে সে প্রায় রোজই বেরিয়ে পড়ে মার্কেটিং-এ। টুকটাক কিনে আনে ফুলদানি, বই, ছবি, শো-পিস। এটা-সেটা। ঘর সাজানোয় বেশ রুচি আছে শাশ্বতীর সেটা এই ক'দিনে বেশ ভালো করেই বুঝে গেছে সুদীপ। রুচি অবশ্য তার নিজেরও যে নেই তা নয়। সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে সাত বছর কাজ করে দিনরাত আমেরিকান সাহেবদের কপচানি শুনলেও সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো এখনো নষ্ট হয়ে যায়নি তার। ডাইনিং-এ সে নিজে পছন্দ করে কেনা একটা গণেশ পাইনের পেইন্টিং লাগিয়েছে, বেডরুমে মাথার কাছে ঝুলিয়েছে যামিনী রায়। এছাড়া ঘরের এদিকেওদিকে ছড়ানো বেশকিছু ছোটবড় মূূর্তি, অ্যাকোয়েরিয়ামে মাছ, ফ্ল্যাটের মেইন দরজার উল্টোদিকের দেওয়ালে বিরাট বড় একটা আফ্রিকান মুখোশ - এসব তো আছেই। ফ্ল্যাটটায় ঢুকলেই বোঝা যায় যে এটা শুধু অর্থবানেরই বাসা নয়, রুচিশীলেরও বটে।
    মোদ্দা কথা, সুদীপ আর শাশ্বতী একটা শিক্ষিত, সুখী, স্বচ্ছল দম্পতি যাদের মধ্যে কোনোরকম গভীর মনোমালিন্য নেই।
    গোলমালটা শুরু হল ফ্ল্যাটটা কেনার দু'মাসের মাথায়।
    প্রথম দেখতে পেয়েছিল শাশ্বতীই। রবিবার রাতে একটু স্পেশাল ডিনারের ব্যবস্থা করতে করতে হঠাৎ সে বেডরুমে এসে বিছানায় আধশোয়া সুদীপকে বলল, 'কী হল?'
    সুদীপ ল্যাপটপ থেকে চোখ তুলে বলল, 'কিসের কী হবে?'
    'দৌড়ে বাথরুমে গেলে যে?'
    'বাথরুম? ভ্যাট!'
    'আমি যেন দেখলাম মনে হল! পায়ের আওয়াজও পেলাম!'
    'পাশের ফ্ল্যাটের কারুর আওয়াজ শুনেছ তা'লে। আমি তো বিছানা থেকে উঠিইনি।'
    সেদিনকার মত ব্যাপারটার এখানেই ইতি হল। সুদীপ মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ব্যাপারটা ভুলে গেলেও খেতে খেতে তার মনে হচ্ছিল শাশ্বতী যেন মাঝেমাঝে কেমন অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছে। ভয়টয় পেয়েছে নাকি? হতে পারে।
    এর দিনদুয়েক পরে দেখল সুদীপও। অফিস থেকে ফিরে দাড়ি কামাচ্ছিল সে। পার্টি আছে একটা। অফিসেরই এক কলিগের বিয়ে। ভেতরের ঘরে সাজগোজ করছে শাশ্বতী।
    গালে রেজার টানতে টানতে হঠাৎ সুদীপের মনে হল তার পেছনে দাঁড়িয়ে কে যেন একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। হাতখানেকের মধ্যেই।
    চমকে পেছনে ফিরল সে। আর ফিরতেই মনে হল কালোমতো অস্পষ্ট কী যেন একটা দ্রুত সরে গিয়ে টেবিল-চেয়ারের নিচের অন্ধকারের সঙ্গে মিশে গেল। ছায়ার মতো।
    হতবুদ্ধি হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল সুদীপ। কী হল ব্যাপারটা? ভুল দেখল নাকি? উঁহু। এরকম ভুল তো তার কোনোদিন হয়নি এর আগে। তা হলে?
    ডাইনিং-এর সবক'টা আলো জ্বেলে দিয়ে চারিদিকে খুঁজল সুদীপ। কোথাও কিচ্ছু নেই। ঝকঝকে চেয়ার-টেবিল, মার্বেলের মেঝেতে মানুষ তো দূরের কথা, একটা মাছিও লুকোবার জায়গা নেই কোথাও। গ্লাস টেবল-টপ, চকচকে স্টিলের কিচেন ক্যাবিনেট, বাসনকোসন, দেওয়ালের পেইন্টিং - আলো পড়েছে সর্বত্র। কোথাও এককুচি ধূলো নেই। অস্বাভাবিক কিচ্ছু নেই।
    রাতে বিছানায় শুয়ে ঘটনাটা জেনে শাশ্বতী বলল, 'তা হলে কি ফ্ল্যাটটা ছেড়ে দেবে?'
    'ধুস! পাগল হলে নাকি? আমি সিওর ওটা চোখের ভুল।'
    'আমি সেদিন যেটা দেখলাম সেটাও?'
    'অবশ্যই। হান্ড্রেড পার্সেন্ট। নতুন জায়গায় এলে ওরকম হয়।'
    এরপরে বেশ কয়েকদিন আর নতুন কিছু ঘটল না। সুদীপ রোজ গাড়িতে করে অফিসে যেতে লাগল বস্তিটা পেরিয়ে, রেললাইন টপকে। সকালে টিউবওয়েলের লম্বা লাইনের লোকগুলো কীরকম যেন একটা দৃষ্টিতে তার ডিজায়ারটাকে রোজ দেখে। কেমন যেন রাগ-রাগ ভাব। শাশ্বতীও রিক্সা করে বেরোতে লাগল মার্কেটিং-এ। চোখে সানগ্লাস দিয়ে। তাকেও তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে লোকগুলো। যতক্ষণ না চোখের আড়াল হয়।
    সপ্তাহখানেক পরে একদিন অফিস থেকে ফিরে সুদীপ দেখল শাশ্বতী চুপচাপ বিছানায় বসে রয়েছে। আলো জ্বালেনি। ঘর অন্ধকার।
    'কী ব্যাপার?' সুদীপ ঘাবড়ে গেল।
    শাশ্বতী আঙুল তুলে সামনের দেওয়ালটা দেখাল।
    আলো জ্বেলে তবে ব্যাপারটা দেখতে পেল সুদীপ। পেইন্ট করা দেওয়ালটায় কয়েকটা অদ্ভুত ছাপ পড়েছে। মানুষের মুখের মত। আর্তনাদ করা মুখ। হাত-পা-পেট-বুকও আছে।
    'কীভাবে হল এটা?' সুদীপ ঘুরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল।
    শাশ্বতী নীরবে ঘাড় নাড়ল। সে জানে না।
    একটু পরেই প্রোমোটারকে ফোন করল সুদীপ। গোয়েন্দা গল্পে যেমন দেখা যায়, এই প্রোমোটারের নাম কিন্তু সেরকম সমাদ্দার বা লাখোটিয়া নয়। দিব্যি ভদ্র, সুন্দর নাম - কৃশানু সেনগুপ্ত।
    পরের দিন সকালে কৃশানু এসে দেওয়ালটা দেখে বলল, 'ড্যাম্প লেগে হয়েছে, স্যার। উল্টোদিকেই বাথরুম তো। আবার পেইন্ট করে দেব, ভাববেন না।'
    'প্লাস্টিক পেইন্টেও ড্যাম্প ধরল?'
    'কিছু গুপী কেস করেছে সিওর রঙের লোকগুলো। ঠিক করে কোটিংটা করেনি। সবদিকে কি আর একা নজর রাখা যায়, বলুন?'
    দেওয়ালে ফের রঙের প্রলেপ পড়ল দিনদশেকের মধ্যে। মুছে গেল মানুষের মুখ-হাত-পা-বুক-পেট।
    এবং আবার দেখা দিল তিনদিনের মধ্যে। এবারে উল্টোদিকের দেয়ালেও।
    শাশ্বতী সোজা হুকুম দিল, 'ফ্ল্যাট ছাড়ো। এই বাড়ি হন্টেড।'
    সুদীপ বলল, 'আরে, দাঁড়াও। ছটফট কোরো না। দেওয়ালে দাগ অনেক কারণেই লাগতে পারে। কিছু কিছু দাগ মানুষের মুখের মত দেখাতেই পারে কখনো-কখনো। কোইনসিডেন্স।'
    'কিছু কিছু দাগ? দু'দিকের দেওয়াল জুড়ে মোট বত্রিশটা দাগ পড়েছে, সুদীপ। একটিও দাগ দেখাতে পারবে তুমি যেটা মানুষের শরীরের মত নয়?'
    কিছুক্ষণ চুপ করে রইল সুদীপ। তারপর বলল, 'ভূত বলে কিছু হয় না, শাশ্বতী। ওটা কুসংস্কার।'
    'হাউ ড্যু ইউ নো? তুমি কখনো দেখোনি বলেই কুসংস্কার?'
    'না, তা নয়। ভূতের অস্তিত্ব যুক্তিতে টেকে না। ফিজিক্যাল নিয়মকে অস্বীকার করতে হয় ভূত মানতে গেলে।'
    'দেন এক্সপ্লেইন দিজ মার্কস টু মি। তোমার ফিজিক্যাল নিয়ম দিয়ে।'
    ফের চুপ করে গেল সুদীপ।
    পরের দিন ফোনে কৃশানু খিকখিক করে হেসে বলল, 'না না, কবর-টবর ওই ফ্ল্যাটের নিচে কোনোকালেই ছিল না। কবর ওখানে কোত্থেকে আসবে? শুধু ওই বস্তি, মানে স্লামটার কিছুটা ফ্ল্যাটের এরিয়ার মধ্যে পড়ছিল। তাই সেখানকার লোকজনদের অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটা ছোট পুকুরমতো ছিল। ডোবা টাইপের। কাপড়-টাপড় কাচার। সেটা বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডোন্ট ওরি, স্যার। ওই ফ্ল্যাটে কোনো গন্ডগোল নেই। বাস্তুটাস্তু সব মেনে তৈরি ওটা। আপনারা আনন্দে থাকুন।'
    সেদিনই রাতে শাশ্বতী সুদীপকে ধাক্কা মেরে জোর করে তুলল ঘুম থেকে, 'অ্যাই, ওঠো, ওঠো!'
    সুদীপ ঘুমজড়ানো চোখে তাকাল, 'কী?'
    'দেখো!'
    সুদীপ উঠে বসল। তাকাল।
    সামনের দেওয়ালটায় তুলকালাম কান্ড চলছে। কাতারে-কাতারে লোক, লোক ঠিক নয়, লোকের ছায়া হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছে, দৌড়োচ্ছে, আগুনে পুড়ছে, আর্তনাদ করছে, মরছে, জন্মাচ্ছে। ঠিক যেন চলমান সিল্যুয়েট ছবি। বায়োস্কোপের মতো।
    হাঁ করে তাকিয়ে থাকল সুদীপ আর শাশ্বতী। ভয় পেতেও বোধহয় ভুলে গেছে ওরা।
    দেখতে দেখতে ছবিতে এসে গেল মাছ, কাঁকড়া, শামুক, হাঁস, গুগলি, গাছ, অ্যামিবা, ভলভক্স, স্পাইরোগাইরা। সব হাঁটছে, নড়ছে, লাফাচ্ছে।
    হঠাৎই বিরাট একটা ডিজায়ারে করে কালো স্যুট পরা একটা লোক এসে মেশিনগান থেকে একঝাঁক গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিল ওদের। ভেঙেচুরে টুকরো-টুকরো হয়ে ঝরে পড়ল ওরা। তারপরে আবার নড়েচড়ে উঠল টুকরোগুলো। জোড়া লেগে গেল সবক'টা টুকরো। ওরা ফের জন্মাচ্ছে। কাতারে কাতারে। লাখে লাখে। মানুষ, মাছ, কাঁকড়া, শামুক, হাঁস, গুগলি, গাছ, অ্যামিবা, ভলভক্স, স্পাইরোগাইরা। চারিদিকে ভরে যাচ্ছে। ছড়িয়ে যাচ্ছে…
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ মে ২০১৬ | ৭৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | 190.255.250.158 (*) | ১৫ মে ২০১৬ ০৩:২১54040
  • আবার সেই একই প্লট, একই রকম লেখা। ভালো লাগে নি।
  • sosen | 177.96.49.239 (*) | ১৫ মে ২০১৬ ০৯:০০54041
  • আমিও একটা এই প্লটে লিখবো। আচ্ছা, সবাই এক প্লটে একটা করে গল্প লিখলে কেমন হয়?
  • অভিষেক ভট্টাচার্য্য | 57.15.136.27 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৬:১৬54043
  • এটা মন্দ নয়
  • অভিষেক ভট্টাচার্য্য | 57.15.136.27 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৬:১৬54042
  • এটা মন্দ নয়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন