এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Robu | 11.39.56.175 (*) | ১৭ মে ২০১৬ ০৩:২৯54084
  • খুবই জালি লেখা বললে কি লেখক রাগ করবেন?
  • Robu | 11.39.56.175 (*) | ১৭ মে ২০১৬ ০৩:৩০54085
  • আচ্ছা, এলিটিজমকে এলিটিজম বলার মধ্যে কি এলিটিজম লুকিয়ে আছে?
  • avi | 113.24.86.141 (*) | ১৭ মে ২০১৬ ০৬:৪২54083
  • বছর দশেক আগে এরকম চন্দ্রিলহস্তী লেখার প্রয়াস অনেক বেশি দেখা যেত। অবিশ্যি চন্দ্রিল এরম সার্বিক সিনিক অ্যাপ্রোচে খেলতেন না।
  • apps | 11.39.36.244 (*) | ১৭ মে ২০১৬ ০৮:১৫54086
  • এইটা কী?
  • Ekak | 53.224.129.55 (*) | ১৭ মে ২০১৬ ১০:১০54087
  • কতগুলো বাঙালি বাড়িতে সতী সত্যি এত রবীন্দ্রচর্চা হয় ?? এই দেয়ালে রবীন্দ্রনাথের ছবি ইত্যাদি আইকন ফ্রেম গুলো স্রেফ সিনেমাওয়ালা দের বানানো । আমি তো বাপু খুব কম লোকের বাড়িতে দেখেছি এসব । আমাদের বাড়িতেই কোনরকম চর্চা ছিলনা । একখান বাঁধাই করা সঞ্চয়িতা বাদ্দিলে । ছতব্যালায় রবিবাবুর গান অবধি শুনিনি । শচীন দেব শুনেছি , অল্পস্বল্প ঠুংরী ইত্যাদি । নো রবিবাবু । দেয়ালে রবীন্দ্রনাথ ভাবাই যায় না । ইস্কুল থেকে এনে দেয়ালে বিবাকানন্দর ছবি আটকালে অবধি বাবা গম্ভীর গলায় বলতেন : এটা বাড়ি ,চায়ের দোকান নয় । এই টিপিকাল "রবীন্দ্রনাথ বাঙালির মননে আছেন " ইত্যাদি হ্যাজ গুলো সিম্পলি একদল আঁতেল আর মিডিয়ার রুটি রুজি । ওরাই একবার মাথায় তোলে আরেকবার লাথি মারে । যেভাবে বাঙালির রবীন্দ্রনাথ হিসেবে প্রজেক্ট করা হয় ওরকম আদৌ না । কজন পড়ে ওসব ? দুচারটে লাইন কানে শুনে মনে রাখে , পরের লাইন জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না । উত্কর্ষের মাপকাঠি না হাতির বীচি ।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০১:০৮54122
  • না হে, হৃদয়জুড়ে আছে। অন্য জিনিসপত্তরের সঙ্গে উনিও আছেন। একটা কবিতা যে কেউ বলতে পারবে। নির্ভুল না হতে পারে। তাতে কী? কবিতা মুখস্থ করবার মাথার দিব্যিই বা কে দিলো? শেক্সপীয়ার ভালোবাসলে গড়গড়িয়ে কিং লিয়ার বলে যেতে হবে? আমরা কি সৌমিত্র নাকি? রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসলে টিভি সিরিয়ালের নেশা থাকা চলবে না এ ই বা কেমন যুক্তি?
  • T | 190.255.250.14 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০১:১২54088
  • একককে এন্তার ক দিয়ে গেলাম।
    এ বাদে দাদুর কবিতা গদ্য পড়েছি খুব কম। খুবই কম।
    এ লেখাটা অতি ধু্ন্চুল হয়েচে।
  • Ekak | 53.224.129.40 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০১:৩৩54123
  • হৃদয় না মানিব্যাগ মশাই যেখানে একটা লেখাও ধরেনা অথচ "জুড়ে " থাকেন !

    আর একটাও কবিতা বা লেখার অংশ বলতে আমার পরিচিত বহু লোক পারবেনা । আমার পরিবারেও পারবেনা । বোন পারবেনা । দুই মামা পারবেন না । এগুলো আমি অল্পবিস্তর খুঁচিয়ে দেখেছি । এবং এইসব দেখা থেকেই আমার ধারণা হয়েছে যে বাঙালির কমন হৃদয় বলে অমন কিস্যু নাই ।সবচে বড় কথা এরা যে পারবেনা তাই নয় , এরকম প্রসন্গ্য উত্থাপন করলে বড় বড় চোখ করে তাকায় যে কী ব্যাপার ...আমার কী কোনো প্রবলেম হয়েছে ? আমাদের পরিবারে একজন সম্পাদক ও লেখক আছেন । মোটামুটি নাম । তো তাঁকে সবাই খুবই ভালবাসে ইত্যাদি । তো একদিন মামা তাঁর সম্বন্ধে আমাকে বলছিলেন অমুকদা লিখে প্রাইজ পেয়েছে । তো আমি খোঁচাবার জন্যে বোল্লুম , ওর লেখা কোনদিন পড়ে দেখেছ ? মামা অম্লানবদনে বললেন ..ও একটা সাফল্য পেয়েছে সেইটা আমার আনন্দ । এইযে আমি মাইক্রোসার্জারী তে পেপার পাবলিশ করলুম ও কী পড়ে দেখে আনন্দ পাবে নাকি ? যার যা প্রফেশন । এইসব হচ্ছে লোকজন :):) রবীন্দ্রনাথ আত্মীয় নন এবং খামোখা কবিতা পড়তে যাব কেন আমি কী কবি বলে কাটিয়ে দেবে ।
  • pi | 192.66.28.54 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০১:৩৩54089
  • আমি কিন্তু দেখেছি। স্কুলেই। সে মেয়ে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া একটি কথা বলতো না। শান্তিনিকেতন ছাড়া তারা কোত্থাও বেড়াতেও যেত ন। রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া গাইতো না। শুনতো না। রচনাবলী ছাড়া নেহাত দরকার না পড়লে কিছু পড়তো না ইঃ ইঃ। আর সমালোচনা অতি অবশ্য নৈব নৈব চ।

    আর দাদুকে নিয়ে অর্কুটে কিছু কম্যুনিটি ছিল। সেখানে গেলে টের পেতেন। আমি কিছু মণিমুতো সংগ্রহ করে রেখেছিলুম এসকময়, খুঁজতে হবে।

    আর সার্ধশতবর্ষে যে কতগুলো কম্যুনিটি খুলেছিল আর সেখানে কী আলোচনা হত, সেগুলো দেখলে নির্মল আনন্দ পেতেন।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০১:৪৪54124
  • ঋতুপর্ণকেও দোষ দেবার কিছু দেখিনা। হ্যাঁ তিনি সত্যজিতের মতো সিনেমা বানাতে পারেন নি, নিজের মত বানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসও বানিয়েছেন, চোখের বালি, নৌকাডুবি। ক্ষতি কোথায়? শেক্সপীয়ারের নাটক আজও হয়ে চলেছে, সময়ের সঙ্গে নাটকগুলোর নির্দেশনা অভিনয় পাল্টাচ্ছে। একটা গোটা শেক্সপীয়ার অ্যান্ড কোং রয়েছে। লণ্ডনের গ্লোব থিয়েটারেতো বটেই, স্ট্যাডফোর্ড-আপন-এভন, যেটা বলা চলে শেক্সপীয়র ডিস্ট্রিক্ট সেখানেও সবকটা থিয়েটারেই নিরলস কাজ চলছে নাটকগুলো নিয়ে। ভাঙাগড়ার কাজ। একই নাটকের অসংখ্য ভার্শান। কোনোটা দর্শক পছন্দ করছে কোনোটা করছে না। সত্যজিৎ ও রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস সিনেমা করেছেন, পূর্ণেন্দু পত্রীও করেছেন মালঞ্চ। আরো অনেকে করেছেন অন্য বই। পূর্ণেন্দু পত্রীর সিনেমায় বরং সত্যজিতের স্টাইল/প্রভাব চোখে পড়ে (স্ত্রীর পত্র/ নষ্ট নীড়, চারুলতা)। আমিতো মনে করি এখন যেহেতু বাধানিষেধ উঠে গেছে পরিচালকেরা নিজেদের মতো করে বানান ছবি। দর্শক নিজেই ঠিক করে নেবে কোন রাখবে কোনটা ফেলবে। রক্ষণশীলতার কোনো মানে হয় না।

    রবীন্দ্রসংগীতের ব্যাপারেও মনে হয়, উনিই বাঙালী মেয়েদের গান/নাচ এসব করতে উৎসাহিত করেছেন। কটা ভদ্রপরিবারের মেয়ে তখনকারদিনে গান গাইত? নাচ তো আরো বাজে জিনিস ছিল। বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত তিনি।
  • avi | 113.24.86.141 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০১:৫১54126
  • ঋতুপর্ণকে আবার কে দোষ দিল! কেউ যদি বলে আমি ঋতুপর্ণর মধ্য দিয়ে যা রবীন্দ্রনাথ জেনেছি, তাতেই আমার রবীন্দ্রনাথ জানা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, তাহলে তার ধারণাকে প্রশ্ন করা যায়, এই আর কি।
  • dc | 132.174.177.35 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০১:৫১54125
  • রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে প্যানপ্যনানি আমারও বিচ্ছিরি লাগে। ছোটবেলার থেকে এই এক রবীন্দ্রগীতি আর রবীন্দ্ররচনা শুন্তে শুন্তে বোর হয়ে গেলাম ঃ-( সেদিন সিঙ্গুর নিয়ে আলোচনার সময়েও কল্লোলবাবু লিখলেন বাঙালি প্রতিবাদী জাতি কারন বাঙালির রক্তে রোবিন্দোনাথ ইত্যাদি। কি কেলো রে বাবা!
  • Ekak | 53.224.129.40 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০২:১৪54127
  • আগে যেটা বোঝা প্রয়োজন পুরনো আমলের চিন্তক দের তা হলো আর্ট কে র ফর্মে এপ্রিশিএত করার লোক দিনদিন কমে আসছে । গল্প-কবিতা ইত্যাদির পাঠক সামান্যের চেও সামান্য । এটা সিনেমা শিল্পের উদ্ভবের সময় থেকে শুরু হয়েছে এবং এখন পুরোদমে । সিনেমা একটা কমপ্লেক্স ফর্ম । এখান থেকে ওখান থেকে নিয়ে সিনথেসিস করে তৈরী । এখন সিনেমা দর্শক জন্মাতে পারে । কবিতা পাঠক না । র- ফর্মে কেও আর এপ্রিশিএত করছেনা । কাজেই কিছুলোক গদ্য-পদ্য পড়ে কাজেই তাদের কল্চর সবার কল্চর এরকম মোটেই না । তার বাইরেও বহু লোক যথেষ্ট কল্চর্দ এবং তারা সেলুলয়েড মিডিয়ার কমপ্লেক্স বাস্কেট হিসেবে আর্ট কে এপ্রিশিএত করে । আলাদা করে কোনকিছু পড়ে দেখতে এদের বয়ে গ্যাছে ।
  • avi | 113.24.86.141 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৫:৩১54090
  • আমি একবার কলেজ জীবনে এরকম এক মেয়ের সান্নিধ্যে এসেছিলাম। অতি চাপের। কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথ, হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, মননে রবীন্দ্রনাথ। মুশকিল হল শুধু রবীন্দ্রনাথের কিছু গান কবিতা আর নাটক। সমাজ, স্বদেশ, সাহিত্য, গোরা, ঘরে বাইরে ইত্যাদি নৈব নৈব চ। আবার সেসবের প্রসঙ্গ তুললেই কোথায় গান শিখেছে, তিনি শান্তিদেব না কণিকা ঘরানা এসব বলে আকুল হয়ে যেত। রচনাবলী পুরোটা পড়লে বোধ হয় অনেকটা র‍্যাশনাল হয়। আরেক ছানা আছে, সে রবীন্দ্রনাথ বলতে অজ্ঞান, কিন্তু তার রবীন্দ্রনাথ জানার একমাত্র মাধ্যম বন্যাদি আর ঋতুপর্ণ। এর বাইরে কিছুতেই যাবে না, আর কিছু পড়বেও না। এরা বিরল নয়, কিন্তু প্রচুর-ও নয় সম্ভবত।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৬:০০54091
  • আমাদের পাড়ায় আমার মামাবাড়ীসহ প্রয় সবকটা বাড়ীতেই একটা করে রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ আর নেতাজীর ছবি দেওয়ালে ঝোলানো থাকতই থাকত। রামকেষ্ট - সারদা আবার সাধারণতঃ কুলুঙ্গি বা বাইরে বেরোবার দরজার ওপরে।

    আর আমাদের ইরাদিদিমণি ছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ রবীঈন্দ্রনাআথ' বাপরে!

    তবে এই লেখাটা অতি ইসে।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৬:৩৫54092
  • আমাদের বাড়িতে বৈঠকখানার ঘরে আলখাল্লা পরা দাঁড়ানো রবীন্দ্রনাথের বাঁধানো ফটো, হাতলওলা চেয়ারে বসা বিদ্যাসাগরের ফটো, মাথায় তবলার বিড়ে পরা বঙ্কিমচন্দ্রের ফটো, এগুলো সব বড়ো সাইজের প্রায় A3 মত দেয়ালে টাঙানো ছিল। ও হ্যাঁ, শরৎচন্দ্রও ছিল মনে হয়। আরেকটু ছোট সাইজের ঐরকম কাচ দেওয়া ও ফ্রেমে বাঁধানো মার্কস, লেনিন ও মাও এর ফটোও ছিল। এগুলো সব ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। একটা ছোট সাইজের কালার ফটো ছিল গাগারিনের। দেবতাদের কোনো ফটো ছিল না। তবে কিছু কালীঘাটের মাটির পট ছিল ঘর সাজানোর জন্য। পুজো কোনোদিনো হয় নি। আশেপাশে অনেক বাড়িতে "সন্ধে" দেবার চল ছিল, কিন্তু আমাদের বাড়িতে ওসব কোনোদিনো হয় নি। খুব মিস করেছি ওসব।
  • d | 24.96.232.231 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৬:৪০54093
  • আরে হ্যাঁ বিদ্যাসাগর আর শরৎচন্দ্র আমার মামাবাড়ীতেও ছিল।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৬:৫৩54094
  • আরেকজন ভদ্রলোকের ফটোও ছিল, খুব সম্ভবত আচার্য জগদীশ চন্দ্র। ফটোয় ভদ্রলোকের চোখে রিমলেস চশমা এবং একটা দিকে কাচ থেকে সুতো ঝুলছে। চশমায় কোনো ডাঁটি নেই। ঐরকম চশমা শরৎচন্দ্রেরো ছিল কিনা মনে করতে পারছি না। চশমাটা জগদীশচন্দ্রের নাকের ওপর থেকে পড়ে যাচ্ছে না কেন, এই বৈজ্ঞানিক প্রশ্ন আমাকে উদ্বেল করে তোলে। কিছুতেই ভুলিয়ে রাখা যায় না। একদিন ঠাকুমা দেরাজ থেকে রুপোর চ্যাপ্টা চশমার বাক্স খুলে ঠাকুরদার চশমা বের করে আমাকে দেখায়। সেই চশমাও ওরকম। নাকের কাছটায় হালকা ক্লিপের মত। আমাকে ঠাকুরদার চশমা পরিয়ে কোলে তুলে আয়নায় দেখানো হয়। খুব ঢিলঢিলে ক্লিপ ছিলো সেটা। এইভাবেই ডাঁটিহীন চশমার রহস্য সমাধান হয়।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৭:০৩54095
  • পাগড়ি ও আলখাল্লা পরা বিবেকানন্দর ফটো বড়ো জেঠুর বাড়িতে দেখেছি। ঐ বাড়ীতে ঠাকুরঘরে রামকৃষ্ঞ ও শ্রীমার ডুয়েট ফটো ছিল। ছোটো সাইজ। পুজো হতো মনে হয়।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৭:০৫54096
  • গান্ধিজী বা নেতাজির ফটো অন্য বাড়িতে দেখতাম।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৭:৪২54097
  • আমি অনেক বাড়িতে নিয়ম করে রবি ঠাকুর, নেতাজী, বিবকানন্দ, কখনো কখনো এঁদের সাথে গান্ধিজী, রামকৃশ্ন ইত্যাদিদের ছবিও দেখেছি। তাতে কিছুই প্রমাণ হয়্না। কেউ যদি সত্যিই রবি ঠাকুরকে পছন্দ করেন ও তাঁর লেখা পড়েন তার বিরুদ্ধে লেখকের কোন কথা নেই। উনার বক্তব্য হলো রবি ঠাকুর না পড়ে বা শুধু সিনেমা প্যারাডিসো দেখে আলোচোনা করলে উনার আপত্তি আছে। উনি একটা রুলার নিয়ে কফি হাউসে ঘুরে বেড়াবেন, আর কেউ যদি সিলেবাসের বাইরে আলোচোনা করতে যায় তাকে আলোচোনা বন্ধ করতে বলবেন। এ আরেক প্রকৃতির কালচার কাকু। বানান ভুল করলে মাফ করবেন ভাই।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৮:০৫54098
  • ঘোলাটে দৃষ্টির বিদ্রোহী কবি নজরুলের ফটো, অবিন্যস্ত চুল। প্রায়ই আইনষ্টাইনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতাম।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৮:৩৯54099
  • মনে যখন পড়ছে এখানেই লিখে ফেলি। নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে যাবে বরাবরের জন্য। আর মাত্র কদিন বাকি। বাবা আমাকে নিয়ে রওনা হবে জীবন্ত কবিকে দেখাতে নিয়ে যাবে বলে টালাপার্কের বাড়িতে যেখানে নজরুল থাকতেন। ফ্রক পরে চুল আঁচড়ে রেডি হয়েও যেতে পারলাম না। মা আগলে দাঁড়াল। ঐটুকু বাচ্চাকে পাগোল দেখাতে নিয়ে যেতে পারবে না!
    ব্যস। দেখা হল না।
    এই প্রসঙ্গে আরেকটা। সেটা আরো আগে। তখন কোলে বেশি চড়তাম কিন্তু অনেক জায়গায় গেছি বাবার সঙ্গে। এক বৃষ্টির দুপুরে বৃষ্টি থেমে সবে রোদ উঠেছে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে বাবার সঙ্গে পাড়ার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ভেতরে একটা বইয়ে ঘেরা বেঞ্চিপাতা ঘরে গিয়ে বসলাম। অনেক লোক এলো, সবাই বসবার পরে একজন যুবক বক্তৃতা দিলো। আসলে দুজন যুবক ছিল। কথা বলল একজন। অন্যজন বেশ ফর্সা। নীল শার্ট পরে ছিল সে। যে ছেলেটা কথা বলছিল, সে অনেক ঝড় জল হাঙর সমুদ্রের গল্প বলছিল। বাবা আমাকে বলে দিল ঐ ছেলে দুটো পালতোলা নৌকো করে সমুদ্রে গেছল, আন্দামানে গেছল।
    বক্তৃতা হয়ে গেলে আমি লম্বা ছেলেটার কাছে যেতে চাইলাম। গেলাম ও। বাবা ওর সঙ্গে কীসব কথা বলছিল, তারপর ছেলেটা একটা কাগজে কীসব লিখে আমার হাতে দিল।
    অনেক বছর পরে, ক্নাস এইটে পড়ি তখন, ঐ ছেলেদুটোর গল্প আমাদের পড়তে হয়েছিল বাংলা ক্লাসে। বাড়ীতে খুঁজে খুঁজে সেই কাগজটা পেয়ে গেলাম। অল্প হলদেটে হয়ে গেছে।
    তাতে প্রথমেই নির্ভুল বানানে আমার নাম ধরে সম্বোধন। তারপরে একটা কমা। পরের কথাগুলো এইরকম।
    "তোমাকে কি লিখি বলোতো? আমি কনহৌজি আংরের একজন। আমার নাম পিনাকী।"
  • ranjan roy | 132.173.98.116 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৮:৫০54100
  • স্বাধীনতা পরবর্তী কোলকাতায় বাঙালী মধ্যবিত্তদের বাড়িতে অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের একটি করে ( একাধিক হওয়াও সম্ভব) ছবি থাকত। বাড়িতে অন্ততঃ সঞ্চয়িতা /চয়নিকা/গীতবিতানের অন্ততঃ একটি থাকতই।
    বাঙালী আকাশবাণী ক স্টেশনে সকালে পৌনে আটটায় ও দুপুরে (এবংঅন্যান্য সময়ে )রবীন্দ্রসংগীত শুনত। অন্ততঃ সুচিত্রা/কণিকা/ দেবব্রত/হেমন্ত/ চিন্ময়/অশোকতরু/সাগর সেন/ঋতু গুহ/পূর্বা দাম ইঃ।
    স্কুলে অন্ততঃ প্রাইমারি থেকেই আবৃত্তি করতে ( ভগবান, তুমি যুগে যুগে দূত ইঃ) উৎসাহ দেওয়া হত। এ নিয়ে আশাপূর্ণা দেবীর গল্পও আছে।
    তবে শান্তিনিকেতন ছিল সিনেমার মত স্বপ্নের জায়গা। সবাই বিশ্বাস করত ওখানে 'এই গরু সরো না!" ঢঙে কথা বলা হয়।
    পঞ্চাশ ষাট বছরে সব বদলে গেছে। কিন্তু তখন?

    গত বছর ভিলাইয়ে একটি তথাকথিত রবীন্দ্রসংগীত ইত্যাদির সংস্থা দেখলাম। সেখানে একটি দিল্লি থেকে কত্থক শেখা যুবক বাবর্চি ফিলিমের নৃত্যশিক্ষকের পোশাকে এসে বলল- রবিঠাকুরের আত্মা আমাদের এই সংস্থার বাড়িটির আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। তিনি আমাদের মধ্যে আছেন। তাই আমাদের সবাই সাহায্য করে ভিলাই স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের এই বাড়ি ও জমি দিয়েছেন!
    পরে দেখলাম ওদের গানের স্তর অত্যন্ত প্রিমিটিভ ও বেসুরো।ঃ))
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ০৯:০০54101
  • কোলকাতা ক এ সংগীত শিক্ষার আসর বসত। সেখানে রবীন্দ্রসংগীত শেখানো হত। প্রথম দিকে শেখাতেন পঙ্কজ মল্লিক।

    আমাদের বাড়ীতেই দু সেট রবীন্দ্র রচনাবলী ছিল। জন্ম শতবার্ষিকী সংস্করণ। একসেট মায়ের, আরেক সেট বাবার। হালকা ময়লা গোলাপী কাপড়ে বাঁধাই। তার ওপরে হালকা হলুদ কাগজের মলাট, সেই মলাটে চওড়া ব্রাউন বেল্টের মত আরেকটা কাগজের ফিতে। মলাটের ওপরে রবিঠাকুরের সেই বিখ্যাত সিগনেচার। ভেতরের পাতাগুলো ফিনফনে পাতলা। খুব সম্ভবত ১৪ কি ১৫নং খণ্ডে ছিল অখণ্ড গীতবিতান। তার সূচীপত্রের নাম "প্রথম ছত্রের বর্ণানুক্রমিক সূচী"।
  • avi | 113.24.86.141 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ১০:০৯54102
  • আরে এই সেটটা আম্মো ছোটবেলা থেকে বাড়িতে দেখে আসছি। ফিনফিনে পাতা হওয়ার জন্য অতিরিক্ত যত্ন নিয়ে পড়তে হত। বাকি বইয়ের সাথে যেভাবে মিশতাম, এদের ওপর সেরকম হাতুড়িমার্কা ব্যবহার করলে মা রাগ করতেন। তবে পরের দিকে আমি নিজেই বইয়ের ঘরে থাকতে শুরু করি, তখন আর নজরদারি চলত না।
  • একক | 53.224.129.55 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ১০:১৩54103
  • আমি যা বুঝলুম আমাদের পরিবার এবং উত্তর কলকাতায় আমার বন্ধুদের পরিবাররা এই রাবীন্দ্রিক পরিবেশ থেকে বাইরে ছিলেন ।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ১০:২৫54104
  • একক বাচ্চা ছেলে। আজকাল ওসব কমে গেছে। উত্তর দক্ষিণ মধ্য সবখানেই তুমুল রাবীন্দ্রিক হাওয়া বইত। তবে আজকাল বয় না। আমার মেয়ে পর্যন্ত ইস্কুলে রাবীন্দ্রিক অত্যাচার সহ্য করেছে। ওদের ইস্কুলের একটা ছেলে গীতবিতানটা জানলা দিয়ে ছুঁড়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। দিনের পর দিন হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাচতে নাচতে সে বিদ্রোহ করে ওঠে।
  • Ekak | 53.224.129.55 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ১০:৩০54105
  • আজকাল আবার কি ? একক আজকালের জন্ম দেখেছে চার বছর বয়েসে ! ওসব রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ করে হাউরে মর্ত দখ্নো রা আর মফস্বলী রা ।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৮ মে ২০১৬ ১০:৩৪54106
  • তাহলে তোমরা হলে গিয়ে একসেপশান। রবীন্দ্রনাথের ওপর রাগ করবার ফেশিয়ান ৩০/৪০ বছর আগে ছিল না। ২০ বছর আগেও খুউব কম। কাজেই মিসম্যাচ হচ্ছে সময়ে বয়সে। একমাত্র যদিনা একসেপশান হয়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন