এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জে এন ইউ নিয়ে এখানে ওখানে যা লিখেছিলাম

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ১০১৯১ বার পঠিত
  • এই জে এন ইউ কাণ্ডের সময় ফেসবুকে এখানে ওখানে কিছু লেখা লিখেছিলাম। পাইদি বলল সব একজায়গায় করে তুলে রাখতে। তো রইল।
    **********************************************

    সত্যজিৎ রায় মারা যাবার পর পশ্চিমবংগ সরকার থেকে ওনার ওপর একটা বিশেষ সংখ্যা করা হয়েছিল। সেখানে একটা লেখায় উৎপল দত্ত একটা ইন্টারেস্টিং গল্প শুনিয়েছিলেন। যখন হীরক রাজার দেশে শুটিং হচ্ছে, উৎপল দত্ত-র প্রথম দিনের শুটিং-এ কয়েকটা ডায়ালগ থ্রো করার পর মাণিকবাবু ওনার কানে কানে বললেন “উচ্চারণে একটু গ্রাম্যতা আর অশিক্ষার ছাপ আনো। ‘করেছিল’ না বলে বলো ‘কইরেছিল’”।
    উৎপল জিজ্ঞাসু চোখে তাঁর দিকে তাকাতে দীর্ঘদেহী মানুষটি একটু ঝুঁকে পড়ে বললেন “আসলে এই জোতদার ধরণের লোক বেশ ক্রুড আর অশিক্ষিত হয়। নাহলে অন্য লোকেদের অপ্রেস করবার চিন্তা এদের মাথায় আসত না। তাই এই ধরণের লোককে ডিমীন করে দাও। যাতে ভয় পাবার বদলে লোকে তোমায় দেখে হাসাহাসি করে”।
    উৎপল তারপর লিখছেন “আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। মনে পড়ছিল চেয়ারম্যান মাও-এর কাগুজে বাঘের তত্ব। শত্রুকে সবসময় হাস্যকর করে খড়ের সৈনিকের স্ট্যান্ডার্ডে নামিয়ে আনতে হবে। এই তত্বের এরকম প্রয়োগ যে হতে পারে আমি ভাবতে পারিনি এর আগে”।
    এই মুহূর্তে ভারতে যে ব্যাটল অফ আইডিয়াজ চলছে সেখানে কাগুজে বাঘেদের লাফালাফি দেখে হীরক রাজের কথাই মনে পড়ছিল। এই ব্যাটলের একদিকে মেধাবী ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবিরা। অন্যদিকে রাইটিস্টরা যাদের উপন্যাস পড়ার দৌড় চেতন ভগত এবং বিজ্ঞানচর্চার দৌড় গণেশের শুঁড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কারীকুরী আবিষ্কারেই জিভ বার করে হ্যা হ্যা হাঁপাতে থাকে। একদিকে চমস্কি, পামুক, প্রভাত পটনায়েকরা, অন্যদিকে সাদ্ধ্বী ঋতাম্ভরা, বাবা রামদেব এবং যোগী আদিত্যনাথেরা। এরকম অ্যাবসার্ড ব্যাটল অফ আইডিয়াজ যখন স্ট্রিট ফাইটিং-এর পর্যায়ে নেমে আসে এবং উজ্জ্বল ছেলেমেয়েরা ব্যারিকেড রক্ষার্থে ছুটে যায়, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কাগুজে বাঘেদের রিঅ্যাকশন দেখার মত হয়। ‘আমার ট্যাক্সের টাকায় কেন ইউনিভার্সিটিতে দেশদ্রোহী স্লোগান দেওয়া হবে’, ‘জেএনইউ তে পর্ন ফিল্ম তোলা হয়’, ‘কোনো আইআইটি ছাত্র কেন আর্মীতে যোগদান করে না’, ‘ইউনিভার্সিটির ছেলেরা মহিষাসুরের পুজো করে তাই তাদের বিরুদ্ধে সিডিশন অ্যাক্ট আনা উচিত’ এরকম অসংখ্য পেটফাটা কমেডির ডায়লগ বেরিয়ে আসতে থাকে। অশিক্ষিত, ক্রুড এবং অসংস্কৃত রাইটিস্টদের হাতে দেশের সরকার থাকলে ভয়ের পাশাপাশি এরকম হাসির জিনিসপত্র-ও আসার সম্ভাবনা আছে আজ বুঝছি। দেশপ্রেমকে ইন্সটিটিউশনালাইজ করতে গেলে যে মিনিমাম শিক্ষা এবং রুচি লাগে সেটা এদের নেই। তাই দেশজোড়া ইন্টেলিজেনশিয়ার ডিসকোর্সে এদের অবস্থান গ্রাম্য ভাঁড় হয়েই থেকে গেল।
    আজকের এই ২০১৬ সালে দেশজুড়ে যে হীরক রাজার সিনেমা অভিনীত হচ্ছে, সেখানে উৎপল দত্তদের তাই আর আলাদা করে নিজ-অভিনীত চরিত্রকে ভাঁড় সাজাতে হয় না। হীরক রাজ বাস্তব জীবনে যা যা বলছেন হুবহু সেইগুলো রিপীট করে গেলেই দর্শকদের পেটে খিল ধরে যায়।

    *********************************************************************************************

    ১৯৬৮ সালে প্যারিসে ছাত্র-বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে জাঁ পল সাঁর্ত্র অ্যারেস্ট হয়েছিলেন। সেই বিক্ষোভের একটা বড় স্লোগান ছিল 'রাষ্ট্র ধ্বংস হোক, ক্ষমতা ধ্বংস হোক'। ক্ষমতায় তখন সার্ল দ্যু গলের দক্ষিণপন্থী সরকার। সাঁর্ত্র সেই সরকার এবং রাষ্ট্রকে ছুঁড়ে ফেলার ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। পার্লামেন্টে তুমুল ক্ষোভ-বিক্ষোভ হহয় সাঁর্ত্র-র এই রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থানের জন্য এবং দাবী ওঠে তাঁকে জেলে পোরার। তার উত্তরে দ্যু গল সাঁর্ত্রকে সসম্মানে মুক্তি দিয়ে এই উক্তি করেন "রাষ্ট্র কখনো তার ভলতেয়ারকে জেলে পোরে না"।
    আমাদের দেশের দক্ষিণপন্থীদের সমস্যা হোল সকলেই বামন। তাদের মধ্যে দ্যু গল উচ্চতার কোনো দানব নেই। এত মিডিওকার, এত নিম্নমেধার মানুষজন থাকলে যা হয়, রাইটিস্টদের কোনও হেজিমনি তৈরী হয়নি। তাই আমাদের দক্ষিণপন্থী শিল্পীদের দৌড় শংকর বা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়তেই শেষ হয়ে যায়। বামপন্থী উৎপল দত্ত বা সলীল চৌধুরীর দানবিক ক্ষমতার পাশে তাঁদের জাস্ট ধুলোবালির মতন উড়িয়ে দেওয়া যায়। বাংলার বাইরেও এটা সত্যি। আর এর-ই প্রতিফলন দেখা যায় রাষ্ট্র শাসনেও। মেধাবী ছেলেপুলের দল দেশ জুড়ে ভারত রাষ্ট্রের পতন চাইছে তার উত্তরে দক্ষিণপন্থীরা কোনো ম্যাচিওরড পলেমিক নামাতে পারে না, উলটে 'এদের মেরে ফেলো, জেলে পোরো" অথবা মেয়ে হলে "এ বেশ্যা, এ খানকি মাগি" এসবের বাইরে আর কোনো স্ট্যান্ড-ই নামাতে পারে না। বাঁদরের মস্তিষ্কে পাঁচ টেরাবাইটের হার্ড ডিস্ক পুরলে তা আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক হয়ে যায় না এটা এবার দক্ষিণীদের বোঝার সময় এসেছে।
    রাষ্ট্র যেদিন থেকে তার ভলতেয়ারদের জেলে পুরবে সেদিন আর আলাদা করে স্লোগান দেবার দরকার পড়বে না, এমনিতেই পতন ঘটবে।

    ***************************************************************************************************

    অশোক মিত্র-র ক্যালকাটা ডায়রিজে পড়েছি, এবং সম্ভবত তাল বেতালেও লিখেছিলেন, যে সত্তর দশকে ইমার্জেন্সির সময় যখন সমস্ত সরকার ও রাষ্ট্রের সমালোচনা করা কাগজ ও ম্যাগাজিনগুলি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল, এবং সুব্রত মুখার্জী সদম্ভে রাইটার্সে বসে বলছিলেন ‘সব সেন্সাস করে দিলাম’ (দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুব কংগ্রেস জানত না যে কথাটা ‘সেন্সর’), সেইসময়েও বহুদিন সমর সেনের ‘ফ্রন্টিয়ার’ ম্যাগাজিনের গায়ে হাত পড়েনি। যদিও ‘ফ্রন্টিয়ার’ নিয়মিত আগুন ঝরানো সরকারবিরোধী লেখা লিখে যাচ্ছিল। তার কারণ সমর সেনের ওই অভিজাত সুললিত ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা সুব্রতবাবুর ছিল না। না বুঝলে আর কেমনভাবে সেন্সাস করবে !
    আজ যখন সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট বলছে যে নেগেটিভ নিউজ পোর্টাল বা ব্লগগুলোকে ট্র্যাক করবে, বারবার মনে হচ্ছে, কোনটা নেগেটিভ কোনটা পজিটিভ সেটা বোঝার মত ক্ষমতা এই দেশের রাইটিস্টদের আছে?যারা ফেকিংনিউজের লিংককে নিজেদের সপক্ষে সত্যি খবর বলে চালায় আর অ্যানার্কিস্টদের পতাকা দেখে বলে ‘আমায় কালো পতাকা দেখানো হয়েছে’ তাদের সত্যি কি শিশুর মস্তিষ্ক থেকে বিকাশ ঘটেছে?
    এবং অবধারিতভাবে সমস্ত জায়গাতেই দক্ষিণপন্থীরা এরকম-ই অশিক্ষিত ভাঁড়। প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে শোনা- কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শেষ বয়েসে, যখন মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন, সেই সময়ে একদিন সুভাষের বাড়িতে গিয়ে দেখেন তাঁকে ঘিরে মমতা, মদন এরকম আরো কেউ কেউ বসে আছেন। সুভাষের তখন খুব আর্থিক টানাটানি চলছিল। কথা হচ্ছে কেমনভাবে সুভাষদাকে হেল্প করা যায়। দুম করে মমতা বলে বসলেন “আচ্ছা সুভাষদা কয়েকটা উপন্যাস লিখেছেন না? যে কোনো একটা নিয়ে বাংলা সিরিয়াল বানালেই তো পার এপিসোড অনেক টাকা উঠে আসবে !”
    তো, এদের হাতে যদি সংস্কৃতির ভার যায়, বা ব্লগ কাগজ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের দায়ীত্ব পড়ে, তাহলে কি হবে সেটা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি কাশ্মীরের এক বিজেপি কর্মী শুনলাম ‘আ কান্ট্রি উইদাউট পোস্ট অফিস’ কবিতাটির বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর মামলা করেছে, কাশ্মীরে কোন জেলায় কতগুলো পোস্ট অফিস আছে সেই হিসেব দেখিয়ে। অন্তত শিক্ষা-সংস্কৃতির আংগীনায় দক্ষিণপন্থীরা সার্কাসের ক্লাউনের ভূমিকা দক্ষভাবে পালন করে চলেছে বলতেই হবে।

    ***************************************************************************************************
    আজ ভাষা দিবসে কয়েকজন দেশদ্রোহীর গল্প শুনুন।
    তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধ যখন তুংগে, সেইসময় একটি ছোট্ট গ্রামে খবর আসল খানসেনারা হানা দিয়েছে। তারা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। যাকে পাচ্ছে তাকেই গুলি করে মারছে। শিশু বৃদ্ধ জোয়ান কাউকেই ছাড়ছে না। গ্রামের সব লোক ভয়ে পালাতে লাগলো। গ্রামে একটি গীর্জা ছিল। গীর্জার ফাদার-ও পালিয়ে গেলেন। রয়ে গেল শুধু এক বৃদ্ধ মানুষ ডেসমণ্ড যে গীর্জার দেখাশোনা করত। কিছুদিন পর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা যখন এসে আশ্রয় চাইল তার গীর্জায়, ডেসমণ্ড সেখানে ওদেরকে থাকতে দিল। সেই মুক্তিযোদ্ধারা উজ্জ্বল তরুণ। হাসি গান গল্পে তারা ভরে তুলল নিঃসংগ গীর্জা। ডেসমন্ড ওদের খাওয়াল, যত্ন নিল। আর ওরা এখান থেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে লাগলো।
    এরপর একদিন এক যুদ্ধ শেষে ফেরার পথে সেই তিনজন মুক্তিযোদ্ধা পাক-বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল। গির্জার কেয়ারটেকার ডেসমন্ডকে সামনে পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় জানতে চাইল পাক-বাহিনী। তারা বলল, ‘দেশদ্রোহীর শাস্তি দেওয়া আমাদের পবিত্র কর্তব্য’। কিন্তু ডেসমন্ড নিজের প্রাণ বাঁচাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি অস্বীকার করল। পালিয়ে গেল গির্জার ভেতরে। পাক আর্মি গির্জার সামনে রাখা যীশুর ক্রুশবিদ্ধ মূর্তি দেখে অনুরূপভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে এই তিন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঠের মধ্যে টানিয়ে দিল। মৃত্যুর সময়ে যীশু বিড়বিড় করে বলে উঠেছিলেন “ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর!” আর্মি চলে যাবার পর ডেসমণ্ড হামাগুড়ি দিয়ে চলে এসেছিল সেই মৃতপ্রায়, অত্যাচারে ছিন্নভিন্ন দেশদ্রোহীদের কাছে। তাদের ঠোঁটের কাছে কান নিয়ে গিয়ে শুনেছিল তারা বিড়বিড় করছে, “স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতা!” হাহাকার আর্তনাদে ভেংগে পড়েছিল ডেসমণ্ড।
    এরপর কয়েক রাত সে গীর্জা থেকে বেরয়নি। গুমরে গুমরে মরেছিল আর হাউ হাউ কান্নায় মাথা ঠুকেছিল পাথরের গায়ে। তারপর আবার এক ঝড়জলের রাত্রে তার গীর্জার দরজায় টোকা পড়েছিল। দরজা খুলে দেখেছিল, তিনজন উজ্জ্বল তরুণ। নতুন মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সারা গায়ে বর্ষার জল, আর মুখে হাসি। তারা বলেছিল “আমরা এসেছি”।
    এটা কোনো সত্যিকারের ঘটনা নয়, যদিও বাস্তবে এরকম হাজার হাজার ঘটেছিল। উপন্যাসটির নাম “একাত্তরের যীশু”। লেখক শাহরীয়ার কবীর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা এই উপন্যাসের শেষে গিয়ে দেশদ্রোহীরা বিশ্বের প্রথম মানবতাবাদী মানুষটির সংগে এক আসনে বসে গিয়েছিল।
    একটা ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। আজ থেকে বহু বছর বাদে আপনার সন্তান-সন্ততিরা আপনাকে জিজ্ঞাসা করবেই, যে, যখন সরকার, পুলিশ, কোর্ট, এবং মিডিয়া মিলে উমর খালেদ, কানহাইয়া কুমার, সোনি সোরী সহ সমস্ত দেশদ্রোহীদের ক্রুশে চড়াচ্ছিল, আপনি তখন কোন পক্ষ নিয়েছিলেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ১০১৯১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ও নাম! - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.164.35.202 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:১০58020
  • রঞ্জনবাবুর আগের পোস্টের সাথে একমত। আর শুধু গোবলয়ে না, দক্ষিনভারতেও "দেশপ্রেম", পাকিস্তান বিদ্বেষ ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমানে শক্তিশালী। সেজন্যই বললাম,"ছেলেপুলে দেশ জুড়ে ভারত রাষ্ট্রের পতন চাইছে", বা "ব্যাটলের এক্দিকে মেধাবী ছাত্ররা আরেকদিকে নির্বোধরা" এগুলো একেবারে অবাস্তব কথা।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.30.249 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৩৯58021
  • সুগতবাবু কিছুদিন আগেই সম্ভবত টেলিগ্রাফে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন যে মানুষজন যদি ভাবে দেশের সবথেকে বড় বিপদ কমিউনিজম তাহলে তাঁর থেকে ভুল ভাবনা আর কিচ্ছু নেই। হিন্দুত্ববাদের বিপদের কাছে আর অন্য কোনো বিপদ লিলিপুট।

    উনি বরাবর-ই সেকুলার পজিশনে থেকেছেন। পরে কি করবেন জানি না কিন্তু আজকের বক্তব্য খুব ভাল লাগল
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.30.249 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৪৪58022
  • বজরংগী ভাইজান নিয়ে পাইদির বক্তব্যে একেবারে ১০০% সহমত। মেইন্সট্রিম বলিউডের কাছ থেকে আমি বিপ্লবী সিনেমা আশাও করি না। যেটুকু পাচ্ছি সেটুকু ব্যবহার্য্য কিনা সেটাই দেখব।

    ঠিক এই কারণে বীর-জারাও খুব ভাল লেগেছিল
  • Dilip Kumar Sarkar | 126.203.177.200 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:১৮58023
  • ২৪ তারিখের ১৫.৫৯ সময়ে মতামতের সঙ্গে আমি একমত।জ।ন।উ নিয়ে ভট্টাচার্য বাবুর লেখাটি একটু একপেশে মনে হয়েছে।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.31.119 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:১৪57990
  • এছাড়া এগুলো নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছিল তার লিংক খুঁজে পাচ্ছি না
  • kc | 198.236.168.43 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:২২57991
  • হানুদার কথা মেনে "ভুল ধরার" দায়িত্ব তো আর ছেড়ে দেওয়া যায়না।

    শাক্যজিতের সুলিখিত লেখাটায় তথ্যগত ভ্রান্তি আছে বলে মনে হয়, সমর সেন তাঁর লেখা বই "বাবু বৃত্তান্ত" এ লিখেছেন এ ২৮শে জুনের সংখ্যাটি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তারপর ৫ই জুলাইএ একটা নোটিশ সরকার বাহাদুর highly objectionable বলে বোধহয় বাদ দেন।

    এরপর ৭৬ এ ফ্রন্টিয়ার ছাপা চলাকালে পুলিশ ছাপাখানাটিই বাজেয়াপ্ত করে। ফ্রন্টিয়ার ছাপাই বন্ধ হয়ে যায়।

    অবশ্য উনি বলেছিলেন "ইন্দিরা সঞ্জয়ের চেলাচামুণ্ডারা ইংরেজিতে ওয়াকিবহাল নয় বলে ফ্রন্টিয়ারের কিছুটা সুবিধে হয়।
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:৪০57992
  • উরেশ্লা, কাঁপাকাঁপি!!!

    "বাঁদরের মস্তিষ্কে পাঁচ টেরাবাইটের হার্ড ডিস্ক পুরলে তা আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক হয়ে যায় না এটা এবার দক্ষিণীদের বোঝার সময় এসেছে।"
  • hu | 140.160.143.133 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:৫২58024
  • শ্যাক্যজিতের তিনটে লেখাই ভালো লাগল।

    Comment from pi on 24 February 2016 16:19:03 IST 24.139.209.3 (*) #
    "সে যদি নিজে আচার বিচার মেনে চলা কেউ যদি অন্য ধর্ম বা ঘোষিতভাবে শত্রু প্রতিবেশী দেশের লোকজনকে নিয়ে সহিষ্ণু হয়, তাদের বন্ধু মনে করতে পারে, তো সেটা প্রোমোট করলেও আমার মনে হয় লাভ বই ক্ষতি নেই, এই বাজারে।"

    পাইকে বড় করে ক দিয়ে গেলাম। মানুষের সাথে ডায়ালগে যাওয়ার জন্য যদি নিজের র‌্যাডিক্যাল অবস্থান একটু কমপ্রোমাইজও করতে হয় তাহলে সেটা করাই এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন। ডায়ালগটাই যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তো কোন আশাই নেই।
  • দেবব্রত | 212.142.76.249 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:১০58025
  • বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি ? বিশেষত ক্ষমতাবান এবং তথাকথিত ‘দানবীয় ‘ বুদ্ধিজীবী ? আমাদের ধারনা তারা তাদের অভিজ্ঞতা ,জ্ঞান এবং অর্জিত বিদ্যার বলে সরকারী মিথ্যা উন্মোচন করবেন , যে কোন ঘটনার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ করবেন ,অন্তর্নিহিত অর্থ উদ্ধার করবেন এবং জনতাকে উদ্বুদ্ধ করবেন । 'IT IS THE RESPONSIBILITY of intellectuals to speak the truth and to expose lies.'

    এখন জাঁ পল সাঁর্ত্র কি করেছিলেন ? বলেছিলেন সোভিয়েত লেবার ক্যাম্প এবং স্তালিনিয় অত্যচার বিষয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই কারন আমরা যদি এই বিষয়ে বেশী নাড়াঘাঁটা করি ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থীরা বামপন্থা বিরোধীতার জন্য হাতে অস্ত্র পেয়ে যাবে। তাই লক্ষ লক্ষ লোক রাশিয়ান গুলাগে ক্রীতদাসের জীবন এবং স্তালিনের ফোর্সড লেবার ক্যাম্পে অর্ধভুক্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করলেও সাঁর্ত্র লেখেন :’ "As we were neither members of the party nor avowed sympathisers it was not our duty to write about Soviet labour camps; we were free to remain aloof from the quarrel over the nature of this system, provided no events of sociological significance had occurred."

    এখন আমরা যদি মেনেনি যে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব speak the truth and to expose lies তাহলে সাঁর্ত্র এক্ষেত্রে কি করেছিলেন ? বিশুদ্ধ দালালী । কার ? স্তালিনের । এটা গেলো ৫০ এর দশকের কথা -স্তালিনের অন্যায়ে চোখ বুজে থাকার পরামর্শ । যে সময়টার কথা শাক্য বাবু বলছেন , ঠিক তার আগেই হাঙ্গেরিতে রাশিয়ান আক্রমণের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় রাশিয়ার নিন্দা করেছেন - এখন সাঁর্ত্র কি করলেন ? ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থীদের হাতে বামপন্থা বিরোধীতার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন । রাষ্ট্র এতবড় বামপন্থী বিরোধী শক্তিকে জেলে পুড়বে কেন ? বরং ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় সাঁর্ত্রকে উল্লেখ করে বামপন্থার পশ্চাতে বিছুটি পাতা ঘষার সুযোগ বজায় রাখবে।

    বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব speak the truth and to expose lies পার্টি অনুগত বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের ক্ষেত্রে কতবড় ভণ্ডামি মায়াকভস্কি জীবন দিয়ে বুঝেছিলেন । সম্ভবত সুভাষ মুখুজ্জেও !
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:৩১57993
  • শাক্যর এই লেখাগুলো শেয়ার করা যাবে ফেবুতে?
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:৪০57994
  • ময়দানে থাকলে লোকের পালস বোঝা, সেই অনুযায়ী তার সাথে কমিউনিকেট করা, যাতে সে উল্টে নিজের অবস্থানে গাঁট না হয়ে যায়, সেসব ভেবে কথা বলা যেত। আমি জানি না ময়দানের লোকেদের কী ফীলিং হচ্ছে, আমার তো ইন্টারনেট দেখে মনে হচ্ছে একদল উন্মত্ত লোক ঝান্ডা হাতে তেড়ে আসছে 'ভারতমাতা কি জয়' বলাবে বলে। এবং এখানে একটাই ইন্স্টিংক্ট আমার মধ্যে কাজ করছে। জাস্ট ফাইট ব্যাক। পাল্টা দাও। অবশ্যই ডান্ডা দিয়ে নয়। কিন্তু রিডিকিউল করে তো বটেই। মেইনস্ট্রীম বিরোধী কথা বলার যে স্পেসটুকু আছে সেটুকুও চলে গেলে এরপর কবে তা ফেরৎ আসবে বলা খুব মুশকিল। এটা পলিটিকালি ইনকারেক্ট অবস্থান হতে পারে, কিন্তু ইন্স্টিংক্ট এটাই বলছে।
  • ranjan roy | 24.99.71.130 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:০৯57995
  • অবশ্যই! কঠিন দানবীয় শক্তির সামনে রিডিকুল কর একটা বড় হাতিয়ার।
    একটি উপন্যাসে পড়েছিলাম-- জার্মানীতে নাজি ক্ষমতায় আসার পর একটি ছোট শহরে অল্পসংখ্যক বিরোধিরা হিটলারের মহিমাকীর্তনের নাটকে ব্যাকড্রপের দেয়ালে অফিসারের টুপিটা দেয়ালে পেরেক দিয়ে এমন ভাবে আটকে দিয়েছিল যে ক্লাইম্যাক্সের সময় চরিত্রটি দেয়াল থেকে টুপি নামিয়ে মাথায় পরতে গিয়ে এমন ভাবে আটকে গেল যে প্রাণপণে দুহাত দিয়ে টুপিটা টানতে লাগল। টাইমিং দীর্ঘ হওয়ায় দর্শকরা হেসে গড়িয়ে পড়ল।

    ১৯৬৯ কি ৭০ এর ঘটনা।
    তখন দিল্লিতে ক্ষমতায় জনসংঘ। বলরাজ মাধোক, হংসরাজ মেহতাদের বোলবোলাও।
    একটি সাহিত্যিক পত্রিকা বংকিমচন্দ্রের ব্যংগ রচনা ' এক বিলাতি রামায়ণ" এর হিন্দি অনুবাদ ছাপে।
    সেটা পড়ে জনসংঘী নেতারা অগ্নিশর্মা। তাঁরা তৎকাল পুলিশকে বললেন মূল লেখক বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে অ্যারেস্ট কর!
    পুলিশ খুঁজে পেতে হন্যে হয়ে শেষে রিপোর্ট দিল--হুজুর, উনি তো গত শতাব্দীতেই মারা গেছেন!
    সমস্ত পত্রিকায় হাসির হর্‌রা!
    উপ প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই মাথা চাপড়ালেন-- রাষ্ট্রগান বন্দে মাতরম এর রচয়িতা ঋষি বঙ্কিমের সঙ্গে এ কেমন ব্যাভার!
  • S | 108.127.145.201 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৫২57996
  • খুব ভালো লেখা। রেপ্লাই না দিয়ে পারলাম না এখানে। কিন্তু আপনি যতটা ইন্নোসেন্ট ইগনোরেন্স দেখাতে চেয়েছেন ব্যাপারটা ততটাও সেরকম নয়। আজকে মিডিয়াতে পেইড ব্যাসাররা আছে। যারা সারাক্ষণ ইরেলিভেন্ট অর্ধ্য সত্য মিথ্যা কথা বিভিন্ন মিডিয়ার থ্রু দিয়ে লোককে গেলানোর চেষ্টা করাচ্ছে। নিউজ আর্টিকেল গুলোর কমেন্ট সেকশনে গেলেই দেখা যায়। আমি ফেবুতে নেই, কিন্তু শুনেছি সেখানেও একই অবস্থা। দেখবেন যেকোনো নিউজের নিচে এইধরণের লেখা থাকে। সেইগুলোতে কেউ যুক্তি যুক্ত ভাবে কাউন্টার করলেই তাকে গালিগালাজ দিয়ে শান্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এইভাবেই একটা একপেষে ন্যারেটিভ তইরী করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে খুব সুকৌশলে।

    এরা চেতন ভগতের ছাড়া কারো লেখা বই পড়বে না, সলমন খান ছাড়া কারো সিনেমা দেখবেনা ইত্যাদি। তার অনেকগুলো কারণ আছে। কারণ মিডিওক্র্যাসি প্রতিষ্ঠা না করলে এদের টিকে থাকা মুশকিল। তাই আজকে জে এন ইউ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এবং কথাটা বলেছে চন্দন মিত্র। বা মোহনদাস পাইয়ের কথাটা ভাবুন। এঁরা কেউ কিছু পরেননি বা জানেননা সেটা ভাবতে কস্ট হয়। আজকে মোদি ধরে ধরে বিবেকানন্দ, রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবিন্দ্রনাথ, নেতাজির কথা বলে বাঙ্গালীর চিন্তাভাবনাকে ঘেঁটে দেওয়াঅর চেষ্টা করছে। এটা খুব চতুরতার সাথে করা হচ্ছে।

    গুজরাতে বিগত কয়েক বছরে মোদিকে কোনোরকমের বিরোধের মধ্যে পরতে হয়নি। সেই মডেলটাকেই সারা ভারতে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। মোদি যখন মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে চলে আসছে, তখন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধি নেতার মোদি বন্দনা শোনার মতন। প্রধান মন্ত্রী হয়ে সব দোষ ধুয়ে গেলো। চটপট বিদেশ সফরে গিয়ে সেখানেও নিজের অথোরিটি প্রতিষ্ঠা কারে নেওয়া হোলো। খবরে শুনেছি যে ম্যাডিশন স্কোয়ার গার্ডেনের বেশিরভাগ লোক গুজরাতী ছিলো। এইতা মোদির ক্যাম্পেনের একটা বড় দিক। অভিন্ন গুজরাতী সমর্থন। নইলে চেতন ভগত হঠাত মোদি সমর্থ্ক হয়ে ওঠে কেন? এতোজন ছেড়ে জগদীশ ভগবতিই বা কেন মোদিকে নিয়ে প্রফেসর সেনের সাথে ঝগড়া বাধিয়ে বসে।

    গুজরাতে যে ডেভালাপমেন্ট হয়েছে তার একটা বড় কারণ হোলো গুজরাতী ইনভেস্টর। আজকে ইন্ডিয়ার সবথেকে সফল ও বড় ইনভেস্টর গ্রুপ হোলো গুজরাতীরা। ফলে সেখানে ইনভেস্টমেন্ট টানতে অনেক সুবিধে হয়েছে (প্লিজ এখানে কেউ ন্যানোর গল্প দিতে আসবেন না)। কিন্তু শুধু আবেগ আর জাতির প্রতি ভালোবাসা দিয়ে তো আর ইনভেস্টমেন্ট হয়্না। এই সকল শিল্পপতিরা জনতেন যে তাদের ইনভেস্টমেন্ট গুজরাতকে রাজ্য হিসেবে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে আর সেটা মোদিকে দিল্লির মসনদে বসানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু কেন, আপনারাও একটু ভাবুন।
  • Sakyajit Bhattacharya | 23.17.125.9 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৫৪57997
  • হ্যাঁ শেয়ার করুন
  • Sakyajit Bhattacharya | 23.21.125.9 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:০৩57998
  • আমি নিজে পার্সোনালি এই লাইনটাই নিয়েছি, আর তো কিছু করতে পারব না ! যেখানে পারব রিডিকিউল করব, তাদের দর্শনকে হিউমিলিয়েট করব। মাও-এর কাগুজে বাঘের তত্ব আর কি! আর দেখেছি এতে শিক্ষিত চাড্ডী নিক্কার তিনুদের মারাত্মক ঝাঁট জ্বলে। তাদের চারটে খিসস্তোলে বা তারা কত ভয়ংকর দানব সেসব বললে তারা এনজয় করে। কিন্তু যদি মিষ্টি কথায় বলে দেওয়া যায় 'বাপু হে তুমি একটা ক্লাউন এবং শিক্ষিত সমাজে তোমার অবদান শুধুই খোরাক দেওয়া' তাহলে কাঁউ কাঁউ করে সেন্টির বন্যা বইয়ে দেয় । এ আমি নিজে বারবার প্রয়োগ করে সফল হয়েছি।

    এলিটিস্ট লাইন? নিঃসন্দেহে। ঘটনা হোল, চাড্ডীদের কাউন্টার করার জন্য আমি এলিটিস্ট বাঁদর শুওপোকা সব হতে রাজি আছি
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:১১57999
  • S, এরা সলমন খানের বজরঙ্গী ভাইজান দেখে কী বলে ?
    বা, চেতন ভগতের লেখা থেকে তৈরি কাই পো চে পড়ে বা দেখে? ঃ)

    ডিঃ, এগুলো মহান বা দারুণ সিনেমা বলে কোন বক্তব্য নাই, কিন্তু কন্টেন্ট তো চাড্ডি বা অন্ধ ভারতপ্রেমী ( যার জন্য পাকিস্তানবিদ্বেষী হওয়ার বেসিক ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে হ্হয়) দের জন্য বেশ অস্বস্তিজনক হওয়া উচিত। পারলে জিগেশ করে দেখবেন তো ।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:২১58000
  • আমি কাই পো চে দেখেছি, বজরঙ্গী দেখিনি। আর অমার চাড্ডিদের সাথে ডাইরেক্ট কোনো কন্ট্যাক্ট নেই। বিভিন্ন জায়্গায় তাদের বক্তব্য দেখে বোঝার চেস্টা করি। তারপরেও বক্তব্য রাখছি।

    আপনি প্রিমাইসটা ভুলে যাচ্ছেন। সলমন খান ঘুড়ি উড়িয়েছে। আর চেতন ভগত আই আই এম হয়েও ইংরাজীতে লিখেও মোদিভক্ত। অতেব সাত খুন মাফ। আর বজরঙ্গীতে তো কোনো অস্বস্তিজনক কিছু নেই বলেই বুঝেছি। ভারতের পুরোহিতকুল কত মহান, কত উদার সেইটাই দেখানো হয়েছে। আর এই সিনেমা করে সলমন খানের যে খুব উপকার হয়েছে সেইটা তো বুঝতেই পারছেন। এছাড়াও আরেকটা ব্যাপা আছে সেইতা পরে লিখবো। আর কে জানে চেতন হয়তো মোদিভক্ত হয়ে হাওয়া নিজের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:২৬58001
  • বজ্রন্গী তো বেনিভলেন্ট চাড্ডি প্রোপাগান্ডা। পাকিস্তানে মৌলবী সাহিব নায়ক ভারতীয় সলমন কে জিগাচ্ছে : আপনাদের ওদিকে অভিবাদন অজানায় কীভাবে ? উত্তরে সাংবাদিক নাওয়াযুদ্দিন মনে করিয়ে দিচ্ছে : যায় শ্রী রাম । এক টা শত মুহুর্তে গোটা ভারত ইস ইকয়াল টু যায় শ্রী রাম করে দিলো। ভীষণ চতুরভাবে বানানো মুভি, কারণ পরিচালক কে জিগালে বলবে : ওই সিচুএশোনে নায়ক কি করত ? সে নিজে যাতে অভ্যস্ত তাই করেছে :) সারা ভারতে জতরকম্ভআবে অভিবাদন হয় তার ডেমো দিত ? :) এরকম চতুর জিনিসপত্রে ভরা সিনেমাটা। দুবার দেখেছি :))
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:২৮58002
  • সে কী ! মোটামুটি একটা চাড্ডি ব্যাকগ্রাউণ্ডের লোকজনের ভারত-পাক ভাই ভাই অবস্থান নেওয়া, এটা দেখানো যে দুদিকের মানুষের মধ্যেই, দু ধর্মের মানুষের মধ্যেই বেসিক্যালি তফাত নাই ( সে যত গোদাভাবেই দেখানো হোক না), সেটা এন্ডর্স করলেও তো এত ঝামেলা থাকেনা !
  • dc | 132.164.35.202 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:২৯58003
  • এই লেখাটার অনেক অংশেই একমত হলাম, আর রিডিকিউল করা যে একটা বড়ো অস্ত্র তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে যারা শুনতে চায়্না তাদেরকে রিডিকিউল করা উচিতও। কিন্তু দুয়েকটা জায়গা মনে হল শাক্যজিতবাবু ভুল অ্যাসাম্পশন করেছেন।

    "মেধাবী ছেলেপুলের দল দেশ জুড়ে ভারত রাষ্ট্রের পতন চাইছে"

    এটা বোধায় এক্কেবারে ভুল। ভারত রাষ্ট্রের পতন চাইছে, এরকম ছাত্রছাত্রী বোধায় গোটা দেশে 0.1% ও পাবেন কিনা সন্দেহ। একমনকি যারা রোহিত-কান্হাইয়া-উমর এর সমর্থনে সরাসরি মিছিল করছে তাদের মধ্যেও ১% এরকম ছাত্রছাত্রী পাবেন কিনা সন্দেহ। বাকিদের তো বাদই দিলাম। এই ইস্যুতে যারা প্রোটেস্ট করছে তারা প্রায় সবাই পুলিশের বাড়াবাড়ি, অহেতুক গ্রেপ্তার, সেডিশান আইন বাতিল করা ইত্যাদির বিরুদ্ধে। ভারত রাষ্ট্রের পতন কজন চায় সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে।

    "এই মুহূর্তে ভারতে যে ব্যাটল অফ আইডিয়াজ চলছে সেখানে কাগুজে বাঘেদের লাফালাফি দেখে হীরক রাজের কথাই মনে পড়ছিল। এই ব্যাটলের একদিকে মেধাবী ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবিরা। অন্যদিকে রাইটিস্টরা যাদের উপন্যাস পড়ার দৌড় চেতন ভগত এবং বিজ্ঞানচর্চার দৌড় গণেশের শুঁড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কারীকুরী আবিষ্কারেই জিভ বার করে হ্যা হ্যা হাঁপাতে থাকে"

    এটাও একেবারে ভুল মনে হল। যারা দেশপ্রেমের আবেগে ভাসছেন তাঁদের মধ্যে ভয়ানক উচ্চশিক্ষিত লোক অনেক দেখেছি। প্রচুর জ্ঞানগম্যিওয়ালা লোকেদেরও অনেক দেখছি। এদের মধ্যে প্রচুর এমন লোক আছেন যাঁরা বিজেপি-আরএসএসএর ধারেকাছেও নেই কিন্তু দেশপ্রেমে হাবুডুবু খান (অনেকটা ভগবানে বিশ্বাসের মতন)। রিডিকিউল করা দরকার, কিন্তু এই বিরাট বড়ো অংশটাকে আন্ডারএস্টিমেট করলে ভুল করবেন।
  • অমিতাভ | 79.31.51.14 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৩58026
  • আরে ! আই এস আই????
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৬58005
  • পারলে লোকসভায় এখনকার ডিবেটটা শুনুন।
    বিজেপির এ কাকে বলতে দিয়েছে ! এই লেভেলের ছড়ু বক্তা !! সেন্টু ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনা। সেটাও বেশ বাজে লেভেলের ডায়লগ। নিজেদের লোকেরাই তালি দিতে পারছেনা।

    খুব ভেবেছিল, কোট টোট করে নিজেকে বেশ বিদগ্ধ ব্যক্তি প্রমাণ করবে, তা অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে বোসের অমর উক্তি বলার সাথে সাথে সংসদেই খোরাক হয়ে গেল !
  • S | 108.127.145.201 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৬58004
  • ধরে নিচ্ছি সিনেমাটা আপনি দেখেছেন। ভারত পাক দুদিককে কি সমান ভাবে দেখানো হয়েছে? নাকি পাকিরা যদি জানতো ইন্ডিয়ানরা কত ভালো তাহলে ভারত বিদ্বেষ ভুলে যেতো। তাছাড়া সিনেমার নায়ক ভারতীয় হিন্দু পুরোহিত। কেন? দক্ষীন ভারতের হিন্দি বলতে পারেনা কোনো ক্রিস্চান নয় কেন?
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৭58006
  • সুগত বোস বলতে উঠলেন। দেখা যাক, কী লাইন নেন।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৯58007
  • ধুর, সিনেমার সমালোচনা করার বা খুঁত ধরার অনেক জায়গা আছে। কিন্তু ঐ বেসিক ব্যাপার, পাকিস্তানীদের সাথেও সুসম্পর্ক রাখা যায়, পাকিস্তানী কি মুসলিম মানেই কি গোরু খায় মানেই শত্রু নয়, এই অতি বেসিক ব্যাপরটুকুর সাথে একমত হওয়া মানেও আমার কাছে অনেক বড় স্টেপ ফরোয়ার্ড। মানে এটা যদি একটা বড় অংশ মনে করেন, তো তাঁদের একধারসে চাড্ডি বলে দাগিয়ে না দিয়ে ডায়লগে যাওয়াই যায়। উচিতও।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৪০58008
  • বজরঙ্গী তো আমার দিব্বি উত্তরভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদীদের প্রোমোট করা ছবি মনে হয়েছিল।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৪১58009
  • আমার বক্তব্য ছিল, সলমন কি চেতন ভক্তদের এগুলো র কথা মনে করিয়ে দিতে পারেন। ওঁদের গুরুরা যখন এগুলোও করেছেন বা বলেছেন , তখন এই লাইনে ভাবা যেতে পারে কিনা, তাঁরাও হয়তো ভেবে দেখতে পারেন। এই আর কি। ডায়লগে যাবার আরেকটা রাস্তা।
  • অমিতাভ | 79.31.51.14 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৪৩58027
  • অনেকদিন পর আবার চেনা মুখ !! এ কি সেই আই এস আই-এর লেজেন্ডারি আঁতেল কাম ততোধিক লেজেন্ডারি মেয়েবাজ শাক্য?

    ছবি দেখে তো তাকেই মনে হচ্ছে ! এই মালটির ভয়ে লোকজন নিজেদের প্রেমিকাকে হস্টেলে আনত না, কারণ এর অন্যের প্রেমিকা এবং পোটেনশিয়াল বউ নিয়ে ভেগে যাবার বেশ কিছু কেস এখনো সেই ব্যাচের মুখে মুখে ফেরে :)

    সরি, হঠাৎ করে চেনা মুখ দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে ব্যক্তিগত কথা লিখে ফেললাম। পৃথিবী খুব-ই ছোট। লেখাগুলো পড়ে ভাল লাগল। আরো লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৪৯58010
  • সে যদি নিজে আচার বিচার মেনে চলা কেউ যদি অন্য ধর্ম বা ঘোষিতভাবে শত্রু প্রতিবেশী দেশের লোকজনকে নিয়ে সহিষ্ণু হয়, তাদের বন্ধু মনে করতে পারে, তো সেটা প্রোমোট করলেও আমার মনে হয় লাভ বই ক্ষতি নেই, এই বাজারে। এবং সিনেমাটাতে শেষমেশ কাঁটাতার নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল বলেই মনে হয়েছিল। অবশ্যই যে যেভাবে দেখবে। \সিনেমার হাজার গণ্ডা ফ্ল থাকলেও , বেশ গোদা গোদা মনে হলেও এটা বলব। মাসের কাছে গোদাভাবে যদি এই মেসেজটুকুনিও প্রোমোটেড হয় তো, আবারো লাভ বই ক্ষতি দেখিনা।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৫০58011
  • বজরঙ্গী ভাইজান মানে তো আমার মনে হয়েচে সলমন ভাইজান বজরঙ্গীর ভুমিকায় অভিনয় করেছে, অতেব ওকে পিলিজ ছেড়ে দাও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন