এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৩৫

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ মে ২০২৪ | ৯১ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৩৫

    নয়নের কোলকাতাতেই পোস্টিং। জয়েন করার জন্য কোন সময় লেখা ছিল না। নয়ন বাবার সাথেই   খাওয়া দাওয়া করে ট্রেন ধরল। দশটা বাজার কিছু আগেই অফিসে পৌঁছে গেল। সরকারি দফতর হলেও মোটামুটি পরিচ্ছন্ন। লোকজন তখনো আসেনি। মেন গেট থেকে একটু ভেতরে ঢুকে দেখে একজন মেঝে মুছছে। নয়নকে দেখে এগিয়ে এসে জানতে চাইল কি চায়। নয়ন নতুন জয়েন করবে শুনে সামনে একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বলল—আপনি এখানে একটু বসুন, আমি এই দিকটা  মুছে নিয়ে আসছি।

    কাজ শেষ হলে  নয়নের সামনে এসে বলল—আমার নাম রত্নাকর সাহু, আমি এখানে সুইপারের কাজ করি। চলুন, আপনাকে হরেন বাবু যেখানে বসেন নিয়ে যাই। উনিই নতুন জয়েনের কেসগুলো দেখেন।

    রত্নাকর নয়নকে দোতলায় হরেনবাবুর টেবিলের সামনে একটা চেয়ার দেখিয়ে বলল—এখানে  বসুন, উনি একটু বাদেই এসে যাবেন।  

    দশটা দশ নাগাদ এক প্রৌঢ় ভদ্রলোক নয়নের সামনের টেবিলে এসে বসলেন।

    নয়নের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন—কি চাই?

    নয়ন বিনয়ের সঙ্গে বলল—আজ্ঞে আমি এই অফিসে জয়েন করতে এসেছি।

    --ক্লেরিকাল না সাবোর্ডিনেট স্টাফ?

    --আমি ডবলিউ বি সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এসেছি।

    লোকটার হাবভাবই পাল্টে গেল।

    --কিছু মনে করবেন না ভাই। আসলে আমাদের এই অফিসে এখন বেশ কিছু নতুন ক্লেরিকাল আর সাাবোর্ডিনেট স্টাফ জয়েন করছে। তাই জিজ্ঞেস করলাম।

    --নানা মনে করার কি আছে।

    --আপনি মিস্টার নয়ন দে?

    --আজ্ঞে হ্যাঁ।

    নয়ন নিয়োগপত্রটা হরেন বাবুর দিকে এগিয়ে দিল। এর মধ্যে নয়নের জন্য চা এসে গেল। দু একটা কাগজপত্রে সই সাবুদ করাবার পর, হরেন বাবু নয়নকে নিয়ে তিন তলায় যে  ডিপার্টমেন্টে ওর জয়েন করার কথা, সেখানে পৌঁছে দিয়ে এলেন।

    ডিপার্টমেন্টের বস অভিজিৎ সামন্ত ঘরে  ছিলেন না।

    হরেন বাবু নয়নকে সামন্ত স্যারের চেম্বারে বসিয়ে বললেন—স্যার মনে হয় অন্য কোন ডিপার্টমেন্টে গেছেন। আপনি এখানে বসুন।

    একটু পরে বছর পঁয়তাল্লিশের দীর্ঘদেহী এক ভদ্রলোক ঘরে ঢুকে নয়নের সামনে চেয়ারে গিয়ে বসলেন। নয়ন আন্দাজ করে উঠে দাঁড়িয়েছিল।

    গম্ভীর গলা ভেসে এল—বস। নয়ন দে, তাই ত?

    --আজ্ঞে হ্যাঁ।

    --কোথায় থাকা হয়?

    --আজ্ঞে রহড়ায়।

    -- এই ফর্মগুলো এক এক করে ভরো। কাছে পেন আছে?

    --আজ্ঞে হ্যাঁ স্যার।

    --তিনবার হয়ে গেছে, আর ব্যবহার না করলেই খুশি হব।

    --কি স্যার?

    --‘আজ্ঞে’ শব্দটা।  বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে এসেছ, নাকি প্রথম দিন বলে না খেয়েই বেরিয়ে পড়েছ?

    --ভাত খেয়ে এসেছি স্যার। 

    -গুড।

    নয়ন ফর্ম ভরা শুরু করল। অনেক কটা ছিল, একটু সময় লাগল।  লেখালিখি শেষ হওয়ার পর ওগুলোয় একটু চোখ বুলিয়ে নিয়ে অভিজিৎ সামন্ত অফিসের কাজকর্মের ধরণ ধারণ নিয়ে  মুল্যবান কিছু পরামর্শ দিলেন। ইতিমধ্যে চা এসে গেছে। নয়ন এত ঘন ঘন চা খায় না, কিন্তু না করার সাধ্য নেই। চা খাওয়ার পর সামন্ত স্যার নয়নকে সাথে নিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে ডিপার্টমেন্টে এলেন।  মোটামুটি বড় ঘর, দশ বার জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। তখন ভরা অফিস। দু একটা বাদে সব টেবিলেই লোক রয়েছে।

    সামন্ত স্যার গম্ভীর গলায় ঘোষণা করলেন—ইনি নয়ন দে, এই  ডিপার্টমেন্টের জুনিয়ার অফিসার, আজকেই জয়েন করেছেন। রমেনবাবু, আপনি এঁকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন।

    কথাগুলো শেষ করে সামন্ত স্যার নিজের চেম্বারে ফিরে গেলেন। রমেন বাবু নিজের পরিচয় সেরে নিয়ে এক এক করে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। পরিচয় পর্ব সারা হলে আমাকে আমার বসার জায়গায় নিয়ে এলেন। রমেন বাবুকে ধন্যবাদ জানিয়ে নয়ন নিজের চেয়ারে এসে বসল।  গদি লাগান চেয়ার, বিরাট টেবিল, টেবিলের ওপর টেলিফোন,  সে এক অনির্বচনীয় তৃপ্তি। টেবিলে বসেই নয়নের মনে পড়ল ঈজার খচ্চর মামাটার কথাগুলো....বেকার, ভ্যাগাবন্ড, জেনারাল লাইনে পড়ে কিচ্ছু হবে না। কোনদিন দেখতে পেলে বলবে—আয় শালা দেখে যা, কিছু হয়েছি কিনা। শকুনের সাপে গরু মরে নারে শালা।  

    রমেনবাবু মানুষটা ভাল। অনেক সিনিয়র। কাজকর্ম সব একটু একটু করে কয়েকদিনে বুঝিয়ে  দিলেন। ওনার কাছেই নয়ন জানল যে, ডিপার্টমেন্টে অভিজিৎ সামন্ত  আর ও, এই দুজন  অফিসার।  এখানে আগে একজন ছিলেন, তিনি অন্যত্র  বদলি হয়ে যাওয়ার পর মাস দুয়েক টেবিলটা ফাঁকাই ছিল।

    সামন্ত স্যারকে  প্রথমদিকে রাগী ধরণের অফিসার মনে হত। চাকরিতে জুনিয়ার অফিসার হিসেবে জয়েন করার কয়েক  মাস পরেই একদিন নয়নকে চেম্বারে ডেকে আদেশ দিলেন- কাল থেকে তুমি ডিপার্টমেন্টের অ্যাটেন্ডেন্সটা দেখবে।

    নয়ন আমতা আমতা করে বলল- স্যার, আমি তো নতুন, এ কাজটা আমি না করলেই নয়!

    --অফিসার হয়ে ঢুকেছ, দায়িত্ব নিতে শেখ।

    অগত্যা সব থেকে অপ্রিয় আর অশান্তির কাজটা নয়নের ঘাড়ে চাপল। দু এক দিনের মধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ল। একটা সময়ের পরে লেট মারকিং করতে হত। সেদিনও করেছে। কিছু নিত্য লেটকামারের সাথে ট্রেনের গণ্ডগোলের জন্য অশেষেরও অফিসে আসতে দেরী হয়েছিল। ও রোজই সময়ে আসে। খাতায় দাগ দেখে বেশ উত্তেজিত হয়ে নয়নের সাথে কথা বলল। নয়ন  ওকে সামন্ত স্যারের সাথে দেখা করতে বললে ও কোন কথা না শুনে হনহন করে অফিস থেকে বেরিয়ে চলে গেল। সময়ের সাথে সাথে নয়ন অফিসের হাল হকিকতের সঙ্গে ধীরে  ধীরে পরিচিত হয়ে গেল। শিখল কোন পরিস্থিতি কিভাবে সামলাতে হবে, কোন সমস্যা কিভাবে মেটাতে হবে। এই অভিজ্ঞতা অর্জনের পর্বে সামন্ত স্যারই ছিলেন নয়নের পথপ্রদর্শক।    ঘটনার দু এক দিন পরে ওর সেদিনের আচরণের জন্য অশেষ নয়নের কাছে এসে দুঃখপ্রকাশ করেছিল। সেদিন থেকেই অশেষের সাথে একটা মধুর  সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  কাজ করতে করতে ব্যবহারের গুণে কেবল অশেষই নয়, অন্য সহকর্মীদের সাথেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠল।

    অফিসে জয়েন করার ঠিক বারো দিনের মাথায় ঘটল নয়নের জীবনের এক স্মরণীয় ঘটনা।  সেদিন অফিসে আসার কিছুটা পরে নয়ন দেখে, ঈজার মামা ওদের অফিসে ঢুকে কোনার দিকে  একটা টেবিলে গিয়ে বসল। নয়নকে তখনো দেখতে পাইনি। 

    লোকটাকে দেখিয়ে নয়ন অশেষকে জিজ্ঞেস করল—উনি কি কারো সাথে দেখা করতে  এসেছেন?

    অশেষ হেসে বলল—নানা, উনি কুণাল বাবু। কয়েক দিন ছুটিতে ছিলেন, আজ জয়েন করেছে্ন।

    জিজ্ঞেস করলাম—লোকটা কেমন?

    -- ব্যাচেলার লোক। বিয়ে থা না করলে সাধারণত যেমন হয়, রসকষহীন। দাঁড়ান, পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।

    অশেষ পরিচয় করাবার সময় কুণাল নয়নকে দেখে চমকে উঠল। অশেষের নজর এড়ায়নি।

    জিজ্ঞেস করল—কুণাল বাবু বাবু কি স্যারকে চেনেন নাকি?

    -- হ্যাঁ, না মানে হঠাৎ  মনে হয়েছিল।  

    কোন রকমে পরিচয় সেরেই কুণাল চলে গেল। একেই বলে বিধাতার পরিহাস। যাকে নিজের চাকরির আভিজাত্য দেখিয়ে সবথেকে বেশী তৃপ্তি পাবে, সেই আজ নয়নের অধস্তন কর্মচারী।   

    দুপুরবেলা কুণাল কতগুলো ফাইল নয়নকে দেখাতে এল। আশেপাশে কেউ নেই দেখে খুব  আস্তে করে জিজ্ঞেস করল—ভাল আছ ভাই?

    নয়ন  বেশ রুঢ়ভাবে বলল—আপনার অপমানকর কথাগুলো আমি ভুলিনি। চেষ্টা থাকলে জেনারাল লাইনে পড়াশোনা করেও প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। একটা কথা আপনাকে পরিষ্কার করে জানিয়ে রাখছি। অফিসে যে সম্পর্ক আমাদের  দুজনের চেয়ারের মধ্যে হওয়া  উচিৎ সেটা মেন্টেন করার চেষ্টা করবেন। আগে যা করেছেন করেছেন, এখন থেকে আমার ব্যক্তিগত জীবনে সামান্যতম উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আর অফিসের কাজ ছাড়া অন্য কোন কথা আমার সাথে বলার চেষ্টা করবেন না। সেই বেকার, ভ্যাগাবন্ড, কিন্তু এখন আপনার অফিসার এটা সবসময় মনে রাখবেন।

    সবটা শোনার পর, কোন উত্তর না দিয়ে, কুণাল  মাথা নিচু করে চলে গেল।  মনের মত করে  অনেকটা  উগরোতে পেরে নয়নের ভেতরটা জুড়িয়ে গেল। এর পর থেকে কুণাল খুব গুটিয়ে থাকত আর নয়নের নির্দেশগুলোও যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করত।  

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন