এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রাক্ষস (গল্প)

    Sarit Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ জুলাই ২০১৬ | ১৪৪৩ বার পঠিত
  • রাক্ষস (গল্প)
    সরিৎ চট্টোপাধ্যায়

    - ওয়ে সরজু! অব ফির অপনা হাথ, জগন্নাথ! বলে হেসে গড়িয়ে পড়ে রামস্বরূপ সিং।

    সরজুও হাসে। কিছু মানুষকে প্রথম নজরেই কেন জানি ভাল লেগে যায়। ফৌজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনই সরজু কে জানে কেন ভাল লেগে গেছিল এই ছেলেটাকে। সেদিন, যেদিন খাকি হাফপ্যান্টের ওপর খালি গায়ে পৈতে পরেই মাঠে এসে দাঁড়িয়েছিল আর ড্রিল সার্জেন্টের উদমা খিস্তি খেয়েও দাঁত বার করে হেসেছিল রাজস্থানের এক ছোট্ট গ্রামের উচ্ছল এই ছেলেটা।

    কাল একমাসের ছুটি কাটিয়ে ফিরেছে সরজু। শাদি করে। এখন অন্তত আট-ন'মাস আর ছুটির কোনো আশা নেই। রাতে পার্সে রাখা অনিতার ছবির দিকে তাকিয়ে আবার হেসে ফেলে সরজু। ঠিকই বলেছে রাম, আবার সেই অপনা হাত -!

    কিঞ্জলি আর ছোটে দেওড়ার মাঝের কাঁচা সড়কটা একটা বিশাল গাছ ভেঙে পড়ে প্রায় বন্ধ। জে.সি.ও অমর ভানোত বিপদের গন্ধ পায়। কনভয় না থামিয়েই ঝটপট হাতের ইশারা করে বাঁ পাশের ঘাসজমিতে নেমে যেতে। ওর লিড জিপটা প্রথম ট্রাকটাকে জায়গা ছেড়ে দেয়। অনায়াসে নেমে যায় ট্রাকটা, আর পরমুহূর্তেই ল্যান্ডমাইনের প্রচন্ড বিস্ফোরণে একটা আগুনের গোলায় পরিণত হয়। কিছু বোঝার আগেই পাশের ঝোপঝাড় থেকে শুরু হয় একত্রিত স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের বিষোদগারণ; উড়ে আসে বেশ কয়েকটা গ্রেনেড।

    ছোটে দেওড়ার মানুষগুলোর মধ্যে আজ একটা অস্থিরতা। যে কটা মরদ এখনো গ্রামে আছে আজ রাতের মধ্যেই পালাবে। যেকোনো সময় ওরা আসবে, ওই জলপাইদের দল। চিরুনি তল্লাশি চালাবে। বুড়োগুলো মার খাবে। কয়েকটা মেয়ের ইজ্জতে হাত পড়বে। এ ঘটনা আগেও হয়েছে। কিন্তু জানে ওরা মারবে না।

    উরানি একধারে বসে কয়েকটা ছোট বাচ্চাদের গল্প শোনাচ্ছে। তিন থেকে তেরোর মধ্যে গোটা পনেরো বাচ্চা ওকে ঘিরে বসে। উরানি হাতপা নেড়ে চোখ নাচিয়ে গল্প বলছে, আর ওরা হাঁ করে শুনছে।
    রাজা দণ্ডের গল্প।
    - বহুৎ পিয়ার করতা থা অরজা কো উ রাজা। কৌন রাজা?
    - রাজা দন্ড্।
    - হাঁ, রাজা দন্ড্। সুর্য়াবংশি রাজা ইক্সভাকু কা ছোটা লড়কা।
    - ফির?
    - লড়কি কা বাপ ন মানি।
    - কাহে?
    - উকা নাম শুরকরাচার্য় থা না বুড়বক। বড়া বিদ্ওয়ান, বরাহ্মণ!
    - সচ!
    - ফির দিদি?
    - জলা ডালা পুরা জঙ্গল!

    বছর তেরোর মেয়েটা হঠাৎ কেঁপে ওঠে। সীতা। ঠাকুমার মুখে এমনই এক গল্প শুনেছিল সে। '৭৯ সাল। মারিচঝাঁপি। কেউ কথা রাখে নি। শেষে এই জঙ্গল ওদের আশ্রয় দেয়। যদিও সে বাঙালিয়ানা আর কিছুই বাকি নেই।

    তিনমাস আগে গ্রামের কাছেই উরানিকে পাওয়া গেছিল। শরীরে কাপড় ছিল না। বেহুঁশ। কী, কেন, কেউ জিজ্ঞেস করে নি। সেই থেকে এখানেই রয়ে গেছে ও।

    জগদলপুর স্টেশন। একটাই প্ল্যাটফর্ম। সিআরপিএফ-এর সিক্সটিসেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের তিরিশ জনের প্লেটুনটা ট্রেন থেকে নামল। রামস্বরূপ সরজুর হোল্ডঅলটাও তুলে নিচ্ছিল, মুখে অনাবিল হাসি। সরজু হাঁহাঁ করে উঠতেই সে সবাইকে শুনিয়ে বলে উঠল, অরে রহনে দে সরজু; তু অভি কমজোর হো গয়া হ্যায় ইয়ার! উনত্রিশজনের সম্মিলিত হাসিতে সেদিন চমকে তাকিয়েছিল স্টেশন চত্তরের মানুষজন।

    সিল্দা বেসক্যাম্পে প্রথম দিনের শেষে ওরা আর হাসছিল না। খেতে বসেও ঘুরেফিরে সেই একই প্রশ্ন - কৌন হ্যায় ইয়ে মাওবাদী লোগ? উত্তরগুলো কেন জানি বিশ্বাস করতে পারছিল না সরজু; রাক্সস হ্যাঁয় সবকে সব! জানওয়র হ্যাঁয়।
    রাতে ঘুম আসছিল না সরজুর। অনিতার মুখটা রোজ এই সময় চোখে ভাসে। তার চোখ, ঠোঁট, শরীর। শিৎকার।
    আজ কানে ভাসছিল, মাওবাদী মতলব - মৌত!

    ছোটে দেওড়ায় সন্ধ্যে নামে। কিছু দূরে জঙ্গলে চারটে ছায়ামূর্তি, আর উরানি।
    বিসমা নামের বছর কুড়ির ছেলেটা কথা বলছিল।
    - ঔর দশদিন! বস্!
    - না হোই। সব ডরে হ্যাঁয়।
    - কোই না? এক ভি না?
    - এক লড়কি হ্যায়।
    - নাম?
    - সীতা।
    - উমর?
    - তেরা সাল।
    - ঠিক হ্যায়। তৈয়ার করো।
    বাকি তিন ছায়ামূর্তি অল্প দূরে সরে যায়। ওইখানেই, ওই ইক্ষাকুর অভয়ারণ্যে, এক সুবিশাল সেগুন গাছের নিচে মিলিত হয় উরানি আর বিসমা।
    দন্ডকারণ্য, আবার সভয়ে তাকিয়ে দেখে। ফিরে আসে প্রেমিক রাজা দন্ড; ফিরে আসে রূপসী অরজা।

    সিল্দা ক্যাম্পে সেদিন বিকেলে এসে পৌঁছল ডেপুটি কমান্ডড্যান্ট বশিষ্ঠ ভার্গভ। বন্ধ ঘরের ভিতর প্রায় দুঘন্টা দেখানো হল একের পর এক ভিডিও। ছিন্নভিন্ন দেহ। চোখ খুবলে নেওয়া, পেট চিরে অন্ত্র বের করে দেওয়া মানুষের শরীর। অমানুষিক। অমর ভানোতের মাথাটা অনেক্ষণ স্ক্রিনে ভাসছিল। রামস্বরূপের পাশের গ্রামের ছেলে ছিল অমর। দেহটা আলাদা করে চেনা যায় নি।

    ছবির সাথে সাথে অন্ধকার ঘরে ভাসতে থাকে বশিষ্ঠ ভার্গভের কন্ঠ। সেই কন্ঠে ছিল এক অদ্ভুত হাড়হিমকরা বিচ্ছিন্নতা। কিন্তু, শেষ দশমিনিটে সেই আবেগহীন কন্ঠে উঠে এসেছিল এক অন্য সুর; এক অনস্বীকার্য দাবী।
    তারই জবাবে উঠে এসেছিল ঐকস্বর - জবাব চাহিয়ে, দেশ কে লিয়ে! বদলা চাহিয়ে অমর ভানোতকে লিয়ে! হর হর মহাদেও! হরহর মহাদেও!

    সেদিন রাতে সরজু রামস্বরূপেরা ঘুমোতে পারে নি।
    পরদিন ভোরে ফিরে গেছিল বশিষ্ঠ ভার্গভ।

    জগদলপুরে একটিই পাতে দেওয়ার মত হোটেল আছে। সেদিন, সেখানেই কথা হচ্ছিল বশিষ্ঠ আর গৃহমন্ত্রী সাইবা মুরমুর। মোবাইলে, সিল্দা ক্যাম্পের সেই ঘরের ভিতরের পুরো দুঘন্টার ভিডিও।
    জানালার সামনে দাঁড়িয়ে দুবাহু প্রসারিত করে মুরমুসাহেব বলেন, আই হোপ আপ সমঝ রহেঁ হ্যাঁয় ইয়ে বাত কিতনি জরুরী হ্যায়?
    - জ্বি জনাব।
    - উ কোল মাইন নহিঁ সচমুচ সোনে কা খদান হ্যায়।
    - মিল জায়গা জনাব।
    - মিল না পড়েগা। হম জবান দে চুকে হ্যাঁয়। কিসি ভি তরহ ইন রাক্সসোঁ কো খতম কর দো!
    - মুঝে ছহ মহিনা দিজিয়ে স্যর। লেকিন কোই কারবাহি নহিঁ হোনি চাহিয়ে।
    - নহিঁ হোগা। লেকিন সির্ফ তিন মহিনা। ব্যস!
    বশিষ্ঠ ভার্গভ মনে মনে হিসেব করে। তিনমাস পর ঝাড়খন্ড নির্বাচন; মন্ত্রীমহাশয় বর্তমান রাজ্যসভার হিসেবটা ভালই বোঝেন।
    মুরমুসাহেব হঠাৎ হেসে বললেন, বশিষ্ঠ ভাই, আপ পর ইয়ে আর্মি কা পোশাক বহুৎ জচ রহা হ্যায়।
    বশিষ্ঠ ও হেসে ওঠে। বলে, শায়দ বচপনমে ফৌজি বননে কা শৌখ থা কভি।
    পরের দিন বশিষ্ঠ ফিরে যায় দিল্লিতে। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করতে হবে। তারপর ওর অফিস, এনআইয়ের হেডকোয়ার্টারে।

    সীতার উরানিকে খুব ভাল লাগে। লেখাপড়া জানে। আর, কী সুন্দর দেখতে! সীতাকে আলাদা করে গল্প বলে উরানি। বলে বিরসা মুন্ডার কথা। বলে কিষনজির কথা, লছমন রাওয়ের কথা। কানের পাশে কাঁধে ধরা রাইফেলের বাঁটের শীতল স্পর্শের কথা। বলে, বিসমার আদরের কথা। শুনতে শুনতে, তলপেটটা কেমন ব্যথা করে সীতার। ও জানে, আর ক'দিনে বড় হয়ে যাবে ও।

    সূর্যবংশ রঘুকুলাধিপতি শ্রীরাম যখন সুমন্ত্রকে বলেন ফিরে যেতে, তখন সূর্য অস্তাচলে। আজও সেই অংশুমালী নিঃশব্দে পশ্চিমে ঢলে পড়েছিল দিনান্তের একরাশ ক্লান্তি নিয়ে।

    ঠিক তখনই ছোটে দেওড়ার কাঁচা রাস্তায় ধুলোর ঝড় উঠল। মুহূর্তে ঘিরে ফেলল পুরো গ্রাম জলপাইদের দল। গ্রামে তখন জনা পঞ্চাশ মানুষ। বেশিরভাগ বুড়োবুড়ি আর বাচ্চা। কিছু মেয়ে। বুড়োবটের তলায় জড় করা হল সবাইকে। চলল জিজ্ঞাসাবাদ। ঝুঁকে পড়া পিঠে রাইফেলের গুঁতো। বুটের তলায় থেঁতলে দেওয়া হল কিছু বাতে ধরা আঙুল।

    আজকের অ্যাকশনটা রামস্বরূপ লিড করছে। সরজু খেয়াল করে বেশ জোরে জোরে নিশ্বাস পড়ছে ওর। হঠাৎ দাঁতে দাঁত চেপে রামস্বরূপ বলে ওঠে, অলগ কর উ ঔরতজাতকো!

    উনত্রিশজোড়া চোখ ঝলসে ওঠে কোন এক আদিম প্রবৃত্তির টানে। কয়েকজন বুড়োদের আগলায়। বাকিরা হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে যায় মেয়েগুলোকে দশহাত দূরে, একটা একচালার আড়ালে। অত চিৎকার কান্না বিলাপ ওরা যেন শুনতেই পায় না। কয়েকজনের মুখে ফুটে উঠেছে পৈশাচিক হাসি।

    - উতার কপড়ে ভোসড়িওয়ালিও কি! গর্জে ওঠে রামস্বরূপ।
    ক্ষিপ্র হাতে ওরা টেনে, ছিঁড়ে খুলে নেয় মেয়েদের গায়ের কাপড়। প্রায় বিশ জন উলঙ্গ নারী একে অপরকে জড়িয়ে আড়াল করতে চায় তাদের নগ্নতা। হা হা করে হেসে ওঠে দেশপ্রেম।

    উরানি এতক্ষণ নিজেও ওই আতঙ্কে সব ভুলে গেছিল। কিন্তু এবার, হঠাৎ সে ওই বিশজোড়া হাতের ঘেরাটোপ থেকে তীরবেগে ছুটে বেরিয়ে আসে। ওর লক্ষ, তিরিশ গজ দূরে জঙ্গলের রেখা।

    - পকড় উ রন্ডিকো!
    ভর্তির পরীক্ষায় ১৪ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়েছিল সরজু। জঙ্গলের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারল না উরানি।

    গালের ওপর ভারি বুটটা চেপে বসেছে। মাটিতে পড়ে সব শুনছে উরানি।
    - এক এক জনাকে চুঁচি দবাকে দেখ বেহনচোদ দুধ নিকলতা হ্যায় কি নহি। বশিষ্ঠসাব বোলে নহিঁ, ই মাওবাদী ঔরতে শাদি নহি করতে। দবা জোরসে!
    বিরহা'র বৌটা ককিয়ে উঠল। উরানি চোখ বন্ধ করে ফেলে। বাঁজা তো, দুধ হবে কী করে!
    একই প্রশ্ন। আবার। আবার। কাকে চেনে? কোথায় ওদের ঘাঁটি?
    উরানি জানে এবার কী হবে। একজন শুরু করবে। তারপর বাকিরা। ভুখা ভেড়িয়াকে মাফিক!
    হঠাৎ একটা চিল চিৎকারে চমকে ওঠে ও। সীতা! ও কোথায় ছিল এতক্ষণ!

    সীতা উরানির কাছে জলপাইদের অনেক গল্প শুনেছিল। তাই আজ সবার আগে পালিয়েছিল জঙ্গলে। কিন্তু বেশি দূর যায় নি। নিরাপদ দূরত্ব থেকে দেখছিল সব। কী একটা অজানা আকর্ষণ যেন আটকে রেখেছিল ওকে।
    যে দলটা বুড়োদের আগলাচ্ছিল, তাদেরই একজন ওকে লক্ষ করে চুপিসাড়ে গিয়ে ধরে এনেছে।

    সীতার গায়ের জামাটা দুফালা করে ছিঁড়ে ফেলল একজন। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে সীতা। চুলের মুঠি ধরে ওকে ঘোরানো হল সবার সামনে।
    একই প্রশ্ন। আবার। মাথা নাড়ে সীতা। কাঁদছে। উরানি দেখে ওর নাক দিয়ে জল গড়াচ্ছে।

    অরজা বাড়ন্ত শরীরটার দিকে তাকিয়ে অতগুলো বুভুক্ষু চোখ। এগিয়ে গেল একজন। ক্ষিপ্র হাতে উন্মুক্ত হল উদ্ধত পৌরুষ। অসহ্য যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠল মেয়েটা। কেউ একজন হেসে উঠল। তারপর, আরো অনেকে। বেশির ভাগ এখন হাসছে। যেন ওর চিৎকার, গোঙানোর শব্দ ঢাকা দিতেই আরো জোরে হাসছে। ওদিকে, পরের জন তৈরি হচ্ছে।

    হঠাৎ, গুলির শব্দ! আর তারপর, শুধু কান ফেটে যাওয়ার মত নীরবতা।

    সে নীরবতাকে খান খান করে দিল রামস্বরূপের কর্কশ সন্ত্রস্ত কন্ঠস্বর।
    - বুড়বক! সালা চুতিয়া! গোলি কিঁউ চলায়া?

    রামস্বরূপ এগিয়ে এসে সরজুর হাত থেকে রাইফেলটা ছিনিয়ে নেয়। সরজু তখনো একদৃষ্টিতে মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে। কী অদ্ভুত মিল! অবিকল অনিতার মুখ বসানো! মাথার পিছনটা উড়ে গেছে কিন্তু মুখটা এখনো একইরকম রয়েছে। শুধু দুই ভুরুর ঠিক মাঝখানে ছোট্ট একটা গর্ত। একটা সরু কালচে রেখা ধীরে ধীরে নামছে।

    চোখ ঢেকে বিদায় নেন সূর্যদেব।
    রাত্রি নামে। নীরবে।
    অষ্টবসুরা তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ একটা নাম-না-জানা তারা খসে পড়ল, কোথায় কে জানে।

    বাস্তার।
    অভিশপ্ত অরণ্য।
    অভিশপ্ত দেশ।

    -সমাপ্ত-
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৫ জুলাই ২০১৬ | ১৪৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.221.20 (*) | ২৬ জুলাই ২০১৬ ০৩:২৫58391
  • ভালো লেগেছে দারুণ লেগেছে জাতীয় কথা বলবার মত নয় এই লেখা।
    আরো লিখুন অনেক লিখুন।
  • aranya | 154.160.5.103 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৬ ০৩:২৭58392
  • অভিশপ্ত বাস্তার। মাটির নীচে অত খনিজ সম্পদ যদি না থাকত ..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন