এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভিটের টান

    Malay Bhattacharjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৭৬৭ বার পঠিত
  • ভিটের টান
    **********

    (১)

    দাঁতে দাঁত চেপে বসেছিল অর্ক সেন। তাজ বেঙ্গল হোটেলের ক্রিস্টাল হলে বাণিজ্য জগতের রথী মহারথীদের ভিড়। কে নেই আজ এই সভায়? ইমামির গোয়েংকা, আগারবাল, আম্বুজার হর্ষ নেওটিয়া, বন্ধন ব্যাংক এর এম ডি, বিক্রম সোলার এর এম ডি, অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র..... মানে সারা বাংলার বাণিজ্য জগতের "হু ইজ হু" সবাই আজ উপস্থিত। ইকনমিক টাইমস আর বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এর যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছর এই অনুষ্ঠান টি করা হয়। সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানকারী সংস্থা, সর্বাধিক লাভকারী সংস্থা, সর্বাধিক সামাজিক দায়িত্ববান সংস্থা,সেরা অর্থনৈতিক পারফর্মেন্স... ইত্যাদি নানা বিভাগে পুরষ্কৃত করা হয় বাংলার বাণিজ্যিক সংস্থা গুলি কে। এক মাস আগেই খবর টা এসেছিল। এবছর টুটুলের সংস্থা অনুমোদিত হয়েছে, একত্রে আরো পাঁচটি সংস্থার সাথে। অন্তিম ফলাফল ঘোষণা হবে আজ এই অনুষ্ঠানে। নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই পৌঁছে নিজের নির্ধারিত স্থানে বসে অপেক্ষা করছিল অর্ক সেন। চারিদিকে আলোর ঝলকানি, নিউজ মিডিয়ার ভিড়.... অপেক্ষা নিরন্তর লাগছিল অর্ক সেনের মানে আমাদের টুটুলের কাছে।

    (২)

    সকাল থেকে সারা বাড়ি গমগম করে। দাদু উঠে পড়ে অনেক ভোরে। টুটুলেরও ভোরে স্কুল। সক্কাল সক্কাল উঠে পড়তে হয় ওকে। মা দাঁত মাজিয়ে এক গ্লাস হর্লিক্স হাতে ধরিয়ে দাদুর কাছে দিয়ে আসে। এটা টুটুলের রামায়ণ পড়ার সময়। দাদুর কোলে বসে একটা হর্লিক্স এর গোঁফ বানিয়ে হা করে দাদুর থেকে রামায়ণ শোনে টুটুল। আবছা আবছা কতগুলো চরিত্র তাদের ভার্চুস, ন্যায় বিচার, সুশাসন, পিতার প্রতি সম্মান, ভ্রাতার প্রতি প্রেম,বীরত্ব আবার বানরসেনার দলগত পরিশ্রম নিষ্ঠার গল্প গুলো রোজ একটা একটা করে অধ্যায় গিলে খায় টুটুল হর্লিক্সের সাথে। রাম রাজার রাজত্বে সবাই সমান,সবাই শান্তিতে,সবাই খুশিতে আছে জেনে দাদুকে একটা হামি দিয়ে তারপর নিচে নামে টুটুল।

    নিচে তখন ঠাম্মার হুকুমৎ। কয়লা ওয়ালা এসেছে কয়লা নিয়ে। ওজন করে উঠোনে কয়লাঘরে কয়লা রাখছে। জেঠিরা,মা, সবাই ঘোমটা দিয়ে দাঁত মেজে মুখ ধোয়াধুয়ি চলছে। আজকে বাজারের ভার মেজ কাকুর। দাদুর করা লিস্ট হাতে দাঁড়িয়ে আছে। দাদু আনা,সিকি,নয়া পয়সা গুনে হাতে দিলেই, কাকু দৌড়বে বাজারে। জেঠিরা আলাদা লুকিয়ে পয়সা এবং উৎকোচ দেবে কাকুকে, পান দোক্তাপাতা আনতে। ঠাম্মা এরপরেই পুরো টিম নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকবে। ঘুঁটে,কয়লা তে উনুন ধরানো হবে। টিমের ক্যাপ্টেনের মত নির্দেশ আসবে ঠাম্মার "দীপ্তি তুমি চাল টা ধুইয়া দাও, সীমা, তুমি শিলনোড়াটা লইয়া শুকনা লংকাটা বাইট্যা রাখো, আর আমার অফিস যাওন বউ, তোমার তো আবার ভারি তাড়া। অফিস কইর‍্যা ধন্য করতাস আমাগো। তুমি বরং আলুটা কাইট্যা রাইখ্যা আসো গিয়া"। মা রোজের মত, ঘোমটা আরেকটু টেনে, অফিস যাওয়ার সংকোচ যতটা পারা যায় জা দের কাছে লুকিয়ে বঁটি আর আলুর ঝুড়ি নিয়ে বসে পরবে রান্নাঘরের এক কোণে।

    (৩)

    "আমাদের যে বাড়িটা লটারিতে পাওয়ার কথা চলছিল, ওটার এলটমেন্ট পেয়ে গেছি।"

    আবাসিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র টুটুল, হাতে মার পোস্টকার্ড টা নিয়ে এটা খুশির খবর না দুঃখের সেটাই বুঝতে পারছিল না। দাদুর ফুল চন্দনে ঢাকা শরীর টা আবছা মনে পড়ছিল টুটুলের। দাদুর শেখানো " একটা কাঠি সহজে ভাঙ্গে, দশটা কাঠি একত্রে অত সহজে ভাঙে না গো নাতি"…

    …কথাগুলো ধীরে ধীরে অবাস্তব লাগা শুরু হয়েছিল টুটুলের, এই বোর্ডিং স্কুলে আসার আগে থেকেই। নতুন কাকিরা আসার পর থেকেই ওই ছোট্ট মনেও ভাঙ্গনের দাগ বসে যাচ্ছিল একটু একটু করে। কি নিয়ে জেঠু,বাবা,কাকু রা ঝগড়া করতো, তাই বুঝতো না। কাকুদের কে জেঠি, বড়দা মেজদার মতই দেখতো। সেই ছোট কাকিও যেদিন জেঠির সাথে কি না কি নিয়ে ঝগড়া করলো, তার কিছুদিন পরেই, জেঠি আর জেঠু বড়দা, মেজদা,মেজদি, ছোড়দাকে নিয়ে অন্য বাড়িতে চলে গেল। টুটুল খুব কেঁদেছিল সেদিন। দুপুরে জেঠির হাতে ভাত খেতো যে টুটুল। ঠাম্মাও সেদিন দাদুর ফোটোর সামনে বসে বিড়বিড় করছিল :

    "বলতা না, আমার গাধা গুলা গাধা হইতে পারে,কিন্তু জোড় অটুট। দেখতাসো অহন? "

    মায়ের চিঠি টা হাতে নিয়ে থমকে গেছিল টুটুল। ওর উঠোন টা, ভাঙ্গাদরজার পাশে মিটার ঘরে টুলি আর ওর সাত টা বাচ্চা, ওর মহুয়াগাছ, খেলার মাঠ, দাপাদাপির পচা পুকুর টা, ওর একলা দুপুর গুলো, ওর বেতাল, ম্যান্ড্রেক, নন্টে ফন্টে, বাঁটুল, ওর " বুরুন তুমি অংকে তেরো" সব কিছুই তো ওখানে। ঐ বাড়ি, ওই বন্যায় ভেসে আসা লেকের জলে থৈ থৈ তে দাদুর ঘরে সবাই মিলে খিঁচুড়ি, দিনরাত দাদা দিদিদের সাথে দক্ষযজ্ঞ সব, সব কিছু থেকে নাড়ি কেটে নিয়ে এ কি চিঠি এল মায়ের!!

    (৪)

    কদিন আগেই ওই বাড়িতে গেছিল। ভুতের বাড়ি বললেও কম ই বলা হয়। চারিদিকে আগাছা, জঙ্গল। কেউ থাকে না, অথচ সবাই নিজের নিজের ঘরে একটা করে তালা মেরে রেখে অধিকার রেখে গেছে। কয়েকবছর আগে পর্যন্ত ঠাম্মা ছিল। বহুবার বলা সত্বেও পাকাপাকি ভাবে কোন ছেলের কাছেই থাকে নি ঠাম্মা। দশদিন থাকতে না থাকতেই ঐ বাড়িতে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে উঠতো ঠাম্মা। বিকেলে সময় পেলে ঠাম্মার কাছে গিয়ে বসতো টুটুল। কত্ত স্মৃতি নিয়ে মানুষটা ওই বাড়ি আঁকড়ে পরেছিল, সেইসব গল্প শুনতো। টুটুলের প্রেমের খবর ও কানে গেছিল ঠাম্মার। " নাত বৌ রে লইয়া আয় একদিন, তর বিয়া পর্যন্ত বাঁচি, কি না বাঁচি।" ঠাম্মার কাছেই শুনতো টুটুল, ঠাম্মার যখন বিয়ে হয়, তখন ঠাম্মার বয়স বোধহয় ছয়, কি সাত, কি বড়জোর দশ। দাদু তখন কুড়ি বছরের লম্বা চওড়া যুবক। বিয়ের পর কনেবিদায়ের দিন, ঠাম্মা নাকি তখনো বোঝে নি ঠাম্মার বাড়ি, ঠাম্মার খরগোশ, সব সইদের ছেড়ে চলে যেতে হবে। রোজ বিকেলের মত সইদের সাথে কিৎ কিৎ খেলায় মেতেছিল। প্রায় জোর করেই, দাদু ঠাম্মাকে কোলে নিয়ে বিদায় নেয়। তারপর সংসার, জেঠু, বাবা, কাকা, পিসি রা। দেশ ভাগ, এত গুলো বাচ্চা নিয়ে পদ্মা পার, বদলি জমিতে এই বাড়ির জমি, দাদুর চাকরি, দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শেখানো.....আরো কত গল্প। " মানুষটার জিদ ছিল ভয়ংকর, নিষ্ঠা, সততা, নিয়মানুবর্তিতা না থাকলে ঐ দেশ ভাগের ধকল সামলে এত গুলা বাচ্চা রে বড় করা কি যে সে কথা? যতদিন ছিল, ছেলেরা একটা টু আওয়াজ,করত না। আর আজ কত্ত ছোট ছোট কথায় সব নাড়ী ছিঁড়ে চলে গেল।"

    টুটুলের কানে কথাগুলো চাবুকের মত কেটে কেটে বসে গেছিল সেদিন।

    (৫)

    জায়গাটার উপর লোভ বাড়ছিল দিন দিন। মেট্রো লাইন হবে খবরে, বেশ কিছু মারোয়াড়ী ছোঁক ছোঁক করে ঘুরছিল ভাঙ্গা বাড়িটার আশে পাশে। আর টুটুলের মধ্যে, দাদু ভর করেছিল সেদিন। নিজের ভিটেমাটি কাউকে দেবে না, পণ করে নিয়েছিল। জেঠু, বাবা, কাকা, পিসি সবাইকে নিয়ে প্রায় দুবছর যুদ্ধ চলছিল সবাইকে এক মতে আনার। যখনি কোন অশুভ বিভাজনী চিন্তা মাথা চাড়া দিত, টুটুলের মধ্যে দাদু জেগে উঠতো। কাউকে রেয়াৎ করতো না, জেঠু,বাবা,কাকা,পিসি কাউকে না। ওই জিদের কাছে সবাই থমকে যেত। সমস্ত শরিকি ঝামেলা মিটিয়ে, বাড়িটা নতুন করে তৈরি করার কাজ শুরু করেছিল মাত্র, সেই সময় এই ট্রান্সফার অর্ডার। ট্রান্সফার অর্ডার টার কথা কয়েকমাস ধরেই হাওয়ায় ভাসছিল। ওদের ডিপার্টমেন্ট টাই পুরো বেঙ্গালুরু তে নিয়ে যাবে। আসল উদ্দেশ্য, তেমন লাভজনক ব্যবসা না করতে পারা ডিপার্টমেন্টের ভারি কিছু মাথা ছেঁটে ফেলা, যারা এই বয়সে বড় বড় ছেলে মেয়ের পড়াশোনা কম্প্রোমাইজ করে কলকাতা ছেড়ে যাবে না। অর্ক সেন বরাবর ই ম্যানেজমেন্টের ব্লু আইড বয়। বাচ্চাও একদম ছোট্ট ওর, ঝাড়া হাত পা। গেলে যেতেই পারে।

    জেঠু, বাবা, কাকাদের অবসরের বেশ খানিক টা সঞ্চয় তখন ঢুকে গেছে এই প্রজেক্টে। যে যার মত আলাদা ভাড়া বাড়িতে বা কেনা বাড়িতে চলে গেছে। পৈতৃক এই ভিটে বাড়িতে তাদের সঞ্চয়ের টাকা জলে দিয়ে টুটুল নিজের ছোট্ট পরিবার নিয়ে অন্য শহরে চলে যাবে, ভাবতেও পারছে না।

    ( ৬)

    সূযোগটাও এসেছিল হঠাৎ করেই। একটা স্টার্ট আপ ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম কে শৈশব থেকে বড় করে তোলার চ্যালেঞ্জ। বাড়ির সবার প্রবল আপত্তিতে কান দেয়নি অর্ক।

    বিশাল মাল্টিন্যাশনালে চাকরির সমস্ত গ্ল্যামার, সুখ, সুবিধা ছেড়ে মাত্র দুজন সহকারী নিয়ে কোম্পানি তৈরি করার লড়াই এ ঝাঁপ দিয়েছিল অর্ক।

    নিজের পূর্ব পুরুষ, নিজের মাটির, নিজের ভিটের কাছে টুটুলের দায়বদ্ধতা একদিকে, আরেকদিকে অর্কর নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। কোম্পানি দাঁড় করানোর লড়াই। দিন নেই রাত নেই অক্লান্ত পরিশ্রম, লাল, নীল সবুজ, হায়নাদের বিরুদ্ধে একলা লড়াই। দেখতে দেখতে কেটে গেছে পনেরোটা বছর। ভিটে বাড়িতে চারতলা মাল্টিফ্ল্যাট বাড়ি হয়েছে। কাকা, জেঠা রা সবাই ফিরেছে নিজের মাটিতে,নিজের বাড়িতে। কোম্পানির ফ্যাক্টরি হয়েছে অর্কর তত্ত্বাবধানে, সেখানেও কাজ করে বেশ কিছু মানুষ। ব্যবসা বেড়েছে বহুগুণ। তৃপ্তি তো ছিলই, আজ তাজ বেঙ্গলের ক্রিস্টাল হল এ বসে ফ্ল্যাশ ব্যাকের মত ছবি গুলো সরে সরে যাচ্ছিল টুটুলের চোখের সামনে দিয়ে।

    (৭)

    এন্ড দি এওয়ার্ড গোস টু........

    ইয়েসসস করে চিৎকার করে উঠলো অর্ক সেন। পনেরো বছরের সাধনার ফল.... আজ ওর কোম্পানি " সেরা অর্থনৈতিক পারফর্মেন্স" এর জন্য নির্বাচিত। চারিদিকে ফ্ল্যাশ লাইটের ঝলকানি, দৃপ্ত পদক্ষেপে স্টেজে উঠে অর্থমন্ত্রীর হাত থেকে এওয়ার্ড টা নেওয়া, ছোট ছোট ইন্টারভিউ, আর তারপর পার্টি, আকন্ঠ মদ্যপান।

    ফোনে স্ত্রীকে খবর টা দিয়ে দিয়েছিল। ওরা অবশ্য টিভি তে লাইভ টেলিকাস্ট এ আগেই খবরটা পেয়ে গেছিল। গাড়িতে বসে চোখ টা লেগে এসেছিল অর্ক সেন এর।

    উঠোনে গোল করে বসে থাকা দাদু, ঠাম্মা, জেঠু, বাবা, কাকারা, জেঠিরা..... সামনে টুটুল....

    সদ্য স্কুলের আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আসা কবিতাটা শোনাচ্ছিল টুটুল

    "নমস্কার, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের......

    ছিপখান তিনদাঁড়,
    তিনজন মাল্লা..... দাদুর কোলে তুলে আদর, অজস্র হামি, সবার হাততালি..."

    "স্যার, বাড়ি এসে গেছে"

    ড্রাইভারের ডাকে চোখ খুললো অর্কর। বাড়ির সব কটা ফ্ল্যাটে বারান্দায় আলো। ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে জেঠা,জেঠিমা,বাবা,মা, কাকা,কাকিমা, দাদা বৌদিরা.... দাদুর নামের ফলক টা জ্বলজ্বল করছে বাড়ির মাথায়। টুটুল আজ এই মায়াময় সন্ধ্যায়, চাঁদের আলো তে সারা শরীর ধুতে ধুতে দাদুর প্রত্যেক টা হামি মেখে নিচ্ছে গালে আর তালিতে ভরে যাচ্ছে বারান্দা গুলো......

    মলয় ভট্টাচার্য

    ২৩.০৮.২০১৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৭৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam | 213.132.214.86 (*) | ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫২61646
  • বাঃ!
    পড়তে পড়তে যেন বিভুতিভূষণের "আদর্শ হিন্দু হোটেল" এর কথা মনে হচ্ছিল - হেরে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া ই শেষ কথা নয় - সমস্ত ক্ষুদ্রতাকে কাটিয়ে, না হারবার দৃঢ় জেদে আর শুভ ইচ্ছার প্রেরণায় জ্বলজ্বলে অর্ক সেন - হাজারি ঠাকুরের মতই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন