এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সামান্থা ফক্স

    Malay Bhattacharjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ | ১৯২২ বার পঠিত
  • সামান্থা ফক্স

    চুপচাপ উপুড় হয়ে শুয়ে ছবিটার দিকে তাকিয়েছিলাম। মাথায় কয়েকশো চিন্তা।হস্টেলে মেস বিল বাকি প্রায় তিন মাস। অভাবে নয়,স্বভাবে। বাড়ি থেকে পয়সা পাঠালেই নেশাগুলো চাগাড় দিয়ে ওঠে। গভীর রাতের ভিডিও হলের চাম্পি সিনেমা,আপসু রাম আর ফার্স্ট ইয়ার কোন এক শক্তপোক্ত ছানার হাতে ফাইন করে বেটে দেওয়া গাঁজা। মাসের সাত দিনের মাথায় বাড়িতে পোস্ট কার্ড, " পড়াশোনার চাপ বেড়েছে, একটু দুধ ডিমান্ড করিতেছে মগজ, ক্যাম্পাস এর মধ্যেই ভজুয়ার গরুর চাষ আছে। ওর তিনটি গরু এবং একটি পাতকুয়া সমগ্র ক্যাম্পাস এ মাসে মাসে সক্কলকে বিশুদ্ধ দুধ বিতরণে সক্ষম। আমার নামটি ভজুয়ার লিস্ট এ আপনাদের আশীর্বাদ পাইলেই ইনক্লুড করা যায়। প্রনাম নিবেন"।

    পার্ট ফোর পরীক্ষার আর দশ দিন ও বাকি নেই। সেরকম ভালো হাতের লেখা ওয়ালা একটা ছেলেকেও পাইনি এখনো ফার্স্ট ইয়ার এর যাকে দিয়ে চোথা গুলো লিখিয়ে রেডি করাবে। "ইঞ্জীনিয়ারিং ইস নাথিং বাট কমন সেন্স", এল এন্ড টি র বড় সাহেব মেসোর বলা অনেক গুলো জ্ঞ্যানের কথার মধ্যে এই একটা কথাই মনে ধরেছি। পোচ্চুর কমন সেন্স আছে তাই পড়াশোনার পিছনে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ঠ করিনি, করবও না ঠিক করেছি।

    টাউন এ একটা টিউশন যোগাড় হয়েছে। মাস গেলে একশ টাকা পাই। কপালের জোর আছে ব্যাটার। এই শহরে তিন ডিজিট এ টিউশন ফি সহজ কথা নয়। তা সেই ছাত্রীটি আরো সরেস। ইতিহাস এবং অংক এক ই ভাবে বুঝতে এবং পড়তে পছন্দ করে। মুখস্থ করে। ফল যা হবার তাই। প্রথম দু মাস কোনদিন ফল,কোনদিন লুচি তে বিকালের টিফিন টা জমিয়ে হচ্ছিল। সেই কন্যার হাফ ইয়ারলীর অংকের নম্বর দেখে মাসিমা আজকাল নিজে আসেন না।কাজের লোকের হাতে এক কাপ চা আসে শুধু। এই ফ্রীঞ্জ বেনিফিট উইথড্র হওয়ায় যৎপরোনাস্তি বিরক্ত হয়ে আছি।

    এর মধ্যে আবার গোদের উপর বিষ ফোঁড়া, এই মাসে ৩০০ মেম্বার এর মেস চালানোর দায়িত্ব আমার।টাউন এ দুই পলিটিকাল পার্টির ক্যালাকেলিতে বন্ধ এর অবস্থা। সব সাপ্লাই বন্ধ হস্টেল এ। চাল, ডাল, আলু,পেঁয়াজ এর মত বেসিক মাল কিছুদিনের মত আছে। নেই যেটা সেটা হল উনুন জ্বালানোর কাঠ। সে কি এইসা ওইসা উনুন ? এই ভয়ানক ক্রাইসিস থেকে উদ্ধার পেতে মেস এর হত্তা কত্তা আমি অফিসিয়ালি চিঠি নিয়ে প্রিন্সিপাল এর সাথে দ্যাখা করেছি। চিঠিতে অনুরোধ লেখা আছে হস্টেল এ অব্যাবহৃত কয়েকটি খাট, কুড়ুলের অভাবে, সমস্ত রকম সুরক্ষার দিকে নজর রেখে, চার তলা হস্টেল এর ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া মনস্থ করেছে ছাত্রসংসদ। তারা নিশ্চিত, এভাবে ফেলে দিলে যে রকম সাইজ এর টুকরো হবে সেগুলি ওই উনুনে ভালো ভাবেই ফিট করে যাবে। তা প্রিন্সিপাল মহাশয় এর সাদর অনুমতি পেলেই দুবেলা অন্ন মুখে তুলে দেওয়া যাবে এই ৩০০ আবাসিকের।

    প্রিন্সিপাল মহাশয় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় নিজের কোয়ার্টার এ চলে গ্যাছেন। কোন সিদ্ধান্ত দিয়ে যান নি। তবে কলেজ এর অফিস পিওন এর ভিতরের খবর। উনি নাকি আমার ফাইল সাথে করে নিয়ে গ্যাছেন।

    এর মাঝে আবার পাশের পলিটেকনিক কলেজের হস্টেল আবাসিক দের (পল্টু বলতাম আমরা)সাথে ভয়ংকর মারামারিতে সন্ধ্যের অন্ধকারে তিস্তা ব্রীজ এর উপর নিজের ইঞ্জীনিয়ারিং T স্কেল টি ভেংগে নিয়ে ফিরেছি। ওটার মাথার T এখন অবলুপ্ত। "পল্টুর একটা মালের মাথা ফাটিয়েছি" বলে কেত মারতে মারতেই আমার নিজের রুমমেট রক্তে ভেজা মাথা নিয়ে হস্টেল এ ঢুকে সব্বাই কে জানিয়েছে পল্টুর ছেলেরা অলিখিত নিয়ম ভেংগে T স্কেল নিয়ে সশস্ত্র লড়াই করছে। আজ এমনি একটি T স্কেল এর বাড়িতে তার মাথা ফেটেছে। অন্ধকারে ও চিনতে পারেনি কিন্তু এর পর আমাদের ও সশস্ত্র ক্যালাকেলির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এটা শোনার পরে আমি আরো গুম মেরে রয়েছি।

    সবমিলিয়ে এক ক্যাডাভ্যাস্কারাস অবস্থা। ঠিক এই ধরণের সময়গুলোতে আমি এই ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকতে বড্ড ভালোবাসি। গত মাসের টিউশনের পয়সা থেকে পনেরো টাকা বাঁচিয়ে অনেক সাধের এই পোস্টার টা কিনে এনে হস্টেলের ঘরের দেওয়ালে লাগিয়েছি। সোনালী চুলে অদম্য বাসনার ঢেউ, ঘন নীল চোখের মনি গুলোতে ক্যারিবিয়ান সাগরের সুগভীর নীল আমন্ত্রন, পুরুষ্ঠ অধরে গোলাপের মাদকতা, সরু গ্রীবা বেয়ে পিছলে নেমে এসে ক্ষীন বসনাবৃত উদ্ধত বক্ষযুগল। এ এক স্বপ্নপরী। সামান্থা ফক্স। এই পোস্টার টাই আমার জৈষ্ঠ্যের চ্যাটচ্যাটে জীবনে দমকা মাতাল করা বৃষ্টি, ক্যান্টিলিভার ডিজাইন এর কঠিন প্রশ্নপত্রের উত্তরে আন্ডারওয়ার এর বাঁদিকের পকেটে রাখা রেডিমেড চোথা, সব সমস্যার একমাত্র সান্তনা, স্বপ্নসুন্দরী সামান্থা ফক্স।

    ঘন্টা খানেক চুপ করে তাকিয়ে থাকার পরে যখন বুকের চাপ ভাব টা একটু কম বোধ করছে, উঠে বসে একটা লাল সুতোর বিড়ি ধরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি, হঠাৎ বাইরে এক টা হাল্কা গোলযোগের আওয়াজ এ সামান্থার সাথে শুভদৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটল আমার। রুমমেট প্রতাপ হন্তদন্ত হয়ে এসে খবর দিল আমার কাকা আসছেন হস্টেলের নিচেই এই মাত্র রিক্সা থেকে নামলেন, সাথে আরেক ভদ্রলোক লম্বা করে। কাকা ওই শহরেই ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার। মাঝে মাঝেই মুখের স্বাদ বদলানোর জন্য কাকিমার শহরের কোয়ার্টার এ যেতাম। প্রতাপ ও থাকতো কোন কোন দিন।কিন্তু কাকা গত চার বছরে কোনদিন তো হস্টেল এ আসেন নি। আজ হঠাৎ কেন আর কাকেই বা নিয়ে হাজির হলো?
    জানলা দিয়ে হস্টেল এ ঢোকার গেট এর দিকে তাকাতেই দম বন্ধ হয়ে এলো, চারিদিক ঘন অন্ধকার ঘনিয়ে এলো যেনো। গলা শুকিয়ে কাঠ, চারটে পাটিয়ালা পেগ আপসু রাম জল ছাড়া ঢক ঢক করে গেলার জন্য সারা মগজ ড্রাম পেটানো শুরু করে দিলো। বাবা এসেছে। কোন নোটিস না দিয়ে সরেজমিন তদন্তে এসেছে সুদুর কলকাতা থেকে।

    হাতে সময় খুব জোর ৩ মিনিট। বাবা সিঁড়ি ভাংগে এক সাথে দু ধাপ করে। দুতলা উঠতে আর ঘর খুঁজে নিতে এর বেশী সময় লাগার কথা নয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হোল পাপ ধামা চাপা দেওয়ার কাজ। আপসুর খালি বোতল গুলো পিছনের জানলা দিয়ে মাঠে, সারা ঘর ভর্তি পোড়া বিড়ির টুকরো ঝাঁট দিয়ে কাবার্ড এর তলায়।( ঘরে যে একটা ঝাঁটা আছে এই প্রথম দেখলাম।) মশারি টা গত ছমাস রাতের বেলা শুধু চারদিক নামানো হোত। দিনের বেলায় আবার চারদিক উপরে উঠে যেত। দড়ি খোলার প্রয়োজন হয়নি ছ মাস। চার হাতে মশারি খুলে দলা পাকিয়ে বালিশের তলায়। চার বান্ডিল বিড়ি, দেশলাই পাশের ঘরে পাচার করে ফিটফাট হয়ে দাঁড়াতেই বাবার গলার আওয়াজ করিডরের অপরপ্রান্তে। একবার চোখ বুলিয়ে চারিদিক নিরীক্ষন করতে গিয়ে চোখ ঠিকরে বেরিয়ে এলো সেই সামান্থা ফক্স এ। খুব ছোটবেলায় স্কুলের হস্টেলের ওয়ার্ডেন খালি পিঠে বেতের বাড়ি দিয়েছিলেন। সেই বেতের হাওয়া কাটার সপাং সপাং আওয়াজ টা আবার কানে দপ দপ করে উঠলো। প্রতাপ আগেই বলেছিল পোস্টার টা পেরেক মেরে ঝোলাতে। পেরেক মেরে ঝুলিয়েও ছিলাম। কিন্তু হূহূ হাওয়ায় স্বপ্নসুন্দরি একটু বেশী দোলাদুলি করায় বিরক্তি তে ওনাকে দেওয়াল এ আঁঠা দিয়ে আর নিজের হৃদয়ে পার্মানেন্ট করেছি। কিন্তু এবার? বাবা আর সামান্থা এক ঘরে হতে চলেছে আর ঠিক ৩০ সেকেন্ড বাদে। হে সারা বিশ্বের ঈশ্বর, শক্তি দাও, বুদ্ধি দাও, পথ বাতলাও।

    কাবার্ড এর উপর ওটা কি? গোল করে পাকিয়ে রাখা, দু প্রান্তে গার্ডার মারা। ধুলো ঝেড়ে গার্ডার খুলতেই...... আজানু গৈরিক স্বামী বিবেকানন্দ। যোগমায়া স্বর্নভান্ডার এর পয়লা বৈশাখ এর ক্যালেন্ডার। আসার সময় বাবা নিজের হাতে ব্যাগ এ ভরে দিয়ে বলেছিলেন হস্টেল এর ঘরে টানিয়ে দিতে। ঠিক যেমন গোল করে পাকানো এনেছিলো সেইভাবেই পাকিয়ে পড়েছিলো কাবার্ড এর উপর গত গরমের ছুটির পর থেকেই। ক্ষিপ্র হাতে গার্ডার খুলে ওটাকেই টানিয়ে দেওয়া হল স্বপ্নসুন্দরীর পেরেক টা তে টেম্পোরারি প্রোফাইল পিকচার এর মত।আর বলতে না বলতেই বাবার সুদীর্ঘ চেহারাটা দরজা ঠেলে ভিতরে চলে এলো।

    একগাল হেসে, গদগদ ভাবে দুজনেই প্রনাম সেরে উঠে দাঁড়ালাম। কিন্তু এ কি, বাবা এরকম রাগ, বিষ্ময়. বিতৃষনা, ঘেন্না মাখানো দৃষ্টি নিয়ে আমার কাঁধের উপর দিয়ে আমার পিছনের দেওয়াল এ তাকিয়ে আছে ক্যানো?

    দুরুদুরু বুকে মুখটা ঘোরালাম পিছনের দেয়ালে। এত মাসের পাকিয়ে গার্ডার দিয়ে বেঁধে রাখা স্বামীজির ক্যালেন্ডার জাড্য ধর্ম মেনে ঝুলন্ত অবস্থাতেই আবার পাকিয়ে দেওয়াল এই গুঁটিয়ে গ্যাছেন। দেওয়াল এ ওনার সুউন্নত শির, গৈরিক পাগড়ি, দৃপ্ত মুখ, গভীর দৃষ্টি আর গলার পর থেকে পিছলে নেমে এসেছে সেই ক্ষীন বসনাবৃত উদ্ধত বক্ষযুগল, ক্ষীনতর কটিদেশ, রক্তবর্ন বিকিনি পরিহিতা সামান্থা ফক্স।

    আরো বসে আছেন আপনারা এর পর কি হোল জানতে? বলি দয়া মায়া কিছু আছে শরীরে? যান তো মশাই। পাতলা হোন এবার।

    মলয় ভট্টাচার্য

    ২০.০৬.২০১৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ | ১৯২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১০:২৫59963
  • এটা যাস্ট টু মাচ। এইসব পরিস্থিতিতে নওজয়ানদের যেরকম ততপরতা দেখি, তাতে দেশ আরো আগে স্বাধীন হওয়া উচিত ছিলো।

    আপনার তাহলে সামন্থা ফক্স। বেশ।
  • debu | 180.213.19.182 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১১:২৪59964
  • অপুর্ব লেখা
  • Ishani | 167.37.75.153 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৭59970
  • Darun
  • Ishani | 167.37.75.153 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৭59969
  • Darun
  • সিকি | 37.60.124.135 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৩৯59965
  • আহা! জলু। সেই পল্টু, সেই রুকরুকা নদীর ব্রিজ পেরিয়ে পল্টু এলাকায় যাওয়া, আর সেইসব সামান্থা ফক্সের পোস্টাররা - বাচ্চুদার ধাবা থেকে সাপ্লাই আসত।
  • dd | 59.207.57.118 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২১59966
  • বেশ বেশ বেশ।
  • dc | 132.174.121.75 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৮59967
  • এঃ কতো কিছু মনে পড়ে গেল! ঃ)
  • জি | 125.118.217.233 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৬59968
  • হা হা! দুর্দান্ত দুর্দান্ত
  • বিপ্লব রহমান | 47.111.233.211 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৬59971
  • আহ সামান্থা! :ডি
  • Malay Bhattacharjee | 52.110.198.42 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:২০59972
  • সবাইকে ধন্যবাদ
  • Titir | 138.210.107.26 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৫৬59976
  • দারুন, দারুন!
  • kiki | 185.100.20.234 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:২০59973
  • অ! ঐজন্যই আমাদের শত বলা সত্ত্বেও ছেলেদের ঘর পর্যন্ত যেতেই দিল না। তাও আবার স্বয়ং কালেজ কতৃপক্ষ। যত্তসব...............
  • de | 69.185.236.52 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:৫৬59974
  • ঃ)))

    মেয়েদের ঘরে মায়েদের যেতে দেয় - সেখানে পোচ্চুর সিক্স-প্যাক, এইট প্যাক দেখা গেলো -
  • kiki | 185.100.20.234 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:১৬59975
  • দে,
    ঃ))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন