এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অ্যাপ্রেজাল

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৭০৪ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • বছরের সেই সময়টা এসে গেল – যখন বসের সাথে বসে ফর্মালি ভাঁটাতে হবে সারা বছর কি ছড়িয়েছি এবং কি মণিমুক্ত কুড়িয়েছি। এ আলোচনা আমার চিরপরিচিত, আমি মোটামুটি চিরকাল বঞ্চিতদেরই দলে। তবে মার্ক্সীস ভাবধারার অধীনে দীর্ঘকাল সম্পৃক্ত থাকার জন্য বঞ্চনার ইতিহাসের সাথে আমি প্রবলভাবে ফ্যামিলিয়ার। সেই ভাবধারার অনেক কিছু ভুলে গেলেও মূল সারবস্তু মাথায় গেঁথে আছে – “নিজের অবস্থার জন্য সর্বদাই পরকে দায়ী করবে, তুমি না টের পেলেও জানবে যে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত সবসময় তোমার মাথার উপর ঘুরপাক খাচ্ছে”। সেই আমি যখন ক্যাপিটালিষ্ট দেশের কম্পানীর চাকুরী করতে ঢুকলাম তখন বঞ্চনা যে আমাকে তাড়া করবে তাই নিয়ে বিশেষ অবাক ছিলাম না।

    বসের সাথে আমার আলোচনার আউটকাম হল গিয়ে ফুটবল খেলায় বিপক্ষের বক্সে পেনেল্টি আবেদনের মত। যদি আমার ডাকে রেফারি সাড়া দেয় তা হলে আমার দাবী ন্যায্য ছিল মনে হবে। আর যদি আমার ডাকে সাড়া না দেওয়া হয় তা হলেও আমার দাবী ন্যায্য ছিল, ওই বদখত, নন-কমপিটেন্ট রেফারির জাজমেন্ট বেফালতু। নিম্নলিখিত পারমুটেশন – কম্বিনেশান মূলত আমার জীবন জর্জরিত করে চলেছে প্রতি ডিসেম্বরঃ

    এক)

    আমি জানি যে আমাকে ফাউল করা হয় নি - আমি ডাইভ মেরেছি, পেনেল্টি আমার প্রাপ্য নয়। সেটাই রেফারি জানালেন, আর আমি মাথা পেতে মেনে নিলাম ভদ্রসন্তানের মত। আড়চোখে দেখে নিলাম যে হলুদ কার্ড পকেট থেকে বের করতে চলেছে নাকি রেফারি। সে তেমন কিছু করল না, কেবল সামনে এসে কড়া চোখে বলল, দুষ্টুমি করো না, আর এমন করলে টের পাবে। আবার খেলায় ঢুকে পড়লাম।

    দুই)

    আমি বিলক্ষণ জানি যে আমাকে ফাউল করা হয় নি – বল কন্ট্রোলের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল, আমার আর কিছু করার ছিল না। আমি ডাইভ মেরে দেখলাম যে রেফারি কি বলে, মানে রেফারীর বাই-ইন আছে কিনা। পেনেল্টি পেলে ভালো, না পেলেও ঠিক আছে। রেফারি চালাক, সে কেস বুঝতে পেরেছিল, আমাকে দিল হলুদ কার্ড দেখিয়ে দুম করে।

    দুই – অ) আমি মাথা পেতে মেনে নিলাম ভদ্রসন্তানের মত। মৃদু হেসে খেলায় ঢুকে পড়লাম।
    দুই – আ) আমি ফোঁস করে উঠলাম। এই সামান্য ব্যাপারের জন্য হলুদ কার্ড? পেনেল্টি দিলেন না ঠিক আছে, কিন্তু তা বলে হলুদ কার্ড দেখিয়ে
    ইনসাল্ট! ফোঁস ফাঁস চলতে থাকল।

    তিন)

    বাকি সবাই দেখছে যে ওটা পেনেল্টি নয়, কেবল আমিই যুক্তি দিচ্ছি সেটা নিদারুণ পেনেল্টি বলে। মানে ওর থেকে ডেফিনিট কেস বেশী কিছু হয় না বলে। কেউ আমাকে লেঙ্গি মারে নি, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, পিছনে থেকে কেউ ল্যাঙ মেরেছে আমাকে। হাইপোথেটিক্যাল ল্যাঙ! আমি খেলায় ঢুকলাম, কিন্তু খেলা চলাকালীন মাঝে মাঝেই রেফারির কাছে গিয়ে নালিশ করতে থাকলাম। “একটু চোখ কান খোলা রাখুন”, “আমার কিন্তু ছড়াবার হিষ্ট্রি নেই – ছোটবেলা থেকেই” ইত্যাদি ইত্যাদি।

    চার)

    সবাই দেখছে ওটা পেনেল্টি, এমনকি আমার বিপক্ষও মনে মনে জানে আমি পেনেল্টির হক দাবীদার। কিন্তু রেফারী দিলেন না। আমি হত-চকিত, বিষ্মিত –

    চার – অ) আমি কি বলব বুঝতে পারছি না। আমি মার্ক্সীস ভাবধারার অধীনে থাকলেও কর্মফলে বিশ্বাস করি, তাই হালকা করে রেফারীকে বললাম
    যে, আপনি কি সত্যিই জানেন না যে আপনি ভুল করছেন? ভগবান যা ভালো বুঝবেন করবেন।

    চার – আ) এ হতে পারে না, এ হতে পারে না বলে আমি মাথা নাড়াতে লাগলাম। রেফারির খুব কাছে গিয়ে জোর গলায় অনেক কিছু বললাম, মাঠের
    সাইডলাইনের মাইক্রোফোনেও সেই উতপ্ত বাক্য বিনিময় ধরা পড়ল। নিউট্রাল দর্শক মজা নিল।

    পাঁচ)

    আমি কি ছড়িয়েছি সেটা রেফারী ঠিক বুঝতে পারছে না। অনেকটা দূরে ছিল ঘটনা থেকে বা একটু অফ-পজিশনে ছিল রেফারী। তাই সে গ্যাছে লাইন্সম্যানের সাথে আলোচনা করতে। আমিও চললাম পিছু পিছু – আমাকে বলা হল দূরে থাকতে, কিন্তু আমি বারবার আলোচনায় ঘুঁসে পড়ছি। বলছি, ওদের দলের মুকুন্দকে যদি পেনেল্টি দেওয়া হয়, তা হলে আমাকে কেন দেওয়া হবে না? আর তা ছাড়া ঘুঁতো, খ্যাপা, কেষ্ট –এরাও তো অনেক পেনেল্টি পেয়েছে এর থেকেও কম ফাউলে!

    ছয়)

    এই পেনেল্টির আবেদন তত জোরালো ছিল না, আমি করতে হয় করেছি। কীর্তনের মাঝে হরি হরি বলার মত। কথায় বলে আশায় মরে চাষা। কিন্তু কোন কারণ বশতঃ রেফারী রঙ জাজমেন্ট দিল – আমি অবাক হয়ে দেখলাম যে আমার আবেদনে সাড়া দেওয়া হয়েছে! তখন আমার কেস জোড়দারের জন্য আমার পায়ে যে চোট একদমই লাগে নি সেই চোট নিয়ে বসে বসে অনেকক্ষণ রগড়ালাম এমনকি খানিকক্ষণ খুঁড়িয়েও হাঁটলাম।

    বঞ্চিত হয়েও খেলার সময় মাঠের ভিতর আর বেশী কিছু করতে পারি নি। হাফ-টাইমে ডেসিংরুমে ফেরার সময় চট করে রেফারীর পাশে চলে এসে মুখের কাছে হাত চাপা দিয়ে বললাম (নিজের মুখে চাপা দিয়ে – তবে মুখে গন্ধের জন্য নয়, যাতে অন্য কেউ লিপ রিডিং করতে না পারে) –

    -এটা কি হল বস?
    -কেন কি হল আবার?
    -আমার ডেফিনিট কেসটা এই ভাবে নাকচ করে দিলেন? এর থেকে জোরে আর কিভাবে পড়ব পেনেল্টি বক্সে?
    -শুধু জোরে পড়লেই তো হবে না, কায়দা (পড়ুন সফিস্টিকেটেড) করে পড়তে হবে। তোমার পড়ার মধ্যে সেই কায়দাটাই তো ছিল না!
    -আরে ল্যাঙ মেরেছে পড়ব, এর মধ্যে আবার কায়দা আসবে কোথা থেকে?
    -এটাই তো তোমার সাথে মুকুন্দ-র পার্থক্য। তুমি কি দ্যাখো নি মুকুন্দ কি সুন্দর পড়লো? আমি তো কোন ছাড় অমন পড়া দেখলে, যে কোন রেফারী পেনেল্টি দেবে
    -কিন্তু ওকে তো কেউ টাচই করে নি! ওমন ভাবে পড়ল কি ভাবে?
    -বুঝতে পারছ তো তোমার সাথে পার্থক্যটা নিজেই? কি ভাবে পড়া যায় সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হয়।
    -অতো জোরে ছুটছিলাম – আর তা ছাড়া বিপক্ষ কেমন ট্যাকেল করবে সেটা তো আমি আগে থেকে হাত গুণতে পারি না! যেমন আমাকে আটকানো হবে আমি তো শুধু সেই গুলোকেই পেরেবো নাকি?
    -ভাবো, ভাবো – ভাবা প্র্যাকটিশ করো।

    সেকেন্ড হাফের খেলায় আমি চেষ্টা দিলাম সফিস্টিকেটেড ভাবে পড়ে গিয়ে পেনেল্টি পেতে – কিন্তু হায়, পেনেল্টি তো পেলাম না, বরং হলুদ কার্ড! এবার লেখার শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরতে ফিরতে –

    -এবার এটা কি হল বস? কত ভেবে চিন্তে কায়দা করে পড়লাম!
    -তোমাকে তো পড়াশুনা করা শিক্ষিত ছেলে বলেই জানতাম। ‘সম্পর্ক’ কি জিনিস জানো?
    -তা জানবো না কেন?
    -তাহলে নিশ্চিয়ই এটা জানো যে সম্পর্ক তৈরী করতে হয়। শুধু তৈরী করলেই হয় না, টিকিয়েও রাখাতে হয়।
    -হুঁ, তা তো বটেই
    -হুঁ হুঁ করছো বটে, কিন্তু যদি সত্যি বুঝতে তা হলে জানা উচিত ছিল যে সারা বছর পোঁদ ঘুরিয়ে থেকে, আর সিনিয়র হিসাবে সম্মানও তো দাও না, তপার দোকানের সামনে সিগারেট একটু লুকিয়ে নিলাম, সেই সবও তো কিছু নেই! এমন করে সোম বচ্ছর কাটিয়ে মাঠে খেলার সময় চিৎ হয়ে পড়ে, এটা ন্যায্য পেনেল্টি, আলবাত পেনেল্টি, এমন বেমাক্কা চেঁচালেই হয় না!
    -তো আমাকে কি করতে হবে? আপনার সাথে তো আমি প্রকাশ্যে তাড়ি খেতে যেতে পারি না – সবাই দেখে ফেললে ফিসফাস করবে
    -না তা যেতে পারো না, কিন্তু কি করতে হবে সেটা তোমায় নিজেই ভেবে বের করতে হবে। যেমন, ঘুঁতোর মত তোমার বৌদিকে বাড়িতে জমির একঝুড়ি আলু বা গাছের পেয়ারাটা তো পাঠাতে পারো।
    -আচ্ছা সেটা করলেও হবে? আমি ভাবলাম শুধু আপনার সাথেই সম্পর্ক বানালে হবে –
    -আরে বাবা, আমরা তো সমাজবদ্ধ জীব নাকি? পরিবার বাদ দিয়ে সম্পর্ক? আমরা কি সাদা চামড়ার লোক?
    -তা হলেই কি পেনেল্টি পাবো?
    -তুমি তোমার কর্ম করে যাবে, ফল নিয়ে বেশী চিন্তা করো না। শুধু কায়দা নিয়ে পড়ে যাওয়াতে মন দাও – বাকিটা আমি দেখছি। আর শোনো, তোমার ভাই শুনলাম নাকি টোটো কিনেছে, মাঝে মাঝে বৌদির বাজারে যাওয়ার দরকার হলে দেখো একটু।
    -একটা পেনেল্টি পেতে এ্যাতো?
    -তুমি জানোতো এই সব ব্যাপার আপেক্ষিক? তোমার প্রতিপক্ষ কেষ্ট সম্পর্ক জোরদার করতে আর কি কি করেছে একটু খোঁজ নিও।
    -আর যদি আপনাকে পরের ম্যাচে রেফারি করতে দেওয়া না হয়?
    -সে চিন্তা করো না – আমি নিজেও ঠিক জায়গাতে চুলকে যাচ্ছি। আর শোনো ঠিক মত চুলকাতে পারলে, শুধু পেনেল্টি নয় – বিপক্ষের বক্সে পোঁছাবার আগেই মাঝ মাঠে দুই-একটা ফাউল তোমার পক্ষে দেওয়া যাবেক্ষণ।
    -কিন্তু এই সব পারশোন্যাল সম্পর্ক কি আসা উচিত আমাদের এই খেলোয়াড়ী ব্যাপারে?
    -তুমি দেখছি খুবই বুক-ইস টাইপ। মনে রাখবে তুমিও মারাদোনা নয়, আর আমিও নয় কলিনা। এমন নয় যে তোমাকে দেদার না মারলে তুমি পড়বে না, আর অকাট্য পেনেল্টি না হলে আমি দেব না! আমরা ভারতীয়, তোমার আমার সম্পর্ক হবে প্রদীপ নাগ – শিশিরের মত।
    -বুঝলাম না ঠিক
    -বেশী বুঝে কাজ নেই, তুমি মাঠের বাইরে সম্পর্ক তৈরীতে আর মাঠের ভিতর কায়দা করে পড়ে যাওয়াতে নজর দাও শুধু। তুমি মাঠে কেমন পড়বে সেটা আমি ঠিক করে দিতে পারব না, কিন্তু সেই পড়া পেনেল্টি হবে কিনা তা অনুধাবন করব আমি। আর তুমি হয়ত জানো না, তবুও জানিয়ে রাখি, সম্পর্ক অনুধাবনের মাত্রা এবং স্তর পাল্টে দেয়। সম্পর্ক স্নেহময় হয়ে ওঠে।

    আমি ড্রেসিংরুমে ফিরে এসে ভাবতে বসলাম – ইস্কুল মাষ্টার রেফারী নিয়ে শালা এই প্রবলেম, বড় বড় লেকচার খালি। এই এ্যাতো কষ্ট করে সম্পর্ক তৈরী করতে হবে! আর তা ছাড়া খেটেখুটে সম্পর্ক তৈরী করলাম, দেখলাম যে শেষে মালটা আমাদের ম্যাচের দায়িত্ব নিল না! অন্য রেফারী এল খেলাতে। তার থেকে একবার কোচের সাথেই কথা বলা যাক, আফটার অল কাকে কি করতে হবে সেটা তো ওই বলে দিয়েছিল।

    -ও কোচ, কোচ – একটা কথা ছিল
    -কি বলছিস?
    -না মানে বলছিলাম কি দেখলে তো যে আমার কোন দোষ ছিল না, আমি দারুণ খেললাম ম্যাচে। যদি রেফারী ন্যায্য পেনেল্টি না দেয়, তা হলে আমি আর কি করব!
    -তোর তো ওটাই প্রবলেম! তুই ভুলে যাস যে ফুটবল হল গিয়ে টিমগেম। তুই গোল করলি বা অন্য কেউ, সেটা কোন বড় ব্যাপার নয়। টিমের জেতাটাই বড় কথা। তোর তো বলটা পাস দেওয়া উচিত ছিল পলু-কে।
    -কিন্তু ও যা প্লেয়ার, ওকে আমি বিশ্বাস করি না ঠিক। খালি ফাঁকে গোলে বলটা ঠেলে ক্রেডিট নিতে ওস্তাদ! আর তাও যদি ঠিক ঠাক পারে গ্যারান্টি দিয়ে
    -দ্যাখ তোকে হায়ার খেলতে এনেছি শুধু তুই ভালো খেলিস এটা বলে তো নয়! তোর খেলার মাপকাঠি শুধু তো তোর নিজের খেলা নয়, বরং তুই বাকিদের কেমন খেলিয়ে নিতে পারছিস সেটাই
    -মানে?
    -পলুকে দ্যাখ। তোর মত ভালো প্লেয়ার নয় হয়ত, কিন্তু ও যার পাশে থাকে তারা কেমন গোল করে দেখেছিস তো –
    -তাতে পলু-র কি ভূমিকা? ও তো নিজে কিছুই করছে না –
    -আসলে তোর এটা বোঝার ক্ষমতা নেই যে পলু পাশে বলেই ওরা গোল গুলি করতে পারছে।

    আমি আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলাম। পাশে বসা সাত নম্বর আমাকে ফিসফাস করে জানালো যে পলু হল গিয়ে কোচের শালা। রেফারীর ডায়লগ মনে পড়ে গেল, “সম্পর্ক স্নেহময় হয়” – তাই আর কিছু বললাম না কোচকে।

    কিন্তু পলু গোল করলে আমার কি লাভ? আমি শালা খেলতে এসেছি হায়ারে। আজ মোহনপুরের হয়ে খেলছি, কাল খেলব শোনপুর, পরশু তাতারপুর, তার পরের দিক দুবরাজপুর – ইত্যাদি ইত্যাদি। পলু গোল করলে মোহনপুর ট্রফি পাবে, কোচ সুনীল নন্দীর আন্ডারে ট্রফি জেতা হবে। কিন্তু কার পাশ থেকে সেই জয়ের গোল এসেছিল, তা আর কেউ মনে রাখবে কি?

    ঘটনা এতো সোজা নয় – আমাকে ফাইন্যালের দিকে উঠতে হবে, প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলে কেউ আর হায়ারে ডাকবে না। তার মানে সুনীল নন্দীকে খুব বেশী চটানো যাবে না – আমাকে যদি বেঞ্চে বসিয়ে কেরিয়ারের ধাক্কা মারার চেষ্টা করে! কিংবা বাজারে দূর্নাম ছড়িয়ে দেয়, আফটার অল অন্য দলও কোচের কথাই বেশী প্রামাণ্য মনে করবে একজন ফুটবলারের থেকে। এদিকে আমাকে আবার গোল করতে হবে – না হলে মার্কেট ভ্যালু পড়ে যাবে, তখনও আবার কেঊ ডাকবে না! এই সুনীল নন্দীদের সাথে কিভাবে ‘সম্পর্ক’ গড়ে তোলা যায়, সেই নিয়ে একটু ভাবনা চিন্তা করতে হবে। পাশের সাত নম্বর কয়েক বছর সাউথে ছিল মাহিন্দ্রার ট্রাক ফ্যাক্টরীতে কাজ করতে গিয়ে। ও কি জানে ‘সম্পর্ক’ তৈরী এবং জিইয়ে রাখার কোন গোপন সূত্র? আমাকে বলবে কি বিশ্বাস করে? আমি অবশ্য চাষা –
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৭০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন