এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • ফরিদা | 132.176.138.83 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৭64690
  • খাসা লেখা।

    খুব সত্যি কথাগুলো। উত্তর কলকাতায় ছেলেদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য হেয়ার হিন্দু টাকি এরা প্রথম পছন্দ ছিল অভিভাবকদের।

    বছরে চল্লিশ টাকা খরচ। ক্লাস ফাইভ অবধি বই কিনতে হ'ত না। ইংরাজি তুলে দেওয়া নিয়ে কান্নাকাটি হওয়া সত্তেও ওই বাংলা ইস্কুল থেকে বেরোন ছাত্রদের দেখেছি আন্তুর্জাতিক স্তরে দিব্য মানিয়ে গুছিয়ে চালিয়ে নিতে।

    এখন সে সব নাই। আমরা খুব বুঝদার হয়েছি কিনা, তাই টাকার শ্রাদ্ধ করে ইংরাজি স্কুলে ভর্তি করাই বাচ্চাদের। ওখানে আবার পড়াশোনা হয় নাকি।

    ভালো নই। আমরা মোটেও সুবিধার লোক নই।
  • sm | 52.110.150.162 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:১৬64691
  • পরিষ্কার ও ঝর ঝরে লেখা। বক্তব্য সাবলীল। এই স্কুল গুলো আমাদের আমলে গর্ব ছিল। এছাড়াও প্রচুর গভঃ স্পন্সরড স্কুল ছিল, যাদের সঙ্গে ধারে ও ভারে ইংলিশ মিডিয়াম পারতো না। এগুলো , রাজ্যের সব ডিস্ট্রিক্ট এই ছিলো।
    অবনতি ঘটলো, যবে থেকে, প্রাইভেট টিউ শানির রমরমা শুরু হল। মাস্টার মশাই রা টাকা রোজকারের জন্য নানা ফন্দি ফিকির শুরু করলেন।
    স্কুলের প্রতি আন্তরিকতা কমে গেলো।ছাত্ররা খালি নোট বুক মুখস্ত করে বাজি মাত করতে শিখলো।
    দ্বিতীয় পেরেক আর হাতুড়ি নিয়ে বসলো বামফ্রন্ট সরকার।
    সরকারী স্কুল গুলো তে এডমিশনের টেস্ট এর বদলে লটারী চালু করলো।
    ওয়ান থেকে সিকস অবধি ইংলিশ তুলে দিলো, পাশ ফেল ও উঠিয়ে দিলো। বড় বিজ্ঞ ছিলেন এই সিপিএম নেতারা!
    মিডিয়া গুলো রাত দিন, সরকারী স্কুল গুলো আবর্জনা বলে প্রচার চালাতে লাগলো।
    অভিভাবক রা আর কি করে। ইংরেজী না শিখে যে আমাদের দেশে অচল, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্টে কল সেন্টার ও সেলস্ এ ইংলিশের প্রচণ্ড কদর বেড়ে যাবার জন্য মধ্য বিত্ত মা বাবার কাছে অন্য আর কোনো অপশন ছিল না।
    এখন বাংলা মিডিয়ামের জমানা শেষ, এটা মেনে নিয়েই এগোতে হবে।
    তবে এটা ঠিক, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে কোন ঠাসা ভাবটা অনেকটুকু কেটে যায়, বটে।
  • dd | 193.82.16.163 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:৩৩64692
  • ধুর। এ কিছু পশ্চিম বংগ স্পেসিফিক ঘটনা নয়।

    লুরুতেও কন্নর মিডিয়াম স্কুল একটার পর একটা বন্ধ হয়ে যাছে। এখানে আবার কন্নর ভাষা নিয়ে দুর্বার আন্দোলন হয়। যার ফলে নেক্সট ইয়ার থেকে সব স্কুলেই কন্নর ভাষা শিখতে হবে কম্পালসারিলি। ঐ থার্ড ল্যাংগুয়েজ হিসেবে। ব্যাস। ঐ পর্যন্ত্যই।

    পাত্র,মিত্র ডাক্তার মোক্তার থেকে শুরু করে ব্লু কলার ওয়ার্কারেরাও তাদের ছেলে মেয়েদের কিন্তু ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলেই দেয়। এই ব্যাপারে পচ্চিম বংগ থেকে আদৌ কোনো ফারাক নেই।
  • T | 129.74.180.59 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৫৮64693
  • কাগজে পড়েছিলাম, তাও মনে হয় বছর তিন চারেক আগে। সরকার থেকে কিছু টাকা পয়সা দেওয়া হয় হিন্দু স্কুলের উন্নয়নের জন্য। অ্যালামনিরাও সম্ভবতঃ এগিয়ে এসেছেন।
  • sm | 52.110.150.177 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১১64701
  • যোগ্যতা কে বিসর্জন দিয়ে আগাছার মতন প্রাইভেট ইঞ্জনিয়ারিংয়ের কলেজ গজিয়ে উঠলে, এই হবে। এতো আঁখ মাড়াই কল নয় যে দিনের শেষে একই প্রোডাক্ট বেরোবে।
    তবে, এই প্রাইভেট কলেজ এর একটা পজিটিভ দিক ও রয়েছে। অনেক ছাত্র ছাত্রী, যারা জয়েন্ট এ চান্স পায় নি সরকারি কলেজ গুলোতে; কিন্তু মোটামুটি পড়াশোনায় ;ও উচ্চাকাঙ্খী, তারা অন্তত পড়ার সুযোগ পেয়েছে। অনেকেই করে কম্মে খাচ্ছে। কেউ কেউ,বিদেশে চাকরি করে টু পাইস দেশে পাঠাচ্ছে ও। মোদ্দা কথা হলো, কিছু জনতা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে।
    আইটি ইন্ডাস্ট্রির প্রচুর ডিমান্ড এতদিন চাহিদা মিটিয়ে এসেছে।এবার ভাঁটার টান।
    এটাও মেনে নিতে হবে।
  • ddt | 24.139.196.6 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:২৪64694
  • বেশ লাগল। আমাগো ইস্কুল হিন্দুর মত নামজাদা নয়। বৃটিশ আমলে তৈরি ছোট শহরের বাংলা ইস্কুল। প্রবাসী বাঙালীরা উদ্যোগ নিয়ে বানিয়েছিলেন। দফায় দফায় বহিরাগত বিতারণ সয়ে টিঁকে ছিল। নব্বুইয়ের পরের বাজারি আক্রমণ কোমর ভেঙে দিয়েছে।

    তবে, সব দোষ সরকারের না। পাবলিক ঊর্দ্ধশ্বাসে ইংরিজি মিডিয়ামের পেছনে ছুটছে তার দায় খানিকটা পাবলিকেরও।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:৩২64695
  • সম্ভবতঃ আমরা সবাই হার্ড (মানে দল) বিহেবিয়ার শিকার। আমার বাবা মা আমাকে বাংলা মিডিয়ামে পড়িয়েছিলেন বটে। কিন্তু পছন্দের প্রথম লিস্টিতে ছিলো সরকারী জেলা ইস্কুল,চিনসুরা শিবচন্দ্র সোম ট্রেনিং অ্যাকাডেমি নয়। মনে হয়, সেম অর্থনৈতিক ক্লাসের লোকজন, যাদের সাথে খাওয়া দাওয়া ওঠন বসন লোক লৌকিকতা ইত্যাদি, তারা বাচ্ছাদের সেখানে পড়াবার উচ্চাশা পোষণ করত বলেই।

    এখন সেটাই উল্টে গেছে।

    আর ক্লাস সিক্স থেকে ইংরিজি প্রসঙ্গে বলিঃ আমাদের আগে , ১৯৮৯ অব্দি লোকেরা মধ্যমিক দিয়েছিলো পুরোনো সিলেবাসে। সেই জেনারেশনের বেশ কিছু লোক তো চারদিকে। তারা যে সবাই বিশাল শেকস্পিয়ার সেটা এক্কেবারে মালুম দেয় না।
  • sm | 52.110.150.177 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:০৩64696
  • ইংলিশ কাজের ভাষা, জীবিকার ভাষা। ইংলিশ এ, খুব ভাল করে অন্তত বলিয়ে কইয়ে হতে পারার মতন শিক্ষা জরুরী।
    ন হলে, মুশকিল।
    যারা বাংলা মিডিয়ামে পড়ে, তাঁদের অধিকাংশ কোন কনফারেন্স বা ইন্টারভিউ তে তোতলায়, ওয়ার্ড সার্চ করে, ফ্লাওয়ারি স্পীচ দেবার চেষ্টা করে , কোনো কোনো ক্ষেত্রে ম্যালাপ্রপিসম এর শিকার হন।
    এটা লজ্জার। যা পরে ব্যক্তিকে হিনমন্য করে তোলে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে এই সমস্যা একটু কম অনুভূত হয়।
    ইংলিশ এর ওপর জোর ছিলো বলে, আমাদের বাবাদের জেনারেশন একটু ভালো বলিয়ে কইয়ে, আমাদের জেনারেশন তার থেকে কম আর নবীন মানে ৮৯ এর পরের জেনারেশন আর ও কম।
    তবে নিজের ছেলে মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়িয়ে, মায়া পাতায় বাংলা মিডিয়ামের জন্য গলা ফাটালে মুশকিল।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:২৬64702
  • আঁখ মাড়াই কল? আঁখ মেরেই কলের কাজ করে দেয়? ওফ্ফ্ফ।
    ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫১64703
  • আরে আমাদের হুগলী জেলার অজ পাড়াগাঁয়ে পর্যন্ত টেকিন্ডিয়া টাইপ স্কুলেরা রে রে রে রে করে ব্যবসা করছে। স্কুল-সিস্টেম পুরোটাই ব্যবসা হয়ে গিয়েছে। আরো মজা, এদের উপর কোনো নিয়ম টিয়ম মানানোর ব্যাপার নেই, এরা প্রাইভেট। ফলতঃ যা খুশি তাই করে যাচ্ছে, প্রফিট বাড়াতে। খদ্দেরদের কাছ থেকে লাখ লাখ নেয়, কর্মীদের নাম কা ওয়াস্তে মাইনে দেয়, বাকীটা সব মালিকদের লাভ। শিক্ষার মান নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো।
    ঠিক আছে ব্যবসাই যদি হয়, করুক ব্যবসা। কিন্তু নিয়ম মানতে হবে।
    এইসব প্রাইভেট স্কুলগুলোকে (যে মিডিয়ামেরই হোক) নিকটবর্তী সরকারী স্কুলের সঙ্গে মার্জ করিয়ে নিয়মনীতির আওতায় আনা হোক। তিন পয়্সার জিনিস ত্রিশ টাকায় বিক্রি করার যথেচ্ছাচারে তাহলে কিছু রাশ টানা যাবে। আর কোয়ালিটির ব্যাপারেও কিছু প্রশ্ন তোলা যাবে।
  • T | 165.69.191.250 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:২০64697
  • কে না জানে যে ইংরিজি এমন এক ভাষা যা শিখতে বারো বছর সময় লাগে। ঃ) মান্দারিনও লজ্জা পেয়ে যাবে। ঃ)
  • সিকি | 132.177.75.193 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৫৩64698
  • টি ঠিক সময়মত জুটে যায় :)
  • Laws | 61.15.53.83 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:০১64699
  • Nietzsche’s point was primarily aesthetic. Contrary to the romantic notion of art being produced by a process of “letting go,” Nietzsche insisted that the artist “strictly and subtly…obeys thousandfold laws.” The language of invention—whether poetry, music or speech itself—is bound by “the metrical compulsion of rhyme and rhythm.” Such laws are capricious in their origin and tyrannical in their effect. That is the point: from that unforgiving soil of power and whimsy rises the most miraculous increase.
    Not just in the arts—Goethe, say, or Beethoven—but in politics and ethics as well: Napoleon, Caesar, Nietzsche himself (“Genuine philosophers…are commanders and legislators: they say, ‘thus it shall be!’”).
  • T | 165.69.191.250 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৩৫64700
  • ঝাঁ চকচকে ইশকুল পাঠশাল, পুঁজির উদ্যোগ, শাইনিং ইন্ডিয়া এবং সেনা প্রহরারত সিয়াচেনের পাশাপাশি ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের ডেটা, এই সেদিনের তথ্য জানাচ্চে যে, বারো লাখ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের প্রায় ৭৬% ই কোনো রকম কোডিং করতে পারে না। যদিও সিলেবাসে সবই ম্যান্ডেটরি। এবং এদের আদ্দেকেরও বেশী হচ্চে আনএমপ্লয়েড।
  • avi | 57.11.218.17 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:১২64729
  • ক।
    তার একটা কারণ হতে পারে এই প্রাইভেট ইমি স্কুলগুলোর অনেককটাতেই শিক্ষকদের গুণমান প্রশ্নাতীত নয়। সেক্ষেত্রে এই বাহ্যিক সপ্রতিভতা ও ইমির ব্র্যান্ড ভ্যালু বেশি অর্জন হয় অনেকের। আমাদের এক ছাত্র আছে, সে যখন কেস হিস্ট্রি দেখায়, সেটা বানান আর ব্যাকরণ ভুলে জর্জরিত থাকে, অথচ দেখালেই মাঝে মাঝে শুনিয়ে দেয় যে সে কিন্তু ইমি। কি মুশকিল, ওইটুকুই তার অর্জন হয়েছে।
    এখানে অবশ্যই সময় পরীক্ষিত ইমি স্কুল বা ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রের কথা আসছে না।
    হ্যাঁ, মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বছর দুয়েক ইমির রেজাল্ট ভালো হতো, পরের দিকে আর কোনো তফাৎ বোঝা যেত না। ফাইনাল এমবি টপার ইমি, বামি দুইই হতো, আমাদের বার বামিই ছিল। তবে সেসব তো সিজনড ভালো ছাত্রদের কারবার।
  • h | 213.99.211.132 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:২০64730
  • কেউ কারো থেকে বড় ছোটো কিছু না। ট এর অকারণ শ্রদ্ধা অস্বস্তিকর আর আপনার গালাগালি গোটাটাই দুটৈ অপ্রয়োজনীয় এবং তর্কে কিসু ভ্যালু অ্যাড করছে না। অবশ্য আপনাকে ডেটার উপরে নির্ভর করতে বিশেষ দেখা যায় নি।

    তবে দাবী করলে, অবশ্যই ডেটা দিতে হবে। তা না হলে তর্কের কোন অর্থ হয় না, ব্যাপারটা দাবী ই থী যায়।
    কোন পৃথিবী থেকে ইংরেজি মিডিয়াম রা ইংর্জি বলাতে এগিয়ে আছে সেটা জানতে চাইতেই পারি। হ্যাঁ যদি বলা হত, জেলায় ইংরেজি স্কুল খোলাটা বাংলা মাধ্যমে শিক্ষার উপরে নতুন আক্রমণ, কিন্তু ঐ আর কি ক্ষমতাশালী রাজনীতি কিন্তু শিক্ষায় ডিসইন্টারেস্টেড শ্রেণীর আক্রমণ তাহলে মেনে নেওয়া যেতেই পারে/

    শিক্ষা ব্যবস্থা এই কারণেই টোটালি ফাকড বলা হয়েছে, যে বা যারা শিক্ষার প্রাইভেটাইজেশনের পক্ষে কথা বলে, পাড়ার কাকুরা সহ, তারাই দেখা যাচ্ছে অনেক লোক আনএম্প্লয়েবল বলছে অথবা এখনো পাবলিক সেকটর ব্যাক্ড হায়ার এডুকেশন ইন্স্টিটিউশন থেকে বেশি টাকা দিয়ে গ্র্যাজুয়েট নিচ্ছে, পাড়ার ইঞ্জীনিয়ারিং বা ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে নিচ্ছে না, লিংকের সমস্যা নাই, প্রচুর দেওয়া যাবে, আগে কিছু ডেটা আসুক। অবশ্য কিসু আসবে না ঃ-))
  • h | 213.99.211.132 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২০64731
  • আমি এরকম বিতর্কে যেতে অবশ্য আগ্রহী নই, আগে মাশ্টারমশাই দিদিমনি রা বেশি ভালো বাসতেন এখন বাসেন না, এগুলো ভেগ কথা। সকলেই সিস্টেমের দাস।

    ঊনবিংশ শতকেই কেরানী তৈরী হত, এখনো তাই হচ্ছে, এবং এখন নানা রকম নন আকাডেমিক বিষয়ে মানুষ নিজের প্রতিভা দেখাতে পারছে, তাতে সংসার চালাতে পারছে। এটা প্রগতি ই বলবো। আমি অবশ্য বিলেতের টোরি দের মত, ভোকেশনাল শিক্ষায় স্কুল পাশের ব্যাবস্থা করে, ইউনিভার্সিটি এডুকেশনের ন্যুনতম সম্ভাবনা থেকে , গরীব দের এবং তার থেকেও বড় কম কাজের সুযোগের অনুন্নত জায়গার দূরে রাখতে আগ্রহী নই, কারণ টোরি দের উদ্দেশ্য হল একটা গ্রামার স্কুল, ইটন হ্যারো ইত্যাদি করে রুলিং ক্লাস তৈরী করা, যেটা কে কোয়ালিটি কমপ্রিহেনসিভ চ্যালেঞ্জ করেছে, লেবার দের চাপের ফলেই করেছে।
    পৃথিবীর সবচেয়ে পুঁজিবাদে বিশ্বাসী এবং তথাকথিত ভাবে সফল দেশ গুলিও স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং ট্রান্সপোর্টে পুরোপুরি 'ফর প্রফিট' অর্গানাইজেশনের হাতে ছেড়ে দেয় না। এস এম হায় খুব ই ডিসাপয়েন্টেড হবেন , রিপোর্ট টিপোর্ট পড়তে আরম্ভ করলে, সেই জন্যেই পারসেপশনের ভিত্তি তে কথা বলছেন কিনা জানি না।
  • sm | 52.110.147.237 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৩64732
  • প্রথমেই সিকি কে একটা প্রশ্ন করতে চাই। নিজের ছেলে বা মেয়েকে কোন মিডিয়াম এ পড়ানো হচ্ছে জানতে ইচ্ছে করে। এটা যারা বাংলা মিডিয়ামে
    র হয়ে সওয়াল করছেন সবার জন্য। সিকি হয়তো ফালতু যুক্তি খাড়া করবে, আমি দিল্লীতে থাকি, ওখানে বাংলা মিডিয়াম নেই ইত্যাদি প্রভৃতি।
  • h | 213.99.211.132 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩১64733
  • এটা অবশ্য খুব ই পরিচিত অ্যাটাক। জ্যোতিবাবুর নাতনি থেকে শুরু ঃ-)) তবে জ্যোতিবাবুর নাতনি রা কেউ ই অনেক বাংলা মিডিয়ামের মত, পরে ইংরেজি মিডিয়ামে গিয়ে শিক্ষা বা ল্যাকাপড়ার জগতের কেউ হয়েছে জানা নেই। সিকি র উত্তর সিকি দেবে, না দিতেও পারে, কারণ কেউ ই এস এম এর কাছে তিনি কোথা থেকে পাজামার দড়ি কেনেন, লো কোয়ালিটির গড়িয়াহাট না হাই কোয়াইটি অথচ কনজিউমার চয়েসে পিছিয়ে নেই চাইনিজ ইম্পোর্টেড, এটা জিগ্যেস করে নি, পলিসি প্রায়োরিটি নিয়ে কথা হ্ছে। কিন্তু এই অ্যাটাক এত প্রদেশ কংগ্রেসীয় থেকে প্রদেশ বিজেপীয় যে লোকে যাতে না ভাববে চন্দন মিত্র বা তপন ঘোশ ভর করেছে তাই জানিয়ে রাখলাম।
  • sm | 52.110.149.242 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৪64734
  • এতো ডিফেন্সিভ হবার কি আছে? প্রশ্ন ছিলো যারা বাংলা মিডিয়ামের পক্ষে সওয়াল করছে, তাদের ছেলে মেয়েরা কোন মিডিয়াম এ পড়া শোনা করে?এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই তো। ভাটের জ্যোতি বসুর নাতনি বা পাজামার দড়ি নিয়ে উপমার ও দরকার নেই। সহজ প্রশ্ন, সহজ উত্তর হওয়াই উচিত।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৮64735
  • স্কুলকে স্কুল সব খারাপ হয়ে গেলে মিডিয়াম দিয়ে কী হবে? বা মি ই মি সবই তখন লুজ লুজ কেস হয়ে যায়। খদ্দেরের গালে থাপ্পড় দিয়ে যেমন একশো টাকার সুটকেস হাজারে বিক্রি করে, তেমনি করে যাবে প্রাইভেট স্কুলগুলো। এরা ই মি বা মি হি মি তা মি কেয়ার করে না তো, এদের কাছে একটা জিনিস শুধু কেয়ারের, নাফা। লাখ লাখ খিঁচে নিয়ে ছেলেপিলেগুলোকে এমন কায়দায় বলদ তৈরী করবে, দুনিয়ায় ওদেরই বিভিন্নরকম জোয়াল কাঁধে ছাড়া যারা কাজ করতে পারবে না।
  • T | 129.74.180.59 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০১64736
  • সিকি দিল্লীতে থাকে। ওখানে বাংলা মিডিয়াম নেই। কিন্তু সেটা 'ফালতু' যুক্তি। :)) একেবারে আমেরিকান স্টাইলো এন্ড ফাউন্টেন পেন কো, ফিলাডেলফিয়া।

    যাদের সন্তানাদি নাই তাদের মতামতও নাই :)) যারা বিয়ে শাদী করেনি তাদের জিন্দেগি শেস। স্রেফ মতামত না দিতে পারার অভাবে। যাদের ছেলেমেয়ের ইশকুলের গন্ডি পেরিয়ে গ্যাচে আফশোসের সীমা নেই।

    কিন্তু সব মিলিয়ে প্রদেশ কংরেসটা কিন্তু ঠিকই ধরেচে। ল্যাঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড।

    এদিকে আমি পাশ করে গেলুম। :))
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৫64737
  • একজন তাঁর স্কুলের গল্প লিখছিলেন। সেই স্কুল প্রধানতঃ হিন্দিমাধ্যম ছিল, তবে বাংলাতেও ক্লাস হত। উপরন্তু একটা ক্লাস তামিলে হত। ঃ-)
  • সিকি | 132.177.75.193 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১০64738
  • কী আর হবে ফালতু উত্তর দিয়ে। কাটিয়েই দিলাম।
  • বিপ্লব রহমান | 113.231.160.188 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৩64704
  • "বেলাদি, ঝর্ণাদি, অপূর্ববাবু। ওনারা কেউ মিষ্টি হেসে কথা বলতেন, দিদিরা মাথায় হাত বুলিয়ে চিবুক ধরে চুমু খেয়ে আদর করতেন। সবকিছুর মধ্যে কোথাও একটা ভালবাসা ছিল। আর ছিল হিন্দু স্কুলে পড়ার গর্ব। বাংলার নবজাগরণের পীঠস্থানের অংশীদারিত্বের অহংকার।"

    লেখাটি পড়ে মন খারাপ হল। সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে?
  • Krishanu | 52.110.143.25 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৬64705
  • প্রাক্তনী হিসাবে একমত
  • h | 213.132.214.83 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪২64706
  • শিক্ষা ব্যবস্থা টোটালি ফাক্ড। যাক যত ভোগে যায় তত আনন্দ গোছের মোচ্ছব করা ছাড়া বিশেষ কিছু করার নেই এখন।
  • sm | 52.110.150.177 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:৫৩64707
  • একটা সরকার স্কুলে এস এফ আই ঢুকিয়ে বেশ গুছিয়ে সর্বনাশ করছিলো। এর থেকে নিস্তার পাওয়া গেছে।
    বেসরকারি স্কুল ফ্রি মার্কেট এর অবদান। ক্রেতা সন্তুষ্ট হলে পরিষেবা কিনবে, নয়তো নয়।
    সরকারী স্কুল গুলোতে শিক্ষকরা মাসে ৫০-৬০হাজার টাকা বেতন নিয়ে যদি এমন ছাত্র প্রডিউস করে ;যারা না পারে ইংরিজি বলতে না পারে কম্পিটিটিভ একজমিনেশন এ সাফল্য আনতে; তাহলে তাদের নিয়ে এতো বাইট খরচা কেন?
    সরকারি স্কুলের রাখার উদ্দেশ্যই হোলো কিছু বেকারের চাকরী। ঠিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র খুলে রাখার মতন আই ওয়াশ!
  • h | 213.132.214.83 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:৪৪64708
  • এস এম এর বক্তব্য ক্রমশ আইটেম সঙ হয়ে যাছে মাইরি। পুরো লচকে কমরিয়া ঃ-)))))

    ১ - সরকারী স্কুলের লোকেরা কম্পিটিটিভ এগ্জ্যামে সাফল্য পায় না বা পায় নি এই তথ্যের ভিত্তি কি, ডেটা?
    ২। সরকারী স্কুলের লোক ইংরেজি বলতে পারে না, এই তথ্যের ভিত্তি কি
    ৩। সরকারী স্কুলে শিক্ষক রা মাসে ৫০-৬০ হাজার বেতন পান, মাইনের স্তরের বিন্যাসের ডেটা?

    সরকারি স্কুলের বা বাংলা স্কুলের একটা ইউটিলিটি অন্তত বোঝা গেল, টু গিভ কনজিউমার চয়েস। কারণ সব সরকারী তথা বাংলা স্কুল যদি বন্ধ হয়ে যায়, এবং সব প্রাইভেট স্কুল যদি কাছা কাছি পদের হয়, তাইলে চয়েস জিনিসটা পুনরায় লচকে কমরিয়া হয়ে যাচ্ছে ঃ-))))

    ত্বে মাইরি এস ইউ সি আই ছাড়া স্কুলে এই ইংরেজি শিক্ষা প্রেম কারো মধ্যে দেখিনি, মানে জীবিত লোকেদের মধ্যে।

    টোটাল খোরাক। অভিজিত মজুমদারের দুর্ভাগ্য এই কোয়ালিটির পাঠকের জন্য তিনি সময় নষ্ট করেন।
  • sm | 52.110.150.177 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:১৩64709
  • হানু কে কি আবার ন্যাশনাল স্যাম্পেল এর ডেটা দিতে হবে নাকি?
    যেমন একটা কথা লেখা হোলো, সরকারী স্কুলের ছাত্ররা ইংরেজি ভাল বলতে পারে না এর পিছনে তথ্য কি?
    উত্তর হলো, বালের প্রশ্ন। কারণ ইংলিশ মিডিয়ামের চাহিদা
    দেখেই মালুম করা যায়, নয় তো নিজে গিয়ে গিয়ে বাংলা মিডিয়ামের টেন পাস করা ছাত্রদের ইংলিশ এর কনভারসেশন ক্ষমতা নিয়ে রিসার্চ করো, এছাড়া কি ই বা বলা যায়?
    দুই, কম্পিটিটিভ একজামে সাফল্য নিয়ে কাগজে অনেক লেখা হয়েছে। এবারই পব থেকে নিট পরীক্ষায় বাংলা মিডিয়ামের সাফল্য নগন্য বললেও কম বলা হয়। লিংক চাইলে দিতে পারি নয় তো ন্যাশনাল স্যাম্পল এর দোরগোড়ায় খট খটাও, এটাই বলতে পারি।
    তিন, শিক্ষকদের বেতন বলতে মেইনলি হাই স্কুলের বেতনের কথা বলে ছিলাম।একজন প্রধান শিক্ষকের বেতন ৭০ হাজারের কাছ কাছি। অন্যান্য টিচার দের অনেকের বেতন ৫০হাজার এর কাছা কাছি ,এবার পাড়ার শিক্ষক কাকু কাকিমা কে জিগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে লিখলে ভাল হয়।
    নয় তো শিক্ষা ব্যবস্থা টোট্যালি ফাকড;এর মতন খেলো মন্তব্য হয়ে যায়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন