এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভুলে যাওয়া বইদের কবরখানা

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ | ৭৩০৬ বার পঠিত
  • খাটের ডিভান আমার কাছে সর্বদাই একটা ম্যাজিক প্লেস ছিল যেখানে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে লুকিয়ে রাখা যেত নিজের সমস্ত সিক্রেট। আমার সেমেট্রি অফ ফরগটেন বুকস ছিল আমার খাটের ডিভান। গত কুড়ি বছর ধরে নিজের প্রত্যেকটা দিন একটু একটু করে রেখে দিয়েছিলাম ওখানে। কাল খাট শিফট করার সময় যখন ডিভান খোলা হল বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল। মনে হল এক মৃত সভ্যতার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যে বই খাতা হারিয়ে গেছে, মরে গেছে-সেই সব নিভে যাওয়া দিনগুলোকে কবর দিয়ে রেখেছিলাম ওখানে। একে একে বেরতে থাকল সবকিছু। মার্সেল প্রুস্ত বলতেন তাঁর পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায় বিশেষ বিশেষ গন্ধের মাধ্যমে। কিন্তু প্রুস্ত এটাও লিখে গেছেন যে মরে যাওয়া বইদের গন্ধ হয়না। মরে যাওয়া বইয়ের থাকে শুধুই স্মৃতি। তা নিরাকার, গন্ধহীন এবং অব্যয়।

    মায়ের সাথে ডিভান পরিষ্কার করছিলাম। প্রথমে বেরোল পুরনো যুগের রাশি রাশি আনন্দমেলা। সংখ্যাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল একের পর এক। কমান্ডো, যেখানে প্রথম চে গুয়েভারার নাম শুনেছিলাম। ফরেনসিক নিয়ে একটা সংখ্যা ছিল। একটা সংখ্যা ছিল ডিটেকটিভ নিয়ে। তেণ্ডুলকরকে নিয়ে একটা সংখ্যা হয়েছিল বিস্ময় বালক নামে। মনে আছে সেখানে তেন্ডুলকরের একটা পোস্টার বেরিয়েছিল যেটা কেটে দেওয়ালে টাংগিয়েছিলাম। এছাড়া ছিল অ্যাস্টেরিক্সকে নিয়ে একটা সংখ্যা। অ্যাসটেরিক্স নামটাও ওখানেই শোনা প্রথম, এবং প্রথম কমিক্সটাও ওখানেই পড়া। গল-যোদ্ধা অ্যাসটেরিক্স নাম। মনে আছে, টিনটিনের পোস্টারটা না পেয়ে আনন্দমেলায় চিঠি লিখেছিলাম। ওরা পরে বাড়িতে ডাকযোগে পাঠিয়েছিল। গুলিট, মারাদোনা আর ওয়াসিম আক্রমের-ও পোস্টার ওখান থেকেই টাংগিয়েছিলাম। এখন সেই সব সংখ্যার পাতাগুলো হলুদ হয়ে গেছে। খুলে খুলে পড়ছে। কয়েকটা উলটে দেখলাম। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘শিউলি’ ধারাবাহিক বেরত। একটায় দেখলাম সুনীল গাংগুলীর ‘অন্ধকারের বন্ধু’ ধারাবাহিকটা। পলাশী যুদ্ধের পর সিরাজের সেনাপতি মোহনলালকে নিয়ে লেখা। শিশিরকুমার দাসের লেখা একটা উপন্যাস দেখলাম, ‘চিংড়ি’ নাম। পুরো অ্যাবসার্ড ঢং-এ লেখা। জানি না ইনি-ই গ্রীক ভাষা বিশেষজ্ঞ শিশিরকুমার কি না। আর একটায় দেখলাম একটা স্কুলের পটভুমিকায় লেখা উপন্যাস যেটা পড়ে তখন দারুণ লেগেছিল। আবার পড়লাম। ম্যাড়মেড়ে লাগল। বুঝলাম, বনফুলের গল্পের সেই পাঠকের মৃত্যু ঘটে গেছে।

    মা তারপর হাতে ধরিয়ে দিল একগাদা ম্যানিফেস্টো। সেই ছাত্র রাজনীতির সময়কার সব। নিউ ডেমোক্রাসির সংখ্যাগুলো, মার্ক্সবাদ লেনিনবাদের অনেক বই, প্যাম্ফলেট, পিডিএসএফ-এর মুখপত্র, পিপলস ওয়ার গ্রুপের ছোট ছোট অনেকগুলো সংখ্যা যেগুলো এক দাদা দিয়ে বলেছিল “খুব সাবধানে রাখিস। গোপন ও ষড়যন্ত্রমূলক বই সব”। আজকাল মনে হয় এসব কেউ ছুঁয়েও দেখবে না। দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যের লেখা সত্তরের স্মৃতিচারণা দেখলাম। এখন প্রায় ঝুরঝুরে হয়ে গেছে। পার্টির হয়ে লেভি তোলার স্লিপবুকটা দেখলাম এক কোণে অনাদরে পড়ে আছে। হাতে নিয়ে একটু হাত বুলোলাম। এই লেভি তুলতে গিয়ে যত গল্প সব ইতিহাস হয়ে আছে এখানে। স্মৃতির রঙ মনে হয় সর্বদাই হলদেটে, ছেঁড়া খোঁড়া।

    একগাদা লিটল ম্যাগাজিন ছিল। সব ভুলে যাওয়া লেখকদের গল্প উপন্যাস। বেশিরভাগ-ই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। সৃজন বলে একটা লিটল ম্যাগ বেহালা থেকে বেরোত। হরিণা হরিণীর, উবুদশ, জারি বোবাযুদ্ধ, সুবিমল মিশ্র সংখ্যা, অয়ে অজগর বলে একটা লিটল ম্যাগের কয়েকটা সংখ্যা, গল্পকার, চতুর্থ দুনিয়ার সাহিত্য, আন্তর্জাতিক ছোটগল্প সংখ্যা, পরিকথা অনেকগুলো, আর প্রচুর ভাষাবন্ধন। ভুলে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া নাম না জানা লেখকদের ভিড়। পুর্ণেন্দূ ঘোষ বলে একজনের লেখা পড়তাম বিভিন্ন লিটল ম্যাগে। অসাধারণ ছোট গল্প লিখতেন। কোথায় হারিয়ে গেলেন। আরেকজন ছিলেন, শাশ্বত শিকদার। শুনেছি খুব অল্প বয়েসে মারা গেছেন। মুর্শিদ এ এম, যাঁর জাড়কাঁটা বলে একটা গল্পের বই-ও বেরিয়েছিল। উত্তরবংগের অলোক গোস্বামী। সুকান্তি দত্ত যাঁর একটা বই-এর রিভিউ আমি নিজেই ভাষাবন্ধনে করেছিলাম। কেউ নেই আর। এদের কোনওদিন এলিজি লেখা হবে না। পৃথিবীর সমস্ত খাটের ডিভানের অন্ধকারে মশাদের গুনগুন আর ঝুলের আদর শুধু স্পর্শের উত্তাপ ছড়িয়ে রাখবে আমৃত্যু।

    দুম করে হাত ফসকে একটা পুরনো ডায়রি পড়ে গেল মাটিতে। তুলে দেখলাম, ভেতরে অনেক চিঠি চাপাটি রাখা। ভুলে যাওয়া এক প্রেম, যার জন্য আমি প্রতিদিন কলেজ থেকে বেরিয়ে হাজরা মোড়ে আসতাম। দুজনে হাঁটতে হাঁটতে হাজরা থেকে আনোয়ার শাহ প্রতিদিন। সেই হাঁটাগুলো থেকে গেছে। বিড়লা মন্দিরের পাশের গলিতাও থেকে গেছে যেখানে দুজন একসাথে ঘুরতাম। রিচি রোড, বৃষ্টির গন্ধ মাখা লাভলক সরণী, ম্যাডক্স স্কোয়ার বা ট্রায়াংগুলার পার্কের কুয়াশা, বিবেকানন্দ পার্কের মধ্যে উড়িয়ে দেওয়া বেলুনের মধ্যে সেই প্রেম থেকে গেছে। অনেক চিঠি, কয়েকটা আঁকা ছবি, আমার লেখা কয়েকটা কবিতা সে মুক্তোর মতন হাতের লেখায় তুলে রেখেছিল, যাতে হারিয়ে না ফেলি। সব থেকে গেছে। একটা হার্ট শেপড বাক্স, যার মধ্যে তুলোর বিছানায় শুইয়ে রাখা একটা ছোট্ট ভাল্লুক। আমায় দেওয়া সবকটা গিফটের মধ্যে ওটা সবচেয়ে যত্ন করে রেখেছিলাম, জানি না কি ভেবে। একদম অবিকৃত রয়ে গেছে। ডায়রিটার স্পাইন আলগা হয়ে এসেছে, সুতো বেরিয়ে পড়েছে। চিঠিগুলো আবার যত্ন করে রেখে দিলাম ভেতরে। ঘুমোক।
    মা বলল, “এত এত বইখাতা, কি করবি?” আমি জানতাম না, কি করব। মা বলল, “ফেলে দে”। ফেলতে গিয়েও হাত উঠল না। একটা ছেঁড়া পাতাও ফেলতে পারলাম না। খাটটাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দোতলায়। সেখানে ডিভানের ভেতর আবার সন্তুপর্ণে ঢুকিয়ে রাখলাম সব কিছু। আবার কুড়ি বছর বাদে পঞ্চাশের এই আমি যখন ডিভান খুলব, আবার ধাক্কা দেবে এদের প্রেতাত্মা। এই সব পুরনো ই পি ডবলিউ, নক্সাল আন্দোলনের বই, আনন্দমেলা, পূর্ণেন্দু ঘোষ, ভুলে যাওয়া লিটল ম্যাগ, গুলিটের পোস্টার, এই কোনওকিছুর এলিজি হয় না। এদের মৃত্যু ঘটে যাবে সবসময়েই চুপি চুপি একা একা। কেউ জানবে না। শুধু কোনো এক লুকিয়ে রাখা কবরখানায় এদের সকলের প্রেতাত্মা ঘুমিয়ে থাকবে আজীবন। চিলছাদ বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে। কোনও একদিন পুড়ে যাবে শংকর গুহনিয়োগীর ম্যানিফেস্টো। হারবার্ট সরকার জ্বরের ঘোরে মৃত বইদের ভূত একে একে আসতে দেখবে। আর তাদের পরম মমতায় আগলে রাখবে আমার খাটের ডিভান। বুলগাকভের শয়তান বলে গেছিল, ‘পাণ্ডুলিপি পোড়ে না’। পৃথিবীর সব প্রত্যাখ্যাত মরে যাওয়া পান্ডুলিপির জন্যই অপেক্ষা করে থাকে আগুন নয়, কবরখানা। থাকুক সব। ভাল করে ঘুমোক, ঘুমোলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ | ৭৩০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Sakyajit Bhattacharya | 233.176.182.36 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:৫৭66755
  • আরো একটা বই পেলাম। এটার রিভিউ করেছিলাম ভাষাবন্ধনে। অর্ণব সেন নামের এক লেখক একটাই উপন্যাস লিখেছিলেন সারা জীবনে। নাম 'অন্ধকারের সিঁড়ি'। লিখেছিলেন ৩০ বছর বয়েসে আর বইটা প্রকাশ করেছিলেন ষাট পেরিয়ে। আর কোনোদিন কিছু লিখেছিলেন বলে জানি না। একদম হারিয়ে যাওয়া লেখক, কিন্তু অদ্ভুত ছিল উপন্যাসটা। কেউ পড়েনি, মনেও রাখেনি
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:১৬66756
  • ভালো লাগলো শাক্যজিতের লেখা। কত চেনা রেফারেন্স, কত মিল ও অমিল।
  • 0 | 11.39.38.160 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৩০66757
  • "এদের মৃত্যু ঘটে যাবে সবসময়েই চুপি চুপি একা একা। কেউ জানবে না। শুধু কোনো এক লুকিয়ে রাখা কবরখানায় এদের সকলের প্রেতাত্মা ঘুমিয়ে থাকবে আজীবন। চিলছাদ বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে।"

    বড্ড মনকেমন করা মায়াজড়ানো লেখা। খুউব সুন্দর।
  • kc | 198.71.213.254 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৫০66768
  • লেখাটা বেশ ভালো লাগল। কিন্তু শুধু "নেমড্রপিং" না করে দুএকটা কবিতার টুকরো জুড়ে দিলে আরও ভালো লাগত।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.24.169 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:০৮66769
  • একটি শীতল নারী
    -রমেন্দ্রকুমার আচার্য্য চৌধুরী

    দেওয়ালে নতুন ফ্রেসকোঃ শালবন, খেরোঘর, আরক্ত অরুণ,
    পলাশ মহুয়া মিশে ঘিরে আছে এই নির্জনতা;
    নগর অনেক দূরে, আত্তীকৃত তিতিওর সবুজে
    এ উজ্জ্বল মুহূর্তেই উত্থাপন করতে চাই কথা।
    দুটি কাক উড়ে যায়, চেয়ে দেখো, মেঘের ভিতরে,
    চমকে বেরিয়ে আসে স্বচ্ছ এক নীলের টুকরোয়ঃ
    তোমাকে দেখেছি পাপে, আর দূঃখে, সশ্রম আঁধারের পরে
    চোখে নিয়ে এই আলো-ক্ষরিত আলোর মত নয়।
    ফুল শস্য ঝলোমলো পৃথিবীর বসন্তের গাছে,
    হে প্রধানা শিক্ষয়িত্রী, সে কথা তোমার মনে আছে?
    সবুজ পাতার নীচে সুরক্ষিত চতুর কার্তুজ,
    স্বাতী শতভিষা ছোঁয় ঝাপসা এক বাড়ির বুরুজ;
    ঈশ্বর, মোটর, কিংবা বিউগল কিছুই পারেনা তবু দিতে
    যদি-না সমস্ত চেষ্টা শান্ত হয় একটি নারীতে।

    "আমার হৃদয়
    জাদুকর হাওয়ার ঘুর্ণিকে করে ভয়।
    সে জামাকাপড় সব-ই বশ করতে চায় মন্ত্রবলে,
    আর আমি পূজাগানে তাকে রুখতে থাকি।
    একটি মেয়ের কথা জানি, ডানাছাঁটা পাখি!
    রোজ ভোরে সিঁথেয় সিঁদুর যত্নে আঁকে,
    পুরুষের তলোয়ার প্রতি রাত্রে দুঃখ দেয় যাকে।
    শিশুদের কলরব লতাপাতা গাছের ছায়ায়,
    মাছেদের সংসার তিনভাগ জলে;
    স্থানাভাব লোকাকীর্ণ শতকের নগর জঙ্গলে-
    মালাবদলের সন্ধ্যা শেষ হয় জন্মের ব্যাথায়।
    তারপর সব প্রেম ইচ্ছার রংগীন
    নিয়ে আসে যে মধুর দিব্যকান্তি ফল-
    -সে-ও বিষ হয়ে ওঠে কালের নিয়মে একদিন,
    আমরা অর্জন করি সন্তানের জুগুপ্সা কেবল।
    বিখ্যাত গল্পের সেই হত্যাকারী পবিত্র নায়ক
    টুপি খুলে বলেছিল-মাতৃত্বের চেয়ে শুভ্র, অনেক সুন্দর,
    আজীবন কুমারীত্ব। অজস্র কেন্নোর মত লোক
    জড়াজড়ি করে রোজ পরে থাকে স-রাগ স্বাক্ষর
    রেখে যেতে বংশলতিকায়-এই যদি শ্রেয়তর,
    তবে কেন রক্ত নীল পীত ঘাসফুলে
    আলো দেখে, কিংবা ছেঁড়া পাপড়ি ছুঁইয়ে নিঃসাড় আংগুলে,
    হয়ে উঠি বৃহত্তর অনুভবে হঠাৎ ভাস্বর।"
  • kc | 198.71.213.254 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৫২66770
  • দ্বিতীয় কবিতাটা খুব ভালো লাগল। আরও হোক।
  • h | 127.194.226.84 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:৩৭66759
  • অসম্ভব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ কমরেড। ভাষাবন্ধন থেকে যখন অনন্য রায় এর সমগ্র বেরোয়, আমার ঠিক এই অনুভূতি হয়েছিল।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.24.169 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:৪৬66771
  • এটা একটাই কবিতা। প্রথমে এক পুরুষ বলছে তারপর তাকে নারীটি উত্তর দিচ্ছে
  • -- | 127.194.212.17 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৬66772
  • দি সী বুক এজেন্সী থেকে রমেন্দ্রকুমার আচার্য্য চৌধুরী কবিতা সমগ্র বেরিয়েছে। আমি একটি কিনেছি ও একটি এক গুরুতুতো দিদিকে পাঠাতে পেরেছি। মানে গুরু ডেটাবেস এ অন্তত ২ কপি সেই বই রয়েছে।
  • h | 127.194.255.35 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:১৮66760
  • বোরহেস এর "Tlön, Uqbar, Orbis Tertius" যেখানে uqbar নামে জায়গটা বানানোর কাজ চলছে, বোরহেস এবং সারামাগোর কল্পিত আইরিশ ঔপন্যাসিক হার্বার্ট কোয়েন যাঁকে নিয়মিত পড়ছেন রিকার্দো রেইস যিনি আসলে অ`য়াংগোলা ও পোর্তুগালের কবো ফার্নান্দো পেসোআর ছদ্মনাম মাত্র, বোলানো র স্যাভেজ ডিটেকটিভ এর সিজারে টিন-ইয়েরো, - সেই কবি, যাকে আমরা অনেকেই খুঁজে চলেছি। কি অসম্ভব সুন্দর লাগলো এই লেখাটা।
  • কল্লোল | 125.248.76.233 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:৪০66761
  • শাক্য - বড় মন কেমন করা লেখা
  • Blank | 213.132.214.85 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:১৬66762
  • ভালো লাগলো শাক্য
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:২৮66763
  • শাক্যজিৎযে এত বাচ্চা সেটা আগে বুঝিনি। ডিভানটাও প্রকাণ্ড সাইজের মনে হচ্ছে, নইলে এত কিছু ভেতরে ধরে? আরো বড়ো ডিভান হোক এবার - উইশ করলাম।
  • ranjan roy | 132.162.198.81 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:৩৬66773
  • রমেন্দ্র কুমার আচার্য্য চৌধুরীর একটি কবিতা সম্ভবতঃ বুদ্ধদেব বসুর সম্পাদিত "আধুনিক বাংলা কবিতা"য় আছে। সেই ১৯৬৮তে পড়েছিলাম।
    বোধহয় "আরশিনগর"।
    আরশিনগরে পড়শি বসত করে--এমন একটা লাইন মনে পড়ছে।

    শাক্য,
    পূর্ণেন্দু ঘোষ কি বিলাসপুরের ডঃ পূর্ণেন্দু ঘোষ? যিনি
    তেভাগার সময় সুন্দরবনে অশোক বোস/কংসারী হালদারদের সংগে রাঙা ডাক্তার নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন?
    ওঁর "লালগঞ্জে যাবই" বলে কাব্যগ্রন্থ আছে। বছর পঁচিশ আগে মারা গেছেন, ক্যান্সারে। মৃতা স্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী নিজের হাতে চোখ তুলে আই ব্যাংকে দিয়েছিলেন।
  • | 213.132.214.85 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:৪৭66764
  • শাক্যজিৎ , খুব ভালো লাগলো।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:৪১66774
  • আমিই -- এর গুরুতুতো দিদি। আমার কাছে রয়েছে রমেন্দ্রকুমারের কবিতা সমগ্র। ২০১৩ র বইমেলায় প্রকাশিত। আমার ভাইটিকে এই সুযোগে অনেক ভালোবাসা জানালাম।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:৪৫66775
  • রমেন্দ্রকুমারের কবিতা নিয়ে প্রিয় কবিতা টইতে কিছু কথা হয়। সইকত কিছু কবিতা তুলে দিয়েছিলেন। আমি ধুয়ো দিচ্ছিলাম। সে লিংক সে টই পরে কখনও খুঁজে বের করা যাবে।
  • AS | 125.187.46.242 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:৫৪66765
  • খুব ভালো লাগলো
  • Sakyajit Bhattacharya | 23.17.125.9 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১১:০১66766
  • অনন্য রায় তো ঠিক ভুলে যাওয়া কবি ছিলেন না। অনেক চর্চা হয়েছে এবং হচ্ছে ওনাকে নিয়ে। আমি বলতে চেয়েছি এমন সব লেখক কবিদের বা লিটল ম্যাগের কথা যাঁরা হয়ত বিশাল প্রতিভাবান কিছু ছিলেন অথবা ছিলেন না কিন্তু একদম হারিয়ে গেছেন। কেউ তাঁদের আর মনে রাখেনি। একটা এক্সাম্পল দিচ্ছি। গাংগেয়্পত্র বলে একটা লিটল ম্যাগাজিন বের হত। সাহিত্য বিষয়ক আলোচনার পত্রিকা। নিজেদের উত্তরাধুনিক বলে দাবী করত কিন্তু তাত্বিক অবস্থান ওই প্রভাত চৌধুরীদের পোস্ট-মডার্নিজমের ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে ছিল। অঞ্জন সেন ছিলেন সম্পাদক। ইনি নিজেও কবি। ভাণ্ড বেভাণ্ড বলে একটা কবিতার বই ছিল। আরেকটা বই ছিল ভারতবর্ষ নামে। ডিভানের মধ্যে কয়েকটা পুরনো গাংগেয়পত্র পেলাম। সাথে অঞ্জন সেনের কবিতার বই। সেখানে লিখতেন অমিতাভ গুপ্ত, কবি ও প্রাবন্ধিক। এনার একটা বই বেরিয়েছিল জানি, 'সরমা ও পরমা'। কিন্তু এনারা হারিয়ে গেলেন। কেউ মনে রাখেনি, যদিও গাংগেয়পত্র খুব সিরিয়াস সাহিত্য-বিষয়ে আলোচনার পত্রিকা ছিল।

    ওখানেই লিখতেন এক ভদ্রলোক, বীরেন্দ্র চক্রবর্তী নাম। ব্যক্তিগত জীবনে খুব সাধারণ একটা চাকরি করতেন। কিন্তু পড়াশোনার ব্যপ্তি এবং সাহিত্যপাঠের ওরকম গভীরতা খুব কম দেখেছি। শেষজীবনে ওনার কিছু গুণগ্রাহী ধরেবেঁধে ওনার লেখাপত্রের সংকলন করে একটা বই বার করেছিলেন, সেটাও সুপার ফ্লপ হয়েছিল। আর কোনো খবর-ই জানি না এনার। মরে গেছেন না কি বেঁচে আছেন তাও না। লেখা কমতে কমতে একসময় নমিনাল হয়ে গিয়েছিল এটুকু জানি। ইনি হারিয়ে গেলেন।

    আবার রমেন্দ্রকুমার আচার্য্য-চৌধুরীর ব্রহ্ম ও পুঁতির মউরি বইটা পেলাম। এনাকে ভুলে যাবার কথা ছিল না। রবীন্দ্র পুরষ্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন এঁর বই আউট অফ প্রিন্ট। বাংলা সাহিত্য নিয়ে খুব সিরিয়াস চর্চা করে এমন লোকজনকেও এঁর নাম জিজ্ঞাসা করে দেখুন, চিনতে পারবেন কজন সন্দেহ আছে।

    শান্তিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, আর এক চির উপেক্ষিত হারিয়ে যাওয়া লেখক। এঁর মৃত্যুর পর শক্তি চট্টোপাধ্যায় এলিজি লিখেছিলেন, "মৃত্যুর পরেও যেন হেঁটে যেতে পারি"।

    হুগলীর এক কবি ছিলেন। বাপী সমাদ্দার নাম। একটা ফাটানো কবিতার বই বার করেছিলেন। নাম ছিল 'নৈবাছুর'। তার পরে এনার লেখা আর কোনওদিন কোথাও পড়িনি। পাঠক ভুলে গেছে এনাকে।

    এদের কথা বলছি। যাদের নিয়ে কখনো কোথাও দু কলম লেখা হয়নি। এরা চুপি চুপি একা একা মরে যাবার নিয়তি নিয়েই লিখে গেছেন। তারপর নি;শব্দে পর্দার বাইরে বেরিয়ে গেছেন।
  • de | 69.185.236.52 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১১:০৬66767
  • ওমনাথ একটা ভারী ভালো টই লিখেছিলো না, এই সব হারিয়ে যাওয়া, না মনে রাখা লেখকদের কিছু কিছু লেখা দিয়ে।

    ভালো লেখা হয়েচে -
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ১২:০৩66758
  • বাঃ, খুব ভাল লাগল এই লেখাটা
  • lcm | 14.15.124.11 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৫৯66776
  • ভারি চমৎকার লেখা.... মনোরম লেখনী...
  • | 131.245.77.59 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৭66777
  • ইশ! এরকম লেখা পড়লেই আমার আবার আমার সেই হারিয়ে যাওয়া বইগুলোর জন্য মন খারাপ হয়ে যায়, কান্না পায়। :-(
    ইশশ আমার অত্তগুলো বই!!

    আপনার বইয়েরা থাকুক শাক্য, নিশ্চিন্ত ঘুমে।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.28.208 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:২৮66779
  • না না এই পূর্নেন্দু ঘোষ সাম্প্রতিক কালের। গল্প লিখতেন
  • সুকি | 129.160.188.62 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ১১:০৬66778
  • ভালো লাগল লেখা
  • ঝর্না | 125.117.222.130 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৫৩66783
  • খুব ভালোলাগল পড়ে...পুরনো কিছুই ফেলে দিতে সত্যি খুব কষ্ট হয়...
  • h | 127.194.238.76 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:২৪66780
  • এটা খুব ভালো কাজ করেছো। এই সব বিষয়ে আমাদের জানা উচিত। এরকম একটা কাজ সোমনাথ দাশগুপ্ত বই বিলিয়ে করে থাকে, আর সৈকত দ্বিতীয় কে দিয়ে আমি করাতে চেয়েছিলাম, পারিনি, দু চারটে টই তে লিখেছিলো, কিন্তু অতি ল্যাদ বা ব্যস্ততায় বা লেখা জিনিসটায় বিশ্বাস না করায় সে এই অনুরোধ রেখে উঠতে পারে নি।

    অনন্য রায় প্রসংগে, আমার সমস্যাটা একটু অন্য জায়গায়। আমি লিটল ম্যাগ এর পাঠক নই। আই মিসড দ্য বাস লিটল ম্যাগ বাস। বীরভূমে ও বোলপুরের কিছু পত্রিকা ছাঢ়া আমি কলকাতা, শহরতলীর ও উত্তর বংগের কিংবা ঢাকার পত্রিকা র জগত থেকে বিছিন্ন ছিলাম। আমার পক্ষে লাইব্রেরী তে প্যারিস রিভিউ বা গ্রান্টা বা নেশন, তিরিশ চল্লিশ দশকের লোকদের ব্যক্তিগত কালেকশনের কিছু পি ই এন, বা পুরোনো চতুরংগ কৃত্তিবাস বা তৃতীয় বিশ্ব সাহিত্যের জিনিস পত্র হিসেবে কিছু এটা ওটা বই, বা বিদেশী স্কলার দের ফেলে যাওয়া ভুল ভাল বই/পত্রিকা (অকারণে রবার্ট মুগাবের বক্তৃতা সংগ্রহ পড়েছিলাম, রোডেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কার বা সান ফ্রান্সিস্কো র একটা বীট সংকলন) এই সব পড়া র সুযোগ হয়েছে, বা সুবর্ন রেখায় পুরোনো বইয়ের কালেক্শন থেকে কিছু রাঢ় নকু পত্রিকা পড়ার সুযোগ হয়েছিল, কিন্তু আভা গার্দ বাংলা সাহিত্য পড়ার সুযোগ ছিল না। তাই আশির দশকে কলেজে ওঠার আগে, কলকাতায় দু এক বার বই মেলার আসার আগে আমার অনন্য রায় পড়া হয় নি। আর একটা ব্যাপার আমার কবিতা জিনিসটা ভালো লাগতে আরম্ভ করেছে অতি সম্প্রতি, নইলে এসব কাবিতা নামক বাজে জিনিস আমি বেশি পড়তাম না ;-)
  • san | 113.240.238.2 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:৪৪66781
  • ভাল লাগল।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.27.136 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:৩০66782
  • স্যাভেজ ডিটেক্টিভের প্রসংগ উল্লেখ করে হানুদা খুব ভাল কাজ করল। অত্যন্ত প্রিয় বই। পরে কখনো বিস্তারে শুধু এই উপন্যাসটা নিয়েই লিখব।

    প্রসংগত, এই সেমেট্রি অফ ফরগটেন বুকস টার্মটা নিয়েছি স্প্যানিশ ঔপন্যাসিক কার্লোজ রুই জাফনের শ্যাডো অফ দ্য উইন্ড উপন্যাসটা থেকে। সেটাও দারুণ মজার উপন্যাস। পোস্ট সিভিল ওয়ার বার্সেলোনাতে, ফ্রাংকো রেজিমের দমচাপা পরিবেশে এক ১১ বছরের ছেলের হাতে চলে এসে এক উপন্যাস। লেখকের নাম জুলিয়ান কারাক্স। কে সেই লেখক কেউ জানে না, সকলে তাকে ভুলে গেছে। বাজারে তাঁর একটা বই-ও পাওয়া যায় না আর। সেই ছেলেটি জুলিয়ান কারাক্স-কে খুঁজতে শুরু করে। আর এই ঘটনাক্রমে জানা যায় বার্সেলোনা সিটির আআন্ডারগ্রাউন্ডে এক বই-এর কবরখানা আছে যেখানে সসমস্ত ভুলে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া লেখকদের বই এক কপি করে রেখে দেওয়া হয়।

    একনায়ক নিয়ে লাতিন আমেরিকান লিটারেচারের যে পপুলার জঁর আছে এই উপন্যাস পরার আগে ভাবতেই পারিনি সেই জঁরের বাইরে গিয়েও এরকম ডিকটেটরশিপের অ্যালেগরি লেখা সম্ভব। পড়ে দেখুন সকলে। নিরাশ হবেন না।
  • h | 127.194.251.163 (*) | ২১ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:২০66784
  • লিখো কিন্তু গুরু। একবার ভাষা বন্ধনে বোলানো সম্পর্কে আমি একটা বড় করে প্রবন্ধ পাঠিয়েছিলাম। গোটা ছয়েক উপন্যাস আর রোমান্টিক ডগস ইত্যাদি নিয়ে। তো নবারুণ ভট্টাচার্য্য যেরকম করতেন আর কি , উঠলো বাই তো কটক পার, সেটা বইমেলায় প্রচ্ছদ প্রবন্ধ করে বিশাল ছবি টবি দিয়ে ছেপে দিলেন। আনন্দ হয়েছিল খুব ই, কিন্তু কিছুটা লজ্জার ব্যাপার ও হয়েছিল। কারণ ঐ সংখ্যায় অনেক সিনিয়র লোকের লেখাও ছিল। ওঁর হায়্তো মনে হয়েছিল, এই লোক ঠিক ই আছে, এর লেখা পড়া যেতে পারে।

    রুই জাফন( আমার ধারণা ছিল উচ্চারণ জুফোন) যখন প্রথম বার পড়ি, তখনো আমার বার্সেলোনা ঘোরাটা মনে ছিল। অসাধারণ লেগেছিল। আমি কিন্তু ধরতে পারিনি, তুমি এই রেফারেন্স এর কথা বলেছো কমরেড। আমি ভেবেছি, তুমি বোরহেস যে বুয়েনাস এয়ারেস এর মিউনিসিপাল লাইব্রেরীর আন্ডার গ্রাউন্ডে অন্ধ অবস্থায় আট বছর ধরে রোজ যেতেন, এবং সেক্রেটারি কে বলতেন কোন তাক থেকে কোন বই এনে পড়ে শোনাতে হবে, বা হাতের কাছে রাখতে হবে, তার কথা বলছো। হ্যাঁ আমি জুফোন/জাফন পড়ে আশচর্য্য হয়েছিলাম, কারণ আমি নেরুদা লোরকা/পেসোয়া/সারামাগো ছাড়া ইউরোপের স্প্যানিশ পোর্তুগিজ কিছু বিশেষ পড়িনি। আরেকটা কারণ অরওয়েল এর সিভিল ওয়ার মেমোয়ার্স পড়ে ওখানকার আনার্কিস্ট দের সম্পর্কে একটা ধারণা হয়েছিল, কিন্তু সেটা অথেন্টিক ছিল না, তাই গথিক লেখা একটু দূরে সরিয়েই রেখেছি, পড়া হয় নি। পরে পড়েছি মানে ধরো এই বছর দশ পনেরো আগে। কিন্তু পপুলার লেখায় তাক লাগিয়ে দেওয়ার মত লেখা বা সায়েন্স ফিকশন বা পাতি থ্রিলার কিন্তু আমি কিছু পড়েছি, নামগুলো সব মনে নেই। একটা ছিলো ফুটবল এবং মাফিয়া এবং স্টেট কন্ট্রোল নিয়ে মারাতমক ছিল, আমি উপন্যাসের নাম লেখকের নাম সব ভুলে গেছি, বছর কুড়ি আগে পড়া। আর ছিলো তোমার এক গায়িকা না ভায়োলিনিস্ট এর জীবন নিয়ে থ্রিলার। সলিড ভালো গল্প। কিন্তু লেখক আর বইয়ের নাম ভুলে গেছি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন