এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইন্দ্রাণী মুখার্জী অথবা অ্যান ইন্ডিয়ান ট্র্যাজেডি

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩১ আগস্ট ২০১৫ | ৭২৯৭ বার পঠিত
  • নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মালেও ক্লাইডের উচ্চাকাংখা ছিল দেখার মতন। চার্চের কাজে নিযুক্ত ধর্মভীরু বাবা মা কে সে অপছন্দ করত মন থেকে। সে চাইত ঝকঝকে গাড়ি, চোখজুড়নো ভিলা, অঢেল টাকা আর চারপাশে সুন্দরী নারীদের ভিড়। বিশের শতকের গোড়ার দিকের আমেরিকাতে, যুদ্ধোত্তর ফাটকা বাজারে শেয়ার খাটিয়ে হঠাৎ বড়লোকদের এবং পুঁজীর দর্পে রক্তচক্ষু ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের চারণভূমি আমেরিকাতে অথবা মধ্য ও নিম্নবিত্তের লাগামছাড়া অ্যাসপিরেশনের স্বর্গরাজ্য আমেরিকাতে দাঁড়িয়ে ক্লাইড বুঝেছিল এই এনিথিং-ক্যান-হ্যাপেন-এর রাজ্যে তাকে লড়ে নিতে হবে। তার অর্ধ-সমাপ্ত শিক্ষা, তার অমার্জিত অসংস্কৃত গেট আপ এবং পেডিগ্রিহীন প্রোফাইলের বিবর্ণতা জাস্ট মিলিয়ে যাবে যদি তার হাতে থাকে অঢেল টাকা। এই সেই উলটপুরাণ ভোজবাজীর পৃথিবী যেখানে রাস্তার গ্যাংস্টার হয়ে যায় সম্মানিত ধনী এবং স্ট্রীট-ফাইটার মাস্তান হয়ে ওঠে বন্দিত দেশনায়ক। পুঁজীবাদের এই দাপাদাপি উত্থানের আঙ্গীনায় দাঁড়িয়ে ক্লাইড শিখে গেছিল জীবনের মন্ত্র টাকা টাকা আর টাকা।
    ক্লাইড শিকাগোতে পালিয়ে আসে। ভোগপ্রাচুর্য্যের শিকাগো। বিশ্বপুঁজীর উত্থানের পটভূমি শিকাগো। প্রথমে ক্যাজুয়াল লেবার হয়ে ঢুকে কারখানায় কাজ করতে করতে দ্রুত উন্নতি ঘটে তার। ফোরম্যান হয়ে সুপারভাইজার। সেই সাথে বেড়ে চলে সমাজের এলিট সেকশনে ঢোকবার উচ্চাকাংখা। আরো টাকা চাই, আর সেই সাথে চাই নিজের পংকিল অতীত মুছে দেবার কোনো একটা উপায়। তার চোখ পড়ে ধনী ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের কন্যা সন্ড্রার উপর। দুজনের প্রেম গাঢ় হয়ে ওঠে। সন্ড্রাকে ব্যবহার করে সে উঠে যেতে চায় বিশ্বপুঁজীর এলিট ক্লাসের শীর্ষে। কিন্তু ততদিনে তার জীবনে অভিশাপের করাল ছায়া হয়ে নেমে এসেছে তার গর্ভবতী প্রেমিকা রবার্টা্‌। বস্তির দরিদ্র মেয়ে রবার্টা কিছুতেই ক্লাইডকে ছেড়ে যেতে রাজী নয়। রাজী নয় বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলতেও।
    রবার্টার হাত থেকে নিস্তার পাবার জন্য মরীয়া ক্লাইড তাকে খুন করার ছক কষে। নিজেকে সে বোঝায় যে তার জীবনে উন্নতির পথে তাকে টেনে রেখেছে তার অতীত, আর রবার্টা হল সেই অতীতের রিইনকারনেশন। তার সামনে সম্পদের হাতছানি, সন্ড্রার হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রীর মালিকানা এবং সেই সূত্রে এলিট হবার নিশিডাক। সেই কারণে রবার্টা জাস্ট একটা কোল্যাটেরাল ড্যামেজ। ক্লাইডের উত্থানের সরণীতে রবার্টা এক্সপেন্ডেবল হয়ে যায়।
    রবার্টাকে একদিন নৌকোভ্রমণে নিয়ে যায় ক্লাইড। উদ্দেশ্য, তাকে লেকের জলে ঠেলে ফেলে দেবে। কিন্তু কথা কাটাকাটির সময় উত্তেজিত রবার্টা নিজেই পড়ে যায় লেকে। ক্লাইড রবার্টাকে বাঁচাতে প্রথমে চেষ্টা করে, কিন্তু রবার্টা যখন ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে ক্লাইডের মনে হয় নিয়তি তাকে প্লেটে করে এই সুযোগ এনে দিয়েছে তাকে অবহেলা করা উচিত নয়। ক্লাইড সাঁতরে ফিরে আসে পাড়ে।
    খবরের কাগজে গত কয়েকদিনের ইন্দ্রাণী মুখার্জীর লাভ-সেক্স-ধোঁকা-মার্ডারের রগরগে স্ক্যান্ডাল পড়তে পড়তে ক্লাইডের কথা মনে আসছিল বারবার। এই মুহূর্তে আমাদের কনজার্ভেটিভ ভারতীয় অডিয়েন্সের কাছে কাছে সবচেয়ে মুখরোচক খাদ্য ইন্দ্রাণী। তাঁর চোখ-ধাঁধানো রূপ, তাঁর নিত্য নতুন সংগী বদল, আর্থিক লেনদেন, কালারফুল জীবন সব-ই এই মুহূর্তে আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক খাবার। একজন মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে কেমনভাবে থাকবেন সেই চয়েসটুকুর অধিকার-ও আর তাঁর নিজের নেই, প্রতিমুহূর্তে তাঁকে জাজ করে যাচ্ছে আমাদের রক্ষণশীল চোখ। সেই নিয়ে একপ্রস্থ লেখালেখি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই, আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এই গোটা কাহিনী আমায় এক অন্য গল্প দেখাচ্ছে। একটা নতুন ভারতের গল্প।
    স্মল টাউন থেকে উঠে আসা এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে এই বদলে যাওয়া নিও-লিবারাল সমাজে দাঁড়িয়ে বুঝেছিল যে তাকে লড়ে নিতে হবে। তার অ্যাসপিরেশন তাকে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল পুঁজীর সুবর্ণক্ষেত্র মুম্বাইতে। আর সেই পুঁজীর টানে সেই মেয়েটি সমস্তকিছু অ্যাট দ্য স্টেক রাখতে প্রস্তুত ছিল। ইন্দ্রাণির গল্প তাই এক ‘খারাপ মেয়েমানুষের’ গল্প থাকে না। সেই গল্পে একে একে উঠে আসে মধ্যবিত্তের অ্যাসপিরেশন, নিও-লিবারাল অর্থনীতিতে শাইনিং সোসাইটির স্বপ্নপূরণের আকাঙ্ক্ষা, আর তার জন্য সমস্ত মানবিক সম্পর্ককে এক ধরণের অ্যালিয়েনেশনে ঠেলে দেবার সাবপ্লটগুলো। ইন্দ্রাণীর গল্প আসলে ভারতে ফিনান্স ক্যাপিটালের বিকাশ ও বিকৃতির এক আধাখ্যাঁচড়া আখ্যান হয়ে থেকে যায়।
    ক্লাইডের গল্পটা তার পরেও বাকি থেকে গেছিল। দুদিনের মধ্যে রবার্টার দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং ক্লাইড গ্রেপ্তার হয়েছিল। ক্লাইডের নিজের অপরাধবোধ এবং অসংলগ্ন কথাবার্তাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একে একে সন্ড্রার গল্প্‌ এবং ক্লাইডের নিজের অতীত সামনে এসেছিল এবং লোকাল অথরিটি চেয়েছিল যেন-তেন প্রকারে ক্লাইডকে দোষী সাব্যস্ত করতে। পাব্লিক সেন্টিমেন্ট ক্লাইডের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল সে রবার্টাকে খুন করেছিল বলে নয়। চলে গিয়েছিল, কারণ সে দরিদ্র নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে এলিট ক্লাসে ঢুকতে চেয়েছিল, এবং সেটাও ফ্রডের মাধ্যমে, অন্য একটি মেয়েকে মই হিসেবে ব্যবহার করে। ক্লাইড বহুবার বলার চেষ্টা করেছিল যে সে খুন করেনি, এটা অ্যাকসিডেন্ট। কিন্তু কেউ শোনেনি তার কথা। কনজারভেটিভ জুরীরা তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। ঠিক যেভাবে আমাদের কনজারভেটিভ প্রেক্ষাপট ইন্দ্রাণী মুখার্জীকে প্রমাণ হবার আগেই খুনী বানিয়ে দিচ্ছে। ইন্দ্রাণী মুখার্জী ভিলেইন কারণ তিনি সমাজের এলিট ক্লাসে ঢোকার জন্য অনেককে ব্যবহার করেছেন। মধ্যবিত্তের মূল্যবোধকে পরোয়া করেননি। আর তাই তাঁকে ফাঁসীকাঠে ঝোলানোটা আমাদের অর্থোডক্স ভয়ারিজমের কাছে মিডিয়ার দায়। নাহলে ক্যাপিটালের শুদ্ধতা বজায় থাকে না। যে সমাজ-অর্থনীতি তাঁর উত্থান ঘটিয়েছে সেই সমাজ-অর্থনীতির চাপেই তাঁকে পাবলিক-ট্রায়ালে বসানো হচ্ছে, কারণ “ইট সেলস”। যে ফিনান্স ক্যাপিটালের উত্থানের সংগে সংগে ইন্দ্রাণীর উত্থানকে প্যারালাল করে ফেলা যায়্‌ সেই ফিনান্স ক্যাপিটাল এবং তার থেকে উদ্ভূত এই নতুন সমাজ চরিত্রে আসলে চরিত্রে দ্বান্দিক। তার এক পা চৌকাঠের বাইর। ভোগ-বৈভবের ডিজনীল্যান্ডে উড়ান দিতে প্রস্তুত। আর এক পা ঠাকুরঘরে কুলুংগি্র সামনে হাঁটু ভেংগে পড়ে আছে। এই কন্ট্রাডিকশন-ই এই বদলে যাওয়া সময়ের বৈশিষ্ঠ।
    ক্লাইড এক কাল্পনিক চরিত্র। থিওডোর ড্রেইজারের “অ্যান আমেরিকান ট্র্যাজেডী” উপন্যাসটি লেখা হয়েছিল ১৯২৫ সালে। ১৯০৬ সালে নিউ ইয়র্কে ঘটে যাওয়া এক অপরাধ ও তার বিচারকে খবরের কাগজ খুঁড়ে খুঁড়ে বার করেছিলেন ড্রেইজার, নিজের উপন্যাসকে তৈরী করেছিলেন সেই ঘটনার কাঠামোয়। সের্গেই আইজেন্সটাইন এই উপন্যাস নিয়ে সিনেমা বানাবার জন্য একটি চিত্রনাট্য লিখেছিলেন, যদিও হলিউডের তৎকালীন রক্ষণশীল গিল্ড এই সিনেমা বানাবার সাহস দেখায়নি। আইজেন্সটাইনের সেই স্ক্রীনপ্লে আরো বেশি নিষ্ঠুর ছিল। তিনি দেখিয়েছিলেন কিভাবে ক্যাপিটালিজম ডেকে আনে তার নিজের মরণবাণ। যত বেশি বেশি করে পুঁজী হাতছানি দেয় ওপরে ওঠার, ততই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মানুষ, আর সেটাই ডেকে আনে তার বিনাশ (মনে রাখতে হবে সেটা ১৯২৯/৩০ সাল এবং মার্ক্স-এর প্যারিস ম্যানুস্ক্রিপ্ট সবে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রকাশিত হলেও তখনো সমাজতাত্বিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আইজেন্সটাইন তখন হলিউডে এবং তাঁর এই বই তখনো না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি)। এই বিনাশ পুরো শেক্সপিয়ারীয়ান ট্র্যাজেডির মতই, চরিত্র-র অন্দরে নিহিত পাতালছায়া এই বিনাশ ঘটায়। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে অমোঘ সুতোর টান টেনে চলে সমাজ-অর্থনীতি।
    আজ কাগজে দেখলাম ইন্দ্রাণী বলেছেন যে তিনি শীনাকে ঘৃণা করতেন কিন্তু খুন করেননি। আইজেন্সটাইনের চিত্রনাট্যে ছিল (মূল উপন্যাসে ছিল না) যে ক্লাইডের কাছে তার ধর্মপ্রাণ মা এসেছেন।। মা যাচ্ছেন প্রেসিডেন্টের কাছে অ্যাপীল করতে যাতে এই মৃত্যুদণ্ড রদ করা যায়। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলছেন “সোনা আমার! আমি জানি তুই নির্দোষ। আমার জীবন দিয়ে বাঁচাব তোকে”। ক্লাইড তখন হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে “মা, আমি খুন করিনি। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম খুন করতে”। মায়ের হাত স্তব্ধ হয়ে যায়। উচ্চতর কর্তৃপক্ষ যখন মা-কে জিজ্ঞ্যাসা করেন “বলুন, আপনার ছেলে কি নির্দোষ?”, সেই জীবন মরণের সুতোর দোলাচলে দাঁড়িয়ে মা বলতে পারেন না যে তাঁর ছেলে নির্দোষ। কারণ তিনি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক। তাঁর কাছে মনোবাসনা আর কার্যসিদ্ধিতে তফাত কিছুই নেই। তাঁর ছেলে ভেবেছিল খুন করবে, সেটাই আসল। তার বাইরে আর কিচ্ছুটি হয়না। এই ২০১৫ তে এসেও আমরা ভারতীয় স্পেকটেটর সম্ভবত সেই ক্যাথলিক রোমান্টিসিজম থেকে বেরতে পারিনি।
    মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে মঁসিয়ে ভের্দ্যু জুরী এবং বিচারকদের বলেছিলেন তিনি সকলকে একদিন মীট করবেন। বলেছিলেন, “আই উইল সী ইউ অল!” আমাদের নিও-লিবারাল সমাজ এখন সেই বিচারকদের ভূমিকায়। সমস্যাটা হল যে কোর্টরুমে বিচারকের চেয়ার আর অপরাধীর কাঠগড়ার মধ্যে দূরত্ব খুব বেশি থাকে না।

    An American Tragedy: Theodoore Dreiser (1925)
    LiveRight Publishing House
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩১ আগস্ট ২০১৫ | ৭২৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • aranya | 154.160.226.96 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৬:০১67625
  • শাক্য-র লেখাটা ভাল লাগল
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১২67626
  • এই কেসটা পড়লেই আমার তরুণ তেজপাল কেস মনে পড়ে। সেই একই রকম হৈ-চৈ, মিডিয়ায় বিচার শেষ করে ফেলা। তারপর সব সময়ের গর্ভে।

    বিটিডাব্লু, আপনারা তরুণ তেজপালের কেসের আপডেট জানেন কি? আমি নিয়মিত খোঁজ খবর রাখি। চার্জশিট পেশ করার পর, বছর খানেক আগে তরুণ তেজপাল সাক্ষ্যপ্রমাণের কপি, অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ এবং মোবাইলের মিরর ইমেজ চেয়েছিলেন। কোর্ট পুলিশকে দিতে বলে, পুলিশ দেয়নি। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যাওয়া টাওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টও অর্ডার নেয়, তবুও ফুটেজ মেলেনি। অবশেষে এই আগস্ট মাসে পুলিশ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে, যে, ওগুলো অভিযুক্তকে না দিয়েই বিচার করে ফেলা হোক। মিডিয়ায় এসব আসেনি, স্বাভাবিকভাবেই। :-)

    মিডিয়া ট্রায়াল একটা ফেনোমেনন। সেনসেশন তৈরির খেলা। সেনসেশন তৈরির খেলা ক্রমশ সর্বগ্রাসী হয়ে উঠছে, ক্যাপিটালের পক্ষেই হোক আর বিপক্ষেই হোক।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.6 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩০67627
  • তার কারণ ক্যাপিটালের বিপক্ষে বলে আমরা যে খেলাটা খেলছি সেটাও ক্যাপিটালের কাস্টমাইজড পথেই হচ্ছে। আর তাই জন্য স্টেবিলিটির একচুল-ও বিকৃতি ঘটছে না। ক্যাপিটালের পক্ষে যদি সেনসেশন তৈরী হয় তাহলে একই চরিত্রের সেনসেশন ক্যাপিটালের বিপক্ষেও তৈরী হচ্ছে, এবং এই দুখানায় কোনও তফাত করা যাচ্ছে না। জোকার যেমন বলেছিল, হোয়েন এভ্রিথিং হ্যাপেন্স অ্যাকরডিং টু দ্য প্ল্যান, নো ওয়ান প্যানিকস।
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৪০67628
  • এই কথাটা আমার পছন্দ হইছে।:-) কিন্তু তাহলে আইসিসও ক্যাপিটাল প্রদর্শিত পথে, তমোঘ্নও ক্যাপিটালের পথে, আর ডোনাল্ড ট্রাম্পও ক্যাপিটালেরই পক্ষে -- এরকম একটা ব্যাপার দাঁড়াচ্ছেনা?
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৭:০০67629
  • শাক্য, নতুন মিডিয়া সেনসেশনটা দেখেছিস কি ? দুর্গাপুর ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কেস? প্রায় একই প্যাটার্নে মিডিয়া ট্রায়ালের আসর বসে গেছে হয়তো কিন্তু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, এখানে কিন্তু ঐ অ্যাস্পায়ারিং ক্লাসের গল্প নেই, কোন চোখধাঁধানো গ্ল্যামারখচিত জীবন, আরো চাকচিক্যের হাতছানি , এসব গল্প কিছুই সেভাবে নেই বা থেকে থাকলেও আদৌ সেভাবে প্রোজেক্টেড হচ্ছে না। বরং এই ভাবে হচ্ছে, দেশের দুই প্রান্তে 'দুই শ্রেণি' - একই অপরাধের প্যাটার্ন, একটিতে সম্পত্তি, অন্যটিতে সম্পর্ক ইঃ। এখানে ক্যাপিটালের গল্প কই ?
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.134.76 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৪২67621
  • সরি। পাব্লিশারের নাম Horace Liveright
  • তাপস | 126.203.159.74 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৫৫67622
  • আনন্দবাজারে দ্বৈপায়ন হালদারের লেখা দেখলাম। টিভির নিউজরুমের লোক। মুম্বাইতে যারা নিউজে চাগ্রি করেছেন, এমন কিছু লোকজনের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে জানি, ইন্দ্রাণীর যে মুখ দেখানো হয়েছে, সে মুখ, অমানবিক হলেও, বিরল নয়। দ্বৈপায়ন সৌভাগ্যবান, যে এমন মুখ দেখে তিনি চিহ্নিত করতে পেরেছেন, এ চরিত্র অপরাধক্ষম। তিনি পৃথক করতে পেরেছেন। মুম্বাইতে বা দিল্লিতে এরকম মুখ দেখে দেখে বেহদ্দ হয়ে গেছেন, এবং হয় হার মেনেছেন বা মানিয়ে নিয়েছেন, এমন জনতা কম নেই। খোদ কলকাতা শহরেও এরকম কি একদম বিরল? বোধহয় না। ২৪ ঘন্টার চ্যানেলের প্রতিযোগিতার আবহের সঙ্গে যারা পরিচিত তাঁরা জানবেন, নিষ্ঠুরতা, খিস্তি, চার পাঁচ ছ অক্ষর, এসব অতীব সাধারণ হয়ে গেছে। দ্বৈপায়নের মতন মানুষ, যারা আজও বিচলিত হতে পারেন, এমন পরিবেশের মধ্যে থেকে, তাঁদেরকে এ পেশায় যুক্ত ঈর্ষা জানানোর লোক কম হবে না।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.6 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৮:১০67630
  • ঈশানদার জন্য। ফেসবুকে একটা পোস্টার শেয়ার করেছিলাম। জোকার বলছে,

    "You know what I noticed? If I tell the press that goons came into the University and destroyed the lab, and nothing was done by the police,
    or that the police beat up and molested female students, nobody panicks. Because it is all according to THE PLAN.

    But one guy walks into the university wearing a bra, and everybody loses their minds !"
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.6 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৮:১৪67631
  • দুর্গাপুরের ব্যাংক ম্যানেজারের কাহিনীতে আবার ক্যাপিটালের গল্প কেন থাকবে?

    আমি বলছি ইন্দ্রাণীর গল্প, মানে মিডিয়ার প্রজেক্টেড গল্প না, ইন্দ্রাণীর উত্থান ও পতনের কাহিনী দেখে আমার অ্যান আমেরিকান ট্র্যাজেডি মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই যেরকম আইজেন্সটাইন দেখিয়েছিলেন, পুঁজীবাদী সমাজের আকাঙ্ক্ষা ও নিষ্পেষণ কেমনভাবে ব্যক্তিমানুষের আইসোলেশন ঘটায়।

    এর সাথে সমরেশের সম্পর্ক কোথায়? মানে কোন প্রসংগে সমরেশের (মানে ওই ব্যাংক ম্যানেজার) কথা এল সেটাই বুঝলাম না
  • pi | 37.62.157.40 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৮:২৮67632
  • বললাম যে, কেন এল। মিডিয়া এক ই ভাবে সমরেশের কেস নিয়ে ট্রায়াল বসিয়েছে। আর ইন্দ্রাণীর কেসের সাথে প্যারালাল টানছে। পুরো ছক কষে দেখাচ্ছে, কোথায় কোথায় মিল। এবং শেষে কনক্লুশন টানছে, আর্থসামাজিক পরিস্থিতি দুই ভিন্ন মেরুর হলেও একই ধরণের ক্রাইম। তো, ইন্দ্রাণীর কাহিনিকে কি সেভাবেও দেখা যায় না ? সেই দেখাটা ক্যাপিটাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট। আর তোর লেখা পড়ে মনে হয়েছিল, মিডিয়ার দেখাটা নিয়েও তুই বলছিস, এটা ক্যাপিটালের খেলা। বিশেষতঃ এখানটা পড়ে।
    'আমাদের কনজারভেটিভ প্রেক্ষাপট ইন্দ্রাণী মুখার্জীকে প্রমাণ হবার আগেই খুনী বানিয়ে দিচ্ছে। ইন্দ্রাণী মুখার্জী ভিলেইন কারণ তিনি সমাজের এলিট ক্লাসে ঢোকার জন্য অনেককে ব্যবহার করেছেন। মধ্যবিত্তের মূল্যবোধকে পরোয়া করেননি। আর তাই তাঁকে ফাঁসীকাঠে ঝোলানোটা আমাদের অর্থোডক্স ভয়ারিজমের কাছে মিডিয়ার দায়। নাহলে ক্যাপিটালের শুদ্ধতা বজায় থাকে না। যে সমাজ-অর্থনীতি তাঁর উত্থান ঘটিয়েছে সেই সমাজ-অর্থনীতির চাপেই তাঁকে পাবলিক-ট্রায়ালে বসানো হচ্ছে, কারণ “ইট সেলস”। যে ফিনান্স ক্যাপিটালের উত্থানের সংগে সংগে ইন্দ্রাণীর উত্থানকে প্যারালাল করে ফেলা যায়্‌ সেই ফিনান্স ক্যাপিটাল এবং তার থেকে উদ্ভূত এই নতুন সমাজ চরিত্রে আসলে চরিত্রে দ্বান্দিক। '

    তো, এটাই বলার ছিল, এরকম ক্যাপিটালের যোগ না থাকলেও মিডিয়া হয়তো এরকমটিই করতো, যেমন করছে সমরেশের কেসে । দরকার একটি সেনসেশন তৈরির, মরাল বিচারখানা বসানোর , ক্যাপিটাল নো ক্যাপিটাল নির্বিশেষে।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.6 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৩৭67633
  • এটাও তো মেনশন করেছি যে মিডিয়া কেন এরকম করছে তাই নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক লেখা হয়েছে। একজনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে এরকম লেখা উচিত না এসব খুব অবভিয়াস কথা, সেগুলোকে আর রিস্টেট করার মধ্যে যাচ্ছিই না।

    মিডিয়া নিরপেক্ষভাবে ইন্দ্রাণীর এই গল্প আসলে নিও-লিবারাল সমাজের বদলে যাওয়া অ্যাসপিরেশনের গল্প। মিডিয়া কি করেছে বা ট্রায়াল করছে কি না সেসবের থেকেও আমি অনেক বেশি ইন্টারেস্টেড কিভাবে এই গল্পটার মধ্যে ওন্য অনেক আর্থ-সামাজিক অ্যাশপেক্টকে খুঁজে পাওয়া যায়।

    মিডিয়া কেমনভাবে দেখবে, ট্রায়াল করবে না কি করবে না সেই নিয়ে অনেক চর্বিত-চর্বণ হয়েছে। সেই সব বাদ দিয়ে এই গল্পটাকে দেখে আমি একটা বৃহত্তর গল্পের সন্ধান পাচ্ছি।। এটুকুই।
  • Sakyajit Bhattacharya | 23.21.125.9 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৪৯67623
  • হ্যাঁ পড়েছি ওটাও। ওরকম লেখা অন্তত খান দশেক পড়লাম। সকলেই নোংরা অন্তর্বাস কাচতে নেমে পড়েছে পাব্লিকলি। তবে এর বিপরীতে খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন লেখাও আসছে যে কেন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা হবে বা কেন তাকে অপরাধ প্রমাণিত হবার আগেই ভিলেন বানানো হবে। তো সেই রিস্টেটিং দ্য অবভিয়াসে আর ঢুকছি না।

    তবে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে নদী পেরনোর পর বাঘ তাকে গিলে ফেলে। ইন্দ্রাণীকে তৈরী করেছিল আমাদের সম্মিলিত অ্যাসপিরেশন। সে সফল হলে শাহরুখ খানের মতন র‍্যাগস টু রিচেস-এর স্বপ্ন সত্যি করার অবতার হিসেবে পূজিত হত। আর ইন্দ্রাণিকে ক্ষেয়েও ফেলল আমাদের সম্মিলিত অ্যাসপিরেশন-ই। এই গল্প পুরো ক্যাপিটালিজমের নিজস্ব আখ্যান ছাড়া আর কিচ্ছুটি ভাবতেই পারছি না
  • T | 24.139.128.21 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৫৬67634
  • শাক্যজিতের পোস্টটা যদিও ঈশানদার জন্য, তবুও কিছু বলার লোভ সামলাতে পারছি না। যেমন, এই চমকে দিয়ে অপোনেন্টের প্ল্যান ভন্ডুল করা এবং তাকে প্যানিকে ফেলা সবসময় যে খেটে যাবে এমন নয়। উলটে অপোনেন্ট কিছু তড়িঘড়ি অ্যামন সিদ্ধান্ত নিতে পারে যেটা তাকে হেল্পই করবে কিন্তু অন্যরকম পরিস্থিতিতে সে হয়তো সেটা বেছে নিত না। এ বিষয়ে গেম থিয়োরীর লোকজন ভালো বলতে পারবে। সুতরাং জোকারের বাণীটি খুবই চমকপ্রদ সন্দেহ নেই, কিন্তু ঐ পর্যন্তই।

    এছাড়া আরেকটা ব্যাপার হ'ল যে, এই সাংঘাতিক অপোনেন্ট বা প্রবল ইনারশিয়ার একটা স্ট্রাকচারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য সোজা ব্যাটে না খেলে অন্য রাস্তায় যাওয়ার একটা স্বাভাবিক বিপদ আছে। অপোনেন্টের কালেকটিভ ইন্টেলিজেন্স অত্যন্ত বেশী। সে চট করে এই বিদ্রোহের রাস্তাটিকে অ্যাসিমিলেট করে নেবে প্রথাগত বিদ্রোহের নোটবুকে আর একটি পাতা বরাদ্দ করে। ফলে আমাদের সাদা ঘোড়ার নাইটকে সবসময় নতুন নতুন পদ্ধতি ভেবেই চলতে হচ্ছে। প্রতিবার নতুন নতুন পথে। কখনো হামাগুড়ি দিয়ে, কখনো কলামন্দিরের সামনে চড় খেয়ে, কখনো ব্রা পরে। চলতেই থাকবে। কিন্তু এইবার প্রতিপক্ষ এই 'নতুন পদ্ধতিতে প্রতিবাদ' ব্যাপারটাকেই একটা ফর্মাল স্ট্রাকচারে ফেলে দেবে। তখন মুশকিল। কেউ প্যানিকে পড়বে না।

    এরফলে অনাবশ্যক ভাবে একটা প্রেশার চলে আসে, প্রতিবাদের নতুন নতুন ফর্ম খুঁজে বার করার জন্য যা উলটোপক্ষকে বেশ কিছু সময় ধরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে রাখবে। কিন্তু এইবার আমাদের সাদা ঘোড়ার নাইট অন্য ডিলেমায় পড়ে যাবেন। শপিং মল ডিলেমা। ব্যাপারটা হচ্ছে গিয়ে এরকম, একটা শপিং মলে ধরা যাক ইনফাইনাইট সংখ্যক জুতোর দোকান আছে। সুতরাং আপনি কখনোই আপনার পছন্দসই জুতো কিনে উঠতে পারবেন না, কারণ প্রতিবারই মনে হবে আরেকটা দোকান দেখা যাক। এক্ষেত্রেও তেমনি। ব্রা এবং জাঙিয়ার কম্বিনেশন বেশী প্যানিকে ফেলবে, না শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে লুঙী পরে শীর্ষাসন করলে বেশী হবে, না উপাচার্যের টেবিলে ইয়ে করলে বেশী হবে, না ...অসংখ্য কম্বিনেশন, অসংখ্য পক্ষে বিপক্ষে মতামত। দল ফল ছেড়ে দিন, সাদা ঘোড়ার নাইটের মাথাতেই অ্যাতরকম প্রতিক্রিয়া চলবে যে কোনো একটা চুজ করা অসম্ভব। বাধ্য হয়ে তখন জুতোর দোকানের সংখ্যা লিমিটেড করতে হবে। কিন্তু তখন আবার লোকে বলবে যে দেখেছ ইন্টেলেকচুয়াল ব্যাপারটাই নেই। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে না। আসলে বলাটা খুব সহজ কিনা, তাই। নাইট পক্ষের লোকজনের কালেক্টিভ ইন্টেলিজেন্স তো আর মাঠে খেলছে না, খেললেই সেটা পার্টি হয়ে গেল। সেসব আবার ছোঁয়া বারণ।

    খুবই জটিল কেস।
  • utpal | 212.191.212.178 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৯:২১67624
  • ক্যাপিটাল ফোবিয়া তো আপনাকেই খেয়ে ফেলেছে।যা কিছুই হোক গরুতে এনে রচনা র মতো
  • riddhi | 79.64.8.100 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৩৬67635
  • শাক্যর পোস্ট টা লাইক করলাম। 'এন আমেরিকান ট্রাজেডি' আমার অন্যতম প্রিয় নভেল, আর নভেলের ওথোর এর জন্যও একটা আলাদা ভালবাসা রয়ে্ছে। .. এটাকে ইন্ব্দ্রানীর সাথে কানেক্ট করাও বেশ ভাল লাগল।
  • Du | 107.79.230.34 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ১০:১২67636
  • গৌহাটী ক্লাবের কাছে বাড়ি, সেন্ট মেরীজে পড়াশোনা এবং বাঙালী জামাতাকে চাবাগান যৌতুক এইসব ডিটেল শুদ্ধ ঠিক ফিট করছে কি? আশির শুরুতে এই জীবন আর যাই হোক ঠিক অভাব বোঝায় না।
  • Atoz | 161.141.84.108 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫২67637
  • ও বাবা!!!!! সেন্ট মেরিজ? চা-বাগান যৌতুক?????
    এতো বিরাট বড়লোক! রীতিমতন ধনী।
  • cm | 127.247.201.23 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:১০67638
  • ও হরি, এতো আবার নতুন করে কার্ভ ফিট করতে হবে।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.61 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:০৯67639
  • আপনারা কাগজ ফলো করেন না নিয়মিত? চা-বাগান ইত্যাদি ঢপের কথা। যেমন এক সময় বলা হয়েছিল স্বামী মারা গেছেন। এরকম প্রচুর গুজব বাজারে চলছে এখন।

    ইন্দ্রাণী হ্যাড আ ট্রাবলড চাইল্ডহুড।

    মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা । স্মল টাউন গার্ল যাকে বলে।
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:১০67640
  • প্যারামিটারগুলোকে তো কুলোতে নিয়ে ঝেড়ে ঝেড়ে পাল্টাতে হবে। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:১৩67641
  • সুবিধেমতন কোনো গুজব ঢ্প আর কোনো গুজব ঠিক ধরে নিয়ে একটা মেট্রিক্সের কুলোয় ফেলে ঝাঁকান আবার সেইগুলোকেই আরেকটু রিশাফল করে করে আবার ঝাঁকান।
    চমৎকার চমৎকার সব ইয়ে আসবে। ঃ-)
  • বাবুরাম সাপুড়ে | 127.194.254.254 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৩৬67650
  • চা বাগান টা বাজে কথা মনে হয় কিন্তু ইন্দ্রাণীকে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা বলা যায় না। যেটুকু পড়লাম মোটামুটি স্বচ্ছল মধ্যবিত্ত বা মতান্তরে উচ্চ -মধ্যবিত্ত পরিবার। তবে উচ্চাকাঙ্খা যে ছিল তাতে অবশ্য সন্দেহ নেই
  • ... | 74.233.173.198 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৪৭67651
  • শুধুমাত্র নিজের যোনিকে ব্যবহার করে যখন একটি মেয়ে উপরে ওঠে, হাঁ, স্বামী, প্রেমিক, ছেলে মেয়ে অনেককেই কুরবান দিতে হয়। হয় গলায় দড়ি দিয়ে, নাহয় খুন হয়ে গিয়ে।
  • Du | 107.79.230.34 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৪৯67642
  • চা বাগান না হলেও বাকিটা তো থাকেই। এন্টালির বস্তি আর শিলপুখুরী আকাশ পাতাল।
  • 00. | 118.171.131.161 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৫০67652
  • কেবল একটা অঙ্গ ব্যবহার করে কেউই বেশিদুর উঠতে পারে না!
  • Du | 107.79.230.34 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৫৩67643
  • অবশ্যই সুপার রিচ ছিল না সে। কিন্তু র‌্যাগস নেই কোথাও এ গল্পের। পারিপার্শিকের তুলনায় সচ্ছলতাই দেখা যাচ্ছে। লোভ আছে হয়তো।
  • 00. | 118.171.131.161 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৫৪67653
  • মাথা বাদে।
    মানে, বলতে চেয়েছি ক্লিওপেট্রাই হন, বা ইন্দ্রানী - মাথা লাগবে!
  • . | 208.7.62.204 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:১৩67644
  • এক মহিলা পাকেচক্রে মেয়েকে খুন করিয়েছেন কি করাননি,ছেলেকে মারার প্ল্যান করেছিলেন কি করেন নি। বিচার চালু হয়েছে, বিচারব্যবস্থাকে নিজের কাজ করতে দিন। তার মধ্যে আবার আইজেনস্টাইন, তার মধ্যে নিও-লিবারাল, তার মধ্যে র‌্যাগস, তার মধ্যে ভের্দু, যে যেমন পারছে চাটনি পরিবেশন করে চলেছে। পাতি খুনের মামলা, সে নিয়ে কি আতলামো রে বাপ।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৩67655
  • বারবার বলেছেন, ওঁরা পরিচয় জানাতে চান না, নাম তো বেরিয়েই গেছে, তারপরে এই ঠিকানা কুলজি দিয়ে দেওয়া দিয়ে দেখে কী বলবো ভেবে পাচ্ছিনা !
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন