এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • প্রাইভেট টিউটর

    Anik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫ | ২১১৯ বার পঠিত
  • ‘ভাই আর্জেন্ট, ‘অন্তরিত তামার তার’ এর ইংরেজি কী হবে? কুইক…’

    ফোনের ওপাশে বসুর চাপা গলা। অম্লান বসু- ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ, টিটি বোর্ডে অপ্রতিরোধ্য, গমগমে গলায় ‘উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে…’ শুরু করলে ক্যান্টিনে বাকি সব চুপ- সেই বসুর সন্ধ্যাবেলায় চাপা গলায় আর্জেন্ট ফোন মানেই ওর ভোকাবুলারিতে টান। তমলুকের ছেলে, সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মত মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট, কিন্তু ওর ছাত্রকে পড়াতে বসলেই দরদরিয়ে ঘামে। পদার্থবিদ্যা আর ফিজিক্স যে দুটো দুই গোলার্ধের বিষয়, দু’টো ভিন্ন প্রজাতির মানুষের বিষয়- সারাজীবন বাংলা মাধ্যমের ছাত্র বসু তা বিলক্ষণ বোঝে, কিন্তু টিউশানিটা ছাড়তে পারে না। লা মার্টিনেয়ারে ক্লাস টেনের ছাত্র- সায়েন্স গ্রুপটার ভার বসুর ওপর। সপ্তাহে দু’দিন করে ছোটে সেই বালিগঞ্জ। জয়েন্টে র‍্যাঙ্কার, ঝকঝকে চোখমুখ- টিউশানি বাগাতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। মাসে ঠেকায় চার হাজার। বাড়ি থেকে একটা টাকাও নেয় না বসু।

    যাইহোক, ইংরেজ শাসনকালেও বাঙালিরা বাংলা ভাষা যাপন করেই বহাল তবিয়তে বেঁচে ছিল, এযুগেও না থাকার কোনও কারণ নেই। ফলে ভোকাবুলারিতে টান পড়লেই বসু টুক করে বাথরুম- আমাদের কাউকে একটা ফোন- তারপর আবার ইংরেজ ছাত্রের কাছে, এভাবেই প্রায় আড়াই বছর ওই টিউশানিটা করে গেছিলো। তারপর অন্য আরেক ইংরেজ ছাত্রকে পড়ানো শুরু করে। ততদিনে অবশ্য ও বিশেষ বিশেষ টার্ম গুলো শিখে নিয়েছিল, আর ফোন আসত না। বসুর বাবা মজুর খাটে, মা ঠোঙা বিক্রি। ও যখন কলেজে ঢুকলো তখন এক বোন ক্লাস এইট, আর দিদিটা পালিয়ে বিয়ে করেছে সদ্য। ফলে ওর কলেজে পড়াটা একেবারেই আমাদের পড়ার সমতুল্য ছিল না। আমরা অবশ্য এসব জেনেছিলাম অনেক পরে… ফাইনাল ইয়ার পাশ করে গিয়ে এক ভেজা আড্ডায় গোটা গল্পটা শুনিয়েছিল ও, আর বলেছিল ‘নিজের টাকায় গোটা কলেজ লাইফ কাটানো যে কী আনন্দের, কী গর্বের তা তোরা বুঝবিনা রে’। ওর কনফিডেন্সে, ওর উচ্চারণে, ওর চোখেমুখে সত্যিই বুঝিনি কি? বন্ধুরা দেরি তে হলেও সবই বোঝে শেষমেষ।

    কলকাতা শহরটায় এরকম কলেজ-পড়ুয়া প্রাইভেট টিউটর বিকেল-ধোঁয়ার মত ছড়িয়ে থাকে। ক্লাস শেষ হতেই তারা বেরিয়ে পড়ে, সপ্তাহে দু’দিন কী তিন দিন, কমবেশি ঘন্টা দুয়েক পড়ানো। ক্লাস আর বোর্ড অনুযায়ী টাকা। তবে ভিক্টোরিয়া, নন্দন আর চিকেন রোলের টাকা মোটামুটি উঠেই আসে ভালোভাবে। বসুর মত কেউ কেউ তো শুধু হাতখরচা না, কলেজের গোটা খরচাটাই পড়ানোর টাকায় টেনে দেয়।

    শুভদীপকে মনে পড়ছে। যথেষ্ট অবস্থাপন্ন বাড়ির ছেলে, কিন্তু টিউশানি পড়াত। শুভ অবশ্য পড়ানো শুরু করেছিল সেকেন্ড সেমেস্টার থেকে। কলেজে উঠেই অন্তরার সাথে চুটিয়ে প্রেম, বাড়িতেও জানিয়ে দিলো কয়েকদিনের মধ্যেই। এবার মুশকিলটা হ’ল আজও অনেক ব্যানার্জির ছেলে বাগ এর মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারে, কিন্তু বাড়িতে জানাতে পারে না। বাড়িতে তুমুল ঝগড়া বাবার সাথে, কিন্তু শুভর বাবা একেবারে পৈতে পরা সূর্যমন্ত্র আওড়ানো ব্যানার্জি, এককাট্টা মোদি সাপোর্টার। ফলে ঝগড়া শেষ হ’ল এই যুক্তিতে যে শুভ এখনও যেহেতু মাসের শেষে বাবার কাছেই হাত পাতে, তাই সে বাবার আদেশানুযায়ী টুঁ শব্দটি না করে যেন প্রেমটা কাটিয়ে দেয়। ব্যস, ও আর একটাও কথা না বলে হস্টেলে চলে এল আর শুরু করল টিউশানি পড়ানো। কলেজ আর দু’খানা টিউশানি পড়িয়ে বাকি যেটুকু সময় পেত, সেটা প্রেম করেই কাটিয়ে দিত। টাকা ধার নিয়ে সেমেস্টার ফি দিলেও ঠিক শোধ করে দিত একমাসের মধ্যে। সাড়ে আটমাস বাড়ি যায়নি শুভ, কাকু কাকিমা হস্টেলে এসে চারবারের বার বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল ওকে। কিন্তু শুভ আর কোনওদিন বাড়ি থেকে একটা টাকাও নেয়নি। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার, স্বাধীন হওয়ার যে কী আনন্দ তা ওকে দেখে বুঝেছিলাম। মজার ব্যাপার, গত সেপ্টেম্বরে ওদের প্রেমটা কেটে গেছে। সেদিন মেট্রোতে দেখা- নিজেই দিলো খবরটা। কেন যে জীবনের কোনও স্ট্যান্ডার্ড টেক্সটবুক থাকে না!

    অনেকে আবার হাতখরচা চালানোর জন্য টিউশানি শুরু করলেও পড়ানো ব্যাপারটা শেষে নেশার মত পেয়ে বসে। ‘দেখো, পৃথিবীতে সমস্ত কিছু খারাপ ঘটার পরেও সোডিয়াম পরমাণু একটা ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়নই হবে, সালোকসংশ্লেষ এর বিক্রিয়ায় ছ’টা কার্বন ডাই-অক্সাইড অণুই লাগবে, আই এর পরে অ্যামই বসবে। এগুলো অন্য একজনকে শেখানোয় একটা অন্যরকম নেশা আছে’- সৌমি একবার বলেছিল আড্ডায়। নিজে কেমিস্ট্রি অনার্স, পড়ার চাপে ছেড়ে দেওয়া গান এখন কলেজে উঠে আবার শুরু করেছে। ক্লাস নাইনের একটা ছেলেকে পড়ায় বিজয়গড় থেকে সেই সোদপুরে গিয়ে। পড়াতে বসে সময়ের খেয়াল থাকে না; এক কথা থেকে আরেক কথা, এক বিষয় থেকে আরেক বিষয়ে চলে যায়। ছাত্রটিও বাধ্যের। ফলে গত বছর বেশ রেজাল্ট করেছে। সেই আলো লেগে থাকে সৌমির চোখেমুখে। মাধ্যমিকে ওর ছাত্র যে একটা বড় কিছু করে ফেলবেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত ও। সামনেই নিজের পরীক্ষা, তাই একমাস ছুটি নিয়েছে আপাতত। ছাত্রের সিলেবাস অবশ্য শেষ। শুধু তাই না, রোজ নিয়ম করেই দিদিমণি ফোনে পড়া ধরে ছাত্রের।

    সিনিয়রদের কাছে একটু খোঁজ করলেই হদিশ মিলে যায়। শুরুতে অনেকেই অচেনা জায়গায় গিয়ে পড়ানোর কনফিডেন্স না পেলেও আস্তে আস্তে ছন্দ চলে আসে। ‘আর ছাত্র বা ছাত্রী যত নীচু ক্লাসের হয় তত মঙ্গল জানিস তো? স্যার স্যার ব্যাপারটা থাকে। যত ওপরের ক্লাস তত ইয়ারদোস্ত হয়ে যাওয়ার চান্স বাড়ে। ব্যাপারটা সবসময় খারাপ না হলেও কিছু ক্ষেত্রে কেস খেয়ে যাওয়ার চান্সও বেড়ে যায়’- বলছিল নীলাদ্রি। ওর বাড়ি বেহালায়, কলেজে ঢোকার আগে থেকেই পড়ায়। ফলে অভিজ্ঞতার ঝুলিও একটু ভারী। একবার ইলেভেনের এক ছাত্রের সাথে এমন দোস্তি হয়েছিল যে তাকে নিজের মাইনের টাকা ধার দিতে হয়েছিল। সেই টাকায় ছাত্রটি তার সদ্য হওয়া প্রেমিকাকে ‘লাভ আজ কাল’ দেখিয়ে আর্সালানে বিরিয়ানি খাইয়ে এনে ওর হাত ধরে ছলোছলো চোখে একখানা ‘থ্যাংক্যু নীলুদা’ বলেই কাজ মিটিয়েছিল। বলা বাহুল্য, ধারটা আর মেটায়নি সেই ছাত্র।

    অনেক সময় আবার ছাত্রযোগ একেবারেই ভালো থাকে না। অরিত্রর যেমন। ফটোগ্রাফি ক্লাবে আলাপ। আশুতোষে বাংলা পড়ছে। একটু মোটাসোটা, সারাক্ষণ হাসি লেগে আছে মুখে। তা ওর ছাত্রটি ক্লাস ফোর, সিবিএসসি বোর্ড। ‘প্রথমদিন গিয়ে দেখি ফুল ভলিউমে ছোটা ভীম চালিয়ে একটা ছেলে ধেই ধেই করে টিভির সামনে নাচছে আর ডায়লগগুলো ইকো করছে। কিছুক্ষণ বাদে ওর বাবা এসে বলে, বেটা মাস্টারজী আয়ে হ্যায়, পঢ়াই করনা হ্যায়। ছেলে ব্যাজার মুখে বসলো পড়তে। তো এ কথা সে কথার পরে শূন্যস্থান পূরণ এলো, সান রাইজেস ইন দ্য__। অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম ক্লাস ফোরে পড়ে ছেলে, কিন্তু সান মানে জানে না। প্রথম দিন, মাথা ঠান্ডা রেখে খেলে বেরিয়ে আসতে হবে ভেবে তাকে নানাভাবে সান বোঝানোর চেষ্টা করলাম। সে ব্যাটা কিছুতেই বোঝে না। প্রথমে ভেবেছিলাম বদমায়েশি, তারপর দেখি উহু, সত্যিই জানে না। শেষে যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি তখন বাচ্চাটা চোখ পাকিয়ে হেসে বলে, আভি সমঝমে আয়া স্যার, সান কা মতলব হ্যায় আগ কা গোলা’। অরিত্র হো হো করে হাসতে হাসতে বলে ‘তারপর আর ওমুখো হওয়ার প্রশ্নই ছিল না, কিন্তু আমি অনেকদিন সূর্যের বদলে আগ কা গোলা ফ্রেজটা ব্যাবহার করেছি’

    কখনও আবার অভিভাবক ফ্যাক্টরটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কী পড়াতে হবে, কীভাবে পড়াতে হবে সেসবের লিস্টি করে দেওয়া তো আছেই, তবে সবথেকে অস্বস্তির ব্যাপার হ’ল আড়ি পেতে পড়ানো শোনা। আর শেষে রেজাল্ট ভালো হ’লে ছাত্রকে মাথায় তুলে নাচো কিন্তু খারাপ হলে টিউটরকে গিলোটিনে চাপাও… অভিভাবকযোগ খারাপ থাকলে বড্ড মুশকিলে পড়তে হয় প্রাইভেট টিউটরদের। তবে পড়ানোর পরেও বেতন দেয়নি, বা ইস্যু তৈরী করে ঝামেলা করেছে- এরকম অভিযোগ বড় একটা শোনা যায় না অভিভাবকদের বিরুদ্ধে।

    প্রাইভেট টিউটরের কথা উঠলো বলে বিজন দা’র কথাও মনে পড়ে গেল একই সাথে। বাবা হঠাৎ অ্যাক্সিডেন্টে চলে যাওয়ার পরে জীবনের ফর্সা শরীরে কালো কালো ছোপগুলো বেঢপ হয়ে উঠল হঠাৎই। নিজের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে হবে, টানতে হবে মা- ভাইকেও। টাকা চাই, টাকা। চুরি-ছিনতাই করার সাহস নেই, অগত্যা পড়ানো শুরু করল। তবে বিজন দা’র কোনও কলকাতা শহর ছিল না যেখানে সপ্তাহে দু’দিন দু’ঘন্টা করে পড়ালেই হাজার চারেক উঠে আসে। বর্ধমান রাজ কলেজে পড়ত, বাড়ি মগরা। সারা সপ্তাহ গোটা সাতেক টিউশানি পড়িয়ে মেরেকেটে দশহাজার। তিনবার এসএসসি দিয়েও শেষ শিকেটা ছেঁড়ে নি বিজনদার…টাকা চাই, টাকা। এখন ডিপ্রেশনের রোগী, তিনখানা ওষুধ চলে টানা। কবিতা লিখত এক সময়, সেই সূত্রেই পরিচয়। যদিও অনেকদিন হ’ল সবকটা কবিতার খাতা কেজিদরে বিক্রী করে দিয়েছে বিজনদা। সেদিন লিটল ম্যাগাজিন মেলায় দেখা হতে কাঁধে হাত রেখে বলেছিল, ‘কলকাতায় প্রাণ না থাকুক, কিন্তু টাকা আছে রে। একটা মেসটেস দেখে দে না, এখানেই টিউশানি করে বেঁচে থাকি’

    আর পড়াতে গিয়ে শুভদৃষ্টি বিনিময়? গল্পে, সিনেমায় যেমন হয়? সে ঘটনাও আছে। প্রীতমদা এক ব্যাচ সিনিয়র, রুমমেট ছিল হস্টেলে। রায়গঞ্জে বাড়ি, মজার লোক, অসাধারণ পান করত। প্রীতমদার একটা সিগনেচার ডায়লগ ছিল- কথায় কথায় বেঁকে বসবি না, স্কোলিওসিস হয়ে যাবে। যাই হোক, সে পড়াশুনো যত না করত, দুনিয়ার সিনেমা দেখত তার ডবল আর প্রেম করত তার তিনগুন। আমাদের ইয়ারেরই দেবোপমার সাথে। দু’জনেরই বাড়িতে জানত। কোনও ভিলেন ছিল না দু’জনের জীবনে। সিঁথির মোড় থেকে ডান হাতে মিনিট দশেক ঢুকে একটা গলির শেষ মাথায় পড়াতে যেত প্রীতমদা। ক্লাস ইলেভেন, বায়োলজি। একেবারে ঘড়ি ধরে পৌনে চারটায় হস্টেল থেকে বেরত, পাঁচটায় নিজের চেয়ারে, সাতটা পর্যন্ত টানা পড়ানো, সোওয়া আটটায় একটা ফ্লেক মুখে ঢুকত হস্টেল। যেটা পড়াবে আগে থেকে চোখ বুলিয়ে যেত। মাঝে মাঝে জ্ঞান দিত, ‘আমাদের জীবনটা এত রাফ কেন জানিস? আমরা রাফ করি না বলে’
    তা শিক্ষক জীবনের সেকেন্ড ইয়ারে এসে প্রীতমদার সূক্ষ্ম পরিমাপগুলো ঘাঁটতে লাগল। প্রথম প্রথম সাড়ে আটটা, তারপর নটা, শেষে সাড়ে নটায় হস্টেল ঢোকা শুরু হ’ল। সারাদিন ফোনে খুটখুট, সিনেমা দেখায় ভাঁটা পড়ল, পড়াশুনো যেটুকু করত তাও গেল। এরপর একমাসের মাথায় একদিন রাত্রে ছাদে তুমুল কান্নাকাটি করে জড়ানো গলায় জানালো যে ছাত্রীর প্রেমে পড়েছে। তারপর সে চরম অশান্তি, দেবোপমার বাবার কলেজ চত্বরে প্রীতমদার কলার ধরা, ছাত্রীর বাড়ি থেকে প্রীতমদাকে অপমান করে তাড়ানো, আমাদেরও কথা বন্ধ করে দেওয়া– এসব ঘটলো পরের একমাসে। আমরা হিসেব করে বুঝতে পারছিলাম না দেবোপমার মত একখানা মারকাটারি সুন্দরী মেয়ের সাথে এরকম জমিয়ে প্রেম করতে করতে প্রীতমদার মত জীবনে প্রতিটা স্টেপে রাফওয়ার্ক করে পা ফেলা একটা লোক হঠাৎ কী করে ছ’ বছরের ছোটো, ‘চলতা হ্যায়’ দেখতে ছাত্রীর প্রেমে পড়তে পারে? প্রীতমদাই অনেক পরে হাল্কা হেসে উত্তরটা দিয়েছিল- পড়াতে গেছিলাম, নিজেই পড়ে গেলাম। কী করব বল?
    আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল প্রীতমদা আর তানিয়ার প্রেম। দু’জনের বাড়িতেই মেনে নিয়েছে। জীবনে কোনও ভিলেন নেই সে অর্থে। রেজিস্ট্রি করছে সামনের বছর, প্রীতমদার ভাষায়- সিঁথির মোড়ে সিঁদুর না, কালি দেবো। আর হ্যাঁ, তানিয়াও ফার্স্ট ইয়ার থেকেই টিউশানি করে। ছাত্র ক্লাস টেন, সায়েন্স গ্রুপ। রাফওয়ার্ক করে যায় কিনা কে জানে…
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫ | ২১১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:২৮69291
  • বেড়ে হয়েছে
  • Abhyu | 109.172.116.187 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:২৭69301
  • ল্যাদোশদার বন্ধু ভাগ্য চিরকালই খুব ভালো।
  • Abhyu | 109.172.116.187 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৬69302
  • হোস্টেল জীবনটা মানুষকে স্বাধীনতা দেয়। যদিও প্রেম-সংক্রান্ত নয়, কিন্তু আমারও একবার ঐ শুভদীপ-টাইপ কেস হয়েছিল। ব্যাপারটা অতদূর গড়ায় নি, কিন্তু আমি সুটকেস গুছিয়ে ফেলেছিলাম বাড়ি ছাড়ব বলে (প্রসঙ্গতঃ আমরা স্টাইপেন্ড পেতাম বলে আর্থিক স্বাধীনতা ছিলই)।
  • hu | 78.63.145.192 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৪১69303
  • ভালো লাগল পড়ে।

    এ বিষয়ে টিমের প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে। ও সেসব লিখলে ভালো সিরিজ হবে। আমার করার ইচ্ছা ছিল। বন্ধুরাও বলত ভালো পড়াই। কিন্তু তখন বাপ-মায়ের অধীন। তাঁরা অ্যালাও করলেন না।
  • de | 24.96.236.252 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:০৩69293
  • ভালো লাগলো -

    ক্লাস নাইন থেকেই টিউশন করি - তারপর থেকে আমিও বাড়ি থেকে খরচের টাকা, পড়ার বা অন্য কিছুর জন্য, নিই নি - চাগ্রী পাওয়ার পরে আর করিনা।

    টিউশন করতে ভালোই লাগতো কিন্তু, কত রকমের ছাত্র-ছাত্রী! অবশ্য অনেকেরই মাইনে মেরে দেওয়ার হ্যাবিট ছিলো, লজ্জায় চেয়ে উঠতে পারছি না, অথচ মাইনেটা না পেলে একটা টেক্স্ট বুক কেনা হচ্ছে না বা কলেজের মাইনেটা দিতে পারছি না, এমন দিনও গেছে। ফিরে দেখলে এখন কিন্তি ভালোই লাগে সেসব সময়।
  • dd | 116.51.31.26 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:২৯69294
  • লাইক করলাম
  • | 24.97.223.63 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:১১69295
  • আহা আমিও ঐ প্রাইভেট টিউশানি করে একটা সময় নিজের পড়ার খরচ চালিয়েছি। মায়ের থেকে নেওয়া ধার শোধ করেছি। সত্যিই সেই আত্মবিশ্বাসের যে বোধটা আসে তার কোনও তুলনা হয় না।
    ভাল লাগল বিষয়টা।
  • pi | 192.66.99.179 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:২০69297
  • অবশ্য, ভাগ্যিস থাকেনা ..
  • pi | 192.66.99.179 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:২০69296
  • 'কেন যে জীবনের কোনও স্ট্যান্ডার্ড টেক্সটবুক থাকে না!'.. লাইনটা বড় পছন্দ হয়েছে।
  • শ্রী সদা | 113.16.71.15 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৫৪69298
  • বিন দেয়ার, ডান দ্যাট ঃ) লেখাটা ফাটাফাটি হয়েছে।

    কলেজে সেকেন্ড ইয়ার থেকে সি আর ডেটা স্ট্রাকচার পড়াতাম, কিন্তু বেশীরভাগ জনতা পড়তে আসতো যখন সেমেস্টার দু মাস দূরে ঃ) শেষ মাসের মাইনেটা প্রায় কেউ ই দিত না, তাই পরে এক মাসের মাইনে অ্যাডভান্স নেওয়া শুরু করি।
  • Arpan | 125.118.69.168 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:২১69299
  • বেড়ে হয়েছে।

    খুব সিলেক্টিভলি পড়াতাম। একজন এখন দাঁতের ডাক্তার, আর একজন ছাত্রী আমেরিকাতে পিহেইচডি করছে।

    আরেকজনের খবর জানিনা। বোধহয় বিয়েটিয়ে হয়ে গেছে। খুব কনজার্ভেটিভ মারওয়াড়ি ফ্যামিলি ছিল।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:০৯69300
  • এক বন্ধু নিয়ে গেল হবু ছাত্রের বাড়িতে। ঐ যোগাযোগ করে দিয়েছিল, কথাবার্তা ওই সব বলছিল। ছেলেটির বাবা জিগ্গেস করল আমার কিছু জিজ্ঞাস্য আছে কি না। আমার কিছুই জিগ্গেস করার নেই, কিন্তু বন্ধু শুরু করে দিল - - দেখুন মাইনে দিতে দেরি হলে একটু বলে দেবেন। নইলে পড়ানোতে মন দেওয়া যায় না। পায়ের আওয়াজ শুনলেই মনে হয়, এই ত্তো নিশ্চয়ই বাবা বা-মা কেউ আসছে, টাকাটা আজই পাবো মনে হচ্ছে, আশার পারদ ভেতরে ভতরে চড়ে ওঠে, না পেলে আবার ডুবে যায়। বুঝতেই পারছেন। ... ....
  • anag | 132.167.166.22 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:১৪69304
  • বেশ লাগল, মনে পড়ে গেল যে বারো ক্লাসের পরে এই ওষুধে আমারো আর বাড়ি থেকে টাকা লাগেনি।

    আর এখন, শোনা যায় যে, এখনো আমার সেই চাকরি জারি আছে, খালি নো ক্যাশ - শুধু খাওয়া-পরা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন