এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যৎকিঞ্চিত ... ( ২৪ তম পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ জুন ২০১৪ | ৯২৬ বার পঠিত
  • কাল সন্ধেতে আমার ভাই অর্ক বাড়ি ঢুকে বলল,
    ‘দাদা,ছেলেদের সুরক্ষার স্বার্থে বহরমপুরের রাস্তায় সুন্দরী মেয়েদের বোরখা পরে ঘোরাফেরা করা উচিত’।
    আমি বই পড়ছিলাম।চোখ তুলে বললাম,
    ‘হঠাত এইরকম তালিবানি ফতোয়া?’
    নিজের হাতের সদ্য কাটা দাগ দেখিয়ে অর্ক বলল,
    ‘নাহলে এরকম অ্যাকসিডেন্ট হবে। রাস্তাঘাটে এত সুন্দরী মেয়ে ঘুরলে তাদের দিকেই চোখ পড়ে।মোহনের মোড়ে এক নীল সালোয়ার খোলা চুলে যাচ্ছিল। এক নজরে প্রেমে পড়ে হাঁ করে চেয়ে রইলুম।সামনে আগুয়ান সাইকেলটাকে দেখতে পেলুম না।ধড়াম করে পড়ে গেলুম’।
    আমি বললাম,
    ‘বাবা শাস্তরবাক্য তো মিথ্যে হবার নয়।বলাই তো আছে ‘FALL IN LOVE’।

    অনেক আগে ‘চার ইয়ারি কথা’ তে অমল,বিমল,কমল এবং ইন্দ্রজিৎ এর কথা লিখেছিলাম।আসল নাম দেওয়া বারণ।তাই বাদল সরকার এর কাছ থেকে ধার করতে হয়।যাইহোক,অমল,বিমল,কমল এবং ইন্দ্রজিৎ জিগরী দোস্ত। প্রত্যেকেই পেশাগত জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং শুধুমাত্র বৃষ্টি হলে এবং না হলে তারা একত্রে মদ্যপান করে থাকে।সম্প্রতি অমল একটি সুন্দরী মহিলাকে বিয়ে করেছে,যাকে দেখলে গৌরকিশোর ঘোষের ভাষায় বলা যায় যে ‘প্রচ্ছদ ও বাঁধাই অতি উত্তম’।
    বিয়ে করার পর অমলের বন্ধুত্বের বাঁধন কিঞ্চিৎ আলগা হয়েছে। তাকে আর নিয়মিত চার ইয়ারের আড্ডায় পাওয়া যাচ্ছেনা। এমনকি মদ্যপানেও তার অনীহা দেখা যাচ্ছে।তার চেয়েও বড় কথা বোতল কিনে এনে অমলকে ফোন করলে অমল ফোন তোলেনা,তোলেন তার বউ এবং যে ভঙ্গিতে উত্তর দিয়ে থাকেন,তাতে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে অমলের বউ ফ্রিডম অফ স্পিচে বিশ্বাসী।

    এখন অমলের সম্পর্কে কটা কথা বলে রাখা দরকার। অমল হচ্ছে সেই জাতের মানুষ যারা আদর্শ ভালোবাসে এবং সে আদর্শে নিজেকে গড়ার চেষ্টা করে।দুঃখের কথা অমলের আদর্শ প্রায়শই পরিবর্তন হয়। তা অমল লিটল ম্যাগ বা রোদ্দূর কি দই অলা- কোনোটাই হতে পারেনি। শেষ অব্দি তার হিরো হয়ে দাঁড়ান চে গুয়েভরা। গুরুদেব কে স্বরণ করে খান চারেক প্রেম করার পর সে বিপ্লবে হাত দেয়।কিন্তু কফি হাউস আর কলেজ স্কোয়ার তার বাড়ি থেকে অনেক দূরে বলে বিপ্লব সফল হয়নি। অগত্যা সে চুরুটে মন দেয়।যদি ধোঁয়াতে বিপ্লব উঁকি দেয় সেই আশায়। বিপ্লব হয়নি কিন্তু বিস্তর কাশি হয়েছিল,এ কথা সত্য।

    এভাবে অমলের অনুপস্থিতিতে বিমল,কমল এবং ইন্দ্রজিৎ খুব রেগে যেতে থাকে।শেষে একদিন তিন বন্ধু মিলে সন্ধেবেলা অমলের বাড়ি হানা দেয়। অমল তাদেরে দেখে অপ্রস্তুত মুখে অভ্যথর্না জানায়। বলা বাহুল্য,যে অমলের বউ তার স্বামীর এই তিন বন্ধুকে একেবারেই পছন্দ করতেন না তাই অমল একবার চায়ের কথা বলা সত্বেও অন্দরমহল থেকে এক কাপ চা দূরে থাক,এক গ্লাস জলও হাজির হয়না।

    পরের দিন রাস্তায় বিমল,কমল এবং ইন্দ্রজিৎ অমলকে ধরে।প্রাক্তন ছাত্রনেতা বিমল জ্বালাময়ী ভাষণে অমলকে আক্রমণ করে।এইভাবে যে সে তার ইয়ারদের ভুলে যাচ্ছে এটা মার্কিনী সাম্রাজ্যবাদের থেকেও খারাপ তা সে প্রমাণ করে ছাড়ে।তার চেয়েও বড় কথা অমল একটা সামান্য মেয়ের আঁচলে মুখ ঢেকে বেড়াচ্ছে।এর চেয়ে লজ্জার কিইবা হতে পারে।পুরাকাল থেকেই ছেলেদের পৌরুষত্ব প্রমাণের একমাত্র জায়গা হচ্ছে মেয়েদের উপর নিজের প্রভুত্ব দেখানো। অমল এমনিতেই বাড় খেয়ে ক্ষুদিরাম হওয়া গোছের তারপরে এই জাতীয় মোটিভেশনের ফলে সে উজ্জীবিত হয়ে ঘোষণা করে,
    ‘’ঠিক বলেছিস শালা... আমি কোনো মেয়েমানুষকে ভয় পাইনা।এখনই তোরা আমার বাড়ি চল। শা-ল্লা,পাঁচ মিনিটের মধ্যে যদি তোদের জন্য চা না আসে,তাহলে আমার নামে কুকুর পুষবো’।

    চারবন্ধু বিপ্লবী মার্চ করে অমলের বাড়ি পৌঁছায় ।বসার ঘরে বসে অমল হুঙ্কার দেয় ,
    ‘কইগো,চা পাঠাও পাঁচ মিনিটের মধ্যে’।

    অন্দরমহল থেকে যে অম্লমিশ্রিত কন্ঠস্বর ভেসে এলো তা আর যাই হোক,সম্মতিসূচক বার্তা নয়,তা বোঝার জন্য ইডি’কে ডাকার দরকার পড়েনা।

    পাঁচ মিনিট টা আধঘন্টা হল।চা এলোনা।বাকি তিন বন্ধু অমলের মুখের দিকে চেয়েছিল। অমলের মুখে তখন গুমোট মেঘ।আচমকা অমল উঠে দাঁড়ালো।বিমল আশা করেছিল যে এইবার একটা বিস্ফোরণ হবে, তিয়েন আন স্কোয়ার নড়ে যাবে,কিন্তু বুদ্ধদেব বসুর কবিতার মতই অমল বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজারের দিকে হাঁটা দিল।বিমল,কমল এবং ইন্দ্রজিৎ দৌড়ে গিয়ে ধরলো।

    ‘আরে যাচ্ছিস কোথায়?’,কমলের জিজ্ঞাসা।

    অমলের অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর,
    ‘কুকুর কিনতে’।

    মদ্যপায়ীদের নিয়ে যখন কথা বলছি,তখন একটা পুরোনো ঘটনা বলতে হয়।২০০৭ সালের কথা।কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের ছাত্র। মদ্যপানের আসর বসেছে সেন্ট্রাল পার্কে এক বন্ধুর ঘরে। চারটে বোতল ফাঁকা হওয়ার মুখে।কথা চলছে যে এবার বোতল গুলোকে সাবধানে কোনো ময়লা ফেলার জায়গাতে ফেলে আসতে হবে।নইলে বাড়িওলা জেনে গেলে অসুবিধে হবে।এক সুহৃদ আগেই কয়েক পেগ র মেরে লাট খেয়ে পড়েছিলেন এবং শেলি আর বায়রণ আওড়াচ্ছিলেন ,ইনিই পরবর্তীকালে ইংরেজি সাহিত্যের এক মনোযোগী ছাত্র হিসেবে সুপরিচিত হবেন,তাই সঙ্গত কারণেই নামটা রইলো না। তিনি হঠাত এই বোতল গুলো লুকিয়ে বাইরে ফেলতে যাওয়ার কথা শুনে টলতে টলতে উঠে দাঁড়ালেন।এতক্ষণ শেলি আর বায়রণ আওড়ে এমনিতেই তার ভিতরে যথেষ্ট বিদ্রোহী ভাব সঞ্চারিত হয়েছিল। টলায়মান পায়ে তিনি দাঁড়িয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন বিশুদ্ধ বঙ্গভাষায়,
    ‘আমরা কি পাপ করছি যে বোতল লুকিয়ে ফেলতে যাবো? আমি বোতল গুলো মাঝরাস্তায় ভাঙবো ।সব্বাইকে জানিয়ে ভাঙ্গবো। আই হেট সোসাল মরালস’।
    লাস্টের বাক্যটা বোধহয় আগের দিন দেখা ‘ড্রিমারস’ মুভি ফলাফল।তা যা হোক,এরপরেই আচমকা ভদ্রলোক গোটা দুয়েক বোতল বগলদাবা করে লম্বা লম্বা ঠ্যাং ফেলে রাস্তায় বেরিয়ে গেলেন।
    রাত তখন তিনটে।কল্যাণির রাস্তায় পুলিস না থাকুক,সারমেয় বাহিনী যথেষ্ট আছে এবং তারা কম বিপদজনক নয়। আমরা নিজেদের সামলে পিছনে দৌড়ালুম।রাস্তায় ভদ্রলোকের পাত্তা নেই।ব্যস্ত হয়ে এদিক ওদিক খুঁজছি।আচমকা আওয়াজ ভেসে এলো,
    ‘I have drunken deep of joy, and I will taste no other wine tonight’
    এ বাক্য একজনই কইতে পারে।আওয়াজ শুনে এগোলাম।দেখি, একটা ঝোপের মধ্যে তিনি বোতলগুলোকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে আছেন।আমাকে দেখে আধো চোখে হাতে রাম এর বোতলটা হাতে তুলে শ্লোগান দিলেন,
    ‘বিপ্লব দীঘঘোজীবি হোক কমরেড’।

    অনেক আগের কথা। এখন হায়, সে রামও নেই, আর বিপ্লব কোথায় আছে তা গুগলে সার্চ দিলেও পাওয়া যাবেনা।

    সায়ন্তিকার বাবা অনেক আগে একবার অসুস্থ হয়েছিলেন।তখন তার অফিসে কে বা কারা ‘গেট ওয়েল সুন ঔরঙ্গজেব’ লেখা কার্ড সমেত একটা ফুলের তোড়া পাঠিয়েছিল।তাইতে,ওনার আমার উপর কি রাগ।আমিই নাকি পাঠিয়েছি।এরকম কাজ আর অন্য কেউ করতেই পারেনা। এত চেঁচাতে লাগলেন যেমন কোর্ট মার্শাল কি ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে আমাকে না ফেলা অব্দি থামবেন না। খামে ভরা কার্ড টা হাতে ধরে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
    ‘ যতই অস্বীকার করো,আমি জানি এ কাজ তোমার’।
    আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,
    ‘কার্ডের নীচে যে হলুদ রঙের অংশ টা আছে,ওখানে কি আমার নাম লেখা আছে ? ওখানে তো শুধু মেড বাই অমুক ছাপা আছে,নাম লেখার জায়গাই নেই।তাও ক্যানো আমার নামে দোষ দিচ্ছেন ?’

    দুদিন আগে ক্লাস সেভেনের ঘরে পড়া ধরছি।গোটা কুড়ি ইংরেজি শব্দের অর্থ মুখস্থ করতে দেওয়া আছে। লাস্টের আগের বেঞ্চের শ্রীরাম কে পড়া ধরছি তখন।একটা করে জিজ্ঞেস করছি আর একটু থেমে থেমে উত্তর দিচ্ছে।চার নম্বরে এসে আর উত্তর দেয় না,খালি মুখ নামিয়ে বিড়বিড় করে।দুবার জিজ্ঞেস করেও উত্তর না পেয়ে এবার কড়া গলায় ধমাকালুম,
    ‘অ্যাই শ্রীরাম,কি হচ্ছে ? উত্তর দিচ্ছিস না ক্যানো? বল,mansion মানে কি?’
    ঠিক পিছনের বেঞ্চের রাজেশের দিকে হাত দেখিয়ে শ্রীরাম উত্তর দিল,
    ‘রাজেশ আর বুলে দিছেনা সার’।

    আগের বারে ভূত নিয়ে দু-চার কথা লিখেছিলাম।আমি ভূতেদের ভয় পাই,আমার ধারণা ভূতেরাও আমাকে ভয় পায়।নইলে সম্বুদ্ধের শর্তানুসারে এতদিনে তারা দিনের বেলাতে একবারও গোরাবাজারে উঁকি দিলো না ক্যানো ?নিশ্চয় ব্যাটারা ভয়েই আসেনি।অবশ্যি আসুক,এটাও মনে প্রাণে চাইছি না।

    আমাদের সুমন দা,সুমন পাল খুব প্রতিভাবান মানুষ ছিলেন।অসাধারণ ছবি আঁকতেন।মাউথ অর্গান বাজাতেন।ইংরেজি সাহিত্যে অগাধ দখল ছিল।বোহেমিয়ান এই মানুষটি নিজের বিশৃঙ্খল জীবনযাত্রার মাসুল দিয়ে খুব অকালে চলে গেছেন। এখন মনে হয়,আমাদের এই মাঝারিয়ানার পৃথিবীটা সুমন দা’র যোগ্য ছিল না। তিনি তার জগতে চলে গেছেন,যেখানে অর্থহীন সামাজিক বাধা নিষেধের রক্তচক্ষু নেই। সুমন দা,তুমি যেখানেই থাকো,খুব ভালো থাকো।

    সুমন দা’র কাছ থেকেই শোনা দুটো ঘটনা শেয়ার করছি।অনেক আগের শোনা।ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন।

    সুমন দা তখন ছোট। সুমন দা’র দাদু মারা গেছেন।বাড়িতে তার মৃতদেহ শায়িত আছে।সবাই কান্নাকাটি করছে।সবাই মৃতদেহকে ঘিরে আছে।তাদের পিঠ ঘরের দরজার দিকে।একমাত্র সুমন দা ঘরের দরজার দিকে মুখ করে বসে আছে।আচমকা সুমন দা দেখল যে তার দাদু ঠিক যেমন রোজ বিকেলে হাঁটার পর ছড়ি হাতে বাড়ি ফিরতেন,সেরকমই হাসতে হাসতে ঘরে ঢুকলেন।নিজের শায়িত মৃতদেহ আর সবাইকে কান্নাকাটি করতে দেখে তাঁর মুখটা বিষাদে ভরে গেল।তারপর মাথা নামিয়ে আবার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।

    সুমন দা দাদুর মৃত্যুর পর বাড়িতে দিদা একা থাকতেন।সুমন দা তখন দিদা’র কাছে রাতে শুতে যেতেন। রোজ রাতে সিঁড়ির একতলা থেকে একটা ছড়ি ঠুকে পা ফেলার আওয়াজ দোতলার শোওয়ার ঘর অব্দি উঠে আসতো।আর ঠিক দরজার সামনে এসে আওয়াজটা থেমে যেত।সুমন দা আর তাঁর দিদা এ আওয়াজ রোজ শুনতেন।একদিন আওয়াজটা যেই দরজার সামনে এসেছে,উঠে দরজাটা খুলে দিলেন।কিচ্ছু নেই।খালি এক ঝলক ঠান্ডা বাতাস ঘরের মধ্যে বয়ে গেলো।

    প্রিয়জনেদের বোধহয় মৃত্যুর পরেও ভোলা যায় না।ভালোবাসা চিরন্তন,সামান্য মৃত্যু তার পথে বাধা হবে কি করে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ জুন ২০১৪ | ৯২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.58.120 (*) | ০৮ জুন ২০১৪ ০৩:৫৩73396
  • রবিবার হলেই রানার ব্লগের জন্য একটা অপেক্ষা তৈরী হয়ে গেছে। :-)
    দিব্বি লাগল।
  • মৃন্ময় ঘোষ | 213.147.88.194 (*) | ০৮ জুন ২০১৪ ০৯:০৮73397
  • যখন থেকেই আপনার যৎকিঞ্চিত পড়তে শুরু করেছি তখন থেকেই এর ভক্ত আমি, কিন্তু ভূতের বিষয়টা অতটা জমাটি লাগছে না।
  • Abhyu | 118.85.90.90 (*) | ০৮ জুন ২০১৪ ০৯:৩৫73398
  • দারুণ লেখা, দমুদির সাথে পুরো একমত।
  • কান্তি | 212.142.82.181 (*) | ০৯ জুন ২০১৪ ০৬:০২73401
  • শুরু থেকেই রানার লেখা আমার প্রিয়। জন্ম সূত্রে আমি মূর্শিদাবাদি। বহরম্পুরের সংগে একটা যোগসূত্র এক সময় ছিল।
    তাই রানার ছাত্রদের মুখে খাঁটি মুর্শিদাবাদি কথা শুনে বড় আমোদ পেলাম। চালিয়ে যান ভাই।
  • de | 69.185.236.54 (*) | ০৯ জুন ২০১৪ ০৬:১৫73400
  • বেশ ভালো লাগলো!
  • Rana Alam | 113.24.109.174 (*) | ০৯ জুন ২০১৪ ০৬:২৮73402
  • আসলে আমি ঠিক ভূতের গল্প লিখছি না।যেসব ঘটনা শুনেছি সেগুলোই শেয়ার করছি এবং তা অতিরঞ্জন ছাড়াই। ফলে আমি নিজেও বুঝতে পারছি যে জমাটি ভাব টা আশা কঠিন।তবে আর কিছু ঘটনা আছে,আশা করছি ভালো লাগবে।আমার পেশাগত ব্যস্ততার দরূণ টানা দুঘন্টা বসে লিখবো,এমন সময় পাই না।যে কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়ি।তবে যতকিঞ্চিত আমার খুব ভালো লাগার জায়গা। আমি নিজেই খুব উপভোগ করি মুহুর্ত গুলো।

    আর সায়ন্তিকা,অর্ক এবং সায়ন্তিকা'র বাবা-সবাই যে আসল চরিত্র তা বোধহয় এতদিনে সবাই জেনে গেছেন। সায়ন্তিকা একটি বেসরকারী বিএড কলেজে পড়ায়।অর্ক মাস্টার্স করছে ইংরেজি সাহিত্যে।আর আমার স্কুলের ছেলে মেয়েরা,তারা আমাকে হাসিমুখে থাকার রসদ যোগায়।স্কুল ছুটি থাকলে ওদের খুব মিস করি। আমাকে আমার স্কুলের ছেলেমেয়েরা একটুও ভয় পায়না।আমি বলি হ্যাঁরে,আমি হেডমাস্টার।তোরা একটু আমায় ভয় কর।তাতে ওরা হেসে গড়িয়ে পড়ে।

    শেষে,সায়ন্তিকা'র বাবা এইমুহুর্তে বেশ অসুস্থ।কদিন আগেই তাকে আবার আইসিইউ তে রাখতে হয়েছিল।তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য আপনাদের কাছ থেকে শুভ কামনার অনুরোধ রইল।সকলে ভালো থাকুন।
  • Rana Alam | 113.24.109.174 (*) | ০৯ জুন ২০১৪ ০৬:২৮73403
  • আসলে আমি ঠিক ভূতের গল্প লিখছি না।যেসব ঘটনা শুনেছি সেগুলোই শেয়ার করছি এবং তা অতিরঞ্জন ছাড়াই। ফলে আমি নিজেও বুঝতে পারছি যে জমাটি ভাব টা আশা কঠিন।তবে আর কিছু ঘটনা আছে,আশা করছি ভালো লাগবে।আমার পেশাগত ব্যস্ততার দরূণ টানা দুঘন্টা বসে লিখবো,এমন সময় পাই না।যে কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়ি।তবে যতকিঞ্চিত আমার খুব ভালো লাগার জায়গা। আমি নিজেই খুব উপভোগ করি মুহুর্ত গুলো।

    আর সায়ন্তিকা,অর্ক এবং সায়ন্তিকা'র বাবা-সবাই যে আসল চরিত্র তা বোধহয় এতদিনে সবাই জেনে গেছেন। সায়ন্তিকা একটি বেসরকারী বিএড কলেজে পড়ায়।অর্ক মাস্টার্স করছে ইংরেজি সাহিত্যে।আর আমার স্কুলের ছেলে মেয়েরা,তারা আমাকে হাসিমুখে থাকার রসদ যোগায়।স্কুল ছুটি থাকলে ওদের খুব মিস করি। আমাকে আমার স্কুলের ছেলেমেয়েরা একটুও ভয় পায়না।আমি বলি হ্যাঁরে,আমি হেডমাস্টার।তোরা একটু আমায় ভয় কর।তাতে ওরা হেসে গড়িয়ে পড়ে।

    শেষে,সায়ন্তিকা'র বাবা এইমুহুর্তে বেশ অসুস্থ।কদিন আগেই তাকে আবার আইসিইউ তে রাখতে হয়েছিল।তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য আপনাদের কাছ থেকে শুভ কামনার অনুরোধ রইল।সকলে ভালো থাকুন।
  • sch | 126.203.164.99 (*) | ০৯ জুন ২০১৪ ০৮:১৫73404
  • রাণা সায়ন্তিকার বাবা সেরে উঠুন - আপনার লেখার জন্য, আমাদের নির্মল আনন্দের জম্যে তাঁর সুস্থ থাকাটা খুব জরুরী। ভালো থাকুন তিনি
  • Abhyu | 118.85.90.90 (*) | ০৯ জুন ২০১৪ ১১:৫৪73405
  • শুভ কামনা রইল। দ্রুত সেরে উঠুন।
  • Abhijit Das | 79.141.164.129 (*) | ০৯ জুন ২০১৪ ১২:৪৩73399
  • অর্ক ও শ্বশুর মশাই জিন্দাবাদ, দারুন হোচ্চে, আরো হোক, ভালো থাকুন, ভালো লিখুন।
  • সিকি | 132.177.215.29 (*) | ১০ জুন ২০১৪ ০১:২৫73406
  • অনেক অনেক শুভকামনা রইল সায়ন্তিকার বাবার জন্য।

    রাণা, এর পর যেদিন বহরমপুর যাবো, সবার সাথে আলাপ করিয়ে দিও।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১০ জুন ২০১৪ ০১:৩৫73410
  • ভাল হয়ে উঠুন।
  • Rana Alam | 113.24.109.174 (*) | ১০ জুন ২০১৪ ০১:৫৪73407
  • অবশ্যই আলাপ করাবো।এলে জানাবেন।
  • kumu | 52.104.27.47 (*) | ১০ জুন ২০১৪ ০৭:১৭73408
  • আন্তরিক শুভ কামনা জানাচ্ছি।রাণা আপ্ডেট দেবেন।
  • Amit | 11.121.99.50 (*) | ১০ জুন ২০১৪ ০৯:৫০73411
  • অনেক দিন পরে না হছে বাংলা একজন ভালো রম্য গল্প লেখক পেতে চলেছে,। থামবেন না।
  • de | 190.149.51.69 (*) | ১০ জুন ২০১৪ ১১:৩৫73409
  • শুভকামনা রইলো -
  • দীপঙ্কর ব্যানার্জ্জী | 113.231.117.239 (*) | ১১ জুন ২০১৪ ০১:১৭73413
  • শুভকামনা রইলো -
  • aranya | 154.160.98.31 (*) | ১১ জুন ২০১৪ ০১:২৫73412
  • শ্বশুর মশাই যেন শিগ্গিরি ভাল হয়ে ওঠেন।

    এ পর্বটিও যথারীতি দারুণ। কল্যাণী, সেন্ট্রাল পার্ক ইঃ-র উল্লেখে কিঞ্চিৎ নস্টালজিক হইলাম
  • nina | 78.37.233.36 (*) | ১২ জুন ২০১৪ ১০:৪৯73414
  • শুভকামনা রইল----ভাল হয়ে উঠুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন