এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যৎকিঞ্চিত ... (১৮তম পর্ব,সম্ভবত)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মার্চ ২০১৪ | ৮৮৭ বার পঠিত
  • সায়ন্তিকা’র বাবা সম্প্রতি একটা বাড়ি কিনবেন ঠিক করেছেন,সেদিন আমাকে শুনিয়ে বললেন,
    ‘ লেক এর ধারে বাড়ি।চোখ মেললেই নীল জলের সমুদ্দুর।আহা।ও বাড়ির নাম রাখবো ‘লেক ভিউ’।আর আজে বাজে লোকের ও বাড়িতে ঢুকতে দেবোনা’।
    এই ‘আজে-বাজে লোক’ মানে যে আমি সেতো জানিই।গতকাল আমার বাইকে সায়ন্তিকা আর আমি বাড়িটা দেখতে গেলাম।শহরের বাইরের দিকের বাড়ি।বাড়িটা খারাপ নয়,তবে বাড়ির পিছনে যেটাকে ‘লেক’ বলে সায়ন্তিকা’র বাবা চালাচ্ছিলেন,সেটা আদতে মজে যাওয়া একটা বড় পুকুরের অংশ,যেখানে আশে পাশের নর্দমার জল এসে পড়ে বিচ্ছিরি গন্ধযুক্ত পরিবেশ তৈরী করেছে।
    ফেরার পথে সায়ন্তিকা জিজ্ঞেস করলো,
    ‘বললে নাতো যে বাড়িটা ক্যামন লাগলো?’
    ‘বলবো?’
    “হ্যাঁ রে বাবা’
    ‘ভয়ে না নির্ভয়ে?’,আমার আগাম জিজ্ঞাসা।
    ‘নির্ভয়েই বলো,দুখানা আইসক্রীম তোমার পকেট ভেঙ্গে খেয়েছি,মন টা ভালো আছে’।
    ‘বলছি যে তোমার বাবা যে বাড়িটা কিনতে চাইছেন,তার পিছনে বা সামনে ভাগ্যিস গোটা কতক গাছ নেই...’
    “ক্যানো ...থাকলে কি হত?’।সায়ন্তিকা’র ত্বরিত প্রশ্ন।
    দুখানা আইসক্রীমের দাম টা ভুলতে পারছিলাম না,তাই বললাম,
    ‘বাড়ির পিছনে মজা পুকুর থাকলে যদি বাড়ির নাম ‘লেক ভিউ’ রাখার ইচ্ছা হয়,তাহলে তো দু-একটা গাছ থাকলে তো তোমার বাবা বাড়ির নাম ‘আফ্রিকান সাফারি’ রাখতেন’।
    পরেরটুকু বলছিনা,লোকের ঝগড়ায় কান দিতে নেই।
    দুদিন হল ফুটবল খেলা (????) শুরু করেছি।সেটাই সায়ন্তিকাদের বাড়িতে গিয়ে বলছিলাম।চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সায়ন্তিকা’র বাবা বললেন,
    ‘সবই তো বুঝলুম,কিন্তু মাঠে দুটো ফুটবল নিয়ে খেলা যায় নাকি?’
    দুটো ফুটবল মানে? মাঠে তো একটাই...সায়ন্তিকাকে হাসি চেপে উঠে যেতে দেখে কথাটা মাথায় ঢুকলো,উনি আমাকেও ফুটবল বানাচ্ছেন।নাহয় আমি একটু স্বাস্থ্য ভালো গোছের,তাই বলে মুখের উপর ফুটবল বলা...দেশে কি ন্যায় ধম্মো নেই? হেব্বি রাগ হল।কিন্তু তা মুখ বুজে হজম করলুম।
    খানিক পরে যাত্রা নিয়ে কথা হচ্ছিল।সায়ন্তিকা’র বাবা গর্ব করে বললেন যে তিনি রামায়ণে বীর হনুমানের রোল করতেন।আমি নিরীহ স্বরে জিজ্ঞেস করলাম,
    ‘কাকু,আপনাকে তো বোধহয় মেক আপ করতে হত না।তাই না?’
    সায়ন্তিকা’র মায়ের খুকখুক কাশি আর সায়ন্তিকার বাবার রাগত দৃষ্টি দেখে বুঝলাম যে হিসেব বরাবর হয়ে গেছে।
    আমার স্কুলে মিড ডে মিল হয়।এবং তার সৌজন্যে বেশ কিছু ছেলে মেয়ে দুবেলা ভাত খেতে পায়।স্কুলের অনেক ছাত্র ছাত্রী আসে পাশের ‘বাঘা’ গ্রাম থেকে।খুব দরিদ্র জায়গা।এদের বেশ কজন খেয়াল করলাম যে মিড ডে মিল খায় না।টিফিনের সময় চাট্টি মুড়ি শুকনো মুখে খেয়ে ঘুরে বেড়ায়।জিজ্ঞেস করাতে জানা গেল যে ওদের বাড়ি থেকে মিড ডে মিল খেতে নিষেধ করা আছে।কারণ হচ্ছে যে মিড ডে মিল রান্না করে উমরপুরের যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী,তারা ঘটনাচক্রে সবাই মুসলিম।অতএব,তাদের হাতের রান্না খাওয়া যাবেনা।আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছিলাম, চোরা বিদ্বেষের বিষ এভাবে ছড়াতে দেখে।আমি অনেক বুঝিয়ে একজনকে খাওয়ালাম।পরের দিন দেখছি যে মুখ গোঁজ করে বসে আছে।জানা গেল যে তার খাওয়ার কথাটা তার বাবা-মা’র কানে পৌঁছেছে এবং তারা তাকে পিটিয়েছেন।
    ওই যে কোথায় পড়েছিলাম যে আদতে দুটো ভারতবর্ষ আছে।প্রথমটা সুখী,শাইনিং ইন্ডিয়া আর পরেরটা বিজ্ঞাপনের বাইরের ভারত,দারিদ্রক্লিষ্ট আর অসাম্যের দেশ যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত শোষিত হয়ে যাচ্ছে।
    সাত বছরের গোলাম রসুল,আপনাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে,কিন্তু দারিদ্রের তাড়নায় সেও বাড়ির পাশের প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করে।দিনে কুড়ি টাকা পায়।তার দাদা,আমার স্কুলের ক্লাস সেভেনের হাসমত আলি,বারো বছর বয়স,প্লাস্টিক কারখানায় মেশিন চালায়।
    ক্লাস সিক্সের বিশু রবিদাস,যেদিন স্কুল থাকেনা,সেদিন সকালে মুড়ি খায় আর রাতে ভাত।ক্লাস সেভেনের হাসিবুলের খাতা পেন কেনার পয়সা নেই।ক্লাস সিক্সের পাঁচু মাঝি,তার সাকুল্যে দুটো জামা আর সেফটিপিন দিয়ে সেলাই করা প্যান্ট।
    কালস এইটের পলা মাঝি,মা নেই,তিন বোন আর বাবা মিলে যে মাটির ঘরটাতে থাকে,তার কোনো জানালা নেই।কারেন্ট তো দূর অস্ত।তবে খড়ে চালে অনেক ফাঁক,সেখান দিয়ে চাঁদের আলো ঢোকে।সে আলোয় কবিতা লেখা যায় কিনা জানিনা।
    সুখী ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে এই দ্বিতীয় ভারতবর্ষে প্রতিনিয়ত দগ্ধ হই।
    ছাড়ুন,দুঃখের গল্পগুলো ছাড়ি।এরা আমাদের মত কি পেলাম না তাই নিয়ে কান্না কাটি করেনা।বরং দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালায়।এরা আমাদের করুণার প্রত্যাশা করেনা,শুধু মানুষের মত বাঁচার অধিকার চায়।
    মুকেশ আম্বানির স্বার্থে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম এক লাফে ৪.২ ডলার থেকে ৮ ডলার হতে পারে,কর্পোরেট বেনিয়াদের কর ছাড়ের পরিমাণ লক্ষ কোটি হতে পারে,কিন্তু সাধের শাইনিং ইন্ডিয়া এই নিরন্ন মানুষগুলোকে মানুষের মত বাঁচার অধিকার টুকুও দিতে পারেনা।
    ক্লাস ফাইভের মৌ ফুলমালি,খালি পায়ে স্কুলে আসে।বড্ড গা-লাগা।একদিন অফিসে আমার কাছে চোখ লাল করে হাজির,ষোলগুঠি খেলাতে ও বারবার হেরে যাচ্ছে,আমাকে গিয়ে জিতিয়ে আসতে হবে,এই আবদার। আমাকে একদিন টিফিনের সময় কেক কিনে খেতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
    তুমার মা টিফিন দেয় না?’
    আমি বললাম,
    ‘নারে,আমাকে টিফিন করে দেওয়ার সময় মায়ের নেই’।আমি হেসে জানালাম।
    পরের দিন টিফিনে অফিসে বসে কটা কাগজ দেখছি।দরজার কাছে মৌ আমার পিওনের সামনে ঘরে ঢোকার জন্য খুব লম্ফঝম্প করছে।আমি ইশারায় ভিতরে ডাকলাম।
    মৌ ভিতরে এসে আমাকে টিফিন বাটি এগিয়ে দিল,তাতে মুড়ি আর দুটো নাড়ু।আমাকে অবাক চোখে তাকাতে দেখে মৌ বলল,
    ‘তুমি বুললা না যে তুমার মা টিফিন দেয় না।ওই জন্যে আমি আমার টিফিনের ভাগ দিছি।একটা লাড়ু তুমার আর আরেকটা আমার’।
    আমি চশমাটা খুলে রোগা শ্যামলা মেয়েটার বড় বড় চোখের দিকে খানিক চেয়ে রইলাম।চোখে জল আসছিল।
    জানালার বাইরে তখন রূপোলী রোদ্দুর।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মার্চ ২০১৪ | ৮৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 172.136.192.1 (*) | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৩:৪৪73688
  • পড়ছি।

    আপনার আগের লেখাগুলোও এক জায়গায় থাকলে ভালো হতো।
  • aranya | 78.38.243.218 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৪ ০৩:০৬73689
  • রানা তার স্কুলের কচিকাঁচা-গুলোকে বড় ভালবাসেন। ভাল লাগে এমন লেখা পড়তে
  • 00 | 78.65.165.251 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৪ ০৪:৫৫73690
  • আপনার লেখা খুব উপভোগ্য। আরো নিয়োমিত লিখুন।
  • de | 190.149.51.67 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৪ ০৫:৩৪73691
  • রানা, আরো লিখুন আপনার ছাত্র ছাত্রীদের কথা। চড়া আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে যায়। আপনার লেখা মোমবাতির আলো!
  • nina | 78.37.233.36 (*) | ২০ মার্চ ২০১৪ ১২:৫৮73692
  • এমন লেখা ছুঁয়ে যায় অন্তরকে----বড় পবিত্র !! বড় সুন্দর!!
  • kaushik | 127.211.91.74 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১১:০০73693
  • আগেও পড়েছি আপনার লেখা। যত গুলো পর্ব পড়েছি প্রায় সব কটাই দারুন লেগেছে। আরো লিখুন। সিম্পলি অসাধারন আপনার লেখা।
  • Born Free | 113.21.126.60 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ১২:৩৪73694
  • আপনার লেখা পড়তে পড়তে সব ভালো লাগা-খারাপ লাগা একাকার হয়ে যায়। শেষটা পড়তে পড়তে চোখে জল এসে গেল। আপনি ভাগ্যবান এইরকম ছাত্রছাত্রী পেয়েছেন আর ওরা ভাগ্যবান আপনার মত শিক্ষক পেয়েছে। ভালো থাকবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন