এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সুচিত্রা সেন

    Abhishek Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ | ৬৯৩৪ বার পঠিত
  • আমার সুচিত্রা সেনের অভিনয় জঘন্য লাগত। বেশ ন্যাকাই লাগত, ইন ফ্যাক্ট। আমি অনেককে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে উনি অভিনয় করতে পারেন না, আর প্রচুর গালাগালের সম্মুখীন হয়েছি। আজ এই পোস্টটা লিখে তো আরোই হব, কারণ সমাজের অলিখিত আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি সমালোচনার ঊর্ধ্বে।

    কথা বলার টোন তো অসহ্য ছিলই, কিন্তু সবথেকে বিরক্তিকর ছিল তাকানো - বহু, বহু ওপরে কোথাও। "তুমি আমাকে ভালবাসবে না, শহীদ মিনার?" জাতীয় ব্যাপার।

    কিন্তু তাহলে কীসের এত মাতামাতি? "ঐধরনের অভিনয়ই তো তখনকার দিনে চলত"টা অত্যন্ত বাজে অজুহাত। বলিউডে নূতন, টালিগঞ্জেও সাবিত্রী যথেষ্ট স্বাভাবিক, সাবলীল অভিনয় করতেন; কোনও বাড়াবাড়ি ছিল না, ন্যাকামির ছিটেফোঁটাও ছিল না, কৃত্রিমতার নামগন্ধও ছিল না। তাহলে সুচিত্রাই কেন?

    কারণটা হয়ত অনেকটাই উত্তমকুমার। হিট অভিনেতা তো ("অভিনেত্রী" বললে নারীবাদীরা চাবকে আমার চামড়া তুলে দেবে) বটেই, কিন্তু সুচিত্রা সেনের জনপ্রিয়তার আসল কারণটা হয়ত হিট জুটির অংশ বলেই; ঠিক যেমন রাজ কপূরের হাত ধরে নার্গিসের কেরিয়র উৎরে গেছিল, মানবসভ্যতার ইতিহাসে বৃহত্তম নাকের ফুটো থাকা সত্ত্বেও। মজার ব্যাপার, দুজনেরই সবথেকে বিখ্যাত পারফর্মেন্স অন্য নায়কের সঙ্গে ("সাত পাকে বাঁধা", "মাদার ইন্ডিয়া"), কিন্তু দুজনেরই আসল গ্ল্যামার জুটিতে।

    অবশ্যই সুচিত্রা ট্র্যাডিশনল অসম্ভব সুন্দরী ছিলেন, কিন্তু সুন্দরী নায়িকার, না না, অভিনেতার অভাব তো ভারতবর্ষে হয়নি কখনও। মধুবালা থেকে মাধুরী ছেড়েই দিলাম, শর্মিলা-অপর্ণা-মৌসুমীকে সুন্দরী ভাবার মত লোকের তো অভাব নেই বাংলায়।

    শোনা যায়, মৌসুমীকে একবার দেখে পাগল হয়ে রাজা (রাজু নন) মুখার্জির ক্রিকেট কেরিয়র শেষ হয়ে যায় (কেরিয়র রেকর্ড অবিশ্যি অন্য কথা বলছে); তিনি নাকি মৌসুমীর রূপে বিভোর হয়ে খেলায় মন দিতে পারতেন না।

    তাহলে ব্যাপারটা কী? কেরিয়রের শেষে বেমালুম বেপাত্তা হয়ে যাওয়া? নিজেকে ঘিরে একটা দুর্ভেদ্য রহস্যের খাসমহল সৃষ্টি করা, যা এত বছরে কেউ ভাঙতে পারেনি? এই রহস্যটাই কি তাহলে সুচিত্রা সেনকে ঘিরে এত মাতামাতির কারণ?

    একটু ভাবা যাক্‌। অপর্ণাও বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা (আবার "অভিনেত্রী" লিখতে যাচ্ছিলাম) এবং পরিচালক, কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অনেকটাই হাট করে খোলা সবার কাছে। তিনি কাকে বিয়ে করেছেন, কার কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল - এসব সবাই জানেটানে। তাই অপর্ণার উদাহরণটা বোধহয় ঠিক নয়।

    শর্মিলা? মাঝেমধ্যে শর্মিলা কিছু ফ্লপ সিনেমায় অভিনয় করেন ঠিকই, কিন্তু কেরিয়র মোটামুটি শেষ। সেলিব্রিটি অধিনায়কের স্ত্রী ছিলেন, মানছি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি অনায়াসে লুকিয়ে থাকতে পারতেন। চাননি। শর্মিলা আসেন, এমনকি বইমেলার খোলা স্টেজে এসে সত্যজিৎ নিয়ে আলোচনা করেন, আবার তাঁর "টাইগার"কে নিয়ে সাবলীল স্মৃতিচারণাও করেন।

    এটাই কি তাহলে সুচিত্রার জনপ্রিয়তার কারণ? আমাদের আগের প্রজন্মকে দেখেছি মাতামাতি করতে, বারবার বলতে "উত্তম-সুচিত্রার মত জুটি হল না" বা "সুচিত্রার মত সুন্দরী আর হল না"; দুটোই হয়ত সত্যি, তবে চট্‌ করে কাউকে "সুচিত্রার মত অভিনয় করতে আর কাউকে দেখলাম না"টা বলতে শুনিনি।

    এমনকি 'হারানো সুর'এর মত বিদ্‌ঘুটে, বোরিং সিনেমাও হামলে পড়ে দেখতে দেখেছি। কিন্তু তাঁদের উন্মাদনার একটা কারণ ছিল; তাঁরা সুচিত্রার সিনেমা রিলিজ হতে দেখেছেন, তাঁরা টিকিট কেটে একের পর এক ব্লকবাস্টার দিতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের আমলে টেলিভিশন ছিল না, অতএব সুচিত্রা সেনের দেখা মিলত একমাত্র স্ক্রিনেই (শুনেছি "উল্টোরথ" জাতীয় কিছু পত্রিকায় গসিপ্‌-টসিপ্‌ বেরোত); পর্দার নায়িকা স্বপ্নের জগতেই থেকে যেতেন।

    যেহেতু এই রহস্যের ব্যাপারটা থাকতে থাকতেই মহিলা সীন থেকে হাওয়া হয়ে গেছিলেন, তাই উন্মাদনা কমল না। রক্তমাংসের মানুষ নয়, সুচিত্রা নায়িকা হয়েই রয়ে গেলেন; অত্যন্ত সাধারণ মানের অভিনেত্রী, কিন্তু স্টারডম ব্যাপারটা সবার থেকে বেশি বুঝতেন।

    যেমন বুঝেছিলেন দিলীপকুমার, আর তাই কখনও ছোটপর্দায় আসেননি। সোফায় বসে চায়ের কাপ হাতে আড্ডা দিতে দিতে কেউ তাঁকে দেখবে, আর অপছন্দ হলেই চ্যানেল ঘুরিয়ে দেবেন, এই ব্যাপারটাই তাঁর না-পসন্দ্‌। তিনি দিলীপকুমার, একটা সময় গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন, এত সহজলভ্য হয়ে যাবেন?

    কিন্তু অমিতাভ বচ্চন? তিনি তো আরও বড় স্টার! ছোটপর্দার হাত ধরেই ফিরে এলেন বড়পর্দায়, আর আগের মতই রাজত্ব করে চলেছেন। সময়ের সঙ্গে, বয়সোপযোগী রোলে অভিনয় করলেন; অনায়াসে মেনে নিলেন যে তিনি আর মেগাস্টার নন। কবে গাছের সঙ্গে মাঙ্গলিক পুত্রবধূর বিয়ে দিচ্ছেন, কবে নাতনি হল, সবাই সব জানে, আর টুইটার আসার পর তো সব হাট!

    কিন্তু তিনি যে অমিতাভ! মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে বরাবর, কিন্তু যে পরিস্থিতিই আসুক, তিনি এত বড় অভিনেতা যে কোনও চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠেনি তাঁর কাছে। নায়ক হওয়ার বয়স চলে গেছে - এটা বুঝতে তাঁর সময় লেগেছে; কিন্তু একবার বুঝে ওঠার পর তিনি আবার দিব্যি নিজের সিংহাসনে বিরাজমান।

    সুচিত্রা সেনদের কাছে আসলে রহস্যটাই এক্স-ফ্যাক্টর। তিনি জানতেন, কেরিয়রের শিখরে থাকতে থাকতেই তাঁকে সরে যেতে হবে, একবার বয়সের ছাপ পড়লে ঘুরেও তাকাবে না কেউ। তাঁর অভিনয়ক্ষমতা সীমিত, অতএব গ্ল্যামর আর উত্তমকুমার চলে গেলে তাঁর দশাও দেব আনন্দের মতই হবে।

    আর এখানেই সুচিত্রার স্টারডমের রহস্য। তিনি চিরযৌবনা, চিরসুন্দরী হয়ে রয়ে গেলেন, আর সেভাবেই লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেই চলে গেলেন। অভিনয় ব্যাপারটা বিশেষ না বুঝলেও সেল্‌স্‌ রীতিমত বুঝতেন।

    "মহানায়িকা" কথাটা হয়ত ঠিক, কিন্তু তার আসল চাবিকাঠি হল তুখোড় ব্যবসাবুদ্ধি, যার ছিটেফোঁটাও টালিগঞ্জে কারুর হয়নি।

    আর তাই - তাইই হয়ত - তাঁকে কেউ টাচ্‌ করতে পারল না। এখন তো আরোই পারবে না।

    আর আই পি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ | ৬৯৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Su | 181.33.192.182 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৫৬74066
  • অখাইদ্য ল্যাখা!
    টিপ্যিক্যল সবজান্তা ওস্তাদ ভাবভঙ্গি। সেলস টা জানার সিক্রেটটা বোঝা গেলনা! আল্টি তো পয়সার জন্যেই সেলস! সিনেমা লোকে বুড়ো বয়স অবধি চালিয়ে যায় নিজের ট্যালেন্ট টা কে শানানোর জন্যে? নাকি দু পয়সা আমদানির জন্যে? স্টার জলসায় সাবিত্রি কে রেগুলার দেখা যায় - এরম করে দুচার পয়সা আসে বটে কিন্তু তাকে ট্যালেন্টের পরাকাষ্ঠা বলা যায়না!
    তাহলে সেলস টা ক্যামন করে হল ইউটিউব আর পচা ক্যাসেটের দুনিয়ায়?
    অ্যাটেনশান সীকিং আর হামজান্তা ভাব আর অত্যধিক আঁতেলপানা বাঙালির আর গেলনা! এজন্যেই পেছনপাকা বাঙালি পেছনদিকে হাঁটতেছে।
  • Reshmi | 192.64.161.227 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:৩৭74067
  • তুখোড় ব্যবসাবুদ্ধি?

    অভিনয় জানতেন কি না সেটা এ ক্ষেত্রে বড় কথা নয়, ঐ রকম লাইমলাইটে থাকার পর সব কিছুর আড়ালে চলে যাওয়া এত সহজ? সাধারণ চাকরি থেকে রিটায়ার করার পরেই লোকজন বাড়িতে বসে থাকতে পারেনা, বড় বসেরা তো চেয়ার ছেড়ে দিতে হলেই কেমন দিশাহারা হয়ে যান, সেখানে এই রকম জনপ্রিয়তা, তাকে ঘিরে এত উন্মাদনা ছেড়ে আর পাঁচজন ছাপোষা মানুষের এর মত শুধু পুজো-আচ্চা নিয়ে দিন কাটানো, এর পেছনে শুধু ব্যবসাবুদ্ধি?
    কেরিয়ার শীর্ষে থাকতে থাকতে সরে যাওয়া কিছু নতুন নয়, অনেকেই করেছে। কিন্তু এই রকম স্বেচ্ছা নির্বাসনের যা এক্স্প্ল্যানেশন এই লেখায় দেওয়া হয়েছে, পড়ে হতবাক হয়ে গেলাম!
  • PM | 181.7.33.23 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:১৬74068
  • ভাটের লেখা
  • PM | 68.8.155.85 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:১৬74069
  • ভাটের লেখা
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:২৩74070
  • বক্তব্য পছন্দ না হলেই এতগুলো বিশেষণ কেন জুড়ে দিতে হয় সেত বোঝা গেলনা।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৩২74071
  • ব্যাবসা বুদ্ধি কেস টা ছারা বাকি সবেতে এক মত। এই সবার থেকে এত বছর ধরে সরে থাকাটা শুধু মাত্র পুরনো পজিশান টা ধরে রাখার জন্য, যেটা ধরে রেখে আর একটা পয়সাও আসবে না - সেটা কে ব্যাবসা বুদ্ধি বলে মানতে পারিনা।
    বরং শেষ বয়সে তারানন্দের পর্দায় 'আমার উত্তম' টাইপ কিছু বানিয়ে পয়সা কামাতেন যদি, তো ব্যাবসা বুদ্ধি বলতাম।
  • PM | 181.7.33.23 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৩৫74072
  • বন্তব্য নয় , লেখাটাই পছন্দ হয় নি। উনি ওনার অপছন্দের কথা বলেছেন আর আমি বলেছি আমার অপছন্দের কথা। দুজনেই পরিস্কার ভাবেই বলেছি।
  • sosen | 125.241.46.206 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৩৮74073
  • সুচিত্রার কি সরে গিয়ে ব্যবসায় কিছু সুবিধে হয়েছিল? কেমন করে? অন্তরালে থেকে কিছু করতেন? পুরনো সিনেমা থেকে রয়ালটি পেতেন?

    ষ্টারডম ওকে , সেলসটা মানা যায়না।
    আর মৃত ব্যক্তি সমালোচনার ঊর্ধ্বে না হলেও বেঁচে থাকতে যখন লেখাগুলো দেখা যায় না, মৃত্যুর দিনটাতে একটু ছাড় দেওয়া স্বাভাবিক ভদ্রতা। অন্তত শব্দচয়নে একটু শীলিত হওয়া। আরো তো দিন থাকবে।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৩৯74074
  • না না, আপনাকে বলিনি পিএম। প্রথম মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলেছি।
  • sosen | 125.241.46.206 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৫৬74075
  • আরো একটা কথা, সুচিত্রার অভিনয় ক্ষমতা নিয়ে এই কথাগুলো আদৌ নতুন না, প্রায় সকলেই বলে থাকেন, এবং স্বত:সিদ্ধ -ও। সুতরাং এতে কেউ চমকিত-ও হবেন না। মৃত্যুদিনে সেই একই চর্বিতচর্বণ কিছু কর্কশ শব্দ, কিছু লেখার মুন্সিয়ানা সহযোগে ব্লগে ছুঁড়ে দেওয়াটাও সেলস-ই কিন্তু। আর সেই অপছন্দের মানুষটিকে নিয়েই সেলস।

    ভালো লাগল না এই এপ্রোচ। সকালে "RIPping " শব্দটা কোথায় যেন পড়লাম। এই লেখাটা সেটাই আবার মনে করিয়ে দিল।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:১১74076
  • মৃত্যুদিনে সমালোচনা করা "ভদ্রতা"র পরিপন্থী এটা একেবারেই মনে করিনা। মৃত্যুদিনে অতি গদগদ ভাব বরং অনেক বেশি অসৎ লাগে। এই লেখাটা ভালো না, কেননা বিশেষ নতুন কিছু বলা হয়নি, যা বলা হয়েছে তার সাপোর্টে কোনো তথ্য নেই, তাই, আর কিছু না।
  • aka | 81.14.37.229 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:১৬74077
  • রোমান্টিক হিরোইন, তুমুল হিট, অসম্ভব ভালো ভালো গান, খানিকটা রহস্যময়তা সব মিলিয়ে মহানায়িকা হবার যোগ্য তো বটেই।

    দ্যাখ, ওদিকে রাজেন্দ্রকুমার শুধুমাত্র গানের জোরে মহানায়ক হয়ে গেল।

    তবে অন্তরালে চলে যাওয়াটাকে আমি ব্যক্তিগত ইচ্ছে, গোপনীয়তা হিসেবেই দেখি। এতে যদি ব্যবসায় লাভ হয়ে থাকে তাহলে সেটা সেকেন্ডারি বলেই মনে হয়েছে।
  • sosen | 125.241.62.52 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:১৯74078
  • কিছু না লিখলেই গদ্গদতা আসে না। কিছু বলার না থাকলেও ব্লগে হিট বাড়ানোর জন্য তেড়েফুঁড়ে রচনা লেখা আমার অত্যন্ত অসৎ লাগে। লেগেছে। এবং মৃত্যুর কারণেই যে লেখাটা বেচার সুযোগ থাকবে সেটাও লেখক জানেন।
    আর হ্যা, মৃত্যুর নীরবতা পাওনা বলেই মনে করি। সেটাকেই শালীনতাও মনে হয়। সে সুচিত্রাই হন, কি যে কেউ।

    তবে মতের বিভিন্নতা তো থাকবেই। মানুষ মরলে মাংস ছিঁড়বার জন্য যে সব নখ বের হয় তা সব সময় এক রকম হয়না।
  • aka | 81.14.37.229 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:২৫74079
  • আরে সোসেন রেগে যায় কেন। ঋতুপর্ণ মারা গেলেও তো কয়েক কোটি লেখা হল। চাঁদের পাহাড়ের লক্ষাধিক রিভিউ, সেই রিভিউ সকলের রিভিউ। এরকমই হয় তো। এখন যা ঘটছে তাই নিয়ে যাই বক্তব্য থাকবে লোকে লিখবে।
  • sosen | 125.241.62.52 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:২৭74081
  • আমিও তো লোক, ঐটে আমার বক্তব্য ছিল।
  • hu | 12.133.46.17 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:২৭74080
  • লেখক তাঁর ব্যাক্তিগত মতামত লিখেছেন। ব্লগে হিট বাড়ানোর জন্য করেছেন এমন ধরে নেওয়াটাও ঠিক না। লেখকের 'ব্যবসা বুদ্ধি' কমেন্টের সাথে একমত না হয়েই বললাম। সুচিত্রা সেন লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে চিরযৌবনা রয়ে গেলেন। ইমেজ কনশাস ছিলেন নিশ্চয়ই। তবে ব্যবসা করেছিলেন বলে মনে হয় না।
  • π | 127.194.12.110 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৩৭74082
  • আমি হুচিকে ক দিয়ে গেলাম।
  • ph`Naka | 82.37.171.164 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৪৭74083
  • ইসে, সত্যি মিথ্যে জানিনা, এক বয়স্ক মহিলার কাছে শুনেছিলুম, সুচিত্রার নাকি মুখ পুড়ে বা বিকৃত হয়ে যায় কোনো দুর্ঘটনায় - সেটাই তেনার অন্তরালবর্তীনি হবার অনুঘটক।
  • π | 127.194.12.110 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৫০74084
  • সাথে যোগ করে যাই, আমার আবার ঐ ম্যানারিজমের জন্যেই বেশ লাগতো। যেমতি দেবানন্দ ও। সবাইকে 'স্বাভাবিক' অভিনয়ের জন্যেই ভালো লাগতে হবে, এমনও তো নয় ! আর হ্যাঁ, 'ব্যবসা' বুদ্ধির ব্যাপারটা যেমন বুঝিনি, লেখাটা অশালীন বা লেখকের প্রতি ঐ নানাবিধ বিশেষণ কেন, সেটাও না।
  • riddhi | 146.165.223.49 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:১৬74085
  • আমাদের বাড়িতে একটা মধ্যবিত্ত কাটিং গল্প চলত যে গুরু যাবার মারা যাবার পরেই, উনি আরো ঘাপটি মারলেন, মানে চরমে চলে গেলেন আর কি।
    ওদিকে গুরুর সাথে উনার অফলাইন কিছু ছিল বলে শুনিনি।
  • Souva | 206.11.239.219 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:১৮74086
  • অভিনেতারা (স্টার-রা নয় কিন্তু) শেষ অবধি তো পুতুলমাত্র। পরিচালক যেভাবে নাচাবেন, সেভাবেই নাচবে। প্রকৃত অভিনেতার কোনো স্টাইল থাকে না, অনেকটা জলের মত, ফ্লুয়িড, চরিত্র থেকে চরিত্রে হাঁটা-চলা, কথা-বলা সবকিছু বদলে যাবে, সেটাই কাম্য।

    আর স্টার-রা নিজেদের ম্যানারিজমের দাস। দেবানন্দ, রাজেশ খান্না বা আমাদের উত্তমকুমার। বা সুচিত্রা সেনের ঘাড় বাকিয়ে তাকানো। স্টার হলেই যে ভালো অভিনেতা হওয়া যায় না, তাও নয় (উদা:, উত্তর-ফাল্গুনিতে সুচিত্রা কিছু কিছু জায়গায় অনবদ্য। সেটা, কিছুটা তো অসিত সেনের বাঘা পরিচালনার গুন বটেই, কিন্তু বাকিটা নি:সন্দেহে সুচিত্রার অভিনয়ের ক্ষমতা)।
    কিন্তু স্টার থেকে অভিনেতায় আসতে গেলে, সেখানে, ওই স্টার ইমেজের সংগে একটা আপোষ-এর প্রয়োজন। রায় যেমন উত্তমকুমারএর স্টার ইমেজটাকেই একশ শতাংশ ব্যবহার করেছেন নায়কে। কেননা উনি জানতেন ওইটা সৌমিত্র কোনদিনই পারবে না।

    আমাদের ভারতীয় সিনেমার মূলস্রোতে আমরা হিরো-হিরোইন বলতে স্টার-দেরই বুঝি। এবং অনেকেই, এখনো, প্রিয় স্টারের ওই ম্যনারিজম আক্রান্ত অভিনয় দেখতেই হলে যান। বানিজ্যসফল পরিচালকরাও সেটা বোঝেন O ভাঙিয়ে খান। মিঠুনের লেখায় পড়েছিলাম, মৃগয়া করার পর, পরিচালকরা ওকে হিরোর রোল দেওয়ার কথা ভাবতেই পারত না, কেননা ওই অভিনেতার ঠাপ্পা লেগে গিয়েছিল গায়ে।
  • Souva | 206.11.239.219 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:২৯74087
  • বা, দীপ জ্বেলে যাই। এটাও অসিত সেন, এবং ব্যক্তিগত ভাবে এতে সুচিত্রার অভিনয় আমার চমত্কার লাগে।
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:৪৪74088
  • উপরের দুটো পোস্টেই ক।
  • Sukanyakb | 78.9.134.126 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:২৬74089
  • ূর্দান্ত লেখা
  • s | 182.0.249.87 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:২৫74090
  • সুচিত্রা সেনের অভিনয় অনেকেই অপছন্দ করেন। তবে ন্যাকা বলতে কাউকে শুনিনি। বরঞ্চ দেমাকি শুনেছি। যাই হোক সময়বুঝে লেখক মতামত দিয়েছেন। বাকী লেখাটা স্রেফ ট্রাশ।
  • Su | 91.147.139.221 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:৪১74091
  • একটা অসাধারন লেখা শেয়ার করলাম - প্রবুদ্ধ মজুমদার! হ্যাটস অফ
    http://www.banglalive.com/Blog/UserBlog/24336
  • Ekak | 132.172.244.251 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:২০74092
  • ইমেজ সেলিং ইস দ্য টাফেস্ট সেলিং ! হ্যা, সে হিসেবে তো বটেই । তবে ওই আরকি । নট ওয়র্থ অফ দ্যাট মাচ সিরিয়াস এটেনশন ইউ নো । টিপিকালি একটা ফিমেল অর্কিটায়প ক্যারি করতেন যেটা ওই সময়ের জনপ্রিয় উপন্যাসেও পাবে । সো কল্ড কড়া "পার্সোনালিটি " যা নায়কের সামনে শুধু পদ্মের ডাঁটি টি :) ভারতের মত দেশে মেল হোক বা ফিমেল ম্যাটিনি আইডল রা এভাবেই তৈরী হয় । দিশি গল্প বিদেশী চাল । এর বেশি কিছু না । কিন্তু ওই সময়ের ডকুমেন্টেশন হলে ওনাকে বাদদিয়ে করা যাবেনা । ওই টুকুই ।
  • biplab | 78.33.140.55 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:০৯74093
  • আমি ভাই মার্কেটের মানুষ। মার্কেটে কেটেছেন, মানে উৎরেছেন। যদি উনার উঁচু করে তাকানো সবার ভাল লাগে, সবাই তাতেই রোম্যান্টিক ব্রান্ড খুঁজে পায়-তাহলে সেই নাকউঁচু ন্যাকামোই সার্থক শিল্প। শিল্পের মার্কেটে ভুল ঠিক, খাটো লম্বা খোঁজা খাজা খই ভাজা। যা কাটে, তাই বাঁটে।
  • aranya | 78.38.243.161 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:১২74094
  • প্রবুদ্ধ-র লেখাটা খুবই ভাল, থ্যাংকস সু
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:৫৯74095
  • সুচিত্রা সেনের সবচেয়ে বড় দোষ উনি জনতা ও মিডিয়াকে বিশেষ মুখরোচক মশলা দেননি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন