এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • " বাপনে দিয়া হোগা মিউজিক"-২

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ জুলাই ২০১৪ | ১৯০৭ বার পঠিত
  • একটা ছবি তৈরি হয়েছিলো ১৯৫৫ সালে, নাম ' ফান্টুস'। বড়ো কত্তা সুর দিয়েছিলেন এই ছবিটিতে । অনেকের মনে থাকবে " ইয়েহ দর্দভরা অফসানা"। তিনি প্রায় একই সময়ে এই ছবিটি আর 'প্যাসা'র সুরও করছিলেন । 'প্যাসা'তে বড়োকত্তার অনুমতি নিয়ে গুরু দত্ত পঞ্চমকে বলেছিলেন হার্মোনিকায় ব্যাকস্কোর তৈরি করতে । পঞ্চমের তখন ষোলো বছর বয়স । তিনি তো রীতিমতো পুলকিত হয়ে প্রত্যেকদিন নানা সুরের প্যাটার্ন তৈরি করছেন । দিনের শেষে সেগুলো বাবাকেও শোনান । ১৯৫৬তে 'ফান্টুস" মুক্তি পায় । তা বড়োকত্তা পুত্রকে নিয়ে ছবিটি দেখতে গেছেন । তখনই পঞ্চম রীতিমতো হতভম্ব ; একটি গান " অ্যায়, মেরি টোপি পলট কে আ" গানটি অবিকল পঞ্চমের সুরে গাইছেন রফিসাহেব । ছবি চলাকালীন তিনি কয়েকবার বাবার মুখের দিকে তাকালেন । কিন্তু পিতা নির্বিকার। বাড়ি ফিরে তিনি পুত্রকে বললেন, "আমি জানি তুমি কী ভাবছো । হ্যাঁ, আমি ঐ গানের সুরটা তোমার থেকে নিয়েছি । এতে তোমার গর্বিত হওয়া উচিত যে আমি তোমার দেওয়া সুর গ্রহণ করেছি। কিন্তু মনে রেখো ঐ সুরটা খুবই হাল্কা ধরণের কম্পোজিশন, তাই খুব বেশি পুলকিত হবার কারণ নেই । যেদিন তোমার করা কোনও সিরিয়স রচনা আমার সুর করা ছবিতে আমি ব্যবহার করবো, তখনই জানবে তুমি নিজের জোরে সঙ্গীত পরিচালক হবার যোগ্যতা অর্জন করেছো। "
    ------------------------
    পিতা শুরুতেই পুত্রকে একটি উপদেশ দিয়েছিলেন। হাতে কোনও কাজ থাক না থাক, প্রতিদিন অন্ততঃ চার-পাঁচটা সুর তৈরি করবে । শুধু তৈরি করা নয় ; নোটেশন ইত্যাদিও তৈরি রাখবে, যাতে দরকার পড়লে সিচুয়েশন বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারও করা যায় । এই উপদেশটি পুত্র সারাজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠাসহকারে অনুসরণ করে গেছেন । ফলতঃ পরবর্তীকালে পঞ্চমকে প্রয়োজনমতো উপযুক্ত সুর খুঁজে পেতে অধিক অধ্যবসায় করতে হয়নি। যেমন আমরা দেখি প্রায় একই সময়ে কত্তার 'প্যাসা' ছবিতে পঞ্চম একটা গানে এককভাবে সুর করেছিলেন । জনি ওয়াকারের ঠোঁটে.... তেল মালিশ.. " সর জো তেরা চকরায়ে...' রফি সাহেবের কণ্ঠে । ষোলো বছরের কিশোরের সুর করা গানটি বিনাকা গীতমালায় দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলো । ১৯৬১তে 'ছোটে নবাব' পর্বের পর ১৯৬৩ সালে 'তেরে ঘর কে সামনে' ছবিতে পিতার সহকারী হিসেবে আরো একটি গানের সুর করেন স্বাধীনভাবে । আশাজির কণ্ঠে " দিল কি মঞ্জিল কুছ অ্যায়সি হ্যাঁয় মঞ্জিল"।
    ------------------------------
    বম্বেপর্বের প্রথমদিকে বড়োকত্তা গায়নের সুর নিয়ে যতোটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়ে ততোটা থাকতে পারতেন না । এর একটা কারণ তাঁর প্রাথমিক সুরসন্ধান বা সাধনা ছিলো একান্তভাবেই 'বাঙালি'। সর্বভারতীয় মাঠে বিভিন্ন দেশী তথা আন্তর্জাতিক সুরের ক্রমাগত দেয়ানেয়ার কৌশলটি তখনও তাঁর অধিগত হয়নি । দ্বিতীয়ত, তাঁর প্রধান প্রতিযোগীযুগল, শংকর-জয়কিশন আর লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল, পরস্পরের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতেন । বেস মেলোডি ও অ্যারেঞ্জমেন্ট তাঁরা আলাদা আলাদাভাবে করে তার পর মিলিয়ে নিতেন হিসেবমতো। কিন্তু কত্তা ছিলেন একা আর এবং 'রাজপুত্র'। সমান সমান না হলে অন্য কারুর থেকে সাহায্য প্রার্থনা করতেন না। এই জন্য তাঁর মনে কিছু অপূর্ণতার দ্বিধা থেকেই যেতো। প্রথমদিকে কয়েকবার তিনি এই কাজটি করতে গুরু ভীষ্মদেবের থেকে সাহায্য নিয়েছিলেন । কিন্তু ভীষ্মদেবও ক্রমশঃ গুরুত্বপূর্ণ হতে থাকা দুটি বাদ্যযন্ত্র, ট্রাম্পেট ও স্যাক্সের ব্যবহারে খুব স্বচ্ছ্ন্দ হতে পারছিলেন না। যদিও তখন কত্তার অর্কেস্ট্রায় অল্টো স্যাক্সের সর্বকালের জাদুকর মনোহারি সিং ও ট্রাম্পেটে ফারনান্ডেজ মজুত রয়েছেন । তখনও অবশ্য রাজ সোদা-কিশোর সোদা আসেননি । বড়োকত্তা বুঝতে পারছেন বিন্যাস বদলাতে হবে, কিন্তু পথ নিশ্চিত নয় । পঞ্চম কিছু বলার চেষ্টা করেন, কারণ অর্কেস্ট্রার নেতৃত্ব তাঁর হাতে। কিন্তু রীতিমতো বকুনি খেয়ে চুপ করে যান । এটা ১৯৬৩তে বিমল রায়ের 'বন্দিনী' ছবির কালক্রম। একদিন সকালে " অবকে বরস ভেজো ভইয়া কো বাবুল"র রিদম প্যাটার্ন নিয়ে কিছু বলতে গিয়ে বেশ ধমক শুনেছেন । তবু তার পরেও "ও জানেওয়ালে হো সকে তো"র অন্তিম রিওয়াজের সময় ইন্টারল্যুডে মনোহারিজির অল্টো স্যাক্সে পঞ্চম যখন কয়েকটি ছোটো ঝংকার যোগ করলেন, বড়োকত্তা রেগে আগুন হয়ে স্টুডিও থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ । এদিকে রেকর্ডিং ইঞ্জিনিয়র বিপাকে । তাঁকে সেদিন রেকর্ড করতেই হবে । তিনি ছিলেন বড়োকত্তার অনুগত । পঞ্চমকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে স্যাক্সের ঝংকারগুলি ছাড়াই তিনি রেকর্ডিং 'ওকে' করে ফেললেন । দিনের শেষে রাগ একটু পড়লে কত্তা ফেরেন স্টুডিওতে । তখন তাঁকে ফাইন্যাল টেকটি শোনানো হয় । তা শুনে তো কত্তা একেবারে শিশুর মতো আহ্লাদিত । তবে সেই সময় একটি বিবর্তন নীরবে রূপ নিচ্ছিলো । বড়োকত্তার অর্কেস্ট্রার দুই মূল অ্যারেঞ্জার শিল্পী বাসুদেব চক্রবর্তী ও মনোহারি সিং, কিন্তু অন্তর থেকে অনুরাগী ছিলেন পঞ্চমের সুরবিন্যাসের প্রতি । তাঁরা কোনও রকম উচ্চ বাচ্য না করে বড়োকত্তার গানের অর্কেস্ট্রেশন, প্রিল্যুড, ইন্টারল্যুড, রিদম প্যাটার্ন বা অন্তরা, পঞ্চমের প্রভাব অনুযায়ীই করতে শুরু করে দিলেন। কত্তাও তাতে বেশ নিশ্চিন্ত । যেরকম নতুনত্ব তাঁর চিন্তায় আসছে সেটা প্রায় অবিকল যন্ত্রীরা ধরে ফেলছে । কোনও রকম ভাবে উচ্চকিত না হয়ে রিহ্যার্স্যাল রুমে পঞ্চম নিজের রাজত্ব স্থাপন শুরু করে দিলেন । ঠিক এই রকম সময়েই হলো একটি দুর্বিপাক । বড়োকত্তা হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে একেবারে অবসন্ন হয়ে পড়লেন । দেব সাহেবের দু'টি ছবির সঙ্গীতগ্রহণ তখন অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে । একটি 'তিন দেবিয়াঁ' আর অন্যটি প্রবাদপ্রতিম 'গাইড'।
    -----------------------------------------------
    'গাইডে'র কথায় পরে আসছি । কিন্তু ' তিন দেবিয়াঁ'র কাজ শেষ করার জন্য তাড়া ছিলো । 'গাইডে'র ব্যাপারে দেব আনন্দ জানিয়েছিলেন যতোক্ষণ না কত্তা কর্মক্ষম হ'ন, ততোদিন তিনি অপেক্ষা করবেন। ফলে 'তিন দেবিয়াঁ' শিগগির শেষ করতেই হবে । পঞ্চমের আজীবন, সম্ভবতঃ ঘনিষ্টতম বন্ধু বাদল ভট্টাচার্য বলেছিলেন 'তিন দেবিয়াঁ' র সঙ্গীত পরিচালনা আসলে পঞ্চমই করেছিলেন । এই নিয়ে মনে হয় বেশি গবেষণার অবকাশ নেই । পরবর্তীকালে পঞ্চমের যেসব রচনা আমরা শুনেছি তার ভিত্তিতে অনায়াসেই বলা যায় 'তিন দেবিয়াঁ'র গানগুলিতে পঞ্চমের ছাপ কতোটা প্রকট । এখানে ঐ ছবির তিনটে গান রাখছি, "খ্বাব হো ইয়া কো-ই হকিকত", "ইয়ার মেরা তুম হো গজব" আর " লিখা হ্যাঁয় তেরি আঁখোমেঁ"। সারা ছবিটির ব্যাকস্কোর শুধু নয়, প্রতিটি গানেই জ্যাজ আর সুইঙের কাজ স্পষ্ট পঞ্চমপন্থী । এছাড়া শোনা যায়, পঞ্চমের ট্রেডমার্ক রাগ খমাজে গজল " এয়সে তো না দেখো"; যা শুনে 'হায় হায়' করা ছাড়া আর কোন উচ্চারণ করা যায়না। সুরের চলন থেকে যদি সিদ্ধান্ত নিতে হয় তবে এই গানগুলিতে পঞ্চম ও তাঁর সহযোগীদের পিতৃত্ব দৃঢ়ভাবে মুদ্রিত আছে ।
    -----------------------------
    অসুস্থতা কাটিয়ে বড়োকত্তা যখন আবার স্টুডিওতে ফিরে এলেন, ততোদিনে ফ্লোরে পঞ্চমের আধিপত্য বেশ প্রবলভাবেই প্রতিষ্ঠিত । তাঁর নিজের হাতে কাজ নেই, তাই পিতার সহযোগী হিসেবেই নিজের সৃষ্টিশীলতা উজাড় করে দিচ্ছেন । যদিও একেবারে 'নিজের' মতো করে করা সুরগুলি সঙ্গত কারণেই পিতার শ্রবণ পরিধির বাইরে রাখতেন ।

    'গাইড' ছবির সুরযোজনার মান হিন্দি ছায়াছবির জগতে একটি জলবিভাজক বলা যেতে পারে। শুধু কত্তার নবজন্মই নয়, তৎকালীন চিত্রগীতে কত্তার এই অবদানটি মানচিত্র পাল্টে দিলো । শ্রোতাদের জন্য পিতাপুত্রের প্রতিভার এই সম্মিলনটি ছিলো একটি একান্ত আশীর্বাদ। যেমন গারা-রাগিনী নির্ভর " তেরে মেরে সপনে" গানটিতে স্ট্যাকাটো যতি আনা হলো । শুধু তাই নয়, মনোহারিজির অল্টো স্যাক্স নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অনুসরণ করলো রফিসাহেবের পেশকারিকে । কত্তার হিন্দি গানের জগতে প্রথম এলো স্যাক্সের এই আধিপত্য । একই লক্ষণের পুনরাবৃত্তি "দিন ঢল জায়ে" তে, যেখানে দ্বিতীয় অন্তরার পর স্যাক্সের একটি তুমুল টুকড়া, যা গানটির চরিত্রটিকেই বদলে দিলো । এছাড়া "গাতা রহে মেরা দিল" তো বস্তুতঃ পঞ্চমেরই কীর্তি । এই গানটির প্রথম ও তৃতীয় ইন্টারল্যুডটিতে রয়েছে টানা স্যাক্সের টুকড়া , 'ডেফিনিটিভ' ( জানিনা, বাংলায় ঠিক কী বলা যায়)। ভাবা যায়, "পিয়া তোসে নয়না লাগে রে" বা " মোসে ছল কিয়ে যায়", কী বিশাল অর্কেস্ট্রার রেঞ্জ। এর আগে কত্তার কোন গানের রেকর্ডিঙে এই মাপের যন্ত্রী আয়োজন দেখা যায়নি । যথারীতি যার নেতৃত্বে একম অদ্বিতীয়ম পঞ্চম, দ্য প্রিন্স ।

    'তিসরি মঞ্জিলে' এসে পৌঁছোনের আগে পর্যন্ত এই ছিলো পঞ্চমের সুরের পৃথিবী । বাপ নে বহুত কুছ দিয়া থা উনকো, সির্ফ মিউজিক সে বড়কে, লেকিন উওহ ভি বাপ কা ইজ্জত উতনাহি বড়ায়া ।
    -------------------------------------
    " কুছ হটকে করনে কি জরুরত হ্যাঁয়", বড়ো কত্তা এরকমই ভেবেছিলেন পুত্রের সম্বন্ধে । তিনি বুঝতে পারছিলেন পিতার সহকারী হিসেবে খুব বেশিদিন কাজ করলে পঞ্চমের স্বকীয়তা শেষ হয়ে যাবে । তাঁকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে । পিতার থেকে আলাদা হয়ে, নিজের পথে এগিয়ে যাওয়ার সবুজ লন্ঠন প্রত্যাশা করছেন তিনি। পিতা সম্মত হলেন ।

    একদিন স্টুডিওতে বসে আড্ডা মারার সময় পঞ্চম ও তাঁর দুই বিশ্বস্ত সহযোগী মনোহারিজি এবং কের্সি লর্ড ভাবছিলেন কী করে একটা 'হটকে' অভিঘাত আনা যায় । তাঁর পিতা ও গুরু সারাজীবন লোকসুর নিয়ে কাজ করেছেন। সেই ষোল পিস বেহালা, তার পর বাঁশি এবং তার পর একবার বা দুবার অন্তরার সুর পুনরাবৃত্তি; ব্যস, স্থায়ী শুরু হয়ে গেলো । তিনি ভাবলেন, নাহ, এবার ব্র্যাসকে সামনে আনতে হবে ।

    তৈরি হলো গান, " ও হসিনা জুলফোঁওয়ালে"। এই গানটির যন্ত্রানুষঙ্গ ছিলো যথারীতি লাইভ এবং মোট আশি জন যন্ত্রী । তার মধ্যে চল্লিশ জন বিভিন্ন গোত্রের ভায়োলিনে । ক্রমাগত নোট আর বীট বদলে যাচ্ছে । সব নিয়ে সামলাতে হচ্ছে ড্রাম আর ভায়োলিনের পুরো সেট, সঙ্গে ট্র্যাঙ্গল আর ট্রাম্পেট। বোসা-নোভা স্টাইল লীড অ্যাকস্টিক গিটার আর স্যাক্স । সরল মেলোডির একশোজনের অর্কেস্ট্রার উপর এর সিকিভাগ চাপও পড়েনা।
    ভিজ্যুয়ালটিও একেবারে অনন্য । ক্যামেরা ধরছে প্রচুর ক্রেন শট আর সমস্ত নাচিয়েদের পুরো তিনশো ষাট ডিগ্র্রি মিড আর ক্লোজ ফলো আপ। এই গানটির চিত্রগ্রহণও সমান জটিল । পঞ্চমের দেওয়া সুরের ইজ্জত রাখত পেরেছিলো ।
    ----------------------------
    কিন্তু পঞ্চমের নিজের প্রিয় ছিলো " আজা আজা ম্যঁয় হুঁ প্যার তেরা "। এর লীড গিটারটি ধরেছিলেন দিলীপ নাইক । অসম্ভব জোরালো হাত । প্রিল্যুডে যে তিনবার চক্রবৎ ঝংকার রয়েছে এই গানে, এখনও তার জুড়ি খুব কমই শোনা যায় । আশাজির সঙ্গে কনসার্টে কোন নতুন গিটারিস্ট বাজাতে চাইলে তিনি তাদের এই এই পিসটি বাজিয়ে শোনাতে বলতেন । কিতনা দম হ্যাঁয়, ইসি মেঁ পতা চল জায়গা । শুধু কি গিটার ? মাথা খারাপ করা রিদম, ঘোর লাগা চ্যান্টিং, আআজাআজাআ...স্ট্যাকাটো ভাইব্রাফোন, পিকোলো আর স্যাক্স । অরিজিন্যাল 'এ দিল মাঙে মোর' গান, দম ফুরিয়ে যায়, গান ফুরায় না । " আজা আজা 'অন্তরা শেষ হচ্ছে কোমল নিষাদে, যার সঙ্গে লোকে তুলনা করে সলিলের " আ জা রে পরদেশী'র 'আজা রে'কে । কিন্তু পঞ্চমের 'আজা' ছিলো শ্বাসরোধী দ্রুত তালে বাঁধা এবং সরলরৈখিক মেলোডির থেকে বহুদূর প্রায় ক্যাকোফোনি ছোঁয়া। তবু নিঃসন্দেহে, অ্যাডভান্টেজ পঞ্চম !

    পঞ্চম চিন্তিত ছিলেন রফিসাহেব কীভাবে গানটির মুকাবলা করবেন । কিন্তু বেশ কিছুবার মহলা দিয়ে রফিসাহেব মন্ত্রটি ধরে ফেলেন । আশাজিকে ঠিক সুর লাগাবার কৌশল জানতে দিদি লতার শরণ নিতে হয়েছিলো । তিনবার টেক হয়েছিলো গানটি। শাম্মি কাপুর, যাঁর সঙ্গীতের কান তাঁর বড়োভাইয়ের মতো-ই নিপুণ, বলেছিলেন ," দিস সং উইল গো টু বিকাম আ ট্রেন্ডসেটার"।
    --------------------------------
    এ ছাড়া আরো দু'টি গান, বিশেষতঃ " তুমনে মুঝে দেখা" আর "দিওয়ানা মুঝসা নহি", এখনও মানুষ খুব মন দিয়ে শোনে। এতো গেলো গানের কথা। একটি সাসপেন্স ছবির ব্যাকস্কোর সম্ভবতঃ গানের থেকেও অতিরিক্ত মনোসংযোগ দাবি করে । কারণ সঠিক শব্দ যোজনা থেকেই দৃশ্যের চমকগুলি পরিস্ফুট হয় । এ কাজেও পঞ্চম একশোয় একশো । বহুদিন পরে কের্সি লর্ড ২০০৯ সালে বলেছিলেন, পঞ্চম ও তাঁর সহযোগীরা 'তিসরি মঞ্জিলে' যে পর্যায়ের কাজ করেছিলেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য । প্রসঙ্গতঃ, লর্ড পরিবারের তিনজনই, কাওয়াস (কাকা)কের্সি এবং বর্জোর, এই ছবির সঙ্গীতের সঙ্গে ওতোপ্রোত জড়িত ছিলেন ।
    --------------------------
    'তিসরি মঞ্জিল' ছবির সঙ্গীত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পঞ্চমকে এক ধাক্কায় শীর্ষস্থানে শংকর-জয়কিশন আর ও পি নইয়ারের স্তরে তুলে দিলো । তবে পঞ্চমের সঙ্গীতজীবনে অনেক বেশি সুদূরপ্রসারী প্রভাব এনে দিয়েছিলো যে ঘটনাক্রমটি, তা হলো বাসুদেব চক্রবর্তী ও মনোহারি সিংএর সঙ্গে তাঁর অতুলনীয় আজীবন বোঝাপড়া । এই দুজনের সঙ্গে ছিলেন আরো একজন, মারুতি রাও কীর। এই ত্রিমূর্তিকে বাদ দিয়ে আমরা পঞ্চমকে ভাবতে পারিনা ।

    গীতিকার গুলশন বাওরার স্মৃতিচারণে পড়েছিলুম পঞ্চম প্রসঙ্গে সেই সময়ের বম্বে চিত্রজগতে সঙ্গীতের অন্যতম মুকুটহীন সম্রাট জয়কিশনের মূল্যায়ণ । সময়টা ছিলো 'তিসরি মঞ্জিলে'র অল্প আগে-পরে । একদিন তিনি জয়কিশনজির সঙ্গে কোথাও আড্ডা দিচ্ছিলেন । কথাবার্তার ক্রমে তিনি জয়'জির কাছে জানতে চাইলেন সেই সময়ের কোন সঙ্গীতকারকে তিনি তাঁদের প্রতিযোগী মনে করেন ? যে নামগুলি গুলশনজি বললেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন, কল্যাণজি-আনন্দজি, লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল, রবিসাহেব, আরো কয়েকজন । জয়'জি বলেছিলেন, নাহ, এরা কেউ নয় । কারণ, এরা সবাই আমাদেরই স্টাইল ধরে চলে । কিন্তু, একটা ছেলে, শচীনদার পুত্র, নাম রাহুল, সেই শুধু ভবিষ্যতে শংকর-জয়কিশনের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে । গুলশনজি তখনও পঞ্চমের সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না । তাই জানতে চাইলেন কেন জয়'জি এরকম ধারণা করলেন । উত্তর এলো, এই ছেলেটা সুর আর শব্দ নিয়ে এতো রুচিশীল, অনন্য, তুলনাহীন কাজ করছে যে আগামীদিনে নিজের অধিকারের বলেই ও ট্রেন্ডসেটার হবে । বাকি সবাই ওর স্টাইল অনুসরণ করা ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না ।
    ----------------------------------
    বহুদিন পরে, 'অমর প্রেম' তৈরি হবার পরে, একদিন মীরা দেববর্মণ স্বামীকে বললেন, তোমার এতো আশঙ্কা ছিলো, পঞ্চম বড়ো বিদেশি ধাঁচে সুর করে, যেটা কোনওদিনই তোমার পছন্দ হয়নি । 'অমর প্রেমে'র গান শুনে কী বলবে? কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বড়ো কত্তা বললেন , " তাতে হইসেডা কী ? অর বাপডা কে, সেইডা মনে আসে তোমার"। সঙ্গীতের মহীরূহ কখনও পঞ্চম সম্বন্ধে তাঁর মনোভাব এতো স্নেহসিক্তভাবে কারুর কাছে আগে প্রকাশ করেননি ।
    ------------------------------------------

    'বহারোঁ কে সপনে' থেকে 'অমর প্রেম' , পঞ্চমের আরেক পর্বের যাত্রা । কখনও সময় হলে তাই নিয়ে আড্ডা দেবো। আপাততঃ এতো দূরই থাক ।

    আলোচনায় উঠে আসা কয়েকটি গানের লিং এখানে রইলো । 'তিসরি মঞ্জিলে'র অন্য গানগুলির লিং আগের পর্বে দিয়েছি, তাই এখানে আর দিলুম না।

    শব্বা খ্যয়ের.....

    অ্যায় মেরে টোপি পলট কে আঃ


    লিখা হ্যাঁয় তেরেঃ


    আরে ইয়ার মেরাঃ


    খ্বাব হো ইয়া কো-ই হকিকতঃ


    এয়সে তো না দেখোঃ


    গাতা রহে মেরা দিলঃ


    তেরে মেরে সপনে অবঃ


    দিন ঢল জায়েঃ


    তুম নে মুঝে দেখাঃ


    দিওয়ানা মুঝসা নহিঃ

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ জুলাই ২০১৪ | ১৯০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Rit | 213.110.246.22 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৪ ০৭:১৭74566
  • আগেও পড়েছি শিবাংশুদার পঞ্চম এর উপর লেখা। তবে এটা পড়ে সবচেয়ে ভাল লাগল। আরো হোক।
  • Nina | 78.37.233.36 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ০১:২২74568
  • কতোটা ভাল লাগলে চোখে আসে জল আর ভাষা যায় হারিয়ে---কিছু আর বলার নেই
  • kiki | 127.194.75.159 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৬:২৯74569
  • একটা মজার গল্প আছে, আমার মেজোমাসীশাশুড়ির বাড়ী ছিলো, পরের ছেলের ভাইবোনেদের আনন্দের জায়গা।বাটানগরে। সেখানে গেলে তাদের স্বাধীনতার একশেষ হত। এইরকম একবার অনেকে গেছে, তার মধ্যে আমার এক ননদ গেছে যে কিনা একেবারেই কুঁচো। তো রাত্রে যাত্রা দেখতে যাওয়া হবে, সবাই ফিস ফিস করছে, কারন বুড়ি(সেই ননদ) ঘুমিয়ে পরলে ওকে বাড়ীতে রেখে যাওয়া হবে। তা তিনি কি আর অতই বোকা, ঠিক সবাই যখন যাবে তখন আঙুল চুষতে চুষতে পিছু ধরেছে সবার। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, তুই যে যাবি, বুঝবি কিছু? উত্তর এসেছিলো, বুঝি আর না বুঝি, ভানো (টাইপো নয়)তো লাগে।

    কিছু কিছু লেখা পড়লে আমার সে অবস্থা হয়, যেমন আপনি, ডাগতার দাদা, ইন্দ্রানী, এদের লেখা। ঃ)
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৬:৪১74570
  • ফাটায়ে দিসেন।
  • ranjan roy | 24.99.231.72 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৭:৩৪74573
  • শিবাংশু ইশারায় বলেছেন আরো পর্ব আসছে।
    অপেক্ষায় আছি।
  • swagata | 24.141.72.2 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৮:৫৫74571
  • দারুন লাগলো। আরো কিছু পর্ব হোক না।
  • de | 190.149.51.69 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৯:২৭74572
  • শিবাংশুদার মণিমুক্তো - দুটো পর্বই - কি ভালো যে লাগলো!
  • কল্লোল | 125.242.180.19 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ১২:২৮74567
  • অন্তরের অন্তস্থল থেকে কুর্ণিশ।
  • ঐশিক | 127.218.17.62 (*) | ০৬ জুলাই ২০১৪ ০১:০০74576
  • এরকম লেখা পড়ার জন্যেই বার বার ফিরে আসি এপাড়ায়
  • sudeep | 125.187.34.69 (*) | ০৬ জুলাই ২০১৪ ০৬:৪৬74574
  • একটা সিনেমার কথা দেখছিনা, যেটা করার সময়ও বড়কর্তা অসুস্থ হয়েছিলেন আর ছবিটির সুরকার হিসেবে বড়কর্তার নাম ছিল,কিন্তু কয়েকটি গান শুনলে ছোটো কর্তার সুর বঝাই যায়। ছবিটির নাম আরাধনা। রূপ তেরা মস্তানা,মেরে স্বপ্ন কি রাণী,শুনলে ছোটো কর্তার করা বোঝা যায়।
  • কল্লোল | 111.63.194.36 (*) | ০৬ জুলাই ২০১৪ ০৭:১৩74575
  • আছে তো। " তিন দেবিয়াঁ'র কাজ শেষ করার জন্য তাড়া ছিলো । 'গাইডে'র ব্যাপারে দেব আনন্দ জানিয়েছিলেন যতোক্ষণ না কত্তা কর্মক্ষম হ'ন, ততোদিন তিনি অপেক্ষা করবেন। ফলে 'তিন দেবিয়াঁ' শিগগির শেষ করতেই হবে । পঞ্চমের আজীবন, সম্ভবতঃ ঘনিষ্টতম বন্ধু বাদল ভট্টাচার্য বলেছিলেন 'তিন দেবিয়াঁ' র সঙ্গীত পরিচালনা আসলে পঞ্চমই করেছিলেন ।"
  • Pubদা | 202.193.171.150 (*) | ০৭ জুলাই ২০১৪ ০৮:৩০74578
  • শিবাংশু'দা - দারুন দারুন ...
  • jhumjhumi | 127.194.249.67 (*) | ০৭ জুলাই ২০১৪ ১২:৩৮74577
  • খুব ভালো লাগলো।
  • শিবাংশু | 127.197.241.251 (*) | ১০ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৮74579
  • লেখাদুটো এতোজনের ভালো লেগেছে দেখে নিশ্চয়ই একটু আত্মতৃপ্ত বোধ করছি। যদিও সারকথা হলো কথক নয়, বিষয়টিই রসিকদের টেনে রাখে। কথকের লেখার টানটিও সেই উৎস থেকেই আসে। পঞ্চমের জীবনের প্রথম যুদ্ধের গপ্পো হয়তো অনেকেই ততোটা জানেন না । এই পর্বদুটিতে সেটাই উপজীব্য ছিলো ।

    পরবর্তী পর্বে তাঁর বৈজয়ন্তীর উপকথা থাকবে । তবে কতোদিনে তা এই পাতায় এসে পৌঁছোবে, বলা মুশকিল । :-)

    যাঁরা পড়েছেন, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ।
  • kd | 151.0.10.100 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৪ ০২:৫২74581
  • মেহমুদের ছবি "ছোটে নবাব" আর "ভূত বাংলা" বোধহয় "তিসরি মঞ্জিল"এর আগের সিনেমা ৷ "ভূত বাংলা"তে রাহুল মেজর রোলে অ্যাক্টোও করেছিলেন ৷

    (কারণ ওই দু'টো কলেজে থাকতে দেখেছিলুম, তিসরি মঞ্জিল পরে বসুশ্রীতে)
  • শিবাংশু | 127.201.164.38 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৪ ০৩:৪১74582
  • কাবলিদা,

    এক্কেরে ঠিক,

    ছোটে নওয়াব - ১৯৬১
    ভূতবাংলা- ১৯৬৫
    তিসরি মঞ্জিল -১৯৬৬
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ জুলাই ২০১৪ ০৫:৪৯74583
  • আরডির ওপর তেমন ভালো ডকু ফিল্ম তেমন দেখি নি। এইটা ভালো লাগল। অজানা কিছু জিনিস জানা গেল। হরি চৌরাশিয়া, শিব শর্মা, রনু মজুমদার.... আরো অনেকে - যারা আরডি র সঙ্গে কাজ করতেন তাদের জবানবন্দী। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস সমৃদ্ধ।

  • স্বপন রায় | 192.66.43.64 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:২১74584
  • অসাধারণ....মন ভরে গেলো!স্বপন রায়
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৬74585
  • যদিও ইংরেজি বিশ্লেষণ, তবু সাবজেক্ট যখন - চিঙ্গারি কোয়ি ভড়কে - - এই টইতেই দিলাম --


    For a generation of Hindi music lovers, ‘Chingari koi bhadke’ was the archetypal ballad that laments the loss everyone faces.
    Carnatic classical singer, veena player and music analyst Prince Rama Varma speaks about the arrangement: "Rahul Dev Burman, who always experimented with new sounds, opens the song with a minor chord strummed on a guitar, which gives the rhythmic pulse as much as it does the melody. This hauntingly beautiful chord is repeated throughout the song and keeps increasing in its hypnotic quality as the song progresses and as we hear it again and agin. Kishore Kumar sings ‘Chingari koi bhadke…’ and leaves it hanging in the air, when the divine flute take sit up and plays a sublime little passage, generously utilizing the Teevra Madhyam. I don’t think there would be many Bhairavi songs which use the startling Teevra Madhyam, either in the orchestration or in the singing, as much as ‘Chingari’ does. From the ‘usey’ in ‘sawan usey bujhaaye’ the sombre waves of Teevra Madhyam start, creating a mood like very few other songs do. Violins play the background right from the time the singing starts, but it’s sound mercifully muted, though they are there for sure."
    Rama Varma has elucidated the arrangement of ‘Chingari’ as one of a kind. The song starts with a very unconventional guitar, followed by the soulful flute intro by Pandit Hariprasad Chaurasia. The resso, the maracas and the kabashe provide the percussion base. The occasional use of the qanun (an Arabic zither instrument) by Sumant Raj, the poignant tar shehnai obligato by Dakshina Mohan Tagore, and the subdued violin ensemble by Basu Chakravarty’s section, all add to Kishore Kumar’s magical voice to create a song of undefinable dimensions.
    The minor chord, which grows on you as mentioned by Rama Varma, was part of Pancham’s wizardy. Bhanu Gupta talked about it in many forums, ‘On my way to winding up one evening, I played the F-sharp minor chord with an open third string. This produced a strange sound and people laughed. But Pancham insisted that I play the chord once more and he made me play it correctly. What appeared as discord to me and the people around, was music to Pancham. How brilliantly he used the faulty chord in the song Chingari. Surely a genius.’
    As the tune roughly follows the structure of Raga Bhairavi, it also boils down to using an early morning raga for a song featured in the evening. And Pancham builds the feeling of evening smartly by fusing the Teevra Madhyam - a note representative of evening into the song.
    ‘Chingari koi bhadke’ could well qualify to be among one of the best Hindi songs of all time. In an event in All India Radio, singer and composer Hemant Kumar admitted that this was his favorite composition. Pandit Ajoy Chakrabortty marvels at the cadence of the tune and the mood it creates.
    On a visit to the Sangeet Research Academy in Calcutta in 2002 to meet Pandit Ulhas Kashalkar, classical music aficionado Archisman Mazumdar recalled hearing a voice singing ‘chingari koi bhadke’ from one of the bungalows in the compound. His inquisitiveness led him to Pandit A. T. Kanan’s bunglow. On inquiring why a classical expert like him was singing a light song, Pandit Kanan opined bluntly: ‘One who does not love Kishore Kumar and cannot adore a wonderful song like this is mad.’ Needless to say, this was one of Kishore Kumar’s favorites too.

    ( ---- from the book 'R D Burman, The Man, The Music' )
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৮74586
  • যা তেরি! কি লিংক পেস্ট হল কোথা থেকে, যাগ্গে এই যে ---



    যদিও ইংরেজি বিশ্লেষণ, তবু সাবজেক্ট যখন - চিঙ্গারি কোয়ি ভড়কে - - এই টইতেই দিলাম --

    For a generation of Hindi music lovers, ‘Chingari koi bhadke’ was the archetypal ballad that laments the loss everyone faces.
    Carnatic classical singer, veena player and music analyst Prince Rama Varma speaks about the arrangement: "Rahul Dev Burman, who always experimented with new sounds, opens the song with a minor chord strummed on a guitar, which gives the rhythmic pulse as much as it does the melody. This hauntingly beautiful chord is repeated throughout the song and keeps increasing in its hypnotic quality as the song progresses and as we hear it again and agin. Kishore Kumar sings ‘Chingari koi bhadke…’ and leaves it hanging in the air, when the divine flute take sit up and plays a sublime little passage, generously utilizing the Teevra Madhyam. I don’t think there would be many Bhairavi songs which use the startling Teevra Madhyam, either in the orchestration or in the singing, as much as ‘Chingari’ does. From the ‘usey’ in ‘sawan usey bujhaaye’ the sombre waves of Teevra Madhyam start, creating a mood like very few other songs do. Violins play the background right from the time the singing starts, but it’s sound mercifully muted, though they are there for sure."
    Rama Varma has elucidated the arrangement of ‘Chingari’ as one of a kind. The song starts with a very unconventional guitar, followed by the soulful flute intro by Pandit Hariprasad Chaurasia. The resso, the maracas and the kabashe provide the percussion base. The occasional use of the qanun (an Arabic zither instrument) by Sumant Raj, the poignant tar shehnai obligato by Dakshina Mohan Tagore, and the subdued violin ensemble by Basu Chakravarty’s section, all add to Kishore Kumar’s magical voice to create a song of undefinable dimensions.
    The minor chord, which grows on you as mentioned by Rama Varma, was part of Pancham’s wizardy. Bhanu Gupta talked about it in many forums, ‘On my way to winding up one evening, I played the F-sharp minor chord with an open third string. This produced a strange sound and people laughed. But Pancham insisted that I play the chord once more and he made me play it correctly. What appeared as discord to me and the people around, was music to Pancham. How brilliantly he used the faulty chord in the song Chingari. Surely a genius.’
    As the tune roughly follows the structure of Raga Bhairavi, it also boils down to using an early morning raga for a song featured in the evening. And Pancham builds the feeling of evening smartly by fusing the Teevra Madhyam - a note representative of evening into the song.
    ‘Chingari koi bhadke’ could well qualify to be among one of the best Hindi songs of all time. In an event in All India Radio, singer and composer Hemant Kumar admitted that this was his favorite composition. Pandit Ajoy Chakrabortty marvels at the cadence of the tune and the mood it creates.
    On a visit to the Sangeet Research Academy in Calcutta in 2002 to meet Pandit Ulhas Kashalkar, classical music aficionado Archisman Mazumdar recalled hearing a voice singing ‘chingari koi bhadke’ from one of the bungalows in the compound. His inquisitiveness led him to Pandit A. T. Kanan’s bunglow. On inquiring why a classical expert like him was singing a light song, Pandit Kanan opined bluntly: ‘One who does not love Kishore Kumar and cannot adore a wonderful song like this is mad.’ Needless to say, this was one of Kishore Kumar’s favorites too.

    ( ---- from the book 'R D Burman, The Man, The Music' )
  • শিবাংশু | 69.92.68.183 (*) | ০৬ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:০৯74587
  • lcm,
    ধন্যবাদ। পঞ্চমের এই পর্বটি আসবে, পরে। এই গান'টি প্রসঙ্গে উস্তাদ আমজাদ আলি খান বলেছিলেন ভৈরবীর এমত সুচারু প্রয়োগ তিনি আগে অন্য গানে শোনেননি। অন্য পরে কা কথা?
  • onami | 104.4.111.217 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৫৭74589
  • ইযে বলছিলাম কি টুপি গান টি বোধ হয় রাফিসাহেব নয় ।।।।।।
  • শিবাংশু | 127.197.238.142 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:০৫74590
  • onami,

    একেবারে ঠিক। এই মারাত্মক ভুলটা কী করে এতোদিন নজর এড়িয়ে গেলো, কে জানে? 'ফান্টুশে'র সব গান তো আভাস গাঙ্গুলিই গেয়েছিলেন। অনেক ধন্যবাদ।

    PM,
    আমি ব্যাটার যতোটা পাখা, বাপের তার থেকে কিছু কম নই। অতএব যদি এই লেখা থেকে এমন কিছু ইঙ্গিত মেলে তবে সেটা আমার লেখার দোষ, আর কিছু নয়।

    তবে কেন পঞ্চমের নামটি এসেছে তার কিছু টেকনিক্যাল কারণ আছে। প্রথমতঃ অর্কেস্ট্রেশনের যে উল্লেখ আপনি করেছেন, সেটা অবশ্যই খুব জরুরি। কারণ এই কাজটিতে বড়োকত্তা খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। বিশেষতঃ ১৯৬৩র পর থেকে বড়োকত্তার ফ্লোর সামলাতেন তিনমূর্তি। বাসু চক্রবর্তী, মনোহারি সিং এবং খোদ ছোটোকত্তা । এঁদের তিনজনের মধ্যে মধ্যে একটা মসৃণ বিনিময় কাজ করতো। যেটা অনেক সময়ই বড়োকত্তার ঘরানার নয়। বহুসময় তিনি এ নিয়ে রাগারাগিও করেছেন। "গাতা রহে মেরা দিল'এ যে ধরণের লম্বা টানা নোট লাগানো হয়েছে এবং ইন্টারল্যুডে অল্টো স্যাক্সের ব্যবহার যেভাবে করা হয়েছে, সেটা একান্তভাবে পঞ্চমের ঘরানার। একটা গানকে যদি উৎপাদিত পণ্য হিসেবে দেখি, তবে তার উৎপাদন পদ্ধতির নানা স্তরকেও মনে রাখতে হবে। প্রাথমিকভাবে সুরের খেইটি হয়তো বড়োকত্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রোতার কাছে গানটির যে রূপটি পরিবেশিত হয়েছিলো, সেখানে ছোটোকত্তার ছাপ খুবই প্রত্যক্ষ।

    আমার আরেক মুগ্ধতা, ওমকার প্রসাদ নইয়ার'কে নিয়ে পড়া ও শোনা শুরু করেছি । কতোদিনে নামবে, জানিনা। :-)
  • PM | 11.187.250.28 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৭74588
  • আবার পড়লাম লেখাটা । আবার-ও মন ভরে গেলো।

    একটা ছোট্টো অনুযোগ বড়কত্তার পাখা হিসেবে। কয়েকটা যায়গায় মনে হলো অকারনে বড়কত্তার ওপোর একটু অবিচার করা হয়েছে। পন্চমকে গ্লোরিফাই করার জন্য। RD নিজ গুনেই অতুলনীয়। SD র কৃতিত্বের ভাগ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন-ই নেই বলেই মনে হয়।

    "গাতা রহে মেরা দিল" তো বস্তুতঃ পঞ্চমেরই কীর্তি" ---- উপযুক্ত তথ্য ছাড়া এই রকম মন্তব্য করলে বড় কত্তার প্রতি একটু অবিচারই হয় বলে মনে হয়। একজন সুরকারের অসুস্থতার জন্য আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করেও গোটা ছবি পিছিয়ে দেওয়া- এমন উদাহরন যে কোনো প্রফেসনাল জগতে দুর্লভ। অন্তত এই সিদ্ধান্তটাকেও আমাদের সন্মান করা উচিত। SD একনিষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে এই গানটাকে আমার প্রক্ষিপ্ত বলে মনে হয় না মোটেই। বরং পিয়াসা, কালাপনি, হাউস ন`, ৪৪, মুনিমজি ইত্যাদি ছবির অমর সৃষ্টির সঙ্গে সাযুজ্যপুর্ন-ই লাগে। অরকেসট্রেসনে তফাত আছে নিঃসন্দেহে--এখানে RD র ভুমিকা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু SD র মতো ট্যালেন্টের সেল্ফ লারনিং আর অ্যাডাপটিবিলিটি কেও আন্ডার এস্টিমেট করার কারন নেই।

    আমি আবার "চিঙ্গারি" সহ বেশ কিছু ক্ল্যাসিকাল বেসড গানে SD ছায়া পাই যা অস্বাভাবিক নয়। গুরুর ছায়া তো শিষ্যর মধ্যে থাকবেই।

    যাকগে। কিন্তু আপনার প্রতিশ্রুতিমত OP নাইয়ারের ওপোর আপনার কলম থেকে বেড়োনো একটা লেখার জন্য চাতকের মত অপেক্ষা করছি কতোকাল। আপনার ভক্তকুলকে আপনি একদমই পাত্তা দেন না ঃ(
  • PM | 53.251.90.231 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:০৮74591
  • ধন্যবাদ শিবাংশুবাবু ।

    আপনার হাত থেকে নাইয়ার সাহেবের ওপোর লেখার জন্য অপেক্ষা করবো অধীর আগ্রহে
  • কল্লোল | 125.242.186.138 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৫৯74592
  • একটা কথা পিএম। বড় কত্তার ভক্ত আমিও। ঘটনাচক্রে আমার বাবা ওনার সাক্ষাত ছাত্র ছিলেন, যেসময়টা উনি কলকাতার রাজা বসন্ত রায় রোডে থাকতেন।ফলে প্রায় জম্মো থেকেই আমি বাবার গলায় ওনার গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, বিশেষ করে ওনার বাংলা গান।
    কিন্তু, সে হলো গায়ক বড় কত্তা। ওনার গাওয়া নিয়ে কথা হবে না। ছোট কত্তা গায়ক হিসাবে ওনার কয়েক আলোকবর্ষ পিছনে।
    ঠিক উল্টোটা না হলেও সঙ্গীতকার হিসাবে ছোটকত্তা অনেক অনেক এগিয়ে। হয়তো বলবে বড়কত্তার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ছোটকত্তার উড়ান। ঠিকই। আর সেটাই তো স্বাভাবিক।
    বড় কত্তা মনে করতেন পানওয়ালা তার গান গাইলে তবে তা সার্থক। ছোটকত্তা ও অবশ্যই সলিল এর উল্টোদিকে বিরাজ কত্তেন।
  • শিবাংশু | 127.214.45.85 (*) | ২৭ জুন ২০১৬ ১২:১৩74593
  • আরিব্বাস্ ! আমিতো মনে করতাম আমি সব জানি specially বাংলার বাইরে হিন্দি তার সিনেমা কোন গানের কোন সুরকার গীতিকার তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ সব ।আজ সত্যি খুব হলাম আপনাকে ছোট করতে নয় আপনার সুন্দর আর বিস্ত্ৃত লেখা শচীনকর্তা আর রাহুল দেব বর্মনের ওপর। চার দিকপাল বাঙালী সুরকার সুধীন দাশগুপ্ত সলিল হেমন্ত রাহুল শচীনবাবুদের ওপর এক সুন্দর আলোকপাত আপনার লেখায় দেখতে চাই । 'মিলি' সিনেমার ও উল্যেখ থাকলে ভাল লাগত ।
  • শিবাংশু | 127.214.45.85 (*) | ২৭ জুন ২০১৬ ১২:১৯74594
  • খুব খুশী হলাম শিবাজীদা আর অনেক ধন্যবাদ ।প্রণাম নেবেন ।
  • শিবাংশু | 127.214.51.45 (*) | ২৭ জুন ২০১৬ ১২:৪১74595
  • ইয়ে, মানে শেষ দু'টো মন্তব্যের পোস্টে আমার নাম দেখাচ্ছে কেন? কীভাবে লেখকদের নাম দেখা যাবে, হে অ্যাডমিন?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন