এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • আমেরিকার স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা – কিছু কাটাছেঁড়া (প্রথম কিস্তি)

    ঈপ্সিতা পালভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৩১০২ বার পঠিত
  • কী ছিল?


    কিছু  পরিসংখ্যানঃ প্রায় ৩১০ মিলিয়ন মানুষের এই দেশটিতে স্বাস্থ্যবিমাবিহীন লোকের সংখ্যা পঞ্চাশ মিলিয়নেরও বেশি। আমাদের পরিচিত হিসেবে বলতে গেলে, ৩১ কোটি মানুষের দেশে ৫ কোটি লোকের কোনও স্বাস্থ্যবিমা নেই। ২০০৯ এর হার্ভার্ডের একটা স্টাডির হিসেবে, স্বাস্থ্যবিমা না থাকার জন্য প্রতি বছর অন্তত ৪৫০০০ জন মারা যান। অর্থাৎ বিমা না থাকার ফলে, আর বিমাবিহীন চিকিৎসা এতই খরচসাপেক্ষ যে সেটা চালাতে পারেন না বলে, বিনা চিকিৎসায় প্রতি বছর ৪৫০০০ জন মারা যান। হয়তো বলবেন, অন্যান্য আর্থসামাজিক কারণ, আয়, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি বিষয়গুলোও তো আছে। আজ্ঞে হ্যাঁ, সেসব বিবেচনা করে তাদের সম্মিলিত প্রভাব বাদ দেবার পরেই এই ‘৪৫০০০ জন’ সংখ্যাটা, যাঁরা আর কোনও কারণে নয়, কেবল এবং কেবলমাত্র স্বাস্থ্যবিমার অভাবে চিকিৎসা হয়নি বলেই মারা যান। আরেকটি স্টাডি বলছে, বিমা নেই বলে ১.১ কোটিরও বেশি আমেরিকাবাসী তাঁদের নানা ক্রনিক অসুখ যেমন, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, এসবের জন্য কোনরকম চিকিৎসাই করাতে পারেন না। আর বিমা না থাকলে চিকিৎসার খরচ আগুনে হাত দেওয়ার সামিল।


    তা হলে যাঁদের স্বাস্থ্যবিমা আছে, তাঁদের অবস্থা নিশ্চয় ভাল। তাই কি? হিসেব কী বলছে একটু দেখা যাক। যত মানুষ ঋণের দায়ে দেউলে বা সর্বস্বান্ত (ব্যাংকরাপ্ট) হন, তার ৬০% এর বেশির ক্ষেত্রে (২০০৭ এর হিসেবে ৬২%) কারণটা হল বিরাট অঙ্কের মেডিক্যাল বিল! শতাংশ ছেড়ে দেখা যাক সংখ্যাটা কত। বছরে প্রায় ৯ লাখ মানুষ! আর এদের মধ্যে মোটামুটি ৭৮% এর অসুস্থতার সময় স্বাস্থ্যবিমা ছিল! তার ৬০% এরই প্রাইভেট স্বাস্থ্যবিমা। অর্থাৎ এমন নয় এঁদের অবস্থা আগে থেকেই সেরকম খারাপ ছিল। হার্ভার্ডের স্টাডি বলছে, এই দেউলিয়া হয়ে যাওয়া লোকজনের দুই-তৃতীয়াংশই ছিলেন মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত। কারণ, বিমা থাকা মানেই মাসে মাসে বিমার প্রিমিয়াম দেওয়া, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, রোগ হলে বিমাকোম্পানি সব খরচ দেবে। চিকিৎসার খরচের একটা অংশ রোগীকেই দিতে হয় -‘কো পে’ (Co-pay) (অর্থাৎ, বিমা থাকলেও ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তারের ফিজ বা ওষূধের খরচ হিসেবে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পকেট থেকে দিতেই হবে) আর বিশাল পরিমাণের ডিডাক্টেবল (Deductable) (অর্থাৎ কোন মেডিক্যাল সার্ভিসের জন্য যে টাকার পরিমাণের সমান বা কম খরচ হলে তার পুরোটা নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে, যেমন, কোন বিমা প্ল্যানে সিটি স্ক্যানে ৫০০ ডলার ডিডাক্টেবল থাকা মানে খরচ ৬০০ ডলার হলে নিজেকেই ৫০০ ডলার দিতে হবে), ওষুধের খরচা (সব ওষুধ বিমার আওতায় আসেনা) থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না! আর এই প্রিমিয়াম আর ডিডাক্টিবল, কো পে র আবার ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক। মানে, মাসে মাসে কম প্রিমিয়াম দেওয়া বিমা নিতে চাইলে ডিডাক্টিবল, কো পে র অঙ্কও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকবে !


    আর অসুস্থতার এক বড় অংশ যেখানে ‘আনকভারড’, অর্থাৎ নানা কারণে বা অজুহাতে মেডিক্যাল বিল-এর পুরোটা বিমাকোম্পানি মেটায় না, রোগীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। আনকভারড অনেক ডাক্তারি পরিষেবাও, বিমার নেটওয়ার্কের মধ্যে নেই, এইধরণের কারণ দেখিয়ে।


    রয়েছে তার উপর আছে অসুখের জন্য চাকরি চলে যাওয়া -- তার মানে তো চাকরিসূত্রে প্রাপ্ত স্বাস্থ্যবিমাও চলে যাওয়া।


    এঁদের মেডিক্যাল বিলের নমুনা? একটি হিসেব বলছে, স্বাস্থ্যবিমা থাকলে গড়ে মোটামুটি ১৮,০০০ ডলার, আর স্বাস্থ্যবিমা না থাকলে ২৭,০০০ ডলারের আশপাশে।  এই ‘আউট অব পকেট’ খরচের বোঝার ভারে ধুঁকছেন সাধারণ মানুষ। মধ্যবিত্ত পরিবারের আয়ের কুড়ি শতাংশেরও বেশি চলে যায় এই খরচে আর গরীব পরিবারের জন্য এই খরচটা কত? আয়ের ষাট শতাংশ! এই খরচের হিসেব বিমার জন্য মাসিক প্রদেয় খরচ বা ‘প্রিমিয়াম’ বাদেই।


    এদিকে মাসের প্রিমিয়াম? জানা গেছে, গড়পড়তা মানুষের মাসিক খরচের এক-চতুর্থাংশ বেরিয়ে যায় এই প্রিমিয়াম দিতে। গত নয় বছরে চাকুরিদাতা-কৃত স্বাস্থ্যবিমাতে যে প্রিমিয়াম দিতে হয়, তার পরিমাণ বেড়েছে দু গুণেরও বেশি, আর এই বাড়ার রেট, মজুরি বাড়ার রেটের তিন গুণ! ‘চাকুরিদাতা-কৃত’ (এমপ্লয়ার স্পনসরড), কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে চাকুরিকারীদের দিতে হচ্ছে গড়ে প্রায় ২৮% খরচ, আর এই পরিমাণটা গত এক দশকে বেড়েছে ১৩১%! ‘ইন্সিওরেন্সের ডিডাক্টেবল’, অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিমা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত প্রদেয় খরচ, ১০০০ ডলারেরও বেশি দিতে হচ্ছে, এমন স্বাস্থ্য পরিষেবায় সংখ্যা ১০% থেকে বেড়ে গত পাঁচ ছয় বছরে ৩০% হয়ে গেছে । এদিকে ‘চাকুরিদাতা-কৃত’ (এমপ্লয়ার স্পনসরড) বিমার সংখ্যা কমেছে।


    সামগ্রিক চালচিত্রঃ


    কোন দেশের কথা হচ্ছে? আমেরিকার। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশগুলির মধ্যে একটি। শুধু তাই নয়, যেখানে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় সর্বোচ্চ -- ২.৬ ট্রিলিয়ন, বা ২৬,০০ কোটি,  ডলার, দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি’র) প্রায় ১৭%! বা, মাথাপিছু স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ৮০০০ ডলারেরও বেশি, যা, অন্যান্য উন্নত দেশের প্রায় দ্বিগুণ! এবং তার পরেও এই অবস্থা। উন্নত দেশগুলির মধ্যে তুলনামূলক এই ছবিটা দেখলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ছবি আরো কিছুটা স্পষ্ট হবে যে এই দেশে স্বাস্থ্যখাতে খরচ সবচেয়ে বেশি অথচ স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত নানাবিধ প্যারামিটারে স্থান সবচেয়ে নিচে।



    পাদটিকাঃ *পূর্বানুমান। খরচ আমেরিকান ডলারে ক্রয়ক্ষমতার সম-মূল্য  (purchase power parity) হিসাবে দেখানো হয়েছে।


    তথ্য-উৎসঃ এই হিসাবটি করেছেন দ্য কমনওয়েলথ ফাণ্ড, এবং হিসাবের ভিত্তি হল ‘২০০৭ সালের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি সমীক্ষা’; ‘২০০৮ সালের অসুস্থতর প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি সমীক্ষা’; ‘২০০৯ সালের প্রাথমিক পরিষেবা-প্রদানকারী চিকিৎসকদের ওপর আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি সমীক্ষা’; উচুমানের কার্যকর স্বাস্থ্যব্যবস্থার জাতীয় স্কোরকার্ড বিষয়ে কমনওয়েলথ ফাণ্ড কমিশন; এবং অর্থনৈতিক সহযোগীতা ও উন্নতি সংগঠন (ও ই সি ডি) –এর ও ই সি ডি স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান, ২০০৯ (প্যারি, ও ই সি ডি, নভেম্বর ২০০৯)


    শুধু তাই নয়, ১৬ টি উন্নত দেশের মধ্যে, ‘preventable deaths’ এর বিচারে আমেরিকা সবার নিচে। উপরোক্ত হিসেবই শুধু নয়, স্বাস্থ্য সূচকের হিসেবে দেখতে গেলেও আমেরিকা পিছিয়ে পড়ে আছে। ২০১১-র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) রিপোর্ট বলছে, গড় আয়ুর হিসেবে আমেরিকার স্থান ৩৩ নম্বরে, শিশুমৃত্যুর হারের দিক দিয়ে আমেরিকা ৪৩ নম্বরে; হ্যাঁ, সবচেয়ে বেশি খরচ করার পরেও! আর এর সাথেই রয়েছে স্বাস্থ্য-সূচকে চরম অসাম্য। দেশের দুটি জায়গার মধ্যে গড় আয়ুর তফাত ৩৩ বছরের, এমনও আছে! দেশের আফ্রিকান-আমেরিকান, লাতিনো ও আদি বাসিন্দা আমেরিকান-ইণ্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য-সূচকগুলি তুলনা করলে বৈষম্য সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। আর শুধু তুলনামূলক ভাবেই নয়, এমনিতেও সেগু্লোর মান যথেষ্ট খারাপ।


    কী হয়েছে?


    ‘নাগালের মধ্যে স্বাস্থ্য’ – নতুন আইন নিয়ে দু’চার কথাঃ এসব মেরামেতির জন্য ওবামা সাহেব অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে সম্প্রতি এনেছেন ‘নাগালের মধ্যে স্বাস্থ্য’ এই নতুন আইন (আফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট)। এই আইন স্বাস্থ্যবিমা-বিহীন লোকের সংখ্যা কমানোর জন্য, স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমানোর জন্যও। এইখানে ছোট করে আমেরিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আরও দু-চার কথা বলে নেওয়া যেতে পারে। না, সমস্তটাই প্রাইভেট ইন্সিওরেন্সের গল্প এমন নয়। সরকারি ইন্সিওরেন্সও রয়েছে; তার মধ্যে মেডিকেইড হল গরীব মানুষের জন্য; আর মেডিকেয়ার হচ্ছে ৬৫ বছরের অধিক বয়সীদের জন্য। তো, ওবামার নতুন আক্টে এই মেডিকেইডকে আরো বিস্তৃত করা হচ্ছে। 


    দারিদ্র্য-সীমার যে রোজগার ধরা হয়েছে তার ১৩৩% এর কম রোজগার করেন যাঁরা, তাঁরাও সরকারি মেডিকেইডের আওতায় আসবেন। এর ফলে ১.৬ কোটি স্বাস্থ্যবিমা-বিহীন লোক এই সুবিধা পাবেন। এটা একটা ভাল পদক্ষেপ। এছাড়া বলা হয়েছে, ঐ রোজগার-সীমার ১৩৩% এর ওপরে কিন্তু ৪০০% এর মধ্যে রোজগার করেন এমন মানুষের জন্যও সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হবে, যাতে কম খরচে তাঁরা প্রাইভেট স্বাস্থ্যবিমা কিনতে পারেন। এরকম মানুষের সংখ্যাও প্রায় ১.৬ কোটি। এঁদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিমা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে; না করলে ট্যাক্স পেনাল্টি।  চাকুরিদাতাদের বলা হচ্ছে, ৫০ জন কর্মি থাকলে তাঁদের জন্য প্রাইভেট স্বাস্থ্যবিমা কিনতে হবেই, নচেৎ সেই পেনাল্টির গল্প। এভাবে স্বাস্থ্যবিমা-বিহীন লোকের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে বলে বলা হচ্ছে।


    আগে থাকতে ছিল এমন রোগের ক্ষেত্রে (প্রি-এক্সিস্টিং কণ্ডিশন) জন্য বিমার পয়সা পাওয়া যাবেনা, এইটা আগে ইন্সিওরেন্স কোম্পানিগুলোর পেজোমি করার একটা বড় হাতিয়ার ছিল। এবারের অ্যাক্টে সেটা অনেকটা আটকানো যাবে। আর মোট কত টাকা একটি বিমাকোম্পানি স্বাস্থ্যবিমা-খাতে বিমাকারীকে দিল (ভল্যুম অব সার্ভিস), তার চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে কোম্পানি কতটা ঠিকঠাক ভাবে কম হয়রানি করে পয়সা দিচ্ছে (কোয়ালিটি অফ সার্ভিস), সেটার ওপর । এটা করার জন্য সরকার উৎসাহ ও শাস্তি (গাজর ও লাঠি) – এ দুই পথই নিয়েছে। আর তাই হাসপাতালে অ্যাডমিশন রেট কমানো, কাজ পিছু পয়সা (ফি ফর সার্ভিস)-এর বদলে সব সার্ভিসের জন্য একসাথে পয়সা নেওয়া (বাণ্ডলড পেমেন্ট), নানা বিভাগের মধ্যে যথাযথ বোঝাপড়ার মাধ্যমে পরিষেবা (কো-অর্ডিনেটেড কেয়ার), রোগ-প্রতিরোধের  উপর বেশি জোর দেওয়া, আলতু ফালতু পরিচালনা (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) খাতে খরচ কমানো, চিকিৎসাকর্মে ঠকবাজি (মেডিক্যাল ফ্রড) নিয়ে অনেক বেশি কঠোর হওয়া – সরকার এসব পথ নেবার চেষ্টা করছে। এগুলো  ঠিকঠাক ভাবে হলে এতে করে স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণমান বাড়া ও খরচ কমা উচিত। বলা হচ্ছে জীবন-শেষের সময়ের পরিষেবার (এন্ড অফ লাইফ কেয়ার)-এর কথা।  আই সি ইউ –তে কোনোভাবে জীবন টিকিয়ে রাখার পরিষেবার চেয়ে বাড়িতে বা হসপিস-এ শান্তিতে যন্ত্রনা কমানোর প্যালিয়েটিভ পরিষেবা যে অনেক বেশি শ্রেয়, সেকথা জোর দিয়ে বোঝানো হচ্ছে।


    এর সাথে আরো একটি জিনিসের উপর নতুন করে জোর দেওয়া হচ্ছে, তা হল জনস্বাস্থ্য (পাবলিক হেলথ), অর্থাৎ মূলত রোগ-প্রতিরোধ। স্বাস্থ্য মানে শুধু অসুখ সারানো নয়, অসুখ আদৌ না হওয়াটাই স্বাস্থ্যের গোড়ার কথা, আর জনস্বাস্থ্য সেই কথাই বলে। ‘প্রিভেনশান ইজ বেটার দ্যান কিওর’ আপ্তবাক্য জানা থাকলেও আজ হেলথ কেয়ারের হাল দেখে তা আর স্মরণে আছে বলে তো মনে হয়না। বিশেষ করে মুনাফাকামী হেলথ কেয়ার ‘ইন্ডাস্ট্রি’ যেখানে অসুস্থ হবার উপর দাঁড়িয়েই মুনাফা লুটছে। এব্যাপারে আমেরিকান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের ডায়রেক্টর Georges C. Benjamin এর মন্তব্য এই প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য –


    “একটি দেশ হিসেবে, আমরা স্বাস্থ্য-পরিষেবার যে লড়াইটা করি সেটার মূলেই ভুল রয়েছে। রোগ-প্রতিরোধ করলে যে কম খরচে বেশি প্রাণ বাঁচে এটার সপক্ষে হাজার সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য-পরিষেবায় খরচ করা প্রতিটি ডলারের সিংহভাগ রোগ হবার পরে তার চিকিৎসার জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। মোদ্দা কথা হল, স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে রোগ-প্রতিরোধের ওপর মূল জোর পড়া দরকার।“ 


    নতুন অ্যাক্টে এসব নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে প্রিভেনশন কাউন্সিল, প্রিভেনশন আন্ড পাবলিক হেলথ ফান্ড। অসুস্থতা তৈরি হবার পিছনে কাজ করে নানা আর্থ-সামাজিক কারণ, যে জন্য দেখা দেয় নানা প্রকার বৈষম্য। হ্যাঁ, অসুস্থতার জাতিগত বৈষম্যের পিছনেও কাজ করছে এমনই নানা কারণ। শারীরবৃত্তীয় কারণের বাইরে গিয়ে এইসব নানা কারণের সন্ধান ও সমাধান খোঁজে জনস্বাস্থ্য। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যবৈষম্য দূর করার জন্য তাই এবারে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ, জনস্বাস্থ্য-বিষয়ে নানা নতুন নীতি আনা হচ্ছে। সংখ্যালঘু স্বাস্থ্য পাচ্ছে বিশেষ অগ্রাধিকার।  বলা হচ্ছে, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ – এই নীতি অনুসরণ করার কথা। কারণ, স্বাস্থ্য কেবলমাত্র আমাদের সংজ্ঞাত স্বাস্থ্যব্যবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, শিক্ষা, খাদ্য, বাসস্থান, পরিবহন, পরিবেশ ইত্যাদি সব সেক্টরের সাথেই স্বাস্থ্য জড়িত। সেগুলোর প্রতি নজর না দিলে এই বৈষম্য দূর হওয়া দূরস্থান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্য অসুখ দূর করাও দূর অস্ত। 


    কী হতে চলেছে?


    নতুন আইনের পক্ষে-বিপক্ষেঃ হ্যাঁ, এই রিফর্মগুলি আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ও এখনো হচ্ছে, কারণ দেশের রক্ষণশীল রিপাব্লিকান দলের আপত্তি অনেক পয়েন্টেই। আর এই হেলথ কেয়ার অ্যাক্টকে ব্যাঙ্গ করে তাঁরা নাম দিয়েছেন, ‘ওবামাকেয়ার’। যেন জনস্বাস্থ্য, মেডিকেইড, মেডিকেয়ারের পিছনে সরকারি খরচ চূড়ান্ত অপব্যয়! রিপাব্লিকান দলের মূল প্রচার ছিল, আকাশচুম্বী  স্বাস্থ্য-ব্যয়ের পিছনে মূল কারণ হল দেশের বেআইনি ইমিগ্রাণ্টরা, যারা কিনা এমারজেন্সী পরিষেবা ব্যবহার করে খরচ বাড়িয়ে দেয়। এদিকে এনিয়ে নানাবিধ স্টাডি বলছে, এরকম কোন প্রমাণ আদৌ পাওয়া যায়না। বরং কোন কোন রাজ্যের স্টাডি দেখিয়েছে, এই বাবদ খরচ মোট খরচের ১% মাত্র! এই তথাকথিত ‘কারণ’-টি মিথ্যা গালগল্প।


    বিমা কেনা বাধ্যতামূলক করা নিয়ে রিপাব্লিকান দলের এবং সাধারণ আমেরিকাবাসীদের একটা বড় অংশের আপত্তি ছিল। বিমা না কিনলে দণ্ড দিতে হবে -- এটাকে তাঁরা ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপ ও সেহেতু অসাংবিধানিক মনে করেন। টানটান আইনি লড়াইএর পর সুপ্রীম কোর্ট অবশ্য গত বছর জুলাই মাসে জানিয়ে দিয়েছে, এটি অসাংবিধানিক নয়। যদিও তাতেই এই আইন লাগু হয়ে যাবে, এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। কেননা মেডিকেইড সম্প্রসারিত করার ভার রাজ্যের হাতে আর অনেক  রাজ্যই আবার এর বিরুদ্ধে; দেশের স্বাস্থ্যবিমা-হীন মানুষের অনেকেই আবার এইসব রাজ্যে!


    এই বাধ্যতামূলক বিমা প্রকল্প নিয়ে আপত্তি উঠেছে অন্যান্য অংশ থেকেও, তবে সেটি সম্পূর্ণ অন্য কারণে। রিপাব্লিকান দলের আপত্তির উলটো কারণেও বলা চলে। বেসরকারিকরণ আরো বেশি করে হোক, এমনটিই চান রিপাব্লিকানরা। সরকারি মেডিকেইড, মেডিকেয়ার নিয়েও তাঁদের বিস্তর আপত্তি, কেননা রিপাব্লিকান দলের মতে এসব ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ কমানো দরকার, ওবামা-সরকার সেটাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। রিপাব্লিকান পথের ঠিক উল্টোমুখের যাত্রী, আমেরিকা দেশের কিছু র্যামডিকাল অংশও বাধ্যতামূলক বিমা প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলেছে, কেননা তা বেসরকারি বিমাকোম্পানির অংশগ্রহণ বাড়াবে। PNHP, মানে Physicians for a National Health Program, আমেরিকার প্রায় ১৮০০০ ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন এর ঘোর বিরোধী। এঁরা বহুদিন ধরে বলে আসছেন, এই অ্যাক্ট আমেরিকান স্বাস্থ্যব্যবস্থার অসুখের চিকিৎসার সঠিক প্রেসক্রিপশন নয়। বা, বড়জোর, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য মরফিন গোত্রীয়। 


    কেন? এক তো এটা দিয়ে এর পরেও সমস্ত মানুষকে চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। র‍্যাডিকল-রা হিসেব করে দেখিয়েছেন, আড়াই-তিন কোটি মানুষ এর পরেও স্বাস্থ্যবিমার আওতার বাইরে থেকে যাবেন। আর এতে করে আমেরিকান স্বাস্থ্যব্যবস্থার অন্য যে মুখ্য সমস্যা, ক্রমবর্ধমান খরচ, তারও বিশেষ সুরাহা হবেনা। কেউ কেউ এও বলছেন, শুধু সুরাহা হবে না, তাই নয়, এতে করে কিছু ক্ষেত্রে আরো বিপদকেই ডেকে আনা হল।


    (আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)


     


    ('স্বাস্থ্যের বৃত্তে' পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত রূপ)




     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৩১০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • aranya | 78.38.243.161 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:০২75483
  • দরকারী লেখা।
  • nina | 22.149.39.84 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:০১75485
  • খুব প্রাসঙ্গিক। আমাদের দিনরাত মাথার চুল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে অফিসে--নতুন নতুন আইডিয়ার ঠ্যালায়।

    ছোট ছোট এমপ্লোয়ার যারা ৫০ এর কম এমপ্লোয়ি রাখেন তারা পেনাল্টি দেবেন কারণ বীমা খরচার চেয়ে সেটা সস্তা হবে।
    বড় বড় কম্পানি তারা কয়েকটা প্যাকেজ অপশ্ন তৈরি করছেন---কর্মিরা যেটা বেছে নেবেন--অবশ্যই দাম হিসেবে।

    সাইবার মার্কেট এ নানান প্যাকেজ রাখার ব্যাবস্থা হচ্ছে--সেখান থেকে ইন্ডিভিজুআলি মানুষ নিজের পছন্দ ও ইচ্ছেমতন কভারেজ কিনবেন।

    বহু ধরণের প্ল্যানিং এ ইন্সিওরেন্স কম্পানিরা খুব ব্যস্ত, আন্ডার রাইটাররা রেট চার্ট নিয়ে প্রবল লড়ে যাচ্ছে-----

    ভাল কি মন্দ--time will tell
  • aka | 78.190.42.63 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:০৬75486
  • ইনফ্যাক্ট ১০/১ এ হেলথ ইন্সিওরেন্স এক্সচেঞ্জ লাইভ হচ্ছে অনেক স্টেটে। তারমধ্যে একটি জর্জিয়া, অন্যটি নেভাদা।

    আর আমার বর্তমান প্রোজেক্ট নেভাদা হেলথ ইন্সিওরেন্স এক্সচেঞ্জ। বহুদিন বাদে টেকনিকালি ও ফাংশানালি একটা ভালো প্রোজেক্ট করলাম। বেশ লাগল।

    আজ এনপিআরে বলল, জর্জিয়া এক্সচেঞ্জে নাকি বেশ কিছু শস্তার ইন্সিওরেন্স প্যাকেজ আছে। মান্থলি প্রিমিয়াম স্টার্টিং অ্যাজ লো অ্যাজ ২৬ ডলার। আইবিএম তার রিটায়ার্ড এমপ্লয়ীদের এক্সচেঞ্জ থেকে ইন্সিওরেন্স কিনতে বলেছে। অনেক কিছু হচ্ছে।
  • nina | 22.149.39.84 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:২৭75487
  • আকা
    প্লিজ এগুলো আর একটু ডিটেল্সে বলবে---প্যাকেজগুলো?
  • aka | 78.190.42.63 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:০৩75488
  • নিনাদি, প্যাকেজ ডিটেল খুব বেশিকিছু জানি না। এটুকু জানি যে কোয়ালিফায়েড হেলথ প্ল্যানদের ফেডারালি অ্যাপ্রুভড একটা টেমপ্লেটে প্ল্যান ও রেট ডেটা সাবমিট করতে হচ্ছে। সেই ডেটা বিরাট কমপ্লেক্স ভ্যালিডেশন লজিক দিয়ে প্রথমে ভ্যালিডেট করতে হচ্ছে। নেভাদায় প্রথম দিকে অধিকাংশ প্ল্যান এই ভ্যালিডেশনে আটকে যাচ্ছিল। বিরাট ইস্যু হয়েছিল। কিন্তু ভালো দিক হল স্ট্রিনজেন্ট রুলস যাকিনা সেন্ট্রালি মনিটরড। ভ্যালিডেশন থ্রু হলে সেই ডেটা এক্সচেঞ্জে আসছে।

    অন্যদিকে এলিজিবিলিটির ওপর ডিপেন্ড করে রেট বদলে যেতে পারে। অনেক রকম ক্রাইটেরিয়া আছে, পরিবারে কত লোক, বার্ষিক আয় কত, ছোট বাচ্চা বা খুব বুড়ো কেউ আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি সেটা আবার স্টেট স্পেসিফিক ইঞ্জিন থেকে ভ্যালিডেটেড হয়। সব কিছু মিলিয়ে কমপ্লেক্স লজিক অ্যাপ্লাই করে রেট নির্ধারিত হয়। একই প্ল্যান আমার ও আপনার জন্য আলাদা রেট হতেই পারে। তবে আইডিয়া হল প্রো মেম্বার মানে আমার ইনকাম কম হলে আমার প্রিমিয়াম কম হবে।
  • nina | 22.149.39.84 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১৩75489
  • নতুন ভাবে ভাবছে --সেটা ভাল। এদিকে তো হোরাইজন ব্লু ক্রস (আমার আপিশ) রিটেল স্টোর খুলে কভারেজ বেচা শুরু করেছে----কিন্তু প্রিমিয়ম তো খুব বেড়ে যাবে সব ম্যান্ডেট মেনে চলে--
    আবার শুনছি এমপ্ল্য়্যার একটা থোক টাকা এম্প্লোয়িকে দিয়ে দেবে----কয়েক রকমের প্যাকেজ--নিজে বেছে কেন--ইঃ প্রঃ
    দেখা যাক--
  • sm | 122.79.36.213 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৫৫75484
  • @pi , আপনার লেখা টা পড়লাম । খুব ই মনোগ্রাহী লেখা। আর একটু জানার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট। এখানে দেখা যাচ্ছে আমেরিকার চেয়ে uk , নেথেরলান্দ্স,অস্ট্রাল্লিয়া; অধিকাংশ পরামেতেরস এ এগিয়ে রয়েছে। আপনার লেখা অনুযায়ী প্রায় পাঁচ কোটি লোকের হেলথ বিমা নেই। এই পাচ কোটি লোক, কি parameters গুলোর অবনমন ঘটিয়েছে?
    আবার, staff /patient ratio , সেন্টারে অফ এক্সেলেন্স , এগুলোতে বোধ হয় আমেরিকা এগিয়ে, তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে।
    লাইফ expectancy দিয়ে কিছু বোঝা মুশকিল, কারণ ইউরোপ এর দেশ গুলোর লাইফ expectancy generally বেশি হয়- বোধ হয় জেনেটিক বা লেস stessful লাইফ স্টাইল। আরো কিছু পরি সংখ্যান হলে ভালো হয়, যেমন ইনফ্যান্ট মর্টালিটি rate , পোস্ট অপারেটিভ complication , malnutrition prevalence , ptient ',s satisfaction ডেটাস ইত্যাদি।
    আবার স্টেট তো স্টেট ভেরিয়েশন,প্রাইভেট বনাম সরকারী ইনস্টিটিউশন এ চিকিতস্যার হাল হকিকাত এই সব গুলো ও খুব ইম্পর্টান্ট।
  • শুদ্ধ | 113.24.84.56 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৫২75490
  • এই তো উন্নত দেশের হাল ! এ নিয়ে এত বড়াই উন্নয়নের প্রকল্পের।
  • s | 18.28.150.79 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৪৮75491
  • আমেরিকায় ডাক্তারেরা এরকম পাগোলের মত ফিস কি করে চার্জ করে এটা আমার মাথায় ঢোকে না। সরকার অ্যালাউ করে কি করে। কিছুদিন আগে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে জানলাম যে ওর আগে যে সব টীকা নেওয়া হয়েছে তার রেকর্ড কোন মার্কিন ডাক্তারের কাছ থেকে ভেরিফাই করিয়ে লিখিয়ে আনতে হবে। তো একজন পেডিয়াট্রিকের সঙ্গে অ্যাপো হল। তিনি মেয়ের সংগে গুচ্ছ ভাট দিলেন, ওজন নিলেন, হাইট মাপলেন, চোখ, নাক, কান দেখলেন, স্টেথো দিয়ে কি শব শুনে বল্লেন শী ইস ফার্স্টক্লাস। আমি আর কোনো চেক করছি না। আমি সব লিখে দিচ্ছি।
    পরে দেখি ইনস্যুরেন্সের কাছে বিল করেছেন ৩৪৫ ডলার। মানে আজকের হিসাবে প্রায় ২৩০০০ টাকা। আমার মার পুরো ছানি অপারেশন হয়ে গেল ২৩০০০ টাকার কমে। শালা মামদোবাজী? ঢপের দেশের যত সব ঢপের সিস্টেম।
  • S | 81.191.220.212 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৫৮75492
  • তা এই ঢপের দেশে না আসলে চলছিল না?
  • s | 18.28.150.79 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:১৩75493
  • না চলছিল না।
  • pi | 118.12.173.94 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:০৬75502
  • আরে, এমারজেন্সি মানে বিনা পয়সা নাকি ? এমারজেন্সি কাউকে ডিনাই করতে পারেনা। স্বাস্থ্যবিমাহীন হলেও না। কিন্তু পরে চার্জ করে। সেটা না দিতে পারলে 'bad debt', কালেকশন এজেন্সি, ল সুইট ইত্যাদি। সেসব বাইপাস করা তো কম ঝক্কির ব্যাপার নয়। 'আনকমপেন্সেটেড কেয়ার' হয় কিছু কেসে, কিন্তু হবেই এমন না। তবে আকাদা দেশী লোকজনের বাবা মা র ব্যাপারে যেটা বলেছে, সেটা ঠিক, সেই সুযোগটা অনেকে নেন।
    দ্বিতীয় কথা, বিমাহীন হলে মূল অসুবিধা ক্রনিক অসুখের জন্য। আবার ক্রনিক অসুখের জন্যও বিমা ডিনায়েড হয়েছে, এটাও খুব কমন। তো, এই ক্রনিক অসুখের মৃত্যু এমারজেন্সি কেয়ার দিয়ে কতটা কী সম্ভব ? সেই অসুখগুলি থেকেই মূলতঃ মৃত্যুর হিসেবটা এসেছে।

    আর অন্য প্রশ্নগুলির উত্তরে, যাঁরা খুব গরীব, তাঁরা তো এমনিতেই মেডিকেইডের আওতায়। খুব গরীব হলে ফ্রি পাবেন, মানে স্টেট স্পনসরড ইন্সিওরেন্স থাকবে।
    বিমার প্রিমিয়াম দিলেই শুধু হবেনা, কো পে আর ডিডাক্টেবল ও আছে, লেখাতে তার উল্লেখ আছে।
    প্রি এক্সিটিং কন্ডিশনের ক্লজটা নতুন আইনে ওঠার কথা, কিন্তু এই কারণে বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
    তবে হ্যাঁ,সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী হলে চিকিৎসা ফ্রি হয়, আর আপনি যেমন বল্লেন, তেমনটা হয়না, এমন নয়।
  • PM | 233.223.154.52 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:১৩75494
  • জানা গেলো অনেক কিছু। আমার অভিগতা মুলত ইওরোপ-এ। ওখানে এসব ঝামেলা নেই। UK তে ট্রিট্মেন্ট পুরো ফ্রী। ওয়ার্ক পার্মিট এ যারা যায় তাদের জন্যেও। আমি দু চারবার গেছিলাম ছোটোখাটো জ্বর, সর্দির জন্য। প্রতি প্রেস্ক্রিপ্সন এর এর জন্য ৮ পাউন্ড দিতে হয়েছিলো। ওষুধ ফ্রী। আমার প্রোজেক্ট এর একজনের হার্ট এর সমস্যা হয়েছিলো। ডায়াগোনোজ হবার পর ৭ দিনের মধ্যে ওপেন হার্ট সার্জারী করে ফিরে এসেছিলো- বিনা পয়্সায়।

    কিন্তু UK তেও কতদিন এই পরিষেবা থাকবে বলা যায় না। পয়্সায় খুব টানাটানি চলছে ওদেশেও।
  • aka | 34.214.145.19 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:১২75503
  • প্রি এক্সস্টিং ক্লজ অ্যাকচুয়ালি প্রথমবার ইন্সিওরেন্স করার সময় অ্যাপ্লিকেবল। অধিকাংশেরই ইন্সিওরেন্স আসে চাকরির সূত্রে। সেক্ষেত্রে চাকরি বদলালে ইন্সিওরেন্স বদলে যায় সেই ইন্সিওরেন্স বদলে যাবার সময় প্রিএক্সস্টিং ক্লজ অ্যাপ্লিকেবল নয়। ধরা যাক আপনার একটি ইন্সিওরেন্স থাকার সময় ব্লাড সুগার ধরা পড়ল। চাকরি চেঞ্জ করলেন এবং ইন্সিওরেন্স বদলে গেল। তখন নতুন ইন্সিওরেন্স বলতে পারবে না ব্লাড সুগার পেই এক্সস্টিং কন্ডিশন। এটা হিপা দিয়ে অলরেডি প্রোটেক্টেড।
  • sm | 122.79.36.156 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:১৫75495
  • @PM , uk তে nhs পুরোপুরি ফ্রি।প্রেসক্রিপশন চার্জ ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ড এ ফ্রি। ইংল্যান্ড এ প্রায় ৮ পাউনড প্রেসক্রিপশন চার্জ লাগে, তাও অনুর্ধ ১৬ ইয়ার্স, দুরারোগ্য রোগ, কিছু ক্রনিক ডিসিস এবং একনমিকাল্লি লো ইনকাম গ্রুপ এর জন্য লাগেনা। uk তে মনে হয় ডক্টরস/ নার্স ও পেশেন্ট ratio , icu বেড সংখ্যা , আমেরিকার তুলনায় কম। কিন্তু আউটপুট বেটার; কেন? uk তে যেসকল ব্যক্তি কাজ করেন, তাদের ৬-৯ % অফ সালারী ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স হিসেবে contribute করতে হয়।
    আমেরিকা ই অধিকাংশ ইনুরান্স কোম্পানি প্রাইভেট। তারা কি হেলথ সিস্টেম কে প্রভাবিত করে? করলে কতটা?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:২৭75496
  • কিছু প্রশ্নঃ

    ১। আপনি লিখেছেনঃ "আগে থাকতে ছিল এমন রোগের ক্ষেত্রে (প্রি-এক্সিস্টিং কণ্ডিশন) জন্য বিমার পয়সা পাওয়া যাবেনা" - তা এই নিয়ম কি এখনো বলবৎ?

    ২। স্বাস্থ্যবীমা মানে কি বীমার প্রিমিয়াম দিয়ে গেলে পুরো চিকিৎসাই ফ্রি? নাকি একটা অংশ দিতেই হবে?
    টিভিতে অনেক প্রোগ্রামে দেখি প্রচুর সিঙ্গল মাদার চুড়ান্ত গরীব, সংসার চালাবার পয়সা নেই অথচ একটার পর একটা সন্তানের জন্ম দিয়ে চলেছে, অনুমেয় এদের স্বাস্থ্যবীমা নেই। তো যাদের স্বাস্থ্যবীমা নেই এমন গর্ভবতী মায়েরা কীভাবে সন্তান প্রসব করেন? রাস্তায়?

    আরো প্রশ্ন আসবে।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:৪৫75497
  • প্রশ্ন কন্টিনিউ করছিঃ

    ৩। শিশুদের টিকা দিতে হয়, তার জন্যেও ই বীমা করে রাখতে হয় আগে থেকে? অর্থাৎ যে শিশুর স্বাস্থ্যবীমা নেই তার টিকা দিতে গেলে সেটা বিনামূল্যে হবে নাকি নগদ ডলার গুনতে হবে?

    ৪।স্বাস্থ্যবীমাহীন গর্ভবতীর যদি গর্ভধারণকালীন ও প্রসবজনিত জটিলতা থাকে, তবে চিকিৎসার ব্যায়্ভার কাকে বহন করতে হবে? অস্ত্রোপচার করে প্রসব করবার আগেও কি চিকিৎসক ও মিডওয়াইফরা বীমা আছে কিনা দেখে তবেই ছুরি কাঁচি হাতে ধরবেন?

    ৫। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে (কোনোরকমের দুর্ঘটনা), যেমন ধরুন পুড়ে যাওয়া, আঘাত, পথ দুর্ঘটনা, ইঃ - এসবে আক্রান্ত ব্যক্তির বীমা নাথাকলে তাকে বিনা ফার্স্ট এইড ও চিকিৎসাবিহীনভাবেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে?

    ৬। সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা যারা জেলের মধ্যে রয়েছেন, সেক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবীমা চাই নাকি তাঁদের জন্য পরিষেবা ফ্রী? (তবে তো প্রান্তিকভাবে দুঃস্থ মানুষজন চিকিৎসার জন্য সামান্য অপরাধ করে জেলে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করিয়ে নিতে পারবেন - এটা কাল্পনিক পরিস্থিতি ও ঠাট্টাচ্ছলে লেখা)

    আরো প্রশ্ন করব।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:১২75498
  • হ্যাঁ
    ৭। সংক্রামক ব্যাধির ক্ষেত্রেও কি রোগীর স্বাস্থ্যবীমা থাকা জরুরী? মনে করুন সংক্রামক কোনো জ্বর, যেমন মনে করুন ভাইরাল ফ্লু বা বার্ড ফ্লু (যে রোগের সময়ে প্যানিক বাটন সবচেয়ে জোরে দাবিয়েছিলো ইউনাইটেড স্টেট্স, রাতারাতি টামি ফ্লু বড়ি কিনে কিনে ওষুধের বাক্স বোঝাই করছিলো জনতা), কিংবা বাজে ধরনের পেটখারাপ (মুহূর্মুহু বাহ্যে, ডিহাইড্রেশন - ফ্লুইড না পেলে মৃত্যু অবধারিত), তখন কি অ্যাম্বুলেন্স ডাকলে স্বাস্থ্যবীমাহীন রোগীর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করবে হাসপাতাল?
  • aka | 34.214.145.19 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৩০75499
  • ৯১১ এবং ইমার্জেন্সি রুমে যে কেউ যখন তখন যেতে পারে। অনেকে ইনফ্যাক্ট নিজ ইচ্ছায় ইন্সিওরেন্স না কিনে এই ইআরের ওপর কাটিয়ে দেয়। আমি নিজ চোখে ভারতীয় ফ্যামিলিকে দেখেছি যারা বাবা মা র জন্য ইনইওরেন্স না কিনে ইআর এর ওপর চালালো। অবশ্য চিকিৎসার জন্য পয়সা দিতে হবে কিন্তু সে পরের কথা। পয়সা দিতে পারবে কিনা তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা হয় না। আর চিকিৎসার জন্য পয়্সা দেবার দায়িত্ব যার চিকিৎসা হচ্ছে তার। এরও অ্যাডভান্টেজ নেয় লোকে। বাবা মা এল ইন্সিওরেন্স কিনল না, কিছু হল ইআর এ গেল, যদি বেশি বিল হয় সে তো বাবা মা র দায়িত্ব।
  • aka | 34.214.145.19 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৩২75500
  • যেহেতু বাবা মার দায়িত্ব তাই বিল এলে ছেলে মেয়ে সেই বিল অগ্রাহ্য করতে পারে। বাবা মা র পরের বার আসায় অসুবিধা হতে পারে।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৫০75501
  • তাহলে সমস্যাটা কোথায় বুঝতে পারছি না। বিন চিকিকিৎসায় মৃত্যু কেমন করে হচ্ছে? যাদের বীমা নেই কারণ প্রচন্ড গরীব বীমার প্রিমিয়াম দিতে পারবে না, তাদের জন্যে এমার্জেন্সি রুম তো রয়েইছে। কেবল কানেকশনের দৌলতে কিছু রিয়ালিটি শো দেখি যেখানে অ্যামেরিকার দুঃস্থ গরীব লোকেদের সমস্যা দেখায়; এখন বুঝতে পারছি যে এদের চিকিৎসা ফ্রী।
    ভারতীয় ফ্যামিলি বাবা মা র জন্য ইনশিওরেন্স না কিনে ইআর এর ওপর চালালো - এ আর বেশি কি? ভারতীয় নয়, অলরেডি অ্যামেরিকান হয়ে গেছে এমন বাঙালি (পশ্চিমবঙ্গের)ও একই কাজ করেছে - বৃদ্ধ বাবা (যাঁর অপারেশন হয়েছিলো) এইমাত্র কনফার্ম করলেন। অপারেশনের পরে হাসপাতাল তাঁর কাছে পাঁচ অঙ্কের ডলারের বিল ধরিয়ে দিলো। বৃদ্ধ বললেন আমার তো এত টাকা নেই। আপনি কত ইনকাম করেন? আমি তো রিটায়ার্ড অধ্যাপক। কত পেনশন পান? ও ঠিক আছে (পেনশনের অঙ্ক শুনে সেটাকে ডলারে কন্ভার্ট করে চিকিৎসকের মন্তব্য) আপনার চিকিৎসা ফ্রী। শুধু পরেরবার ইনশিওরেন্স করে নিয়ে তবে ছেলের কাছে বেড়াতে আসবেন।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:১৩75504
  • মেডিকেয়ার - ৬৫ বছরের বেশী বয়েসের মানুষের জন্য, জনসংখ্যার ১৫.৫% । মেডিকেয়ারে টাকা আসে মেডিকেয়ার ট্যাক্স থেকে, পেরোলে ফেডারেল, স্টেট ট্যাক্সের সঙ্গে মেডিকেয়ার ডিডাকশন বাধ্যতামূলক। এটা হল গভর্নমেন্ট সোস্যাল ইন্‌সিওরেন্স প্রোগ্রাম।

    মেডিকেইড - লো ইনকাম গ্রুপের জন্য আছে মেডিকেইড, জনসংখ্যার ১৮% এর মতন এতে কভার্ড। এটা ফেডারেল আর স্টেট গভর্নমেন্ট স্পন্‌সর্ড। এটি হল সোস্যাল ওয়েলফেয়ার প্রোগ্রাম।

    বাকী রইল জনসংখ্যার ৬৭% এর মতন - এদের সিংহভাগই প্রাইভেট ইন্সিওরেন্সে (ব্লু ক্রস, ইউনাইটেড হেলথকেয়ার, টেনেট, সিগনা, সিয়েনা, কাইজার, এটনা, ওয়েলপয়েন্ট, হেলথনেট.... ...) ।
    ২০১২-র হিসেব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৬৫% কভার্ড প্রাইভেট ইন্সিওরেন্স দিয়ে।

    সুতরাং লোকজনের বেসিক কভারেজ আছে। প্রবলেমটা বেসিক কভারেজ নিয়ে নয়। প্রবলেম অন্য জায়গায়।
  • aka | 34.214.145.19 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:১৫75505
  • প্রবলেম কস্টের তবে সেটা কেমনে কন্ট্রোল করা যায় আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে কুলায় নাই।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২৮75506
  • হ্যাঁ, কস্ট একটা প্রবলেম। হেলথকেয়ারের চক্করে পরে দেউলিয়া হতে পারে মানুষ।

    এখন ধরো কানাডা, বা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার দেশগুলো - মানে যেখানে মেডিক্যাল কভারেজ ভালো, সেখানকার টিপিক্যাল প্রবলেম হল, কিউ - লাইন। ধরো কারো কিডনি বদল করতে হবে - লিস্টে নাম লেখাও, লিখিয়ে বসে থাকো। এক এক করে ডাক আসবে।
    এখন এই প্রবলেম এখানেও আছে - মেডিকেয়ার বা অন্যতেও - এমন লাইন। কাউন্টি হাসপাতালে, বা, নেটওয়ার্কের হাসপাতালে - নাম লিখিয়ে বসে থাকো। ক্রনিক ডিজিস যেগুলোর এক্সপেন্সিভ ট্রিটমেন্ট দরকার সেগুলোতেও প্রবলেম।
  • aka | 34.214.145.19 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৩৮75507
  • আমার এক বন্ধুর কিডনি ব্দলাতে হবে ফিনল্যান্ডে। তারা ব্ছর তিনেক ধরে অপেক্ষা করছে।

    আরও একটা ব্যপার আছে ইনোভেশন।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৫২75508
  • কস্টটা অস্বাভাবিক রকমের বেড়েছে গত দশ বছরে।
    আজ থেকে বছর বারো আগে, মেডিক্যাল-ডেন্টাল-ভিশন নিয়ে ফ্যামিলি কভারেজের মান্থলি প্রিমিয়াম হত ধরো ৪০০-৬০০ ডলার। কোম্পানী দিত ধরো ৮০%, এম্পলয়ি ২০% প্রিমিয়াম, মাসে ৭০-৮০ ডলারে হয়ে যেত। কোনো কোনো কোম্পানী কিছু প্ল্যান ১০০% দিয়ে দিত।
    এটাই এখন হয়েছে ধরো ১৫০০-২০০০ ডলার মাসে। এম্প্লয়ার ৭০% দিলেও, এম্প্লয়িদের ওপর চাপ - মাসে ৪০০-৫০০। যাদের এমপ্লয়ার নেই, তাদের অবস্থা তো সঙ্গীন। খোলা বাজারে ১৫০-২০০ ডলার প্রিমিয়ামের ইন্সিওরেন্স আছে, কিন্তু তার কভারেজ অতীব বাজে।

    কস্ট-এর একটা উদাহারণ দিই ---
    এক বন্ধুর বাবার এখানে এসে প্রবলেম হয় - স্ট্রোক। অপারেশন দরকার। ভিজিটর ইন্সিওরেন্স কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। হসপিটালে গিয়ে খরচ নিয়ে খোঁজখবর করলে এক থেকে দেড় মিলিয়ন ডলার এস্টিমেট দিচ্ছে।

    কয়েক মাস একজনের ব্লাড টেস্টের বিল ভুল করে ইন্সিওরেন্সে পাঠানোর বদলে পেশেন্টের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ব্লাড টেস্টের বিল ছিল ২৭০০ ডলার !
  • aka | 34.214.145.19 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৪75509
  • অন্ধের হস্তি দর্শন করে লাভ নেই। তাতে ঐ সাম্রাজ্যবাদের বিরোধীতাই হয় যেমন এই থ্রেডে শুদ্ধর পোস্ট।

    অ্যানালিসিস করতে হলে আর একটু ইম্পার্সোনাল হতে হবে।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৮75510
  • UK-র কথা এখানে একজন লিখেছে দেখলাম। সবথেকে লম্বা ওয়েটিং ইউক-র NHS-এ ---

    ....According to the BBC, British patients face an average wait time of 8 months for cataract surgery; 11 months for a hip replacement; 12 months for a knee replacement; 5 months for slipped-disc surgery; and 5 months for a hernia repair...
  • sm | 122.79.36.171 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৫৭75511
  • @LCM , আমার প্রশ্ন টা ঠিক এখানে। আপনি যেমন বললেন Uk র ওয়েটিং লিস্ট লম্বা, এটা ঘটনা। এটা ডিসেবিলিটি বারায়, কিন্তু মর্টালিটি তে খুব affect করেনা। যেমন কোনো ব্যক্তি র কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হলে রেগুলার ডায়ালিসিস তার ব্যাক আপ সাপোর্ট। পেশেন্ট অপেক্ষা করতে পারে প্রপার HLA matched ডোনার কিডনি র জন্য। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ডোনার কিডনি র সাপ্লাই র উপর। অন্যান্য ক্রনিক ডিসিস এর ক্ষেত্রে মানুষ কে মেডিসিন এর ওপর থাকতে হয়, কিন্তু সেটা আলটিমেট মর্টালিটি র খুব একটা হেরফের হয় না।
    আমেরিকা তে ডোনার কিডনি র সাপ্লাই কিভাবে জলদি মেটে।
    আমার প্রশ্ন ইন্সুরার্ন্স কোম্পানি গুলো কি ডাক্তার/ নার্স দের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যাতে তারা কস্টলি টেস্ট কম লেখে, কস্টলি মেডিসিন কম প্রেস্ক্রইবে করে, প্রাইমারি প্রিভেনশন এর উপর কম নজর দেওয়া হয় ইত্যাদি।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:১৭75512
  • খবর নিয়ে দেখলাম
    UK ইন্শিওরেন্সের (প্রাইভেট নয়) প্রিমিয়াম দিতে হয় না কিন্তু ট্যাক্স সিস্টেম ওভাবেই তৈরী (ট্যাক্স থেকে কেটে নেয়)। একই ব্যবস্থা জার্মানী , ফ্রান্সে, বেলজিয়ামে। সুইটজারল্যান্ডে সরকারী ফ্রী ব্যবস্থাই নেই প্রত্যেকের প্রাইভেট স্বাস্থ্যবীমা এবং কম্পালসারী। পশ্চিম ইয়োরোপের (ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো) কোনো দেশেই কোম্পানী স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়ামের টাকা দিতে বাধ্য নয় ( বিদেশীরা অল্প সময়ের জন্যে ওখানে কাজ করতে গেলে তাদের জন্যে কোম্পানী স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়ামের টাকা দিতে পারে)। স্পেন, পোর্তুগাল, ইতালী, সবজায়গায়ই এই ব্যবস্থা। রাশিয়ায় আলাদা করে প্রাইভেট স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থা আছে যেটা প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করবার জন্যে দরকার। নচেৎ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, যার সিংহভাগই বিনামূল্যে (ট্যাক্সের পয়সায় চলছে)। হ্যাঁ, এতে ফাইভস্টার কেয়ার হয় না সেটা ঠিক। কিন্তু চলছে। কাজাখস্তানেও অনুরূপ, খবর নিলাম। আয়ারল্যান্ডে প্রাইভেট আলাদা করে প্রিমিয়াম দিয়ে করা যায়। এতে হাসপাতালে রুম শেয়ার করাটা এড়ানো যায়। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোও বেশ ভালো।
    এখন স্বামীস্ত্রী দুটো বাচ্চা এইরকম অ্যাভারেজ হিসেব করলে ১২০০ থেকে ১৫০০ ডলার (মাসে) একদম কমের দিকেই। জার্মানীতে কম বেশি এইরকম কেটে নেয় মাসিক বেতন থেকে (ট্যাক্সের মধ্যেই এই সমস্ত হিসেব করা থাকে, তবে সলিড্যারিটি প্রিন্সিপলে আয় বেশি হলে ট্যাক্স বেশি দিতে হয়)
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন