এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ব্যক্তিগত নয়

    ইন্দ্রাণী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ জুন ২০১৩ | ৯৯২ বার পঠিত
  • ব্যক্তিগত শোক আমাকে অনেক পথ হাঁটায়। এমন অনেক পথ – আগে হাঁটিনি। কিছু কথা, কিছু আলাপ, কিছু অভিজ্ঞতা মনে হল আরও অনেকের জানা জরুরি। পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করব কিছুটা অনিয়মিত।

    ডঃ জয়ন্ত দাসের সঙ্গে আমার কথা শুরু হয় এবছরের মার্চে। নিতান্ত ব্যক্তিগত শোকের প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল কথা চালাচালি – অনুসন্ধিৎসাই ছিল তার মূলে – প্রথমে, ডঃ দাসের সঙ্গেই। ডঃ বিশ্বরূপ চ্যাটার্জী এলেন তার পরে। আলাপন, যা মূলতঃ হাসপাতাল থেকে আসা সংক্রমণ  বিষয়ে প্রশ্নোত্তর- চলেছিল ই মেইলে; ভাষা কখনও বাংলা ছিল, কখনও ইংরিজি । আলাপনের ভঙ্গি ও কালানুবর্তিতা অটুট রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাকে ব্যক্তিগতর গণ্ডী টপকে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।

    মার্চের গোড়ায় ইন্দ্রাণী লিখছে,

    প্রিয় জয়ন্তবাবু,
    আপনাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করার ছিল।

    ১। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অভিজ্ঞতায় মনে হচ্ছে-হাসপাতাল থেকে আসা সংক্রমণ   ভয়াবহভাবে গতিতে বাড়ছে। আপনার কি মনে হয়? এটা কি সত্যি? পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতে বলছি। কোনো পরিসংখ্যান আছে?

    ২। হাসপাতাল থেকে আসা সংক্রমণে  মৃত্যু ঘটলে রোগীর আত্মীয়স্বজন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে  যেতে পারেন কিন্তু
    ক) প্রমাণ করা যাবে না যে ঐ হাসপাতাল থেকেই সংক্রমণ হয়েছে-প্রমাণ করতে হলে রোগীর শরীরের জীবাণু আর হাসপাতালের swab culture এর জীবাণু-র gene match করে দেখতে হবে। সেটা সম্ভব নয়।
    খ) বহুক্ষেত্রেই মনোবল, লোকবল, অর্থবলের অভাবে মৃতের আত্মীয়স্বজন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যেতে চান না।
    তাহলে কী করণীয়?

    ৩) ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় যে এই সমস্ত হাসপাতালগুলোকে যদি অন্ততঃ তাদের সমস্ত পরিচ্ছন্নতাবিধি খতিয়ে দেখতে বাধ্য করানো যেত -তবে একটা বড় কাজ হ'ত। এবং যতদিন না হাসপাতালগুলো তাদের পরিষেবা  খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং সেই মর্মে সার্টিফিকেট পাচ্ছে (এখানে একটা প্রশ্নঃ কে দেবে সার্টিফিকেট?) ততদিন সেই সব হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ  থাকবে - ঠিক এই ভাবে বাধ্য করাতে গেলে কীভাবে চাপ দিতে হবে? জনস্বার্থে মামলা করা ছাড়া আর অন্য কোনো পথ আছে? একটু আলোকপাত করবেন সময়মত।



    উত্তরে ডঃ দাস লিখলেন,

    আমার কাছে পশ্চিমবঙ্গের হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশান নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। মনে হয়, কোনো মেডিকাল মাইক্রোবায়োলজিস্ট ভালো জানবেন।

     আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের ক) অংশে সহমত। দ্বিতীয় প্রশ্নের খ অংশ ঠিক প্রশ্ন নয়, আপনার মত। ঠিকই বলেছেন। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে গেলে দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়তো পাওয়া যেতে পারে কখনও কখনও, কিন্তু ধনী এবং ক্ষমতাবান লোকদের পক্ষে রায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, গরিব মানুষ সেখানে বঞ্চিত হবেন।

    জনস্বার্থে মামলা একটা উপায়। আপনি তিন নম্বর পয়েন্টে যার উল্লেখ করেছেন। তবে ভারতের আদালতে ক্লাস অ্যাকশন সুট গৃহীত হয় কি না, আমার ধারণা নেই। ভোপাল মামলা এ ব্যাপারে দেখা যেতে পারে। তবে আমেরিকায় ক্লাস অ্যাকশন সুট যেভাবে কাজে আসতে পারে ভারতে তা নয়। তাই মনে হচ্ছে, অবশ্য আমার ভুলও হতে পারে।

    আমি ডঃ বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায়কে লিখছি, ভারতের হাসপাতালে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য উনি অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু উনি এখন সৌদিতে। ওঁর উত্তর পেলেই আপনাকে জানাবো।

    ডঃ চ্যাটার্জির মেইল আমরা পেয়ে যাই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। উনি ডঃ দাসকে লিখলেনঃ

    ইন্দ্রাণী দত্তর সঙ্গে আমি একমত যে একটি বিশেষ হাসপাতাল থেকেই একটি বিশেষ সংক্রমণ (হেল্থকেয়ার অ্যাসোসিয়েটেড  ইনফেকশন বা এইচ এ আই)এসেছে, তা নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করা কঠিন। কিন্তু হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিধি মানা হচ্ছে কিনা, হাত পরিস্কার থাকছে কিনা, ইউরেনারি ক্যাথেটার, ভেন্টিলেটর, সেন্ট্রাল লাইন ব্যবহার করার সময়্নির্দিষ্ট বিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, (পরিভাষায় যাকে বলি প্রসেস প্যারামিটার) সেগুলো অনায়াসে নজরে রাখা যায় ব্যায়সাপেক্ষ নিশ্চয়ই কিন্তু মেরোপেনেমের কোর্স কেনার চেয়ে খরচ কম। 

    আমার মতে, যতদিন না বীমা সংস্থাগুলো বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসার খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেজ ধরে প্যাকেজ চালু না করবে, ততদিন হাসপাতালগুলো নড়ে চড়ে বসবে না। যেমন কোনও রোগী ইলেকটিভ কোলেসিস্টেকটমির জন্য ভর্তি হলেন। এই ক্ষেত্রে দু ডোজ আই ভি সেফাজোলিন সার্জিকাল প্রোফাইল্যাক্সিসের জন্য আর একটা টাইজিসাইক্লিন বা মেরোপেনেমের কোর্স  লাগে সার্জিকাল সাইট ইনফেকশনের জন্য।  কিন্তু এক্ষেত্রে যদি অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত সংক্রমণের জন্য মেরোপেনেম বা টাইজিসাইক্লিন লাগে, হাসপাতালকেই তার খরচ দিতে হবে।

    সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা রোগীর আইনি অধিকার। কিন্তু ভারতে ডাক্তার আর রোগীর অবস্থার যা ফারাক, তাতে গরীব রোগীরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় কতটা এগোবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।


    এরপরে, ডঃ দাস লিখছেন ইন্দ্রাণীকেঃ

    হাসপাতালে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য কী করা উচিত আর কী নয়, তা সবিস্তার পাঠিয়েছেন বিশ্বরূপ।

    ইন্দ্রাণী ডঃ দাসকে বলেছিল লেখাটি সে শেয়ার করতে চায় ফেসবুকে এবং অন্যত্র। ডঃ চ্যাটার্জির অনুমতি চাই সেজন্য।

    ডঃ  চ্যাটার্জি অনুমতি দেন।

    ডঃ চ্যাটার্জির ডকুমেন্টটি ইংরিজিতে, অনুবাদের দায়িত্ব এই মুহূর্তে স্বয়ং ডঃ চ্যাটার্জিই নিয়েছেন। তাই ডকুমেন্টটি ইংরিজিতেই রাখা হল এ লেখায়, আপাততঃ।

    এবারে ইন্দ্রাণী লিখছে ডঃ দাসকেঃ

    জয়ন্তবাবু,

    গত রাতে ডকুমেন্টটি এক ঝলক দেখেছি। সুলিখিত । মূলতঃ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, সেবাকর্মী এক কথায় যাঁরা রোগীর সংস্পর্শে আসবেন বা সেবা/ চিকিৎসা করবেন - লেখাটি তাঁদের জন্যই। তবে, হাসপাতালে রোগীকে দেখতে আসা নিকটজন, এবং রোগী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলে সেবা শুশ্রূষাকারীর এলেখার কিছু অংশ জানাটা জরুরি মনে হয়।

    এই মুহূর্তে আমার দুটি প্রশ্ন।

    ১। হাসপাতালগুলো কী কী করতে হবে আর কী হবে না, সেই বিধি মেনে চলে? অবশ্যই না। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বা মৌলিক পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা হচ্ছে কি না- ছ মাস অন্তর বা বছরে একবার কি তার কোনো অডিট হয়?

    ২। হাসপাতাল যাতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মূল বিধিগুলো মেনে চলতে বাধ্য হয়, সেজন্য আমরা মানে সাধারণ মানুষ কী করতে পারি?

    আরও প্রশ্ন করছি পরে।


     ডঃ দাস লিখলেন,

    দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। প্রথম প্রশ্নের ক্ষেত্রে এখন কী হয় বলতে পারব না, তবে দশ বছর আগে আমি একটি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করেছি, পুরো সময়। কিছু নিয়ম ছিল, যদি বিশ্বরূপ যেগুলো বলছে, সেগুলিই কি না, মনে পড়ছে না। তবে বেশিরভাগ বিধি নীতিগতভাবে মেনে চলা হত। তবে কোনও সময় কেউ কেউ ভুলও করেছেন।

    তবে আমার এক সিনিয়র কঠোরভাবে এ সব নিয়মবিধি পালন করানোর চেষ্টা করেছেন। অ্যানেস্থেশিওলজিস্টও খুব কড়া ছিলেন এ সব ব্যাপারে।

    এখন একটা দাতব্য এবং একটা কর্পোরেট হাসপাতালে আছি, তাতে অবশ্য ওপিডি (ত্বকের রোগের)র বাইরে কী হচ্ছে, তা খুব একটা জানি না।

    তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার গাফিলতিতে কোনও রোগীর ক্ষতি হলে জনস্বার্থে মামলা করা যেতে পারে।

    এরপরে, আরও প্রশ্ন থাকে ইন্দ্রাণীর । উত্তর জানাটা জরুরি মনে হয়।

    ইন্দ্রাণী লিখছে,

    জয়ন্তবাবু,

    আবার পড়লাম ডকুমেন্টটি। আগেও লিখেছি, আমার মনে হয় এই ডকুমেন্টটি শেয়ার করা জরুরি। রোগীর আত্মীস্বজন আর সেবা শুশ্রূষাকারীদের এই 'ডু'স আর 'ডু নটস' জানা এবং তা মেনে চলা দরকার। ইংরিজি ডকুমেন্ট-ই এখন শেয়ার করা যাক, বাংলা অনুবাদ হাতে এলে, তখন সেটিরও প্রচার করব। ডকুমেন্টটির কিছু জায়্গা সাধারণ মানুষের জন্য হাইলাইট করা বিশেষ জরুরি। যেমন অনেকেরই জানা নেই অথচ অবশ্যই জানা উচিত যে জল মেশানো ডেটল কখনও মারাত্মক জীবাণু Pseudomonas aeruginosaর বাসস্থান হতে পারে।

    আমার আরও কিছু প্রশ্ন আছে। উত্তর জানতে আগ্রহীঃ

    ১। ডঃ চ্যাটার্জী ঐ ডকুমেন্টে লিখেছেন যে মানুষের শরীরে বসবাসকারী সাধারণ জীবাণু যা সাধারণ অবস্থায় আদপেই মারাত্মক নয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ক্ষতিকারক জীবাণুতে রূপান্তরিত হতে পারে। এখন জানা দরকার যে সেই বিশেষ পরিস্থিতিগুলি কী। কোনো কেমিক্যাল ( হয়তো কোনো ওষুধ) বা শরীরের কোনো বিশেষ পরিস্থিতি ( অস্ত্রোপচার/ আঘাত ইত্যাদি) কি 'সাধারণ জীবাণুকে মিউটেট করে ক্ষতিকারক জীবাণুতে পরিণত করছে? তাই যদি হয়, তবে এই মিউটেশনের জন্য জীবাণুদের কটি প্রজন্ম লাগে আর অঙ্কের হিসেবে তা কি কয়েক ঘন্টা/ দিন/ মাস? তাহলে কি যে কোনো রোগীরই -যার কোনো অস্ত্রোপচার হবে-এই ঝুঁকি মানে তার শরীরের সাধারণ জীবাণুর মিউটেশন হয়ে ক্ষতিকারক জীবাণু হয়ে ওঠার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়? এইটা জানা খুব জরুরি।

    ২। আবারও সেই একই প্রশ্ন উঠে আসে- হাসপাতালগুলি এই 'ডু'স আর 'ডু নট' গুলি যাতে মেনে চলে, তার ব্যবস্থা কী করে করা যেতে পারে? একটি পুরোনো মেইলে ডঃ চ্যাটার্জী লিখেছিলেন, "যতদিন না বীমা সংস্থাগুলো বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসার খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেজ ধরে প্যাকেজ চালু না করবে, ততদিন হাসপাতালগুলো নড়ে চড়ে বসবে না"
    এখন বাস্তবে তা সম্ভব কী করে? করণীয় কী? আপনার কোনো সাজেশন?

    জয়ন্তবাবু উত্তরে লিখছেন,

    বিশ্বরূপকে আপনার প্রশ্ন পাঠাচ্ছি।

     জানি না, বিনা প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হলে তার খরচ হাসপাতালকে দিতে বাধ্য করা কীভাবে সম্ভব।হাসপাতাল তো জানেই যে খরচ হয় রোগী নয় বীমা সংস্থা দেবে। আমার মনে হয় না বিশ্বরূপ বা অন্য কেউই উত্তর দিতে পারবে।

    বীমানীতির আমূল পরিবর্তন চাই। অর্থাৎ ঠিকঠাক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার তফাত করতে হবে এবং প্রথমটিকেই গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র প্রয়োজনমাফিক অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অন্যতম শর্ত। এখন কিছু প্রক্রিয়াগত বিধি মেনে চললেই বীমা সংস্থাগুলো টাকা দেয়, চিকিৎসাবিজ্ঞান মেনে চিকিৎসা হয়েছে কি না দেখে না। তবে ডাক্তার চিকিৎসাবিধি মেনে চিকিৎসা করেছেন কি না, বীমা সংস্থাকে তা যাচাইয়ের অধিকার দেওয়ার মধ্যেও সমস্যা হবে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১১ জুন ২০১৩ | ৯৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইন্দ্রাণী | 147.157.8.253 (*) | ১২ জুন ২০১৩ ০১:৩৪77010
  • এই লেখাটি এখানেই থেমে যায় নি। এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বরূপবাবুর উত্তরের অপেক্ষায়। সেই উত্তর, আরও কিছু তথ্য, এবং এরপরে palliative care নিয়ে কাজকর্ম লিখে যাব। প্রথমেই বলেছি অনিয়মিত হবে এই লেখা। কিন্তু চলবে, থামবে না।
    পড়ুন আপনারা আর জরুরী মনে করলে শেয়ার করুন আত্মীয় বন্ধু, পরিচিত, অপরিচিতর সঙ্গে।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.219.152 (*) | ১২ জুন ২০১৩ ০২:৩৭77015
  • আগ্রহ নিয়ে বসে থাকলাম।
  • aka | 34.181.43.28 (*) | ১২ জুন ২০১৩ ০২:৪০77016
  • কোনরকম সাহায্য করতে পারলে নিজেই ধন্য হব।
  • aka | 79.73.12.107 (*) | ১২ জুন ২০১৩ ০২:৪৪77011
  • খুব ভালো কাজ, চলুক।
  • bb | 127.195.182.29 (*) | ১২ জুন ২০১৩ ০৩:২৬77012
  • ইন্দ্রাণী - এইটার কোন প্রচলিত আন্তর্জাতিক বিধি আছে কি? তাহলে এই বিষয়ে একটা অডিট যদি লাগু করা যায় এবং বিখ্যাত সংস্থার দ্বারা সেটা করান যায়, তবে কিছু হতে পারে।
    আপনি ডঃ কুণাল সাহার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন, উনি ওহায়োতে থাকলেও এই বঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অনেক কাজ করেছেন।
  • ন্যাড়া | 213.83.248.37 (*) | ১২ জুন ২০১৩ ০৩:৪০77013
  • ইন্দ্রাণী, খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। শুভেচ্ছা রইল। কোনভাবে সাহায্য করতে পারি কি না জানাবেন।
  • Abhyu | 118.85.89.109 (*) | ১২ জুন ২০১৩ ০৪:৪৩77014
  • ইন্দ্রাণীদি, আমারও শুভেচ্ছা রইল।
  • | 126.202.140.97 (*) | ১৩ জুন ২০১৩ ০১:৫৭77018
  • ইন্দ্রানী দি, খুব ভালো কাজ। আমার দুই স্কুলের বন্ধু র বাবা এবং মা এই ধরনের সংক্রমন থেকে মারা গেলেন। জাস্ট কিছু করা গেল না।
  • pi | 118.12.167.200 (*) | ১৩ জুন ২০১৩ ০২:১৩77019
  • ইন্দ্রাণীদি, এটা দেখতে পারো ঃ http://pbtindia.com/support-for-victims

    আর ডঃ কুণাল সাহা, যদ্দুর মনে পড়ছে, মেডিক্যাল নেগলিজেন্সের অভিযোগ জানানোর জন্য একটা কোন সংস্থা করেছিলেন। খবর নিয়ে কনফার্ম করছি।
  • ranjan roy | 24.96.108.167 (*) | ১৩ জুন ২০১৩ ০৪:০৪77020
  • আমার শুভেচ্ছা ও নমস্কার !
  • ইন্দ্রাণী | 134.168.36.99 (*) | ১৩ জুন ২০১৩ ১২:১০77017
  • বিবি,
    আছে অনেক কিছুই। ইনফেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল প্রোগ্রাম আছে। হসপিটাল ইনফেকশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা কাজ করছেন হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ে। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও আছে।
    বেসরকারী হাসপাতালে কথা বলে যতটুকু জেনেছি-অডিট হয়। তবে মনে হয় সে সবই খাতায় কলমে। কাজের কাজ যে কিছু হয় না-সে তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
    কুণালবাবুর ঐ ঘটনাটি তো সবাই জানি। আর কিছু অবদান বিষয়ে ঠিক জানিনা । ঐ ভাবে লড়ার সামর্থ্য আর কজনের থাকে বলুন?

    আর সবাই যাঁরা পড়লেন, লিখলেন এখানে-সবাইকে ধন্যবাদ। আপাততঃ কোন্‌ পথে এগোব নিজেই জানি না। পথ খুঁজছি। পড়াশোনা, কথাবার্তা চালাচ্ছি। যখন যেটুকু শেয়ার করার , করব-এভাবেই। আর যেটা ভাবছি, রোগীর তরফে রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের কথা-সব কিছুই আমরা হাসপাতাল , ডাক্তারদের হাতে ছেড়ে দি-অনেক কিছু জানার থাকে, যা জানলে হয়তো কিছু প্রশ্ন, কিছু আলোচনার পরে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়-সেই সব একসঙ্গে জড়ো করার চেষ্টা করছি এই ক্ষেত্রে।
    আপনাদের যে কোনো সাজেশন, কোনো জার্নালের রেফারেন্স, কারো নাম ঠিকানা যা কিছু -যদি মনে করেন এই কাজে আসবে-আমাকে এখানে বা রক্তকরবী অ্যাট ইয়াহু ডট কম বা ফেসবুকে জানাবেন।
    অনেক অনেক ধন্যবাদ।
  • nina | 78.34.162.175 (*) | ১৪ জুন ২০১৩ ০৯:২১77021
  • খুব ভাল কাজ এটা--সবার উপকার হবে ! খুব অগ্রহ নিয়ে পড়ছি---
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন