এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রূপকথার নটেগাছ মুড়োয় না

    পরিমল ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ আগস্ট ২০১৩ | ৩৩৬২ বার পঠিত
  • পায়ে কাদা, জংলি চড়াই পথে জজসাহেব চলেছেন পাহাড়ের ওপর। তাঁর আগে পিছে চলেছে বন্দুকধারী কম্যান্ডোবাহিনী। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে, কাদায় পিছল পথ। সকলেরই পরনে রেনকোট, জজসাহেবেরও। তবু তাঁর মাথায় ছাতা ধরে আর্দালি, সাদা উর্দিতে লাল কোমরবন্ধ আঁটা। বর্ষায় সবুজ মরকতমণির মতো হয়ে আছে পাহাড় জঙ্গল। তার ভেতর দিয়ে টকটকে লাল কর্দমময় পথ; মাঝেমাঝেই ছোট ছোট নালা পার হতে হয়। পাহাড়ের ওপরের দিকে দু-দশ ঘরের ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন গ্রাম, মকাই মান্ডিয়ার খেত, কমলালেবু আনারসের বাগান। এমনই একটি গ্রামে চলেছেন জজসাহেব। গ্রামের নাম সিরকাপাদি - ৭ ঘর, ৩৯ মাথা। বেশ বড় গ্রাম বলা যায়।
    জজসাহেব হুজুর হাকিম, সদর শহরে বিরাট কাছারিবাড়িতে বসেন। উঁচু মঞ্চে যখন প্রবেশ করেন, উকিল সাক্ষী সব তড়াক করে দাঁড়িয়ে ওঠে, আসামীরা বিড়বিড় করে ইষ্টনাম জপে, পেয়াদা লাঠি ঠুকে হাঁকার দেয় - চোপ্, আদালত চলছে! হুজুর গম্ভীর মুখে বিচার করেন, কাঠের হাতুড়ি ঠুকে বলেন ‘অর্ডার! অর্ডার!’, ফতোয়া দেন, কলমের খোঁচায় দেন ফাঁসি কিম্বা কারাদন্ড। সিরকাপাদির মানুষেরা অবশ্য এসব কখনও দেখেনি। শহরই দেখেনি তারা, কেউ কেউ জীবনে কখনও এই পাহাড় ছেড়ে যায়নি কোথাও।  জজসাহেবও কোনোদিন এমন প্রত্যন্ত গ্রাম দেখেননি। পাহাড়ের নীচে লালবাতির গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলের পেছনে বসে খানিক দূর, তারপরে এই চড়াই জংলি পথে হাঁটা। এখানে অবশ্য তিনি কোনো ফতোয়া শোনাতে আসেননি; আসছেন ফতোয়া শুনতে। বিচারক চলেছেন বিচার শুনতে, পিছল জংলি পথে হেঁটে, পায়ে কাদা।
    পায়ে কাদা, রাষ্ট্র চলেছে দেশের কাছে।
    দেশ বলতে হাজার আটেক মানুষ। রাষ্ট্রের খাতায় তারা ডোঙ্গারিয়া কন্ধ, আদিম উপজাতি হিসাবে নথিভুক্ত। পৃথিবীতে কেবলমাত্র এই পাহাড়ের ওপরেই তারা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কিছু ডোম ও গৌড়া সম্প্রদায়ের তফশিলভুক্ত মানুষ। পাহাড়টির নাম নিয়মগিরি, পূর্বঘাট পর্বতমালার অংশ। ওড়িশার কলাহান্ডি আর রায়গাড়ার মতো দুই উষর খরাপ্রবণ জেলার মাঝে বিছিয়ে আছে চিরসবুজ রূপকথার মতো। এই পাহাড়ের মাথা থেকে অসংখ্য ঝর্ণা, দু-দুটি নদী। সেই জলে পুষ্ট হয়ে হাজার হাজার বছর ধরে তৈরি হয়েছে এক আশ্চর্য জীববৈচিত্র্য - অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির গাছপালা লতা ছত্রাক অর্কিড পশুপাখি সরীসৃপ কীটপতঙ্গে বোঝাই নোয়ার জাহাজ। মানুষগুলো এই জীববৈচিত্র্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানকার ফল কন্দ ভেষজ গাছগাছড়া আর ফসল ফলিয়ে জীবনধারণ করে, পাহাড় ও তার প্রকৃতিকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করে। দেবতার নাম নিয়মরাজা।
    বছরভর পাহাড়ে জলধারণ করে রাখে যে উর্বর মাটি, তার আকর বক্সাইট, যা থেকে অ্যালুমিনিয়াম হয়। এই বক্সাইটের লোভে একদিন নিয়মগিরিতে এল বহুজাতিক খনি কোম্পানি বেদান্ত। এর পরের কাহিনি অনেকেরই জানা। ওড়িশা সরকারের মদতপুষ্ট বেদান্তর বিরুদ্ধে শুরু হল নিয়মগিরির মানুষের প্রতিরোধ আন্দোলন। বলা যেতে পারে, রাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের প্রক্সি লড়াই।
    এমন আগেও হয়েছে। এই লড়াইয়ের পরিণতি কী হয় সবারই জানা। আর সেটা জেনেই নিয়মগিরিতে বক্সাইট খাদানের জন্য পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র পাবার আগেই পাহাড়ের নীচে লাঞ্জিগড়ে অতিকায় রিফাইনারি ফেঁদে বসল বেদান্ত কোম্পানি। পাহাড়ের গা বেয়ে তুলে দিল কনভেয়ার বেল্টের খাঁচা; পাহাড়ের মাথা খামচে তোলা বক্সাইট গড়গড়িয়ে নেমে সোজা ঢুকে যাবে রিফাইনারির পেটে।
    বেদান্তর অনেক টাকা। টাকা দিয়ে রাষ্ট্রের মাথা কেনা যায়, মিডিয়ার মুখ ঢেকে ফেলা যায় বিজ্ঞাপনে। আর গুটিকয় জংলি আনপড় উলুরিঝুলুরি মানুষকে বাগে আনা যাবে না?
    কিন্তু হিসেবে একটা ভুল ছিল। নিয়মগিরির মাথায় বক্সাইটের খাদান হলে শুধু যে সেখানকার অনন্যোপম জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে তাই নয়, আস্ত একটি উপজাতি মুছে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে। রাষ্ট্রের খাতায় প্রিমিটিভ ট্রাইবাল গ্রুপ, ডোঙ্গারিয়া কন্ধদের আশ্চর্য সুন্দর জীবনধারা, তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে নাচ গান শিল্প কৃষিশৈলির নকশিকাঁথা শত শত বছর ধরে হয়েছে এই পাহাড়ের জাজিমে। নিয়মগিরির সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা জলের সাথে মাছের মতোই।
    নিশ্চিত ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে মানুষ যখন চিৎকার করে ওঠে, যখন সেই চিৎকারে শামিল হয় আরো কিছু মানুষ, তখন তা কখনও, কোনও এক ব্যতিক্রমী মুহূর্তে, বধির রাষ্ট্রের কানেও যে গিয়ে পৌঁছতে পারে সেটা দেখা গেল। নিয়মগিরির মাথায় বক্সাইট খাদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। প্রত্যাশামতেই বেদান্ত আদালতে গেল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত যা রায় দিল তা অপ্রত্যাশিত এবং অভূতপূর্ব, আক্ষরিক অর্থেই। নিয়মগিরির সঙ্গে সেখানকার অধিবাসীদের ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িত, সুপ্রিম কোর্ট জানাল, তাই খনিটা হবে কী না সেটা ঠিক করবে ওখানকার গ্রামের মানুষ। প্রতিটি গ্রামে গ্রামসভার আয়োজন করবে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর, পরিদর্শক হিসেবে উপস্থিত থাকবে একজন জেলা স্তরের বিচারপতি।
    সেই গ্রামসভায় মানুষের বিচার শুনতেই চলেছেন জজসাহেব, বৃষ্টিভেজা পাহাড়ি পথে চড়াই ভেঙে, পায়ে কাদা। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন দৃশ্য এর আগে কে কবে দেখেছে?
    বেদান্তর নুন খেয়ে ওড়িশা সরকার চেষ্টার ত্রুটি করেনি। নিয়মগিরির ওপর একশোটিরও বেশি গ্রাম, কিন্তু গ্রামসভা হচ্ছে মাত্র বারোটি গ্রামে। তবু অনেকদিন ধরে নানারকম চোখরাঙানি শাসানি আর প্রলোভন সত্ত্বেও প্রতিটি গ্রামেই মানুষ সমস্বরে বলেছে - না! খনি চাই না! খনি হলে নিয়মগিরি বাঁচবে না। নিয়মগিরি ছাড়া আমরাও বাঁচব না।
    - তোমাদের মন্দির ইটবালি দিয়ে তৈরি, আমাদের মন্দির গাছ লতাপাতা পাথর ঝরণা জন্তু দিয়ে, বলেছে সিরকাপাদি গ্রামের ওঝানি। নিয়মগিরি আমাদের মন্দির।
    সিরকাপাদি, কেসরপাদি, তাদিঝোলা, ফুলডুমের, কুনাকাদু, বাটুদি, পালবেরি, ইজুরপা .... এখনও পর্যন্ত নটি গ্রামসভার মানুষ তাদের বিচার জানিয়েছে।
    - খনি বানিয়ে আমাদের নিয়মগিরি থেকে সরাবে সরকার কোম্পানি, ইটের খুপরিতে রাখবে, কিন্তু এই জঙ্গলের চিতা ভালুক হরিণ পাখিদের রাখবে কোথায়? বলেছে ইজুরপা গ্রামের সত্তরোর্ধ লাবণ্য কাটা। লাবণ্য ডোম সম্প্রদায়ের।
    - আদিবাসী পাইক গৌড়া হরিজন ব্রাহ্মণ, নিয়মগিরি কোনও তফাৎ করে  না। সকলেই ঝরণার জল পান করে, গরু চরায় ঘাসজমিতে। বলেছে পালবেরি গ্রামের গাতা মাঝি।
    আমরা রেড ইন্ডিয়ান কুলপতি চিফ সিয়্যাটলের সেই বিখ্যাত ভাষণ পড়েছি ইতিহাস বইয়ের পাতায়। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে এক আগ্রাসী রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলেছিল এক মহাদেশ। আর বিগত দু সপ্তাহ ধরে এক প্রতিস্পর্ধী ইতিহাস লেখা হয়ে চলেছে এই দেশেরই বুকের মাঝে অন্য এক দেশে।
    নিয়মগিরি সুরক্ষা আন্দোলনের লড়াকু বন্ধুদের মারফৎ এই ইজুরপা সেরকাপাদি ফুলডুমেরের আধোচেনা অচেনা মানুষের কথাগুলো শুনতে শুনতে এক বাঙালির মনে পড়ে যায় কুমুটি মাঝির কথা। নিয়মগিরির চিরসবুজ রূপকথার টানে বছর তিনেক আগে গিয়ে পড়েছিল সে। পাহাড়ের মাথায় খাদানের জন্য চিহ্নিত পবিত্র বনভূমিতে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আন্দোলনের পুরোধা বর্ষীয়ান কুমুটি মাঝি। টেস্টিং সাইটের গর্ত থেকে লাল মাটি দু হাতে তুলে নিয়ে বলেছিলেন:
    - নিয়মগিরি আমাদের দেবতা। এই মাটি তার মাংস। দেখ, নিয়মরাজার রক্তে লাল হয়ে আছে।
    শীতের বিকেল। নিয়মগিরির মাথায় ঘাসজমি, লতাগুল্মের ঝোপ, জলা। ধারের দিকে আমলকি অর্জুন পিয়াশালের বন থেকে রোদ সরে এসেছিল, মাটির ভেষজ ভাপ উঠছিল। টি টি  করে ডাকতে ডাকতে বনটিয়ার ঝাঁক উড়ে গিয়েছিল মাথার ওপর দিয়ে। সামান্য থেমে কুমুটি মাঝি ফের বলেছিলেন:
    -দুনিয়ার সেরা ইঞ্জিনিয়ারেরা বসে এমন একটা জায়গা বানিয়ে দিতে পারবে? এখানে যে জড়িবুটি হয়, তাই খেয়ে আমাদের বাপদাদা পরদাদারা বেঁচেছে, আমরা বাঁচছি, আমাদের ছেলেপুলে নাতিপুতি বাঁচবে। কিন্তুই খাদান হলে? যা বক্সাইট আছে সেটা তুলে ফেলতে নাকি পঁচিশ বছর লাগবে। তারপরে কী হবে? পঁচিশ বছরের জন্য কশো বছর বন্ধক রাখব আমি?
    কুমুটি মাঝির গলায় ছিল অনাগত প্রজন্মের ভার। অস্ত সূর্যের আলো এসে পড়েছিল তাঁর মুখে। পায়ের কাছে গর্তগুলো চেয়েছিল অক্ষিবিহীন কোটরের মতো। বনে কোথাও একটা কাঠঠোকরা ঠক ঠক করে শব্দ করছিল।
    আপাতত ভবিষ্যৎ বন্ধক রাখতে হবে না কুমুটি মাঝিদের। তবে, "তারপর তারা সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিল" - রূপকথার এই শেষ লাইন লেখার সময় আসেনি এখনও। নিয়মগিরি পাহাড়ের নীচে লাঞ্জিগড়ে রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার রিফাইনারি, তার জঠরে খিদে, পাহাড়ের গা বেয়ে কনভেয়ার বেল্ট করিডোর পড়ে আছে অজগরের মতো। ইতিমধ্যে রব উঠেছে:
    খনি নাহি তো ফ্যাক্টরি নাহি, বেদান্ত কোম্পানি রহিবা কাঁহি!
    গল্প এখনও ফুরোয়নি।
     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৬ আগস্ট ২০১৩ | ৩৩৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০১:৩২77137
  • এদের পুরো ব্ল্যাকলিস্ট করা উচিৎ
  • sch | 126.202.208.219 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০২:১১77138
  • ব্ল্যাংকি কে ব্ল্যাকলিস্ট করবে?? সরকার ??? তাহলে ইলেকশান ফান্দিং আসবে কোত্থেযে ? আর তার থেকেও বড়ো কথা যে সব শ্রমিকেরা এই সব কোম্পানীতে করে খাচ্ছে তাদের পেটে লাথি মেরে কি হবে। যেটা দরকার সেটা হলো এদের কান মুলে নিয়ম মানতে বাধ্য করা - পরিবেশ সংক্রান্ত আইন, শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা সংক্রান্ত আইন সব মানতে বাধ্য করা যাতে অনিল আগ্রওয়ালের মতো শয়তানগুলো মাল্টি বাল্টী বিলিওনিয়ার না হতে পারে
  • I | 24.99.237.134 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০৪:১৪77139
  • পরিমলবাবুর তো একটা আস্ত বই আছে এ নিয়ে-সত্যি রূপকথা নামে। সেটা পড়ে দেখলে পারেন। আর সব লেখার মেজাজ কি একরকম হবে? আপনি কবির কাছে যদি গদ্য আশা করে বসেন, কিম্বা রম্যরচনা লেখকের কাছে গোদা প্রবন্ধ, তাহলে একটু হতাশ হতে হয়। সেটা সম্ভবতঃ লেখকের দোষ নয়।

    তার মানে অবশ্য গদ্যকে কবিতার তুলনায় কিম্বা তথ্যবহুল প্রবন্ধকে রম্যরচনার তুলনায় খাটো করলাম না।
  • বিশ্বেন্দু | 125.187.36.87 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০৫:০৩77128
  • কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে গ্রামীণেরা সেই কোন কাল থেকে অসম লড়াই, লড়ছেন। কখনো জিতেছেন কখনো হেরেছেন। কিন্তু লড়াই থামে নি। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের উন্নয়ন চক্রান্তে ১০ কোটি গ্রামীণ উচ্ছেদ হয়েছেন তাদের বাসস্থান থেকে। যারা শহরের নানান সুযোগ সুবিধে পেয়ে পেয়ে উন্নয়ন চক্রান্ত আর তাঁর উল্টো পিঠ, উচ্ছেদকে স্বাভাবিক অধিকার ভেবে আসছেন সেই কোন কাল থেকে, তাদের এত সব যুক্তিতে বয়েই গিয়েছে।

    খনি না থাকলে গাড়ি চড়া যায় না, প্লেনেও ওঠা যায় না, উন্নত জীবনযাত্রার ছাপ্পাও পড়ে না, মস্ত কারখানা হয় না, ভারতের ১৪ শতাংশ জমি দখল করে দিল্লি-মুম্বাই করিডোরের মত হাজারো গ্রামীণ উচ্ছেদ করা রাজপথ, শহর, শিল্প শহর হয় না, কিছু মানুষের হাতে সম্পদ জড়োও হয় না, আর সেই লাভের বখরা চুঁয়িয়ে মধ্যবিত্তের পাতেও পড়ে না। আমার গাড়ী চড়া, প্লেন চড়া, কম্পুটার সেবার জন্য, আগামি দিনে আরও কত ১০ কোটি গ্রামীণ উচ্ছেদ হয়ে শহরে দিন মজুর বনবেন জানি না।

    কর্ণাটকে পশ্চিমঘাটেও একই ভাবে সরকারি বেসরকারি কর্পোরেটরা লুঠ করার চক্রান্ত করে সেটির বাঁটোয়ারা করে নিয়েছে কস্তুরিরঙ্গন কমিটি তৈরি করে। কাবালের গ্রামীণেরা, মাধব গ্যাডগিলেরা প্রাণপণ লড়াই করছেন সেখানের বিশাল ঘাসেঢাকা শস্প ভূমি, অমৃত মহল কাবালের বাস্তুতন্ত্র বাঁচানোর জন্য। আপাততঃ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল সেই বণ্টন স্থগিত রেখেছে। তার লিঙ্কগুলো দিলাম,
    http://lokfolk.blogspot.in/2013/06/forfeiting-our-commons-case-for.html,
    http://lokfolk.blogspot.in/2013/06/report-submitted-to-expert.html,
    http://lokfolk.blogspot.in/2013/07/chitradurga-deputy-commissioner-office.html, http://lokfolk.blogspot.in/2013/08/national-green-tribunal-order-status.html,
    কর্পোরেটের হাতে দেশের অযুত সম্পদ তুলে দেওয়ার রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে আজ ভারতের প্রত্যেকটা অঞ্চলে লড়াই চলছে।
    পরিমলবাবুরা গত ২৫০ বছরের করপোরেট বিরোধী আন্দোলনের মৌখিক সাহিত্যের রেশ অসম্ভব মানবিকতায় তুলে ধরেন তাঁর মায়াময় কলমে।
    ইতিহাস প্রমাণ কোনোদিনই কর্পোরেট শক্তি শেষ কথা বলে না।
    এখানে পূর্বঘাটেও নয়, পশ্চিমঘাটেও নয়।
    পরিমলবাবুর কলম বেঁচে থাকুক। তাঁর কলমে পশ্চিমঘাটও উঠে আসুক।
    যারা এই সব আন্দোলনে গ্রামীণদের পাশে থেকে, আন্দোলনে জড়ো হয়ে, সম্পদ দিয়ে, দূর থেকে সরবে সমর্থন করছেন তাদের সকলকে বাংলার গ্রামীণ হস্ত শিল্পী, অভিকর শিল্পী আর তাঁত শিল্পীদের পক্ষে অজস্র প্রনাম।
  • Ishe | 132.164.212.250 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ১১:১০77129
  • বিশ্বেন্দু এই পোষ্টটা টাইপ করলেন কিভাবে? কম্পুটার থেকে না ল্যাপটপ থেকে? ইন্টারনেট access করলেন কি বাড়ী থেকে না সাইবারকাফে থেকে?
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ১২:১৪77130
  • parimal baabur lekhaa bhaalo laagalo naa. tathyer abhaab barh beshI. bara`m shchaer uttar besh bhaalo laagachhe. oi a`Nchaler phloraa, phanaar ekaTaa lisT antat: deoyaa uchi`t.
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ১২:১৫77131
  • পরিমল বাবুর লেখা ভালো লাগলো না। তথ্যের অভাব বড় বেশী। বরং শ্চএর উত্তর বেশ ভালো লাগছে। ঐ অঞ্চলের ফ্লোরা, ফনার একটা লিস্ট অন্ততঃ দেওয়া উচিৎ।
  • sch | 126.203.223.7 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ০৪:১২77145
  • তারপর এলাহি ব্যাপার স্যাপার - বিখ্যাত Ayers Saint Gross নামে একটি আর্কিটেক্ট এন্ড প্ল্যানিং সংস্থা করেছে মাস্টার প্ল্যান। বাল্টিমোর বেসড এই সংস্থাটি কলেজ ইউনিভার্সিটির মাস্টার প্ল্যান আর বিল্ডিং দিজাইন করার করার জন্যেই বিখ্যাত। john hopkins university, UCLA,, University of Virginia, - সব বিখ্যাত শিক্ষামন্দিরের ডিজাইন এদের করা। আমরা বুঝলাম অনিল বাবুর নজর আছে - একদম আসল লোক ধরে এনেছেন। বানিয়েওছে একটা জব্বর মাস্টার প্ল্যান - প্রায় ৩০০০ হেক্টারের মধ্যে ইউনিভার্সিটি ২০০- ৩০০ হেক্টার, বাকিটায় কি নেই টাউনশিপ, এয়ারপোর্ট, হস্পিটাল, গলফ কোর্স, মায় একটা আস্ত পাওয়ার প্ল্যান্ট অব্দি। আর হবে নাই বা কেন প্ল্যানের হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পুরোপূরি তৈরী হয়ে গেলে প্রায় ৫০০ MW বিদ্যুত লাগবে এই জায়গাটার জন্যে। (যারা ৩০ sq km, কতোটা ঠিক আন্দাজ করতে পারছেন না - তাদের একটা আন্দাজ দিতে পারি, সল্টলেকের পাঁচটা সেক্টারের যোগফল হল প্রায় ১৩ sq km)

    প্রথম থেকেই মাথায় ঘোরে আচ্ছা এত্ত স্টুডেন্ত আসবে কেন?? এই ধ্যাড়ধ্যাড়ে পুরীতে পড়তে। তো বেদান্তের হোমড়া চোমড়া সাহেবরা মুচকি হেসে বললেন আসবে আসবে - এ ইউনি হবে IIT, MIT, হার্ভার্ড সব্বার বাবা। আমরা কাজ কম্ম করি আর মনে মনে ভাবি, সত্যি এমন অনিল্বাবুর ক্ষমতা আছে - একেই বলে শিক্ষার অনিলায়ন। কিন্তু সমস্যা হল যখনই আমরা পুরী যাই - কিছুতেই সাইটে নিয়ে যান না বেদান্তের লোকজনেরা। ভারী মুশকিল - আসল জায়গা না দেখলে অনেক কাজে সমস্যা। বলেন হবে হবে - আপনারা আগে সব রেডী করুন তো দেখি - বলেই চিবিয়ে চিবিয়ে আমাদের কাজের খুঁত বলতে বসে যান।

    আমাদের কোম্পানির দু জন ছেলে পুরীতেই থাকে। জিগেস করলাম কি ব্যাপার বলো তো - সমস্যা কি। তারা চুপি চুপি বলল দাদা সব জমি পাই নি আর চাষীরা বেঁকে বসেছে - জমি দেবে না - গেলেই লাঠি নিয়ে ধাওয়া করছে

    আমিও একদিন হিসেব করে ঘাবড়ে গেলাম - বাব্বা - ইউনিভার্সিটি তো টোটাল জায়গার ১০% - বাকি তাহলে কি হবে?
    বেদান্ত বলল আহ বোঝো না কেন - এই যে ১ লাখ ছাত্তর তাদের মা বাবারা থাকবে - প্রফেসার আর সাপোর্ট স্টাফরা থাকবে।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ০৪:২৯77146
  • নুয়ানাই নদী অববাহিকা আমি চিনি, সেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে !!!
  • de | 190.149.51.67 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ০৯:১০77140
  • পরিমলবাবু ভালো লিখেছেন -- সেই সঙ্গে স্চ এই বেদান্ত নিয়ে একটা বুবুভা লিখুন না -- সব জানা যাবে
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১০:১৪77141
  • ইসে বাবু গেলেন কই - ডাটা দিলাম - কাউন্টার ও করলেন না - আলুমিনিয়াম ইম্পোর্ট করতে হবে সেই চিন্তায় অনশন করছেন না তো

    আসল কথাটা এখানে আছে

    "VAL told the state government that it had already invested Rs 5,000 crore for setting up the Lanjigarh refinery. Besides, a total Rs 50,000 crore had already been invested in the state compared to Rs 8,400 crore committed by the company."

    (http://www.downtoearth.org.in/content/niyamgiri-still-out-reach-vedanta-scouts-other-bauxite-sources)

    অতএব বক্সাইট চাই - যে করেই হোক চাই

    বেদান্তের গল্প তো খুব সিম্পিল - অনিল আগ্রওয়াল ছিলেন লোহার ছাঁটের ব্যবসাদার - স্ক্রাপ মেটেরিয়াল বেচতেন - তারপর কি ভাবে কারো সাথে অস্ট্রেলিয়াতে একটা তামার খনির অংশীদারী নেন - এবং সেখানে সোনা পাওয়া যায় - সেই সোনা বেয়াইনি পথে নিয়ে আসা হয়ে বাইরে আর শুরু হয় অনিল বাবুর উত্থান

    এটা পড়ে দেখেন
    http://articles.economictimes.indiatimes.com/2012-03-22/news/31225268_1_niyamgiri-anil-agarwal-priya

    এখন কি ভাবে ইমেজ বিলদিং-য়ে মন দিয়েছেন সাহেব
  • Ishe | 132.164.138.248 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১১:৫৪77142
  • এরকম ইমেজ বিলদিং?

    http://www.ndtv.com/girlchild/
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১২:০৬77143
  • তো ২০০৬ সালে অনিল বাবু ঠিক করে ফেললেন অনেক মাটি খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে এবার একটু শিক্ষা মোডে যাওয়া যাক। যেমন ভাবা তেমন কাজ তৈরী করে ফেললেন অনিল আগ্রওয়াল ফাঊন্দেশান ১ বিলিয়ান ডলার দিয়ে - ২০০৬ সালে মৌ সাক্ষরিত হল ওড়িষা সরকারের সাথে, পুরীতে তৈরী হবে বেদান্ত ইউনিভার্সিটি। যে সে ইউনিভার্সিটি না স্টানফোর্ড , হার্ভার্ডের ধাঁচে, ১ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী পড়বে তাতে। আর এর জন্য জমি লাগবে প্রায় ৩০০০ হেক্টর, মানে প্রায় ৩০ স্কোয়ার কিমি। কোথায় পাওয়া যাবে এত্ত জায়গা? পুরী কোনারক মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে। যারা তোশালি স্যান্ড রেসর্ট গেছেন, তারা হয়তো জায়গাটা চিনতে পারবেন - নুয়ানাই বলে একটা নদীর মোহানা ওর কাছেই। আর জমি????
    গোটা জমিটাই নুয়ানাইয়ের অববাহিকা - যেদিকে তাকাবেন শুধু সবুজের সমারোহ - প্রথম বার সাইট দেখে আমার মুখ দিয়ে একটাই কথা বেরিয়েছিল - এই জমিতে করবে ইউনিভার্শিটি - কেন??? আর জমি ছিল না?
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৩ ১২:০৯77144
  • আরে ishe যে - আলুমিনিয়াম ইম্পোর্ট করবেন না - ও দাদা - হিসেবটা দিয়ে যান - ভারত কত ডলার এই ইম্পোর্টে খরচ করবেন
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০১:৫৯77149
  • আজ সকালে অফিসে আসতে আসতে ভাবছিলাম যে বেদান্তের গপ্পটা শোনাচ্ছি কেন ? আমার বেদান্তের ওপর কোনো ব্যক্তিগত রাগ নেই। বেআইনি কাজ প্রতিটি মাইনিং কোম্পানিই করে - বেদান্ত তার ব্যতিক্রম না। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হলো ধাপ্পাবাজী বা ভন্ডামির। যে লোকটা বলে আমি রিয়েল এস্টেটের বিজনেস করব বলে জমি নিচ্ছি তাকে কিছু বলার নেই - সে এই ব্যবসাটা করতে চাইছে আর দশটা ব্যবসার মতো - কারণ সে ভালো ভাবে বাঁচতে চায়। কিন্তু বেদান্তদের অনেক মুখোস - সে মুখে শিক্ষাব্রতী, কিন্তু সত্যিই কি তাই? তাহলে ২০০ হেক্টারের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে তার ১২ গুণ জমি চাই কেন? এই মুখোস সরিয়ে আসল গল্পটাকে দেখানোর চেষ্টা করছি আর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি এটা কি সত্যি একটা সিঙ্গুরের মতো ঘটনা ? আমরা কি সত্যিই উন্নয়ন চাই না? ওই "ইসে" যেমন বলেছেন সেরকম "এসিতে বসে পিসি" বাজাই?

    আমার প্রথম প্রশ্ন মনে এসেছিল এত্ত জায়গা থাকতে পুরীতে কেন - পুরী খুব ভালো ভাবে কানেক্টেড না (মানে এয়ারপোর্ট নেই) ভুবনেশ্বর থেকে পুরীর রাস্তাও বিশাল ভালো না। তাছাড়া অনিল বাবু তো এই টাকাটা সরকারকে দিয়ে একটা আই আইটি গড়লেই পারতেন। কারণ শিক্ষা ক্ষেত্রে একটা নতুন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরী করা বেশ কঠিন। তাহলে এই কঠিন কাজে নামলেন কেন? উত্তরটা যতবার মিটিংয়ে গেছি বুঝতে চেষ্টা করেছি। বেদান্ত প্রজেক্ট শুরু হবার প্রায় দু বছর বাদে কিছু জ্ঞান আহরণ হল।

    ইতিমধ্যে প্রচুর তর্জন গর্জন শুনি (বেদান্তের কত্তা ব্যক্তিরা আবার অধিকাংশ আমেরিকা ফেরত এবং চোখা গালি দিতে তারা দক্ষ) - এই দেরী হয়ে যাচ্ছে - শিগগির সব শেষ করো - এই আমরা পরের মাসেই মাঠে নেমে পড়ব। কিন্তু পরের মাস আর আসে না। ইতি মধ্যে ওই বিশাল এলাকার কিছু অংশে বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার জন্যে টেন্দার করে, কন্ট্র্যাকটর কে কাজ দিয়ে, বসিয়ে রেখে দিয়েছে। কন্ট্রাক্টরের তা-বড় তা-বড় যন্ত্রপাতি বসে বসে কুঁড়ের বাদশা হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সব চুপ। একদিন এক বড়ো কত্তা ছিলেন গপ্বপের মুডে। বললেন দেখো ভাই এই প্রজেক্ট হবে কি না জানি না - কিন্তু যদ্দিন না লাঞ্জিগড়ের অনুমতি মিলছে তদ্দিন এটাকে ফোকাসে রাখতে হবে - ঊড়িষ্যায় আমাদের বিশাল স্টেক। সারা দেশের বক্সাইটের ৫০% খনি উড়িষ্যায় - ওটা আমাদের চাই ই চাই। একটু দুই আর দুইয়ে চার হল।
    এরই মধ্যে পড়লাম একটা লেখা, বেদান্তের সমর্থনে, যেখানে বোঝানো হয়েছে কি ভাবে এই ইউনিভার্সিটির খরচা চলবে

    "Moreover, one should not take the real estate aspect of Vedanta University lightly. With 6000 acres, there will be enough land left beyond the core university, to earn a handsome income, which can then be ploughed into Vedanta University's research programs."

    (source: http://vedantauniv.blogspot.in/) আসলে এই ৬০০০ একর কথাটা কিন্তু ঠিক নয়, নেওয়ার কথা ছিল প্রায় ৭০০০ একর (মানে ২৮৩৪ হেক্টার)

    এইবারে বুঝলাম বাকি জমি কি হবে - টাউনশিপ - মানে রিয়াল এস্টেট। তার জন্যে চাই এত জমি।

    এরই মধ্যে ২০০৯ সালে বেদান্ত ইউনিভার্সিটি বিল পাস হয়ে গেল উড়িষ্যা লোকসভায়। এই বিলে বেদান্তকে অটোনোমাস ইউনিভার্শিটির মর্যাদা দেওয়া হল। আর হঠাৎ করে ভেদান্ত ইউনিভার্সিটি নামটা বদলে আমাদের বলা হল সমস্ত ডকুমেন্টে Anil Agrawal Foundation (AAF) ব্যবহার করতে।

    যদি চান নিচের লিঙ্ক দুটো থেকে বেদান্তের গোটা জায়গা আর প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটির নক্সা পেয়ে যাবেন
    http://www.architizer.com/projects/vedanta-university-campus-master-plan/media/198112/
    http://www.jensenpartners.com/archives/Projects/vedanta-university
  • Ishe | 132.164.129.140 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০২:১৬77150
  • এই যে সমস্ত যায়্গায় আন্দোলন, অয়্লুমিনিয়াম দেবোনা, আয়রন ওর দেবোনা, এতে আর কেউ ইন্ভেস্ট করতে চাইবে? ড্লার বেরিয়ে যাচ্ছে আর টাকা তো হুহু করে নামছে, এখ্ন বলছে ড্লারে পচাত্তরের দিকে যাবে। এবার বুঝুন ঠ্যালা! আপনারা তো এসি, পিসি, চাকরি বাগিয়েই নিয়েছেন, আপনাদের আর কি!
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০৩:০৩77151
  • ' ইতিমধ্যে নতুন অরণ্য আইন (২০০৬) পাশ হয়েছে, সেখানে আরণ্যক আদিবাসী মানুষের বিশেষ অধিকার নির্দিষ্ট হয়েছে। ডোঙ্গরিয়া কোন্ডরা আবার সংবিধানে আদি জনজাতির তালিকায়, বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত। ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক নিয়মগিরির অরণ্য-পর্বতে বক্সাইট খননের অনুমোদন বাতিল করে দিলেন।

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা হল। সওয়াল-জবাব চলল। ১৮ এপ্রিল ২০১৩ সর্বোচ্চ আদালত রায় দিলেন, স্থানীয় মানুষের অনুমোদন ছাড়া পাহাড়ে হাত দেওয়া যাবে না। তিন বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, বক্সাইট সংগ্রহের প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ফলে স্থানীয় অরণ্যজীবী মানুষের ‘সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, কৌম এবং ব্যক্তিগত’ অধিকার কোনও ভাবে লঙ্ঘিত হতে পারে কি না, গ্রামসভা ডেকে তার বিচার করতে হবে। '

    - আজকের আবাপ থেকে।
  • siki | 135.16.95.11 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০৩:১৯77147
  • বেদান্তের পেছনে চিদাম্বরমের একটা বড় স্টেক আছে। একজনের কাছ থেকে শুনেছিলাম, দিল্লি ফিরে আবার শুনে লিখব। এখন পুরো গল্পটা মনে নেই।
  • SR | 69.93.210.79 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ১০:২০77148
  • ভাগ্যে কন্ধরা নিয়মগিরিকে তাদের দেবতা মান্য করেন। তাই হয়তো এবারের যাত্রায় বেঁচে গেল ওই আশ্চর্য বাস্তুতন্ত্র। কিন্তু যেসব বাস্তুতন্ত্রের ভাগ্যে তেমন আশীর্বাদ জোটেনি, 'উন্নয়ন'এর হাত থেকে তাদের বাঁচাবে কে? ২০ বছরে বক্সাইটের ভাণ্ডার শেষ করে, পাহাড় শেষ করে, জঙ্গল-জন্তু-ওষধি-উদ্ভিদ খতম করা যায়... কিন্তু মানুষ কি আর একটা বাস্তুতন্ত্রের জন্ম দিতে পারে? অত 'উন্নতি' করায়ত্ত হয়েছে কি তার?
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০১:৪১77160
  • sch, বেদান্ত নিয়ে আলাদাভাবে একটু বড় করে লিখুন না। টুকটাক কিছু এদের সম্পর্কে শুনেছিলাম। আরো জানতে চাই।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০১:৫৮77161
  • আমি ্যে টুকু জানতাম সেটুকু লিখে দিয়েছি তো 4Z.
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৩৫77153
  • ইসে বাবু আপনার কথা মতো তাহলে একটা কাজ করতে হয়। এই যে রেপ টেপ নিয়ে এতো হৈ চৈ সব বন্ধে করে দেওয়া যাক। কারণ এতে তো আখেরে প্রমাণিত হচ্ছে ভারতবর্ষ মেয়েদের পক্ষে খুব আনসেফ জায়গা, তাতে ফরেন ট্যুরিস্ট ফ্লো কমে যাচ্ছে।
    ডলার চাই বলে প্রকৃতিকে ধর্ষণ করে তারপর একটার পর একটা উত্তরাখন্ডের মতো ঘটনার সম্মুখীন হতে চাইছেন? ওখানেও তো একের পর এক হাইডেল পাওয়ার প্ল্যান্ট খুলে "উন্নতি" করা হচ্ছিল। দীঘা শঙ্করপুরেও তো সমুদ্র সৈকতে উন্নতির নামে একের পর এক হোটেল খুলে সেটার বারোটা বাজিয়ে ফেলেছেন। "সাস্টেইনেবল দেভেলপমেন্ট" বলে একটা শব্দ পৃথিবীতে আছে জানেন? সেই শব্দটার অর্থ নিয়ে একটু মাথা ঘামিয়ে দেখুন না।
    আর বেদান্তের জন্য ভাববেন না - তারা নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরা করতে শুদু করে দিয়েছে
    http://www.downtoearth.org.in/content/niyamgiri-still-out-reach-vedanta-scouts-other-bauxite-sources
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৫২77154
  • সচদার লেখা ভালো লাগছে।
  • শ্রী সদা | 127.194.196.85 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৪৪77162
  • sch দা র লেখা বেশ ভালো লাগলো।
  • Ishe | 132.164.145.22 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৪৭77155
  • "সাস্টেইনেবল দেভেলপমেন্ট" মানতে হলে পৃথিবির আদ্ধেক প্রোজেক্ট বন্ধো করে দিতে হয়! তখন এই যে বিরাট জনসংখ্যা, তাদের চাহিদা মেটাবেন কিভাবে?
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৭:১২77156
  • আর সাস্টেইনেবল দেভেলপমেন্ট শব্দটাকে অগ্রাহ্য করলে পৃথিবীর আদ্ধেক মানুষ যে মরে যাবে - তখন কাদের জন্যে প্রজেক্ট করবেন?
  • Ishe | 132.164.145.22 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:১৪77157
  • না, sch এক্দম ঠিক লিখেছেন, আমিই ভুল করছিলাম। নিয়্মগিরির পাহাড় থেকে ঐ ভাবে বক্সাইট তোলা একেবারেই ঠিক হয় নি, বেদান্তর প্রজেক্ট বন্ধ করে ঠিক কাজ করা হয়েছে।

    আসুন sch, এক কাপ করে চা খাই।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৩২77158
  • যাক গে বেদান্তের গল্পটা শেষ করে দি, লোকজনকে বোর করে লাভ নেই। কিছুদিন পরে জানতে পেরেছিলাম এই বেদান্ত ইউনিভার্সিটি থেকে নাম বদলে অনিল আগ্রওয়াল ফাউন্ডেশান (AAF) করার একটা উদ্দেশ্য ছিল। কারণ ভেদান্ত ইউনিভার্সিটি একটি "প্রাইভেট" সংস্থা ছিল যারা এত জমি অধিগ্রহণ করতে পারত না। অন্যদিকে AAF কে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে এটা নিয়ে পরে আদালতে বেশ ঝামেলা হয় এবং শুনি বেদান্ত AAF নাম নিয়ে যে ৪৫০০ একর জমি নিয়ে নিয়েছিল তা বেআইনি

    "The HC also ruled that Anil Agarwal Foundation was not a public limited company and hence any acquisition of land for it under Land Acquisition Act, 1894 was illegal. "The Foundation is a company under Section 25 of Companies Act and not a public limited company," the bench said, ordering that the land be returned to the original owners."

    source: http://www.indianexpress.com/news/land-acquisition-procedure-for-vedanta-unive/712043/

    অনিলবাবু পাকা দুগগিবাজ নন - তাহলে এইসব ফাঁক রাখতেন না।
    এই ঘটনা ২০১০ এর নভেম্বরের, আমরা মোটামুটি ২০০৯ এর মাঝামাঝিই বুঝে গেছিলাম প্রজেক্ট হচ্ছে না। আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেছিল। প্রচুর চাপ ছিল ২০০৯ এর মাঝা মাঝি সব কাজ শেষ করে দেওয়ার। ২০০৯ তে দু'বার সাইটে ঢোকার চেষ্টা করে বেদান্তের কন্ট্রাক্টররা - দুবারই বেঁটে লাঠি দিয়ে মেরে স্থানীয় কৃষকরা তাড়িয়ে দেয়। ধীরে ধীরে লোক সরিয়ে নিতে শুরু করে বেদান্ত। মাঝে একবার হসপিটাল (সমস্ত ক্যাম্পাসের অংশ ছিল)
    তৈরীটা এগিয়ে নিয়ে এসে প্রজেক্টটাকে আরো মানবতাবাদী রূপ দিতে চেষ্টা করেছিল - কিন্তু সেই জমিতেও ঢুকতে পারে নি।

    কোনো মমতা ব্যানার্জী লেভেলের রাজনৈতিক নেতা ছিল না - কেউ রেকর্ড ভাঙ্গা ২২ দিন অনশন করে নি - তাও বেদান্ত কোম্পানী সাইটে ঢুকতে পারল না। হ্যাঁ কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক দল, নেতা নিশ্চয় ঘোলা জলে মাছ ধরেছেন। কিন্তু তাতে সামগ্রিক ওড়িষার কোনো রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয় নি - ২০০৯ এর বিধানসভায় বিজেডি দিব্যি ক্ষমতায় এসেছে

    অদ্ভুত ব্যাপার, ৮০০০ একরের মধ্যে প্রায় ৪৫০০ একর জমি (ইউনিভারসিটির জন্যে ৭০০ একর মতো হলেই হয়ে যেত) পেয়ে গিয়েও প্রজেক্ট করতে পারল না বেদান্ত। প্রথমে হাই কোর্টের বে-আইনি ঘোষণা, তারপর সুপ্রীম কোর্টের ২০১১ র স্থগিতাদেশ, কফিনে পেরেক পুঁতে দিল

    "Admitting a bunch of cross-appeals, a bench of justices DK Jain and HL Dattu asked the state government to maintain status quo on the process to acquire the land."
    (Source: http://www.ndtv.com/article/india/supreme-court-orders-status-quo-in-vedanta-university-land-acquisition-case-82004)

    এর সাথে সাথে Ministry of Environment and Forest ও তাদের আগে দেওয়া conditional environmental clearance আটকে দিল coastal Regulation Zone Rule ভঙ্গের দায়ে
    (source: http://www.indianexpress.com/news/moef-cancels-vedanta-university-clearance/617401/)
    বেদান্তের যে ওয়েবসাইটে ( ইউনিভার্শিটির মিশান, ভিশানের সগর্ব ঘোষনা থাকত - তাও একদিন নেট দুনিয়ে থেকে হারিয়ে গেল।

    গল্প শেষ, অনিল বাবুর আর দিগদর্শী শিক্ষাব্রতী হওয়া হল না।

    আমার প্রশ্ন এবার অন্যখানে - নিজের অভিজ্ঞতা আর অন্যান্য যোগাড় করা তথ্য থেকে বারবার মনে হয় সত্যিই কি বিশ্বমানের ইউনিভার্সিটি করার উদ্দেশ্য ছিল ?

    ১) তাহলে প্রজেক্টের প্রাথমিক নির্বাচনের সময় অন্ধ্রে সহজে জমি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েও সেখানে গেল না কেন? উদ্দেশ্য কি তাহলে আসলে ছিল ওড়িষায় একটা বড়ো প্রজেক্ট করে ইমেজ তৈরী করতে চেয়েছিল যাতে নিয়মগিরির অনিয়মে কেউ মাথা না ঘামায়

    ২) এত জমি দরকার হচ্ছিলই বা কেন? অনেক কম জমিতেই তো ইউনিভার্সিটি তৈরী হয়ে যেত। তাহলে কি আসল উদ্দেশ্য ছিল রিয়েল এস্টেট বিজনেস করে ইউনিভার্সিটির পয়সা তুলে নেওয়া (একথা তারা ব্লগসাইটে স্বীকারও করেছে)।

    তাহলে এই প্রজেক্ট না হতে দিয়ে কোনো অন্যায় হয়েছে বলে তো মনে হয় না।
  • Ishe | 132.164.145.22 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৯:০৬77159
  • sch সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন। বেদান্তর এতো অনিয়্ম সত্যিই মানা যায় না।

    আমার আগের কিছু পোষ্টের জন্য খুব অনুশোচনা হচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন