এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রূপকথার নটেগাছ মুড়োয় না

    পরিমল ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ আগস্ট ২০১৩ | ৩৩৬০ বার পঠিত
  • পায়ে কাদা, জংলি চড়াই পথে জজসাহেব চলেছেন পাহাড়ের ওপর। তাঁর আগে পিছে চলেছে বন্দুকধারী কম্যান্ডোবাহিনী। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে, কাদায় পিছল পথ। সকলেরই পরনে রেনকোট, জজসাহেবেরও। তবু তাঁর মাথায় ছাতা ধরে আর্দালি, সাদা উর্দিতে লাল কোমরবন্ধ আঁটা। বর্ষায় সবুজ মরকতমণির মতো হয়ে আছে পাহাড় জঙ্গল। তার ভেতর দিয়ে টকটকে লাল কর্দমময় পথ; মাঝেমাঝেই ছোট ছোট নালা পার হতে হয়। পাহাড়ের ওপরের দিকে দু-দশ ঘরের ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন গ্রাম, মকাই মান্ডিয়ার খেত, কমলালেবু আনারসের বাগান। এমনই একটি গ্রামে চলেছেন জজসাহেব। গ্রামের নাম সিরকাপাদি - ৭ ঘর, ৩৯ মাথা। বেশ বড় গ্রাম বলা যায়।
    জজসাহেব হুজুর হাকিম, সদর শহরে বিরাট কাছারিবাড়িতে বসেন। উঁচু মঞ্চে যখন প্রবেশ করেন, উকিল সাক্ষী সব তড়াক করে দাঁড়িয়ে ওঠে, আসামীরা বিড়বিড় করে ইষ্টনাম জপে, পেয়াদা লাঠি ঠুকে হাঁকার দেয় - চোপ্, আদালত চলছে! হুজুর গম্ভীর মুখে বিচার করেন, কাঠের হাতুড়ি ঠুকে বলেন ‘অর্ডার! অর্ডার!’, ফতোয়া দেন, কলমের খোঁচায় দেন ফাঁসি কিম্বা কারাদন্ড। সিরকাপাদির মানুষেরা অবশ্য এসব কখনও দেখেনি। শহরই দেখেনি তারা, কেউ কেউ জীবনে কখনও এই পাহাড় ছেড়ে যায়নি কোথাও।  জজসাহেবও কোনোদিন এমন প্রত্যন্ত গ্রাম দেখেননি। পাহাড়ের নীচে লালবাতির গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলের পেছনে বসে খানিক দূর, তারপরে এই চড়াই জংলি পথে হাঁটা। এখানে অবশ্য তিনি কোনো ফতোয়া শোনাতে আসেননি; আসছেন ফতোয়া শুনতে। বিচারক চলেছেন বিচার শুনতে, পিছল জংলি পথে হেঁটে, পায়ে কাদা।
    পায়ে কাদা, রাষ্ট্র চলেছে দেশের কাছে।
    দেশ বলতে হাজার আটেক মানুষ। রাষ্ট্রের খাতায় তারা ডোঙ্গারিয়া কন্ধ, আদিম উপজাতি হিসাবে নথিভুক্ত। পৃথিবীতে কেবলমাত্র এই পাহাড়ের ওপরেই তারা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কিছু ডোম ও গৌড়া সম্প্রদায়ের তফশিলভুক্ত মানুষ। পাহাড়টির নাম নিয়মগিরি, পূর্বঘাট পর্বতমালার অংশ। ওড়িশার কলাহান্ডি আর রায়গাড়ার মতো দুই উষর খরাপ্রবণ জেলার মাঝে বিছিয়ে আছে চিরসবুজ রূপকথার মতো। এই পাহাড়ের মাথা থেকে অসংখ্য ঝর্ণা, দু-দুটি নদী। সেই জলে পুষ্ট হয়ে হাজার হাজার বছর ধরে তৈরি হয়েছে এক আশ্চর্য জীববৈচিত্র্য - অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির গাছপালা লতা ছত্রাক অর্কিড পশুপাখি সরীসৃপ কীটপতঙ্গে বোঝাই নোয়ার জাহাজ। মানুষগুলো এই জীববৈচিত্র্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানকার ফল কন্দ ভেষজ গাছগাছড়া আর ফসল ফলিয়ে জীবনধারণ করে, পাহাড় ও তার প্রকৃতিকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করে। দেবতার নাম নিয়মরাজা।
    বছরভর পাহাড়ে জলধারণ করে রাখে যে উর্বর মাটি, তার আকর বক্সাইট, যা থেকে অ্যালুমিনিয়াম হয়। এই বক্সাইটের লোভে একদিন নিয়মগিরিতে এল বহুজাতিক খনি কোম্পানি বেদান্ত। এর পরের কাহিনি অনেকেরই জানা। ওড়িশা সরকারের মদতপুষ্ট বেদান্তর বিরুদ্ধে শুরু হল নিয়মগিরির মানুষের প্রতিরোধ আন্দোলন। বলা যেতে পারে, রাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের প্রক্সি লড়াই।
    এমন আগেও হয়েছে। এই লড়াইয়ের পরিণতি কী হয় সবারই জানা। আর সেটা জেনেই নিয়মগিরিতে বক্সাইট খাদানের জন্য পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র পাবার আগেই পাহাড়ের নীচে লাঞ্জিগড়ে অতিকায় রিফাইনারি ফেঁদে বসল বেদান্ত কোম্পানি। পাহাড়ের গা বেয়ে তুলে দিল কনভেয়ার বেল্টের খাঁচা; পাহাড়ের মাথা খামচে তোলা বক্সাইট গড়গড়িয়ে নেমে সোজা ঢুকে যাবে রিফাইনারির পেটে।
    বেদান্তর অনেক টাকা। টাকা দিয়ে রাষ্ট্রের মাথা কেনা যায়, মিডিয়ার মুখ ঢেকে ফেলা যায় বিজ্ঞাপনে। আর গুটিকয় জংলি আনপড় উলুরিঝুলুরি মানুষকে বাগে আনা যাবে না?
    কিন্তু হিসেবে একটা ভুল ছিল। নিয়মগিরির মাথায় বক্সাইটের খাদান হলে শুধু যে সেখানকার অনন্যোপম জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে তাই নয়, আস্ত একটি উপজাতি মুছে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে। রাষ্ট্রের খাতায় প্রিমিটিভ ট্রাইবাল গ্রুপ, ডোঙ্গারিয়া কন্ধদের আশ্চর্য সুন্দর জীবনধারা, তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে নাচ গান শিল্প কৃষিশৈলির নকশিকাঁথা শত শত বছর ধরে হয়েছে এই পাহাড়ের জাজিমে। নিয়মগিরির সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা জলের সাথে মাছের মতোই।
    নিশ্চিত ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে মানুষ যখন চিৎকার করে ওঠে, যখন সেই চিৎকারে শামিল হয় আরো কিছু মানুষ, তখন তা কখনও, কোনও এক ব্যতিক্রমী মুহূর্তে, বধির রাষ্ট্রের কানেও যে গিয়ে পৌঁছতে পারে সেটা দেখা গেল। নিয়মগিরির মাথায় বক্সাইট খাদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। প্রত্যাশামতেই বেদান্ত আদালতে গেল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত যা রায় দিল তা অপ্রত্যাশিত এবং অভূতপূর্ব, আক্ষরিক অর্থেই। নিয়মগিরির সঙ্গে সেখানকার অধিবাসীদের ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িত, সুপ্রিম কোর্ট জানাল, তাই খনিটা হবে কী না সেটা ঠিক করবে ওখানকার গ্রামের মানুষ। প্রতিটি গ্রামে গ্রামসভার আয়োজন করবে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর, পরিদর্শক হিসেবে উপস্থিত থাকবে একজন জেলা স্তরের বিচারপতি।
    সেই গ্রামসভায় মানুষের বিচার শুনতেই চলেছেন জজসাহেব, বৃষ্টিভেজা পাহাড়ি পথে চড়াই ভেঙে, পায়ে কাদা। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন দৃশ্য এর আগে কে কবে দেখেছে?
    বেদান্তর নুন খেয়ে ওড়িশা সরকার চেষ্টার ত্রুটি করেনি। নিয়মগিরির ওপর একশোটিরও বেশি গ্রাম, কিন্তু গ্রামসভা হচ্ছে মাত্র বারোটি গ্রামে। তবু অনেকদিন ধরে নানারকম চোখরাঙানি শাসানি আর প্রলোভন সত্ত্বেও প্রতিটি গ্রামেই মানুষ সমস্বরে বলেছে - না! খনি চাই না! খনি হলে নিয়মগিরি বাঁচবে না। নিয়মগিরি ছাড়া আমরাও বাঁচব না।
    - তোমাদের মন্দির ইটবালি দিয়ে তৈরি, আমাদের মন্দির গাছ লতাপাতা পাথর ঝরণা জন্তু দিয়ে, বলেছে সিরকাপাদি গ্রামের ওঝানি। নিয়মগিরি আমাদের মন্দির।
    সিরকাপাদি, কেসরপাদি, তাদিঝোলা, ফুলডুমের, কুনাকাদু, বাটুদি, পালবেরি, ইজুরপা .... এখনও পর্যন্ত নটি গ্রামসভার মানুষ তাদের বিচার জানিয়েছে।
    - খনি বানিয়ে আমাদের নিয়মগিরি থেকে সরাবে সরকার কোম্পানি, ইটের খুপরিতে রাখবে, কিন্তু এই জঙ্গলের চিতা ভালুক হরিণ পাখিদের রাখবে কোথায়? বলেছে ইজুরপা গ্রামের সত্তরোর্ধ লাবণ্য কাটা। লাবণ্য ডোম সম্প্রদায়ের।
    - আদিবাসী পাইক গৌড়া হরিজন ব্রাহ্মণ, নিয়মগিরি কোনও তফাৎ করে  না। সকলেই ঝরণার জল পান করে, গরু চরায় ঘাসজমিতে। বলেছে পালবেরি গ্রামের গাতা মাঝি।
    আমরা রেড ইন্ডিয়ান কুলপতি চিফ সিয়্যাটলের সেই বিখ্যাত ভাষণ পড়েছি ইতিহাস বইয়ের পাতায়। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে এক আগ্রাসী রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলেছিল এক মহাদেশ। আর বিগত দু সপ্তাহ ধরে এক প্রতিস্পর্ধী ইতিহাস লেখা হয়ে চলেছে এই দেশেরই বুকের মাঝে অন্য এক দেশে।
    নিয়মগিরি সুরক্ষা আন্দোলনের লড়াকু বন্ধুদের মারফৎ এই ইজুরপা সেরকাপাদি ফুলডুমেরের আধোচেনা অচেনা মানুষের কথাগুলো শুনতে শুনতে এক বাঙালির মনে পড়ে যায় কুমুটি মাঝির কথা। নিয়মগিরির চিরসবুজ রূপকথার টানে বছর তিনেক আগে গিয়ে পড়েছিল সে। পাহাড়ের মাথায় খাদানের জন্য চিহ্নিত পবিত্র বনভূমিতে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আন্দোলনের পুরোধা বর্ষীয়ান কুমুটি মাঝি। টেস্টিং সাইটের গর্ত থেকে লাল মাটি দু হাতে তুলে নিয়ে বলেছিলেন:
    - নিয়মগিরি আমাদের দেবতা। এই মাটি তার মাংস। দেখ, নিয়মরাজার রক্তে লাল হয়ে আছে।
    শীতের বিকেল। নিয়মগিরির মাথায় ঘাসজমি, লতাগুল্মের ঝোপ, জলা। ধারের দিকে আমলকি অর্জুন পিয়াশালের বন থেকে রোদ সরে এসেছিল, মাটির ভেষজ ভাপ উঠছিল। টি টি  করে ডাকতে ডাকতে বনটিয়ার ঝাঁক উড়ে গিয়েছিল মাথার ওপর দিয়ে। সামান্য থেমে কুমুটি মাঝি ফের বলেছিলেন:
    -দুনিয়ার সেরা ইঞ্জিনিয়ারেরা বসে এমন একটা জায়গা বানিয়ে দিতে পারবে? এখানে যে জড়িবুটি হয়, তাই খেয়ে আমাদের বাপদাদা পরদাদারা বেঁচেছে, আমরা বাঁচছি, আমাদের ছেলেপুলে নাতিপুতি বাঁচবে। কিন্তুই খাদান হলে? যা বক্সাইট আছে সেটা তুলে ফেলতে নাকি পঁচিশ বছর লাগবে। তারপরে কী হবে? পঁচিশ বছরের জন্য কশো বছর বন্ধক রাখব আমি?
    কুমুটি মাঝির গলায় ছিল অনাগত প্রজন্মের ভার। অস্ত সূর্যের আলো এসে পড়েছিল তাঁর মুখে। পায়ের কাছে গর্তগুলো চেয়েছিল অক্ষিবিহীন কোটরের মতো। বনে কোথাও একটা কাঠঠোকরা ঠক ঠক করে শব্দ করছিল।
    আপাতত ভবিষ্যৎ বন্ধক রাখতে হবে না কুমুটি মাঝিদের। তবে, "তারপর তারা সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিল" - রূপকথার এই শেষ লাইন লেখার সময় আসেনি এখনও। নিয়মগিরি পাহাড়ের নীচে লাঞ্জিগড়ে রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার রিফাইনারি, তার জঠরে খিদে, পাহাড়ের গা বেয়ে কনভেয়ার বেল্ট করিডোর পড়ে আছে অজগরের মতো। ইতিমধ্যে রব উঠেছে:
    খনি নাহি তো ফ্যাক্টরি নাহি, বেদান্ত কোম্পানি রহিবা কাঁহি!
    গল্প এখনও ফুরোয়নি।
     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৬ আগস্ট ২০১৩ | ৩৩৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.96.176.19 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৩ ১১:৩৮77103
  • বাঃ এখনও পর্যন্ত গল্পটা ভাল। কিন্তু খুব ভরসা করতে পারছি না।
  • rani | 230.225.11.171 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৩৩77104
  • অদ্ভুত লাগলো ! শিউরে উঠলাম । মনে হয় এই গল্পের পরিণতির দিকেই তাকিয়ে আছে আমাদের ভবিষ্যত !
    এর কথা সবার সাথে শেয়ার করা উচিত । ধন্যবাদ পরিমলবাবু ।
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৩২77106
  • নিয়মগিরি কেমন, দেখতে ইচ্ছে করে। রূপকথারা বেঁচে থাকুক, তৈরী হোক আরও নতুন রূপকথা।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৪২77105
  • তারপর? শুধু লাঞ্জিগড়? ঝাড়সুগুদার কথা বললেন না? ঝাড়শুগুদাতেও তো ভেদান্তের এক্সপানসান প্ল্যান ছিল? কি হল সেটার? যদ্দুর জানি সেখানেও পিছু হটেছে
  • debu | 82.130.151.116 (*) | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ০৪:৩৮77107
  • পরিমল বাবু, আপনি কোম্পুটার ইউজ না করে গরুর গাড়ি যুগে চলে যান। সোনা,তামা,এলুমিনিআম,লোহা আর কি দরকার? পরিবেশ বাচাঁন , রাজনিতি তে যোগ দিন। আপনার objective কি সমস্তো আকোরিক তোলা বন্ধো করে পরিবেশ বাচাঁনো?
  • I | 111.210.242.84 (*) | ০৮ আগস্ট ২০১৩ ০৫:০৮77108
  • পরিমলদা, আরো লিখুন !
  • কালপুরুষ | 59.136.254.14 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৩ ০৪:৩০77109
  • পরিমলবাবু,আরো লিখুন।ইকোলজিক্যাল ইম্প্যাক্ট জিনিস টা কি সেটা যারা বোঝেনা,তাদের কথায় কান না দিলেও চলবে।
  • sch | 126.203.180.219 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০৪:১৮77110
  • অপেক্ষায় আছি পরিমলবাবু - প্রকৃতির পরিশোধ জিনিসটা কি ভয়ানক তার একটা উদাহরণ তো এবার উত্তরাখন্ড দেখেইছে - যারা সভ্যতার অগ্রগতির নামে ওই আজম খানের স্টাইলে স্যান্ড মাফিয়াদের সমর্থন করে বা বুলে বালি তো প্রকৃতির জিনিস - যে পারে লুঠে নিক - তাদের আপনি অশিক্ষিত বলে অগ্রাহ্য করে ফেলতে পারেন - এগিয়ে চলুন
  • debu | 82.130.151.116 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৩ ০৮:২৫77111
  • nature কে লুট এর সাপোর্টার আমি নই,ecological balance রেখেই সব কাজ করা উচিত কিন্তু there is a trade off ,u must accept it ! এই যে গাড়ি তে চেপে office যাচ্চেন ,তোখোন কি আপনার eco impact হোচ্ছেনা?half knowledge নিয়ে তর্কে আসবেননা।
    সল্লু মিয়া alis Salman and Saif Ali Khan এর killing rare deer or hunting case নিয়ে কোনো NGO কে দেখেছেন চেঁচাতে?
    দুর্গা- বালি case is completely political matter or political fund বলতে পারেন
  • কালপুরুষ | 111.218.113.134 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৩ ০২:১৫77112
  • "half knowledge নিয়ে তর্কে আসবেননা"

    উপদেশের জন্য ধন্যবাদ।কিন্তু,হাফ নলেজটা কার,সেটা বোঝা গেল না।
  • তাতিন | 132.252.251.244 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৩ ০২:৪৮77116
  • দেবু is sweet
  • sch | 126.203.192.176 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৩ ০৩:০২77113
  • একটা লোকের একটা হরিণ মারা আর যমুনার চর থেকে টন টন বালি চালান করা দুটো এক জিনিস ? NGO রা কি বলল না বলল তাতে ছেঁড়া গেল - দেশে কিছু আইন আছে - সেটাতে কি বলছে জানেন নিশ্চয়ই - না জানলে চটপট পড়ে ফেলুন - তারপর ডাটা নিয়ে তক্ক করতে আসুন - ফাঁকা বুলি আওড়াবেন না
    http://www.tehelka.com/when-the-hourglass-is-empty/

    মিনিস্ত্রি অফ এনভায়রন্মেন্ট আন্ড ফরেস্টের নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছেন (তারা কিন্তু NGO নন), illegal sand mining সম্বন্ধে তাদের রিপোর্ট কি বলেছে জানেন ?

    ""In view of the observations of commitee... it is evident that rampant, unscientific and illegal mining has been going at various locations in Gautam Budh Nagar district along Yamuna. This is in violation of the environmental regulations, the Mines and Minerals (Development and Regulation) Act, 1957, and the directions given by the Supreme Court, High Court of Allahabad and NGT, New Delhi,"
    source: http://www.indianexpress.com/news/moef-panel-illegal-sand-mining-rife-along-yamuna/1153894/

    আসল রিপোর্ট-টা পড়ে ফেলুন চাইলে
    http://envfor.nic.in/content/report-moef-sand-mining

    কি বলছে জানেন রিপোর্টে? "As per the directions given by the Hon’ble Supreme Court on 27th
    February, 2012 all State Governments need to frame Minor Mineral
    Concession Rules within a period of six months and submit their
    compliance report"

    সুপ্রীম কোর্টের এই রুলিং কিন্ত দুর্গা শক্তি টক্তির অনেক আগে -

    আর গাড়ী চড়ার মতো প্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে যে অকারণ বাওয়ালি করতে নেই - সেটা মাথায় রেখেই MOEF এই রুলিং টা দিয়েছে
    MoEF exempts brick earth mining from green clearance
    (http://ismenvis.nic.in/ViewGeneralLatestNews.aspx?Id=3059&Year=2013)

    সব বিষয় নিয়ে তো কথা বলার দরকার নেই - না জানলে চেপে যান না - কেউ কিচ্ছু মনে করবে না
  • debu | 82.130.151.116 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৩৭77114
  • হা! দেশে র আইন ! হাসালেন মাইরি !সকাল বেলা কাগজ পরে বাওঅল কর্তে আসেন ।। জমাটি আড্ডা !
    BTW তহেলকার তরুন কে চেনেন ? ওর সঙ্গে ২-৩ দিন থাকুন ,দেশের কথা ওনেক জান্তে পার্বেন!
    এক টা কথার জবাব দিন " (মহান )দেশ টা কি স্বাধিন ?
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৩ ০৬:১১77115
  • ministry of Environment and Forest এর যে লিঙ্ক গুলো দিয়েছি ওগুলো খবরের কাগজ না - কোনটা খবরের কাগজ আর কোনটা টেকনিক্যাল রিপোর্ট এটা বুঝতে না পারলে সিরিয়াস প্রব্লেম।

    আমি কার সাথে থাকবো না থাকবো সেটা আমিই ঠিক করি। দেশ মহান কি না, সেটা স্বাধীন কি না - সে নিয়ে কিছু বলিও নি, ও সব ভাট বকার কোনো ইচ্ছেও নেই - আপনি একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন
    "দুর্গা- বালি case is completely political matter or political fund বলতে পারেন" আর পরিমলবাবুকে বলেছেন
    "পরিবেশ বাচাঁন , রাজনিতি তে যোগ দিন। আপনার objective কি সমস্তো আকোরিক তোলা বন্ধো করে পরিবেশ বাচাঁনো?"

    সেই নিয়ে কথাগুলো বলা। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে যে আইন, নিয়ম রয়েছে সেগুলো জেনে বুঝে মন্তব্য করুন। অন্যকে উপদেশ না দিয়ে নিজের নলেজ বেস বাড়ান, বেটার তক্ক করতে পারবেন।
  • debu | 82.130.151.116 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৩ ০৭:৩০77117
  • ভার্জিন planet এ চলে যান
    https://apply.mars-one.com/
    $৩৮ application fee
  • অ: | 233.223.155.189 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৩ ০৫:২৯77118
  • পরিবেশ-প্রকৃতি বাঁচানোর তাগিদটা নিছক নিজেদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই। আমাদের পরিবেশ ভাবনার মূলে গুণীজন অন্যতরো, মহত্তর কিছু খুঁজলে হয়তো হতাশই হবেন। বিতর্কটা আলাদা করে নিয়মগিরি বনাম বেদান্ত নয়...'আরো ভালো থাকা'র লোভকে সাথী করে গোটা মানবজাতি আজ পরিবেশ-প্রকৃতির সাথে antagonistic contradiction এ জড়িয়ে পড়েছে। আর ক'লক্ষ বছর এই প্রজাতিটি ধরাধামে টিঁকবে তা সময়ই বলবে,.... এবং, কিভাবে!!
  • sch | 126.203.164.218 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৩ ০২:১১77119
  • "Eleven out of 12 villages in Odisha have rejected mining of bauxite, used to make aluminium, in Niyamgiri by Vedanta. But despite the no from the villagers, speaking exclusively to NDTV's Anchal Vohra, the ruling Biju Janata Dal's Pinaki Misra says the government of Odisha is determined to provide Vedanta bauxite, if not from Niyamgiri then from an alternative site."

    গল্পের শেষ কি আছে জানি না তবে কারো চিন্তার কারণ নেই Sইল্প হচ্ছেই
    http://www.ndtv.com/video/player/news/odisha-govt-keen-on-vedanta-project-bjd-s-pinaki-misra-tells-ndtv/287085?pfrom=home-lateststories
  • ishe | 132.164.228.134 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৩ ০২:৩১77120
  • মজার ব্যাপারটা কি জানেন? বেদান্ত মাইনিং রাইট কিনেছে ওডিশা সরকারের থেকে। মাইনিং হবে পাহাড়ের ওপর। ওখানে কোন আদিবাসী গ্রামই নেই। না ঐ জমি আদিবাসীদের, না ওর তার ধারে কাছে থাকে। ওরা থাকে পাহাড়ের ঢালে। রিফাইনারীটা নিচে।
    ভারতীয় আইন অনুযায়ী মাটির নীচের মিনারেলের রাইট সরকারের। ঐ জায়গার মাটির ওপরেও ঐ আদিবাসীরা থাকেনা। তবু ভারতের যুবরাজ আরজি এগিয়ে এসে বিবৃতি দিলেন। জয়রাম রমেশ এনভারনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স দিলেননা। হাইকমান্ডের নির্দেশে লোকাল কংগ্রেস নেতারা আদিবাসীদের তাতালেন। বেদান্তের র মেটেরিয়াল কস্ট ২০০% বেড়ে গেল। রিফাইনারী বন্ধ হল। লাভটা কার হল? আদিবাসীদের অবস্থা সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের মত হল।
    আসলে আদিবাসীদের নামটা জড়িয়ে দিলে পাবলিক খুব খায়। এখানেও তাই। রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে....। একটু খোঁজ নিন আদিবাসীদের নাম শুনেই হায় হায় করে উঠবেননা। ওরা বরাবর exploited, আজও। না দেশ পেলো সস্তার অয়্লুমিনিয়াম। না আদিবাসীরা পেল কিছু। প্রজেক্ট আটকে দিয়ে সবাই ফিরে চলে গেল নিজেদের সহরে, ক্লাবে হুইস্কী খেতে।
  • sch | 126.203.216.145 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৩ ০১:৩৫77122
  • ইসে ওই যে শোকার্ত হয়ে পড়ছিলেন - "না দেশ পেলো সস্তার অয়্লুমিনিয়াম" - একটু সত্যি গল্পটা জেনে নিন

    ...."........Thus the entire reserve on the site, estimated to be 72 million tonnes, would last just about four years.
    The same is also indicated by a presentation by Vedanta titled ‘Empowering Community for a Better Tomorrow’ indicating that the company expects to get a total of 1014 million tonnes of bauxite ore from deposits in Lanjigarh, Karlapat, Sijimali, Kutrumali, Saasbahumali, Majingamali, Krishunmali, Hatimali and Gandhamardan. Given the extent of these sources, the 72 million tonnes available at the PML site is insignificant since it amounts to a mere 7 per cent of the total 1014 mtpa."

    মাত্র ৭% আকরিক পেলো না বলেই দেশের এত্ত ক্ষতি হয়ে গেল ?

    আরো জানেন কি?

    "Also, in their submissions to the MoEF while applying for environmental clearance in 2003, Vedanta Aluminium Limited had stated that the Lanjigarh mining project was not integral to the aluminium refinery project and that there were no linkages between the two. Later in its submissions to the Central Empowered Committee (CEC), the company further claimed that, in case mineral from Lanjigarh mines were not available, they would obtain bauxite from other sources"

    (Ref: http://envfor.nic.in/sites/default/files/Saxena_Vedanta-1.pdf, page 87)

    Vedanta তো নিজেই বলছে না পেলেও ক্ষতি নেই - তাহলে এত্ত হাহুতাশ কেন? নাকি এই ডিক্লারেশানটা জালি -

    ভেদান্ত সম্বন্ধে আরো অনেক কিছু জানানোর ইচ্ছে রইলো - আগে পরিমলবাবু লেখাটা শেষ করুন
  • sch | 126.203.172.11 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৪০77121
  • ইসে আরো মজার ব্যাপারটা কি জানেন? আপনার এই জ্ঞান বিতরণের অনেক আগেই এই কথাটা মিনিস্ট্রি অফ এনভায়রন্মেন্ট আন্ড ফরেস্টের একটা রিপোর্ট বলে গেছে।

    ২০১০ সালের ১৬ ই আগস্ট, এই রিপোর্টটিতে "REPORT OF THE FOUR MEMBER COMMITTEE FOR INVESTIGATION INTO THE PROPOSAL SUBMITTED BY THE ORISSA MINING COMPANY FOR BAUXITE MINING IN NIYAMGIRI" (http://envfor.nic.in/sites/default/files/Saxena_Vedanta-1.pdf) কি বলা হয় জানেন

    "The proposed mining lease (PML) area, which lies on the upper reaches of the
    Niyamgiri hills, is surrounded by dense forests and is the habitat for diverse species of
    plant and animal life." (Refer Executive summary)

    খুশী? আপনার কথার প্রতিধ্বনি?

    কিন্তু এর পরেই কি বলা হচ্ছে দেখুনঃ

    "Some 20 species of orchids are found in and around the PML. The members of the
    Dongaria Kondh tribe use these plants as medicines to treat different ailments like
    scorpion and snake bites, stomach disorders, arthritis, tuberculosis, paralysis, cholera,
    acidity, eczema, tumours, menstrual disorders, wounds and sores, diarrhoea,
    dysentery, bone fractures, rheumatism, asthma, malaria, etc"

    "The proposed mining lease (PML) area is used by both Dongaria and Kutia
    Kondh and is part of their Community Reserved Forests as well as their habitat, since
    they depend on it for their livelihoods as well as socio-cultural practices"

    ইচ্ছে থাকলে পুরো রিপোর্টটাই পড়তে পারেন। কোথাও মন গড়া তথ্য থাকলে এখুনি আদালতে মামলা করুন

    এই রিপোর্ট কিন্তু কোনো রাহুল গান্ধী বা তার বাপ বানায় নি। যাঁরা বানিয়েছেন তাদের যোগ্যতা আছে এই বিষয়ে কথা বলার। যেকোনো বিষয়ে পলিটিক্স জড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেন কেন ? খুব নোংরা খেলা এটা। পৃথিবীতে environmental impact assessment, social impact assessment - জাতীয় জিনিসগুলো এসেছে এই ধরণের এক্সপ্লয়টেশান বন্ধ করার জন্যে। ভেদান্তের ধান্দাবাজী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে - সেটা ভালো কাজ। এর মধ্যে পলিটিক্সকে যারা ঢোকাচ্ছে উত্তরাখন্ডের মতো ঘটনায় তাদের ইসেটা মারা গেলে ভারী ভালো লাগবে
  • anirban | 34.5.197.153 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৩৬77123
  • অনেক ধন্যবাদ পরিমলবাবুকে। আপনি আরো লিখুন। আর Sch, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ - খুব ভালো বলেছেন।
  • sch | 126.203.210.73 (*) | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:২৫77124
  • লেখক কবে রূপকথা শেষ করবেন জানি না - কিন্তু যাঁদের নিয়ে রূপকথা তারা শেষ করে দিলেন

    Vedanta's 50,000-crore project in Odisha rejected by all 12 villages
    (http://www.ndtv.com/article/india/vedanta-s-50-000-crore-project-in-odisha-rejected-by-all-12-villages-407788?pfrom=home-lateststories)

    বড্ডো ভালো লাগছে আজও রূপকথা লেখা হয় এই ভেবে - আমরাই তো চিরকাল এইসব আদিবাসীমানুষদের হয়ে ভেবে দি - এবার অন্ততঃ নিজেদের হয়ে ওনারা ভেবেছেন

    রাহুল গান্ধী এফেক্ট? আমার মনে হয় না খোদ ওই ভদ্রলোকের নিজেরও এতটা আত্ম বিশ্বাস আছে যে উনি হাজার পাঁচেক লোকের চিন্তাকে প্রভাবিত করতে পারেন
  • অবতার | 208.7.62.204 (*) | ২০ আগস্ট ২০১৩ ০২:৫৩77125
  • আজ সকালে এই খবরটা পড়ে বড়ো ভালো লাগলো। আর sch যে লিংকটি দিয়েছেন তার দ্বিতীয় কমেন্টটিও ভারী সুন্দর! শেষ অবধি যদি লোভের দানব ঐ আদিবাসী পরিবারগুলির কাছে হার মানে, তো অবতার এর মতই এক গল্প তৈরি হবে।
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.63 (*) | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৭:৪১77126
  • এপারেও আদিবাসী নিধনের চিত্রটি প্রায় একই। কখনো উন্নয়নের নামে, কখনো পর্যটনের বা বনায়নের নামে পাহাড়, জঙ্গল, জমি, জলা-- প্রকৃতির সন্তান আদিবাসীদের কাছে যে সামান্য সম্পদটুকু আছে, তা কেড়ে নেওয়া। প্রান্তিক-মানুষের [পডুন, অসভ্য, জংলি, বর্বর] কথা কে আর ভাবে বলুন!

    আগেও বলেছি, আবারো বলি, দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে আমার বরাবরই মনে হয়েছে, পাহাড় বা সমতলে সব শোষণের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিরোধ যুদ্ধ ছাড়া আদিবাসীর সম্মুখে সমূহ বিপদ। সিধুঁ-কানহু, বীরসা মুন্ডা, এমএন লারমা, কল্পনা চাকমা, আলফ্রেড সরেন, পিরেন স্নাল, চলেশ রিছিল প্রমুখ’র সংগ্রামী পথটি বেছে নেওয়া ছাড়া আদিবাসীর মুক্তির পথই বা আর কি?

    তবে এ লড়াইটি এখন আর আদিবাসীর একক লড়াই নয়। পরিমল ভট্টাচার্ ‘র মতো শুভবুদ্ধির অ-আদিবাসী মানুষেরাও ক্ষুদ্র জাতির মৌলিক মানবিক অধিকার আদায়, তথা অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে শামিল হয়েছেন, এটি খুবই আশার কথা।

    লেখকের জাদুকরি কলমটি অক্ষয় হোক। চলুক।
  • Tapas | 127.211.86.108 (*) | ২২ আগস্ট ২০১৩ ০৭:৪২77127
  • এ এক কল্পলোকের গল্প শুনছি, মাঝে মাঝে বিশ্বাস হচ্ছেনা নিজের বেঁচে থাকার এই সময়ের এই সাহসিক যাত্রাকে!!! আমি যে এমন একটা লড়াই এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া সময় স্রোতেই আছি তা ভেবে গর্বিত বোধ করছি।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০১:০২77132
  • ব্ল্যাঙ্কি আমি যে রিপোর্ট টা রেফের করেছি (http://envfor.nic.in/sites/default/files/Saxena_Vedanta-1.pdf), তার ১৬ পাতায় কমপ্লিট ফ্লোরা আর ১৭ পাতায় কমপ্লিট ফনার লিস্ট আছে। দেখে নেবেন - এখানে কপি পেস্ট করলাম না

    @ishe
    Indian aluminium industry সম্বন্ধে কারেন্ট রিপোর্ট কি বলছে জানেন ?????

    "The aluminium industry in India may be moving towards overcapacity, since supply is likely to grow in excess of demand going forward. Considering that all aluminium projects would begin commercial production with expanded capacity as planned, there could be at least two million tonnes of additional capacity for exports by 2013."

    (source: http://www.business-standard.com/article/markets/india-to-have-2-mt-surplus-aluminium-for-export-by-2013-110021200015_1.html)

    Fitch Ratings report বলছে ঃ

    “Although demand outlook for aluminium is likely to grow in line with the economy, supply is estimated to grow far in excess of demand, resulting in overcapacity in the domestic market over 2011-2013,”

    According to an Icra report, “With sharp increase in capacity over 2010-13, India will start massive export of aluminium. The country could by 2013 be an annual exporter of 2 million tonnes of the metal, assuming the planned capacity expansions become operational as currently envisaged.”

    (source: ওই আগেরটাই)

    তো আপনি হঠাৎ আলুমিনিয়াম ইম্পোর্ট করতে হবে বলে চিল্লাচ্ছেন কেন? অন্য লিঙ্কে লিখেছেন " নাকি ইমপোর্ট করেই চলবেন ঐ সব দরকারী মেটাল"
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০১:০৪77133
  • সেটা পেয়েছি। ওটা পরিমল বাবু কে বলা যে এই ধরনের লেখার সাথে তথ্য হিসেবে ফ্লোরা, ফনার লিস্ট থাকা উচিৎ অন্তত।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০১:১৩77134
  • পরিমল বাবুর লেখাটা সোস্যাল কন্টেক্সটে নেওয়াই ভালো - উনি আমাদের নজরটা ঘুরিয়েছেন ওই দিকে গপ্পের ছলে, - আর এই অল্প পরিসরে উনি ওত দিতে পারেন নি হয়তো - কিন্তু বেদান্ত আর নিয়মগিরির এই গল্প তো আমি গত ছ বছর ধরে পড়ে আসছি - কোথাও কোনো তথ্যের অভাব দেখি নি।
    ভেদান্ত নবীন পট্টনায়েকের ২০০৪, ২০০৯ ইলেকশান ফান্দিং করেছিল বলে শুনেছি - কাজেই এখন তার রিটার্ন দিতে নবীন বাধ্য। তাই মরীয়া লড়াই কেন্দ্রের কথা টথা বলে। এই একই কাজ অন্য কোনো সরকার থাকলেও করত।
    আমি ব্যক্তিগতভাবে বেদান্তের কিছু কার্যকলাপের খবর রাখি - অতি খচ্চর কোম্পানী।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০১:১৮77135
  • চিতল আর বার্কিং ডিয়ার ছারা সবই vulnerable ক্যাটেগরি তে পরে। রেপটাইল গুলোর তো ক্লাসিফিকেশান নেই তথ্যের অভাবে।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ০১:২৯77136
  • ব্ল্যাঙ্কি, environment minister থাকাকালীন জয়রাম রমেশ বলেছিলেন "EIA in its present form is a joke" - কিন্তু কখনো খনো MoEF ভালো আসেস্মেন্ট করে - এই সব রিপোর্টগুলোর ইন্টারন্যাশনাল ইম্প্যাক্ট হয়। UK-r Church of England -নিয়মগিরির প্রতিবাদে ভেদান্তের সব শেয়ার ছেড়ে দেয় - রাতারাতি শেয়ারের দাম পড়ে যায় বেদান্তের - সেও কি রাহুল গান্ধীর জন্যে নাকি -- গ্লোবাল মার্কেটে বেদান্ত একজন known violator of environmental regulations
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন