এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • আমেরিকার স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা – কিছু কাটাছেঁড়া (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)

    ঈপ্সিতা পালভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০১ অক্টোবর ২০১৩ | ৪১৮৬ বার পঠিত
  • (প্রথম কিস্তির পরে)



    ছকের বাইরে র‍্যাডিক্যাল ভাবনাঃ এক এক করে দেখা যাক, ওবামার নতুন আইনের পরেও সম্ভাব্য সমস্যা আর প্রস্তাবিত সমাধানগুলো। সমস্যার শিকড় মূলতঃ একটি জায়গাতেই বলে মনে করছেন অনেকে। বেসরকারি বিমা প্রকল্প। নতুন আইনেও তো সেই পুরানো মদ, সেই বাজারি বেসরকারি বিমা প্রকল্পই। শুধু তাই না, তাদের রমরমা আরো বাড়বে। এই আইনের ফলে তাদের আওতায় বাধ্যতামূলক ভাবে চলে আসবেন আরো ১.৬ কোটি বেশি মানুষ। এই আইনের ফলে বিমা দেওয়া/নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে, নইলে দণ্ডলাভ।  যাঁদের রোজগার দারিদ্র্যসীমার খুব ওপরে নেই, ১৩১% থেকে ৪০০% এর মধ্যে, তাঁদের জন্য থাকতে পারে সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত বেসরকারি বিমা।  এটা একদিকে বিমা-করা মানুষের সংখ্যা বাড়াবে ঠিকই কিন্তু মূল লাভটা হবে বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোর। বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোর পিছনে সরকারি টাকা ঢালা হচ্ছে। আর সরকারি টাকার পরিমাণটা নেহাত কম না। ৪৪৭ বিলিয়ন ডলার।  


     এবার বেসরকারি বিমা মানেই তো সেই অনেক ক্ষেত্রেই প্রচুর পরিমাণে প্রিমিয়াম, কো পে ইত্যাদির খরচ তো থেকেই যাবে! থেকে যাবে আরো অনেক কিছু। বিমা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, যাতে নানাবিধ বেসরকারি প্ল্যানের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ থাকে, তাতে খরচ কমবে কিনা এখনি বলা যাচ্ছে না। কোনভাবে চাকরি চলে গেলে কোবরা প্ল্যান আছে বটে কিন্তু তাতে মাসে মাসে পুরো প্রিমিয়াম নিজেকে দিতে হবে, যা অনেক বেশি ব্যয়সাধ্য হয়ে যাবে। বিমা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম আছে বটে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া প্রিমিয়াম দেবার সাধ্যও যাঁদের থাকবেনা, তাঁদের কী হবে? চাকরি হারিয়ে রোজগার খুইয়ে বসলে মেডিকেইড প্রোগ্রাম আছে বটে, কিন্তু এখানে একটা বড়সড় কিন্তু রয়ে গেছে। সম্প্রসারিত মেডিকেইড প্রোগ্রামে যদি রাজ্য অংশ না নেয়, এবং অনেক রাজ্যই ( সঙ্খ্যাটি ২৬ এর কাছাকাছি) এখন অব্দি নেবেনা বলেছে, তাহলে তো হাতে হ্যারিকেন! 


    প্রি এক্সিস্টিং কন্ডিশনের অজুহাতে এখন কাউকে বিমা দেওয়া আটকানো যাবেনা বটে কিন্তু এরকম কোন নিশ্চয়তা নেই যে তার জন্য প্রদেয় প্রিমিয়াম বেড়ে যাবেনা। তাছাড়া, চাকুরিদাতাদের কর্মীদের জন্য বিমা করে দিতেই হবে, এই নিয়মকে কিছু বড় কোম্পানি  বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাতে পারে, নিয়মের নানা ফাঁকফোঁকর বের ক’রে।  ৫০ জনের বেশি কর্মী হলে চাকুরিদাতাকে বিমা দিতেই হবে, এই নিয়মের ফোঁকর ও বের করা যেতে পারে, কর্মীসংখ্যার হিসেবে গরমিল দেখিয়ে। ৫০ জনের কম কর্মী হলে তো কথাই নেই।


    অবশ্য, এঁদের সবচেয়ে বড় আপত্তির জায়গা অন্য, এঁদের হিসাবে বেসরকারি বিমা মানেই প্রচুর পরিমাণে পরিচালনা (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) খাতে খরচ। নানাবিধ অনর্থক পেপারওয়ার্ক আর তাতেই নাকি সমস্ত খরচের ৩১% চলে যায়! পুঙ্খানুপুঙ্খ স্টাডি করে দেখানো হয়েছে এই হিসেব। হাজার হাজার বিমা কোম্পানী, তাদের প্রত্যেকের অগুনতি আলাদা আলাদা প্ল্যান, প্রত্যেকের নিজস্ব মার্কেটিং প্রোগ্রাম, এনরোলমেন্ট প্রসেস, প্রত্যেকটির জন্য নিজস্ব পেপারওয়ার্ক, পলিসি, সিইও-দের মাইনে, সেলস কমিশন ইত্যাদি নানাবিধ চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কহীন খরচ। আর তার সাথে আছে মুনাফা অর্জন। বেসরকারি বিমার মূল মন্ত্র, মুনাফা। ‘হেলথ সিইও’ দের বছরে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ‘রোজগার’। মূলে যার মুনাফা অর্জন, সে তো পরিষেবাকে কমিয়ে মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করবেই। এবং তা-ই করে, করে চলবেও। 


    সরকারি বিধিনিষেধ আনার চেষ্টা হচ্ছে বটে, কিন্তু তার পরেও তারা কী করতে পারে, তার উদাহরণ অজস্র। তাই এই পথে চলিলে খরচ ও খারাপ ফলাফলের হাত থেক ক্রমমুক্তি তো নেই-ই, উলটে এই চোরাবালিতে আরো তলিয়ে যেতে হবে, এরকম আশঙ্কা করছেন অনেকে।


    ওঁরা বলছেন, এর বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। বলছেন আমরা স্বাস্থ্যকে পণ্য হিসেবে দেখে ‘ওয়াল স্ট্রীট হেলথ কেয়ার’ চাইনা । স্বাস্থ্য ও একটি মানবিক অধিকার, এই অধিকারের জায়গা থেকে পরিষেবা চাই। বলছেন, চালু করতে হবে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা (ন্যাশানাল হেলথ প্রোগ্রাম)। একজনের কাছ থেকেই সব খরচ আসবে - ‘সিঙ্গল পেয়ার বিমা’, আর এই একজন হবে  সরকার। কানাডার মডেলে। সোজা কথায়, দেশে ইতিমধ্যেই বৃদ্ধদের জন্য যে ‘মেডিকেয়ার’ চালু আছে, সেটাই দেশের সবার জন্য চালু করতে বলা হচ্ছে। দেশের জনগণের উপর ২% ট্যাক্স বা চাকুরিদাতাদের উপর ৭% পে-রোল ট্যাক্স বসালেই এই ব্যবস্থার টাকা উঠে আসবে। প্রোগ্রেসিভ পেরোল ট্যাক্সের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই টাকার পরিমাণটা এখনকার প্রদেয় প্রিমিয়াম বা কো পে র খরচের চেয়ে অনেক কম। আর এর ফলে আসবে প্রকৃত সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই ব্যবস্থার দাবি অনেকদিনের। একাধিক স্টাডিতে দেখানো হয়েছে, বেসরকারি বিমা উঠিয়ে একটামাত্র জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করলে শুধু পরিচালনাখাতে খরচ কমানো যাবে প্রতি বছরে ৪০০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ স্বাস্থ্যখাতে খরচের এক-চতুর্থাংশ জমানো যাবে। এটা সবার জন্য স্বাস্থ্যের খাতে ব্যয় করা যেতে পারে। এছাড়া তো আছেই মুনাফাজনিত লাভ কমানো। 


    এই ব্যবস্থায় গেলে বিমা কোম্পানী, পরিচালনা-সংক্রান্ত কাজে জড়িত লোকজনের চাকরি যাবে? উঁহু, ঁরা বলছেন, অনেক বেশি চাকরি তৈরি হতে পারে স্বাস্থ্য-পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে। লং টার্ম কেয়ার, হোম হেলথ কেয়ার, পাবলিক হেলথ, এই সব ক্ষেত্র প্রসারিত হবে এবং আরো চাকরির সু্যোগ করে দেবে বলে মনে করছেন এঁরা। বর্তমান সিস্টেমের বাড়তি খরচের মধ্যে আর এক বড় অংশের জন্য দায়ী ডাক্তার, হাসপাতাল। পি এন এইচ পি র বক্তব্য, এঁরা খরচ বেশি রাখতে বাধ্য হন বিমার নানা প্ল্যানের সাথে ‘ডিল’ করার জন্য। কানাডার মত সিঙ্গল পেয়ার সিস্টেম হলে সরকার (যা কিনা ‘ননপ্রফিট পেয়ার’) একটা রেট বেঁধে দিতে পারবে, যা এখনকার খরচের থেকে অনেক কম হবে। নানা বিমা কোম্পানীর সাথে নানারকম সাত-সতেরো ডিল না করে শুধু সরকারের সাথেই বিল নিয়ে বসতে হবে।


    সরকার সিঙ্গল পেয়ার হলে ড্রাগ কোম্পানীগুলোকেও ড্রাগের দাম কমে রাখার জন্য চাপে রাখা যাবে বলে মনে করেন এঁরা, আর সেই কারণেই কি ড্রাগ কোম্পানীগুলো এই সরকারি সিংগল পেয়ার স্কিমের এত বিরোধী ? 


    তবে, এঁদের প্রস্তাবেও সেভাবে ছুঁয়ে দেখা হয়নি বেশ কিছু দিক। যেমন ওভার মেডিকেলাইজেশন অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেডিক্যাল ইন্টারভেনশনের সমস্যা নিয়ে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। ওবামার হেলথ রিফর্মে তো বলা হয়ইনি। এক স্টাডিতে দেখানো হয়েছে, এই বাবদ অতিরিক্ত খরচের পরিমাণ ৭৭ বিলিয়নেরও বেশি! আর শুধু টাকার অঙ্ক দিয়ে তো এর পরিমাপও হয় না। এতে মানুষের ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে, হয়ে যায়। কেউ কেউ এর নাম দিয়েছেন, ‘সফট ফ্রড’। ওবামার রিফর্মে শুধু সেই মেডিক্যাল ‘ফ্রড’ সঙ্ক্রান্ত শাস্তির কথা বলা হয়েছে, যেখানে কোন সার্ভিস না দিয়ে বা ভুল সার্ভিস দিয়ে রোগীর থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। যা প্রয়োজন নেই, সেই সার্ভিস দিয়ে ক্ষতি করা নিয়ে কোন কথা নেই সেখানে বা অন্য প্রস্তাবে। অথচ ‘অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা’ নামক অসুখের চিকিৎসার আশু প্রয়োজন। শুধু টাকা বাঁচাতে নয়, মানুষকে বাঁচাতে, আর এই ওভার-মেডিক্যালাইজেশনের অতি ক্ষতিকর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের জন্যেও। এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে স্বাস্থ্যের কর্পোরেটাইজেশনের দিকটি।  


    নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক ডাক্তার ও হার্ভার্ডের অধ্যাপক বার্নার্ড লাউনের কয়েকটা কথা এখানে দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না -- 


    “আমেরিকার স্বাস্থ্য-পরিষেবা এখন মহা সংকটে। একটি গণ-ব্যবস্থ্যাকে মুনাফা-অভিমুখী উদ্যোগে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে চিকিৎসক হয়ে উঠেছেন স্বাস্থ্য-পরিষেবা প্রদানকারী, রোগী হয়েছেন ক্রেতা, আর এ-ব্যাপারটা করপোরেট স্বার্থকেই দেখভাল করছে। ফলে চিকিৎসা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, চিকিৎসকেরা আর [নির্ভরযোগ্য] পেশাদার নন, আর সবথেকে খারাপ, রোগী তাঁর মানবসত্ত্বা হারিয়েছেন। 


    চিকিৎসক হিসেবে আমার যে ৫০ বছর কাটল তাতে আমি এক বিশাল রূপান্তরের সাক্ষী রইলাম। রোগ-সারাবার নির্ভরযোগ্য পেশাদারদের হাত থেকে চিকিৎসা-ব্যবস্থা ক্রমে বেশি বেশি করে ‘প্রযুক্তিবিদ চালিত পণ্যোৎপাদন পদ্ধতি’-তে পরিণত হল।  


    স্বাস্থ্য-পরিষেবার ভেঙ্গে পড়ার পিছনে গভীরতর পরিঘটনা লুকিয়ে আছে – সমস্ত মানবিক আদান-প্রদানের ক্রমাগত বাজারীকরণ ...”


    বলা হয়নি চিকিৎসার পাঠক্রমের বিশাল ব্যয়ভার এবং পরবর্তীকালে কিছুটা তারই ফলস্বরূপ চিকিৎসকদের বিশাল পরিমাণের ফি ধার্য করা নিয়েও। এঁদের প্রস্তাবে বেসরকারি প্রোভাইডার বা বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও সেরকম কিছু বলা নেই। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি স্টিভেন ব্রিলের একটি প্রবন্ধ থেকে কিছু হিসেবনিকেশ তুলে ধরা যেতে পারে। দেশের প্রথম সারির ক্যান্সার হাসপাতাল, এম ডি আন্ডারসনে একজনের ক্যান্সার চিকিৎসার খরচের যেসব নমুনা উনি পেশ করেছেন, তা এককথায় ভয়াবহ। ক্যান্সার মানে প্রায় মিলিয়ন ডলারের খরচা, গ্যাস অম্বল থেকে হওয়া বুকে ব্যথা হয়ে এমারজেন্সি রুমে যেতে হল তো খরচ যা হবে, তাতে কলেজের এক সেমিস্টারের খরচ ( যা নিজেই কিনা রীতিমতন বেশি রকমের বেশি) হয়ে যায়, ল্যাবরেটরি পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচ গাড়ি কেনার খরচকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। খরচের কারণ অবশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে এইসব ‘ননপ্রফিট’ সংস্থাগুলির ৫০০ মিলিয়নের বেশি ‘প্রফিট’ আর এদের সিইও, কেষ্টবিষ্টুদের মিলিয়ানাধিক মাইনের হিসেব দেখলেই। কিন্তু পরিষেবাপ্রদানকারীদের, যার মধ্যে ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি, ডাক্তার, হাসপাতাল, সবাই রয়েছে, তাদের এই বিশাল অঙ্ক চার্জ করা নিয়ে কবি নীরব। 


    অর্থাৎ কানাডার স্বাস্থ্য মডেল আনার কথা বলছেন এঁরা, গ্রেট ব্রিটেনের ন্যাশানাল হেলথ সিস্টেম নয়, যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা – হাসপাতাল, ডাক্তার, সবই – পুরোই সরকারি। ন্যাশানাল হেলথ সিস্টেমের কথা উঠলেই অনেকে সোস্যালিজমের ভূত দেখতে পান ও রীতিমতন আঁতকে ওঠার মত আতঙ্ক হিসেবে তাকে দেখিয়ে প্রচার চলছে বহু দিন ধরেই। এমনকি কানাডিয়ান সিস্টেম, মানে এই ন্যাশানাল সিঙ্গল পেয়ার হেলথ বিমা মডেলেও তার ছায়া দেখছেন বিরোধীরা। এমনিতেও এই সরকারি সিস্টেমগুলিতে চিকিৎসা পাবার জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় কিনা, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা বিতর্ক আছে। তাই এসব প্রস্তাব আদৌ কোনোদিন বাস্তবায়িত হবে কিনা সে নিয়ে ঘোরতর সন্দেহের অবকাশ আছে।  ওবামার প্রস্তাবিত আইনই পদে পদে বাধার সম্মুখীন। এই মুহূর্তে ওবামাকেয়ার নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সরকারি ‘শাট ডাউন’ এর ভয়, কী হয় কী হয় !


    জনস্বাস্থ্যে চলছে বাজেট কাট। খাঁড়া ঝুলছে মেডিকেইড, মেডিকেয়ারের উপরেও – বিরোধীদের চাপে যে কোন মুহুর্তে কোপ পড়তে পারে। রাজ্যগুলির হাতে যেগুলি চালাবার ভার, সেগুলির ভবিষ্যতও অনিশ্চিত। এই রকম অবস্থায় ওবামার প্রস্তাবিত সংস্কারগুলির মধ্যে কিছু কিছু কার্যকর হলে সেটা কানামামা হিসেবে ভালই হবে নাকি বেসরকারি বিমাকোম্পানির দুষ্টু গরু আনার চাইতে না-বিমার শূন্য গোয়ালই ভাল ছিল, সে তর্ক এখন চলতেই থাকবে। 


    তবে আমাদের ভারতবর্ষের মতন দেশে, যেখানে এখন স্বাস্থ্যব্যবস্থায় মেডিকেলাইজেশন-বাণিজ্যিকীকরণ আর বেসরকারি বিমা, এইসবে নতুন জোয়ার লাগতে শুরু করেছে, আমেরিকায় এগুলোর কুফল এবং নতুন প্রস্তাবগুলির সুফল থেকে কিছু শিক্ষা নিলে আর ভাল বই মন্দ বোধহয় হবেনা।  



    (এই লেখায় ব্যবহৃত তথ্যাবলী  http://www.pnhp.org/ ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত।)


    ('স্বাস্থ্যের বৃত্তে' পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত রূপ)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ অক্টোবর ২০১৩ | ৪১৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • শুদ্ধ | 113.24.86.138 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৫০77936
  • প্রয়োজনীয় লেখা। ওবামা তো স্বাস্থ্য নিয়ে ধর্মযুদ্ধ শুরু করেছে ভাব করছে। তা সে ধর্মযুদ্ধর রকমটা খুব সোজা করে লেখা এখানে। আসলে যে সব ধোঁকার টাটি মাত্র!! ভাল লাগলো। কানাডার মডেল এ দেশে কেউ ফলো করবে না। করবে কি করে? সব চোর আর দালালগুলো জড়িয়ে আছে না! কাট মানিটা খেতে হবে তো!!!
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:১০77937
  • কানাডার মডেল - ...The median clinically reasonable wait time before receiving neurosurgery is 5.8 weeks. In Canada in 2008 it was 31.7 weeks...

    যদ্দিনে ডাক আসবে তদ্দিনে হাতে পুরুষ্ট পটল।
  • aka | 22.207.104.59 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:১৮77938
  • এইটা থাক।

  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৩৬77939
  • কোনো সরকারি স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানী নেই?
  • sm | 122.79.36.254 (*) | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:২২77941
  • @kd , আপনার পোস্ট তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। আপনি কাকে hire করতে গেছিলেন, prvate ইন্সুরেন্স দিয়ে। তিনি যদি কোনো নন uk রেসিডেন্ট ও ভিসিটর ভিসা ধারী হন, তার ক্ষেত্রে তো ইন্সুরেন্স লাগবেই। রেসিডেন্ট ও ওয়ার্ক পারমিত ভিসা র জনতা র ক্ষেত্রে, পুরোপুরি ফ্রি।
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৫৭77942
  • kdদা, যতদুর মনে পড়ছে, চোখ আর দাঁত NHS কভার করে না। এছাড়া প্রেসক্রিপশন ফী আছে। তিন মাসের বেশি ওষুধ একসঙ্গে কিনতে গেলে ওষুধের অ্যাকচুয়াল কস্ট পে করতে হয়।
  • kd | 47.228.105.176 (*) | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ ১১:০৩77940
  • ইংল্যান্ডে ন্যাশনাল হেলথকেয়ার আছে আর খুব ভালো শুনেছি কিন্তু প্রাইভেট ইন্সিওরেন্স না দিয়ে কোনও সিনিয়ার এক্সিকিউটিভ হায়ার করতে পারিনি - কে জানে কেন?
    ডি: ২০০২তে রিটায়ার করেছি, এর পরে কী অবস্থা, জানি না ৷
  • S | 81.191.220.212 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:০৯77943
  • ওবামাকেয়ারের একটি ইন্ডিরেক্ট এফেক্ট - যা আমেরিকার হেল্থকেয়ারকে র‌্যাডিকালি চেন্জ করতে পারে- সেটা নিয়ে খুব বেশী কথা শোনা যায় না।একমাত্র ভারমন্টের প্রাক্তন গভর্নর হাওয়ার্ড ডিন একদিন এর উল্লেখ করেছিলেন।সেটা হল আমেরিকার হেল্থকেয়ারকে এমপ্লয়মেন্ট থেকে ডিকাপল করা।আমেরিকায় মূলত হেল্থকেয়ার আসে এমপ্লয়মেন্ট থেকে। যদি মন্দা ইত্যাদির ফলে বেকারত্ব বেড়ে যায় - যেমন হয়েছিল ২০০৮ নাগাদ এবং এখনও পুরো রিকভার করেনি - তখন ইন্সিওরেন্স বিহীন মানুষের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যায়।ওবামাকেয়ার এই ব্যাপারটা সামাল দিতে পারে। একটা প্রভিশন আছে যে সব কোম্পানিতে কর্মি সংখ্যা ৫০ এর বেশী সেখানে কোম্পানি ইন্সিওরেন্স দিতে বাধ্য - নাহলে পেনল্টি দিতে হবে।এখন অনেক স্মল বিজনেস ইন্সিওরেন্স দেবার থেকে পেনাল্টি দিতে চাইছে।সেই পেনাল্টি থেকে লো ইনকাম গ্রুপকে ভর্তুকি দেওয়া হবে।এখন যে সব এমপ্লয়ীরা কোম্পানি থেকে ইন্সিওরেন্স পেল না তারা এক্সচেন্জ থেকে নিজের পছন্দমত ইন্সিওরেন্স কিনে নিতে পারবে।এই ডিকাপলিংটা খুব দরকার ছিল।আমার ধারণা ভবিষ্যতে এটাই হবে ওবামাকেয়ারের সবথেকে বড় সাফল্য।
  • π | 79.204.169.146 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:১৫77944
  • এক্সচেঞ্জ থেকে পছন্দমত ইন্সিওরেন্স কিনতেও তো আউট অব পকেট খরচ ভালোই থেকে যাচ্ছে ।
  • দ্রি | 59.14.0.59 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:২৪77945
  • কর্মী সংখ্যা ৫০ এর বেশী হলে কোম্পানী ইন্স্যুরেন্স দিতে বাধ্য। একটা ক্যাচ আছে। ৫০ জন ফুল টাইম কর্মী, যার ডেফিনিশান যারা মিনিমাম ৩০ ঘন্টা (সপ্তাহে) কাজ করে। ওবামাকেয়ার অ্যাভয়েড করতে কোম্পানীরা ওয়ার্কিং আওয়ার কমিয়ে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

    রিসেন্টলি ফরেভার টুয়েন্টি ওয়ান এই কান্ড করেছে।

    In an internal memo, since leaked and posted on Facebook, a company official announced last week that Forever 21 was transforming some of its full-time, non-management positions into part-time ones. Starting in August, the company said, people in these jobs now (stock maintenance associates, cashiers, to name a few) would be able to work no more than 29.5 hours a week.

    http://www.newrepublic.com/article/114396/obamacare-and-part-time-workers-what-data-say

    এতে কর্মীদের ওপর দুদিক থেকে ঘা আসবে। এক, তার মাইনে কমে যাবে। দুই, তাদের ইন্স্যুরেন্স নিজেদের কিনতে হবে।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৪৪77946
  • কর্মী সংখ্যা ৫০ এর বেশি হলে কোম্পানি ইন্সিওরেন্স দিতে বাধ্য নয়, পেনাল্টি দিতে হবে।
    আর এই আইন অর্থাত , Employer Mandate - এটা এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে , ২০১৫ তে শুরু হবে।
  • aka | 79.73.9.7 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৩৬77951
  • সমস্ত এক্সচেঞ্জে অ্যানোনিমাস ব্রাউজ করা যায়। তাতে করে কেনার ঠিক আগের স্টেপ অবধি যাওয়া যায়।

    সমস্ত এক্সচেঞ্জ লিখে তো দিলাম, সত্যি বলতে কি জানি শুধু নেভাদার কথা। তবে এটা এতই লজিকাল যে সমস্ত একাচেঞ্জেই থাকার কথা।
  • S | 81.191.220.212 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০২:০৬77947
  • দ্রি যে লেখাটা থেকে কোট করেছেন, জোনাথান কনের সেই লেখাটার কনক্লুশন হচ্ছে যে এমপ্লয়ার ম্যান্ডেট কোনো কোম্পানির হায়ারিং প্রাকটিসকে কিভাবে প্রভাবিত করবে কেউ এখনো জানে না- বিশেষত এমপ্লয়ার ম্যান্ডেট যেখানে এক বছর পিছিয়ে গেছে।দ্রি যা বলছেন সেটা বেসিকালি রিপাবলিকান টকিং পয়েন্ট্স।আমি এই লেখাটার একটা কোট চেরিপিক করছি-
    "There’s no substantial evidence yet that employers are switching from full-time to part-time in response to health-care law," Soltas concluded. Helene Jorgensen and Dean Baker, from the Center for Economic Policy and Research, came away with the same impression after their own analysis. "Employers do not appear to be changing hours in large numbers in response to the sanctions in the ACA," they worte.
    ওবামাকেয়ারের মত অত বড় আর কমপ্লিকেটেড একটা আইনের প্রোস আর কনস দুই থাকবে।তবে সেটা নিয়ে তথ্যবহুল অলোচনা চালাতে গেলে সেটা কম করে ইম্প্লিমেন্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
    আর যদি কোনো কর্মী ফুল-টাইমার থেকে পার্ট-টাইমার হয়ে যায় আর তার ফলে মাইনে কমে যায় তাহলে সে ওবামাকেয়ারের সাবসিডি পাবে।আমি যতদূর জানি দারিদ্র্যসীমার ৪০০% পর্যন্ত যাদের ইনকাম, তারাও সাবসিডি পাবে।তাই কর্মীদের ইন্সিওরেন্স কেনার টাকা পুরোটা তাদের পকেট থেকে যাবে না।অবশ্য সাবসিডি নির্ভর করছে কে কোনো ইনকাম গ্রুপে পড়ে তার উপর।
  • দ্রি | 59.15.53.147 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:২৮77952
  • নেভাডায় কি ওবামাকেয়ার সত্যিই 'অ্যাফোর্ডেব্‌ল' হয়েছে সকলের জন্য?

    এলসিএমের ওয়েবসাইট থেকে একজন সিঙ্গল ১৫৮৫৬ ডলার ইনকাম, ৩১৭ ডলার প্রিমিয়াম বেশ অ্যাফোর্ডেব্‌ল, যদিও ঐ ইনকামে সারাবছর চালানো খুবই কষ্টকর। কিন্তু সিঙ্গল, ৪৫৯৬০ ডলার ইনকাম, ৪৩৪০ প্রিমিয়াম খুব একটা চীপ নয়।

    মনে হচ্ছে না এটা ইউনিফর্মলি সবার জন্য 'অ্যাফোর্ডেব্‌ল'। এই প্ল্যানে ডিডাক্টিব্‌ল কেমন?
  • Paramita | 172.233.205.42 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:০৪77948
  • ধরুন আমি জানতে চাই ওবামাকেয়ার দিয়ে আমার ইন্শিওরেন্স কিনতে কত লাগবে। অ্যাপ্লাই না করে জানার কোন উপায় আছে কি? একটা টুল আছে (কাইজার ফ্হাউন্ডেশনের) কিন্তু সেটায় সব বয়স ইনপুট করা যায় না।
  • Paramita Das | 172.233.205.42 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৪৪77954
  • আকা, অ্যানোনিমাস ব্রাউজ তো করা যাচ্ছে না। প্রথমেই অ্যাকাউন্ট খুলতে বলছে।

    দ্রি-এর লিংক-এ শুধু নীললোহিতের প্রিমিয়াম দেওয়া আছে। সাতাশ বছুরের জন্য।
  • S | 81.191.220.212 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০২:১৮77956
  • https://www.healthcare.gov/health-plan-information/
    এই লিংকের নিচে সব স্টেট/কাউন্টির মেডিকাল প্ল্যান আর ইন্ডিভিজুয়াল/ফ্যামিলি প্ল্যানে কিরকম খরচা পড়বে তার একটা হিসাব আছে।তবে এই সাইটটা একটু গড়বড় করছে, কাল সারাদিন ডাউন ছিল।এই শাট্ডাউনের বাজারেও অনেক প্যাচ লাগিয়ে নানারকম গ্লিচ সারানোর চেষ্টা চলছে।
  • দ্রি | 116.66.79.23 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৪৭77957
  • আকাদার ক্যালি লিংকে শপিং করতে দিচ্ছে না।

    নেভাডার লিংকেঃ

    সিঙ্গল, অ্যানুয়াল ইনকামঃ ৪৫০০০, প্রিমিয়ামঃ ৩৫৬
    কাপ্‌ল, অ্যানুয়াল ইনকামঃ ৬০০০০, প্রিমিয়ামঃ ৪৭৫
    কাপ্‌ল, ওয়ান চাইল্ড, অ্যানুয়াল ইনকামঃ ৭৫০০০, প্রিমিয়ামঃ ৫৯৩
    কাপ্‌ল, টু চিল্ড্রেন, অ্যানুয়াল ইনকামঃ ৯০০০০, প্রিমিয়ামঃ ৭১২

    অ্যাফোর্ডেব্‌ল? এটা কি আগে যা ছিল তার চেয়ে ভালো হল?

    আর ডিডাক্টিব্‌লগুলো দেখা যাচ্ছে না।
  • দ্রি | 116.66.79.23 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫৫77958
  • ওবামাকেয়ারে মনে হয় না সবার লাভ হবে। লাভ হবে এরকম একটা গ্রুপ থাকবে। ক্ষতি হবে এরকমও একটা বড় গ্রুপ থাকবে।

    আর যাদের কোম্পানী হেল্‌থকেয়ার দিত তারা হোলসেল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, তাদের শুধু ৬০% কাভার করবে।

    আচ্ছা, পামিতাদি মানে মাদাম হালুম তো? গ্রিটিংস।
  • aka | 79.73.9.7 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫৮77959
  • দ্রি, এগুলো বলপার্ক। আসলে অনেক কিছু ক্যালকুলেশন আছে, সবকটা ঠিকমতন জানিও না।
  • দ্রি | 116.67.152.75 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:৫৮77960
  • হ্যাঁ। কিন্তু বেশীসংখ্যক মানুষের ভালো হবে না খারাপ হবে সেটা ডিপেন্ড করছে ঐ 'অনেক কিছু ক্যালকুলেশান'এর ওপর। কারন, ডেভিল থাকেন ডিটেলের অ্যাকদম মধ্যিখানে। আপনি তো প্রোজেক্টে ডিরেক্টলি কাজ করেছেন। তাও জানেন না। অন্যদের অবস্থাটা চিন্তা করুন। এইসব ডিটেল না জেনেই কিন্তু অনেকে ধরে নিচ্ছেন এতে প্রচুর লোকের লাভ হবে।
  • aka | 79.73.9.7 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৩ ০১:০৬77962
  • কথা হল এসবে প্রচূর টেকনিকাল গ্লিচ আছে। একেবারে নতুন ইমপ্লিমেন্টেশন। কারুরই কিছু জানা ছিল না। বিজনেস ফাংশানালিটি এখনও ডেভলপড হচ্ছে। অতএব ঝাড় আছে।

    পামিতাদি, নেভাডায় অ্যানোনিমাস ব্রাউজিং আছে। কাল লিং দিচ্ছি।

    এখনও অনেক কিছু প্রেডিকশন, জানা নেই। যা জানা আছে তাহল এই প্ল্যানগুলো ফেডারালি অ্যাপ্রুভড। খুব শক্ত, কঠিন ভ্যালিডেশন ক্রাইটেরিয়া, অনেকেই পাশ করে নি সেই ভ্যালিডেশনে। আর রেট ক্যালকুলেটেড হয়, বয়স, ইনকাম, অন্যান্য কন্ডিশন, কতজন ডিপেন্ডেন্ট আছে ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। এই রুলগুলো আমার ঠিক জানা নেই, কারণ অন্যকিছু না আমার নিজের গরজের অভাব, আমার মডিউলে ছিল না। ঃ)
  • S | 81.191.220.212 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৫৬77963
  • ডিটেল না জেনে প্রচুর লোকের লাভ হবে বলা যাবে না কিন্তু 'ক্ষতি হবে এরকম একটা বড় গ্রুপ থাকবে' -বলা যাবে?
    দ্রি প্রশ্ন করেছেন 'আগে যা ছিল তার থেকে কি এটা ভাল হল?' প্রশ্নটাই ভুল কারণ আগে কিছুই ছিল না।যারা ওবামাকেয়ার একস্চেঞ্জে শপিং করছে তাদের আগে কোনো ইন্সিওরান্স ছিল না।নানা কারণ থাকতে পারে -তার হয়ত মেডিকেয়ার বা মেডিকেইড কোয়ালিফাই করে না, বা এমপ্লয়্মেন্ট থেকে ইন্সিওরান্স পায় না, বা প্রি-এক্সিস্টিং কন্ডিশন থাকার জন্যে মার্কেট রেটে ইন্সিওরেন্স পাবে না - এই এক্সচেঞ্জ মূলত সেই ধরণের লোকেদের জন্যে।আর এই রকম লোকেদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় ৩০ মিলিয়ন।
    আর সবার লাভ হিসাব করতে গেলে কোনো আইন ই পাস কর যাবে না।মেডিকেয়ারে সবার লাভ হয়? মেডিকেড? সোসাল সিকিওরিটি? আমি হিসাব করে দেখেছি আমাদের জেনরেশন যতদিনে মেডিকেয়ার আর সোসাল সিকিওরিটি পাব ততদিনে দুটোর ট্রাস্ট ফান্ড প্রায় শেষের দিকে।ট্যাক্সপেয়ার ডলারে মেডিকেড চলে -এতেও একটা বড় অংশের ক্ষতি।

    আর কোম্পানি মানে এমপ্লয়ার ৬০% ইন্সিওরেন্স কভার করবে - এই তথ্যের সোর্সটা কি? এরকম তো এখনো শুনিনি।বরং ওবামাকেয়ার চালু হবার পর থেকে নিজের আর বাচ্চাদের অ্যানুয়াল চেকাপে আর কো পে লাগে না।ওগুলো এখ্ন সব প্রিভেন্টিভ মেজারের লিস্টে চলে এসেছে।

    আর হাতের কাছে আর একটা উদহরণ আছে। ম্যাসচুসেট্স।ওখানে রমনিকেয়ার আজ প্রায় সাত বছর হল চলছে।ওবামাকেয়ার হচ্ছে রমনিকেয়ারের প্রায় ব্লু-প্রিন্ট।ওভার অল, রমনিকেয়ার MA তে সাক্সেসফুল।এর ভিত্তিতে বলা হচ্ছে ওবামাকেয়ারও পুরোপুরি ইম্প্লিমেন্ট হলে ওভার অল আমেরিকার হেল্থকেয়ার ভালর দিকেই যাবে।
  • π | 118.12.173.94 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪১77964
  • ম্যাসাচুসেটস ভাল চলছে বলায় বলে এই খবরটার কথা মনে পড়ল। হিসেবটা দেখেছিলেন ?

    ...In a continuing trend, the health coverage available through Massachusetts employers in 2011 cost more and had lower benefit value. Between 2009 and 2011 premiums rose by 9.7% to pay for benefits that decreased by 5%. Consistent with this trend, employees are paying increasingly more out-of-pocket for their health care. Deductibles have grown in Massachusetts by more than 40% between 2009 and 2011....

    http://pnhp.org/blog/2013/08/15/massachusetts-shows-us-that-we-can-have-higher-premiums-with-fewer-benefits/
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন