এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ত্বকের অসুখে কেলেঙ্কারি ককটেল

    ডাঃ কৌশিক লাহিড়ী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ | ৮৪০ বার পঠিত
  • অনসূয়া এবার উচ্চমাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে। আর কলেজ মানেই বড় শহর, হোস্টেল।
    রুমাদি ওর রুমমেট। অনসূয়ার গালের ব্রণ দেখে রুমাদিই বললো, বেটনোভেট সি লাগা, সেরে যাবে।
    পার্ট-টুর পর রুমাদি চলে গেলো, এখন নতুন রুমমেট কৃষ্ণা। তার কালো রং ফর্সা করার জন্য অনসূয়া তাকে দিলো ওই বেটনোভেট সি।
    আরো একবছর পর, হোস্টেল ছাড়ার সময় হয়ে এলেও বেটনোভেট সি আর ছাড়তে পারে নি অনসূয়া আর কৃষ্ণা, অথবা বেটনোভেট সি ছাড়েনি তাদের!
    অনেকবার চেষ্টা করেছে, লাভ হয়নি! ছাড়লেই দানা দানা বেরিয়ে যাচ্ছে, সারা কপাল, গাল জুড়ে, অতএব আবার বেটনোভেট সি!

    ####

    তিন্নি আর তার মা একই সঙ্গে হাজির সেদিন ডাক্তারবাবুর চেম্বারে, সমস্যাটা একই, আর বেশ বিদঘুটে! দুজনেরই গালে লোম বের হচ্ছে! তিন্নির উনিশ তার হলে হালকা হালকা লোম আর ওর মা বিয়াল্লিশ। তার তো বেশ পুরুষ্টু দাড়ি! গালের কালো দাগের জন্য একজন লাগাচ্ছেন প্যান্ডার্ম প্লাস আর অন্যজন স্কিনলাইট! ফল হাতে নাতে!

    ####

    ব্রায়ানা ব্যানোস একজন নৃত্যশিল্পী।
    ফ্লোরিডা নিবাসী।
    নিজে স্টেরয়েড অপব্যবহারের স্বীকার।
    নিজের চিকিৎসার সাথে সাথে গড়ে তুলছেন স্টেরয়েডের অপব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যপী জনসচেতনতা।
    তাঁর তথ্যচিত্রের মাধ্যমে।
    এই শহরে তো বটেই এশিয়ায় এই প্রথম।
    এখানে কিছু রোগীর সঙ্গে কথা বলে, রেকর্ড করে উড়ে গেলেন জাপানে, সেখানে দুই চিকিৎসক ও কিছু রোগীর সাথে কথা বলতে।

    ####

    সমস্যাটা কি? কেন হয় এই সমস্যাগুলি?
    আসলে এগুলি স্বচিকিৎসার কুফল!
    বলা যায় খাল কেটে কুমির আনা!
    একেবারে 'এসো ভাই, বসো ভাই, খাট পেতে দিই, ভাত বেড়ে দিই, খাবে ভাই?' গোছের ব্যাপার!
    আর একটু বিস্তারে বলি?

    ধরুন কারো জ্বর হলো, সেটা টাইফয়েড হতে পারে, ম্যালেরিয়া হতে পারে, টিবি অথবা ব্লাড ক্যান্সার, ডেঙ্গি অথবা চিকুনগুনিয়া অনেক কিছু থেকেই হতে পারে তাই তো?
    এখন সেক্ষেত্রে ডাক্তার না দেখিয়ে, জ্বরের সঠিক কারণ না জেনে কেউ যদি একটু ম্যালেরিয়ার ওষুধ, একটু টাইফয়েডের ওষুধ, একটু টিবির ওষুধ, একটু ব্লাড ক্যান্সারের ওষুধ মিশিয়ে খায় এবং খেয়ে চলে কেমন হবে? তাতে রোগ সারবে কি? না বেড়ে যাবে?
    সঠিক রোগ নির্ণয় না করে ঐসব প্যান্ডার্ম, ফোর্ডার্ম মার্কা ক্রিম লাগানো ব্যাপারটা ওইরকমই!
    ওষুধ মানে কিন্তু শুধু ক্যাপসুল, ট্যাবলেট ইনজেকশন নয়, স্কিনে লাগানোর ক্রিম বা অয়েন্টমেন্টেও যে শক্তিশালী রাসায়নিক থাকতে পারে সেটা বেশীর ভাগ মানুষের খেয়ালই থাকে না!
    আর এই অজ্ঞানতা/অবিবেচনা আর অসতর্কতার ফল হচ্ছে ভয়াবহ!
    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এই অবৈজ্ঞানিক ককটেল ওষুধ গুলিতে আবার স্টেরয়েড থাকে!
    না জেনে, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড (বিশেষত মুখে এবং শরীরের চাপা অংশে) অপরিমিত এবং অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করলে বিপদ হতেই পারে!
    অথচ সরকারি নিয়ম মতে স্টেরয়েড কিন্তু শিডিউল এইচ পর্যায়ভুক্ত ওষুধ, মানে যেগুলি কখনোই প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি হওয়া উচিত নয়!
    ড্রাগ এবং কসমেটিক এক্টের শিডিউল জে ক্লজ ১৮ তে আছে যে ফর্সা করার দাবি জানিয়ে কোনো ওষুধ বিক্রি করা দূরের কথা বিজ্ঞাপন দেওয়াও যায় না!
    অথচ, শুধু বিক্রি নয়, রীতিমত খবরের কাগজে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই সব ক্রিম, যার পুরোটাই অনৈতিক তো বটেই বেআইনিও!
    ২০১৬ সালের ১২ আগস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদফতর থেকে রীতিমত গেজেট নোটিফিকেশন করে জানানো হয় যে "all salts, esters, derivatives and preparations containing steroids for topical or external use is now covered by the Schedule"।
    শিডিউল মানে শিডিউল এইচ!
    কিন্তু তাতে কি আর এলো গেলো!
    চুরি, জোচ্চুরি, রাহাজানি, ধর্ষণ, খুন কোনোটাই আইন মেনে করা হয় কি?

    ####

    স্টেরয়েড ক্রিমের অপব্যবহার আমাদের দেশে প্রধানত দুইভাবে হয়।

    ১. দাদের মলম হিসেবে - যেমন কোয়াড্রিডার্ম, ফোর্ডার্ম, প্যান্ডার্ম, টোটালডার্ম, ক্লোবেন জি, ক্যান্ডিডার্মা, ক্যান্ডিড টোট্যাল, সার্ফাজ এস যেন, বেটনোভেট জি এম, লোবেট জি এম জাতীয় দানবীয় গজকচ্ছপ গোছের ওষুধ।
    এই সমস্ত ককটেল ক্রিম ভারতবর্ষ ছাড়া কোথাও মেলে না!
    ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতায় থাবা বসিয়ে, জীবাণুর চরিত্র বদলে গিয়ে দাদের মহামারী দেখা দিয়েছে এই গুলি মেখে!
    সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে যাচ্ছে দুরারোগ্য দাদ! স্কিন ফেটে গিয়ে স্ট্রেচ মার্কের শাখা প্রশাখা ছড়াচ্ছে শরীরে!

    2. ফর্সা হবার ক্রিম হিসেবে - যেমন মেলাকেয়ার, মেলালাইট এক্সএল, মেলবেস্ট, স্কিনলাইট, স্কীনশাইন, নোস্কার এগুলির মধ্যে থাকে শক্তিশালী স্টেরয়েড, হাইড্রোকুইনোন নামে একটি ব্লিচ আর ট্রেটিনয়েন নামে একটি ওষুধ।
    এছাড়া প্যান্ডারম প্লাস কসভেট জি এম, লোবেট জিএম, বেটনোভেট জিএম, নুফোর্স জি এম এগুলিও অনেকে মুখে মাখেন ফর্সা হবার উদগ্র ইচ্ছায়!
    এই গুলি আসলে একটি এন্টিবায়োটিক, একটি এন্টিফাঙ্গাল এবং অত্যন্ত শক্তিশালী একটি স্টেরয়েডের ভয়ঙ্কর ককটেল!
    এগুলি প্রাথমিকভাবে দাদের মলম হিসেবেই তৈরী হয়েছিল, কিন্তু অপব্যবহার হচ্ছে ফর্সা হবার ক্রিম হিসেবে!
    এগুলি বা অন্য স্টেরয়েড না জেনে মুখে বা অন্যত্র মাত্রাছাড়া ভাবে মাখলে স্কিন পাতলা হয়ে যায়, লাল হয়ে, রক্তনালী দেখা যায়, ব্রণ বেরোয়, মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম বের হয়!
    স্টেরয়েড এডিকশন বা নেশার শিকার হয় মানুষটি!

    এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলা খুব জরুরি।

    স্টেরয়েড মানেই কিন্তু খারাপ নয়!
    এটি অন্তত প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ যা শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই ব্যবহার করা যায়। ত্বক বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উত্থান আর উন্নতির পথে গত অর্ধশতাব্দী ধরে যে রাসায়নিকটির ভূমিকা অনস্বীকার্য তা এই স্টেরয়েডের স্থানীয় বা টপিক্যাল ব্যবহার। ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট, জেল, লোশন, বহু ত্বক রোগের চিকিৎসায় আশীর্বাদের বার্তাবাহী এই স্টেরয়েড। সোরিয়াসিস, লাইকেন প্লেনাস, লাইকেন সিমপ্লেক্স, শ্বেতী এমন বহু অসুখে স্টেরয়েডের সুচিন্তিত ব্যবহার রোগ উপশমে অব্যর্থ ভূমিকা নেয়।
    স্বচিকিৎসা কখনোই নয়!
    এই স্টেরয়েড ক্রিমের অপব্যবহার আমাদের দেশের লজ্জা! পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড ক্রিম পাওয়া যায় না! আর আমাদের দেশে? মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হয় ওষুধের দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই!
    এমনকি বিয়ের তত্ত্বেও ঠাঁই করে নিয়েছে এই ক্রিম!
    ফল হয়েছে ভয়াবহ! মহামারীর আকার ধারণ করেছে এই ব্যাধি।

    আসুন সবাই সচেতন হই।

    কোনভাবেই শিডিউল H তালিকায় থাকা ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা যায় না, এবং বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করাও যায় না। বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার (এই হিসেবেটি বছর তিনেকের পুরোনো) ওপরে ব্যবসা ষ্টেরয়েড ক্রিমের, তার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ কোন প্রেসক্রিপশন ছাড়াই, যার প্রায় পুরোটাই অপব্যবহার, পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে যেটা সম্ভব নয়।

    এই বইয়ে পৃথিবীর বহু দেশের তুলনা মূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
    http://www.springer.com/us/book/9789811046087

    নতুন আইন কার্যকরী হলে, বন্ধ হবে এই অনৈতিক, অসাধু এবং অস্বাস্থ্যকর ব্যবসা।

    মানুষকে সচেতন করার জন্য একটা ফেসবুক পেজ আছে: https://www.facebook.com/NoMoreSteroidAbuse/

    আর কিছু নতুন খবরের কাগজের আর্টিকেল, আর সরকারি টুইটের কপি।
    http://www.anandabazar.com/lifestyle/fairness-products-actually-causing-serious-harm-to-our-skin-1.781818
    https://timesofindia.indiatimes.com/city/delhi/steroids-in-skin-creams-government-to-amend-rules/articleshow/63738900.cms
    http://www.dailypioneer.com/nation/govt-bans-sale-of-14-steroid-products-sans-doctors-prescription.html
    https://twitter.com/mohfw_india/status/982150919168102400?s=12


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ | ৮৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন