এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 52.110.194.251 (*) | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:১২83198
  • ব্যাংক ও তো সেই যুক্তিতে প্রাইভেট করে দেওয়া উচিত।
  • dc | 120.227.244.83 (*) | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:৩৪83199
  • অবশ্যই।
  • শিবাংশু | 55.249.72.28 (*) | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:১৩83200
  • sm,
    "সেই একই অদ্ভূত যুক্তির অবতারণা চলছে।"

    সত্যিই, এ এক অদ্ভুত যুক্তি। আসলে ব্যাংকঋণপ্রদান বা ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট জাতীয় জটিল টেকনিক্যাল বিষয়গুলিকে এভাবে চায়ের কাপে তোলা শৌখিন ক্ষোভ দিয়ে ব্যাখ্যা করার প্রসঙ্গে বলা যায় নীরবতাই শ্রেয়। তবু যখন আলোচনায় নেমেছি, তখন বলি, 'আধিকারিক'দের একাংশ যদি দুর্নীতিগ্রস্তও হন, তবু তাঁদের ক্ষমতা সম্বন্ধে আপনার ধারণা খুবই উচ্চ। বস্তুত ব্যাপারটা অতো সরল নয়।

    "আম্বানি বা আদনি বা স্টিল কোম্পানি কে ঋণ দেবার সময় কি আধিকারিক রা ঘুমিয়ে ছিল? ডি ডি যেমন বললেন ; এদের এত এত ঋণ দেওয়া হয় যে সমস্ত এসেট বেচলেও টাকা উঠে আসবে না। সুতরাং শাক দিয়ে মাছ ঢাকা মুশকিল।"

    এই মন্তব্যটি থেকে মনে হচ্ছে আপনার ধারণা ব্যাংকঋণের সম্পূর্ণ অঙ্কটির জন্য সিকিউরিটি নেওয়া হয়ে থাকে। যেন ঋণখেলাপ করলেই সিকিউরিটি বেচে টাকা তুলে নেওয়া যায়। এই জাতীয় ব্যাংকিং শুনেছি ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বা জগৎশেঠের সময় হতো। একশোভাগ সিকিউরিটিভিত্তিক ঋণ দেওয়া শুরু হলে দেশের কেউ কখনও ঋণই পাবেনা। বিষয়টি বিশেষভাবে জটিল। পঞ্চাশভাগ টেকনিক্যাল, বাকি পঞ্চাশভাগ ইনস্টিংটিভ। কোন পেশাদারি সিদ্ধান্ত কখন, কীভাবে নেওয়া হয়েছে, তা অন্তত দশ জায়গায় নথিবদ্ধ করা থাকে। যদি কোনও ঋণ অনাদায়ী থেকে যায় তবে তার সঙ্গে জড়িত সমস্ত 'আধিকারিক'কে জবাবদিহি করতে হয়। ম্যালাফাইডি প্রমাণ হলে কেউ নিস্তার পায়না। আমাদের পার্ল্যান্সে বলে, " ব্যাংকার কা এক প্যয়ের দফতর মেঁ, দুসরা জেল মেঁ।"

    "নোট বন্দীর ও পিছনে ছিল ব্যাংকের হাতে লিকুইড ক্যাশের অভাব। কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ব্যাংকের হতে তো এসেছিল; কিন্তু অকর্মণ্য ব্যাংক সেটা ইউজ ও করতে পারেনি।"

    নোটবন্দির এই কারণটা বোধহয় মহামহিমের আইটি সেলও জানেনা। ব্যাংকের 'লিকুইড ক্যাশ' কাকে বলে? কীভাবে সেটাকে সংরক্ষিত রাখা হয় বা লগ্নি করা হয়? অথবা এবিষয়ে দেশের আর্থিক নীতি কী? এই সব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকলে এ জাতীয় উড়ো মন্তব্য করা যায়না। 'কয়েক লক্ষ কোটি' টাকা ব্যাংকের 'হাতে' এসেছিলো যা 'অকর্মণ্য' ব্যাংকরা লগ্নি করতে পারেনি! এ প্রসঙ্গে বলি, একটা শাস্ত্র আছে, নাম অ্যাসেট্স-লায়াবিলিটি ম্যানেজমেন্ট। বেশ বিপুল তার পরিধি। কোন লায়াবিলিটি কীভাবে অ্যাসেটে লগ্নি করা যায়, তা নিয়ে ব্যাংকের নিজস্ব নীতি ছাড়াও অর্থ মন্ত্রক, রিজার্ভ ব্যাংক, সেবি ইত্যাদি সংস্থার নীতিনির্দেশ ও দিগদর্শন থাকে। 'কয়েক লক্ষ কোটি টাকা' কারো পকেট মানি নয় যে ইচ্ছেমতো তাকে লগ্নি কর যায়। এমনিতেই দেশে ঋণের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত চাহিদার অভাব ছিলো, তার উপর ব্যবসার সব সেক্টরেই মন্দা চলছে ২০১৫ থেকে। এই অবস্থায় আপনার কথা মতো ব্যাংককে 'কর্মণ্য' হতে গেলে রাস্তার মোড়ে বসে রাজা হর্ষবর্ধনের দানসত্র খুলে বসতে হতো। ভাগ্যিস এতো গালাগালি খাবার পরেও ব্যাংকাররা মাথা ঠাণ্ডা করে কাজ করে যায়।

    "এর লংটার্ম বিষময় ফল হলো আজকে এয়ার ইন্ডিয়া পরশু স্টেট ব্যাংক গুলো প্রাইভেট হবে। "

    এয়ার ইণ্ডিয়ার সঙ্গে স্টেটব্যাংকের তুলনা কীভাবে আসছে বোঝা গেলোনা। যাবতীয় ঋণখেলাপের ঘটনা সত্ত্বেও স্টেটব্যাংক এদেশের সর্বাধিক লাভদায়ক সংস্থাগুলির মধ্যে পড়ে। এই আলোচনার একটা মুখ্য বিন্দু ছিলো ঋণখেলাপিদের জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়ন। যেটা সরকারের দায়িত্ব। তাঁরা ক্রমাগত আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সে বিষয়ে কিস্যু করেননি। এক অম্বানি আরেক অম্বানির দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে চিনে কোম্পানির ঋণশোধ করে দেয়। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আছে ছাপান্নো ইঞ্চি দেবতা। তাঁরা জানেন দেশের ব্যাংকের ঋণ শোধ করার কোনও প্রয়োজন নেই। সে দায়িত্ব রামা কৈবর্ত ও কালু শেখের।

    এ রকম রামরাজ্যে বাস করেও "আমরা বলে বেড়াবো সরকারের দোষ!" এ জাতীয় 'অকর্মণ্যতা' সত্যি ক্ষমার অযোগ্য। "এই বিপুল অনাদায়ী ঋণের দায়িত্ব স্বীকার করে ইনভলভড আধিকারিক দের পদত্যাগ করা উচিত।এদের জন্য কোন সাফাই ই যথেষ্ট নয়।"

    জয় হোক....
  • sm | 52.110.194.251 (*) | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:১৭83201
  • রেল, পোস্ট অফিস ও আসবে একই যুক্তিতে। কিন্তু, আমার যুক্তি তে সর্বদা দুটো অপশন খুলে রাখা উচিত যাতে কেউ মনোপলি করতে ন পারে। ব্যাংক, স্বাস্থ্য,পোস্ট অফিস রেল ,বিদ্যুৎ,
    সবকিছুতেই সরকারি ও বেসরকারি দুটো অপশন ই যেন খোলা থাকে।
    কলকাতায় সি ই এস সি কে দিয়ে মালুম পড়ছে কেমন দুর্গতি হতে পারে সাধারণ লোকজনের।
  • PT | 125.187.44.48 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৭83205
  • গ্রাহক সংখ্যা বাড়লে ব্যাঙ্কের এফিসিয়েন্সি ইত্যাদি টের পাওয়া যায়। প্রচুর মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্যেই SBI ইত্যাদির শাখা সংখ্যা বেড়েছে। সরকারি বলেই দায় নিতে হয়েছে। প্রাইভেট ব্যাঙ্কের সে দায় নেই। তাদের দায় শুধু মুনাফা করার। বিপুল সংখ্যার ছাত্রদের স্টাডি লোন দেওয়ার ব্যাপারে SBI -এর আধিকারিকরা কি পরিশ্রম করে সেটা প্রতি বছর দেখতে পাই। ঐ সব ছাত্ররা প্রাইভেট ব্যাঙ্কের চৌকাঠ মাড়ানোর সাহস করেনা।
  • sm | 52.110.199.209 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০০83206
  • পিটি,পোস্ট অফিসের ব্রাঞ্চ সংখ্যা আরো বেশি।গ্রাহক সংখ্যাও।তাতে কি প্রমাণ হলো?
    @শিবাংশু, ভারতের কয়েকটি সরকারি বা পি এস বি র gnpa ratio টু গ্রস এডভানস দেখলাম ২০ পার সেন্ট এর ওপর। এর মানে কি বুঝিয়ে বলুন, প্লিজ।
    এরা কিভাবে দক্ষ পরিচালক হতে পারে?
    দুই,স্টট ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ যদি পৌনে দুই লাখ কোটি এর নিকটে হয় তাহলে এটি কিভাবে লাভজনক সংস্থা বলে আপনার মনে হয়?
    তিন, নোট বন্দির ফলে ব্যাংক গুলির হতে কয়েক লাখ কোটি টাকা এসেছিল। যার অধিকাংশই সেভিংস ব কারেন্ট একাউন্টে জমা পড়েছিল। অর্থাৎ কম সুদের ভাঁড়ারে। তো সেটা খাটিয়ে তো ব্যাঙ্কের বেশী লাভ করা উচিত। তাইনা?
  • PT | 125.187.44.48 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১১83207
  • প্রমাণ অনেক কিছুই হল। যাদের সেভিংস একাউন্টে কম করে ২৫০০০ টাকা (নতুন গ্রাহকদের বোধহয় ৫০০০০) রাখা বাধ্যতামূলক তারা কতজন ভারতীয়কে গ্রাহক করতে ইচ্ছুক সেটা পরিষ্কার। কাজেই এইসব প্রাইভেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরকারি ব্যাঙ্কের তুলনা এক্কেবারে অর্থহীন।

    আর পোস্টাপিসের সঙ্গে ব্যাঙ্কের তুলনা নেহাৎই তক্কের জন্যে তক্ক। কোন বাহুবলী পুঁজিপতি ব্যক্তি মালিকানায় পোস্টাপিস খুলবেন নাকি? ওসব ঝক্কি শুধু সরকারেরই পোহানোর কথা।
  • sm | 52.110.199.209 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২০83208
  • যা বাব্বা, দুটোই তো সরকারী সংস্থা নাকি? আর,
    এখানে কেউ বেসরকারি ব্যাংকের হয়ে সওয়াল করছে নাকি?
    আপনার- আমার; আমানতের ফেরত পাওয়া নিয়ে যখন আশঙ্কা তৈরী হয় তখন ভীতি জাগে বৈকি?
    বহু অবসর প্রাপ্ত লোকের পেনশন পর্যন্ত নাই। ওই ব্যাংকের এফ ডি র সুদের কিছু টাকাই ভরসা!
    তাদের কথা ও ভাবতে হবে বৈকি!তারাও আমাদের আত্নীয় পরিজন বা নিকট কেউ হতেও তো পারে, নাকি?
    আর কি ভাবে বলবো?
  • কল্লোল | 233.227.124.42 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৪83209
  • স্টেট ব্যাঙ্ক বা সেই অর্থে কোন ব্যাঙ্কের পরিষেব নিয়ে সাধারণভাবে বলার কিছু নেই।
    ধরুন স্টেট ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্গলোর পিবিবি ব্রাঞ্চের পরিষেবা দুর্দান্ত। ঠিক তেমনই স্টেট ব্যাঙ্ক রাসবিহারী শীতলাতলা ব্রাঞ্চের পরিষেবা বেশ খারাপ। অভিযোগ করলে ওঁরা ব্ভলেন কর্মী সংখ্যা অপ্রতুল। কথাটা একটু হলেও সত্যি, কিন্তু তাতে খারাপ পরিষেবার সবটা মান্যতা পায় না।
    এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্গালোর জেপি নগর ব্রাঞ্চে ঠিকানা পাল্টতে গেছিলাম। যা যা নথি দেবার সবই দিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত মানুষটি সব দেখে বললেন ঠিক আছে। কিন্তু দুমাস কেটে আবার পর ঠিকানা বদল না হওয়ায় ব্রাঞ্চে দিয়ে শুনলাম নথিগুলিতে আমার সই নেই, তাই সেগুলি গ্রহনযোগ্য নয়। আমি নথিগুলিতে সই করে দিতে চাইলে, আমায় বলা হয় আবার করে সেগুলি দিতে হবে।
    ঐ একই ব্যাঙ্ক আমার এটিএম কার্ড এটিএমএ ভুলে ফেলে আসায়, তাদের জানানোর তিনদিনের মধ্যে আমার কার্ড অপিসের কাছের ব্রাঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।
    তো, এতে কিছু প্রমাণ বা অপ্রমাণ হয় কি?
  • কল্লোল | 233.227.44.255 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৩83210
  • কিন্তু এর সাথে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বেসরকারি হাতে তুলে দেবার বিরোধীতা, বা ঋণখেলাপের বিরুদ্ধে খেলাপী ও যারা তাদের ঋণ দিতে সুপাইশ করেছেন বা যে সব আধিকারিক এই সব ঋণ দেওয়ার পিছনে দায়ী তাদের শাস্তি দেবার কি সম্পর্ক?

    যে আইনটি আনা হবে বলে কথা হচ্ছে, তা যেমনটি শোনা যাচ্ছে তেমনটিই হয়, তবে তা চুক্তিভঙ্গের আওতায় পড়বে। আমি ব্যাঙ্কের গ্রাহক, অংশীদার নই, তাই ব্যাঙ্কের লাভ বা ক্ষতির দায় আমার হতেই পারে না। তেমনটা আইন হলে আমায় লাভের অংশাও দিতে হবে।
  • cm | 113.205.213.1 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৭83211
  • জিওর সাথে যৌথ প্রকল্পে গিয়ে এসবিআইএর কি লাভ হবে কেউ বুঝতে পারলেন? আর কোন লাভের আশা না থাকলে এসবিআই যাচ্ছে কেন?
  • dc | 132.164.217.191 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৪০83212
  • আমি খবর পড়ে যেটুকু বুঝলাম, স্টেট ব্যাংক আর জিও দুজন দুজনের নেটওয়ার্ক মনেটাইজ করতে চাইছে। সেজন্যই বোধায় এসবিআই জেভিতে যাচ্ছে।
  • amit | 149.218.42.38 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:১১83213
  • মানতে হবে দাদা, স্টেট ব্যাংকের কর্তাদের দের কি করা উচিত, কি ভাবে লোন দেওয়া উচিত, কি ভাবে লিকুইড ক্যাশ ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত, সে বিষয়ে বিশেষ কারো কারো দেখছি ব্যাংকের লোকজনের থেকে অনেক বেশি জ্ঞান। কেন যে এনারা (প্লুরাল না লিখলেও হতো হয়তো ) ব্যাংকের অনারারি ডিরেক্টর হিসেবে আবেদন করেন না কে জানে। টি একটা বড়ো ভালো নাম দিয়েছেন এই জ্ঞানী ব্যক্তিদের (আবার প্লুরাল এসে গেলো) অন্য একটা টোয়িতে।

    শিবাংশু, একটা কথা জানতে চাই, যদি দিতে কোনো অসুবিধা না থাকে। কোনো ইনফ্রা বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট এ স্টেট ব্যাঙ্ক যদি লোন দিয়ে থাকে, তাহলে রিস্ক এসেসমেন্ট গুলো কি তারা ইন হাউস করে নাকি কোনো থার্ড পার্টি কে দিয়ে করে ? জাস্ট জানার জন্য, আর কোনো কিছু নয়।
  • ঠিক | 57.11.9.100 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:২০83214
  • অমন কত হয়- প্রধানমন্ত্রি মুখ্যমন্ত্রির কি করা উচিত না উচিত জ্ঞান দেওয়া দেখে অবাক লাগে এনারা ভোটে লড়েন না কেন কে জানে?
  • dc | 132.164.217.191 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:২৮83215
  • আমার বাবা স্টেট ব্যাংকের বালিগঞ্জ ব্রাঞ্চে এসেমি সেকশানের লোন ম্যানেজার ছিল, তো এসেমিতে দেখতাম প্রোজেক্টের রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট, সারভে ইত্যাদি নিজেরাই করতো। তবে সে অনেক বছর আগে, ২০০০ এর আশেপাশে। এখন থার্ড পার্টি করে কিনা জানিনা।
  • sm | 52.110.200.253 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:০৯83216
  • হাফ প্যান্টের একটা নতুন বন্ধু জুটেছে দেখছি; শুকনো কিশমিশ।
  • শিবাংশু | 113.249.4.220 (*) | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:১২83217
  • কল্লোলদা,

    একটা কথা মনে পড়ে গেলো। সত্তরের শেষে বা আশির গোড়ায় আমার শান্তিনিকেতনে নিত্য যাতায়াত ছিলো। থাকতুম এক আত্মীয়োপম শুভাকাঙ্খীর ভদ্রাসনে। তিনি পেশায় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ছিলেন। সেই সময়টা তোমার নিশ্চয় মনে আছে। পশ্চিমবঙ্গে নবকংগ্রেস জাতীয় পার্টির ছত্রছায়ায় পলিটিক্যাল গুণ্ডামি ও মস্তানরাজের সূত্রপাত হচ্ছিলো ধীরে ধীরে। কয়লাখনি বা চটকলকেন্দ্রিক সামাজিকযাপনে যা আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি। শান্তিনিকেতন বা তাকে ঘিরে থাকা বোলপুর, সিউড়ির বলয় ছিলো নিস্তরঙ্গ, ঘটনাহীন মফস্সল। কিন্তু জায়মান মস্তানশ্রেণীর উপস্থিতি টের পাওয়া যেতো বোলপুর বা সিউড়িতে। মাঝে মাঝেই তাদের শান্তিনিকেতনে এসে ছ্যাঁচড়াপনা করতে দেখা যেতো। কিন্তু শান্তিনিকেতনের আবহ তখনও বিশেষ প্রদূষিত হয়নি। পরিচিত আশ্রমিক বা সহজাত সম্ভ্রমনিবেদিত মানুষদের উদ্বিগ্ন হতে দেখতুম। কে জানে, এসব গুণ্ডাবাজি শেষ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনেও না ঢুকে পড়ে? আমি বলতুম, শান্তিনিকেতন কোনও অনধিগম্য দ্বীপভূমি নয়। চারপাশের ইতর, অসম্ভ্রান্ত কার্যকলাপ এখানেও ঢুকে পড়বে ক্রমাগত। তার জন্য প্রস্তুত থাকাই শ্রেয়। অনেকে বুঝেও যেন স্বীকার করতে পারতেন না।

    ব্যাংকের পরিষেবা মূল্যায়ণ প্রসঙ্গে তোমার সঠিক মন্তব্যটি সেই সত্যটির প্রতিই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কোনও ব্যাংকের কর্মচারীরাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে আসেন না। তাঁরা একই কর্মসংস্কৃতির অংশ। কেউ গলায় টাই ঝুলিয়ে আসেন, কেউ বা চটি পরে। মানসিকতাটা একই থাকে। তবে বেসরকারি কর্মচারীরা সতত নিরাপত্তাহীনতার শিকার। তাই একটু টিমিড। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীরা সুরক্ষাবলয়ে থাকেন বলে অনেক সময়ই ধরাকে সরা ভাবেন। তবে এই মূহুর্তে অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মুম্বাই ও হায়দরাবাদে বছর তিনেক রিক্রুটমেন্ট ও ট্রেনিঙের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় দেখেছি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা কিন্তু তাদের বাপ-পিতাম'র কুঅভ্যেসগুলো অনেকটাই পরিত্যাগ করতে পেরেছে। আমাদের সভ্যতায় পরিবর্তনের হারটা খুব ধীর, স্থবির। তার ভালোমন্দ দুই দিকই আছে।

    অমিত,
    " কোনো ইনফ্রা বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট এ স্টেট ব্যাঙ্ক যদি লোন দিয়ে থাকে, তাহলে রিস্ক এসেসমেন্ট গুলো কি তারা ইন হাউস করে নাকি কোনো থার্ড পার্টি কে দিয়ে করে ? "

    গোটা ব্যাপারটাই ঋণের পরিমাণ, যাকে আমরা টিকেট-সাইজ বলি তার উপর নির্ভর করে। স্মল বা মিডিয়াম ঋণের ক্ষেত্রেও অনেক বিভাগ রয়েছে। আর মিড-কর্পোরেট বা কর্পোরেট দুই ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ভিন্ন ভার্টিক্যালে কাজ হয়। 'ইনফ্রা বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট' সচরাচর মোটামুটি বিগটিকেট সাইজের হয়। যদি খুব বড়ো প্রোমোটার হয়, যেমন টাটা বা তার তুল্য অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তবে সেই সব ঋণের প্রসেসিং একভাবে হয়। অবশ্য মিড-কর্পোরেট ঋণের ক্ষেত্রেও সেই সব মানদণ্ডগুলি অনুসরণ করা হয়। রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট উভয়ক্ষেত্রেই দুভাবে হয়ে থাকে। ইন-হাউস ও চার্টার্ড সংস্থা। প্রয়োজন হলে একাধিকবার। গত দশ-বারো বছর সমস্ত ঋণই সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার থেকে হয়। তাই গোটা ব্যাপারটাতেই যতোটা সম্ভব পেশাদারি পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
  • কল্লোল | 233.227.123.183 (*) | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:০৮83218
  • বিশাল বিশাল অঙ্কের ঋণ দেওয়র আগে এতোশত করেও এই পরিমাণ NPA? এর জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি হয় কি?
    রাজনৈতিক চাপ তো থাকবেই। সেটাকে যারা অস্বীকার করবে শাস্তি তারাই পাবে, যারা মেনে নিয়ে অপরাধ করবে, তারা বেঁচে যাবে - এটা মানা যায় না।
  • dc | 132.174.113.68 (*) | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২১83219
  • আম্বানি বা আদানিদের লোন দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক চাপ বোধায় একেবারে ওপর মহল থেকে আসে, ফিনান্স মিনিস্ট্রি বা পিএমও থেকে। সেই চাপ অস্বীকার করা, আর করলে তার কনসিকুয়েন্স সহ্য করা, বোধায় অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব।
  • কল্লোল | 233.227.122.22 (*) | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৬83220
  • তাহলে তো নতুন আইন, বেসরকারি হাতে চলে যাওয়া এসব নিয়ে কথা বলার কোন মানেই হয় না।
  • শিবাংশু | 113.249.4.36 (*) | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:৪৫83221
  • কল্লোলদা,
    আগেও বারবার লিখেছি। আবার লিখছি। একজন সাধারণ নাগরিক বা নন-টেকনিক্যাল নাগরিক ব্যাপারটার গভীরতা ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারবেন না। একটা ঋণের ঝুঁকি মাপার মোট আটটি মানদণ্ড রয়েছে। ছোটো ঋণের ক্ষেত্রে হয়তো তার মধ্যে কতকগুলো তেমন গুরুত্ব পায়না। কিন্তু বড়োমাপের ঋণ যখন পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয় তখন কোনও মানদণ্ডটিই উপেক্ষা করা যায়না। তবে কয়েকটি অনিশ্চিত ঝুঁকি, যেগুলো তাৎক্ষণিক বস্তুস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেগুলি কিন্তু বিপজ্জনক থেকেই যায়। যেমন সরকারি নীতি, রফতানির চাহিদা, বিশ্ববাজারের ওঠাপড়া এবং দেশি বাজারের ফাটকাবাজি, যেগুলো ঋণ মঞ্জুরের সময় পুরো বুঝে ওঠা যায়না। কারণ ঋণ মঞ্জুর হওয়া ও তার উৎপাদন শুরু হওয়ার মধ্যে সচরাচর তিন থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধান থাকে। যেটা ঘটে, শক্তিশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলি সরকারি দুর্বলতা বা নিরুপায়তাকে মূলধন করে অনুকূল সরকারি নীতি প্রচলনের জন্য বিশেষভাবে চাপসৃষ্টি করে। তার মধ্যে করনীতি ও চাহিদা-সরবরাহ শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ফেরবদলের জন্য সরকারের সঙ্গে নানা অলিখিত চুক্তির প্রতিশ্রুতি থাকে। অনেক সময় দেখা যায় এক একটি ব্যবসার প্রস্তাবই করা হয়েছে তার মাধ্যমে আকাশছোঁয়া কালোটাকাকে শাদা করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে। যখন ঋণ নেওয়া হয়েছিলো তখনকার পরিস্থিতি ছিলো উজ্জ্বল। কিন্তু শীর্ষস্তরে এমন সব খেলা হয়ে যায়, যার কোনও আভাস যথাকালে ব্যাংকের কাছে একেবারেই থাকেনা। কোন বড়ো ঋণ অনাদায়ী হয় গেলে ব্যাংক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে দেখে।ঋণ দেবার আগে ও পরে যেসব আধিকারিক এর সঙ্গে জড়িত থাকেন তাঁরা সব প্রোটোকল সঠিকভাবে পালন করেছেন কি না? তা নিয়ে গভীরভাবে সন্ধান করা হয়। কিন্তু কোনও অদৃষ্টপূর্ব বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের জন্য তাঁদের দায়ী করা যায়না।পেশাদার ব্যাংকাররা সবাই জানেন, যেদেশে কেটলিসাহেবের লেভেলের 'অর্থমন্ত্রী' সরকারের পোস্টার বয়। যে লোক অমর্ত্য সেন, ডঃ মনমোহন সিংহ বা রঘুরাম রাজনকে নস্যাৎ করার ধৃষ্টতা দেখাতে পারে, সেখানে এই চাণক্যশ্লোকটিই প্রযুক্ত হতে পারে। কিন্তু তার প্রতিকার তাঁদের হাতে নেই।

    "....... শিশুর্ভিনীশো, নিরক্ষরো মন্ত্রি।
    নহিনহি তত্র ধনাশা, জীবিত আশাপি দুর্লভা ভবতি।"

    যেখানে রাজা শিশু ও মন্ত্রী নিরক্ষর, সেখানে ধনাশা তো দূরস্থান, বেঁচে থাকাই দুর্লভ ব্যাপার।

    ব্যাংকের এনপিএ আমাদের সামগ্রিক নৈতিক ভুবনের একটি সূচক। যার শিকড় রয়েছে সরকারি সদিচ্ছার গর্ভে। যার সঙ্গে হিমশৈল ছাড়া আর কোনও কিছুর তুলনা চলেনা। কয়েকজন ব্যাংকারকে ধরে শূলে চড়িয়ে দিলেই ব্যাংকের এনপিএ সমস্যার কোনও সমাধান হবেনা। হয়তো দুচারজন বণিককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে কিছু সুফল হতে পারে। কিন্তু জুমলাবাজি ছাড়া এদের আর কীই বা হিম্মত রয়েছে?
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:৫২83222
  • 'যখন ঋণ নেওয়া হয়েছিলো তখনকার পরিস্থিতি ছিলো উজ্জ্বল। কিন্তু শীর্ষস্তরে এমন সব খেলা হয়ে যায়, যার কোনও আভাস যথাকালে ব্যাংকের কাছে একেবারেই থাকেনা'

    - নন-টেকনিকাল লোক হিসাবেই বলছি - আদানি-কে অস্ট্রেলিয়ায় কোন একটা ভেঞ্চারের জন্য স্টেট ব্যাংক লোন দেয়, ১৭-টা মত ব্যাংক রিফিউজ করার পর।

    সেক্ষেত্রে মনে হয় ঋণ দেওয়ার সময়ই পরিস্থিতি যথেষ্ট অনুজ্জ্বল ছিল, তাও সরকার থেকে স্টেট ব্যাংক আধিকারিক-দের আর্ম টুইস্ট করে লোন দেওয়ান হয়।

    ব্যাংক আধিকারিক-দের দায়ী করছি না, তবে সরকার-বণিক নেক্সাসের কাছে তারা বহুক্ষেত্রেই অসহায়, লোন দেওয়া জাস্টিফায়েড নয় জেনেও দিতে হয় - এটা কি যথার্থ পর্যবেক্ষণ?
  • PT | 125.187.44.67 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪১83223
  • বণিকেরাই যে প্রত্যক্ষে বা প্রচ্ছন্নে শাসন চালাচ্ছে সেটা বুঝলে এত দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন হয়্না!!
  • কল্লোল | 233.227.43.69 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৮83224
  • এইটাই আমার মাথায় ঢোকে না। "বণিকেরাই যে প্রত্যক্ষে বা প্রচ্ছন্নে শাসন চালাচ্ছে সেটা বুঝলে এত দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন হয়্না!!"
    তাহলে এতো প্রতিবাদ-টাদের কি যে প্রয়োজন কে জানে!!
    সরকারে গিয়েই বা কি হবে!! সেই তো বণিকদের অঙ্গুলীহেলনেই চ্লতে হবে। তবে তো বিজেপি আর কং-ই থাকুক, খামোখা নির্বাচনে পয়সা খরচ করে কি হবে।
  • PT | 125.187.44.67 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১২83225
  • সবাই হয়ত বণিকের অঙ্গুলীহেলনে চলতে চায় না। তাই তাদের ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকা নানাভবেই বন্ধ করার চেষ্টা চলতে থাকে। প্রতিবাদ হবেনা কেন? কিন্তু প্রতিবাদের নামে রোলের দোকান খোলা হচ্ছে কিনা সেটাই ভাবার বিষয়!!
  • dd | 59.207.63.169 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৬83244
  • সেই ইমারজেন্সীর সময়ে উৎপল দত্ত নাটক নামালেন "এবার রাজার পালা"। তাতে প্রিয়/সুব্রতকে ল্যাম্পুন করে যে চরিত্র, সে ভয়ানক চেঁচিয়ে বক্তৃতা দিতো আর কথা আটকে গেলেই "চীন" বা "কেরোসিন" বলে চেঁচিয়ে উঠত।

    এই ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ খুব বিরাট এবং বহু পুরোনো রোগ। বছর দশেক হলো এটা নিয়ে প্রচুর খবর/লেখালেখি চলেছে। এবং ঋনও একটানা বেড়ে গেছে কোনো তোয়াক্কা না করেই।

    গুচর চত্বরে আদানি/আম্বানি/লরেনবাবুকে (আ আ ল) স্মরণ করলেই সব সমস্যা মিটে যায়। ঐ চীন বা কেরোসিন বলে চেঁচানোর মতন। As if এই রোগ শুধু লরেন যুগেই আবির্ভূত হয়েছে। অ্যাতোদিন ধরে যে সব স্টেলার অর্থমন্ত্রী ছিলেন তারা কিসুই জানতেন না? শুধু আ আ লের দিকে আঙুল দেখালেই প্রবলেম ধরা হয়ে গ্যালো?
  • dc | 120.227.244.233 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৮83226
  • কিন্তু রোলের দোকানও তো সেই বণিকরাই চালাচ্ছে! তাহলে প্রতিবাদের নামে রোলের দোকান খোলা হলেই বা কি?
  • sm | 52.110.201.123 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৫২83245
  • ব্যাংক থাকলেই অনাদায়ী ঋণ থাকবে। ইনফ্যাক্ট যেকোনো মানি লেন্ডিং সংস্থার ই এই সমস্যা থাকবে। আবার এটাই দুনিয়ার সব চাইতে লাভজনক ব্যবসা।
    এনিওয়ে, ২০০৮সালে ব্যাংক গুলোর মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ছিলো ৫৩ হাজার কোটি টাকার মতন আর ২০১৭ তে বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকার মতন।
    বিরাট অংকের পার্থক্য।
    আবার ভারতে ,মোট অনাদায়ী ঋণের ৯০ শতাংশ পি এস বির । দশ শতাংশ প্রাইভেট ব্যাংক গুলোর।
    এর অর্থ এই নয়,সব ব্যাংক প্রাইভেট করে দাও। কিন্তু স্পষ্টত ইঙ্গিত করে গত দশ বছরে পি এস বি গুলো যথেষ্ট অকর্মণ্য তার পরিচয় দিয়েছে।
    জনগণের বিশ্বাসের ভিতে ধাক্কা মারছে। জনগন নিজের আমানতের সুরক্ষা নিয়ে সন্দিগ্ধ হয়ে পড়ছে।
    যাকে বলে পরিস্থিতি!
  • PT | 125.187.44.67 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:১৬83227
  • রোলের দোকান খুলছে যারা তাদের পেছনে লাইন দেবেন না। ২০১১ থেকে পব-র পন্ডিতেরা ঐ ভুলটাই করে চলেছে!! যারা বুক ঠুকে হর্তাল-বন্ধ শেষ করে দিয়েছে বলে গর্ব করে তাদের নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার খোয়াব দেখছে।

    গত বছরের ধর্মঘটের দাবীতে অনাদায়ী ঋণ-ও ছিল।
    "Unions under the aegis of United Forum of Bank Unions have threatened to go on strike on Tuesday (February 28) to press for various demands including accountability of top executives in view of mounting bad loans in the banking sector."
    আর সব রাষ্ট্রায়াত্ব সংস্থার মতই এই "top executive"-রাও সরকারের হতের পুতুল। তো শুধু আধিকারিকদের মুন্ডু কাটার প্রস্তাব কেন?
  • sm | 52.110.202.177 (*) | ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:১৮83228
  • পিটি, কি বলে বোঝা দায়! ধরা যাক আপনি কলেজ এর প্রিন্সিপাল। ছাত্র ভর্তি করার সময় শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশে কম নম্বর পাওয়া ছাত্র ভর্তি করতে পারবেন?নিশ্চয় ন য়। আপনার যুক্তি হবে, ধরা পড়লে কেস খাবো।
    একজন সি এম ও হেইচ বা ইঞ্জিনিয়ার রাজনৈতিক নেতা বা মন্ত্রী চাপ দিলেই যা খুশি তাই পার চেজ করবে? বরঞ্চ তার যুক্তি হবে, নিন্ম মনের ওষুধ খেয়ে লোক মরলে আমাকেই জেলে যেতে হবে বা ব্রিজ ভেঙ্গে পড়লে আমাকেই দায়ী করবে।
    সমস্ত ক্ষেত্রেই আমলারা উনিশ বিশ করতে পারে কিন্তুক একটা ব্যালান্স মেন টেইন করতেই হ য়। সীমারেখা থাকে।
    যেখানে যতো জটিলতা সেখানে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে ততো ভালোভাবে এসব জিনিস এড়ানো যায়।
    কিং ফিসার এর ঋণের সময় ও দেখা গেছে বরং বার রিফিনানস করা হয়েছে, এটা জানা সত্বেও যে এই ঋণ পরিশোধ যোগ্য নয়।
    টাটা কোম্পানি যখন কোরাস স্টিল কোম্পানি অধিগ্রহণ করে। তখন বিশ্বের তাবর ব্যাংক গুলো ঋণ দিতে অস্বীকার করা সত্বেও স্টেট ব্যাংক লোন দিয়েছিল।
    এরকম হাজার হাজার ঘটনা আছে। কিছু ঋণ খেলাপি মাঝারি কোম্পানি ও আছে।
    ব্যাঙ্কের রুল যদি এতই জটিল হবে ও আধিকারিক র যদি এতই কর্মদক্ষ হবে, তাহলে একটা ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ পৌনে দুলাখ কোটি তে পৌঁছয়? সৎ না অসৎ সেতো ভবিষ্যতে কোনও তদন্ত হলে বা সিবিআই ইনকোয়ারি
    হলে জানা যেতে পারে।
    এখন অবধি যা অবস্থান, জানা জানি হলে, সরকার লাখ লাখ কোটি ট্যাক্স পেয়ার এর টাকা দিয়ে বেইল আউট করবে। টেকেন ফর গ্র্যান্টেড।
    শুধু শুধু বণিকরা দেশ চালাচ্ছে এমন সরল উক্তি করে কি লাভ হচ্ছে?
    আর একটা উল্লেখ যোগ্য ঘটনা হলো এই বিপুল পরিমান এন পি এ এক্যুমুলেট করেছে ২০০৮ সাল অন ওয়ার্ডস। প্রথম পাঁচ বছর পি এম ছিলো মনমোহন ও অর্থ মন্ত্রী ছিলেন প্রণব বাবু ও চিদু বাবু। প্রত্যেকেই যোগ্য ও বিচক্ষণ ব্যক্তি সন্দেহ নেই।
    সুতরাং বর্তমান সরকার এর ওপরসব কিছু চাপিয়ে দিলে সত্যের অপলাপ হয়।এটুকু খেয়াল রাখলেই যথেষ্ট।নয় তো
    ভজন গাওয়াই যায়, সকলই তোমার ইচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন