এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • অপমানের ইতিবৃত্ত

    শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩১ মে ২০১৮ | ১৭১১ বার পঠিত
  • চারটে বাচ্চা হয়েছিল। সাদা কালো পশমের বলের মতন। ভাল করে হাঁটতেও পারত না। দাঁড়াতে গেলে পা বেঁকে যেত। তুরতুর করে ছুটে ছুটে গলির এই ধার থেকে ঐ ধার করত তারা । তাদের নেড়ি-মা ডাস্টবিন, হোটেলের আশপাশ, হাসপাতালের ময়লা জঞ্জাল আবর্জনা ঘেঁটে যদি কিছু পেত, মুখে করে নিয়ে আসত। রাত্রিবেলায় মায়ের পেট ঘেঁষে ঘুমোত চারখানা চোখ সবে ফোটা বাচ্চাগুলো।

    গতকাল একটা তীব্র স্পিডে ছুটে আসা সুইফট ডিজায়ার দুটো বাচ্চাকে মাড়িয়ে দিয়ে গেল। রাস্তার ওপরেই খেলা করছিল তারা। গাড়ির আওয়াজ বুঝে সাবধানী এবং সচকিত হবার মত অভিজ্ঞতা ছিল না। গাড়িটাও, চাইলে স্পীড কমাতেই পারত। গলির মধ্যে আর কত স্পিডেই বা গাড়ি চালানো সম্ভব! দেখতে পায়নি এমনও নয়, কারণ তখন দুপুরবেলা। হয়ত, দেখতে পেয়ে গতি হালকা কমিয়ে দুখানা হর্ন দিতে পারত। অথবা স্টিয়ারিং হালকা বাম দিকে ঘুরিয়ে দিলেও কাজ চলে যেত হয়ত। কিন্তু, সম্ভবত দাঁড়াতে চায়নি। সম্ভবত, তার অনেক তাড়া ছিল। অথবা হতেও পারে যে দুটো রাস্তার কুকুরছানার জীবন তার অভীষ্ট লক্ষ্যের তুলনায় খুবই তুচ্ছ ছিল। অথবা হয়ত কিছুই না। রাস্তার কুকুরকে চাপা দেওয়াটাই হয়ত সেই আরোহীর নেশা। যে কোনও কারণেই হোক না কেন, বাচ্চাগুলোকে পিষে দিয়েই এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে রুদ্ধ্বশ্বাসে দৌড় লাগাল নিজের গন্তব্যে।

    রক্তে আর কাদায় থ্যাঁতলানো দুখানা অসহায় শরীর পড়ে ছিল অনেকক্ষণ। মানুষজন নাকে রুমাল চাপা দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিল। একটু সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছিল তাদের। কারণ, দুপুর থেকে নিঃশব্দে বাচ্চাগুলোকে ঘিরে বসে ছিল তিনটে পূর্ণবয়স্ক কুকুর, যাদের মধ্যে একজন ছিল শাবকদের মা। তারা আওয়াজ করছিল না, কাঁদছিল না, ক্রোধ প্রকাশও করছিল না। শুধু নিঃশব্দে বসেছিল। সেটাই তাদের শোকপ্রকাশের ভাষা কি না, কেউ জানত না। কিন্তু পথচারী মানুষদের মনে হয়েছিল, কুকুরের এই নৈঃশব্দকে ভাঙবার মত চটুলতা তারা এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। তাই সেদিন সেই জায়গায় সন্ধ্যেবেলার প্রাত্যহিক আড্ডাটা বসেনি। একটু দূরে দাঁড়িয়ে জটলা করছিল লোকজন। আর নীরব কুকুরের দল পাহারা দিয়ে যাচ্ছিল শাবকদের মৃতদেহ। পরে, সম্ভবত মেথর এসে বাচ্চা দুটোকে ভ্যাটের গাদিতে ফেলে দিয়েছিল। বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল তাদের । চোখ বন্ধ। সেখানে পিঁপড়ে জমছে। তারা তুলতুলে শাবকচক্ষুর মিষ্টি স্বাদ গ্রহণ করতে চেয়েছিল। পিঁপড়েরা যদি সেই চোখ খুলে দিতে পারত, তাহলে সেটাকে কাঁচের তৈরি মৃত পুতুলের চোখের মত লাগা অস্বাভাবিক ছিল না। সেই স্বচ্ছ কাঁচের প্রতিবিম্বে হয়ত তখন এসে ঠিকরে পড়ত আকাশ, সাউথ সিটি, নক্ষত্রমণ্ডলী, কালপুরুষ, আনওয়ার শাহ রোড ফ্লাইওভার।

    দু'টি বাচ্চা মেয়ে, একজনের বয়েস ষোল, অপরজনের বয়েস বছর আট-নয়। ষোড়শীর আবার একটা বাচ্চা আছে, বছরখানেক বয়েস। তাকে কোলে নিয়ে কাজের সন্ধানে আসত ঘুটিয়াড়ি শরীফ থেকে। কলকাতায় তাদের বাসস্থান বলতে রাস্তার ধারে যে বড় বড় পাইপগুলো হয়, তার ভেতর। শতচ্ছিন্ন ময়লা জামা পরা দু'টি মেয়ে। বাচ্চাটির মাথা ন্যাড়া, গোল মুখ থেকে জিভটা বেরিয়ে থাকে অল্প। কোমরে ঘুনসি, কপালের এক ধারে কালো টিপ। একটি কলোনি পাড়ার গলিতে একদিন ভোরবেলা তারা ধরা পড়ে। অভিযোগ, তারা নাকি কোন বাড়ি থেকে মোবাইল চুরি করেছে। মানুষজন একত্র হয়ে প্রচণ্ড মারা হয় মেয়েগুলিকে। প্রায় গণপিটুনি। ভয়ে, অপমানে এবং ব্যাথায় আট বছরের মেয়েটি বমি করতে থাকে । যেটা বলবার, অত মার খেয়েও ষোড়শী কিন্তু তার কোলের বাচ্চাটিকে কাছছাড়া করেনি। ফলস্বরূপ যেটা হয়, মা-কে এভাবে মাটিতে চুলের মুঠি ধরে আছড়িয়ে মার খেতে দেখে ভয়ংকর আতংকে কিছু না বুঝেই চিল চিৎকার করতে থাকে কোলের শিশুটি। পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এবং থানায় গিয়ে আবিষ্কার হয় যে গতরাত থেকে শিশুটি অভুক্ত আছে, কারণ তার কিশোরী মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে গিয়েছিল। গতদিন কোনও কাজ জোটেনি বলে খাদ্যের সংস্থান করাও সম্ভব হয়নি। কাজেই, শিশুটির কান্না যদি ভয় পেয়ে নাও হয়ে থাকে, খিদের চোটে হতেই পারত। সেই ক্ষুধার্ত শিশুটি, কুকুরশাবকদের মতই যার আস্তানা হলেও হতে পারত ভ্যাটের আস্তাকুঁড়ে এবং যার নরম মৃত চোখে স্বচ্ছ আকাশ উছলে পড়বার সম্ভাবনা তৈরি হতে হতেও হয়নি, তার এক বছর বয়েস হবার আগেই পুলিশ গারদ দেখা হয়ে গিয়েছিল।

    শীতের কলকাতায় রাস্তার ধারে জ্বলতে থাকা আগুনে গা সেঁকে নেওয়া ফুটপাতবাসী, ভ্যাবাচ্যাকা কুকুরের দল, ফ্লাইওভারের নিচে রাত কাটানো পরিবার, আসলে এরা সকলেই খুব ভয়ে থাকে । গড়িয়াহাটের ভিড়ে অনায়াসে কুকুরের পেটে পা উঠে যায়। রাত্রিবেলার মাতাল গাড়ির ছুটন্ত স্পিড দিক ঘুরিয়ে দিতে পারে ফুটপাতে। সাউথ সিটির ঝকঝকে কাঁচে নিজেদের ছায়া পড়লেও এরা দেখে ভয়ে সিটিয়ে যায়। কলকাতার মতনই আর একটি শহর, পুণে-র অভিজাত রাস্তা কোরেগাঁও পার্কের একটি ম্যাকডোনাল্ডের পাশে একদিন এক তরুণী মা ভিক্ষে করছিল। কোলের বাচ্চাটি ঘুমন্ত। সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের দেখে পয়সা চেয়েছিল সে । আমার বান্ধবী বলল, 'পয়সা দিই না। ম্যাকডোনাল্ডে চলো, তোমার বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছি'। মেয়েটি খুব ভয় পেয়ে উত্তর দিল 'না দিদি। ভেতরে ঢুকব না। একবার ঢুকে পড়েছিলাম, সিকিওরিটি মারতে এসেছিল। ওদের চোখ মুখ, আর ভেতরে যারা বসে থাকে, কী ভাল ভাল জামা পরা, ওদের দেখে ভয় লাগে। তুমি খাবার কিনে এনে দাও, এখানেই খাব।" আমার তখন মনে পড়ছিল, কলকাতার একটি অভিজাত আবাসনের কথা। সেই আবাসনের কোনও একটি ফ্ল্যাটে যে কাজের মাসী আসতেন, তিনি একবার ফ্ল্যাটের কর্ত্রীর কাছে একটা চাদর চেয়েছিলেন। শীতকালে ঠাণ্ডা মাটিতে শুতে তাঁর মেয়েদের খুব কষ্ট হয়। চাদর দেওয়া হল। মাসী তখন বললেন, 'দিদি, তুমি একটা কাগজে লিখে দাও যে আমাকে চাদর দিয়েছ। নাহলে গেটের কাছে সিকিওরিটি ধরবে। ওরা প্রতিদিন বেরোবার আগে আমাদের সার্চ করে, কিছু চুরি করেছি কি না দেখতে। আমরা তো বস্তিতে থাকি, তাই আমাদের অপর প্রতিদিন সার্চ করবার অর্ডার দেওয়া আছে"।

    সেই মাসীর চোখে মুখে যে অপমান আমি দেখেছিলাম, আর পুণে-র রাস্তায় সেই তরুণী মায়ের গলায় যেই অপমান, তাদের দুজনেরই মূলে আছে ভয়। ভয় পেতে পেতে, পেতে পেতে সেই ভয়ের মধ্যে অন্তর্নিহিত অপমানের যে নির্যাসটুকু আছে, সেটাকে ধকধক করে নিজের মধ্যে জ্বলতে দেওয়া। দিনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত সেই অপমানকে চাটতে চাটতে অবসন্ন হয়ে একসময়ে ঘুমিয়ে পড়া। ফুটপাতের চটের ওপর শুয়ে শেষ রাতের আধো ঘুমে স্বপ্ন দেখা--কলকাতার নোংরা আকাশ থেকে নেমে আসা একটা পরি পেঁয়াজ-মুলো মাখা একথালা মশলা মুড়ি আর আধমালা নারকেল নিয়ে এসে সামনে রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, আর বলছে `খা, পেটভরে খা`। এবং সেই স্বপ্নের মধ্যেও পরবর্তী অপমানটুকুর অপেক্ষায় সজাগ থাকা। কেননা যে কোনও মুহূর্তেই একটি বাঘালো বুলডোজারের নিপুণ দাঁত ঘুমজলে ডুবে থাকা ঘাড় কামড়ে তিরতিরে মুরগিছানার মত ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে উন্নয়নের ভ্যাটে।

    উন্নয়ন, ত্রিশূল মিছিল, ফ্লাইওভার, হাইরাইজ, শপিং মল, হুংকার, হুংকার, হুংকার--- বড়লোকদের হুংকার। দামি মোবাইল ফোনের হুংকার। আইনক্সের হুংকার। 'ডু ইট নাউ', 'রাস্তার ধারের উন্নয়ন', 'বেঙ্গল বিজনেস সামিট', 'আচ্ছে দিন'-এর হুংকার। এত এত হুংকারে যদি মধ্যরাতের কলকাতায় ভীতু কুকুরের ডাক চাপা পড়ে যায়, যদি ঊষা কারখানার ছাঁটাই হওয়া বুড়ো শ্রমিক খুচরো পয়সা জমিয়ে জমিয়ে স্ত্রী-এর ক্যান্সারের দামী ওষুধ কিনতে গিয়ে ঝাঁ-চকচকে ড্রাগ স্টোরস থেকে গলা ধাক্কা খায়, তাহলে সে কীসের কলকাতা? বসন্তের কোকিল কাশবে, কেশে কেশে গলায় রক্ত তুলবে, সে কীসের বসন্ত?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ মে ২০১৮ | ১৭১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | 125.96.141.219 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ০৪:০২83750
  • মর্মান্তিক ! তবে সত্যিই তো, কিসের তবে এই এই ঝাঁ চকচকে মেট্রোপলিস ! গুরগাঁওয়ের মতো ঘটনার জন্য যেন দমবন্ধ প্রতীক্ষা আর ঘুঁটে সাজানো চলছে।
  • শেখর | 52.110.165.93 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ০২:৫৯83757
  • যে সমাজে এতো বৈষম্য সেখানে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে থাকা লোকজনদের প্রতিনিয়তই এমন অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয় | এটাই নির্মম বাস্তব | তবে কী বৈষম্য দূর হলেই রাতারাতি সব পাল্টে যাবে ? ইতিহাস কিন্তু তা বলে না | যারা বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, যারা এনিয়ে মাইকে থুথু ছিটিয়ে প্রঞ্জা ভাষণ দেন, তারা যদি নিজেদের না পাল্টান তবে দুনিয়া পাল্টাবে কী করে ?
  • Kakali Sinha Roy. | 116.202.165.189 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ০৭:৩৩83751
  • মন খারাপ করা সত্য।
  • শক্তি | 116.203.168.195 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ০৮:০৬83752
  • সত্য, বাস্তব এতো কঠিন এতো করুণ
  • রৌহিন | 116.203.176.183 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ০৯:২২83753
  • হ্যাঁ। উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।
  • কল্লোল লাহিড়ী | 127.194.8.57 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ১০:০৮83754
  • শাক্যজিৎ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ লেখা। গুরুত্ত্বপূর্ণ সময়ে। তবে যে অপমানের কথা তুমি বলেছো। যে নিন্মবিত্ত শ্রেনীর অপমানের কথা বলেছো এটা ইতিহাসের আদি ও অকৃত্রিম অপমানের কথা। এটা রিপিটেশান করেই সময় শুধু ক্ষান্ত থাকে না। করেই চলে। করেই চলে। আমরা সেই পুনরাবৃত্তির শরিক হই। যেহেতু আমাদের হাতে ক্ষমতা নেই। যেহেতু আমরা ভয়ে থাকি। আর যখন ক্ষমতায় আসি তখন ভয় দেখানোটা আমার কাছে উন্নয়নের স্বার্থে হয়। ভারতের সব রাজনৈতিক দল এই বিশ্বাসে খুব বেশী পরিমানে বিশ্বাস করে। তারমধ্যে তারতম্য থাকে বইকি। কিন্তু যেটা বলতে চাইছিলাম। আমলাশোলের ঘটনার পর আমি আর আমার বন্ধু সরকারী একটি কাজের বরাত নিয়ে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া আর পশ্চিমমেদিনীপুরের জঙ্গল বর্তী গ্রাম গুলোতে ঘুরেছিলাম প্রায় এক মাস। আমাদের হাতে ক্যামেরা ছিল। আমাদের সাথে গাড়ি ছিল। আমরা ওখানে যাঁরা বসবাস করছেন তাদের সেফ ছিলাম। আমরা তাদের গরিবীর কথা শুনছিলাম। আমরা দেখছিলাম তাদের হাড়িতে জুনারভাটা শেষ হয়ে গেলে বাচ্চা গুলো কাঁদে। আমরা দেখছিলাম একটা মশারি আর একটা কম্বলের দাক্ষিন্য তাদের কোন সাহায্য করেনি। বরং অপমান করেছে। জঙ্গল অধুষিত গ্রামে যে মেয়েটা স্বাধীনতার পর সেই গ্রাম থেকে প্রথম মাধ্যমিক পাশ করলো তার খবর আমরা কেউ রাখেনি। জানি না সে তারপর আর পড়তে পারলো কিনা। জানলাম না তার দাদা যে দুবছর আগে চেন্নাইতে কাজের জন্য গিয়ে নিখোজ হয়ে গিয়েছিল সে ফিরে এলো কিনা। যে গ্রামে ভাটিখানা চলে। সেই গ্রামে স্কুল বন্ধ থাকে। সেই ভাটিখানায় পড়ে থাকে স্কুলের মাষ্টার। তাকে খুজে প্রশ্ন করলে কেন যাওনা স্কুলে? সে বলে কেউ আসে না। অথচ আমরা গিয়ে দেখেছি বাচ্চা গুলো স্কুলের মুখে বসে আছে। বাড়ির লোকেরা বলেছে জঙলী পার্টি (পড়ুন মাওবাদী) এসে নাটক করে। কেন্দু পাতার দাম বাড়াতে বলে। কিন্তু স্কুল খোলার কথা বলে না। দুটকারা চাল একবার হাতে নিলে বোঝা যায় সেটা দয়া? দাক্ষিন্য? না লাঞ্ছনা? এবার আসি নিজেদের কথায়। শুধু সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের পরিচারিকা কেন? আমরাও তো নিত্য নৈমিত্তিক অপমানিত ও লাঞ্ছিত হচ্ছি। সব জায়গায়। মেট্রো থেকে শুরু করে সিনেমা হল। কাজের জায়গা থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কে টাকা রাখা। একটু যদি লক্ষ্য করি সেই অপমান গুলো নেহাত কম নয়। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। একদিন এক বাড়ির কাছের মাল্টিপ্লেক্সে ছবি দেখতে গেছি। যে ট্রাকশ্যুটটা পড়ে গেছি সেটা বেশ পুরনো। একটু রঙ ওঠা। গেঞ্জিটাও তথৈবচ। ঢোকার মুখে যে ধরনের খানা তল্লাশি হল সেটা ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্টকে হার মানাবে। তারপর যখন হলে বসে ছবি দেখছি। তখন হঠাত কোথা থেকে এক সিক্যুরিটি এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। দাঁড়িয়ে থাকলো। আমি জানতে চাইলাম কোন অসুবিধে? সে বললো স্যার আপনার টিকিটটা একটু দেখবো। আমি এবার ক্ষেপে গেলাম। আর কতবার চেক-আপ করবেন? ছুটলাম তাদের ম্যানেজারের ঘরে। আমি বললাম এক্ষুনি কমপ্লেইন করতে চাই। ভদ্রলোক ক্ষমা চেয়ে নিলেন। শেষ করবো যেটা দিয়ে সেটা আমার জীবনের শুধু নয় আমার পারিবারিক জীবনের হয়তো অপমানিত হবার শেষ এবং চূড়ান্ত ক্লাইমেক্স এখনও পর্যন্ত। আমার বাবা শিক্ষকতা করতেন। রিটায়ার করেছিলেন। ৯৬ সালে। ৯৮ সালে তখনও বাবার পেনশান শুরু হয়নি। প্রত্যেক মাসে বাবার অনেক টাকার ওষুধ লাগে। আমি অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ছুটছি পেনশান অফিস। জেলা থেকে সদর সব। এক অফিসার আমার সেই মৃতপ্রায় বাবার সামনে বলেছিলেন আপনারা শিক্ষকরা হলেন রক্তবীজের বংশধর। সব দিয়েও আপনাদের শেষ করা যায় না। শাক্যজিৎ প্রতিজ্ঞা করেছিলাম দেবো না স্কুল সার্ভিসের পরীক্ষা। কোন দিন না। বাবা তারপর আর দু-মাস বেঁচে ছিলেন। না তিনি দেখে যাননি পেনশান। জ্যোতিবাবু তখনও মুখ্যমন্ত্রী। রাইটার্সে একটা গালভরা ডিপার্টমেন্ট ছিল পাবলিক গ্রিভিন্স সেল। দশটা চিঠির একটাও উত্তর মেলেনি। একটু অগোছালো লেখা হলো। আসলে তোমার লেখা আমাকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলো। ভালো থেকো।
  • | 52.108.244.88 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ১১:০০83755
  • এই এই কল্লোল লাহিড়ির মালটিপ্লেক্সের। অভিজ্ঞতা - এইটাই আমি লহরী বিগবাজার প্রসঙ্গে বলছিলাম। একটু ময়লা বা এলোমেলো জামাকাপড় একটু অগোছালো লোকজন দেখলেই সিকিউরিটিরা প্রচন্ড হ্যারাস করার চেষ্টা করে। মেয়ে হলে একটু বেশিই করে।
  • Sumit Roy | 113.244.13.59 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ১১:৪১83756
  • কুকুরের সাথে মানুষের একটা বিশেষ বন্ডিং আছে যা হিউম্যান-ক্যানাইন বন্ড নামে পরিচিত। ১৫ হাজার বছরের পূর্বে মানুষ আর কুকুরের মধ্যে এই বন্ডিং তৈরি হয়েছে। মানুষ আর কুকুরের বিবর্তন পাশাপাশি হয়েছে, যেকারণে এরা কালক্রমে একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠেছে। আর বিবর্তনের সেই লম্বা পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে এই ক্যানাইন বন্ধুটির আবেগ, মেজাজ বুঝবার সক্ষমতাও অর্জন করেছি, যেমন আমাদেরকে বোঝার সক্ষমতা অর্জন করেছে তারা। গবেষণা তাই বলছে। কুকুরের সাথে এই বন্ধন অন্যান্য গৃহপালিত পশু যেমন গরু ছাগলের সাথে বন্ধন থেকে ভিন্ন। গরু ছাগলের সাথে আমাদের বন্ধন তৈরি হয় শিকার সংগ্রাহক সমাজ থেকে কৃষি সমাজে আসার পর এদের গৃহপালিত পশুতে পরিণত করার পর। কিন্তু ততদিনে পুরুষ মানুষের জিনে ঢুকে গেছে শিকারের প্রতি নেশা, এখন এই প্রোটিন সোর্সদেরকে গৃহে পালনের ফলে মানুষের শিকারের বাসনা সেটিসফাইড হচ্ছে না, তখন শুরু হল বলি উৎসব, বিভিন্ন উৎসবে পশুবলির মাধ্যমে মানুষ তাদের শিকারের আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করত। কালক্রমে সেটা ধর্ম, স্পিরিচুয়ালিটির সাথে যুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু কুকুরের সাথে মানুষের বন্ডিং এরকম ছিল না। কুকুর বরং ছিল মানুষের শিকারের সাথী, তাই এর সাথে মানুষের বন্ডিংটা ছিল আরও গাঢ়।

    যাই হোক, এই যে মানুষ আর কুকুর একে অপরের ইমোশন, মেজাজ বুঝতে শিখেছে বিবর্তনের ধারায়, এটা একই সাথে সাজেস্ট করে যে মানুষের ভেতরকার এমপ্যাথি বা সমানুভূতির সাথে কুকুর নিয়ে অনুভূতি, কুকুরের প্রতি ভালবাসা ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত। আর তাই আমার মনে হয় মানুষ কুকুরের সাথে কিরকম ব্যবহার করছে তা তার এমপ্যাথির একটি ইন্ডিকেটর হতে পারে। আমি বলতে চাচ্ছি, নগরের মানুষ নগরের কুকুরদের প্রাণ নিয়ে ভাবছে না, খেয়াল করছে না, এসব নগরের নাগরিকদের এমপ্যাথি ডেফিসিটের সূচক হতে পারে। সেই সাথে হোমলেসদের প্রতি দয়া না থাকা, সামান্য কিছু চুরি করলে অনেক মারধোর করা, এগুলোও নগরের লোকদের এমপ্যাথি ডেফিসিট বা সমানুভূতির অভাবের সূচক।

    কেন শহরের লোকদের মধ্যে দিনকে দিন এমপ্যাথি হ্রাস পাচ্ছে? এটা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কেউ বলেন, নগরের লোকেদের কমোডিটি ফেটিশিজম বাড়ছে, এর ফলে তারা মেটারিয়ালিস্টিক বস্তুগুলোতে অনেক বেশি জড়িয়ে যাচ্ছেন, মানুষ আরও ডিজেনারেটেড হচ্ছে, আর এইসব লেসার হিউম্যানদের মাঝে সোশ্যাল এক্সেপ্টিবিলিটি বাড়ানোই মানুষের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠছে, তাই এমটা হচ্ছে।

    কেউ বলছে এটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে ভারচুয়াল জগতকে বাস্তব ভাবতে শেখাচ্ছে। এরকারণে মানুষ আস্তে আস্তে এই দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে, আর বাস্তব জগতের গুরুত্ব কমে আসছে। মানুষ তাদের এম্প্যাথির সর্বোত্তম ব্যবহারটা করছে ফেইসবুকের কিউট পাপিদের ছবিতে লাইক দিতে, কিন্তু বাস্তব জগতের কুকুরদের প্রতি এমপ্যাথি কমে যাচ্ছে। হোমলেস মানুষের ভোগান্তির নিউজ শেয়ার করছে, কিন্তু বাস্তব জগতের হোমলেসদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না।

    অনেকে বলছে, এর কারণ ওভারপপুলেশন। এই ওভারপপুলেশনের কারণে সীমিত সম্পদের উপর কম্পিটিশন অনেক বেড়ে গেছে। আর এই কম্পিটিশন মানুষকে আস্তে আস্তে অধিক মাত্রায় স্বার্থপর করে তুলছে। এর ফলে আমরা আরও বেশি করে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি, আর আমরা একটা কমিউনিটির অংশ, সেটা ভুলে যাচ্ছি। নগরায়ন যে ক্রাইমরেট বাড়িয়ে দেয় সেটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। নগরে ক্রাইম রেট বাড়ার সাথে সাথে সীমিত সম্পদের উপর প্রতিযোগিতার বিষয় থাকে। হোমলেসনেস বা গৃহহীনতা এবং এম্প্যাথি ডেফিসিট বা সমানুভূতির অভাব এক্ষেত্রে একই বিষয় থেকে উৎসারিত।

    আরও একটা নতুন কারণ এর কথা শুনছি। কেউ কেউ বলছে মিডিয়ায়, চলচ্চিত্রে প্রোটাগনিস্টদের মধ্যে অনেক নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে, আবার অনেকসময় খলনায়কদের গ্লোরিফাই করা হচ্ছে (উদাহরণ ধুম ২), এগুলোও মানুষের এম্প্যাথি কমিয়ে দিতে পারে।

    মানুষের এই এমপ্যাথির অভাবের মোকাবেলা করার জন্য অনেক নতুন পথের সন্ধান করতে হবে, কিভাবে মানুষে মানুষে সম্পর্ক বাড়ানো যায়, কমিউনিটিকে শক্তিশালী করা যায়, কমিউনিটি ফিলিংস দৃঢ় করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। কিন্তু এখানে কেবল মানুষকেই দোষ দেয়া যাবে না। রাষ্ট্র, কর্তৃপক্ষের অনেক কিছুই করার আছে। রাস্তার কুকুরের জন্য এনিমেল শেল্টারের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু ব্যবস্থাই নয়, ভালোভাবে ম্যানেজ করার জন্য নতুন টেকনোলজির ব্যবহারও করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র একটি উন্নত দেশ। সেখানে প্রতি বছর ৬ থেকে ৮ লাখ রাস্তার কুকুরকে এনিমেল শেল্টারে নিয়ে আসা হয়, আর এদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ লাখকে ইউথ্যানাসিয়ায় হত্যা করা হয়। বর্তমানে ডোমেস্টিক পেটের ওভারপপুলেশন সমস্যা দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এটা কমিয়ে আনার জন্য এফেক্টিভ মেজার বের করতে হবে। কুকুরদের সন্তান সংখ্যা কিভাবে কম রাখা যায়, ভেসেকটমি বা অন্য কোন উপায় গ্রহণ করা যায় কিনা তা উন্নত-উন্নয়নশীল-অনুন্নত সব দেশের জন্যই মাথাব্যাথা হওয়া উচিৎ।

    হোমলেসনেস এর জন্যেও কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে। এখন গ্রীন গার্ডেন মুভমেন্ট সহ আরও অনেক পরিকল্পিত নগরায়ন পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কেবলমাত্র নগরকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা এই সমস্যাগুলোর সমাধান করবে না। গ্রাম থেকে শহরের দিকে মানুষের যে ঢল আসছে, আর হোমলেসনেস তৈরি করছে তার সমাধানের জন্য দরকার ইন্টিগ্রেটেড পরিকল্পনা, যেখানে নগরের সাথে গ্রামের উন্নয়নও জড়িত থাকবে, মানুষের মধ্যকার ইকুইটি বৃদ্ধি পাবে, তাদেরকে নগরে আর আসতে হবে না। গ্রাম-শহর, সেন্টার-পরিফেরি এর মধ্যে ব্যবধান কমাতে হবে। হতে পারে, ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ তৈরি করা গেলে মানুষ হয়তো এখন যেভাবে কম্পিটিশন অনুভব করছে, সেরকম করবে না, হয়তো এর ফলে তাদের এমপ্যাথিও বৃদ্ধি পাবে। মানুষের সাথে কুকুরের বন্ডিং জীববিজ্ঞানগত। কুকুরের প্রতি ভালবাসার একটা জীববিজ্ঞানগত আকাঙ্ক্ষা আছে মানুষের মধ্যে। এই আকাঙ্ক্ষাকে ব্যবহার করার উপায় খোঁজা উচিৎ। স্ট্রিট ডগদের এনিমেল শেল্টারে নিয়ে তাদের আদর যত্ন করে যদি মানুষের হাতেই তুলে দেয়া যায়, তাহলে হয়তো স্ট্রিট ডগের শেল্টারের অভাবের সমস্যাও কমবে, এদিকে মানুষও কুকুরদেরকে নিয়ে তাদের এমপ্যাথি বৃদ্ধি করতে পারবে। হয়তো সমাজটাই এরফলে বদলে যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন