এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • “সালাফী সেক্যুলার” ও “সুফি সেক্যুলার” দ্বন্দ্বঃ ইসলামকে উদারভাবে প্রচার করে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদকে ঠেকানো যাবে?

    সুষুপ্তু পাঠক লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২১ মে ২০১৫ | ২৪৮৬ বার পঠিত
  • আজকের বিশ্বে ইসলাম ধর্ম নিয়ে যত লেখালেখি হয়, যতখানি ভাবতে হচ্ছে, সেমিনার, সম্মেলন, গবেষণা করে জানতে চাওয়া হচ্ছে ইসলামকে কিভাবে উগ্রতা থেকে উদার ও সহনশীল করে তরুণ-যুবাদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়- তার এক পার্সেন্টও অন্য কোন ধর্মকে নিয়ে করার প্রয়োজন পড়েনি। ইসলাম ধর্মের উদারপন্থি যেমন আছে তেমনি কট্টরপন্থিও আছে। অন্য ধর্মেও এরকম বিভক্তি দেখা যায়। তবে তারা একে অপরকে “অখ্রিস্টান” বা “অহিন্দু” টাইপ কিছু ঘোষণা করেন না। একে অপরকে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত করেন না। ইসলামে এটা নিত্য সহা এক সত্য। রোজ এক দল নিজেদেরকে প্রকৃত ইসলাম অনুসারী ও বিপক্ষকে ইসলাম থেকে খারিজ বলে দাবী করেন। ইসলামের হাজারো পন্থির  সকলের একই কুরআন, একজনই নবী মুহাম্মদ, প্রত্যেক পন্থিদেরই আল্লামা, শাইখুল হাদিস আছেন। তারা আপনাকে কুরআন থেকে দেখিয়ে দিবেন একমাত্র তারাই প্রকৃত মুসলমান ও ইসলাম অনুসারী। নবী মুহাম্মদকে তারাই অক্ষরে অক্ষেরে পালন করেন। আপনার আমার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যে আপনি আমি একজন মুসলমান হিসেবে কাদের খপ্পরে পড়বো সেটা নির্ভর করে সেই অঞ্চলে কারা ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন তাদের উপর। বলা হয় বাংলাদেশের বাঙালী মুসলমানরা উদারপন্থিদের হাতে ইসলাম গ্রহণ করায় তারা চরিত্রে ছিল উদারভাবাপন্ন। সময়ের ফেরে উগ্রবাদীদের ব্যাপক প্রচার ও তাদের সংস্পর্শের আসার কারণে গত ৩০-৪০ বছরে বাংলাদেশের উদারপন্থি মুসলিমরা দিনকে দিন উগ্রপন্থি মুসলিমে পরিণতি হচ্ছে। যদিও ভারতবর্ষের উদারপন্থি বলে পরিচিত সুফিদের (যারা এই অঞ্চলের মানুষকে ধর্মান্তকরণ করেছিল) সম্পর্কে যে ইতিহাস আমরা জানি-তারা উদার ইসলামের অনুসারী ছিলেন- তা সঠিক নয়। যাই হোক, সুফিদের ইতিহাস বলার জন্য এই লেখা নয়, এমন কি ইসলামের কোন পন্থিকেই ইসলামের একমাত্র আসল পক্ষ বলা বা কোন একটা পক্ষকে ধরে নিয়ে ইসলামের সমালোচনা করারও উদ্দেশ্য এই লেখার নেই। এই লেখায় আসলে বলার চেষ্টা করা হবে- কেমন করে ইসলামের জিহাদী, আনসারুল্লাহ বাংলাটিম টাইপ চাপাতি ইসলামকে মোকাবেলা করা সম্ভব। আদৌ সম্ভব কিনা? কেমন করে জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলা জিহাদী ইসলামের প্রসার ঠেকানো যায়।…

    সারা দুনিয়াতেই এই সমস্যার একটি সমাধান খোঁজার জন্য প্রাণন্ত চেষ্টা চলছে। নানা মুণির নানা মত। অতিতে খ্রিস্টান চার্চের এইরকম উগ্র ও জিহাদী চেহারা বিশ্ব দেখেছে। কিন্তু সেসব সরাসরি খ্রিস্টের বাণী ছিল না। বাইবেলকে অবমাননা, একই বিষয়ে বাইবেলের ব্যাখ্যা ব্যতিত ভিন্ন ব্যাখ্যা (যেমন- মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে-সূর্য কেন্দ্রিক সৌরজগত নিয়ে), বিধর্মীদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে এসব চালানো হয়েছিল। এটা ছিল মহান খ্রিস্টান ধর্মের অবমাননাকারীদের বিচার করা একজন খ্রিস্ট প্রেমি হিসেবে। যীশুর কোন নির্দেশকে মান্য করতে নয়। কিন্তু ইসলামী জিহাদীদের হাতে আছে নবী মুহাম্মদের বাণীর দলিল। তাদের জিহাদ, কোপাকুপি, গণিমতের মাল লুটপাট, বিধর্মী নিধন বিষয়ে মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের বাণীর স্পষ্ট দলিল! এখন এই “স্পষ্ট বাণীর দলিল” নিয়ে মতান্তর আছে। এই মতান্তর বাণীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে। একদল বলেন কুরআনের সব কিছু আক্ষরিক অর্থে নেয়া যাবে না। এসব রূপক হিসেবে এসেছে। কোথাও ভিন্ন অর্থ করা হয়েছে । এই ব্যাখ্যাগুলোর উদার ও উগ্রতা নির্ভর করে একজন আলেমের ইসলামী বিশ্বাসের উপর। এটি কিন্তু খুবই ভয়ংকর কথা! ইসলাম ধর্ম একটি ছুরি যেটাকে দিয়ে আপনি সবজি কাটার কাজে ব্যবহার করতে পারেন আবার মানুষ মারার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন! দুনিয়ার অন্য ধর্মের বাণীকে নিয়েও এরকম উদার ও উগ্র ব্যাখ্যার নজির থাকতে পারে কিন্তু সেটা কখনোই মানুষ খুন করার বিষয়ে গিয়ে পড়ে না। এর মানে হচ্ছে ইসলামী জিহাদী তথা রাজনৈতিক যে ধারা ইসলামে আছে সেটি অন্য ধর্মে ঈশ্বর ও পয়গম্বরের সরাসরি বাণী হিসেবে নেই। এজন্য “খ্রিস্টান রাষ্ট্র” বা “রামরাজ্য” মোটেই ঐ ধর্মগুলোর সঙ্গে জড়িত নয়। যীশুর বাণী বলে যা আমরা জানি সেখানে কোথাও রাজনৈতিক বক্তব্য নেই। যীশু বলছেন না তোমরা ঈশ্বরের রাজ্য গঠন করে খ্রিস্টিয় বিধিবিধান কায়েম করো। কাজেই খ্রিস্টান মৌলবাদী দল বা সংগঠন প্রধানত সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে উসকে দিয়ে, অন্য জাতি বা সম্প্রদায়কে নিজেদের জন্য হুমকি স্বরূপ এরকম উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচারই তাদের সার - সরাসরি প্রভু যীশুর নির্দেশ বলে কিছু চালানোর সুযোগ নেই। ইউরোপের পাত্তাহীন কিছু খ্রিস্টান মৌলবাদী দলগুলোকে মূলত ক্রমশ বর্ধিত অভিবাসী এশিয়ান ও মুসলিমদের দেখিয়ে নিজেদের জাতীতাবাদী রাজনীতি চালাতে হয়। ভারতের “হিন্দুত্ববাদী” মূলত পাকিস্তানকে ঘিরে। অধুনা বাংলাদেশে ইসলামীকরণ ও মুসলিম মৌলবাদী উত্থান ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। হিন্দু মৌলবাদীরা প্রতিবেশী উগ্র মুসলিম পাকিস্তান ও আস্থাহীন মুসলিম বাংলাদেশীদের দেখিয়ে ভারতীয় জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হয়- ভারতকে তার নিজস্বতা ও আদি পরিচয় নিয়ই টিকে থাকতে হবে। খোদ ভারতের মুসলিম মৌলবাদের যে উত্থান ঘটেছে তাকে প্রটেস্ট করতে পারবে একমাত্র হিন্দুত্ববাদী দলই। অর্থ্যাৎ পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক। ধর্মীয় কোন প্রত্যাদেশ, আদিষ্ট, অবতার বাণী, ঈশ্বরের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস বাণী জাতীয় কোন শক্ত ভিত্তি নেই। এই ধরণের মৌলবাদকে ধর্মের মধ্যে থেকেই মোকাবেলা করা খুব সহজ। নিজেকে ধার্মীক সাজিয়ে, ধর্মের বিরুদ্ধে একটি কথাও না বলে এই মৌলবাদকে মোকাবেল করা সম্ভব। কারণ এসবের কোন ধর্মগ্রন্থীয় দলিলি প্রমাণ নেই। কিন্তু একজন বিশ্বাসী ইহুদীর “ইহুদী রাষ্ট্র” তার ধর্মীয় বিশ্বাস! এই রাষ্ট্রের “জাতির পিতা” স্বয়ং ঈশ্বরই হওয়া উচিত। ইতিহাসের ঈশ্বরের রাজনীতিতে নাক গলানো সম্ভবত এটাই প্রথম। এই ধারায় ইসলামও সর্বশেষ রাজনৈতিক একটি ধর্ম। ইসলামের একেশ্বরবাদীর অনুপ্রেরণা হচ্ছে ইহুদী ধর্ম। এ জন্যই ইসলামকে ইহুদী ধর্মের কপি-পেস্ট ধর্ম বললে অতিক্তি হবে না। নবী মুহাম্মদ ইহুদী ধর্ম থেকে দুহাতে গ্রহণ করেছেন। আরব প্যাগন ধর্ম ও ইহুদী ধর্মের মিশেল হচ্ছে ইসলাম। যেকারণে ইসলামেও আমরা দেখতে পাই ইসলামের নবী “ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করছেন। মক্কা বিজয়ের পর মুসলিমরা যে রাষ্ট্র গঠন করেন সেটা ইসলামী রাষ্ট্র। নবীর এই রাষ্ট্র গঠন করা ও সেই রাষ্ট্রের প্রিন্স হওয়ার নিয়েও কিন্তু ইসলামের উগ্র ও উদার গ্রুপের ভাষ্য ভিন্ন রকম। উদারবাদীরা ইসলামের এই রাষ্ট্রকে রীতিমত “ধর্মনিরপেক্ষ-সেক্যুলার রাষ্ট্র” ব্যবস্থা বলতেও দ্বিধা করেন না! যদিও এই দাবী সত্যি নয়। ইসলামের ইতিহাসকে নির্মোহভাবে পাঠ করলে সেটা স্পষ্ট বুঝতে সক্ষম হবেন যে কেউ।…

    আমরা এখন মূল আলোচনায় চলে এসেছি। অভিযোগ করা হচ্ছে, আমরা সেক্যুলাররা কেন ইসলামের উদার ব্যাখ্যাকে গ্রহণ না করে উগ্রবাদী সালাফীপন্থিদের ইসলামকেই ইসলামের একমাত্র সহি তরিকা হিসেবে ধরে নিয়ে ইসলামকে সমালোচনা করে যাচ্ছি? আমরাও কি তাহলে মৌলবাদীদের মত ইসলামকে প্রচার করছি না? তার বদলে ইসলামে সাম্য ও উদার হিসেবে চিহিৃত করে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক ইসলামকে মোকাবেল করা উচিত না? ইসলামের নিন্দা করে কোন মুসলমানের সমর্থন পাওয়া যাবে কি? বাংলাদেশের সেক্যুলাররা (যাদেরকে আজকাল বামপন্থিরা “নাস্তিক লেখক/ব্লগার” বলে এক ধরণের সম্প্রদায় ভুক্ত করতে চাচ্ছেন!) ইসলাম ধর্মের সালাফী ব্যাখ্যাকে একমাত্র সহি ইসলাম হিসেবে গণ্য করে এর সমালোচনা করে দেশের সাম্প্রাদায়িক-মৌলবাদী শক্তির এতটুকু নড়চড় করতে পারছে কি? 

    অভিযাগ কিন্তু খুব গুরুতর!...প্রথমে যেটা বলা উচিত এ বিষয়ে, ইসলামের ওহাবী মতবাদের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান রাস্তাই মুসলিমদের হজ পালনের উদ্দেশ্যেই মক্কা শরীফে গমন। আমাদের দেশে “হাজি সাহেব” চরিত্রটি অনেক প্রাচীনকাল থেকেই গোঁড়া রক্ষণশীল, যিনি নারীর পর্দার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করেন,  যিনি একধরণের ব্রাহ্মণ্যবাদীদের মত ছুৎমার্গ বেছে চলেন- এইরকম একটি ইমেজ হাজী সাহেবে চরিত্রটি জনমানসে গড়ে উঠেছে। এসবই ওহাবী সংস্পর্শের কারণ। প্রতি বছর যে হারে মুসলিমদের হজ পালনের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ইসলামের ওহাবী মতবাদ জনপ্রিয়তা কমানো  কোন সম্ভাবনাই নেই। যদি ভুল না করে থাকি ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরবে কোনকালেই সুফিবাদী বা এই ঘরনার কোন মতবাদ দানা বাধতে পারেনি। আমাদের মত দেশে আশির দশক থেকে নিম্নবিত্ত মানুষ পেটের দায়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে চাকরি করতে স্রোতের মত ঢল নামায়। দেশের বেকার সমস্যা কাটানো সহ রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে যেমন এই শ্রমজীবী মানুষের বিড়াট ভূমিকা তেমনি গ্রাম-গঞ্জে  ওহাবী ইসলামের তড়িকা অনুযায়ী ব্যক্তি জীবনের ইসলাম চর্চার ভূমিকায়ও তাদের বিড়াট অবদান! গ্রাম-বাংলার চিরচেনা ইসলামের জায়গায় দখল নিতে থাকে আরবী ইসলাম! যারা একদিন বয়াতী গান আর কবির লড়াই শীতের রাত জেগে শুনতো- তারাই একদিন এসবকে ত্যাগ করেছে “প্রকৃত ইসলামকে” জানতে পেরে। ইসলামে এইসব নফরামী-বেদাতীর স্থান নেই! বয়াতীদের বর্ণনা করা ইসলাম শিরকি!... গ্রামের যখন এই হাল তখন শহুরে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের খবর কি? সত্যি বলতে কি, শহুরে উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তের জিহাদী ইসলামে সংম্পৃক্ততা  আবিষ্কার না হলে সম্ভবত জঙ্গিবাদ-জিহাদী ইসলাম নিয়ে আমাদের মধ্যে অতখানি চৈতন্য এখনো হতো না। এই উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্ত ওহাবী সালাফী ইসলামের গ্রাসের শিকার হন মূলত ৯০-এর দশকে আফগান ফেরত মুজাহিদদের দেশে ফেরার পর। মুজাহিদরা এক সময় বুঝতে সক্ষম হন শুধু মাদ্রাসা ছাত্রদের দিয়ে ফয়দা হাসিল হবে না। এর সঙ্গে জুড়তে হবে মূলধারার যুবক-তরুণদের। মেধাবী ও আধুনিকমনা ছেলেদেরকে ইসলামের ছায়ার নিচে আনতে হবে। মাত্র কয়েকটা দশকেই তাদের সেই মিশন এতটাই সফল যে আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে এদেশের ইসলামী জঙ্গিবাদ নিয়ে!  খুবই বিস্ময়কর যে,  এতসব কিছু বাদ দিয়ে বামপন্থি, সুশীল বুদ্ধিজীবী থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপির মত মূলধারার রাজনৈতিক মতালম্বিরা দেশের উগ্রবাদী ইসলাম প্রসারের জন্য অনলাইন সেক্যুলার লেখক-ব্লগারদেরকেই দায়ী করা শুরু করলেন! অথচ শাহবাগ মুভমেন্ট না হলে এদের অনেকেই অনলাইন লেখালেখির কোন খোঁজ-খবরই হয়ত পেতেন না।  গোটা দেশে এই যে ওহাবী ইসলামীকরণের ইতিহাস সেটাকে আমলে না এনে অনলাইনে ব্লগে লেখা গুটি কয়েক সেক্যুলার লেখকরা উগ্রবাদী মৌলবাদীদের উত্থানে বিড়াট ভূমিকা রাখছে’ বলার পর কোন কোন মহলকে নিয়েই সন্দেহটা বেড়ে যাচ্ছে! “সালাফী সেক্যুলাররা” কারুর বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিচ্ছে না তো …।  

    পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্য নীতির কারণে ইসলামী জিহাদীরা আমেরিকা ও তার মিত্রদের শত্রু মনে করে। বামপন্থিদেরও অভিন্ন শত্রু তারা। বামরা তাই জিহাদীদের চলমান যুদ্ধকে সামাজ্যবাদী বিরোধী যুদ্ধ হিসেবেই দেখতে রাজি। ইউরোপে ইসলামী মৌলবাদীদের সঙ্গে বামপন্থিদের আঁতাতের গল্প অনলাইনে অত্যন্ত যৌক্তিক ও উচিত ও অনুকরণীয় কর্ম বলে বামপন্থিদেরকেই পরামর্শ দিলেন এক স্বঘোষিত বামপন্থি। উদাহরণ দিলেন ইউরোপীয়ান বামপন্থিদের। আজকাল গণহারে বাম ঘরানার বুদ্ধিবীজী-লেখক-তাত্ত্বিক নেতাদের মুখের বুলি শুনলে কিন্তু অভিযোগের সত্যতাকে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করে না। এই জন্যই কি ইসলামের নরমশরম চেহারাটিকে প্রচারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছ তারা? তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে আমি আমল দিতে রাজি নই। যদি সত্যিই এর মাঝে সমাধান থাকে ইসলামী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশের তাহলে সেই পথকে মেনে নিতে কোন সৎ ও সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক মৌলবাদ বিরোধী সেক্যুলার মানুষেরই দ্বিমত হবার কথা নয়। এখন তাহলে দেখি উদার ইসলামকে সমর্থন জানিয়ে একজন সেক্যুলার হিসেবে প্রকারন্তে একটি ধর্মকে সমর্থন জানিয়ে দেশের সেক্যুলার ও অসাম্প্রদায়িক সমাজের স্বপ্নকে কিভাবে অসুস্থ হলদেটে করে ফেলতে পারি। ইসলামের নবীকে যদি একজন অসাম্প্রদায়িক এবং মক্কা বিজয়ের পর তার উদারতার গল্পকে মিথ্যা জেনেও সমর্থন করি এবং প্রচার করি, উনার প্রতিষ্ঠা করা  ইসলামী রাষ্ট্রকে যদি সত্যিকারের সেক্যুলার-ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবী করি সমস্ত সিরাত-হাদিস গ্রন্থকে চেপে গিয়ে তার ফল কি হবে?  যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি মদিনা সনদের অধিনে দেশ চালাবেন- সেটা কি আমাদের কানে অসাম্প্রদায়িক-মৌলবাদ বিরোধী কোন ধ্বনি হয়ে ধরা দেয়? যারা দেশে ১৪০০ বছর আগের খেলাফত অনুকরণে ইসলামী খেলাফতের দাবী করছেন তাহলে একজন সেক্যুলার হিসেবে তো আমাকে সেটাকেই মেনে নিতে হয়? যদি আমি তথাকথিত উদার ইসলামকে সমর্থন জানাই, সালাফী ইসলামিস্টদের মত আক্ষরিক ইসলামকে না প্রচার করে এইরকম টক-মিষ্টি-ঝাল টাইপ ইসলামকে প্রচার করি- তাদের সঙ্গে দ্বিমত করার কোন পথ আছে কি? একজন বিধর্মী ইসলামী রাষ্ট্রে দুধে ভাতে থাকুক- কিন্তু রাষ্ট্রটিকে ধর্মীয় ছায়াতলে গিয়ে দাঁড়াতে হলো। সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় পরিচয়ে নামতে হলো। আমরা জানি ইসলামের ইতিহাস, খলিফাদের শাসনকাল থেকে খিলাফতের শেষদিন পর্যন্ত। স্বাধীনতার ৪৩ বছরে সংখ্যালঘুদের দেশ ত্যাগের পরিমাণ নিয়ে সম্ভবত কারুরই কিছু যায় আসে না। অনলাইনের সেক্যুলার লেখকরা কাল থেকেই লেখালেখি বন্ধ করে দিলেই কি উগ্র মৌলবাদীদের উত্থান বন্ধ হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা “সালাফী সেক্যুলার” বলে নিজেদেরকে যারা “সুফিঘরানার সেক্যুলার” সাজছেন, তারা কি ওহাবী ইসলামকে উদার ইসলাম দিয়ে মোকাবিল করতে পারবেন? সেক্যুলার লেখকদের দোষারোপ করা ছাড়া তারা কিন্তু কোন পথ দেখাতে পারেননি। মানলাম, ইসলামের কোন একক সহি পন্থা  নেই, কিন্তু এই অমৃতবচনে তো “চাপাতি ইসলামের” কোন সুরাহ হবে না। আমরা যারা একটা পথকে বেছে নিয়েছি সমাধানের লক্ষ্য হিসেবে- নির্মোহভাবে ইসলামকে বর্ণনা করা ও বিশ্লেষণ করা। অবশ্যই তার ভিত্তি হবে কুরআন, সর্বজন স্বীকৃত তাফসিরকারকদের তাফসির, সহি হাদিস বর্ণনাকারী হাদিস গ্রন্থ। এই পন্থাটি পুরোপুরি লেখালেখি উপর নির্ভর। অনলাইনে যাদেরকে “নাস্তিক ব্লগার” ট্যাগ মেরছেন তারা শুধুই লেখক- বিপ্লবী কেউ নয়। আমাদের মধ্যে বিপ্লবী ধারার কেউ থাকলে লেখালেখির বাইরে কিছু করার থাকলে তারা সেটা করবেন। কিন্তু অনলাইনের “বিপ্লবীরা” যখন বলেন ইসলামী জিহাদীদের সঙ্গে মার্জ হয়ে সামাজ্যবাদীদের সঙ্গে লড়তে- তখন দেশের অসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদ নিয়ে আর বড় কিছু আশা করা যায় না। উদার ইসলামের প্রচার ইচ্ছুক কথিত সেক্যুলাররাও যখন সমস্ত দোষ “সালাফী সেক্যুলারদের” উপর চাপায় তখন মৌলবাদেরই জয়ধ্বনিই শুনতে পাই! ধর্ম সে উদারই হোক আর উগ্র- তাকে প্রশ্রয় দিলেই সে সেক্যুলার- মুক্তচিন্তার বুক বরাবর ছুরি চালাবেই! আজ যারা একদল সেক্যুলার মুক্তচিন্তক লেখককে “সালাফী সেক্যুলার” ট্যাগ মারছেন তারা ধর্মের হাতে ধরা (হোক উদার বা উগ্র) তরোয়ালের ধারটাকেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন শুধু…।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২১ মে ২০১৫ | ২৪৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • h | 213.132.214.156 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৪:১০86525
  • দেখো, এই লেখাটার যেটা দুর্বলতা, সেটা হল এন্ট্রি ক্রাইটেরিয়া নাই। কি ভাবে সমস্যাটা দেখা হবে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতীয় রিপাবলিকের ভূমিকা কি হবে , নাকি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে লেখক-পাঠক এর ভূমিকা কি হবে, নাকি বাংলাদেশের সেকুলার মানুশ হিসেবে কি ভাবে এই সমস্যা কে দেখা উচিত, নাকি বাংলাদেশের বা ভারতীয় রিপাবলিকের অমুসলমান মানুষ হিসেবে জিনিস টা কে দেখা হবে, নাকি ভারতে অনেক মুসলমান আছে, তারাও একই পথে যাচ্ছে কিনা এই সামাজিক পরিসরের আলোচনা হবে, এই গুলি কিসুই বলা নাই। এবং প্রস্তাবনাও নাই। এবং আরো কথা হল, যে স্ক্রিপচার বা থিয়োলোজি র ডিবেট টানা হচ্ছে, তার রেফারেন্স অব্দি নাই। তাইলে কি করে হবে? দ্যাকো পাঠক হিসেবে বলছি, ইসলামের মধ্যে শুধু কনজারবেটিভ দের যদি দেখো তারো একাধিক স্কুল আছে, প্লাস যারা অস্ত্র নিয়া পথে বিশুদ্ধিকরণ বা যুদ্ধে নেমেছে তাদের মধ্যে আদৌ সদভাব আছে বলে মনে কোরোনা, অনেক বিরূপতা আছে। বাংলাদেশের খুনি দের ইতিহাস টা র একটা বিশেষ দিক হল সেই ৭১ এর সিভিল ওয়ার এর একটা ইতিহাস এবং অধুনা বোগাস ফান্ডিং এবং শিক্ষা দীক্ষা র একটা বিশাল পার্থক্য এবং রাষ্ট্র হিসেবে বাংলা দেশের নানা ফেলিওর। হ্যাঁ সহজে যদি বলা যেত, যে কারণে নাগাল্যান্ডে টেররিস্ট আছে, বা ভারতের বম্বে/কলকাতায় আছে, বা মাওবাদী রা আছে, সেই একই অনুন্নয়নের কারণে, এবং অ্যাবসোলিউটলি এক ই আর্থসামাজিক কারণের প্যাটার্নে এই আন্দোলন ও বিচিত্র পোলিটিকাল গ্রুপিং গুলি হয়েছে, তাহলে সমস্যা প্রায় প্রবন্ধের উপপাদ্য র মতই সোজা হয়ে যেত। ঘটনা যেটা সেটা বাংলাদেশের সেকুলার ছেলেমেয়েরা যে ফাইট টা দিচ্ছে, তাতে সরকার মোটে সাহায্য করছে না, আর যে স্ক্রিপচার ধরে সমালোচনা হচ্ছে, তাতে এমনকি আরুজ আলি মাতুব্বর এর ম্যাচিওরিটি ও নাই। অবিশ্যি তাতে খুন কম হত কিনা জানি না, কিন্তু বিজ্ঞান মনশ্কতার প্রচার তাত্ত্বিক দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশে কিন্তু প্রাক ৭০ যুগে পড়ে আছে, এটা এগিয়ে এলে, খুন কমতো কিনা জানি না, কিন্তু আমার মনে হয় অন্তত তর্ক হিসেবে আরো ভালো হত। আর দুটো রেফারেন্স দেই। ক- রিচার্ড ডকিন্স এর বইয়ের সমালোচনা টেরি ইগলটন এর লেখা। এটা আমার মতে এল আর বি তে বেরোনো সেরা লেখা গুলোর একটি। এভার। খ- আরুজ আলি মাতুব্বর গ- সৈয়দ আখতার মির্জার লেখা আম্মি। এঁরা কেউ কম বিজ্ঞান মনষ্ক নন। পড়ে দেখো। ক্রিস্তোফার হিচেন্স কটা দিন কম পোড়ো ;-) এছাড়া পাকিস্তানের কালচারাল থিয়োরেটিশিয়ান জিয়াউদ্দিন সর্দার এর কিছু লেখাও পড়তে পারো। অবশ্য মিডল ইস্ট আর ব্রিটেন এর পোলিটিকাল ইসলাম এর ডিবেট গুলোর সংগে একটু পরিচিতি লাগবে, তবে তৈরী হয়ে যাবে। আর একটা কথা যাওয়ার আগে বলে যাই, আমি অনেকের সংগেই একমত নই, কিন্তু এঁরা কম বিজ্ঞানমনশ্ক এইডা কইথে ফারবো না। জিয়াউদ্দিন এর বেশ কিছু ইন্টারভিউ ফার দের কাগচে ছেপেছে, পড়ে দেখতে পারো।
  • শাক্য | 116.51.233.16 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৪:১১86526
  • অন্য সব বিষয়ে কথা পরে হবে। কিন্তু বাইবেল ও যীশুর বাণী নিয়ে এটা উনি কি লিখলেন? ক্রাইস্ট কখনো সাম্রাজ্য-বিস্তারের কথা বলেন নি? বাইবেল বা ক্যাথলিক চার্চ যা যা করেছে সেসব কি ক্রাইস্টের বাণীর বিরুদ্ধে গিয়ে করেছে? স্পষ্ট ভাবে যে লোক বলতে পারে যে "আমি শান্তি দিতে আসিনি কিন্তু অস্ত্র দিতে এসেছি, ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদ ঘটাতে এসেছি", সে আর যাই করুক শান্তির বাণী প্রচার করতে আসেনি। যীশু কোথাও দাবী করেননি তিনি শান্তির দূত। আর ক্রিশ্চিয়ানিটির ওপর নিষ্পেষোণ (প্রথম যুগে) এবং তার পর এস্টাব্লিশড হবার পর ক্রিশ্চিয়ানিটির হিট ব্যাক করা কত কত লোক মেরেছে কোনো আইডিয়া আছে? ভ্যাটিকান একটা কাজ-ও করেনি যেটা বাইবেল বা সেন্ট পিটার অনুমোদিত নয়।

    আর ইউরোপে জর্জ গ্যালোয়ে ছাড়া (আর কিছুটা রজার গারুদি কিন্তু তাঁর আবার মাস বেস ছিল না) আর কোন প্রমিনেন্ট বামপন্থী ইসলামিস্টদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে মশাই?
  • শাক্য | 116.51.233.16 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৪:২৪86527
  • আর আরেকটা প্রবণতা খুব মারাত্মক যে আমরা বসে জ্ঞান দিয়ে চলেছি কেমনভাবে গুড কপের সাহায্য নিয়ে ব্যাড কপকে মুসলিমরা ঠেকাবে। আমরা ওদের বাস্তবতাই জানি না। কোন বাস্তবতা থেকে একজন নাস্তিক খুন হন বা একজন জামাতী চাপাতি চালায় সেসব কিচ্ছু না জেনে বাইরে বসে এগুলো বলা সেই হোয়াইট সেভিয়ার কমপ্লেক্স। সলিডারিটি মানে লিড করা নয়, পাশে থাকা, বারবার বলেই ছাড়ব
  • m\nastik | 15.254.97.102 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৪:৪২86528
  • জামাতীরা কেমনে কেমনে রগ কাইট দেয় বাসে বোমা চুইড়া বাসসুস্শা মমিনরে পুড়াইয়া মারে আর টমে দাড়াইয়া চা খাইতে খাইতে তামশা দ্যাখে হেইডা আপনে জানে না। তাই বলতাসেন বড় বড় বাত জামাতীরা ক্যান হতে চাপাতী লয় জানেন না। বাপের হোগা দিয়া পয়দা হওয়া জত্ত আবাল
  • nastik | 15.254.97.102 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৪:৪৫86529
  • জামাতীরা কেমনে কেমনে রগ কাইট দেয় বাসে বোমা ছুইড়া বাসসুদ্ধা মমিনরে পুড়াইয়া মারে আর টঙ্গে দাড়াইয়া চা খাইতে খাইতে তামশা দ্যাখে হেইডা আপনে জানে না। তাই বলতাসেন বড় বড় বাত জামাতীরা ক্যান হতে চাপাতী লয় জানেন না। বাপের হোগা দিয়া পয়দা হওয়া যত্ত আবাল
  • ranjan roy | 132.176.10.88 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৫:১৩86516
  • লেখকের মূল বক্তব্যকে আদৌ উড়িয়ে সেওয়া যাচ্ছে না।
    কিন্তু আমাদের একটাই সমস্যা।
    ব্যাপক ইসলামধর্ম আশ্রিতদের কাছে যুক্তিবাদী কন্ঠস্বর পৌঁছবে কী করে? ক'জন সাধারণ মানুষ মুক্তমনা জাতীয় ব্লগ পড়েন?
    তাই ডেমোক্র্যাটিক অধিকারের চিন্তাকে ছড়িয়ে দেওয়া ছাড়া কোন সোজাসুজি রাস্তা দেখছি না!

    আর মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার জিহাদি আন্দোলনকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন ভেবে নেওয়া আত্মঘাতী ভুল হবে।
  • দেব | 111.221.128.238 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৫:৩৩86530
  • "যদি ভুল না করে থাকি ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরবে কোনকালেই সুফিবাদী বা এই ঘরনার কোন মতবাদ দানা বাধতে পারেনি।"

    খুবই ভুল করেছেন। প্রথমে ডেফিনিশনে আসি। ইসলামের জন্ম ১৪০০ বছর আগে। "সৌদি আরব" এর জন্ম ১৯২০ এর দশকে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। যে অঞ্চলটি নিয়ে আজকের সৌদি আরব, তা ১৯২০ এর আগে অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। এবং সেখানকার কালচার আপনি যে 'উদারপন্থী'দের কথা লিখেছেন সেইরকমই ছিল।পীরের (প্রচারক) দরগা (যেখানে কবরস্থ হয়েছেন সেখানে তৈরী হয়) এর ছড়াছড়ি ছিল। মানত করা ছিল জলভাত। লোকজন ঢিলেঢালা ইসলাম নিয়ে এবং হজযাত্রীদের থেকে সামান্য টাকাপয়সা লুট করে শান্তিতেই থাকত।

    ১৮ শতকে আব্দুল ওয়াহাব নামে উলেমা এই ওয়াটারড ডাউন ইসলাম যাতে নানারকম নতুন জিনিসপত্র (যেমন মানত করা) ঢুকেছে দেখে চটেন। তিনি এই সব বাদ দিয়ে 'পিওর' ইসলামের প্রচার শুরু করেন। সাথে পান আরব উপদ্বীপের অভ্যন্তরীণ দূর্গম এলাকার এক উপজাতীয় গোষ্ঠীপতিকে, আব্দুল আজিজ ইবনে সাউদ। এনার দলবল মিলে ১৯ শতকের শুরুর দিকে আরব উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলের হেজাজ অঞ্চলটি দখল করে। মক্কা ও মদিনা এই হেজাজেই। এরপর সেখানে দরগা ও সমাধিস্থল ভাংচুর শুরু করলে অটোমান সুলতান মুস্তাফা, আরেক অটোমান রাজ্য মিসরের প্রশাসক মুহম্মদ আলি পাশাকে নির্দেশ দেন এদের বাঁদরামো বন্ধ করতে। মুহম্মদ আলী পাশা সৌদিদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করেন হেজাজ থেকে। সৌদি রাজার গর্দান যায়। সেইসঙ্গে, লক্ষনীয় ভাবে, মুন্ডু যায় ওয়াহাবী মতাদর্শী উলেমাদের একটা বড় অংশের।

    এই শিবের গীত গাইছি একটা জিনিস বোঝানোর জন্যে। ধর্মের লিটারাল ইন্টারপ্রিটেসন নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কোন কালে কোন দেশেই লোকে সহ্য করে না। এর মানে এই নয় যে আক্ষরিক না হলেও আবহমান রক্ষণশীল ধর্মভীরু সমাজব্যবস্থা খুব ভালো অল্টার্নেটিভ। সেটাও নয়।তাহলেও আজকের আরব উপদ্বীপে যে গোঁড়া সিস্টেমটি চালু রয়েছে সেটাকে সেই ১৯ শতকে একবার ভেঙ্গে গুঁড়িয়েছিল স্টেট পাওয়ার, যার নিজের রাজাও ছিলেন মুসলিম।

    এবার প্রশ্ন হচ্ছে আবার এরা ক্ষমতায় এল কি করে আর এতদিন ধরে টিকে আছেই বা কি করে? এইবার সেই চিরাচরিত পশ্চিমের চক্রান্তের গপ্পে আসতে হবে। আর আপনারা বলবেন হিলেলিদের এই সমস্যা। সব দোষ ব্রিটেন আমেরিকার। কিন্তু মাক্কালী বলছি সত্যিই এই কীর্তিটা এদেরই। অটোমান সাম্রাজ্যকে হারানোর জন্য এদেরকে দলে আনে ব্রিটেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় (লরেন্স অব আরাবিয়া মনে করুন)। যুদ্ধে অটোমানরা হারলে এদেরকে গদি উপহার দেয় ব্রিটেন। যুদ্ধের সময় স্ট্র্যাটেজী থাকে, স্বাভাবিক। শুধু এই কারনে ব্রিটেনকে দোষ দেওয়া যায় না। কিন্তু এরপর তেলের কুয়ো বেরোল কিছুদিনের মধ্যেই। রুজভেল্ট সাহেব চুক্তি করলেন। সৌদি আরামকো কোম্পানী স্থাপিত হল। তেলের বদলে সিকিউরিটির ডিল চিরস্থায়ী হল। আজও চলছে। সবাই সব জানে। কিন্তু চুপ করে থাকে। সম্প্রতি সৌদি রাজা মারা গেলে ইউরোপ আমেরিকা (এবং ভারত) থেকে দুঃখপ্রকাশের ঢল দেখে থাকবেন হয়তো। দেশটিতে মেয়েদের একা রাস্তায় বেরোনোর অনুমতি নেই। হিউম্যান রাইটস, ফ্রিডম ও ডেমোক্রেসির পীঠস্থান পশ্চিম বিশ্ব মর্মাহত সৌদি রাজা মারা যাওয়াতে।

    মোদ্দা কথা এই ব্যাপারগুলো যদি আমি আপনি বুঝতে সক্ষম হই তো কি মনে হয় শিক্ষিত মুসলিমরা এগুলো বোঝেন না? বোঝেন, এবং এই ভন্ডামোটা দেখে বিরক্ত হন। এত লেখালেখি সব জলেই যায়। ফেথ জিনিসটা পার্ট অব লাইফ। ধর্মীয় গোঁড়ামো খুব বাজে জিনিস ঠিকই কিন্তু সেটাকে আটকাতে গিয়ে দেশশুদ্ধু লোককে তাদের ফেথ বাদ দিতে বললে পাবলিক কোন দেশেই শুনবে না। আর ধর্মগ্রন্থের লাইন নিয়ে লেবু কচলালেও তেতোই হবে। দেশে একটা মোটামুটি ডিসেন্ট এফিসিয়েন্ট গভর্মেন্ট থাকলে এগুলো এমনিই আটকে যায়। যেটুকু বাকি থাকে তার জন্য সামান্য আইনী ব্যবস্থা (পড়ুন ধোলাই) দিলেই চলে। আর যদি না থাকে, যেমন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, তাহলে গাড্ডা।
  • sosen | 24.139.199.11 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৫:৫১86517
  • মুক্তমনা পড়ে যুক্তিবাদী কন্ঠস্বর কোথাও পৌঁছবে, এবং পৌঁছালেও তা মানুষকে না রাগিয়ে কৌমকে সমালোচকের দৃষ্টিতে দেখতে উদ্বুদ্ধ করবে, এ দিবাস্বপ্ন।
  • ranjan roy | 132.176.10.88 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৬:১৫86518
  • হক কথা।
    কঃ পন্থা?
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৬:২৪86531
  • একটা মোটামুটি ডিসেন্ট এফিসিয়েন্ট গভর্মেন্ট থাকলেই চলবে এমন বোধহয় শুধু নয়, সেইটা থিওক্রেসির সাথে মিশে গিয়েও সম্ভব... থিওক্রেসির থেকে খানিকটা পরিমাণে ইন্ডিপেন্ডেন্টলি ফাংশন করতেও পারতে হবে গভর্মেন্ট কে...
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ০৬:২৯86532
  • আর ধর্ম, ধর্মীয় পশ্চাদপদতা, ফেইথ, যুক্তি, সায়েন্টিফিক টেম্পার এগুলো একটা আলোচনা, আর পলিটিকাল ইসলাম একটি ভিন্ন আলোচনা বলেই মনে হয়...
  • h | 213.99.211.133 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ১১:১১86519
  • এই যুক্তি তে পৃথিবীর একেকটা অঞ্চলে একেকরকম ধরণের ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ কেন আছে তার ব্যাখ্যা হয় না।
  • sosen | 24.139.199.11 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ১১:১৯86520
  • হানুদা একটু লেখেন না।
  • h | 213.99.211.18 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ১১:৩৬86521
  • এই নিয়ে অনেক বড় বড় লোক লিখে গেছেন। এই নিয়ে একটা সময়, বৈজয়ন্ত, আমি আর ইশান অনেক বাতেলা করেছিলাম, ডিডি দা র একটা লেখা নিয়ে ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল মনে হয়, কিন্তু নাও হতে পারে ভুলে গেছি তাও হতে পারে। অথবা বতিন বা ঋজু কারো একটা বম্বের কোন একটা ব্লাস্ট এর পরে। কিন্তু তার পরেও নতুন ফেনোমেনা এসেছে। বাংলাদেশের ঘটনা এবং আইসিস। আমার সত্যি সেগুলো কে টাচ করার ক্ষমতা নাই। বাংলাদেশে জামাতি রা যে বাঁদরামো চালাছে, মানুষ খুন করছে, সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে ঝট করে বিশ্ব জুড়ে পোলিটিকাল ইসলামের ইতিহাস ও সমস্যা, অথবা, ইসলামে রিফর্মের প্রয়োজন ঠিক কি ভাবে কোথায় তা ব্যাখ্যা হয় না। প্রয়োজন তো বোজা গ্যালো, করে কেডা এবং কি করে, আর ক্রিশ্চিয়ানিটির ইতিহাস মেনে আরেকটা ধর্ম চলবেই বা কেন, সময় তো আলাদা। মূলতঃ তিন চার ধরণের মত আছে। ১- রিফর্মেশন আন্দোলন দর্কার ইসলামের মধ্যে (এটা তারিক আলি) বলছেন। ২ - এটা কে সভ্যতার লড়াই হিসেবে দেখা উচিত (হান্টিংটন ইত্যাদি রা বলছেন) ৩- এটার সংগে পশ্চিমের ইনার সিটি রেসিজম এর সমস্যা জড়িত বা জড়িত না, এটা মূলতঃ ইউরোপ এর বিভিন্ন লিবেরাল রা বলছেন, এবং এর উল্টো দিক হল, ইউরোপে অ্যান্টি ইমিগ্রেশন দল গুলির জোর বাড়া। এটা ডাচ রাজনীতিবিদ ওয়াইল্ডার্স বা ফ্রেঞ্চ রাইট উইং ল্য পেন এদের বক্তব্য। তবে এরা নর ওয়ের বীভ১ত্স হত্যালীলার পরে এই মতামতের জোর কমেছে। ৪। এটা কে ইম্পেরিঅলিস্ট প্রজেক্ট ও জিওগ্রাফি ইনফ্লুএন্স এর লড়াই হিসেবে দেখা, বা প্যালেস্তাইন বা আফগান বা ইরাক কনফ্লিক্ট এর পার্ট হিসেবে দেখা, এটা দেখছেন, রবার্ট ফিস্ক বা ফিলিপ গ্লাস ইত্যাদি রা। সংগে পেসিফিস্ট আন্দোলনের একটা বড় অংশ এরকম ভাবে দেখছে। ৫। বাংলাদেশে এটা মূলতঃ রাজনইতিক ব্যবস্থার ইরোশন, অপশাসন বা ৭১ এর সিভিল ওয়ারের কন্টিনিউয়েশন হিসেবে দেখা হয়। তো এই সব স্কুল এর সার্বিক প্রেক্ষিত না দেখে, এই ফর্মুল ডিরাইভ করার পবন্দ কে সিরিয়াসলি নেওয়া কঠিন। মানে এ পবন্দ রোজ পড়ছি। তবে এই মতামতের পক্ষে আমাদের দেশে প্রমিনেন্ট জাঁরা লিখছেন, সংঘ পরিবারের বাইরে, তাঁদের মধ্যে একজন সুনন্দ কে দত্ত রায়। তবে তিনি স্টেট্সম্যান প্রাক্তন সমাদক বা কেম্ব্রিজ অক্সফোর্ড বলে গুরুত্ত্ব দেওয়ার কিসু হয় নি। সমস্ত কিছুর পরেও কষ্ট হয়, বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের মৃত্যু তে খারাপ লাগে আর কি বলবো। নিজেকে গরু মনে হয়।
  • h | 213.99.211.133 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ১১:৪৭86522
  • *বতিন বা ঋজুর কোন কমেন্টের পরে।
    * ডিডি দার কোন একটা লেখার পরে
    * বা আমার একটা লেখা লন্ডন ব্লাস্টের পরে, তার পরে

    এই সব নিয়ে গুরুতে অনেক আলোচনা করেছি, আমার যেহেতু নতুন কিছু বক্তব্য নেই, তাই আমি আর এই আলোচনায় কন্ট্রিবিউট করতে পারার মত জায়্গায় নেই, তাছাড়া পড়াশুনোর ও খুব খারাপ অবস্থা।

    একটা মতামত বলতে ভুলে গেছি, ঐতিহাসিক দের মধ্যে মুপ্জফ্ফর আলম সবচেয়ে কম্প্রিহেন্সিভ কাজ করেছেন । পোলিটিকাল ইসলাম এর ভারতীয় ইতিহাস নিয়ে, এঁকে পড়তে পারো। বইটার নাম পরে বলবো, আমি উল্টে পাল্টে দেখেছি, পুঁটির মা ওয়াজ ওয়ার্কিং।
  • h | 213.132.214.155 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ১২:২৫86523
  • আরেকবার পড়ে দেখলাম। একেবারেই কাঁচা প্রবন্ধ হয়েছে। কিস্যু হয় নি। যীশু কাউকে খ্রীশ্চিয়ান সাম্রাজ্য স্থাপন করতে বলেন নি - এই বিচিত্র বাক্য টা কে পড়লে মনে হবে, ইনকুইসিশন হয় নি।

    ইউরোপে বামপন্থীদের সংগে ইসলামিস্ট দের আঁতাত দুটি বিশেষ কন্টেক্স্ট এ হয়েছে, এবং অন্যত্র ফেইল করেছে। একটি ইরাক যুদ্ধের সময়ে মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন এর সংগে সোশালিস্ট পার্টির আঁতাত, লেবার লেফ্ট এর মিছিল। এর থেকে পরে রেসপেক্ট পার্টি জন্ম নেয়। আর তার আগের ঐতিহাসিক উদা হারণ হল ফ্রান্স ও জার্মানি তে প্যালেস্তিন সলিডারিটি সংগঠন, যেটা এখন বেশ দুর্বল, এবং শক্তি বৃদ্ধি হয়েছিল, ৮২ র শাবরা শাটিলা হত্যাকান্ডের পরে।
    এখন যে ইজরায়েল বয়কট হচ্ছে, সেটা বামপন্থী রা একা করছেন না, এবং দ্বিতীয়ত কসোভো র মুসলমান দের সাহায্যে কলিন পাওয়েল নেমেছিলেন, ন্যাটো বোম্বিং হয়েছিল। অতএব একেবারেই কিস্যু খবর না রেখে এই পোবোন্দো লেখা হয়েছে। শুধু উষ্মা টা হয়তো সাময়িক ধরা যায়, কারণ যুবারা খুন হচ্ছেন, এই টে ভয়ংকর সত্য। কিন্তু তার সংগে ধর্মগ্রন্থ র সমালোচোনা কে থিয়োলোজি বা বড় করে রিয়েল্পোলিটিক কে জুড়তে গেলে আরো বড় তাত্ত্বিক কাঠামো লাগবে, আমার এটি পোসালো না।
  • sosen | 122.79.37.153 (*) | ২৬ মে ২০১৫ ১২:৫২86524
  • তার পরে ব্যাপারটা গত কয়েক বছরে সম্পূর্ণ অন্যমাত্রায় চলে গেছে সেটাও সত্যি। বাংলা দেশের ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের/ ইসলাম কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দোলাচলে ভারতের অবস্থান-ই বা এখন কেমন? আলোচনা হলে আরো জানতে পারি। আর ঐ পুরোনো টইটা কেউ তুলে দাও।
  • h | 127.194.231.245 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ০২:১২86533
  • স্বর্নেন্দু, শাক্য আর দেব কে ধন্যবাদ। যিনি গাল পাড়লেন তাঁকেও ধন্যবাদ।

    দুটো রিজয়েন্ডার -

    ক - গ্যালওয়ে রেস্পেক্ট পার্টির এম পি হওয়ার আগেই, স্টপ দ্য ওয়ার গ্রুপ থেকে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন এর সংগে একটা আন্দোলন কর্মসূচী নেওয়া হয়। ২০০২ এর সেপ্টেম্বর এবং অবশেষে ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারী তে বিশাল মিছিল হয় লন্ডনে। আমার সৌভাগ্য দুটোতেই ছিলাম। এবং মোর ইম্পর্টান্ট মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন একেবারে মেনস্ট্রিম একটা অর্গানাইজেশন, টের্ভর ফিলিপ্স দের মাইনরিটি কমিশন এর আদলে তৈরী। যারা লেবার পিয়ার বা কাউন্সিল কমিটি গুলো তে কিছুটা রিপ্রেজেন্টেশন পায়। এমনকি সব কটা মস্ক কমিটি ও জেতে না। এরা হার্ডলাইন দের কিছুটা উত্থানে যেটা ইজিপ্ট বা সিরিয়া/জর্ডান থেকে আসা কিছু ক্লেরিক এর নেতৃত্ত্বে হয়েছিল, নিজেরাও কোনো রেজিস্টান্স দিতে বিশেষ পারে নি। যাই হোক র‌্যাডিকাল ইসলামের সংগে গাঁটছড়ার দাবীএ জাস্ট বোগাস। ইরাণে কন্টিনিউয়াস রেজিস্টান্স যতটুকু হয়েছে, বাম পন্থী আর নারীবাদী দের থেকে হয়েছে। ইজিপ্টে আর টুরস্কে বরঞ্চ বলা হয়, ধর্মাবলম্বী দের উপরে যে স্টেট রিপ্রেসন হয়েছে, তার বিরোধিতা বামপন্থীরা যথেষ্ট করেন নি। আর আইসিস এর বিরুদ্ধে টিক্রিট কার্দিস্তান যে ফাইট চলছে, তাতে , কার্ডিশ ওয়ার্কার্স পার্টির কমান্ডো রাও রয়েছে। আমি একবার এদের মে দিবসের মিছিলে গেসলাম ঃ-) আর্সেনাল হাইবেরি অঞ্চলে ;-)

    খ- পারফেক্ট কথা বলেছেন স্বর্নেন্দু, এই ডিভিসন অফ পাওয়ার কিন্তু খোমেনি পরবর্তী ইরাণেও সম্ভব হয়েছে, নইলে সুপ্রিম কাউন্সিল থাকা সত্ত্বেও, কি করে এখন কার প্রেসিডেন্ট ভোটে যেতে, হোমোজিনিটির এস্টাবলিশ করার প্রচেষ্টা দুঃখজনক।
  • h | 127.194.231.245 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ০২:২২86534
  • তবে যিনি গাল পাড়লেন, তাঁর হতাশা না বোঝার কোন কারণ নাই। শহীদ অভিজিত রায়ের বাবা, চির জীবনের ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমী, মুক্তিযুদ্ধের সামান্য খবর যারা রাখে, তাঁকে চেনে শ্রদ্ধা করে, সেই মানুষ যখন সি আই এ র তদন্তে রাজি হয়েছিলেন, তাও ডিসক্লেমার ছিল একটা স্টেটমেন্টে 'এই ক্ষেত্রে' (কারণ অভিজিত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন) , তখন ই আমি বুজেছি, স্যার যখন এই কথা কইছেন, তার মানে পুলিশ ও সরকারি তদন্ত কারী সংস্থা গুলি, বা প্রসিকিউশন সার্ভিস একেবারেই অকর্মণ্য বা ইন্স্টিটিউশনালি র‌্যাডিকালাইজ্ড, এটা যে একজন দেশ প্রেমীর কাছে কি হতাশাব্যঞ্জক, এ মানে না বোঝার কিছু নাই। সেই চিলে কোঠার সেপাই উপন্যাস সম্পর্কে ইলিয়াস এর হার্ট রেন্ডারিং বক্তব্যের মত , 'আমরা একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, অত স্বপ্ন দেখার কোনো মানে হয় না, কিন্তু সেই স্বপ্ন তখনি ভেঙ্গে পড়ছে খানিকটা।'
  • dd | 132.172.37.245 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ০২:২৬86535
  • দেবের লেখাটা ভাল্লাগ্লো।
  • h | 127.194.231.245 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ০২:২৮86536
  • দেব বাবু কে শিবের গীত টির জন্য অকুন্ঠ ধন্যবাদ। আমার বক্তব্যের অবভিয়াস অসম্পূর্ণতা ছিল ওয়াহাব এবং হামাস/ব্রাদারহুডের কথা উল্লেখ না করা আর নাজাফ এর সিয়া স্কুলের কথা বা হেজবোল্লা র কথা না বলা। সেটা পূরণ করেছে এই বক্তব্য। হ্যাঁ, সোসেন, গুরুচন্ডালি তে, কনসিস্টেন্টলি বহু বছর ধরে যিনি সরাসরি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি র পক্ষে শুধু না , যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করে চলেছেন এই বিষয়ে, তিনি এই দেব বাবু, যদি একই নামে লিখে থাকেন, এবং দ্রিম যদিও প্রবন্ধ লিখেছেন কিনা জানি না, এবং এটা না বললে আমার বক্তব্যের আরেকটা অসম্পূর্ণতা ভরে না, এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও হয় না। অর্থাৎ এই লাইনে অনেক কথা হয়ে গেছে। নতুন কথার প্রয়োজন নেই তা নয়, সেগুলো পড়ে দেখতে পারে লোকজন।
  • h | 127.194.231.245 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ০২:৩৩86537
  • অ্যাবসোলিউটলি ডিডি দা। হ্যাঁ এবং, অল নাইন্টিন্থ অ্যান্ড টোয়েন্টিয়েচ সেঞ্চুরি বিগ ইসুস ইন ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স ইজ আইদার আর ব্রিটিশ অর অ্যান আমেরিকান ফাক আপ, এবং একবিংশ শতাব্দীতে সেই মহান ঐতিহ্য আমেরিকার হাতে এই কথাটি বলার জন্য ও দেব বাবু কে অনেক ধন্যবাদ।

    লজ্জার কথা, নাকবা র ইতিহাস তো অনেক ইজরায়েলি পেসিফিস্ট রাও মানেন না, এ মানে যত কম বলা যায় তত ভালো।
  • h | 127.194.231.245 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ০২:৩৭86538
  • আর রঞ্জন দা, মাইরি, ভুল জায়্গায় হককথা বলেছেন, এ মানে একেবারেই আশাতীত। আপনাকে ছাড়বো না, হয় রিজয়েন্ডার দ্যান, নইলে দেখা করে ভালো হুইস্কি খাওয়ান বা অন্তত দুটো ই করুন ;-)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ০৬:৪০86539
  • h,
    একদম... ইরান আর বিশেষত খোমেনির সময় এবং তার পর থেকে... এই আলোচনায় খুব জরুরী একটা ইতিহাস বলে মনে হয় আমার...

    আর একটা কথা, বাঙালিরা সাধারণভাবে, এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই, বাংলাদেশের সমস্যা আর সারা পৃথিবীতে পলিটিকাল ইসলাম এর সমস্যা কে এক করেই দেখে...

    কিন্তু এই আইডেন্টিফিকেশনটা ইমোশনালি যতই সঙ্গত হোক না কেন, আমার মনে হয় ভুল।
    বাংলাদেশ এর প্রধান সমস্যা ইট ইজ এ ফেইলড স্টেট। অপদার্থ প্রশাসন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোন বিকল্প ও নেই... কিন্তু সেইটাই সমস্যা... জামাত মতাদর্শগতভাবে জমি যে নিয়ে নিয়েছে অনেকটাই তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু যা করছে, বাংলাদেশের বন্ধুদের লড়াইকে একটুও ছোট না করেই বলছি, সেগুলো ক্রাইমই মাত্র...

    আইসিস, বোকো হারাম, হামাস অন্য জিনিস... সেটাই পলিটিকাল ইসলামের আজকের দিনের চেহারাটা...
    এসেসশিয়ালি সমান্তরাল প্রশাসন চালায় তারা বস্তুত...
  • h | 122.79.35.52 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ১০:৪৪86540
  • হামাস আর হেজবোলা র প্য়্তার্ন গুলো অলাদা
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ১১:২৪86541
  • হ্যাঁ, আলাদাই... বাকি সবগুলোকে এক ব্র্যাকেটে ফেলতে চাইনি আদৌ...

    শুধু বলতে চেয়েছিলাম পৃথিবীব্যাপী পলিটিকাল ইসলামের স্কিম অফ থিঙস এ জামাত স্মল ফ্রাই...
  • একক | 24.99.35.3 (*) | ২৭ মে ২০১৫ ১১:৫০86542
  • বাংলাদেশ এর হাল বেশ চাপের । কেন হলো কী হলো সেত ঠিকই আচে ,আপাতত আমেরিকার সঙ্গে যদি ডীল করতে পারে কিছু তো ভালো হয় । ওদিকে আরবে বাংলাদেশি যা আছে আমেরিকা নিয়ে এটলিস্ট মেক্সিকান দের মত করেই রাখুক । এদিকে বিনিময়ে বাংলাদেশে আমেরিকার সোয়েটশপ রান করুক । বামপন্থী উত্থান ইত্যাদি ম্যানেজ করে দিক। তাহলে আরবের ওপর ডিপেন্দেনস কমে ।এখন যে কন্ডিশনে তাতে আরব চটানোর কোনো সীন নেই । বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে এটা কিন্তু আরব ইসলামী অত্যাচার এর এমনকি শুরুয়াত ও নয় । তাতেই সরকার হেগেপেদে একশা ।
  • সুষুপ্ত পাঠক | 68.97.144.80 (*) | ২৮ মে ২০১৫ ০৫:৩৮86543
  • বার বার যে কথা বলে ত্যক্ত-বিরক্ত তবু বলে যেতে হয়…
    …………………………………………………………..
    বুয়েটের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক আইএসের জঙ্গি হতে চায় কি অশিক্ষার জন্য নাকি তারা সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণের শিকার? আলালের ঘরে দুলালরা কেন জিহাদী হতে চায়? বাংলাদেশের হিন্দুরা নিজদেশে পরবাসীর মত বাস করেও কেন “সনাতন জিহাদী” হয়ে পাল্টা জবাব দেয়া শরু করলো না? পাহাড়ীরা মার খেয়ে আর বঞ্চিত হয়ে শান্তি বাহিনী করলো, সশস্ত্র যুদ্ধে রাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল, কেন সেখানে পাহাড়ীদের ধর্মীয় বিশ্বাস না এসে জাতীয়তাবাদ আসলো? খোদ ভারতের মত দেশে এত এত অভাবী মানুষ, এত বঞ্চনা, এত শোষণ, সেখানে কেন “হিন্দু জিহাদী” জন্মায় না? কেন শুধু সেখানে “ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনি” বা “লস্করে তইয়াবা” মত ইসলামী জিহাদী দলের জন্ম হয়?

    বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় প্রবাসী হয়ে, নিরাপদ ও সুন্দর জীবন লাভ করে, আধুনিক শিক্ষা, সমস্ত রকম নাগরিক সুবিধা লাভ করেও কেন জঙ্গি মদদে বাংলাদেশীদের হাত থাকে? কেন প্রবাসীদের নতুন প্রজন্ম জঙ্গিবাদের আসক্ত হয়ে পড়ছে? এসবকে সাদা চামড়াদের অভিবাসীদের প্রতি নিঁচু চোখে দেখার প্রতিক্রিয়া বলবেন? সৌদিরা বাঙালীদের মিসকিন বলে। পাকিরা বলতো বাঙালী জারজ জাতি! সাদা চামড়ার ইউরোপীয়ানরা যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নেই তারা বর্ণবাদী আচড়ন করেন তাহলে সেটা জাতীয়তাবাদী প্রতিবাদ না হয়ে কেবল ইসলামী প্রতিবাদ হয়ে উঠছে কেন? ইউরোপীয়নাদের উপর বদলা নিতে ইউরোপের দুধ-সরটা খেয়ে মোটাতাজা হয়ে আইএসে যোগ দিতে যাচ্ছে কেবল মুসলিম ছেলেমেয়েরা, কেন সেখানে উপমহাদেশীয় হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টানরা যোগ দিচ্ছে না? বর্ণবাদী আচড়ণ পশ্চিমারা নিশ্চয় প্যান্ট খুলে খৎনা দেখে করে না! সমস্ত উপমহাদেশীয়দের চেহারা প্রায় একই রকম। বর্ণবাদী কষ্ট নিশ্চয় (যদি বাস্তবতা এরকম হয়ে থাকে) ভারতবর্ষীয় একজন হিন্দু, শিখ, জৈন বা অন্য যে কোন ধর্মের অনুসারীরও থাকবে। অস্ট্রেলিয়ায় যখন বর্ণবাদী হামলা শুরু হয়েছিল ভারতীয় ছাত্রদের উপর তখন কি ভারতীয়রা ছাত্ররা ক্রিশূল হাতে নিয়ে “জয় বাবা ভোলানাথ” বলে হামলে পড়েছিল? যদি ঘটনাটা আরবদের উপর ঘটতো তাহলে প্রতিক্রিয়াটা কি হতো? আরব মানেই তো মুসলিম! অস্ট্রেলিয়ায় আমরা তখন শুনতাম, “নারায়ে তাকবির, আল্লাহো আকবর” বলে ঝাপিয়ে পড়ছে মুসলিম জিহাদী অস্ট্রেলিয় নাগরিকদের উপর! এই রকম বড় মৌলিক তফাতটা কেন চোখে পড়ে না?

    সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, শ্রেণীবৈষম্য, এডওয়ার্ড সাঈদ, নরেন্দ মোদী, বুশ, ওবামা, ক্যামেরুন কত বালছাল বলে বলে একটা ঘোড়ালো খিঁচুরি পাঁকিয়ে অবশেষে বলা হবে- এই “ইসলামোফোবিয়াও” সাম্রাজ্যবাদীদেরই অবদান! বাংলাদেশের বামগুলো সব পঁচে গেছে বহু আগেই। জনগণ এদের পোছেও না। এদের সামান্য গ্রহণযোগ্যতাও নেই। শেষকালে ইসলামী মৌলবাদীদের ল্যাঞ্জা ধরে পুলসিরাত পার হওয়ার খোয়াব দেখছে হয়ত। এই খোয়াবের সবচেয়ে বড় বাধা অধুনা ব্যাপকভাব শুনতে পাওয়া “মুক্তমনা” লেখকবৃন্দ। কোলকাতার বাম, সেক্যুলারগুলোরও অবস্থা আরো শোচনীয়! এরা মুসলিম মৌলবাদীদের বলতে গেলে প্রশ্রয়দানকারীর ভূমিকায় নেমেছে। এর ফল হচ্ছে ভয়াবহ। ত্যক্তবিরক্ত ভারতীয় জনগণ শেষকালে হিন্দুত্ববাদীদের ঘোর সমর্থক হয়ে উঠবে। ভারতের এইসব সেক্যুলারদের জ্বর এসে যায় এটা ভেবে যে, বাংলাদেশের মুক্তচিন্তক লেখকরা কেন এত বেশি ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করছে? কেন তারা ইসলামকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহিৃত করছে? ওরে ভাম! মুসলিম ঘরে না জন্মালে আর মুসলিম প্রধান দেশে জন্ম না নিলে বোধহয় চিরকাল তোদের এই ভামপণা কাটবে না! …
  • ranjan roy | 192.69.106.132 (*) | ২৮ মে ২০১৫ ০৬:২২86544
  • শ্রীমান সুপা,
    এত রেগে গেলেন কেন?
    "ভারতের এইসব সেক্যুলারদের জ্বর এসে যায় এটা ভেবে যে, বাংলাদেশের মুক্তচিন্তক লেখকরা কেন এত বেশি ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করছে?"

    না না! লেখালেখি তো মাত্র শুরু হয়েছে। এখনও অনেক পথ পেরোতে হবে। ইন ফ্যাক্ট, এই লেখাগুলো বাংলাদেশি লেখকেরা করলে সেটা আরও ব্যাপক স্তরে গ্রাহ্য হবে।
    কিন্তু লেখালেখি মানে কি আপনি যা বলবেন সেটাই ইয়েস স্যার করতে হবে?
    একটা সমস্যার ওপর নানাদিক থেকে আলো ফেলা কি কাম্য নয়?

    হানু,
    আমার কোন পোস্টটি নিয়ে " ভুল জায়্গায় হককথা" ? তবে দেখা হলে অব্শ্যই খাওয়াবো।ঃ))))
  • ranjan roy | 192.69.106.132 (*) | ২৯ মে ২০১৫ ০২:৫৭86548
  • এটা ভাবার কথা।
    ১) বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেভাবে গোটা দুনিয়ায় "হিন্দুদের বিশ্ব" গোছের স্বপ্ন বেচতে পারেনি। বড়জোর ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করার স্বপ্ন দেখাতে পেরেছে। কিন্তু মোদিকে দেশের ৩৩% ভোট পাওয়ার জন্যে বাবরি মসজিদ/হিন্দুভারত নয়, উন্নত ভারত আর্থিক রূপে শক্তিশালী ভারতের স্বপ্ন বেচতে হয়েছে।
    ২) কিন্তু বিভিন্ন ইসলামিক গোষ্ঠী প্যান ইসলাম এর স্বপ্ন সফল ভাবে বেচতে পেরেছে। শুধু মধ্য প্রাচ্য নয়, আফ্রিকা মহাদেশেও। নাইজিরিয়া-বিয়াফ্রার ট্র্যজেডি ভোলা যায়?
    ৩) মোদ্দা কথা শুধু ইস্লামিক জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোই 'শুধু আমরা থাকব, অন্যদের অস্তিত্ব মুছে দিতে হবে তবেই ধরণীর ধূলায় স্বর্গরাজ্য নেমে আসবে'-- মোডে কাজ করছে। তাই জামাতির সঙ্গে চাপাতি যুক্ত হয়।
    আতংক ছড়াচ্ছি না, কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে বলছি -- বাংলাদেশ থেকে এই প্রচার কানে এসেছে যে অদূর ভবিষ্যতে দুই বাংলা এক হয়ে একটি বড় ধার্মিক মুসলিম রাষ্ট্র হবে। কারণ ওই কৌম তখন মেজরিটির ভয়েস হবে।
    বয়স্ক ভদ্রলোকের কথাগুলো ছিলঃ আপনাদের ওই সেকুলারিজম জিনিসডা কী? খায় না মাথায় দেয়? এইডা হিন্দু আর ভারতের প্রচার।
    --- এদের ঠেকাবো কী করে? এদের সঙ্গেই যুক্তফ্রন্ট করে?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন